বিভাগের আর্কাইভঃ Uncategorized

মানব ধর্ম ও বিশ্বাসের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

বিশ্বের ধর্মীয় প্রথার একটি সমৃদ্ধ ঔতিহ্য রয়েছে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, তারা বিশ্ব সরকার, সমাজ ইত্যাদি দ্বারা তাদের হেরফের সত্ত্বেও পৃথিবীতে জ্ঞানকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তারা অনেক, অনেক মানুষের জন্য আধ্যাত্মিকতার উজ্জ্বলতা ধরে রেখেছে।

তবুও যেহেতু মানবতা আপেক্ষিক বিচ্ছিন্নতার অবস্থায় বিকশিত হয়েছে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অন্যান্য ধরণের বুদ্ধিমান জীবনের সাথে চ্যালেঞ্জ এবং লাভের সম্মুখীন হয়নি, তাই এই বিশ্বের ঐতিহ্যের কিছু মৌলিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে । মানবতার বিচ্ছিন্নতার কারণে এই সীমাবদ্ধতাগুলি বোধগম্য, এবং এগুলি অবশ্যই এই বিচ্ছিন্নতার বড় অংশ হিসাবে বোঝা উচিত।

জ্ঞান শিক্ষার্থীর জন্য, কিছু বিষয় রয়েছে যা অবশ্যই পুনর্মিলন করা উচিত। এই সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ লালিত হয়েছে। তারা মানবতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানবতার সচেতনতা এবং বোঝার সীমা উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনি কঠোর ধর্মীয় পটভূমি থেকে বেরিয়ে আসুন বা না আসুন, আপনি এই অবস্থার দ্বারা প্রভাবিত হন, কারণ এগুলি সামগ্রিকভাবে আপনার সাংস্কৃতিক অবস্থার অন্তর্নিহিত রুপ।

আসুন আমরা এখন এগুলিকে সম্বোধন করি যাতে আপনি বিশ্বে আধ্যাত্মিক আহ্বানের অর্থ কী এবং বিশ্বের পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং এর এখন কী প্রয়োজন তা সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকে।

বিশ্বে বিশ্বাসের কিছু প্রচলিত নিয়ম আছে যা সারা বিশ্বে প্রচলিত আছে, উভয় ধর্মীয় ঐতিহ্যে যা অনেক জাতি এবং উপজাতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেও রয়েছে। এই ঐতিহ্যের মূলে রয়েছে জীবনের অসুবিধাগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা এবং বৃহত্তর বা মহান শক্তির উপর আস্থা বজায় রাখার জন্য, একটি ঐশ্বরিক শক্তিতে, যা মানুষের কার্যকলাপকে রক্ষা ও নির্দেশনা দিতে পারে।

যদিও ধর্ম তাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মেলামেশায় অন্য অনেক কিছু হয়ে গেছে, তাদের অনুশীলনের সারমর্ম হল আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাকে বাঁচিয়ে রাখা, মানুষকে সরাসরি স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা লাভ করা এবং বিশ্বে উচ্চতর চেতনা আনতে সক্ষম করা, নৈতিকতার একটি সেট যা মার্কেটপ্লেস যা নির্দেশ করতে পারে এবং যা জাগতিক জীবন মানুষের মধ্যে উদ্দীপিত করে তার চেয়ে বড়।

তবুও কিছু সমস্যা আছে। এই সমস্যাগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায় এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিকতার অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা প্রদান করে। এই কারণেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি আজ বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অর্থ বোঝার পথে বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির জন্য মানুষের কী প্রয়োজন তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এর মধ্যে অন্তর্নিহিত হল এই যে মানবতা সম্পর্কে তাদের মৌলিক বোঝাপড়া এবং প্রকৃতি এবং ঐশ্বরিকের সাথে তার সম্পর্ককে চরমভাবে চ্যালেঞ্জ করা হবে এই বাস্তবতা দ্বারা যে মানবতা একটি বৃহত্তর সম্প্রদায় হয়ে উঠছে। এখানে তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে তাদের সর্বাধিক লালিত আদর্শগুলি পরম নয়। এগুলি সর্বজনীন নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এবং আধ্যাত্মিক জীবনের প্রয়োজনীয়তাগুলি এখন পুনরায় মূল্যায়ন করতে হবে। এবং জীবনের মানদণ্ড এবং জীবনের অর্থ অবশ্যই একটি বৃহত্তর প্রসঙ্গ থাকতে হবে যাতে অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

 

আমরা মনে করি এটি পৃথিবীর সব ধর্মীয় ঐতিহ্যের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর একটি বিষয়। তাদের অবশ্যই বৃদ্ধি এবং প্রসারিত করতে হবে। যদি তারা বৃদ্ধি না করে এবং প্রসারিত না হয়, তাহলে তারা চুক্তি করবে এবং মূলত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠবে এবং এই সময়ে মানবতার ক্ষেত্রে যে বিরাট পরিবর্তন ঘটছে তার বিরোধিতা করবে। এটি তাদের ঐতিহ্যের মধ্যে নতুন জীবন এবং নতুন চেতনা এবং নতুন সচেতনতা নিয়ে আসবে যা মানবতার এখন খুবই প্রয়োজন।

 

বিশ্বে বর্তমান ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে যা অবশ্যই সমাধান করা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে এর মধ্যে অনেকগুলি উল্লেখ করেছি, কিন্তু এখন আমাদের কাছ থেকে দেখে নেওয়া যাক।

প্রথমে, আসুন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বর্গ এবং নরকের সমগ্র ধারণাটি পরীক্ষা করি। সহজভাবে বললে, স্বর্গ প্রতিনিধিত্ব করে আপনি কোথা থেকে এসেছেন এবং আপনি কোথায় ফিরে আসবেন, কিন্তু আজকের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে, এটি আপনার জ্ঞানের সাথে আপনার ঘনিষ্ঠতা, জ্ঞানের প্রতি আপনার আনুগত্য এবং জ্ঞানের সাথে আপনার সনাক্তকরণের সাথে সম্পর্কিত।

জাহান্নাম আপনার প্রকৃত প্রকৃতির অধিগমন অর্জন করতে আপনার অক্ষমতার প্রতিনিধিত্ব করে, যা আপনাকে মারাত্মক অনিশ্চয়তা এবং সন্দেহ, উদ্বেগ এবং কষ্টের জগতে ফেলে দেয়। এটিই প্রায়শ্চিত্ত। প্রায়শ্চিত্ত খারাপ আচরণের পুরষ্কার নয়। স্বর্গ যদি আপনাকে না চায় তাহলে আপনি যেখানে যান সেটা প্রায়শ্চিত্ত নয়। স্বর্গ সবসময় আপনাকে চায়।

প্রায়শ্চিত্ত হল জ্ঞান ছাড়া জীবন যাপন করা। এটি আলাদা করা হচ্ছে। এটি অন্তরণ এবং বিচ্ছিন্নতার জীবন যাপন করছে – নিজের মধ্যে জ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং জীবনে আপনার সত্যিকারের সম্পর্কের অর্থ থেকে বিচ্ছিন্নতা।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রচলিত অর্থে কোন স্বর্গ এবং নরক নেই। আপনি যদি এটি সম্পর্কে চিন্তা করেন তবে এটি আপনার কাছে বোধগম্য হতে শুরু করবে। মানুষের পরিবেশে ভাল আচরণের জন্য অন্য সভ্যতা এবং অন্যান্য পরিবেশে পরিবর্তন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, অন্যান্য জাতিগুলির স্বর্গ এবং নরকের নিজস্ব সংমিশ্রণ, ভাল আচরণের জন্য তাদের পুরষ্কার, খারাপ আচরণের জন্য তাদের শাস্তি রয়েছে। সেগুলো আপনার কাছে অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হবে যেমন আপনার স্বর্গ ও নরকের উপস্থাপন তাদের কাছে মনে হতে পারে। এখানে সার্বজনীন কিছু নেই। এটি একটি স্থানীয় প্রথা, একটি স্থানীয় ঐতিহ্য এই ক্ষেত্রে, আপনার বিশ্বের জন্য স্থানীয়।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, কোন শুরু এবং শেষ নেই। কোন চমত্কার সৃষ্টির গল্প নেই। মহাবিশ্বে জীবনের কোন আসন্ন শেষ নেই। শেখার অবশ্য শেষ আছে। এবং প্রকাশিত জীবনের একটি সমাপ্তি হবে, কিন্তু ভবিষ্যতে এটি এতদূর যে আপনার উদ্বেগের ক্ষেত্রের বাইরে।

একইভাবে, শারীরিক বাস্তবতার মধ্যে জীবনের বিবর্তন এমন একটি বিষয় যা আপনার পৃথিবী সৃষ্টির অনেক আগে ঘটেছিল। সুতরাং শুরুটা অনেক আগে থেকেই, এবং শেষটা এতদূর ভবিষ্যতে যে, এগুলো আপনার জীবনে ঐশ্বরিক অর্থ এবং প্রকৃতি সম্পর্কে বোঝার জন্য প্রাসঙ্গিকতা নির্ধারণ করতে পারে না।

আবার, আমাদের অবশ্যই আপনার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবহৃত প্ররোচনার ক্ষমতা এবং সত্যিকারের ধর্মীয় জীবন যাপনের অর্থের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। রাজনৈতিক সুবিধার সাথে মিশ্রিত সামঞ্জস্য এবং আনুগত্য অনেকগুলি আদর্শ ও বিধানের জন্ম দিয়েছে যা এখানে বেশিরভাগ মানুষের চিন্তাকে প্রভাবিত করে বলে মনে হয়।

এটা এমনভাবে বলা যায় যে, যদি শাস্তির বড় হুমকি না থাকে, যতক্ষণ না এমন নিষ্ক্রিয়তা থাকে যেখানে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়, তারা লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াবে। তাদের নিজস্ব কোন প্রকৃত প্রণোদনা না থাকায়, তাদের অবশ্যই শাসিত হতে হবে, এবং তাই এই বিষয়গুলি কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু জ্ঞানের ছাত্রকে অবশ্যই এই দ্বিধাবিভক্তির বাইরে দেখতে হবে এবং সেখানে বিদ্যমান প্রকৃত সত্য দেখতে হবে। আসুন ভাল এবং মন্দের মধ্যে দ্বিচারিতা দেখি। এটি একটি খুব কঠিন কারণ অনেকেরই এই বিষয়ে খুব, খুব মৌলবাদী ধারণা রয়েছে।

যে আদর্শবাদের অস্তিত্ব রয়েছে তার বেশিরভাগই প্রকৃত গুরুতর বিবেচনার এবং মননশীলতার ফল নয় বরং এটি একটি সামাজিক প্রতিক্রিয়া। উদাহরণস্বরূপ, লোকেরা মনে করে যে অতীতে গির্জার আধিপত্যের কারণে, তাদের অবশ্যই মন্দ ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তারা কি সত্যিই এই বিষয়ে চিন্তা করেছে, নাকি এটি কেবল একটি প্রতিক্রিয়া?

স্পষ্টতই, এমন কিছু আছে যারা ভালোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এমন কিছু আছে যারা ভালোর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা বিপরীত চরম প্রতিনিধিত্ব করে। মাঝখানে অন্য সবাই, এক বা অন্যভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।

ভাল শক্তি আছে এবং অসঙ্গতির শক্তি আছে। আপনি তাদের ভাল এবং মন্দ বলতে পারেন, কিন্তু তারা মূলত এর চেয়ে জটিল। ভাল করার ক্ষমতা এবং মন্দ করার ক্ষমতা প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে। তাহলে, কোনটি একজন ব্যক্তির জীবনে প্রধান শক্তি হয়ে ওঠে? যে কোনও ব্যক্তির মধ্যে, একজন হয় মৌলিকভাবে বা অন্যের চেয়ে কিছুটা বেশি প্রভাবশালী।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিকতার মধ্যে, এটি অন্যভাবে দেখা যেতে পারে। এখানে আমরা আবার জ্ঞানের সারাংশে ফিরে আসি। যখন আপনি জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত থাকেন, তখন আপনি ভাল কাজ করেন। যখন আপনি জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত নন, তখন আপনি ভালোর বিরুদ্ধে কাজ করার প্রবণতা রাখেন যদিও আপনার ভালোর প্রতি ঝোঁক রয়েছে।

জীবনে কেউই পুরোপুরি ভালো নয়, এবং জীবনে কেউই পুরোপুরি খারাপ নয়। আপনি পুরোপুরি ভালো হতে পারবেন না কারণ সবসময়ই সুযোগ থাকে যে আপনি প্রতারিত হতে পারেন অথবা আপনার উপলব্ধি এবং বিচারে ভুল করতে পারেন। প্রত্যেকেই ফিজিক্যাল জীবনে ভুল করতে সক্ষম। এটি পৃথিবীতে যেমন সত্য তেমনি বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে।

একইভাবে, কেউই পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না কারণ আপনি ব্যক্তি থেকে জ্ঞানকে নির্মূল করতে পারবেন না। ঈশ্বর সেখানে যা রেখেছেন তা আপনি ধ্বংস করতে পারবেন না। এটা অস্বীকার করা যেতে পারে; এটি ব্যর্থ করা যেতে পারে; এটি সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায়, কিন্তু এটি নির্মূল করা যায় না।

অতএব, প্রত্যেক ব্যক্তি, তার আচরণ যতই ক্ষতিকারক হোক না কেন, সক্ষম এবং ভাল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আপনাকে অবশ্যই ভাল এবং মন্দ কী সে সম্পর্কে একটি শিশুসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি কাটিয়ে উঠতে হবে, ফেরেশতা এবং ভূতদের প্রতি শিশুসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিকে কাটিয়ে উঠতে হবে এবং জীবনের বাস্তবতায় ফিরে আসতে হবে।

সৃষ্টিকর্তা জানেন যখন আপনি দুনিয়াতে আসবেন যে পৃথিবী অনেক অসুবিধায় পূর্ণ এবং আপনি অনেক ভুল করবেন এবং আপনি হয়তো আপনার উদ্দেশ্য এবং এখানে আপনার পথ খুঁজে পেতে সফল হবেন না। স্পষ্টতই, এটি বোঝা যায়।

আসলে, খুব কম লোকই এখানে তাদের উদ্দেশ্য এবং তাদের মিশন খুঁজে পায়। অন্য সবাই চেষ্টা করে কিন্তু কোনোভাবে সফল হতে পারে না। এর কারণ এই যে পৃথিবী এত কঠিন এবং তাদের প্রথম শিক্ষার মহাপ্রাচীর অর্জন করার জন্য, তাদের অবশ্যই তাদের প্রকৃত প্রকৃতি, তাদের আসল উৎপত্তি এবং তাদের প্রকৃত ভাগ্য সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে হবে।

আবার, যদি আপনি আপনার প্রাচীন বাড়ি এবং সেখানে আপনার সম্পর্ক সম্পর্কে এত সচেতন হন, তাহলে আপনি পৃথিবীতে প্রবেশ করতে চাইবেন না। এটা খুব কঠিন হবে। আপনার বাড়ি যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এতটাই দুর্দান্ত হবে যে এটি আপনাকে এখানে সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ করতে অক্ষম করবে। পৃথিবীতে প্রবেশের আগে যখন আপনি আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারের সাথে থাকেন, তখন পৃথিবী এত কঠিন মনে হয় না। সেখানে থাকা, সবকিছু তাই অক্ষত; সবকিছু এত সম্পূর্ণ; আপনি সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়। আপনি পৃথিবীতে যখন আসেন, এবং এর সবকিছু চলে গেছে। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতা।

অতএব, সৃষ্টিকর্তা জানেন যে আপনি এখানে অনেক ভুল করবেন। এজন্য নিন্দা করা প্রশ্নের বাইরে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আপনি আপনার প্রকৃত আত্মা খুঁজে পান, আপনি এখানে আপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার মিশন খুঁজে পান। সমস্ত জোর এর উপরই।

এটা সম্ভব করার জন্য সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জ্ঞান দিয়েছেন। জ্ঞান ছাড়া, আপনি বিশ্বের দ্বারা পরাজিত এবং পরাস্ত হবেন। আপনার সত্যকে উপলব্ধি এবং আবিষ্কার করার ক্ষমতা থাকবে না। আপনার কোন প্রকৃত বিবেক থাকবে না। জ্ঞান ছাড়া, আপনি সম্পূর্ণরূপে মন্দ হতে পারেন।

কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ আজ বুঝতে পারে না যে তাদের জ্ঞান আছে। এটা তাদের ধর্মীয় শিক্ষার অংশ নয়। তাদেরকে বিশ্বাস করতে এবং বাধ্য হতে শেখানো হয়। তাদেরকে ধারণায়, কথায়, বইয়ে, মানদণ্ডে এবং কনভেনশনে বিশ্বাস করতে শেখানো হয়। এবং যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। জ্ঞানের পথে কোন শিক্ষা নেই। জ্ঞান পুনরুদ্ধার করার কোন পদ্ধতি নেই। এটি একটি আদিম জাতিতে বোধগম্য, কিন্তু মানবতা এখন তার আদিম অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে যদিও তার বেশিরভাগ আচরণ এখনও খুব আদিম।

মানুষকে জানতে হবে। বিশ্বাস যথেষ্ট নয়। বিশ্বাস দুর্বল এবং বিশ্বাসযোগ্য এবং সহজেই প্ররোচিত এবং প্রভাবিত হয়। যা আজ বিশ্বে প্রয়োজন নেই। মানবতার জন্য এর চেয়ে ভাল বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই। এর জন্য জ্ঞানের চেয়ে কম কিছু দরকার নেই।

এবং তবুও এটি ধর্মীয় চিন্তায় কিরকম বিপ্লব হয়ে যাবে। যারা তাদের মতাদর্শ এবং প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে তাদের স্থিতিশীলতা এবং পরিচয় দিতে তারা এই ধারণা দ্বারা ব্যাপকভাবে হুমকির সম্মুখীন হবে, কারণ তারা মানবতার অন্তর্নিহিত মঙ্গল বা বাস্তবতা এবং জ্ঞানের অর্থ বিশ্বাস করে না।

সুতরাং স্বর্গ ও নরকের উপর জোর, পরকালের পুরস্কার ও শাস্তির উপর জোর, ভাল ও মন্দের উপর জোর – সবই এমন পরিবেশে ঘটে যেখানে জ্ঞান অজানা এবং জোর দেওয়া হয় না। এটি জ্ঞানের পুরুষ বা মহিলার জন্য জ্ঞান প্রদানের পথে যাএা শুরু করার জন্য এটি একটি খুব কঠিন পরিবেশ তৈরি করে। তাদের অবশ্যই শুধু এই শক্তির সাথে তাদের পরিমণ্ডলে নয়, নিজেদের মধ্যেও মোকাবেলা করতে হবে।

 

কিছু লোকের ধর্মীয় প্রশিক্ষণ এতটাই কঠোর এবং তাদের উপর এত জোর দিয়ে রাখা হয়েছে যে তারা এটিকে ছাড়াইয়া উঠে আসতে পারে না। এটি এমন একটি নিষ্পেষণ চাপ। এটা তাদের উপর নিপীড়ন। তারা তাদের আনুগত্যকে একটি পুরনো ধারনা থেকে তাদের ভেতরের জীবন্ত বাস্তবতায় স্থানান্তরের চেষ্টা করার জন্য অনেক অপরাধ বোধ করে।

ভাল এবং মন্দের এই দ্বন্দ্ব থেকে, স্বর্গ এবং নরক, একটি নতুন অভিজ্ঞতা বোঝার গভীর অক্ষমতা আসে। জিনিসগুলি একটি বিশ্বাসের সেট অনুসারে বিচার করা হয় যা মূলত নতুন অভিজ্ঞতার জন্য সত্যই অপ্রাসঙ্গিক।

উদাহরণস্বরূপ, বৃহত্তর সম্প্রদায় পৃথিবীতে রয়েছে। যারা এই সম্পর্কে সচেতন তারা ভাল এবং মন্দের এই ধারণাগুলি প্রজেক্ট করে। তারা বলে, “তারা কি ভাল? তারা কি খারাপ? তারা কি ঐশ্বরিক? তারা কি শয়তান?” এমনকি শিক্ষিত লোকেরা যারা এটি বলে না তারা আসলে এটি অনুভব করতে পারে। তারা উদ্বিগ্ন। এই কুসংস্কারগুলি এত গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের এতটাই একটি অংশ যে কখনও কখনও এগুলোকে চিনতে এবং তাদের ছাড়িয়া উঠা বড় কঠিন।

জ্ঞান ছাড়া ধর্ম কুসংস্কারে পরিণত হয়। এটি বিশ্বাসে পরিণত হয়, এবং বিশ্বাস পরিচালনা করা এবং প্রভাবিত করা সহজ। জ্ঞান ছাড়া, মানুষ সব ধরণের জিনিস বিশ্বাস করতে পারে, এমনকি যদি তারা তাদের অভিজ্ঞতার সাথে সরাসরি বিপরীত হয়।

মানুষকে শেখানো যেতে পারে যে তারা স্বভাবতই দুষ্ট এবং তাই তাদের অবশ্যই ধর্মীয় মতাদর্শের কঠোর আনুগত্যের অধীন হতে হবে। এবং তবুও এটি তাদের নিজের একটি প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতাকে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাদের শেখানো যেতে পারে যে তারা শারীরিকভাবে খারাপ, তাদের শরীর খারাপ, বাস্তবিক অভিজ্ঞতা খারাপ, যে কোনওভাবে বেঁচে থাকা একটি বড় দুর্ভাগ্য এবং এটি নিজেই এবং এক ধরণের শাস্তি। তবুও এটি জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণ বিপরীত এবং এটি মানুষের উদ্দেশ্য এবং বিশ্বে উপস্থিতির প্রকৃত প্রকৃতির সম্পূর্ণ বৈপরীত্য, যা অন্তর্নিহিতভাবে ভাল কাজ করা।

সৃষ্টিকর্তা এখানে সবাইকে ভালো করার জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেককেই প্রথমে পৃথিবীর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অনেকের জন্য, এটি তাদের দুর্দান্ত সুযোগ এবং তাদের বৃহত্তর অভিব্যক্তি অস্বীকার করার জন্য যথেষ্ট হবে।

হিরো পূজা মানব ধর্মের আরেকটি সহজাত অংশ। এটি কোন কোন প্রথায় একে অন্যদের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষের বিশ্বাস করার জন্য একধরনের অতিমানব থাকা দরকার, কেউ একজন মহান, কেউ একজন যে মানুষের পতনশীলতা প্রদর্শন করে বলে মনে হয় না, এমন একজন যিনি নিখুঁত অবস্থায় আছেন।

এবং তবুও এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সত্য হতে পারে? বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন ব্যক্তি কি ঈশ্বরের মাধ্যম হতে পারে? এটি এমন একটি দর্শনার্থী দৌড়ের মতো যা এখানে এসে আপনাকে বলছে, “ঠিক আছে, আপনি স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবেন না যদি না আপনি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন এবং আমাদের হিরোকে অনুসরণ করেন এবং মেনে চলেন,” যারা অবশ্যই মানুষ হবে না।

যদিও বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষের মধ্যে মহান কাজ এবং মানুষের উচ্চতর বুদ্ধিমত্তা এবং চেতনা অনুপ্রাণিত করার জন্য এটি একটি মানবিক প্রেক্ষাপটে অর্থপূর্ণ হতে পারে, এটি ধরে রাখে না।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন বিশিষ্ট সত্তা থাকতে পারে না। দৈহিক জীবনে কেবলমাত্র এমন প্রাণী রয়েছে যারা জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী বা দুর্বল। এর বাইরে, তাদের সামাজিক ব্যবস্থা এবং তাদের প্রযুক্তি এবং তাদের নৈতিকতার বিকাশ রয়েছে।

কিন্তু সমালোচনামূলক বিষয় হল তারা জ্ঞানে শক্তিশালী কিনা কারণ, আমরা যেমন বিশ্বের মধ্যে দেখেছি, জ্ঞান ছাড়া ভাল নৈতিকতা খারাপ ফলাফলের দিকে নিয়ে যায়। অনেক কিছু যা মানুষ শুরু করে একটি ভাল উদ্দেশ্য হিসাবে, কিন্তু এটি ইতিবাচক উপায়ে শেষ হয় না।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে হিরো পূজার ধারণা প্রাসঙ্গিক হতে পারে না। যীশুর মতো একজন মহৎ পৃথিবীর মধ্যে, যদিও তাকে এখনও ব্যাপকভাবে ভুল বুঝেছে, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, তিনি একজন স্থানীয় হিরো।

বুদ্ধিমান জীবনের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে মহান শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। যাইহোক, অনেকে যিশুর মতো একই পরিণতি ভোগ করেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ধর্মগুলি তাদের উপর নির্মিত হয়েছে, যা তাদের প্রকৃত প্রকৃতি এবং উদ্দেশ্যকে খুব কমই প্রতিফলিত করে।

বিশ্বের অনেক ধর্মীয় প্রথায়, এমন ধারণা রয়েছে যে আপনার এবং স্রষ্টার মধ্যে অন্য কাউকে অবশ্যই মধ্যস্থতাকারী হতে হবে: কিছু ঐশ্বরিক ব্যক্তি, একজন ব্যক্তি যিনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একটি মহান পদে অধিষ্ঠিত। যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রকৃত প্রজ্ঞা থাকত এবং সেগুলি সম্পূর্ণ উপকারের দ্বারা পরিচালিত হতো, তাহলে এটি সম্ভব এবং উপকারী হত। কিন্তু সবাই ভ্রমপ্রবণ। সুতরাং এটি বড় ভুল বোঝাবুঝির দিকে পরিচালিত করে এবং অফিসের অপব্যবহার এবং অবৈধ ব্যবহার করে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, মানুষকে অনেক বেশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্বের জন্য একটি খুব উন্নত স্ব-সততার প্রয়োজন, যা এখনও বিশ্বের মধ্যে খুব বেশি চর্চা করা হয়নি কারণ মানুষ যদি জ্ঞানের উপায় শিখতে পারে, তাহলে তারা যা কিছু চায় তা বলতে পারবে, যা কিছু তারা সংযুক্ত করে, যা কিছু তারা তাদের নিজেদের মধ্যে জ্ঞান থেকে আসা হিসাবে তাদের নিজেদের জন্য আকাঙ্ক্ষিত হয়।

মানুষ এই ভুলগুলো করবে। তারা ভাববে, “আমি যা চাই তা চাই এবং বাকিদের সঙ্গী জাহান্নাম!” তারা এটাকে জ্ঞান বলবে অথবা যা তারা মনে করবে তারা যা চায় তা লাভের সুবিধা দেবে।

সুতরাং আপনি সমস্যাটি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু ত্রুটির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, জ্ঞানের পথ অবশ্যই মানবতাকে শিখিয়ে দিতে হবে, তার কুসংস্কার, দৃষ্টিশক্তির অভাব, ধর্মীয় আদর্শের জন্য, তাই অন্ধকার [মানবতা] বৃহত্তর অবস্থার জন্য যা তার ভাগ্য এবং ভবিষ্যতকে রূপ দিচ্ছে, জ্ঞানের পথে অবশ্যই একটি মহান পথ থাকতে হবে। এটি বিশ্বের ধর্মগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে না কিন্তু তাদের প্রকৃত প্রতিশ্রুতি এবং একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জীবন প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান এবং অর্থপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেবে।

এত গভীরভাবে জড়িয়ে আছে অনেক আধ্যাত্মিক ধারণা যে তারা জ্ঞানের ছাত্রের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে, উভয় নিজের মধ্যে এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে। মানবতার ইতিহাসে মহান সাধকরা সর্বদা তাদের সময়ের প্রচলিত প্রথার বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনকি যদি তাঁরা সেই প্রথা পুনরুদ্ধারে মূল ভূমিকা পালন করেন, এমনকি যদি তাঁরা মূল ব্যক্তিত্ব হন, তবুও তাঁরা সর্বদা নিজেদের মধ্যে একটি মহান কর্তৃত্ব অনুসরণ করেছেন। ফলস্বরূপ, তাঁরা প্রায়ই ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রচণ্ড কষ্ঠ এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন যে তাঁরা সেখানে সেবা করার জন্য ছিলেন।

বর্তমান বিশ্বে অনেক প্রচলিত কুসংস্কার রয়েছে। তারা জ্ঞান থেকে আসে না। এই বিশ্বাস যে ঈশ্বর প্রাথমিকভাবে [মানবতার] কল্যাণের সাথে অন্য সব কিছু বাদ দেওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তা একটি কুসংস্কার। আপনি যদি একজন খারাপ ব্যক্তি হন, তাহলে আপনি অনন্তকাল ধরে জাহান্নামে বসবাস করতে যাবেন এই ধারণাটি একটি কুসংস্কার। স্বর্গ খোঁজার জন্য প্রত্যেককে অবশ্যই একজন শিক্ষকের উপর বিশ্বাস করতে হবে এই ধারণাটি একটি কুসংস্কার। এই বিশ্বাস যে স্বর্গ থেকে আসা কোন শক্তি বা নক্ষত্র থেকে আসা কোন দর্শক অবশ্যই রাক্ষসী বা দেবদূত হতে হবে একটি কুসংস্কার।

যদিও এর মধ্যে কিছু অবিশ্বাস্য মনে হয় এবং আপনি মনে করবেন, “আমি নিজেও এই জিনিসগুলিতে বিশ্বাস করি না,” আপনি ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পাবেন যে এগুলি আপনার সর্তকরণের অংশ হয়েছে কারণ এগুলি মানব সমাজে প্রচলিত। এমনকি অত্যাধুনিক মানুষ যারা কখনও প্রকাশ্যে নিজেদের জন্য এই ধরনের মতামত দাবি করবে না তারা তাদের নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করতে পারে।

কয়জন মানুষ দুষ্ট হওয়ার ভয় পায় নাকি অশুভ শক্তির খপ্পরে পড়ে? এটি তাদের নিজেদের গভীর প্রবণতা সম্পর্কে সন্দেহ করতে পরিচালিত করবে। একটি নির্দিষ্ট প্রথার মধ্যে প্রাচীন লেখার উপর ভিত্তি করে কতজন লোককে রাজি করানো যেতে পারে যে, পৃথিবীতে তাদের ভালো করার প্রবণতা আসলে একটি খারাপ জিনিস হবে? অতীতে রাজারা এবং রাজকীয়রা নিজেদেরকে ঔশ্বরিক নিয়োগ দিয়েছিলেন এবং যথেষ্ট মানুষকে বিশ্বাস করতে প্রণোদিত করেছিলেন।

এখানে আরেকটি সমস্যা আছে। মানবতাকে নাবালক অবস্থায় রাখা ছাড়াও, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের অবস্থায়, কিছু প্রচলিত ধর্মীয় ধারণা মানবতাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের লোকদের থেকে হেরফেরের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

মানবতা গত অর্ধ শতাব্দী ধরে তীব্রভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে, শুধু মানব শারীরবৃত্ত নয় মানব সংস্কৃতি এবং মানব ধর্ম, মানব আদর্শ এবং মানব প্রেরণা, মানব মনোবিজ্ঞান। যদিও লোকেরা নিজেদেরকে বিস্ময়করভাবে জটিল বলে মনে করে, এই ক্ষেত্রে এটি সত্য নয়। আপনি যদি নিজেকে বাইরে থেকে দেখতে পারেন এবং নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার আচরণ এত জটিল নয় এবং আপনি নিজের দুর্বলতাগুলি দেখতে পাবেন।

আমরা যেমন বলেছি, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রস্তুতিতে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হবে মানব সরকার এবং মানব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজদের লক্ষ্যের জন্য মানবতাকে প্রভাবিত করতে চাইছে । তারা উভয়ই দুর্বল।

সরকার ক্ষমতা চায়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষমতা চায়। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি প্ররোচনার মাধ্যমে, মানসিক পরিবেশকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা অর্জন করে। সরকার অন্য উপায়ে ক্ষমতা লাভ করে, কিন্তু তাদেরও প্রভাব বিস্তার করতে হবে। তাই রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তখন মানুষের আচরণ, মানবিক মূল্যবোধ, মানবিক আদর্শ এবং মানবিক অগ্রাধিকারকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।

এটি একটি আশ্চর্যজনক বিষয়, কিন্তু মানব ধর্মের কারসাজি এমন একটি মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। বৃহত্তর কমিউনিটি বাহিনী, যেমন আমরা বলেছি, মানুষের সামনে হাজির হওয়া একজন সাধকের ছবির একটি অভিক্ষেপ তৈরি করতে পারে। যদিও এটি কেবল তাদের মনের মধ্যে একটি অভিক্ষেপ, তারা মনে করবে এটি বাস্তব। যদি তারা জ্ঞানে শক্তিশালী না হয় এবং বিচক্ষণতা তৈরি করতে না পারে, তারা যা দেখবে তাতে বিশ্বাস করবে।

বৃহত্তর কমিউনিটি বাহিনীর পক্ষে এটি করা কঠিন নয়। তারা মানুষকে ভাবতে পারে যে এখানে তাদের উপস্থিতি আধ্যাত্মিক নবজীবনের অংশ, অথবা আধ্যাত্মিক সীমা, অথবা প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা হিসাবে, অথবা খ্রিস্টের দ্বিতীয় আগমন গঠন করে। এই ধরণের অনুমান বিপুল সংখ্যক মানুষকে তাদের নিজস্ব প্রকৃতি এবং জ্ঞান লঙ্ঘন করে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

খুব ধর্মীয় প্রথা যাদের প্রকৃত ম্যান্ডেট হল ক্ষমতায়ন এবং মানবতার উত্থান এর কারণ হল মানব পরিবারের মধ্যে জ্ঞান এখনো শক্তিশালী নয়। [তবুও] জ্ঞানের সম্ভাবনা দারুণ; জ্ঞানের উপায় শেখার সুযোগটি উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অন্যান্য সমাজের তুলনায়।

মানুষ স্বাভাবিক জ্ঞানে, প্রাকৃতিক মঙ্গল, প্রাকৃতিক প্রবণতায় প্রশিক্ষিত হয় না। তাদের জ্ঞানের মহান সম্পদ দাবি করতে শেখানো হয় না। তাদের শেখানো হয় বাধ্য হতে, অনুসরণ করতে, পরিবেশন করতে এমনকি যদি এই ধরনের কাজকর্ম তাদের প্রকৃতি এবং তাদের বৃহত্তর প্রবৃত্তির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।

এই মুহুর্তে, আপনি বলতে পারেন, “আচ্ছা, মনে হচ্ছে মানবজাতি সত্যিই খারাপ!” কিন্তু এটি এমন নয়, কারণ এটি বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে ঘটে। বিচ্ছিন্নভাবে বিকশিত সমস্ত জাতিগুলির এই সমস্যা রয়েছে। তারা মনে করে যে তারা মহাবিশ্বের কেন্দ্র। তারা অনুভব করে যে তাদের ঐশ্বরত্ব এবং সৃষ্টির ধারণাগুলি সর্বাধিক এবং সর্বজনীন। তারা বিশ্বাস করে যে তাদের মূল্যবোধ অবশ্যই প্রত্যেকের এবং সবকিছুর জন্যই সত্য।

এই বক্তৃতার শুরুতে আমরা যেমন বলেছি, এটি মূলত বিচ্ছিন্নভাবে বসবাসের ফল। অন্যান্য বুদ্ধিমত্তা, বেচাকেনা, বাণিজ্য এবং অন্যান্য বুদ্ধিমান জাতিগুলির সাথে যোগাযোগ করুন, এই চরম অবস্থানের পরিবর্তন করুন এবং সমাজের অনেক মূল্যবোধ এবং সর্বাধিক লালিত আদর্শের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন হবে।

এটি আমাদের পুনর্বিবেচনার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আসে। অনেক মানুষ আশা করে এবং কেউ কেউ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে সৃষ্টিকর্তা তাদের উদ্ধার করবেন, তাদের রক্ষা করবেন। জীবনের একটি নির্দিষ্ট দুর্বলতা আছে যা খুবই আসল এবং খুবই বাস্তব। আপনার পূর্বপুরুষরা একটি ভাল ফসলের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তারা বেঁচে থাকতে পারে। লোকেরা এখন তাদের প্রচেষ্টার জন্য একটি ভাল ফলাফলের জন্য প্রার্থনা করে, তাদের বিবাহের জন্য একটি ভাল ফলাফল, তাদের স্বাস্থ্যের সমস্যার সমাধান, এবং তারা ঈশ্বরের কাছে আবেদন করে।

মানুষের পক্ষে এটি করা স্বাভাবিক এবং সহজাত, কিন্তু এটি জগতের মধ্যে ঔশ্বরীর প্রকৃতি এবং কার্যকলাপ বোঝার ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা তৈরি করে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আগমন এই প্রত্যাশা, এই আকাঙ্ক্ষা এবং ঔশ্বরিক সুরক্ষা এবং হস্তক্ষেপের এই দাবিকে উদ্দীপিত করবে, কিন্তু তা থাকবে বলে মনে হবে না। “ঈশ্বর কোথায় আমাদের রক্ষা করবেন? যীশু কোথায়? বুদ্ধ কোথায়? মুহাম্মদ এখন কোথায় আমাদের পথ দেখাবেন?”

অনেকের কাছে এটি একটি আধ্যাত্মিক সংকট হবে। ঈশ্বরের চোখে মানবতার প্রাধান্য সম্পর্কে তাদের সম্পূর্ণ ধারণা ভেঙে যাবে। মহাবিশ্ব এবং জীবনের মধ্যে ঔশ্বরিক ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতি সম্পর্কে তাদের সমগ্র বোঝাপড়া এতটাই নাড়া দেবে এবং এতটাই পরিবর্তিত হবে যে অনেকের জন্য এটি খুব বেশি হবে।

এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি এবং বাস্তবতাকে অস্বীকার করবে। মানুষ এই নতুন বাস্তবতাকে গ্রহণ করতে চাইবে না কারণ তারা এমনকি এটি এবং এর প্রভাবগুলি বিবেচনা করতে পারে না। এবং তবুও, এটি তাদের জীবনের অংশ। এটা তাদের শিক্ষার অংশ। এটি তাদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় শর্ত। এটি একটি বিশ্বের মধ্যে একটি জাতি হিসাবে বিকাশের অনিবার্য ফলাফল। শেষ পর্যন্ত সব জগতের সকল জাতি অবশ্যই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সংস্পর্শে আসবে যা তাদের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপস্থাপন করে। এবং সব ক্ষেত্রে, তাদের নিজস্ব লালিত আদর্শ, বিশ্বাস এবং অনুমান ব্যাপকভাবে চ্যালেঞ্জ করা হবে। কার জন্য মহাবিশ্বের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছাড়া জীবনে সর্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে?

সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে সক্রিয়ভাবে তাদের মধ্যে জ্ঞানের মাধ্যমে এবং অদৃশ্যগনদের কার্যকলাপের মাধ্যমে জড়িত। কিন্তু অনেক অদৃশ্যগন নেই, যা মানুষ বিশ্বাস করে তার বিপরীতে। লোকেরা প্রায়শই এই বলে নিজেকে আত্মবিশ্বাস দেয়, “আচ্ছা, এই সব ফেরেশতা আমার চারপাশে সবসময় থাকে!” কিন্তু তা সেরকম নয়।

প্রতিটি অদৃশ্যকে শত শত ব্যক্তির [তত্ত্বাবধান] করতে হবে। সুতরাং ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার প্রয়োজন, জ্ঞানের বিকাশ এবং ব্যক্তির মধ্যে সত্যিকারের আত্মপ্রেরণার উত্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আগের তুলনায় আজ অনেক বেশি প্রয়োজন।

ভেঙে যাচ্ছে পুরনো প্রথা। উপজাতীয় পরিচয় এবং সংস্কৃতি বৃহত্তর গোষ্ঠী দ্বারা একত্রিত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে, অর্থনৈতিক পরস্পর নির্ভরতা এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের মাধ্যমে জাতিগুলি একে অপরের মধ্যে মিশে যাচ্ছে। বিশ্বে এখন বিচ্ছিন্নতা অর্জন করা খুব কঠিন। এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতির দ্বারা বিশ্বের বিচ্ছিন্নতা এখন ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

এই প্রচলিত ধারণাগুলির মানবতার জন্য কিছু উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু তারা সুদূর অতীতে তাদের যে কোনও উপকারিতা ছাড়িয়ে গেছে। মানবিকতাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এটি আরও দক্ষ, আরও বিচক্ষণ, আরও সক্ষম হতে হবে। ভাল করার অনুপ্রেরণা, ভালোর জন্য একটি শক্তি হতে হবে, এখন থেকে ক্রমবর্ধমান ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসতে হবে।

পৃথিবী উত্তাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এটি একটি সম্প্রদায় হওয়ার প্রক্রিয়ায় মধ্যে রয়েছে, এর কারণ এই নয় যে লোকেরা এটি একটি সম্প্রদায় হতে চায়, কারণ এটি বেঁচে থাকার জন্য একটি সম্প্রদায় হতে হবে। মানুষ এটা জানে, কিন্তু তারা বুদ্ধিগত বা আবেগগতভাবে এই ধারণা সহ্য করতে পারে না।

একটি ধারণা আছে যে জীবন আপনাকে কেবল সেটাই দেবে যা আপনি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। অনেকেই এখন এটা ভাবছেন। এটি এই যুগের একটি পুরাণশাস্ত্র। কিন্তু বাস্তবতা হল জীবন আপনাকে দেবে যা জীবন আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে আপনি প্রস্তুত থাকুন বা নাই থাকুন, আপনি এটি পরিচালনা করতে পারেন বা না পারেন, আপনি এটিকে একত্রিত করতে পারেন বা না পারেন।

মহান জিনিসগুলিতে বিশ্বাস করা এখন আর যথেষ্ট নয়। আপনাকে অবশ্যই মহান হতে হবে, এখন আপনার চেয়ে বড়, আপনি যতটা বেশি মহান হতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠান বা তাদের আদর্শে বিশ্বাস করা যথেষ্ট নয়। ঈশ্বর আপনার মধ্যে যা রেখেছেন তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং এটি আপনার মধ্যে উদ্ভূত হতে দিতে হবে। পৃথিবীতে বহু আগে থেকে বসবাসকারী মহান সাধকদের কাজে বিশ্বাস করা যথেষ্ট নয়, কারণ আপনি এখন ভিন্ন জগতে বাস করছেন, বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার অধীনে।

এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি মানবতাকে উপবন থেকে বের করে আনবেন। এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে মানবতাকে রক্ষা করবেন। সেখানে শুধু মানুষের দায়িত্ব, মানুষের সক্ষমতা এবং মানুষের সহযোগিতার অনুশীলন হয়।

এগুলি সবই জ্ঞানের ফলাফল। এগুলি সবই প্রাকৃতিক দায়িত্ব এবং প্রজ্ঞা এবং সামর্থ্যের ফলাফল যা সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি ব্যক্তিকে দিয়েছেন। এই বিষয়গুলি এখন জোর দেওয়া আবশ্যক।

বিশ্ব বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্থান হচ্ছে। পৃথিবীতে একটা মহান আহ্বান আছে। এটি জ্ঞানের আহ্বান। এটি একটি নতুন যুগের সূচনা, একটি কঠিন যুগ, একটি মহান যুগ। মানবতা কেবল তখনই সফল হবে যদি এটি সেই দক্ষতাগুলি গড়ে তুলতে পারে যা আমরা এখানে বর্ণনা করছি। এটি তার সুযোগ এবং এখনই সময়।

মহামারী এবং পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গের মুখোমুখি

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৭ই নভেম্বর, ২০২১ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

ইতিহাসের এই মুহুর্তে, মানবতা একটি মহান মহামারীর মুখোমুখি হচ্ছে, একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী, একটি মহামারী যা প্রকৃতি থেকে এসেছে, একটি মহামারী যা অত্যন্ত বিপজ্জনক, সংক্রমণযোগ্য এবং মানব জাতি এবং জনসংখ্যার সমস্ত ভ্রমণ এবং মিথস্ক্রিয়া এবং একে অপরের সাথে জড়িত সহ বিশ্বজুড়ে চলাফেরা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

এটা মানব পরিবারের জন্য একটি মহান পরীক্ষা। এটা কি সাড়া দিতে পারে? এটা সম্পর্কে কি শিক্ষিত হয়ে উঠবে? অথবা এটা কি কেবল আশা করবে যে এটি কেবল একটি ক্ষণস্থায়ী পর্যায়, একটি মেঘ তাদের জীবনের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে তারা ফিরে যেতে চাইছে যেন সত্যিই গুরুতর কিছুই ঘটেনি?

কিন্তু আফসোস, মহামারীটি মানব পরিবারের জন্য একটি গুরুতর পরিবর্তনকারী উপাদান, কারণ এটি বছরের পর বছর ধরে চলবে, এবং এটি যে ধ্বংস নিয়ে আসবে তা এত বিশাল এবং এমন একটি জীবন-পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা হবে যে এটি আক্ষরিকভাবে সর্বত্র মানুষকে প্রভাবিত করবে: তাদের অর্থনীতি , তাদের সামাজিক কাঠামো, তারা কীভাবে অন্যান্য মানুষের সাথে জড়িত, জাতির মধ্যে সম্পর্ক ইত্যাদি।

এটি একটি দুর্দান্ত সমতা। এটি কাকে প্রভাবিত করতে চায় তার উপর বৈষম্য করে না কারণ সুযোগ যেখানেই থাকবে সেখানেই যাবে, আপনি ধনী বা দরিদ্র হোন।

এমনকি আধুনিক ঔষধের সাথেও, এটি একটি বড় অসুবিধা সৃষ্টি করে, অনেক লোক এই ঔষধেটি গ্রহণ করবে না, এই ভেবে যে এটি তাদের জীবনে একটি আক্রমণ, বা এটি প্রশ্নবিদ্ধ, বা সন্দেহজনক, বা এটি এমন একটি সরকারের কাছ থেকে এসেছে যা তারা বিশ্বাস করে না। তবে এটি সহায়ক এবং কার্যকর হবে। তবে এর চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন হবে।

এমনকি এই মুহুর্তে, এমনকি এটি ইতিমধ্যেই মানব পরিবারের, সমগ্র বিশ্বের জাতির জন্য প্রচুর ক্ষতি সাধন করার পরেও, এমনকি এখন মানুষ সন্দিহান এবং দ্বিধাগ্রস্ত। তারা সত্যিই যথাযথভাবে সাড়া দিচ্ছে না। তারা মনে করে যে এটি একটি বৃহৎ দ্বিধা, একটি বিশাল উপদ্রব, যে এটি শীঘ্রই কেটে যাবে, এবং সবাই আবার ঘুমাতে যাবে, বা বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে, বা তারা আগে যা করছিল তা অর্থপূর্ণ হোক বা না হোক।

কিন্তু এটি পরিবর্তনের একটি বিশাল তরঙ্গ, বিশ্বের উপর একটি দুর্দান্ত তরঙ্গ. কারণ মানবতা প্রকৃতিকে এতটাই ব্যাহত করেছে যে এটি প্রকৃতিতে এমন উপাদান প্রকাশ করেছে যার সাথে এটির সরাসরি যোগাযোগ করা উচিত নয়, বিশ্বের লুকানো সম্পদ, পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ গুহা এবং এখন যে সমস্ত রোগ রয়েছে তার মধ্যে প্রবেশ করা এবং শোষণ করা, এবং সমস্ত রোগ যা এখন বিশাল আর্কটিক অঞ্চলে অনুবিদ্ধ করা আছে যা এই শতাব্দীতে এবং আগামী শতাব্দীতে মুক্তি পেতে পারে এমন একটি মানবতার কাছে আসতে পারে যার কোন প্রতিরোধ নেই।

অতএব, আপনাকে অবশ্যই এই জিনিসগুলির সম্মুখীন হতে হবে। ভান করা বন্ধ করুন। এটি কোথা থেকে এসেছে এবং কীভাবে এটি সমাধান করা হবে এবং কীভাবে এটি শীঘ্রই শেষ হবে সে সম্পর্কে নিজেকে গল্প বলা বন্ধ করুন এবং আপনার এটি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই কারণ আপনি সুস্থ, বা আপনি তরুণ, বা এরকম কিছু। নিজেকে প্রতারণা করা বন্ধ করুন। আপনি একটি বিশাল প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছেন, একটি প্রতিপক্ষ যা এখন আক্ষরিক অর্থে সর্বত্র রয়েছে। যেখানেই মানুষ কাজ করে এবং মিথস্ক্রিয়া করে, সেখানেই থাকবে। এটি সংক্রমণের প্রতিটি উপায় খুঁজে পাবে।

আপনি ঈশ্বরকে দোষারোপ করতে পারবেন না। এটি প্রকৃতির সাথে আপনার সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত – এমন একটি সম্পর্ক যা আপনি নষ্ট করেছেন, যেটিকে আপনি গুরুত্বের সাথে নেননি; একটি সম্পর্ক যা আপনি ভুলে গেছেন বা সংযুক্ত বোধ করেননি; একটি সম্পর্ক যা এটির সাথে মহান সুবিধা বহন করে কিন্তু মহান দায়িত্বও বহন করে; এমন একটি সম্পর্ক যার জন্য মহান সংযম, সতর্কতা এবং প্রজ্ঞার প্রয়োজন, যা মূলত বিশ্বের মানবতার শোষণের অভাব রয়েছে।

এর জন্য পরিণতি আছে। এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা নয়। এটি কেবল আপনার প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসের ফলাফল। সেখানে এমন কিছু শক্তি রয়েছে যেগুলির সাথে আপনি লড়াই করতে জানেন না, সম্ভবত অদৃশ্য, এমন কিছু যা আপনি কখনো ভাবতেও পারবেন না, এমন কিছু যা প্রাচীন জনগণ কখনই ভাবতে পারেনি। এটা রহস্যময় নয়। এটা অন্য কোনো গ্রহ বা বাস্তবের অন্য কোনো মাত্রা থেকে আসছে না। এটি জীবনের শারীরিক ফ্যাব্রিকের অংশ যেখানে আপনি বাস করেন, এই এক পৃথিবীতে বিচ্ছেদে বসবাস করেন।

ঘুরে দেখুন এবং আপনি দেখতে পাবেন কে সাড়া দিচ্ছে এবং কে নয়, কে দায়ী এবং কে নয়, কে সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং কে নয়, আজকে তারা কীসের মুখোমুখি হচ্ছে সে সম্পর্কে সত্যিই খুব কম লোকই শিক্ষিত হচ্ছে।

মানবজাতির ইতিহাসে বিশ্বে এটি ভয়াবহ উপায়ে ঘটেছে। এটি বিশ্বযুদ্ধের চেয়ে আরও বিধ্বংসী, মানবজাতির সময়ে এই গ্রহে আগে যা ঘটেছিল তার চেয়েও বেশি পরিণতিমূলক। তারপরও মানুষ এ বিষয়ে অজ্ঞ। তারা অতীত অধ্যয়ন করে না, তাই তারা ভবিষ্যতের জন্য বা এমনকি বর্তমান মুহুর্তের জন্যও প্রস্তুত নয়।

এর মোকাবিলা করার জন্য আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে। এটি আপনাকে শক্তিশালী করে তুলবে এর মুখোমুখি হতে। এটি তার সাথে গুরুতর অনিশ্চয়তা বহন করে। খুব শীঘ্রই এটা শেষ হচ্ছে না, তাহলে আপনি কি করতে যাচ্ছেন? আপনি আপনার জীবন এবং আচরণে কি ধরনের পরিবর্তন আনবেন? আপনার কি ধরনের ধারণা ত্যাগ করতে হবে, বা বিশ্বাস আপনার পরিত্যাগ করতে হবে? কীভাবে আপনি আপনার চিন্তাভাবনা এবং জীবনের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবেন?

আপনি এ থেকে পালাতে পারবেন না। এটি অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত আপনি কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। আপনি নিজেকে একটি ঘরে বন্দি করতে পারবেন না এবং আশা করবেন যে এটি আপনার কাছে পৌঁছাবে না।

আমরা আজ আপনাদের এই কথাগুলো বলছি কারণ পৃথিবীতে পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গ আসছে। আপনি এমন একটি পৃথিবীতে বাস করেন যা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আপনি পৃথিবীর জলবায়ু, বায়ুমণ্ডলের রসায়ন বদলে দিয়েছেন।

ধীরে ধীরে, ক্ষণে ক্ষণে, আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন না যদি না আপনি একটি খুব দূষিত স্থানে বসবাস করেন, কিন্তু আপনি বিশ্বের বায়ুমণ্ডল পরিবর্তন করছেন, এবং এর পরিণতি হবে মহামারীর চেয়েও বেশি।

পৃথিবীর সমগ্র অঞ্চল মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এবং তারা কোথায় যাবে? কে তাদের দেশে নিয়ে যাবে? কে সাড়া দেবে? আজকে আপনি এখানে যা মোকাবেলা করছেন তার চেয়ে এটি আরও বড় পরিণতি, বড় চ্যালেঞ্জ বহন করে।

একটি মহামারী, এটি যেমন মর্মান্তিক – এবং এটি দুর্দান্ত – কিন্তু পরিবর্তনের একটি বিশাল তরঙ্গ। এটি আপনাকে এর বাইরে কি ঘটবে তার জন্য প্রস্তুত করতে পারে, কিন্তু আপনি যদি প্রস্তুত না হতে পারেন, আপনি যদি প্রস্তুত না হন, আপনি যদি শিক্ষিত না হন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পারেন তবে ভবিষ্যতে আপনার ভাল ফল হবে না।

ঈশ্বর আপনাকে জ্ঞানের একটি বৃহত্তর শক্তি দিয়েছেন, আপনার মধ্যে একটি গভীর বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন, আপনাকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, আপনাকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য কোথায় যেতে হবে এবং কোথায় যেতে হবে না, কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না, কী ভাবতে হবে এবং কী ভাবতে হবে না। এভাবেই ঈশ্বর আপনাকে রক্ষা করবেন, আপনি বুঝতে পেরেছেন?

ঈশ্বর সবাইকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে পৃথিবীতে হস্তক্ষেপ করেন না। সেটা হলো মূর্খতা। ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং সাহায্যের অলৌকিক ঘটনা এই মুহূর্তে আপনার মধ্যে বাস করছে, আবিষ্কারের অপেক্ষায়। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের কত কম মানুষই এ কথা জানে। বিশ্বের ধর্মগুলিতে সত্যিই এটা জোর দেওয়া হয় না, যদিও এটা সেখানে শিক্ষার অংশ হিসাবে বিদ্যমান।

মানুষ ভেড়ার মত একে অপরকে অনুসরণ করে। শুধুমাত্র মানুষ তাই করে যা সবচেয়ে সহজ। মানুষ কতকগুলো জিনিসের সাথে মোকাবিলা করতে চায় না – তাদের স্বাস্থ্য, তাদের সম্পর্ক, তাদের কাজ, তাদের জীবনের মান, তারা নিজের এবং অন্যান্য লোকেদের জন্য কি করছে। অনেক আত্মতুষ্টি, অনেক অস্বীকার।

এবং তারপরে আপনার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষ রয়েছে যারা আক্ষরিক অর্থে তাদের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর মাত্রার কিছু করতে পারে না – প্রতিদিন শুধু দুর্দান্ত কষ্ট এবং বঞ্চনার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে।

সত্য জানতে, প্রথমে আপনাকে সত্যের মুখোমুখি হতে হবে, আপনার পরিস্থিতির সত্যতা, ব্যক্তিগতভাবে- আপনার জীবন, আপনার স্বাস্থ্য, আপনার মঙ্গল, আপনার স্থিতিশীলতা এবং সমস্ত কারণ যা এটিকে সমর্থন করে বা ক্ষুন্ন করে, আপনার সম্পর্কের গুণগত মান, কারণ আপনার জীবনে কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা সবাই আপনার উপর ভাল বা খারাপের জন্য প্রভাব ফেলছে। আপনি কিছু ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না, কারণ যখন সেগুলি হবে, আপনি কষ্ট পাবেন। এবং আপনি প্রতিক্রিয়া জানাতে শক্তিহীন হবেন।

মানবতার জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। এটা হয়ে গেছে—তার সম্পদের সাথে, এমন সম্পদ যা পৃথিবীতে অপেক্ষাকৃত কম লোকেরই আছে—এটা অলস হয়ে গেছে। এটি বিশ্ব, প্রকৃতির প্রতি প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে উঠেছে – তাদের চারপাশের প্রকৃতির প্রতি এবং এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যে তাদের গভীর প্রকৃতির প্রতি, যা ঈশ্বর সেখানে যে জ্ঞান স্থাপন করেছেন তার বাস্তবতা।

এ নিয়ে আর কিছু কল্পনা না থাক। এ ব্যাপারে যেন কোন অস্বীকার না হয়। মনে করবেন না যে আপনি এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে, সচেতনভাবে এবং একটি সংকল্পবদ্ধ উপায়ে ভাল করবেন – শুধু এখানে এবং সেখানে মুহূর্তের জন্য নয়, তবে একটি টেকসই উপায়ে।

আপনি একটি আরো কঠিন এবং বিপজ্জনক বিশ্বে বসবাস করতে চলেছেন. আপনি যদি বেঁচে থাকতে চান এবং কোন প্রকৃত অর্থ এবং মূল্যবোধের কল্যাণ পেতে চান তবে আপনি এর মুখে বোকা বানাতে পারবেন না।

এটাই বাস্তবতা যার মাঝে আপনি বসবাস করেন। আপনি এটাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবেন না। মানবতা তাদের চারপাশের অনেক সম্পদ এবং প্রকৃতির স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করেছে বলে আগে যা তৈরি করা হয়েছে তারই পরিস্থিতি। এখন আপনাকে অবশ্যই অতীতের পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে, আপনার সন্তান হিসাবে এবং আপনি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বর্তমানের পরিণতির মুখোমুখি হবেন।

এটি একটি উপহার, যা আমরা আজ এখানে আপনাকে বলছি। আপনি যা শুনতে চান তা নয়, তবে এটি আপনাকে রক্ষা করবে। আপনি যা পছন্দ করেন তা নয়, তবে আপনি যা পছন্দ করেন তা আপনাকে দুর্বল এবং প্রতিক্রিয়াহীন করে তুলবে এবং ভবিষ্যতের জন্য আপনার মঙ্গল এবং কল্যাণ নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দেবে।

মানুষ যা চায় সে সম্পর্কে খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে পারে, কিন্তু আপনি যা চান না তার মুখোমুখি হতে হয়। এটাই বাস্তবতা। আপনাকে বাস্তবতার সাথে পুনরায় যুক্ত হতে হবে – আপনি যেভাবে এটি হতে চান বা এটি হওয়ার আশা করেন বা এটি হওয়ার জন্য জোর দিয়ে থাকেন তেমনটি নয়, কিন্তু এটা সত্যই যেমন ঠিক তেমনই।

এখানে কোনো ষড়যন্ত্র নেই। জীবনের সাথে শুধুমাত্র বাস্তব মিথষ্ক্রিয়া আছে, যা সত্যিই ঘটছে। এটাই বাস্তবতা যার সাথে আপনাকে জড়িত থাকতে হবে। এর কিছুটা আশাব্যঞ্জক হবে। এর কিছু কিছু আশাব্যঞ্জক হবে না। এর কিছু আশ্বস্ত হবে। এর কিছু কিছু বেশ বিরক্তিকর হবে। আপনাকে এসবের সম্মুখীন হতে হবে।

অন্য মানুষ এটির মুখোমুখি হওয়ার দাবি করবেন না। আশা করবেন না যে অন্য মানুষ এটির মুখোমুখি হবে। আপনাকে প্রথমে এটির মুখোমুখি হতে হবে। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে জীবন আপনার জন্য কঠোর হবে এবং আপনি এর প্রেক্ষিতে এবং এর প্রকাশে অসহায় বোধ করবেন।

এটি মানুষের জন্য একটি মহান জাগরণের আহ্বান। আপনি এখন সুখের এবং সমস্ত বিস্ময়কর জিনিস যা আপনি হতে চলেছেন, করতে চলেছেন এবং যা আছে তা নিয়ে আর স্বপ্ন দেখা যাবে না। পরিবর্তিত ভূদৃশ্যের প্রতি আপনাকে সাড়া দিতেই হবে।

যখন আপনার পরিবেশ পরিবর্তিত হয়, সবকিছু বদলে যায়। যখন আপনার জলবায়ু পরিবর্তন হয়, সবকিছু বদলে যায়। যখন আপনার সম্পদ নিঃশেষিত হয়ে যায়, সবকিছু বদলে যায়।

যারা এটি দেখতে এবং এর মুখোমুখি হতে পারবে তারা গঠনমূলক উপায়ে প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় খুঁজে পাবে, কেবল নিজেদেরকে শক্তিশালী করার জন্য নয়, নিজেদেরকে এমন একটি অবস্থানে রাখতে পারবে যেখানে তারা অন্যদের সেবা করার জন্য যথেষ্ট স্থিতিশীল হতে পারে। এটাই এখানে লক্ষ্য। আপনি কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারবেন না এবং নিজের চারপাশে একটি দুর্গ তৈরি করতে পারবেন না, কারণ ভবিষ্যতে এটির কোনও সুরক্ষা নেই।

আমি আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা আপনার ব্যক্তিত্বের কথা বলছি না। আমি আপনার একটি গভীর অংশের সাথে কথা বলছি যারা সাড়া জানাতে পারে এবং যদি আপনি এটির অনুমতি দেন তবে সাড়া দিবেন। এজন্যই তো আপনি এসেছেন।

সুখ এবং কল্পনার পিছনে ছুটে আপনি কখনই আপনার জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পাবেন না। বাস্তব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মাধ্যমেই আপনাকে ডিজাইন করা হয়েছে এবং মোকাবেলা করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে যা আপনাকে সত্যিকার অর্থে পুনরুদ্ধার করবে এবং আপনাকে উদ্দেশ্য ও অর্থপূর্ণ জীবন এবং বৃহত্তর দিকনির্দেশনা দেবে।

আপনি তর্ক করতে পারেন। আপনি বিতর্ক করতে পারেন। আপনি যে কোন কিছু বিশ্বাস করতে পারেন। কিন্তু একমাত্র বিষয় হল যে আপনি বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারেন এবং তার সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং সেখানে সেবা ও অবদানের শক্তিতে পরিণত হতে পারেন।

ভবিষ্যতের চাহিদা এতটাই প্রাধান্য পাবে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এখন আপনি প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করছেন। এটি এমন একটি যুদ্ধ নয় যে প্রকৃতির উদ্দেশ্য ছিল। এটি এমন একটি যুদ্ধ যা আপনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং গতিশীল করেছেন – আপনি এবং আপনার আগে যারা এসেছেন, বিশ্বকে একটি অন্তহীন কূপ, সুবিধা এবং সম্পদের পরিপূর্ণ ভাণ্ডার ভেবেছিলেন।

কিন্তু আফসোস আপনি জমাজমি শেষ করেছেন, বাতাস ও জলকে দূষিত করেছেন এবং মাটিকে ক্ষয় করেছেন। এই জিনিসগুলিকে সংশোধন করতে সক্ষম হতে সময়ের সাথে সাথে টিকে থাকা একটি অপরিসীম মানব সহযোগিতা এবং প্রচেষ্টা লাগবে। আর সেটা অন্য কারোর করার নয়। আপনি এই সবকিছুর মধ্যে কিছু অংশে ভূমিকা পালন করবেন, আপনি বুঝতে পারলেন, আপনার দক্ষতা এবং আপনার স্বাভাবিক প্রবণতার উপর ভিত্তি করে।

ইতিমধ্যে পৃথিবী আরও কঠিন হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিপর্যয়গুলি আবার ক্রমবর্ধমান পুনরাবৃত্তি এবং শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মকতায় পুনরায় ঘটছে। ইতিমধ্যেই মহামারী মানব সমাজের সুদূর প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনি পালিয়ে বা লুকিয়ে এটি থামাতে পারবেন না।

এটি মোকাবেলা করা যেতে পারে, কিন্তু লোকেদের সত্যিই অংশগ্রহণ করতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা, এমন কিছু নয় যা আপনি কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য করতে ইচ্ছুক। এটি একটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা. এবং এটি মানুষকে একত্রিত করতে পারে এবং মানুষকে শক্তিশালী করতে পারে এবং তাদের মতপার্থক্য এবং তাদের আদর্শবাদ এবং তাদের অনুপ্রেরণা এবং তাদের মতাদর্শগুলিকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করতে পারে যা বিশ্বের সীমাহীন সংঘাত ও বিভেদ সৃষ্টি করে।

মহামারী এখন আপনার প্রশিক্ষণ। প্রথমত, নিজেকে রক্ষা করুন, হয় টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বা অন্য কোনও উপায়ে যদি এটি কার্যকর হয় তবে আপনাকে অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করতে হবে, কারণ এটি হয় আপনাকে হত্যা করতে পারে বা এটি আপনাকে জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিতে পারে। এবং এটি পুনরায় ঘটতে পারে কারণ এমনকি টিকা দেওয়ার পরেও, যদি এটি বজায় না থাকে তবে এটি পুনরায় ঘটতে পারে। এই সমস্যা কত বড়, আপনি দেখুন।

আপনাকে শুধু একমত হতে হবে না। শুধু এটার চারপাশে হাঁটুন। এটা বিবেচনা করুন। এটা চিন্তা করুন। দেখুন আপনি কোথায় দুর্বল এবং কোথায় আপনি শক্তিশালী। আপনি কোথায় হাল ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আপনি আগে কীভাবে হাল ছেড়ে দিয়েছেন তা দেখুন। এবং তারপরে বার বার মনে করুন আপনি এমন কিছু করেছিলেন যা শক্তিশালী এবং চাহিদাপূর্ণ এবং কঠিন ছিল। আপনি এখন আরও কঠিন পৃথিবীতে বাস করতে যাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি দুর্বল এবং ভঙ্গুর এবং বোকা হতে পারবেন না।

ঈশ্বরের ইচ্ছা হল মানবতা প্রস্তুত হবে, এবং এই মহামারী প্রস্তুতির অংশ হবে। আপনি এখানে পৃথিবীতে বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং পৃথিবীর বাইরে থেকে এমন জাতিদের থেকে গুরুতর বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন যারা এই পৃথিবীকে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইবে কারণ মানবতা হ্রাস পাচ্ছে এবং তার নিজের অসুবিধাগুলির সাথে লড়াই করছে।

এটি নির্দিষ্ট কিছু লোকের দ্বারা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটা সেই মহান সময়ের অংশ যার জন্য আপনি এসেছেন। এবং আপনি এখানে এসেছেন স্বর্গ থেকে প্রেরিত একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এই পৃথিবীতে একটি পার্থক্য করার জন্য যা আপনি বরং এড়িয়ে যাবেন অথবা অস্বীকার করবেন।

এটি আপনার বৃহত্তর জীবন, কেবল দুর্বল এবং অগভীর এবং অযোগ্য হওয়া নয়। কিছু লোক সেই পথটি বেছে নেবে, এবং ইতিমধ্যেই এটি বেছে নিয়েছে। এটি যেন আপনার সিদ্ধান্ত না হয়, কারণ তাদের জন্য ফলাফল অবশ্যই অনুকূল হবে না।

প্রকৃতি অপ্রস্তুতদের প্রতি নির্দয়। এবং আপনি এখন প্রকৃতির সাথে আচরণ করছেন। ঈশ্বর দেখছেন আপনি কি করবেন, কারণ ঈশ্বর ইতিমধ্যেই প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, আবিষ্কারের অপেক্ষায়। যদি তারা এটি ব্যবহার না করে, যদি তারা এটি সম্পর্কে সচেতন না হয়, যদি তারা এটি অনুসরণ না করে, তবে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে – দৈহিক জীবনে বেঁচে থাকার অসুবিধা, আপনার উত্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেঁচে থাকার বড় ট্র্যাজেডি। একটি অস্থায়ী শারীরিক বাস্তবতায় যা বিপত্তি, পরিবর্তন এবং অনিশ্চয়তায় পূর্ণ।

আপনি অন্যদের সাহায্য করার আগে, আপনাকে অবশ্যই আপনার জীবনকে স্থিতিশীল করতে হবে, একটি অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল বিশ্বে, একটি কার্যত অস্থিতিশীল বিশ্বে বসবাসের জন্য আপনার জীবনকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য, আপনার সংকল্পকে শক্তিশালী করতে হবে এবং শুধুমাত্র এমন লোকদের সাথেই মেলামেশা করতে হবে যারা আপনার মধ্যে এটিকে সমর্থন করতে পারে। যারা দুর্বল তাদের সেবা করুন, হ্যাঁ, কিন্তু তারা আপনার সঙ্গী হওয়া উচিত নয়।

এটি একটি মহান প্রজ্ঞা যা আমরা আজ এখানে আপনার জন্য উপস্থাপন করছি। আপনি যদি এটিকে অবহেলা করেন, বা অসম্মত হন, বা এটিকে এড়িয়ে যান, বা এটিকে প্রতিহত করেন, তবে আপনি কেবল আপনার জীবনের বৃহত্তর সম্ভাবনার দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারন, মহত্ত্ব কেবল মহান দূরদর্শিতা এবং কাল্পনিক ধারণা থাকা নয়, এটি বাস্তব ঘটনাগুলি পূরণের পণ্য, চাপের মধ্যে দুর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করে। এটিই প্রচেষ্টার সমস্ত ক্ষেত্রে মহান পুরুষ এবং নারীদেরকে জাগিয়ে তোলে।

আপনি যদি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থাকতে চান তবে আপনি কোথাও লুকিয়ে যাবেন, এবং পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে। এবং আপনি খুব অল্প স্বস্তির নিয়ে এর জন্য আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে উঠবেন।

আপনি নিজের মধ্যে জ্ঞান নিয়ে জন্মেছেন। এটা ঈশ্বরের সাথে আপনার সংযোগ। ঈশ্বরের সাথে আপনার সংযোগ গড়ে তুলুন। কিন্তু তা করার জন্য, আপনাকে সাহায্য করার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন, কারণ আপনি জানেন না জ্ঞান কী। আপনি মনে করেন এটি আপনার ধারণা বা আপনার আবেগ বা আপনার অনুভূতি। আপনি মনে করতে পারেন এটি আপনার দৃঢ় এবং স্থির বিশ্বাস। কিন্তু আমরা আজ এখানে যে জ্ঞানের কথা বলছি তা নয়।

আপনাকে জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ নিতে হবে, যা ঈশ্বর এখন বিশ্বকে প্রদান করেছেন দুর্দান্ত মহামারী এবং পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গের মুখে যা এখন দিগন্তে তৈরি হচ্ছে, যার কিছু আপনি দেখতে পাচ্ছেন এবং কিছু আপনি এখনও দেখতে পাচ্ছেন না। তারা সবাই সেখানে তৈরি করছে।

সমস্ত পরিস্থিতিতে আরামদায়ক এবং সুখী হওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ আপনার বৃহওর কাজ করতে হবে, সম্পাদন করার জন্য দুর্দান্ত শক্তিশালী এবং আপনার চিন্তাভাবনা, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আপনার আচরণে বিরাট পরিবর্তন আনতে হবে।

সবাই এটা করবে না, তা তো অবশ্যই, কিন্তু সবাই পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে না। সবাই জ্ঞানের সাথে জড়িত হবে না, কিন্তু প্রত্যেকেরই সামনের কঠিন সময়ে অতিক্রম করার শক্তি এবং সাহস থাকবে না।

আপনার মনে নেই, কিন্তু আপনি এই পৃথিবীতে আসার আগে একটি চুক্তি করেছিলেন যে কিছু কিছু জিনিস ছিল যা আপনি খুব কঠিন পরিস্থিতিতে সম্পাদন করার চেষ্টা করবেন। এটাই আপনার সামনের রাস্তা। এটিই আপনাকে শক্তি, সাহস, আত্মসম্মান এবং আত্ম-গ্রহণযোগ্যতা যোগাবে। অন্য যেকোনো কিছু এই জিনিসগুলিকে আপনার কাছ থেকে কেড়ে নেবে, নিশ্চিতভাবে।

যেমন আপনি আপনার চারপাশে দেখতে পাচ্ছেন যে লোকেরা কল্পনা বা আনন্দ বা আরামের পিছনে চেষ্টা করছে এবং তারা সত্যিই কতটা অসুখী এবং হারিয়ে গেছে এবং বিভ্রান্ত।

ঈশ্বর চান আপনি সফল হন, কিন্তু সফল হতে আপনাকে সাহসী ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। আপনি নিজে এটি তৈরি করতে পারবেন না। আপনার মহান সহায়তার প্রয়োজন, যা সমস্ত জীবনের উত্স এখন বিশ্বের জন্য একটি নতুন বাণীর মাধ্যমে আপনার জন্য সরবরাহ করেছে, কারণ অন্য কোন কিছুই আপনাকে সত্যিকারভাবে রক্ষা করতে পারবে না।

যীশুতে বিশ্বাস করা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং কোন সংযুক্তি না থাকা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, কেননা আপনি সেজন্য এই পৃথিবীতে আসেননি। শুধুমাত্র ধর্মের নির্দেশ অনুসরণ করা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না, কারণ সেগুলি প্রাচীনকালে দেওয়া হয়েছিল এবং এখন আপনার জীবন এবং আপনার সামনের জীবনকে সত্যিই সাড়া দিতে পারবে না।

ঈশ্বর এটা অবশ্যই জানেন, কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত। এই বিভ্রান্তির মধ্য দিয়েই আপনাকে এখন পাশ কাটিয়ে যেতে হবে এবং এর শিকার বা এটির অনুগামী হতে হবে না। এটি মেঘ এবং কুয়াশার মতো যা আপনাকে কোথায় যেতে হবে এবং আপনাকে কী করতে হবে তা দেখা থেকে বিরত রাখে – আপনার মনকে বিভ্রান্ত করা, আপনার জীবনকে ভরিয়ে দেওয়া, সম্ভবত অন্যদের সাথে আপনার মেলামেশাকে আধিপত্য করা।

এই হল সামনে এগিয়ে চলার মহান পথ। এটি একটি আনন্দদায়ক জীবন নয় বরং একটি চ্যালেঞ্জিং জীবনের দিকে পরিচালিত করে। এটি অফুরন্ত সুখের দিকে নিয়ে যায় না বরং মহান সংকল্প, মহান সেবা এবং বৃহত্তর পুরস্কারের দিকে নিয়ে যায়। আপনি অগত্যা যা চান তা নয়, তবে এটি আপনি যা জানেন তাই কারণ ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, এবং আপনার সেই অংশটি জানে যে আমরা আজ এখানে কি কথা বলছি এবং আপনি যদি এই জ্ঞানটি নিজের মধ্যে অনুভব করতে সক্ষম হন তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনুরণিত হবে।

পৃথিবী যতই কঠিন এবং বিপজ্জনক এবং অনিশ্চিত হোক না কেন, আশীর্বাদ আপনার মধ্যেই রয়েছে। ঈশ্বর আপনাকে ইতিমধ্যেই উপহার দিয়েছেন। আপনি যদি এটি আবিষ্কার করতে শিখেন, এটির সাথে নিজেকে সারিবদ্ধ করুন এবং অনুসরণ করুন, আপনি দেখতে পাবেন এর অর্থ কী। তার আগে, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। এতে আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। আপনাকে বাস্তব পরিস্থিতি এবং বাস্তব চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে আপনার কাছে নিজেকে প্রমাণ করার অনুমতি দিতে হবে।

আশীর্বাদ প্রতিদিন আপনার সাথে যায়, কারণ আপনার কিছু অংশ এখনও আপনার উত্সের সাথে সংযুক্ত। এটি আপনার সেই অংশ নয় যার একটি নামের ট্যাগ রয়েছে এবং এখানে সমাজের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে আপনার গভীরতর উপাদান যা স্থায়ী এবং এটি একটি মহৎ উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে রয়েছে, যা আজকে অবশ্যই আবিষ্কার এবং গ্রহণ করা উচিত।

কিভাবে বসবাস করতে হবে

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
২৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

আমূল পরিবর্তিত বিশ্বে, হ্রাসকারী সম্পদ এবং পরিবেশ ধ্বংসের সম্ভাবনার মুখোমুখি হয়ে, প্রশ্নটি অবশ্যই উঠা উচিৎ: কীভাবে একজন নৈতিকভাবে বসবাস করতে পারে? আপনার নিজের নৈতিকতা এবং আদর্শের মধ্যে পার্থক্য এবং পৃথিবীতে আপনি যেভাবে আচরণ করেন তার মধ্যে পার্থক্য উপলব্ধি করা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। লোকেরা প্রায়শই এখানে গুরুতর আপোষ করে বা কোন কোন ক্ষেত্রে, বিশ্বের উপর তাদের কর্মের পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে।

যদিও তারা মানুষের স্বাধীনতার মূল্য দেয়, উদাহরণস্বরূপ, তারা এমন পণ্য বা পরিষেবা ক্রয় করতে পারে যা অন্যান্য দেশে মানুষের দাসত্ব সৃষ্টি করে – এমন শর্তাবলী, যদি তারা সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী হত, তাহলে তাদের জন্য তা ভীতিকর ছিল। এবং তবুও এই শর্তগুলি তাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি দ্বারা সমর্থিত এবং উত্সাহিত হয়।

এর জন্য একটি বিবেকের প্রয়োজন যা বেশিরভাগ লোকেরা নিজেদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে তার বাইরে। এর মানে হল যে আপনি কিভাবে বসবাস করেন তা আপনার মূল মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এবং এর অর্থ এটাও যে আপনার মূল মূল্যবোধ ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে গভীর বিবেক রেখেছেন তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

এই গভীর বিবেক আপনার সামাজিক বিবেক নয়। এটা এমন নয় – আপনাকে যা বিশ্বাস করতে শেখানো হয়েছে, বা আপনাকে যা করতে হবে, অথবা সমাজ যা সঠিক এবং ভুল বলে, উপযুক্ত বা অনুচিত বলে। আপনার মৌলিক বিবেক এর থেকেও গভীর। এটি আপনার এবং সমস্ত সংবেদনশীল প্রাণীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই পৃথিবীতে এবং অন্যান্য জগতেও, এই গভীর বিবেক অচেনা হয়ে যেতে পারে। সামাজিক অবস্থাসমুহ এটিকে কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে এবং কী সঠিক এবং সৃজনশীল এবং উপকারী, এবং কী নয় তার জন্য নির্দেশিকাসমুহ প্রতিষ্ঠার মানদণ্ড হিসাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে।

সমাজের বিবেক খুবই আপোষহীন। এটি উচ্চ মান ধারণ করতে পারে, কিন্তু এটি অত্যন্ত নৈতিক আচরণের উপর জোর দেয় না। এটি নৈতিক উচ্চ স্থানের দাবি করতে পারে, কিন্তু একবার আপনি এর প্রয়োগ বিবেচনা করতে শুরু করলে, এটি আপোষ এবং সমঝোতা দ্বারা পরিপূর্ণ।

ঈশ্বর আপনার মধ্যে একটি গভীর বিবেক স্থাপন করেছেন, জ্ঞান নামে একটি বিবেক। এটা কোনটা সঠিক এবং ভুল তার জ্ঞান। এমনকি যদি বুদ্ধিগতভাবে আপনি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে অচলাবস্থার মধ্যে থাকেন, তা সঠিক বা ভুল হোক, একটি গভীর স্তরে আপনি সত্যটি সনাক্ত করতে পারেন। আপনি আপনার বুদ্ধির মধ্যে একটি বিভ্রান্তি অনুভব করতে পারেন কারণ ধারণাসমুহ আপনার মনের পৃষ্ঠায় সংঘর্ষ করে এবং মূল্যসমুহ সংঘর্ষ করে, কিন্তু আপনার মনের পৃষ্ঠের নীচে আরও গভীরে ঈশ্বরের গভীর বিবেক। এখানে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে – এমনকি যদি এটি ব্যয়বহুলও হয়, এমনকি যদি এটি এই মুহূর্তে অসুবিধাও সৃষ্টি করে, এমনকি যদি এটি আপনাকে অন্যদের কাছ থেকে সুযোগ বা অনুমোদন থেকে বঞ্চিত করে বলেও মনে হয়।

এই গভীর জ্ঞান যা ঈশ্বর আপনার মধ্যে রেখেছেন তা সম্পূর্ণ নৈতিক এবং ন্যায়সঙ্গত, তবে মহান স্তরে। এটা আপোষহীন। এটা শক্তিশালী। এবং যারা সাড়া দিতে পারে তারা শেষ পর্যন্ত মহান মানবতাবাদী এবং মহান উদ্ভাবক হয়। তারা মানবতাকে উচ্চতর মানদণ্ডে ধারণ করে। তারা অন্যায় প্রকাশ করে। তারা বৃহত্তর নৈতিক ও নাগরিক দায়িত্বের কথা বলে। অন্যরা যখন দ্বন্দ্ব এবং সমঝোতার জীবনে পড়ে, তারা উচ্চতর মান ধরে রাখে। এই ব্যক্তিরা প্রায়শই তাদের নিজের জীবনে অপমানিত এবং প্রত্যাখ্যাত হয় এবং কখনও কখনও তারা মারা যাওয়ার পরে সুপ্রসিদ্ধ হয়, যখন তারা আর একটি সামাজিক সমস্যা, বিরক্তিকর নয়।

এখানে সামগ্রিকভাবে মানবতা আপোষ এবং অজ্ঞতার দিকে পরিচালিত হয়, সমঝোধার মাধ্যমে এবং প্রায়ই দারিদ্র্যকে পিষে ফেলে যা মানুষকে এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য করে যা অত্যন্ত কঠিন এবং অমানবিক। এটি অবহেলা, অজ্ঞতা, পছন্দ বা পরিস্থিতি দ্বারা হোক না কেন, মানবতা উচ্চ নৈতিক স্তরে কাজ করে না।

কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার গ্রুপের মানদণ্ড অনুসরণ করা উচিত। প্রশ্নের জন্য, “আপনি কীভাবে নৈতিকভাবে বিশ্বে বসবাস করতে পারেন?” ব্যক্তির জন্য একটি প্রশ্ন। অন্য সবাই যা করতে পছন্দ করে তা আপনার মানকে উপস্থাপন করা উচিত নয়, নতুবা আপনি ত্রুটির সাথে যুক্ত হবেন। মনে করবেন না যে সমঝোতার জীবন ন্যায়সঙ্গত যেহেতু অন্য সবাই এটি করছে।

লোকেরা এই ভুলটি তাদের নিজের বিবেক থেকে এক ধরণের পালানোর জন্য করে, অথবা তারা তাদের আচরণকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে প্রয়োজনীয়তা বা ব্যবহারিকতাকে উদ্ধৃত করে। অথবা তারা বলে এটা স্বাভাবিক। তাদের আবেগ স্বাভাবিক। তবে আপনি এটি যুদ্ধ এবং হত্যা এবং চুরির ন্যায্যতার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। ঔতিহাসিক বা জৈবিক নজির দাবি করে, আপনি এমনকি সবচেয়ে জঘন্য কাজগুলিকেও ন্যায্যতা দিতে পারেন।

আপনি আপনার বুদ্ধিকে বোঝাতে পারেন, যা অত্যন্ত সামাজিক চাপের অধীন। আপনার মতাদর্শ এই সমঝোতাগুলিকে সামঞ্জস্য করতে পারে কারণ আপনার আদর্শ আপনার সামাজিক অবস্থার দ্বারা এতটাই নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু একটি গভীর স্তরে, আপনি এই জিনিসগুলিকে সমর্থন করতে পারেন না।

আপনার মধ্যে জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতির মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাকে মুক্ত করেন। এটিই আপনাকে আপনার জীবন পুনরুদ্ধার করতে, নিজেকে একটি বৃহত্তর এবং উচ্চতর মান ধরে রাখার দিকে পরিচালিত করে। এটি আপনাকে আপনার ক্রমাগত অভিযোগ এবং অন্যের নিন্দা বন্ধ করতে পরিচালিত করে। এটিই আপনাকে মানবতা এবং বিশ্বকে বৃহত্তর সেবা প্রদানের পথ দেখায়।

আপনার মধ্যে জ্ঞানের একটি উচ্চ মান আছে। এটি বিশ্ব দ্বারা দূষিত হয়নি। এটি জনগণের সর্বসম্মতি বা রাজনৈতিক অভিযোজন বা সামাজিক অভিযোজন দ্বারা আপোস করা হয়নি। এটি আপনার মধ্যে বিশুদ্ধ থাকে, এবং এই কারণেই এটি আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশ। এটি আপনার সবচেয়ে নৈতিক অংশ। এটি আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ। আপনি যে কোন সংখ্যক বিভিন্ন সামাজিক প্ররোচনা বা ব্যক্তিগত প্রলোভনকে স্বীকার করতে পারেন, কিন্তু আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞানকে প্ররোচিত বা প্রলুব্ধ করা সম্ভব নয়।

আপনি এই গভীর জ্ঞানের যত কাছাকাছি আসবেন, ততই আপনি আপনার জীবনে তার উপস্থিতি অনুভব করবেন, ততক্ষণ আপনি এমন কিছু সম্পর্কে সংযমের অনুভূতি অনুভব করবেন যা এই মুহুর্তে খুব আকর্ষণীয় বলে মনে হয় এবং আপনি একটি কিছু জিনিস করতে আপনাকে অনুপ্রাণিত বোধ করবেন, নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়া এবং নির্দিষ্ট মানুষের সাথে দেখা করা।

এটি আপনার বুদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। এটি অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ এটি আপোস করা হয়নি, এবং এটি সামাজিক অবস্থার এবং সামাজিক অভিযোজনের একটি পণ্য নয়।

লোকেরা প্রায়শই প্রচণ্ড বিভ্রান্তি বা হতাশার সময়ে জ্ঞানের কাছে আসে যখন তারা নিজের মধ্যে একটি গভীর কর্তৃত্বের সন্ধান করে, যখন তারা আরও আত্ম-সৎ হওয়ার চেষ্টা করে-পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে এবং মানুষের সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যের মুখোমুখি হতে। এই মুহুর্তগুলি তাদের গভীর বিবেকের সাথে জড়িত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই বিবেক নিছক একটি পথপ্রদর্শক বা সমন্বয় বা সীমানার একটি সেট নয়; এটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান। এটির একটি ইচ্ছা এবং একটি উদ্দেশ্য এবং বিশ্বে এটির একটি নিয়তি রয়েছে।

এখানে আপনি নিজেকে কি বলে মনে করেন তা নির্বিশেষে এবং আপনার পরিস্থিতি এবং আপনার আপোষ নির্বিশেষে, আপনাকে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র আপনার ভিতরের জ্ঞান জানে এই বৃহত্তর উদ্দেশ্য কি। এটা আপনার বুদ্ধির নাগালের বাইরে। এই মুহুর্তেও এটি আপনার মধ্যে বাস করছে।

আপনি যখন ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ গুলি নিতে শিখবেন, আপনি আপনার জীবনে এই গভীর আন্দোলন এবং দিকনির্দেশ অনুভব করতে শুরু করবেন। এটি আপনার নৈতিক পরিধি তৈরি করবে যা আপনাকে আপনার শক্তি খুঁজে পেতে, আপনার জীবনকে ভারসাম্য এবং সম্প্রীতির মধ্যে আনতে এবং একটি নতুন পথ এবং একটি নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে। এই বৃহত্তর দিকে যাওয়ার জন্য আপনার এখন আপনার সমস্ত শক্তির প্রয়োজন হবে। আপনার সমস্ত আপোষ আপনার শক্তিকে রক্তাক্ত করছে, আপনার আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিসাধন করছে এবং ক্ষয় করছে, উদ্দেশ্য এবং ভাগ্যের অনুভূতিকে ক্ষতিসাধন করছে এবং ক্ষয় করছে।

মানুষ যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন তাদের কোন দিক নির্দেশনা থাকে না। তারা দাবি করে কোন উচ্চ কর্তৃপক্ষ নেই। তারা নিজেদের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা হাল ছেড়ে দিয়েছে। তারা কোন উপায় দেখে না, এবং তাদের এমন একটি পথ অনুসরণ করার শক্তি নেই যা তাদেরকে তাদের দ্বিধা থেকে বের করে আনবে।

জ্ঞান আপনার জীবন এবং আপনার ক্রিয়াকলাপ এবং আপনার জড়িতদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সরবরাহ করবে। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যা প্রত্যেকের অবশ্যই জানা উচিত যা আপনাকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজের মধ্যে জ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে খুব স্পষ্ট ধারণা দেবে।

আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে পারি কারণ আপনার মধ্যে জ্ঞান আপনার ব্যক্তিগত সৃষ্টি নয়। “আপনার জ্ঞান” এবং “আমাদের জ্ঞান” বা “তাদের জ্ঞান” এমন কিছু নেই। এটি সবার জন্য একই মান। এটি একই উত্স থেকে জন্মগ্রহণ করে। প্রতিটি ব্যক্তির বিশ্বে একটি অনন্য অবদান আছে এবং একটি অনন্য ডিজাইন এবং ফাংশন যা তাদের এই অবদান রাখতে সক্ষম করবে, কিন্তু মনে করবেন না যে এর মান এবং জ্ঞানের প্রজ্ঞা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন। আপনার নিজের ব্যক্তিগত বিচ্ছেদকে এই বলে রক্ষা করবেন না, “আচ্ছা, আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে আমার মধ্যে থাকা জ্ঞান কী বলবে?” আমরা এটা বলতে পারি কারণ আমরা জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত।

যখন মানুষ জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত হয়, তারা একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করে। তাদের এখনও বিভিন্ন ধারণা এবং সম্ভবত ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু তারা একই শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় যা একই উৎস থেকে আসে। এটি এমন গাছের মতো যা একই মূল থেকে জন্মায়। এগুলি ভূপৃষ্ঠে ভিন্ন দেখায়, তবে ভূগর্ভে এগুলি সমস্ত সংযুক্ত।

তাই এখানে কিছু সাধারণ নির্দেশিকা আছে। প্রথমে, ধরে নিন যে পৃথিবী একটি পবিত্র স্থান কারণ আপনি একটি পবিত্র উদ্দেশ্যে এসেছেন। পৃথিবী, এমনকি প্রাকৃতিক পৃথিবী, সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতায় পূর্ণ এবং এটি মনুষ্য পরিবেশ হিসেবে অবশ্যই সত্য এটি অধপতন এবং আপোষ এবং নিপীড়নে পূর্ণ। কিন্তু আপনি এখনও একটি পবিত্র প্রচেষ্টা হিসাবে বিশ্বের মধ্যে অটল। এখানে আপনি যা কিছু করেন এবং যা কিছু আপনি বিনিময় করেন এবং আপনার সমস্ত ক্রিয়াকলাপকে অবশ্যই দেখতে হবে যে তারা মানুষের কল্যাণ এবং বিশ্বের কল্যাণকে সমর্থন করে কিনা।

এখানে আপনার মন অনেক অজুহাত ও আপোষ করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনার গভীর বিবেক জানতে পারবে। মনে করবেন না যে আপনি বিদেশে লোকদের কর্মসংস্থান দিয়ে উপকৃত করছেন যদি তাদের উপ-মানবিক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বা যদি তাদের কাজ তাদের পরিবেশকে নষ্ট করে, তাহলে তাদের ভবিষ্যত কল্যাণ এবং বেঁচে থাকার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে। আপনি একজন ভোক্তা হিসাবে আপনার কাজের মাধ্যমে আপনার নৈতিকতা প্রয়োগ করেন কারণ এটি আপনার জীবনে অংশগ্রহণের একটি বড় অংশ।-

আপনি যেভাবে জীবনযাপন করেন এবং যেভাবে ভ্রমণ করেন তা দেখুন এবং আপনি কীভাবে সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারেন তা দেখুন। এটি শুধুমাত্র বিশ্বে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য নয়, ভবিষ্যতে আপনাকে আরও স্থিতিশীলতা দেওয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় হবে যখন অপরিহার্য সম্পদগুলি আরও অপর্যাপ্ত এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। মনে করবেন না যে আপনি যদি এনার্জি এবং সম্পদের একজন রাক্ষুসে ভোক্তা হন তাহলে আপনি বিশ্বে শান্তির প্রচার করতে পারবেন, কারণ সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ-বিগ্রহের ইঞ্জিন।

এটি আপনার মধ্যে জ্ঞানের কাছে পরিচিত যদিও আপনার ধারণাগুলি অনেক যুক্তি এবং বিতর্ক এবং অজুহাত দিয়ে এর বিরুদ্ধে তর্ক করতে পারেন। ভাববেন না যে পৃথিবী একটি অন্তহীন কূপ যা থেকে আপনি সংগ্রহ করতে পারেন এবং প্রত্যেকেই সীমাহীনভাবে সংগ্রহ করতে পারে, কারণ মানবজাতি সীমানায় পৌঁছেছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করেছে, যা বিশ্ব সরবরাহ করতে পারে। এটি ভবিষ্যতে অপরিমেয় অসুবিধা এবং পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গ তৈরি করবে।

এরপরে, প্রতিটি ব্যক্তির দিকে তাকান যে তারা জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী কিনা। এবং যদি তারা না হয়, তাহলে তাদের জীবন আপনাকে জানাবে জ্ঞান ছাড়া বেঁচে থাকার পরিণতি, এই মহান নির্দেশক শক্তি ছাড়া বেঁচে থাকা। তাদের সমঝোতাগুলি দেখুন এবং এই সমঝোতাগুলি নিজে না করার গুরুত্ব উপলব্ধি করুন।

তাদের নিন্দা করবেন না বা তাদের হেয় করবেন না। কারণ প্রত্যেকের সমস্যা হল মৌলিকভাবে যে তারা এখনও আবিষ্কার করেনি এবং ঈশ্বর তাদের মধ্যে যে জ্ঞানের শক্তি রেখেছেন তা অনুসরণ করছে না। তারা যে সমঝোতা করে এবং যে বৈধতা তারা দেয় সেগুলিই আপনি করেন এবং দেন এবং আপনি এখন ত্যাগ করতে শিখছেন।

এখানে সবাই সমঝোতার অবস্থায় বাস করছে, এবং যারা এই সমঝোতা করা বন্ধ করে দেয় তারা অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক এবং অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। মনে হচ্ছে আপনি জেগে উঠতে শুরু করেছেন, কিন্তু আপনার আশেপাশের সবাই এখনও স্বপ্ন দেখছে। এবং স্বপ্নের কোন বাস্তব নৈতিক পরিসর বা ফোকাস নেই; এখানে জীবন যাই হোক না কেন যা আপনি চান বা আপনি কল্পনা করেন। এই বিভ্রান্তির অবস্থায় অনেকেই চোখ খোলা রেখে জীবন যাপন করছেন।

এরপরে, জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ অনুশীলন নিন। ঈশ্বর আপনাকে গাইড করার জন্য, আপনাকে রক্ষা করার জন্য এবং জীবনে আপনার বৃহত্তর অর্জনের দিকে পরিচালিত করার জন্য ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে মহান শক্তি রেখেছেন তার সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করুন। এই অধ্যয়ন এবং এই ফোকাস চলমান হতে হবে। কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বলবেন না, “আচ্ছা, আমি অনেক উন্নতি করেছি।” জ্ঞানে যাওয়ার জন্য অনেকগুলি পদক্ষেপ রয়েছে, এবং জ্ঞান আপনার জীবনের সমস্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে পরিবেশন করার জন্য। কিন্তু আপনার জ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা এখনও খুব সীমিত। আপনি এখনও আপনার সামাজিক অবস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এবং আপনি যে আপোষগুলি করেন, এবং আপনি নিজেকে কি বলেন এবং আপনি অন্যদের কি বলার অনুমতি দেন তার দ্বারা পরিচালিত হয়।

আপনার জীবন এবং পরিস্থিতি পুনরায় মূল্যায়ন করুন। একে বলা হয় ‘ মহান মূল্যায়ন’। আপনি যা করেন এবং আপনার যা কিছু আছে তা দেখুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: “এটি কি ভবিষ্যতে টিকে থাকবে? আমার এভাবে বেঁচে থাকা কি সত্যিই নৈতিক? এটা কি আমার গভীর বিবেকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? ” এখানে আবার আপনার মন যুক্তি ও যুক্তি তৈরি করতে পারে বা অন্য মানুষের দিকে আঙুল তুলতে পারে, কিন্তু এটি সত্যিই আপনার গভীর বিবেকের বিষয়।

আপনার জীবনকে সঠিকভাবে সেট করতে এবং নিজের সাথে সঠিক হওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই এমন আচরণ এবং ক্রিয়াকলাপ এবং চিন্তাভাবনা বন্ধ করতে হবে যা আপনার সততাকে নষ্ট করে। আপনার জীবনকে সহজ করুন এবং আপনার চারপাশের সমাজ থেকে আপনার কম প্রয়োজন হবে, এবং এর ফলে এটি আপনার উপর কম প্রভাব ফেলবে। আপনি যদি অনেক মালিক হওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রচুর পরিমাণে গ্রাস করেন, তাহলে আপনার সামাজিক অবস্থা আপনার গভীর বিবেককে ছাপিয়ে যাবে, এবং আপনি নিজেকে সামঞ্জস্য করবেন এবং বিশ্বের এমন অবস্থাকে সমর্থন করবেন যা ন্যায়সংগত হতে পারে না।—-

এরপরে, মনে করবেন না যে প্রযুক্তি বা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সমস্ত সমস্যা এবং পরিণতির যত্ন নেবে যা মানবতার প্রভাব বিশ্বের উপর সৃষ্টি করেছে। এটি একটি অন্ধ এবং মূর্খ বিশ্বাস। এটি আপনার ক্ষমতা অন্যকে দিচ্ছে। এটি পৃথিবীতে একজন অংশগ্রহণকারী এবং ভোক্তা হিসাবে আপনার দায়িত্বগুলি পরিত্যাগ করছে। প্রত্যেককে অবশ্যই পার্থক্য তৈরি করতে হবে। আপনি শুধুমাত্র আপনার অংশটুকু করতে পারেন এবং এই বিষয়ে অন্যদের উৎসাহিত করতে পারেন।

মানুষ যদি মনে করে আপনি চরম হচ্ছেন তাহলে চিন্তা করবেন না। যারা আপোষের জীবন যাপন করছে তাদের কাছে সত্য চরম দেখাচ্ছে। অন্য সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেয়ে সত্যের সাথে চরম হওয়া ভাল।

তারপর, মনে করবেন না যে মানুষের চতুরতা দিগন্তে উদ্ভূত সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে। কারণ মানবতা সর্বশক্তিমান নয়। এর অন্তহীন সম্পদ নেই। এতে অন্তহীন শক্তি নেই। এটা বিশ্বাস করা যে অন্য লোকেরা আপনার জন্য সমস্যার যত্ন নেবে। এখানে যেসব লোকেরা দাবি করে যে তারা তাদের জীবনে পরিবর্তন চায় তার অর্থ সাধারণত তারা চায় যে অন্য লোকেরা তাদের জন্য পরিবর্তন আনুক এবং তাদের জন্য কিছু পরিবর্তন করুক।

পরিবর্তন কঠিন। এটা বিরক্তিকর। এর জন্য আপনাকে কমপক্ষে একটি সময়ের জন্য, আপনার নিরাপত্তার অনুভূতি এবং আপনার অনেক সুবিধা যা আপনি উপভোগ করেন তা ত্যাগ করা প্রয়োজন। এজন্যই সাদাসিধে জীবন যাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে আঘাতমূলক ক্ষতি ছাড়াই একটি উচ্চ স্তরে, আরও নৈতিক স্তরে জীবনযাপন করতে দেয়। যদি আপনি সবকিছু চান সংস্কৃতির যা কিছু প্রদান করতে পারে, আপনি তার মূল্যবোধের কাছে নতি স্বীকার করবেন, এবং আপনি এর ত্রুটির জন্য অবদান রাখবেন, এবং আপনি এর আপসগুলোকে ন্যায্যতা দেবেন।

উচ্চমানের কম জিনিসের মালিক হোন। আপনি যাদের সমর্থন করতে চান তাদের কাছ থেকে জিনিস কিনুন। বিশ্বের কার্যকলাপ সমর্থন করুন যা সত্যিই উপকারী। যদি আপনি ধনী হন, তাহলে আপনার সম্পদ ব্যবহার করুন ব্যক্তি এবং ব্যক্তি-গোষ্ঠগুলোকে যারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য কাজ করছেন তাদের সমর্থন করার জন্য।

এক ধরণের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসাবে কখনও বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করা দুর্নীতি এবং ধ্বংসাত্মক। এখানে যদি আপনি এই ধরনের কর্মের পরিণতিগুলি দেখেন, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি মানুষের দুঃখ, সংঘাত এবং যুদ্ধের জন্য বীজ রোপণ করছেন। আপনি যা চান তা পেতে অন্য কাউকে আপনার জন্য ত্যাগ করতে হবে। আপনি যে মূল্য দিতে চান, সেই দামে আপনি যা চান তা প্রদানের জন্য অন্য কারো জীবনকে অবনমিত করতে হবে। আপনার মনে হতে পারে আপনি আপনার অনিয়ন্ত্রিত বাসনা পূরণের জন্য বিশ্বকে কাজে লাগাচ্ছেন, কিন্তু আপনি আসলে যা করছেন তা হল সংস্কৃতি ধ্বংস করা এবং অন্য মানুষকে এমন অবস্থায় দাস করা যা আপনি নিজে কখনোই সহ্য করবেন না বা ক্ষমা করবেন না।

এরপরে, পৃথিবীতে আসা পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউগুলি চিনতে শুরু করুন, এবং সেই অনুযায়ী আপনার জীবনকে প্রস্তুত করুন এবং বিজ্ঞতার সাথে এবং সৎভাবে। বিশ্বে পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউ আসছে, কারণ মানবজাতি পরিবেশ এবং জলবায়ুকে প্রভাবিত করেছে, এবং মানবজাতি বিশ্বের সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার করেছে এবং এখন সীমাবদ্ধতা এবং পতনের মুখোমুখি হতে শুরু করবে।

এখানে, আপনাকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য গভীর বিবেক ব্যতীত, আপনি কেবল আরও বেশি -বেশি সম্পদ, অধিক সম্পদ, আরও ক্ষমতা, আরও সুবিধা, আরও নিরাপত্তা এবং আরও অনেক কিছু পেতে চাইতে পারেন। কিন্তু পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউগুলি সে সবকিছুকে নষ্ট করে দিতে পারে। মানবজাতিকে এই দুর্দান্ত ঢেউগুলোকে প্রশমিত করতে হবে এবং ধনী দেশগুলোতেও এগুলোকে বেশ উল্লেখযোগ্য উপায়ে মানিয়ে নিতে হবে।

আপনি যদি জবাব দিতে সক্ষম হন, যদি আপনি দায়িত্বশীল হন, আপনি দেখতে পাবেন যে এটি আপনার মূল্যবোধ এবং বিশ্ব সম্পর্কে আপনার ধারণাকে পরিবর্তন করবে এবং আপনার জন্য আপনি কিভাবে বাস করেন, কোথায় থাকেন এবং কিভাবে থাকেন সে বিষয়ে আপনার জন্য আরও বেশি সততা এবং অধিকতর বিবেচনার প্রয়োজন হবে। পৃথিবীতে নিজেকে পরিচালনা করুন। এটি সম্পূর্ণরূপে যথাযথ এবং আপনার জন্য মুক্তির কারন হবে যদি আপনি এটি পরিষ্কারভাবে দেখতে পারেন এবং নিজের মধ্যে জ্ঞানের সাথে সাড়া দিতে পারেন।

জ্ঞানের বিবেচনায়, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি যা চান তা আপনি সত্যিই চান না কারণ জ্ঞান আসলে সেগুলোকে গুরুত্ব দেয় না। যখন আপনি আপনার সিদ্ধান্তগুলি আপনার নিজের জ্ঞানের মধ্যে নিয়ে যান, আপনার মধ্যে একটি গভীর স্থান, আপনি দেখতে পাবেন যে এটির প্রয়োজন আছে কি না। এখানে আপনি আপনার সময় এবং আপনার শক্তি এবং জীবনকে সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করবেন। আপনি এমন জিনিসের পিছনে এটি নষ্ট করতে চান না যা আপনার জীবনে কিছুই যোগ করবে না, আপনার কল্যাণের কিছুই হবে না এবং আপনার বিজ্ঞতার কিছুই হবে না।

এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি অনেক সহজভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, এবং এটি আপনার জন্য প্রচুর পরিমাণে শক্তি মুক্ত করবে, আপনাকে অধ্যয়ন এবং চিন্তা করার সময় দেবে, ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ নেওয়ার সময় এবং আপনার সচেতনতাকে পরিমার্জিত করতে এবং অন্য ব্যাক্তিদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

বর্তমানে, মানুষ অন্যদের সাথে প্রকৃত সম্পর্ক রাখার চেয়ে বৈষয়িক জিনিষ অর্জনের বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। সম্পর্ক গড়তে সময় এবং শক্তি লাগে। আপনি যদি আপনার সমস্ত সময় ক্রীতদাসের মতো কাজ করেন বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জনের জন্য, তাহলে আপনার এই সময়টি সম্পর্কের জন্য থাকবে না। এবং আপনার পরিবারের সাথে, আপনার পত্নীর সাথে, আপনার বাচ্চাদের সাথে এবং আপনার বন্ধুদের সাথে আপনার সম্পর্ক এর ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি আপনার জীবনযাত্রার মান এবং আপনার চারপাশের জীবনমানকে অবনতি করবে।

মানুষ দাসদের মতো কাজ করতে পারে তাদের সম্পর্কের বিশৃঙ্খলার সাথে এক ধরনের কৃত্রিম জাঁকজমক নিয়ে বসবাস করতে, কারও সাথে গভীর মেলামেশা ছাড়াই – এমন পরিস্থিতিতে যেখানে প্রত্যেকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদের জন্য অন্য সবার সুবিধা নিচ্ছে। এই ধনীদের দুঃখজনক অবস্থা, যারা তাদের সম্পর্কের অনুরণনের অভাব থেকে ব্যাপকভাবে ভোগে। তারা তাদের অধিকৃত বস্তুসামগ্রি এবং তাদের সম্পদ এবং এই সবকিছু এবং এই সম্পদ অর্জনের জন্য যা করতে এবং ত্যাগ করতে হয় তার দ্বারা তারা এতটাই আধিপত্য বিস্তার করে যে, এটি তাদের নিজের পরিবার এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে দুর্নীতির পরিবেশ তৈরি করে।

একটি গভীর সম্পর্ক, উদ্দেশ্য এবং অর্থের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু আপনার যদি সময় না থাকে, তবে এই ধরনের সম্পর্কগুলি অস্তিত্ব পাবে না। এবং এমনকি যদি এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি থাকে, আপনি নিজেকে জড়িত করতে খুব ব্যস্ত থাকবেন, অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

এটি এই ব্যস্ততা এবং এই অতিমাত্রায় এবং এই কারোর আকাঙ্ক্ষা এবং বাধ্যবাধকতার প্রতি আনুগত্য যা জীবনের মান, সম্পর্কের অর্থ, সহচরের মূল্য এবং গভীর ভক্তির গুণমানকে হ্রাস করছে যা প্রেমের সবচেয়ে বড় প্রকাশ।

এখানে লোকেরা বিভ্রান্ত হয় যে তারা একজন ব্যক্তির প্রতি অনুগত কিনা বা সেই ব্যক্তির অবস্থার প্রতি। তারা কি আরেকজনের প্রকৃতি এবং সত্তার প্রতি নাকি একসাথে তৈরি করা জীবনধারাতে নিবেদিত?

আরো সহজ জীবনে, সম্পদ, সৌন্দর্য এবং আকর্ষণের প্রলোভন মানুষের উপর একই প্রভাব ফেলে না। এবং পৃথিবীতে যে পরিবর্তন আসছে তার বড় ঢেউয়ের কারণে, আরও সহজ সরল জীবন যাপন করা প্রয়োজন। কারন সম্পদ ভাগ করে নিতে হবে। ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত কূপ থেকে জলপানের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হবে।

এখানে খুব বেশি থাকা এবং অতিরিক্ত হওয়া নৈতিকভাবে নিন্দনীয় হবে। আপনার মনে হতে পারে সব ঠিক আছে। আপনি যা করছেন তা ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য আপনি অনেক অজুহাত এবং যুক্তি তৈরি করতে পারেন, তবে গভীর স্তরে একটা অস্বস্তি থাকবে।

এখানে যতক্ষণ না আপনি আপনার সম্পদের অধিকাংশই দান করতে ইচ্ছুক, ততক্ষণ ধনী হওয়ার অধিকার আছে, একজন দানশীল হতে। আপনার মৌলিক চাহিদার বাইরে, কেন এত সম্পদ? প্রতিপত্তির জন্য? অন্যকে প্রভাবিত করার জন্য? এটিকে সামাজিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে? অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য?

অর্থ ঈশ্বর এবং দানব হয়ে ওঠে যখন এটি কেবল একটি দরকারী হাতিয়ার হওয়া বন্ধ করে দেয়। অতএব, সমস্ত ধনী ব্যক্তিদের দানশীল হওয়া উচিত। এটাই তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব। এটাই তাদের মুক্তি দেবে এবং তাদের এই ভাবতে বাধা দেবে যে তাদের সম্পদই তাদের আসল মূল্য।

প্রকৃত মূল্য হল জ্ঞান এবং জ্ঞানের উপর নির্মিত সম্পর্কগুলি এবং সততা, সরলতা এবং অর্থপূর্ণ জীবনের প্রদর্শন। এখানে আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষার বা আপনার সম্পদের, অথবা অন্যের মতামত এবং প্রত্যাশার দাস হতে চান না। এটি এক ধরনের অসাধারণ স্বাধীনতা যা খুব কম মানুষেরই আছে। এবং অদ্ভুতভাবে যথেষ্ট, এই সমৃদ্ধির অবস্থায় এই স্বাধীনতা থাকা আরও কঠিন।

প্রায়শই দরিদ্র অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ, যতক্ষণ না তাদের বসবাসের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ থাকে, তারা অনেক বেশি সুখী এবং অধিকতর উদ্বিগ্ন-মুক্ত – তাদের জীবন এবং তাদের সম্পর্ককে অনেক বেশি মাএায় উপভোগ করতে মুক্ত; সমৃদ্ধ পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল এবং বেশি সন্তুষ্ট, যারা ক্রমাগত আরো পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং সামর্থবান হওয়ার জন্য জন্য ক্রীতদাসের মতো কাজ করছে, অথবা নিজেদেরকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে যারা এটি বহন করার জন্য ক্রীতদাসের মতো কাজ করবে।

পরের কথা হল: আপনাকে অবশ্যই পৃথিবীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আপনি পৃথিবী থেকে সম্পদ আরোহন করছেন। আপনি বিশ্বে প্রভাব ফেলছেন। আপনি পৃথিবীকে দূষিত করছেন। আপনি এটি এড়াতে পারবেন না। আপনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করলেও পৃথিবীতে আপনার প্রভাব থাকবে। তাই আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে।

প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করুন। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করুন। যারা প্রাকৃতিক বিশ্বের কল্যাণের জন্য কথা বলছেন তাদের অবদান রাখুন। আপনি যদি ধনী হন, তাহলে যারা উদারতার সাথে বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করছেন তাদের জন্য দান করুন, কারণ এই পরিবেশটিই সবাইকে টিকিয়ে রাখছে। কেবল ভূমিতে পঙ্গপালের মতো হয়ে যাবেন না, সমস্ত কিছু দৃষ্টিতে গ্রাস করে ফেলবেন, কেবল তখনই শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে যখন খাবার শেষ হয়ে যাবে।

অবশেষে, এবং সম্ভবত খুব নিকট ভবিষ্যতে, একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র, মানুষের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য মানবতাকে বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের উপর উদ্ব্যক্তি ছেড়ে দিতে হবে। অবশেষে, মানবতাকে মানবিক উপায়ে তার জনসংখ্যা সীমাবদ্ধ করতে হবে এবং ব্যবহার সীমিত করতে হবে কারণ বিশ্বের সীমাবদ্ধতা সর্বত্র মানুষের অবস্থার উপর নিজেদের বাধ্য করবে। সেজন্য অধিকতর সরলতার জীবন বেছে নেওয়া, এমন জীবন যা আপনাকে আরও বেশি সময় দেয়, অধিক স্বাধীনতা দেয় এবং অন্যদের সাথে অর্থপূর্ণভাবে মেলামেশার সুযোগ দেয় তা এমনকি পৃথিবীর কল্যাণেও উপকারী।

আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে। আপনি নেন। আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে। এটি পৃথিবীকে ভাড়া দেওয়ার মতো। আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে। এটি আপনার জীবনের অংশ এবং অবদান হোক। যারা এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন এবং যারা এই অবদানের অভিব্যক্তি হন তাদের সমর্থন করুন।

আপনার ভিতরে জ্ঞান যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠবে, আপনি জীবনে একটি বৃহত্তর দিক অনুভব করবেন। এটি আপনাকে আরও নির্দিষ্ট উপায়ে অন্যদের অবদানের রাজ্যে নিয়ে যাবে, এমন উপায়ে যা আপনার প্রকৃতি, ডিজাইন এবং উদ্দেশ্যগুলির জন্য অনন্য এবং নির্দিষ্ট।

আপনার ভিতরে জ্ঞান যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠবে, আপনি জীবনে একটি বৃহত্তর দিক অনুভব করবেন। এটি আপনাকে আরও নির্দিষ্ট উপায়ে অন্যদের অবদানের রাজ্যে নিয়ে যাবে, এমন উপায়ে যা আপনার প্রকৃতি, ডিজাইন এবং উদ্দেশ্যগুলির জন্য অনন্য এবং নির্দিষ্ট।

শেষ পর্যন্ত, আপনি এখানে এই অবদান রাখতে এসেছেন। কিন্তু এই অবদান আপনার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উত্থিত হবে এবং এমন কিছু হবে না যা আপনি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেন। এটি অনেকটা একটি শক্তি, একটি আন্দোলন, একটি আকর্ষণ এবং একটি ক্ষমতা যা আপনাকে টানছে। আপনার জীবনের খুঁটিনাটি মোকাবেলা করতে এবং ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আপনার বুদ্ধিকে ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু মূল প্রেরণাদায়ক শক্তি হবে আপনার মধ্যে জ্ঞান।

বিশ্ব আপনাকে বলবে আপনাকে কোথায় দান করতে হবে এবং আপনি কি দান করতে হবে। এটি আপনার কাছ থেকে আপনার উপহার আহ্বান করবে, কারণ আপনি সেগুলি নিজের থেকে আহ্বান করতে পারবেন না। তারা আপনার সাথে কথা বলবে – পৃথিবী, বিশ্বের অবস্থা, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থাও আপনার সাথে কথা বলবে এবং আপনার অনন্য উপহারগুলি আপনাকে ডেকে আনবে।

এজন্য আপনি পৃথিবীকে অস্বীকার করে, পৃথিবী সম্পর্কে কল্পনায় বা অন্য কেউ বিশ্বের সমস্ত সমস্যার যত্ন নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। কারণ ঈশ্বর আপনাকে এখানে পাঠিয়েছেন একটি নির্দিষ্ট অবদান রাখার জন্য। এটি করতে, আপনাকে অবশ্যই যতটা সম্ভব বস্তুনিষ্ঠতা এবং সহানুভূতি সহ বিশ্বের মুখোমুখি হতে হবে। কিছু জিনিস আপনার সাথে কথা বলবে, এবং আপনি জানতে পারবেন যে আপনি সেখানে অবদান রাখবেন।

এটি ধনীদের মুক্তি দেয়। যারা তাদের আত্মসমৃদ্ধির জন্য জীবন দিয়েছে তাদের এটি মুক্তি দেয়। এটি তাদের মুক্তি দেয় যারা পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে, তাদের নিজস্ব ভয় এবং আকাঙ্ক্ষার জগতে হারিয়ে গেছে। এটি দুর্বলদের শক্তিশালী করবে। এবং এটি প্রত্যেককে নিজের সাথে সঠিক হওয়ার সুযোগ দেবে এবং একটি গভীর পরিতৃপ্তি এবং নিশ্চিতকরণের অভিজ্ঞতা দেবে যা আপনি এখানে যা করতে এসেছিলেন তা করার এবং আপনি এখানে যা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন তা দেওয়া। অন্য কিছু আপনার জন্য এই সন্তুষ্টি এবং নিশ্চিতকরণ প্রদান করতে পারে না।

জ্ঞান এই বিষয়গুলি প্রকাশ করবে, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সেগুলি সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং আপনার জীবন এবং আপনার পরিস্থিতির গভীর মূল্যায়নের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে হবে। আপনি আপনার ভালোর জন্য এটি করেন। আপনার অখণ্ডতা বোধ পুনরুদ্ধার করার জন্য আপনি এটি করেন। আপনি আপনার নিজের ক্ষমতা এবং সামর্থ অনুভব করার জন্য এটি করেন। এবং আপনি এটি বিশ্বের কল্যাণের জন্য এবং অন্যদের জন্য করেন।

আপনি পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউয়ের আগে আপনার মহান মূল্যায়ন গ্রহণ করুন। যখন তারা আঘাত করবে, তখন আপনার পরিস্থিতি পরিবর্তন করার এবং বিশ্বে আপনার অবস্থান সুরক্ষিত করার সময় বা সুযোগ থাকবে না।

বৃষ্টি আসার জন্য অপেক্ষা করবেন না নইলে আপনি আপনার জাহাজ তৈরি করতে পারবেন না। পরিস্থিতি আপনাকে পাকড়াও না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না অথবা আপনি আপনার পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে অক্ষম হয়ে উঠবেন। এই গভীর মূল্যায়ন শুধুমাত্র নৈতিক নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগীকও।

এখনই সময়। আপনি আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারেন কারণ জ্ঞান আপনার মধ্যে অবস্থান করছে। এর শক্তি এবং সাহস আছে। এটি আপনাকে সেই জিনিসগুলি করার ক্ষমতা দেবে যা আপনি জানেন যে আপনাকে অবশ্যই করতে হবে, যে জিনিসগুলি পরিবর্তন করতে হবে যা আপনাকে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে এবং যে জিনিষগুলি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে যা আপনাকে অবশ্যই মুক্ত করতে হবে। আপনি মনে করতে পারেন যে আপনার শক্তি নেই, আপনার প্রতিশ্রুতি নেই, আপনার শক্তি নেই। কিন্তু আপনার ভিতর জ্ঞানের মধ্যে এই সব জিনিষই আছে।

জ্ঞানের সাহায্যে আপনি এমন অসাধারণ কাজ করতে পারেন যা আপনি কখনোই ভাবতে পারেননি। আপনি আসক্তি এবং পরাধীনতা এবং স্ব-আপোষকে এমন ডিগ্রীতে পরাস্ত করতে পারবেন যা আপনি আগে কখনও ভাবতে পারেননি।

জ্ঞানের সাথে, ঈশ্বর আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেন। এবং আপনি আপনার গভীর বিবেকের উপস্থিতি অনুভব করবেন, যা আপনাকে আপনার জীবন সম্পর্কে স্পষ্টতা দান করবে এবং আপনাকে কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না, কী খুঁজতে হবে এবং কী এড়িয়ে চলতে হবে, কোথায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে এবং কোথায় নিজেকে আটকে রাখতে হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্টতা দান করবে। আপনাকে উপহার এবং শক্তি এবং এই পৃথিবীতে মুক্তির জন্য দুর্দান্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেই পরিস্থিতিতে যা আজ বিদ্যমান এবং ভবিষ্যতেও উদ্ভূত হবে।

এই শিক্ষা মানবতার জন্য একটি নতুন প্রত্যাদেশের অংশ, মানবতার জন্য একটি নতুন বাঁণী, সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে একটি নতুন বাঁণী ব্যক্তিকে মুক্ত করার জন্য এবং বিশ্বকে বাঁচাতে এবং সংরক্ষণ করার জন্য যাতে মানবতার এখানে একটি ভবিষ্যত থাকতে পারে, অতীতের চেয়ে ভাল একটা ভবিষ্যত।

এই নতুন বাঁণী সম্পর্কে জানুন। এর প্রজ্ঞা এবং তার অনুপ্রেরণা গ্রহণ করুন। এটি আপনাকে সকল ধর্মের ঐক্য দেখাবে এবং তাদের মধ্যে সত্য এবং অপরিহার্য কি তা দেখাবে।

এটি আপনার মধ্যে জ্ঞানের সাথে কথা বলুক এবং ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে গভীর শক্তি রেখেছেন তার সাথে এটি অনুরণিত হতে দিন। কারন মানবতার জন্য এই নতুন প্রত্যাদেশ আপনার এবং সবার মধ্যে এই জ্ঞানকে উদ্দীপিত করবে। যে মাএাতে এটি সম্পন্ন করা যায় তা হবে সেই মাএা যা মানবতা অগ্রসর হতে পারে, তার ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে পারে এবং তার ভবিষ্যতের জন্য এবং তার ভবিষ্যতের কৃতিত্বের জন্য ঐক্য ও সহযোগিতার মহান ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

ক্ষতিকর প্রভাব সমুহ

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
১৩ ই মে, ২০১১ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

পৃথিবী একটি সুন্দর জায়গা, বিশেষত এই পৃথিবীটা, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বন্ধ্যাত্ব জগতের একটি রত্ন । কিন্তু পৃথিবীটাও একটা বিপদজনক জায়গা, অনেক পীড়নের জায়গা, অনেক কষ্টের জায়গা।

এটা আপনার প্রাচীন বাড়ির মত নয়, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি ফিরে যাবেন। এটি একটি বিচ্ছেদের জায়গা । এটি একটি বিযুক্তির জায়গা । এটি এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ একে অপরের থেকে আলাদা এবং সম্ভবত নিকটবর্তী নৈকট্য থাকলেও, তাদের নিজেদের বিচ্ছিন্নতার অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত মনে হয়, ভয় এবং অনিশ্চয়তায় ভরা পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত।

এজন্যই ঈশ্বর আপনাকে জ্ঞান দিয়েছেন, বৃহত্তর বুদ্ধিমত্তা, আপনাকে পথনির্দেশনা দিতে, আপনাকে রক্ষা করতে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর জীবনের দিকে নিয়ে যেতে – সেবা এবং পরিপূর্ণতার একটি মহান জীবন।

তবুও পৃথিবী এখনো বিপজ্জনক, এমনকি তাদের জন্য যারা বৃহত্তর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বিশেষ করে তাদের অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত বিপদ এবং বিশ্বের প্রভাবের দিকে যা ক্ষতিকর । তাদের বিশেষভাবে দেখা উচিত যে কি তাদের শক্তিশালী করে এবং কি তাদের দুর্বল করে, কি তাদের সাড়া দিতে সক্ষম করে এবং কি এই সাড়াকে উপেক্ষা করে বা ছোট করে। যারা এক মহান আহ্বান অনুভব করেন, তাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তারা সময়ের সাথে সাথে বুঝতে পারবে যে তাদের সাহায্য করার জন্য তাদের নির্দেশিকা প্রয়োজন যাতে তাদের মন নবায়ন এবং চারপাশের বিশ্ব দ্বারা অনিয়ন্ত্রিত হয় । এর মানে এই নয় যে তারা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, এর জন্য খুব কমই জিজ্ঞাসা করা হয়, শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য যারা মনস্থির জীবন যাপন করতে যাচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য তারা পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছে পৃথিবীতে থাকার জন্য, জড়িত থাকার জন্য এবং বিশ্বের সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, এবং উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট। তবুও এর সাড়া দিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হলে, আপনার চারপাশের বিপদ এবং বিশ্বের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, এবং নিজের ভেতরেও যা ক্ষতিকর।

যারা সাড়া দিতে শুরু করেছে এবং জ্ঞান এবং ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ এর পথে যাত্রা শুরু করেছে, তাদের জন্য কিছু বিপদ স্পষ্ট হবে যা অন্যদের কাছে স্পষ্ট নয়। বিশ্বে কিছু প্রভাব, এবং মানসিক পরিবেশে আরো সূক্ষ্ম প্রভাব, তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করবে। এবং তারা এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

আপনার দুটি মন আছে । আপনার একটি পার্থিব মন এবং একটি গভীর মন আছে । ঈশ্বর আরো গভীর মন সৃষ্টি করেছেন। এবং পৃথিবীতে আপনার অভিজ্ঞতা এবং অতীত থেকে বিশ্বের প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া আপনার পার্থিব মন তৈরি করেছে এবং এখনও এটিকে একটি দুর্দান্ত মাত্রায় প্রভাবিত করে।

এটি আপনার পার্থিব মনকে আপনার গভীর মনের নির্দেশনায় আনা – যে মন সমস্ত জীবনের স্রষ্টার প্রতি সাড়া দিতে পারে – যা সমস্ত ঐতিহ্যে সকল আধ্যাত্মিক অনুশীলনের ফোকাস এবং লক্ষ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের নতুন বাঁণীতে স্পষ্ট করা হয়েছে, বাঁণীর উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছতা আনয়ন এবং আপনার আধ্যাত্মিকতার অর্থ এবং বৃহত্তর দিক যা আপনার জীবন অনুসরণ করতে হবে তার স্বচ্ছতা আনয়ন।

যখন আপনাকে পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে বলা হচ্ছে না, তখন আপনাকে অবশ্যই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং এসব প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে এবং তাদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে হবে যখন সেটা প্রয়োজন হবে।

পৃথিবীর দুঃখজনক ঘটনা, পৃথিবীর কঠিনতা, মানুষের ব্যর্থতা, মানুষের দুর্নীতি, মানুষের আগ্রাসন, মানুষের নিষ্ঠুরতা – এই সব জিনিস আপনার নিজের মধ্যে জ্ঞানের উপস্থিতি অনুভব করা এবং তার পথনির্দেশনা এবং তার উপদেশের সাড়া দেওয়া আপনার জন্য আরো কঠিন করে তুলবে।

এর অর্থ এই নয় যে আপনি এই বিষয়গুলিকে অস্বীকার করবেন বা এগুলি প্রত্যাখ্যান করবেন, কারণ এটি হবে অসাধু হয়ে যাওয়া। তার মানে আপনি বিশ্বের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সচেতন হতে বিরত থাকবেন। কিন্তু এর মানে এই যে সেখানে ইনস্যুলেশন থাকতে হবে, কারণ আপনার মন এখন আরো সংবেদনশীল, আপনি ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার সাথে সাথে আপনার মন এখন তার উপলব্ধিতে আরও অনুপ্রবেশিত হয়ে উঠছে। এবং আপনি অবশ্যই এই বিষয়গুলি মনোযোগ দিয়ে দেখবেন, একটি বৃহত্তর সচেতনতার সাথে।

শুরুতে, আপনি একটা কোমল অঙ্কুরের মত। আপনি আপনার গভীরতর প্রকৃতির প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠছেন। আপনি নিজের মধ্যে উন্মুক্ত হতে শুরু করছেন। এই সময়ে, আপনাকে অবশ্যই অবকাশে থাকতে হবে, পৃথিবীর বিপদ থেকে, এমনকি বিশ্বের দুঃখজনক ঘটনা থেকে, এমনকি বিশ্বের সংবাদ থেকে – কিছু সময়ের জন্য যাতে আপনি আরও বেশি অভ্যন্তরীণ শক্তি অর্জন করতে পারেন, জ্ঞান যে শক্তি প্রদান করে।

এজন্যই আপনি অবশ্যই গণমাধ্যমের কাছে খুব সীমিত প্রকাশ থাকতে হবে, বিশেষ করে যদি আপনি গণমাধ্যমের কাছে অতিমাত্রায় প্রকাশিত হয়ে থাকেন । এখন আপনাকে অবশ্যই এই প্রকাশ সীমিত করতে হবে অথবা আপনার মন ক্রমাগত আপনার চারপাশের বিশ্ব দ্বারা উত্তেজিত, উদ্দীপিত এবং নির্দেশিত হবে।

বিশ্বকে বন্দী করে রাখছে। এর ট্রাজেডির নিজস্ব আকর্ষণ আছে। এর অসুবিধা হচ্ছে ক্রমাগত অনিশ্চয়তা, বিচার এবং দুঃখ। অন্যের ব্যর্থতা, অন্যের দুঃখজনক ঘটনা, সবই খুব বাধ্যকারী হয়, আপনি দেখুন। এবং আপনি আপনার আশেপাশের লোকজনকে এই জিনিসগুলি দ্বারা ক্রমাগত বাধ্য হতে দেখেন।

কিন্তু এটা এখন আপনার জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ আপনি শক্তি এবং উপস্থিতির সাথে সংযোগ অর্জন করার চেষ্টা করছেন যা ঈশ্বর আপনার মধ্যে স্থাপন করেছেন। এখনকার দিনের যা স্বাভাবিক প্রভাব এবং ঘটনাবলী মনে হয় তা আপনার উদ্দেশ্য এবং অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর হিসেবে দেখা যায়।

যখন আপনি আপনার ভেতরের প্রকৃতি সম্পর্কে বেশি সচেতন হবেন, আপনি আপনার চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে বেশি সচেতন হবেন। আপনি সব দিক দিয়েই সংবেদনশীল হয়ে যাবেন। এজন্যই আপনাকে আপনার প্রকাশকে বিশ্বের ঘটনা এবং এমনকি আপনার চারপাশের মানুষের দুঃখজনক ঘটনা এবং অসুবিধার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, নচেৎ আপনি তাদের পরিস্থিতি এবং পরিবেশের দ্বারা বন্দি হয়ে যাবেন, আপনাকে আপনার নিজের মধ্যে শক্তি এবং নিশ্চিততার উৎস থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে।

ঠিক তেমনি, এমনকি পৃথিবীর সেবায় পৃথিবীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া একটা ক্ষতিকর প্রভাব যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি সত্যিই প্রস্তুত ও শক্তিশালী হয়েছেন । আপনি বিশ্বের সেবা করতে প্রস্তুত নন। সমস্যা সমাধানে বা সমর্থক হওয়ার জন্য আপনি প্রকৃতপক্ষে প্রস্তুত নন, কারণ এটি আপনাকে আপনার কেন্দ্র এবং ক্ষমতার উৎস থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।

শুধুমাত্র পরে আপনি পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন,  আপনাকে সমর্থন করার জন্য জ্ঞানের শক্তি দিয়ে এখন অভ্যন্তরীণ নির্দেশিত । কিন্তু উন্নয়নের এই ধাপেও, প্রজ্ঞা আপনাকে দেখাবে যে আপনি নিজেকে কিসে প্রকাশ করেন এবং আপনি নিজেকে যা দেবেন তাতেও আপনাকে অবশ্যই খুব যত্নশীল হতে হবে।

মন শুধু অনেক কিছু বিনোদন দিতে পারে। যেকোন প্রদত্ত মুহূর্তে এর শুধুমাত্র এত ক্ষমতা আছে। এটা শুধু পারে অনেক সমস্যার সমাধান করতে এবং অনেক কিছু সম্বোধন করতে পারে। এটি পৃথিবী এবং অন্যদের অসুবিধায় পূর্ণ হবে যতক্ষণ না আপনি জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ নিতে শুরু করতে পারেন, যার জন্য সময় এবং শক্তি এবং ফোকাস প্রয়োজন।

এখানে আপনি আপনার শক্তি এবং দিকনির্দেশনার উৎস খুঁজে পেতে আপনার ভেতরের জগতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে আপনি চিনতে পারবেন আপনার বাইরের জীবনে কি উপকারী এবং কি বিভ্রান্তিকর, গোলমেলে বা বিরক্তিকর। এখানে আপনি শান্তি খুঁজছেন না। আপনি একটি মৌলিক সংযোগ করতে চান যা ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ শান্তি সম্ভব করবে।

এখানে আপনি পৃথিবী থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন না। আপনি নিজেকে পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করছেন, কারণ আপনি এখনো মহান উদ্দেশ্য অনুমান করতে প্রস্তুত নন। আপনার শক্তি নেই। আপনার প্রজ্ঞা নেই। আপনার উচ্চতর উদ্দেশ্যে যে সূক্ষ্ম বিচার শক্তি এবং বিচক্ষণতা প্রয়োজন তা এখনও পাননি।

যদিও এটি সম্পাদনা এবং সামাজিকভাবে অন্যদের সহায়ক হতে, অন্যদের সেবার জন্য অনুমোদিত মনে হয়, এই আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে, আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। যারা জীবনে উন্নতি করছে না তাদের কাছ থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই মানুষের দুঃখজনক ঘটনা থেকে সরে আসতে হবে। যারা তাদের চারপাশে মনোযোগ দিচ্ছে তাদের থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে, এমনকি যদি তাদের চাহিদা বৈধও হয়, এর ফলে আপনার মন দখল করে আপনাকে দূরে নিয়ে যাবে, বাইরের জগতে ফিরে আসবে।

আপনি যদি ঐশ্বরিক এবং জাগতিক বিষয়ের মধ্যে সেতু হতে চান, আপনাকে যেমন ডিজাইন করা হয়েছিল, আপনি যদি এই বৃহত্তর সংযোগ এবং এই বৃহত্তর শক্তি পেতে চান এবং এটি বিশ্বে সফলভাবে বহন করতে পারেন, তাহলে আপনার উভয় প্রান্তে একটি ব্রিজের মতো একটি পা রাখতে হবে, উভয় প্রান্তে নোঙ্গর করতে হবে। এর জন্য মনের আলাদা ব্যবহার, একটি ভিন্ন বোঝাপড়া, আলাদাভাবে বিশ্বকে দেখার এবং বিশ্বের প্রতিক্রিয়া জানার এক ভিন্ন উপায় প্রয়োজন।

এই মুহূর্তে আপনি হারিয়ে গেছেন পৃথিবীর মাঝে, আর হারিয়ে গেছেন পৃথিবীকে নিয়ে আপনার নিজের চিন্তায়। আপনি বন্দি, আর আপনি আপনার কাছে অচেনা। আপনি জানেন না আপনার গভীরতর প্রকৃতি এবং নিজের মধ্যে জ্ঞানের গতিবিধি এবং শক্তি সম্পর্কে জানেন না তবে এখনও এই শক্তিটিকে পৃথিবীতে বহন করতে এবং আপনার উপহারগুলিকে দুনিয়াতে অবদান রাখতে যেখানে তারা সত্যিকার অর্থেই বোঝানো হচ্ছে সেখানে অবদান রাখতে সক্ষম হন।

আপনি যা ভাবছেন বা বিশ্বাস করছেন তা নিয়ে আপনি প্রস্তুত নন। এমনকি যদি আপনি অনুভব করেন যে ঈশ্বর আপনাকে দিয়ে কিছু করতে চান, এবং আপনি সেভাবে নির্ভরযোগ্য, আপনি এখনও প্রস্তুত নন।

ঈশ্বর এটা জানেন। এবং এজন্যই জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ প্রদান করা হয়েছে। আর এজন্যই এখানে নতুন উদ্ঘাটন, কারন মানবজাতি ভবিষ্যতে মহা ধ্বংসের সম্মুখীন হচ্ছে। সামনে অনিশ্চিত ও কঠিন সময়কে নেভিগেট করতে হলে এই বৃহত্তর শক্তি ও গভীরতর অভিমুখীতার প্রয়োজন হবে।

ভাববেন না যে পৃথিবী আপনাকে অতিক্রম করবে না, কারণ সে আপনাকে ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে। এবং যত জিনিস আরো কঠিন হয়ে ওঠে এবং সেখানে বৃহত্তর অস্থিতিশীলতা, বৃহত্তর কঠিনতা এবং বৃহত্তর মানবিক দুর্ভোগ, তা আপনাকে আরও সম্পূর্ণরূপে ছাড়িয়ে যাবে।

আপনি যা পড়াশুনা করছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনার মনকে কেবলমাত্র তা খাওয়ান যা জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণে আপনাকে সমর্থন করতে পারে। সংবাদপত্র সরিয়ে রাখুন। এমনকি উপন্যাসটি সরিয়ে রাখুন কারণ এটি আপনাকে ধারণ করে এবং এমন একটি সময়ে যখন আপনার গভীর প্রকৃতির সাথে এবং ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে শক্তি ও উপস্থিতি রেখেছেন তার সাথে জড়িত হওয়া আপনার পক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়।

টেলিভিশন বন্ধ করুন, এমনকি রেডিও, নিজের সাথে আবার পরিচিত হতে, আপনার মনের বিভিন্ন অবস্থার পর্যবেক্ষক হয়ে উঠতে, আপনার অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে এবং কোন অভিজ্ঞতাটি সত্যই উপকারী এবং কোনটি নয় তা বুঝতে। আপনি এটা করতে পারবেন না যদি আপনি ক্রমাগত পৃথিবীতে টেনে ফিরে নিয়ে যান।

আপনি যদি অন্যের প্রশংসা নিয়ে সেবার জীবন যাপন করেন, যদি জ্ঞান আপনার মধ্যে শক্তিশালী না হয়, তবে আপনি এখনও দুর্বল এবং আপনি সত্যিই আপনার উপায় জানেন না।

মদ এবং নেশা থেকে বিরত থাকুন যা আপনার মনের অবস্থাকে পরিবর্তন করে। আপনি আপনার মনের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হতে চেষ্টা করছেন এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান, এমনকি অবজ্ঞাপূর্ণভাবেও। আপনি কীভাবে তা করতে পারেন যখন এই জিনিসগুলি নিয়ে ইহা কুয়াশাচ্ছন্ন এবং মেঘে ঢাকা থাকে?

আপনি চান আপনার চোখ পরিষ্কার হোক। আপনি চান আপনার কান শুনতে পায় এবং আপনার চোখ দেখতে পায়। আপনি অজান্তের কুয়াশা এবং আপনার মধ্যে যে দুর্ভোগ এবং বিভ্রান্তি এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে তা থেকে আপনি অব্যাহতি পেতে চান।

এরপর, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে কে আপনার জীবনে আছে এবং তারা আপনার মধ্যে কি প্রভাবিত করে। এই বিষয়ে সবাই হয় আপনাকে সাহায্য করছে অথবা আপনাকে বাধা দিচ্ছে আপনার গভীরতর প্রকৃতিতে সাড়া দিতে এবং আপনার জীবনের মহান ডাক আবিষ্কার করতে। এমনকি দয়ালু এবং প্রেমময় ব্যক্তিও আপনার বৃহত্তর সাধনা এবং আপনার মহৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস করতে পারে।

যেসব মানুষ নিজের মধ্যে এসবের অভিজ্ঞতা নেই তারা তাদের চমৎকার গুণাবলী নির্বিশেষে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে, তারা একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে উদ্যমহীন এবং চটকদার লোকদের কাছ থেকে আপনাকে সরিয়ে নিতে হবে। আপনার জীবনে কে আছেন তা নির্ধারণ করবে আপনি কী জানতে সক্ষম হবেন এবং যা আপনি জানেন তা অনুসরণ করার আপনার ক্ষমতা। এবং সে কারণেই আপনার সম্পর্কের গুণগতমানটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এমনকি যদি আপনার শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি থাকে যে আপনার জন্য একটি বাস্তব সহযোগী হতে পারে এবং জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণে আপনার মহান প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পারে, তাহলে তা হাজার বন্ধুর চেয়ে বেশি উপকারি হবে, যারা শুধুমাত্র সুপারফিসিয়াল জিনিসের সাথে আপনার সময় দখল করে নেবে। কারন মানুষের ব্যস্ততা নিছক নিজের কাছ থেকে পালিয়ে আসা।

আপনার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করতে এবং কিভাবে স্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং বিকৃতি ছাড়াই শুনতে হয় তা শিখতে হলে আপনাকে দারুণ মনোযোগ দিতে হবে। এর জন্য সময় এবং শক্তি অবশ্যই আপনার কাছে উপলব্ধ হবে। আপনি যদি খুব ব্যস্ত থাকেন, পৃথিবীতে খুব বেশি ধরা পড়েন, অন্য মানুষের সমস্যা এবং প্রয়োজন নিয়ে অতিরিক্তভাবে জড়িত থাকেন, তাহলে আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ জীবনের মজুত নেওয়ার ক্ষমতা আপনার থাকবে না। উন্নয়নের সত্যিকারের জীবন গড়ার শক্তি আপনার থাকবে না।

আমরা এমন বিষয়গুলির বিষয়ে কথা বলছি যা আপাত এবং আপনি পৃথিবীতে দেখতে পাবেন। নিজের অতীত ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই এটা দেখা যায়, আপনি এটি অন্যের আচরণ এবং আবেগ এবং বিভ্রান্তিতে স্পষ্ট দেখতে যায়। নিন্দা না করে দেখুন এবং আপনি দেখতে সক্ষম হবেন। এবং আপনার বোঝাপড়া জ্ঞানের প্রতি আপনার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করবে।

কারন জ্ঞান ছাড়া, আপনি পৃথিবীতে ভাসমান – অন্যদের মতামত দ্বারা পরিচালিত, বিশ্বের ঘটনা দ্বারা পরিচালিত, আপনার নিজের ভয় এবং আকাঙ্ক্ষা দ্বারা পরিচালিত, অলসতা এবং আতঙ্কের মাঝে অস্থির। যখন আপনি আপনার মন পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করবেন এবং দেখবেন কি দখল করছে এটাকে, কি কষ্ট দিচ্ছে, কি আধিপত্য বিস্তার করছে, তখন আপনি বিশ্বের প্রভাব দেখতে পাবেন। এবং আপনি দেখতে পাবেন যে কি মাত্রায় আপনাকে পিছনে ধরে রেখেছে।

আমরা এমন বিষয়গুলির বিষয়ে কথা বলছি যা বুঝতে সহজ, তবে মানসিক পরিবেশে এমন শক্তি রয়েছে যেগুলি বোঝা আরও কঠিন। আপনার চোখ এবং আপনার কান, আপনার সংবেদন এবং আপনার স্পর্শ দিয়ে আপনি কেবল জীবনের একটি নির্দিষ্ট বর্ণালীটির অভিজ্ঞতা লাভ করেন। আপনার অনুভূতিগুলি যা রিপোর্ট করতে পারে তার বাইরেও জীবন আছে।

মানসিক পরিবেশে মজবুত ও শক্তিশালী শক্তি রয়েছে, মানুষের চিন্তা ও আবেগকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী। বিভিন্ন বাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গায় যান যেখানে মানুষ একত্রিত হয় এবং আপনি সেখানে অনন্য মানসিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

কিছু জায়গা ভালো লাগবে । কিছু জায়গা তাদের দেখেই ভাল লাগবে না। প্রত্যেকেরই এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রকৃতির বাইরেও এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে আপনি অনিশ্চিত বা অবাঞ্ছিত বোধ করতে পারেন কারণ এখানেও সূক্ষ্ম শক্তি রয়েছে।

মানুষ ভিন্ন মাএায় এইসব জিনিসের প্রতি সংবেদনশীল । কিন্তু যখন আপনি আপনার সংবেদনশীলতা বিকাশ করবেন এবং যখন আপনার ইন্দ্রিয়গুলি আরও পরিশোধিত হবে তখন আপনার মানসিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হবে। এবং আপনি এখানেও দেখতে পাবেন কিছু বিষয় আছে যা এড়িয়ে চলার এবং কিছু বিষয় রয়েছে সচেতন থাকার।

আপনি আপনার পরিবেশের প্রতি আরো সংবেদনশীল হয়ে উঠবেন, এবং আপনার দৃষ্টি আরো গভীর ও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠবে। এটি আপনাকে অন্যান্য বিপদ এবং প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করবে যা আপনি সত্যিই বুদ্ধিগতভাবে হিসাব করতে পারবেন না।

এটি আপনার মনকে পরিশোধন এবং তার মনোযোগের প্রাকৃতিক ফলাফল, কিন্তু এই বৃহত্তর সংবেদনশীলতার সাথে, গভীর প্রজ্ঞা এবং বৃহত্তর আত্মসংযম এবং আত্মশৃঙ্খলা থাকতে হবে । এই আত্মসংযম ও আত্মশৃঙ্খলা ছাড়া আপনার সংবেদনশীলতা আপনার জন্য অন্যদের সাথে থাকা এবং জীবনের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কাজ করা আরো কঠিন করে তুলবে।

আপনার প্রত্যাহার এবং আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঝোঁক থাকবে। আপনি এখন কোনও ধরণের স্বাচ্ছন্দ্য বা সাফল্যের সাথে জীবনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক অথবা সক্ষম হবেন না। সেটা আপনার প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে নয়, কারণ আপনি আরো শক্তিশালী উপায়ে বৃহত্তর উদ্দেশ্য নিয়ে পৃথিবীতে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মানসিক পরিবেশেও বিপদ আসে। মহাবিশ্বের উপস্থিতি, শারীরিক উপস্থিতি আছে যারা আজ পৃথিবীতে, মানুষের দুর্বলতা ও বিভাজনের সুযোগ নিতে চাইছে। তারা মানসিক পরিবেশে একটি শক্তিশালী প্রভাব ফেলে এবং কিছু মানুষের উপর এই প্রভাবকে ফোকাস করতে পারে তাদের পরিকল্পনার দিকে অথবা তাদের প্রতিরোধকে দুর্বল করতে। জ্ঞানীরা এই বিষয়গুলো জানে। নির্বোধরা নিছক প্রভাবিত হয়।

বৃহত্তর শক্তি অর্জনের জন্য, আপনাকে বৃহত্তর দায়িত্ব অর্জন করতে হবে। এর মানে হল আপনি শুধুমাত্র যেকোন জিনিসের উপর সম্পূর্ণরূপে সাড়া দিতে পারবেন না, কিন্তু আপনি কি বলবেন এবং করবেন তার ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই বৃহত্তর সংযমের অনুশীলন করতে হবে। যে এই বিষয়ে সচেতন নয়, তার কাছে এটা তাদের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা মনে হবে, কিন্তু যে জ্ঞানের দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার কাছে এটি একটি মহান সমর্থন এবং একটি বড় উৎসাহ হিসেবে দেখা হবে।

এই জন্যই যদি আপনি জ্ঞানের দিকে পদক্ষেপ নিতে থাকেন, তাহলে জীবনের এই বৃহত্তর যাত্রা না করা মানুষগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও তাদের ভালো ইচ্ছা থাকে, তারা আপনার গভীরতর আহ্বান যা আপনাকে আপনার শক্তির কেন্দ্র এবং উত্সের দিকে আকর্ষণ করছে তা তারা সনাক্ত করতে ও সম্মান করতে পারবে না।

তারা বিভ্রান্তিকর হবে। তারা এখন আপনার জন্য ক্ষতিকর প্রভাব হয়ে উঠবে। এবং যদিও আপনি তাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না যদি তারা আপনার পরিবারের সদস্য বা অতীতে আপনার নিকটবর্তী কেউ হয়, তাহলে আপনাকে তাদের ব্যাপাবে আরও বড় বিচক্ষণতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

জ্ঞানের শক্তি আপনার সাথে আছে। বর্তমান আপনার সাথেই আছে । কিন্তু পৃথিবীর সবকিছু যা আপনাকে অতীতে কর্তৃত্ব করেছে এবং যা এখন আপনাকে কর্তৃত্ব করছে তাও আপনার সাথেই আছে। এবং এই জিনিসগুলি আপনাকে বিভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

অতএব, আপনার প্রস্তুতির সময়, বিশেষত শুরুতে, আপনাকে লোক, স্থান এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আপনার প্রকাশকে সীমাবদ্ধ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন মহান সংযম এবং মহান বিচক্ষণতা, যা অধিকাংশ মানুষ ধারন করে না, কারণ তাদের এসব অনুশীলন করার শক্তি নেই।

এখানে এমনকি আপনার শখ বা আপনার বিনোদন পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক। এটা কি আপনার জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে উপকারী? এটা কি সত্যিই আপনাকে অবকাশ দেয়? এটা কি সত্যিই আপনাকে বিশ্রাম দেয়? এটা কি জ্ঞানের সাথে আপনার জড়িত হওয়াকে সমর্থন করে? নাকি এটা অব্যাহতি পাওয়ার একটি রূপ, পালিয়ে যাওয়া? অনেক কিছুই আসলে এই শ্রেণীতে ফিট হয় এবং এই উদ্দেশ্য পরিবেশন করে।

সিনেমায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ তারা আপনাকে ছাপিয়ে যায় এবং শক্তিশালী ছবি দিয়ে আপনার মন ভরে যায় যা আপনার মন স্থির করতে এবং আপনার ভেতরের জীবন অন্বেষণ করতে শুরু করতে আরও কঠিন করে তোলে।

দেখুন সঙ্গীত আপনার জন্য কি করে। সব সময় বাজানোর চেয়ে দেখুন কেমন আবেগ, চিন্তা, অনুভূতি জাগায়। এটা কি সত্যিই আপনার জন্য উপকারী? অথবা এটা কি আপনাকে আপনার কষ্ট, আপনার স্পৃহা, আপনার আকাঙ্খা, আপনার হতাশার কথা মনে করিয়ে দেয়?

এই সব জিনিস পুনরায় মূল্যায়ন করা উচিত কারণ সবকিছু আপনার উপর প্রভাব ফেলছে, এবং সেই প্রভাব হয় সহায়ক নয়তো বাধা। এটা বুঝতে পেরে, তারপর, আপনাকে আপনার জীবনের সমস্ত জিনিস, মানুষ, স্থান এবং প্রভাবকে আরো উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মূল্যায়ন করার মানদণ্ড দেয়, বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং বিচক্ষণতার সাথে।

বৃহত্তর উদ্দেশ্য ও সততা নিয়ে জীবন যাপন করার স্বাধীনতা থাকলে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে, যা অনেক কিছুর কাছে হেরে গেছে। আপনি কার সাথে আছেন এবং আপনি কি করেন, আপনি কিভাবে আপনার সময় ব্যয় করেন এবং আপনার মন কোথায় যাওয়ার প্রবণতা এবং এবং আপনার উপর আপনার কার্যক্রমের প্রভাব এবং পরিনাম তা পুনরায় মূল্যায়ন করতে হবে। এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আগে অনেক কিছুই নির্দোষ, অথবা এমনকি আনন্দদায়ক বলে মনে হয়েছিল, তা সত্যিই একটি বাধা।

এটা সত্যিই নিজের প্রতি সৎ হয়ে ওঠা। এটি একটি দৃষ্টিকোণ বনাম অন্য দৃষ্টিকোণের বিষয় নয়। এটি একটি বিশ্বাস বা বিশ্বাসের সেট বনাম অন্যান্য বিশ্বাসের সেট সম্পর্কে নয়। নিজের প্রতি সৎ হওয়া, গভীর পর্যায়ে সৎ হওয়া।

এই ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পৃক্ততা বা এই কার্যকলাপ বা বিশ্বের সাথে জড়িত হওয়ার এই ধরন সম্পর্কে সত্যতা কি? সত্যিই সত্যি বলতে কি, কিছু উপকার হোক বা না হোক, এবং আপনি দেখবেন কিভাবে এবং এমনকি আপনাকে অবশ্যই এর সাথে জড়িত থাকতে হবে কিনা।

জ্ঞানের দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে নিজের প্রতি সৎ হওয়ার একটি প্রক্রিয়া এবং ফলে অন্যদের প্রতি সৎ-আপনার সাধনায় সৎ, আপনার মূল্যবোধের সৎ, অন্যদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সৎ, আপনি আপনার নিজের লক্ষ্য নির্ধারণে সৎ এবং কেন সেট করলেন সৎ।

জ্ঞান গভীর এবং সহজ কারণ এটি সম্পূর্ণ সৎ। আপনি জটিল এবং বিভ্রান্ত কারণ আপনি এখনও সম্পূর্ণ সৎ হননি। জ্ঞান শক্তিশালী, মনোযোগী এবং ক্ষমতাবান। তোমার মন বিচ্ছুরিত, বিভ্রান্ত এবং বিরোধিতা করার দিকে স্থির কারণ আপনি এখনও সম্পূর্ণ সৎ হওনি। আপনি সত্যিকারভাবে জীবনের সবচেয়ে গভীরভাবে যা জানেন এবং আপনার সত্য দিকনির্দেশনা নিয়ে এই শর্তে আপনি আসলে আসেননি, যা সত্যই সৎ হওয়ার সমস্ত ফলাফল।

এটি একটি উন্নত বিশ্বাস ব্যবস্থা থাকা সম্পর্কে নয়। এটা দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে নয়। মতামত ও ধারণার বিষয় নয়, কারন তার সবই মনের পৃষ্ঠদেশে।

আমরা এমন কিছু কথা বলছি যা আপনার মনের পৃষ্ঠের চেয়ে অনেক গভীর, এমন কিছু যা আপনার প্রকৃতির সাথে অন্তর্নির্মিত – যা আপনাকে পৃথিবীতে এনেছে এবং যা আপনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রতিফলিত হবেন, যা আপনার এখানে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রাথমিক এবং মৌলিক।

আপনি যখন জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, আপনার আন্তরিকতাটি নতুন ক্ষেত্রে প্রসারিত করার সুযোগ পাবেন এবং প্রশ্ন ছাড়াই আপনি সবসময় অনুমান বা বিশ্বাস করেছেন এমন জিনিস পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ পাবেন । এটা একটা খুব গভীর মূল্যায়ন।

এখানে আপনি দেখতে শুরু করবেন কোনটা ক্ষতিকর আর কোনটা উপকারী। এখানে আপনি সহজ আনন্দকে মূল্য দেবেন। এবং আপনি আপনার মন এবং জীবনকে এমন জিনিসগুলিতে বিলিয়ে দেওয়ার বিপদ এবং বিপত্তি দেখবেন যা আপনার জন্য সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি বা উদ্দেশ্য নেই।

এটা আপনার বোঝাপড়া হতে দিন।

বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে অপরিহার্য সত্য

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৩০ জানুয়ারী, ১৯৯৭ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

এই সময়ে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা এবং মানবতার কাছে এর সামগ্রিক গুরুত্ব উপস্থাপন করতে, আমরা উপলব্ধি করি যে আমরা আজ মানব সংস্কৃতিতে অনেক পছন্দের ধারণা এবং লালিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা অনেক প্রশ্ন এবং সম্ভবত বিভ্রান্তির একটি মহান চুক্তি উদ্দীপিত করছি। কিন্তু এটিই বাস্তবতা যা অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে, এবং মানুষকে অবশ্যই এটির অর্থ বোঝার জন্য এবং তাদের পূর্বের ধারণাগুলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে যদি তারা তাদের এটি করতে বাধা দেয়।

কারণ মানবতা তার বিকাশের একটি খুব কৈশোর পর্যায়ে রয়েছে, এটি অনেক আদর্শ এবং কুসংস্কারে ভরা যার বাস্তবতার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। পরিবর্তে, তারা মানুষের চেতনার আকাঙ্ক্ষা এবং ভয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। এত দৃঢ়ভাবে এগুলি মেনে চলতে পারে যে মানুষের পক্ষে নতুন কিছু শোনা খুব কঠিন হতে পারে। এই কিতাবে কী উপস্থাপন করা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে দেখা এবং স্পষ্টভাবে বোঝা তাদের পক্ষে খুব কঠিন হতে পারে।

আমরা এই অসুবিধাগুলি বুঝতে পারি, এবং আমরা যতটা সম্ভব স্পষ্টভাবে যে বাস্তবতাগুলি উপস্থাপন করছি তা স্পষ্ট করার চেষ্টা করব। তবুও আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনি নিজের জন্য দেখতে পাবেন এমন অনুকূল অবস্থান অর্জনের জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। এই কিতাবে যা উপস্থাপন করা হচ্ছে তা কেবল বিশ্বাস করাই যথেষ্ট নয়। আপনাকে অবশ্যই এটি নিজের জন্য অনুভব করতে হবে এবং আপনি অবশ্যই এটি পরিষ্কারভাবে দেখতে সক্ষম হবেন। এখানেই, আপনি অধিকাংশ কাজগুলো করেন।

আপনি যদি আপনার ব্যস্ততায় নিমজ্জিত থাকেন, আপনি যদি মানব আদর্শ এবং বিশ্বাসে নিমগ্ন থাকেন তবে আপনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিকোণ দেখতে পারবেন না এবং আপনি নিজের মধ্যে এবং আপনার চারপাশের বিশ্ব উভয়ের মধ্যেই বৃহত্তর শক্তিগুলিকে চিনতে পারবেন না, যা আপনার জীবন এবং আপনার ভাগ্য গঠন করছে। অতএব, আমরা আমাদের বাণীর সাথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি। আমরা বুঝতে পারি এটি কতটা মহান।

মানবতা হল বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভূত আরও একটি জাতি। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সমাজ এবং সংস্কৃতির বিশাল নেটওয়ার্ক জুড়ে, এই মুহুর্তে অন্যান্য জাতি রয়েছে যেগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভূত হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। আপনি এখন যেখানে আছেন তাদের কেউ কেউ এগিয়ে আছেন। অন্যরা অনেক পিছিয়ে।

সুতরাং এটি একটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেহেতু এটি কৈশোর থেকে যৌবনে পরিণত হওয়ার একটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আপনি ব্যক্তিগতভাবে আপনার জীবনে যেমন একটি বিবর্তনীয় অগ্রগতি করেছেন, তেমনি একটি জাতি হিসাবে মানবতারও একটি বিবর্তনীয় অগ্রগতি রয়েছে। এটি মানব সমাজ, মানব সংস্কৃতি, মানবিক ধারণা এবং মানব শিক্ষায় উদ্ভাসিত হয়।

এই মহাবিশ্বের সর্বত্র চলছে। তার খুব প্রকৃতির দ্বারা, বুদ্ধিমান জীবন অবশ্যই বৃদ্ধি এবং প্রসারিত হবে। এটাই এটিকে জীবনের অন্যান্য রূপ থেকে আলাদা করে, যা মহাবিশ্বের মহান ফ্যাব্রিকে একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করে।

আপনার মধ্যে এবং বিশ্বের মধ্যে উভয় মহান শক্তিগুলো মানবজাতির বিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রাক্তন শিক্ষার বাইরে যেতে এবং ধারণাগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হতে হবে, এমনকি যদি তারা আপনাকে এই পর্যন্ত পরিবেশন করে থাকে। শিক্ষা হল নতুন কিছু শেখা, আপনি যা আগে জানতেন তার বাইরে যাওয়া, নতুন উদ্ঘাটন অনুভব করা ইত্যাদি?

অতএব, যেহেতু আমরা আপনার কাছে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা উপস্থাপন করছি এবং আপনার কাছে এবং মানবতার কাছে এর অভূতপূর্ব গুরুত্ব, আমরা একটি বৃহত্তর শেখার সুযোগও উপস্থাপন করছি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেখার সুযোগ যা আপনি এই সময়ে পেতে পারেন।

আপনার শিক্ষার এই প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য, জীবনের একটি বৃহত্তর অনুকূল অবস্থান অর্জনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যেখান থেকে আপনি যা আগে দেখতে পারেননি তা দেখতে পাবেন এবং যা আপনি আগে জানতে পারেননি তা জানতে পারবেন, আমাদের অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় সত্য উপস্থাপন করতে হবে। বৃহত্তর সম্প্রদায়, আপনার বিশ্ব সম্পর্কে এবং আপনার অপরিহার্য আধ্যাত্মিক প্রকৃতি সম্পর্কে, কারণ তারা সকলেই সরাসরি সংযুক্ত। আমরা যা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি তা প্রথমে বোঝা কঠিন বলে মনে হতে পারে। এমনকি যদি আপনি মনে করেন যে আপনি এটি এখনই বুঝতে পারবেন, তবুও আপনার কাছে এখনও এমন অনুকূল অবস্থান নেই যেখান থেকে আপনি এটি দেখতে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে জানতে পারবেন।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করার জন্য, আপনাকে কিছু বিষয় বুঝতে হবে। এই বিষয়গুলো যদি স্বীকৃত না হয় এবং বোঝা না যায়, গুরুত্বের সাথে বিবেচনা না করা হয়, তাহলে আপনি বৃহত্তর সম্প্রদায়কে বুঝতে পারবেন না, এবং আপনি এর জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন না।

প্রথমত, আমরা যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কথা বলছি তা প্রাথমিকভাবে ভৌত মহাবিশ্বের জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করে, যদিও এর মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক প্যানোরামা যা আমরা পরে বলব। এই মুহুর্তে আমরা প্রাথমিকভাবে ভৌতিক বাস্তবতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

যখন আমরা জীবনের কথা বলি, তাই, বৃহত্তর সম্প্রদায়ে, আমরা ভৌতিক জীবন এবং ভৌতিক অস্তিত্বের কথা বলছি। আমরা ভৌতিক মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবনের কথা বলছি। এটা বোঝা দরকার যে বৃহত্তর সম্প্রদায় বিবর্তনের সমস্ত পর্যায়ে বুদ্ধিমান জীবনকে ধারণ করে – প্রারম্ভিক উত্থান, প্রাথমিক বিকাশ, বয়ঃসন্ধি এবং ক্ষয় অবস্থায় সংস্কৃতি।

আমরা আলোকিত প্রাণীর কথা বলছি না। আমরা দেবদূত শক্তি সম্পর্কে কথা বলছি না। আমরা আপনার মতো প্রকৃত শারীরিক প্রাণীদের কথা বলছি, যারা আপনার নিজের থেকে অনেক আলাদা পরিবেশে বেড়ে উঠেছে এবং আবির্ভূত হয়েছে এবং যাদের জীবনে একই অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছে: বেঁচে থাকা, প্রতিযোগিতা এবং সম্পর্কের সমস্যা।

তারা যে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে [এটি] মোকাবেলা করেছে তা তাদের অভিজ্ঞতার ভিন্ন ফলাফলের জন্য দায়ী। কিন্তু আপনার জন্য এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে কিছু কিছু জিনিস আছে যা আপনি তাদের সাথে এবং ভৌতিক মহাবিশ্বের সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের সাথে মিল রাখেন।

ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক বাস্তবতাগুলিকে বিভ্রান্ত না করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায়শই করা হয়, এবং ফলস্বরূপ আপনি কী নিয়ে কাজ করছেন তা স্পষ্টভাবে আপনার বোঝার ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ভৌতিক বাস্তবতা আধ্যাত্মিক বাস্তবতা [থেকে] বেশ ভিন্ন। এটি বিভিন্ন আইন অনুযায়ী কাজ করে। এটির বিভিন্ন প্রকাশ এবং একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।

একটি অস্থায়ী। অন্যটি স্থায়ী। একটি প্রাথমিকভাবে শিক্ষা এবং সেবা উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়. অন্যটি প্রাথমিকভাবে অবদানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। একটি হচ্ছে করার ক্ষেত্র। অন্যটি হচ্ছে সত্তার ক্ষেত্র। একটির জন্য দ্বন্দ্ব এবং প্রতিযোগিতার প্রচণ্ড শক্তির প্রয়োজন, এবং অন্যটিতে এই জিনিসগুলির অস্তিত্ব নেই।

এটি মানুষের জন্য বিভ্রান্তির এমন একটি প্রাথমিক ক্ষেত্র যা আমাদের অবশ্যই বারবার জোর দিতে হবে যে আপনি ভৌতিক শক্তি এবং শরীরী প্রাণীদের সাথে আচরণ করছেন। আপনাকে সাহায্য করার জন্য আপনাকে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক শক্তিগুলিকে ডাকতে হবে এই সত্যটি অপরিহার্য, তবে তাদেরকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিগুলির সাথে বিভ্রান্ত করবেন না যার সাথে আপনাকে লড়াই করতে শিখতে হবে।

এরপরে, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যখন বৃহত্তর সম্প্রদায় টার্মটা ব্যবহার করি, তখন আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায়ের কথা বলছি না, মহাবিশ্বে একটি মহান ভ্রাতৃত্বের কথা বলছি। আমরা স্বতন্ত্র সংস্কৃতি এবং স্বতন্ত্র বিশ্বের একটি বিশাল শ্রেণীবিন্যাসের কথা বলছি যেগুলি বিকশিত হয়েছে এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়েছে। এই মিথস্ক্রিয়া কিছু শান্তিপূর্ণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। এর মধ্যে কিছু বিতর্কিত এবং প্রতিকূলতায় পূর্ণ।

এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ বহু শতাব্দী ধরে মানুষ পরিত্রাণের জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, এই ভেবে যে সেখানে একটি উন্নত জীবন থাকতে হবে, তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান থাকতে হবে, জীবনযাপনের একটি উপায় থাকতে হবে যেখানে লোভ, হিংসা এবং ঘৃণার সমস্যাগুলির অস্তিত্ব নেই।

কিন্তু এটি শুধুমাত্র আপনার প্রাচীন বাড়িতে বিদ্যমান, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি ফিরে আসবেন। এবং এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে শুধুমাত্র জ্ঞানের খুব ছোট এবং বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান।

বৃহৎ প্রযুক্তিগত সমাজগুলি প্রকৃত আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং অগ্রগতি খুব কমই ধারণ করে এবং প্রদর্শন করে। তাদের ফোকাস নিয়ন্ত্রণ এবং অভিন্নতার উপর। এই ধরনের সমাজে ব্যক্তি স্বাধীনতা খুব কমই মুল্যায়িত হয়। বরং, তারা মিথস্ক্রিয়া একটি এক-মাত্রিক ফর্ম তৈরি করতে চায়, অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত।

অনেকের জন্য যারা এই বইটি পড়েছেন, এটি গভীরভাবে হতাশাজনক হবে, কারণ তারা ভেবেছেন: “কোথাও একটি আদর্শ জগত থাকতে হবে, এবং আদর্শ জগতের লোকেরা আমাদের শেখাতে আসবে কিভাবে নিজেকে আদর্শবান হতে হয়।”
এটি একটি অত্যন্ত গভীর আশা এবং প্রত্যাশা, তবে এটি অবশ্যই শুরুতেই সংশোধন করা উচিত, নতুবা পৃথিবীতে যা ঘটছে তাতে আপনি অন্ধ হয়ে যাবেন এবং আপনি নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি অন্যদের অভিজ্ঞতাগুলিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করবেন।

এমন সমাজ আছে যারা উচ্চ স্তরের আধ্যাত্মিক সচেতনতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা অর্জন করেছে, কিন্তু তারা বিরল। তারা ব্যতিক্রম। প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে এটিকে বিভ্রান্ত করবেন না।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতি এবং কৃতিত্ব মোটেও এক নয়। এটি খুব সহজেই বিভ্রান্তিকর, কারণ যদি কারও কাছে এমন প্রযুক্তিগত ক্ষমতা থাকে যা আপনার কাছে জাদুকরী বলে মনে হয়, তাহলে আপনি ভাববেন যে তারা জাদুকরী প্রাণী, বা তারা খুব উচ্চ বিকশিত, বা তারা খুব পরার্থপর, বা তাদের মহান সমবেদনা এবং ভালবাসা। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়।

সর্বোপরি, আজ মানুষের কাছে দুর্দান্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে যা মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে কল্পনাও করা যেত না, এবং তবুও মানবতা কি আধ্যাত্মিক উপায়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে? মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে সহিংসতা কি মুছে ফেলা হয়েছে? লোভ কি সংশোধন করা হয়েছে? মানব সমাজ জুড়ে কি সহযোগিতা ও সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে? এগুলোর উত্তর সুস্পষ্ট। এবং এখনও প্রযুক্তিগতভাবে, মানবতা এমনকি তার নিজের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ে দুর্দান্ত প্রযুক্তিগত সমাজ রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলি রয়েছে, কারণ প্রযুক্তি শেখা যায় এবং ব্যবসা এবং বিনিময় করা যায় এবং বাণিজ্যের রাজ্যে আনা যায়।

কিন্তু জ্ঞানের পথে বিকাশ, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে যার অর্থ আধ্যাত্মিক বিকাশ, তা বিরল, ঠিক যেমনটি আপনার বিশ্বের মধ্যে বিরল। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিটি মানুষ একটি কম্পিউটারের মালিক হতে পারে, সম্ভবত, কিন্তু কতজন লোক মানুষের আত্মার অভ্যন্তরীণ কাজ বুঝতে পারে বা মানুষের সম্পর্ক বা মানসিক পরিবেশের দুর্দান্ত গতিশীলতা উপলব্ধি করার সুযোগ আছে যা তাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করে? অতএব, একটি অপরিহার্য সত্য বুঝতে হবে যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সক্ষমতা আধ্যাত্মিক অগ্রগতি এবং সক্ষমতার মতো এক নয়।

আপনি বাস্তব, দৈহিক, নশ্বর প্রাণীদের সঙ্গে আচরণ করছেন যে পাশাপাশি বুঝতে. তারা মৃত্যুকে আয়ত্ত করেনি। এবং যেহেতু ভৌতিক মহাবিশ্বে প্রযুক্তি কী করতে পারে তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারা সর্বশক্তিমান নয়। তারা যা অর্জন করতে সক্ষম তার কারণে তারা আপনার কাছে কিছু ক্ষেত্রে ঈশ্বরের মতো মনে হতে পারে, তবে তারা আপনার চেয়ে বেশি ঈশ্বরের মতো নয় এবং প্রকৃতপক্ষে একই ধরণের মনস্তাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি দ্বারা আচ্ছন্ন যা আপনার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ এবং সীমিত করে।

এর পরে, এটি উপলব্ধি করা অপরিহার্য যে বিশ্বে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি এবং এই সময়ে তাদের আগমন এবং পৃথিবীতে তাদের কাজ এবং কার্যকলাপের সাথে মানুষের আধ্যাত্মিক বিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। অন্য কথায়, তারা এখানে মানবিক ফরমান বা মানুষের ভাগ্য সরাসরি পূরণ করতে আসেনি। সত্য যে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে যে মানবতাকে শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আবির্ভূত হতে হবে এর অর্থ এই নয় যে এখানে থাকা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিগুলি এটিকে সমর্থন করে।

আমরা যেমন বলেছি, তারা এখানে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে এসেছে। এটি মানুষের পক্ষে বোঝার জন্য একটি খুব কঠিন ধারণা কারণ তারা মনে করে যে আকাশ থেকে আসা কিছু অবশ্যই দেবদূত বা শয়তানী হতে হবে এবং প্রাচীন মানব ভবিষ্যদ্বাণীগুলি পূরণ করার সাথে অবশ্যই কিছু করার থাকতে হবে এবং মানবতার সম্পর্কে হতে হবে। কারণ বিশুদ্ধ মানব দৃষ্টিকোণ থেকে, মানবতা মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং সবকিছু তার চারপাশে আবর্তিত হয়। আর যদি এখানে বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে থাকে, তা অবশ্যই মানবতার ব্যাপারে হতে হবে; এটি অবশ্যই মানবতাকে সমর্থন করতে বা মানবতার জন্য কিছু করতে এসেছে।

এটি একটি মারাত্মক ত্রুটি। এই ভুল করবেন না। আজ বিশ্বে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি তাদের নিজস্ব কার্যকলাপ, প্রেরণা এবং প্রকল্পের ফলাফল এবং একটি প্রযুক্তিগত সমাজ হিসাবে মানবতার উত্থান যার নিজস্ব সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

এখন বাইরে থেকে মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা এই বিবর্তনীয় পর্যায়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত, তবে এটি মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রগতি সম্পর্কে নয়। মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রগতি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুতির ফল হবে। এবং এটি একটি বৃহত্তর এবং আরো সহানুভূতিশীল এবং কার্যকর মানব সমাজে পরিণত হবে।

আপনার দর্শকরা আপনাকে এটি দেবে না। প্রকৃতপক্ষে, আপনার দর্শকদের অধিকাংশই আপনার মতো আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত নয়। তাদের বৃহত্তর প্রযুক্তি এবং সামাজিক সংহতি রয়েছে, কিন্তু তাদের কাছে সেই সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য নেই যা পৃথিবীতে মানবতার বেশিরভাগ অংশে রয়েছে। তারা এখানে এসেছে আরো অশ্লীল কারণে।

প্রায়শই লোকেরা বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে তাদের সচেতনতাকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে, তা যতই ছোট হোক না কেন, তাদের বিশ্ব দৃষ্টিতে বা জীবনের আধ্যাত্মিক বোঝার মধ্যে। এখানে স্তরে স্তরে বিভ্রান্তি রয়েছে, আধ্যাত্মিক এবং ভৌতিক জীবনের মধ্যে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। মানুষ সবকিছুকে এক এবং একই করার চেষ্টা করে। জীবন একটি, কিন্তু এটি অস্তিত্বের বিভিন্ন স্তরে ভিন্নভাবে কাজ করে, এবং আপনি স্তরগুলিকে বিভ্রান্ত করতে পারেন না যদি আপনি তাদের মধ্যে কী আছে তা বোঝার আশা রাখেন।

এর পরে, আপনি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বুদ্ধিমত্তা, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেরণা, বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা সম্পূর্ণরূপে মানব দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে সক্ষম হবেন না। আপনাকে একটি বৃহত্তর সুবিধাজনক অবস্থান অর্জন করতে হবে।

সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যা দিয়েছেন তার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আপনি যদি আপনার নিজের মানবিক ধারণা থেকে এটিকে বিশুদ্ধভাবে দেখেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন না। সেজন্য একটি প্রস্তুতির প্রয়োজন – আপনাকে একটি উচ্চ সমতলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সিঁড়ি, জীবনের পাহাড়ের একটি উচ্চ সুবিধাজনক অবস্থানে যাতে আপনি জমির স্তর দেখতে পারেন, যাতে আপনি গাছের ছাদের ওপারে দেখতে পারেন, যাতে দেখতে পারেন আপনি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং আসলে কি ঘটছে।

আমি আশা করতে পারি না যে আপনি এই বইটিতে আমরা যা এখানে উপস্থাপন করছি তা আপনি কেবল বুঝতে পারবেন, তবে শুরু করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বোঝাপড়া থাকতে হবে – সেই যাত্রা শুরু করার জন্য, সেই উচ্চতর সুবিধাজনক অবস্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য।

একইভাবে, আপনি এর উত্তর দেওয়ার জন্য মানব ধর্মের দিকে ফিরে যেতে পারবেন না, কারণ এই ধর্মগুলি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য দায়ী হতে পারে না।

মানব ইতিহাসের মহান আধ্যাত্মিক শিক্ষকরা, যদিও বিশ্বের মধ্যে প্রধান, যদিও তাদের কর্মক্ষমতা এবং প্রদর্শনে অসামান্য, একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে, খুব ছোট পরিসংখ্যান। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক বাস্তবতাও প্রতিনিধিত্ব করে। এবং আপনি একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং উপলব্ধি অর্জন করার সাথে সাথে ঈশ্বর কে এবং কীভাবে দ্শ্যমান জীবনে ঐশ্বরিক কাজগুলি সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ ধারণা গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অর্থ বা কেন এটি এখানে রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করার জন্য প্রাচীন গ্রন্থগুলির দিকে ফিরে যাবেন না, কারণ তারা আপনাকে বলতে পারে না। তখন সে শিক্ষা ছিল না। সে সময় এই বাণীর প্রয়োজন ছিল না।

প্রাচীন ঐতিহ্য, যদিও গুণে সমৃদ্ধ, তবে প্রাথমিকভাবে সভ্যতার ভিত্তি হিসাবে সহানুভূতি ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পর্কিত ছিল। তারা মানবতাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ে উত্থানের জন্য প্রস্তুত করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল না। পরিবর্তে, তারা মানবতাকে এমনকি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত করতে সক্ষম করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল। অন্য কথায়, তারা এখন আপনি যেখানে আছেন তার ভিত্তি স্থাপন করেছে। তবে এটি একটি নতুন শুরু। এটি একটি নতুন সূত্রপাত।

এর পরে, বুঝতে হবে যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ে সমস্ত জাতি বেঁচে থাকার সমস্যাগুলির সাথে মোকাবিলা করছে, যেমন মানবতা। মহাবিশ্বের উচ্চ প্রযুক্তিগত সমাজগুলি প্রায়ই তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করে, যেমন মানবতা এখন করছে। এর জন্য প্রয়োজন যে তারা সম্পদ অর্জনের জন্য অন্য জগতে ভ্রমণ করে এবং ব্যবসা ও বাণিজ্যের জন্য কিছু প্রেক্ষাপটে জড়িত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। এটি তাদের সংস্কৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। অনেক ক্ষেত্রে, তারা শক্তিশালী জাতি দ্বারা পরাজিত হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে, তারা টিকে থাকতে এবং তাদের নিজস্ব পরিচয় বজায় রাখতে সক্ষম হয়। তারা জীবনের শারীরিক প্রয়োজনীয়তা আয়ত্ত করতে পারেনি, যেমন এখানে পৃথিবীতে আশা করা হয়। তাদের নিজেদের শারীরিক চাহিদা মোকাবেলা করতে হবে। তাদের অবশ্যই অন্যান্য জাতি সম্পর্কিত নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। এবং তাদের অবশ্যই মানসিক পরিবেশে কার্যকরী হতে হবে, যেটা এমন একটা বিষয় যা আমরা পরে বলবো।

প্রকৃতপক্ষে, দৈহিক চাহিদাগুলি আরও বেশি হয়েছে কারণ তাদের আরও সংস্থান দরকার। বৃহত্তর সম্প্রদায়ে তাদের আরও বেশি নিরোধক প্রয়োজন। প্রাথমিক উপকরণ সরবরাহ করার জন্য তাদের প্রায়শই অন্যান্য জাতিদের উপর নির্ভর করতে হয়। এটি অনেক উপায়ে একটি অধিক চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন অস্তিত্ব।

প্রযুক্তি অনেক ছোট সমস্যা সমাধান করতে পারে সত্য হওয়া সত্ত্বেও, এটি আরও অনেক বড় সমস্যা তৈরি করে। এই কারণেই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, জ্ঞানীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকে এবং প্রচুর ভ্রমণ ও বাণিজ্যে জড়িত হয় না। এর কিছু মৌলিক কারণ রয়েছে, যা আমরা পরে বলব।

কিন্তু আপাতত, আপনার জন্য এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যে জাতিগুলির মুখোমুখি হবেন, আসলে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ জাতি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় এবং অন্যদের সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কের ক্ষেএে এবং তাদের নিজস্ব পরিবেশগত সমস্যার সাথে তাদের প্রচণ্ড সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বোঝার কারণ এখানে আপনি বুঝতে শুরু করেন কেন তারা এখানে পৃথিবীতে থাকতে পারে। তারা মহাবিশ্বের চারপাশে ভ্রমণ করছে না ভালো কাজ করে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজছে। তারা তাদের ক্ষমতা, তাদের নিরাপত্তা, তাদের সম্পদ ইত্যাদি প্রসারিত করতে চাইছে।

এবং যেহেতু এই পৃথিবীটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অনেক স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য একটি খুব দীর্ঘ সময় ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠেছে, তাই এর রয়েছে দারুণ আকর্ষনীয়তা এবং গুরুত্ব। এবং যেহেতু এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের একটি অত্যন্ত জনবহুল এলাকায়, তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, এটির একটি কৌশলগত গুরুত্বও রয়েছে, যার সম্পর্কে মানবতার কোনো সচেতনতা নেই।

জঙ্গলে ছোট্ট উপজাতির উপমা বিবেচনা করুন। বাইরের সংস্কৃতির জন্য তাদের অবস্থান বা সম্পদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে তাদের কি কোনো ধারণা আছে? এবং এখনও এই সংস্কৃতিগুলি আবিষ্কৃত, দূষিত এবং চিরতরে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য এটি প্রেরণাদায়ক কারণ। আমাদের এখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে।

অতএব, যা আপনার দর্শকদের অনুপ্রাণিত করেছে তা হ’ল মানুষের সুখের যত্ন এবং উদ্বেগের জন্য নয়, বরং সম্পদের প্রয়োজনের জন্য, সুরক্ষার প্রয়োজনের জন্য এবং ক্ষমতার প্রয়োজনের জন্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম হল আপনার মিত্ররা, যারা মৌলিকভাবে আপনার সততা এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে আপনার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু তারা ঐ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে না যারা আজ বিশ্বে অবস্থান করছে, কারণ তারা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে না।

এটি আপনার বৃহত্তর সম্প্রদায় শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ, এবং এটি প্রথমে বিবেচনা করা খুব কঠিন হতে পারে। [[[কারণ জীবনের অন্যান্য রূপের বাস্তবতা এবং মানবতার জন্য তাদের প্রত্যাশিত সুবিধা বিবেচনা করে এত বেশি আশা এবং প্রত্যাশা, এত বিশ্বাস এবং কল্পনা রয়েছে যে এটি বিবেচনা করা খুব কঠিন বিষয় হতে পারে।

কিন্তু এর সাথে আত্মনির্ভরশীলতার প্রয়োজনীয়তা, উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী ও যোগ্য হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটাই মানবতার দরকার। এবং এটাই অবশ্যক।

এখানে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে যা মানবতাকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করার জন্য রয়েছে, কিন্তু তারা বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে আপনার প্রকৃত [শরীরী] দর্শনার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে না।

বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্প্রদায়ের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক- যার মধ্যে কিছু ব্যবসা ও বাণিজ্যের সাথে জড়িত এবং কিছু নয়। কেউ কেউ ছায়াপথের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বাস করে; অন্যরা অধিক জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাস করে।

এটা প্রত্যাশিত নয় যে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই নেটওয়ার্কটি কতটা বিশাল বা এটি কীভাবে কাজ করে, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি বুঝতে পারবেন যে কিছু বাস্তবতা বৃহত্তর সম্প্রদায়ে বিদ্যমান এবং মানবতার ভবিষ্যতের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

আমরা আবার বলি যে আমরা যখন এই ধারণাগুলি উপস্থাপন করি, তখন আমরা এমন কিছু প্রত্যাশা এবং বিশ্বাসের সাথে মোকাবিলা করছি যা মানব সংস্কৃতির মধ্যে বিদ্যমান নেই, যা এই জিনিসগুলিকে স্পষ্টভাবে বোঝা বা দেখতে খুব কঠিন করে তোলে।

কিছু মানুষ মনে করে যে সেখানে ভয়ানক শক্তি রয়েছে, যুদ্ধবাজ এবং ধ্বংসাত্মক। অন্যরা বিশ্বাস করে যে তারা সকলেই দেবদূত ভাই যারা মানবতাকে একটি নতুন মাত্রায় সাহায্য করতে এখানে এসেছেন। আর এই চরম দৃষ্টিকোণগুলির মাঝেই আছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা।

তবে আপনাকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে দেখতে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে শিখতে হবে। একটি প্রেমময় উপলব্ধি এবং একটি ভয়ের মধ্যে এটি একটি পছন্দ নয়। আবার, আমরা বলি এটি আপনি দেখতে পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না সেটা নিয়ে।

মানব ইতিহাসের সমস্ত মহান ঘটনা যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং যেগুলি বিদ্যমান রয়েছে, কিছু লোক কী ঘটছে তা দেখতে পারে এবং অনেক লোক তা দেখতে পারেনি। কিছু লোক একটি মহান সংঘাতের উত্থান দেখতে পারে; অনেকেই পারে না। কেউ কেউ একটি বড় সংঘর্ষের ফলাফল দেখতে পারে; অনেকেই পারে না। কেউ কেউ সেই অনুযায়ী এবং দায়িত্বের সাথে কাজ করতে পারে এবং একটি ইতিবাচক এবং অবদানকারী ভূমিকা নিতে পেরেছে; অনেকেই পারেনি।

এখন এমনই হবে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা বিশ্বে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলে, মানুষ তাদের অবস্থানে এবং তাদের মনোভাবের ক্ষেত্রে আরও মেরুকৃত হয়ে উঠবে। বৃহত্তর বিরোধিতা, বৃহত্তর অস্বীকার, বৃহত্তর ফ্যান্টাসি থাকবে কারণ এই বৃহত্তর বাস্তবতার সাথে মোকাবিলা করার জন্য অনেক লোক প্রস্তুত থাকবে না। তারা তাদের পুরানো ধারনা ও অভ্যাসের দিকে ফিরে যাবে এবং কেউ কেউ এর অস্তিত্বকে পুরোপুরি অস্বীকার করবে। কিন্তু মানুষের ব্যাপারে সবসময় এমন হয়ে আসছে।

যাইহোক, এটি অপরিহার্য যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে শিক্ষিত হয়ে ওঠে এবং কীভাবে বিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার সাথে এটির কাছে যেতে হয় তা শিখে। এটি ফলাফলে সমস্ত পার্থক্য তৈরি করবে।

অনুধাবন করার পরবর্তী অপরিহার্য বিষয় হল যে মানবতা বর্তমানে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত নয়। এটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তুত নয়। এটা রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত নয়। এটি তার ধর্মীয় ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুত নয়, যা এই প্রেক্ষাপটে মানুষকে পিছিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে।

এই প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা এত বড় এবং এত গভীর, এবং অনেক মানুষ প্রস্তুত করার জন্য, ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য, শক্তিশালী এবং আরও দক্ষ হয়ে উঠতে, জ্ঞানী এবং আরও বিচক্ষণ হওয়ার জন্য কিছু করার প্রয়োজন অনুভব করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য কোন প্রস্তুতি নেই।

আমরা যেমন বলেছি, আপনি মানবধর্ম ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনি একটি বৃহত্তর প্যানোরামায় জীবন সম্পর্কে শিখতে মানব মনোবিজ্ঞান ব্যবহার করতে পারবেন না। বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে আপনার বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে একটি শিক্ষার প্রয়োজন। আপনার এমন একটি শিক্ষার প্রয়োজন যার উৎস স্রষ্টার কাছ থেকে তার বিশুদ্ধতা, এর ক্ষমতা এবং জীবনের প্রয়োজনীয়তার গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য।

প্রস্তুতি এখন এখানে। কিন্তু প্রশ্ন হল, “মানুষ কি প্রস্তুতি নেবে? আপনি কি প্রস্তুতি নিবেন?” অথবা আপনি দূরে পড়ে যাবেন লুকানোর জায়গা খুঁজতে যেতে, বিশ্বের এমন একটি সুখী জায়গায় বাস করতে যেখানে সবকিছুই আনন্দদায়ক এবং তৃপ্ত বলে মনে হয়, নিজেকে সুন্দর বস্তু, সুন্দর দর্শনীয় স্থান এবং শব্দ দিয়ে ঘিরে রাখতে এবং বিশ্ব সম্পর্কে সুন্দর চিন্তা করা যে পৃথিবীতে প্রবেশ করছে একটি ভয়ানক পরিস্থিতি?

এমনকি যদি বৃহত্তর সম্প্রদায় এখানে নাও থাকত, তবুও এই অবস্থাই হত। কারণ পৃথিবী অবনতির দিকে, এবং মানবতা এর দায় নেয়নি। কিন্তু যেহেতু বৃহত্তর সম্প্রদায় এখানে রয়েছে, এটি সমগ্র পরিস্থিতির পরিবর্তন করে এবং একটি অনুপ্রেরণা প্রদান করে যে সব জায়গার মানুষকে তাদের ব্যস্ততার ঊর্ধ্বে উঠতে, অস্বীকার এবং কল্পনার প্রবণতার ঊর্ধ্বে উঠতে, একটি বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে হবে। এবং যেহেতু প্রস্তুতিটি এখানে ‘বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জ্ঞানের পথ’ – এর আকারে রয়েছে, তাই অবশেষে মানুষের কাছে প্রস্তুতি নেওয়ার এবং সরাসরি প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় রয়েছে।

মানবতা প্রস্তুত নয়। আপনি যদি এই সম্পর্কে চিন্তা করেন, আপনি যদি খোঁজ করেন এবং দেখতে পান যে লোকেরা কোথায় নিজেদের বিনিয়োগ করছে; কি মানুষকে সর্বত্র ব্যস্ত করে রাখে; যেখানে তারা তাদের সময়, তাদের শক্তি এবং তাদের সম্পদ উৎসর্গ করে; তারা কী গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং কী তাদের মনোযোগকে প্রাধান্য দেয়, আপনি দেখতে পাবেন যে খুব কম লোকই এখনও সেই মহান ঘটনাগুলির সাক্ষ্য দিতে পারে যা এখন ঘটছে এবং যা আসবে।

আরেকটি অপরিহার্য সত্য যা হওয়া আবশ্যক যে বৃহত্তর সম্প্রদায় মানবতাকে প্রযুক্তি দেবে না যদি না তারা চায় মানবতা নির্ভরশীল হয়ে উঠুক। তারা চায় মানবতা নির্ভরশীল হয়ে উঠুক। এটি একটি অপরিহার্য ধারণা। আবার, অনেকে যারা এই বিষয়ে চিন্তা করেছেন তারা মনে করেন যে দর্শনার্থীরা মানবতার জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি নিয়ে আসবে, যা মানবতার অনেক সমস্যার সমাধান করবে কারণ প্রযুক্তিকে এখন সংরক্ষণের অনুগ্রহ হিসাবে দেখা হচ্ছে। পূর্ববর্তী সময়ে, দূরদর্শিতাকে সংরক্ষণের অনুগ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হত। এখন এটা প্রযুক্তি।

যাইহোক, প্রযুক্তি এটি সমাধান করার চেয়ে আরও বেশি সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু আপনার জন্য শুরুতেই বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো প্রযুক্তি যদি মানব সরকারকে দেওয়া হয়, উদাহরণস্বরূপ, এটি মানবতার কল্যাণের জন্য ততটা হবে না যতটা এটি একটি প্রয়োগ বা মানব বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের উপায় হবে। সর্বোপরি, যদি মানবতাকে প্রযুক্তির একটি দুর্দান্ত অংশ দেওয়া হয় এবং মানবতার প্রয়োজন হয় এবং এটির উপর নির্ভরশীল হয়, কিন্তু এর উত্স বাইরের বিশ্ব থেকে হয়, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি সত্যিই খুব অল্পের বিনিময়ে অনেক কিছু দিয়েছেন।

বৃহত্তর সম্প্রদায়কে যে প্রকৃত উপহার দিতে হবে তা হল এর উপস্থিতির বাস্তবতা এবং এর অভিপ্রায়ের বাস্তবতা। এটি জাগ্রত এবং প্রস্তুত করার একটি আহ্বান। এটি একটি লক্ষণ নয় যে মানবতাকে আরও বিনামূল্যের জিনিস দেওয়া হবে। মানবতাকে অবশ্যই তার ঘুম থেকে জাগ্রত হতে হবে এবং পরিণত হতে হবে, জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায় বাহিনী এসে বিশ্বের সমস্যার সমাধান করবে না, অন্তত মানবতার জন্য নয়। তারা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উপর জোর দেবে, তবে এটি তাদের ব্যবহারের জন্য এবং প্রাথমিকভাবে আপনার জন্য নয়। মানুষ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর রূপের প্রতিলিপি তৈরি করতে, ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করার জন্য এখন প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এবং কয়েক দশক ধরে চলছে।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তির কাছে উন্মুক্ত হাত দিয়ে, ভিক্ষা ও অনুনয়-বিনয় করে, তাদের ক্ষমতার জন্য লোভী, তাদের প্রযুক্তির জন্য লোভী হয়ে আসবেন না, কারণ এটি আপনাকে ফাঁদে ফেলবে এবং এটি আপনাকে অন্ধ করে দেবে। এখানে আপনি আপনার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি হারাবেন।

এর পরে, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রভাবগুলি প্রাথমিকভাবে বিশ্বের সরকারগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে। আমরা যখন মানসিক পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের বক্তৃতা দেব তখন আমরা এই বিষয়ে গভীরভাবে কথা বলব। তবে আপনার জন্য এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রভাবটি সম্ভবত একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার উপর পরিচালিত হবে না কারণ সমগ্র বিশ্বে আপনার তেমন প্রভাব নেই, তবে এটি নির্দেশিত হবে বিশ্বনেতাদের উপর, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপর, যারা ক্ষমতার বাস্তব রূপের অধিকারী তাদের উপর। তারা প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দু হবে। এর অর্থ এই নয় যে সমস্ত কর্তৃপক্ষ, সমস্ত সরকার সরাসরি প্রভাবের অধীনে, তবে এটিই ফোকাস। এখানেই প্রভাব ফোকাস করা হবে এবং এখন ফোকাস করা হচ্ছে।

এখন এর আরও কিছু প্রকাশ রয়েছে যা আমরা পরে বর্ণনা করব, তবে এটি বোঝা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি উপলব্ধি করতে পারেন যে বিশ্বের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিগুলি আজ তাদের নিজস্ব প্রয়োজন দ্বারা চালিত হচ্ছে, যে প্রয়োজনের সাথে আপনিও সম্পর্কিত করতে পারেন এবং বুঝতে পারেন, তাহলে তারা এখানে কেন রয়েছে তা আপনাকে আরও পরিষ্কার ধারণা দেবে। তাহলে আপনি তাদের শুধু ভালো বা মন্দ দেখতে পাবেন না। আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন কি তাদের চালিত করে আর কিসে তাদের উদ্বেগ। এখানে আমরা মহাবিশ্বের একটি রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে একটি বাস্তব সম্পর্কে এসেছি।

এর পরে, আপনার জন্য এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের একটি আধ্যাত্মিক প্রকৃতি রয়েছে, কিন্তু এই আধ্যাত্মিক প্রকৃতি তাদের মধ্যে সুপ্ত এবং অনুন্নত হতে পারে যেমনটা মানুষের মধ্যে হতে পারে। অনেক উচ্চ প্রযুক্তিগত সমাজে, যে সমাজ প্রায়শই ভ্রমণ এবং বাণিজ্যের সাথে জড়িত, এই আধ্যাত্মিক বাস্তবতা খুব দমিত এবং খুব নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

সর্বোপরি, একটি উচ্চ প্রযুক্তিগত সমাজ যাকে তাদের ক্রিয়াকলাপগুলিকে সুবিশাল দূরত্ব জুড়ে সমন্বয় করতে হবে তা অত্যন্ত ব্যক্তিবাদী প্রাণীদের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না যাদের তাদের গাইড করার জন্য তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রেরণা রয়েছে। বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে এর প্রকাশ যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়।

এখানে আবার এটা উপলব্ধি করা অপরিহার্য যে যারা আপনাকে শারীরিকভাবে দেখার জন্য এখানে ভ্রমণ করেছেন তারা উচ্চ বিকশিত আধ্যাত্মিক প্রাণীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না – বুদ্ধিমান, সক্ষম, প্রযুক্তিগত, মানসিক পরিবেশে শক্তিশালী, মানসিক প্ররোচনা করতে সক্ষম, হ্যাঁ। কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত, না।

এখানে আপনি বুঝতে শুরু করতে পারেন যে বৃহত্তর সম্প্রদায়টি একই রকম অনেক সমস্যা সহ বিশাল বৃহত্তর বিশ্বের মতো। একটি সুযোগ-সন্ধানী বাস্তবতা হওয়ার পরিবর্তে যে আপনি যা চান তা আপনাকে দেয় এবং বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান করে; এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন সমস্যা এবং একটি সম্পূর্ণ নতুন সুযোগ তৈরি করে। এর সুযোগগুলোই রক্ষাকারী। এটি তার মুক্তির বৈশিষ্ট্য। তবে আপনি যদি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেন তবেই আপনি এগুলির সুবিধা নিতে পারেন।
এর পরে, এটি বোঝা অপরিহার্য যে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কার্যকলাপের প্রাথমিক ফোকাস দুটি প্রাথমিক ক্ষেত্রে। আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি যে বিশ্ব সরকারগুলির উপর ফোকাস থাকবে। দ্বিতীয়টি বিশ্ব ধর্মের উপর।

ধর্মের রাজ্যেই মানুষ সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে কম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সবচেয়ে সহজে প্ররোচিত। এখানেই মানুষ অবর্ণনীয় কারণে তাদের সর্বোত্তম স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করবে। মনে করবেন না যে এই কারণগুলি এবং এই প্রেরণাগুলি সনাক্ত এবং ব্যবহার করা যাবে না।

বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে আজ পৃথিবীতে এমন কিছু শক্তি রয়েছে যা আপনার বিছানার পাদদেশে আবির্ভূত যিশুর চিত্র তৈরি করতে পারে। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এটা বাস্তব নাকি না? তারা মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারে এবং এটি আপনার মনে অভিক্ষেপ তৈরি করতে পারে। আপনি কিভাবে বুঝবেন এটা বাস্তব কিনা? অনেকে সহজভাবে অনুসরণ করবে, ফল দেবে, হাঁটু গেড়ে পড়বে, আত্মসমর্পণ করবে, চিত্র তাদের যা করতে নির্দেশ দেবে তাতে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবে।

কার বিচক্ষণতা আছে? এর মতো অভিক্ষেপ অনুমান থেকে বাস্তবতাকে চিনতে পারার ক্ষমতা কার আছে? যা বাস্তব তা চিনতে এবং যা নয় তা থেকে আলাদা করার ক্ষমতা কার আছে? বিশ্বের প্রত্যেকেরই এই সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার এই সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এটা কি যথেষ্ট বিকশিত হয়েছে? আপনি কি এমন একজন ব্যক্তি হয়ে উঠবেন যে উপস্থাপনাটি যতই প্ররোচিত হোক না কেন সহজে বোকা বানানো যায় না?

মানবধর্ম মানবতার জন্য মহান পুণ্য এবং মহান প্রতি শ্রুতির উৎস। কিন্তু এটি বৃহত্তর কুসংস্কার, বৃহত্তর অবিশ্বাস ও ভুল বোঝাবুঝির আখড়াও বটে।

সরকার যেমন তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করে, বৃহত্তর সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করতে পারে। এটি ধর্মের খুব বড় সম্প্রদায়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে যা অনেক, অনেক লোকের উপর অসাধারণ প্রভাব ফেলে। এখানে অনেককে প্রভাবিত করার জন্য আপনার শুধুমাত্র কয়েকজনের প্রভাব প্রয়োজন। এটা করা কঠিন মনে করবেন না। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি কঠিন নয়।

এই কারণেই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং জাতি যে কোনও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ বা চাষ করতে সক্ষম হয়েছে তাদের অন্যদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সাবধানে রক্ষা করতে হয়েছে। এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের একটি বাস্তবতা। এটি একটি বাস্তবতা যা আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে।

এই বক্তৃতায় আমরা যা উপস্থাপন করছি তা হল আপনাকে একটি ভিত্তি দিতে, আপনাকে সত্য ও বোঝার ভিত্তি দিতে। এটা আপনাকে ভয় দেখানোর জন্য নয়। এটি আপনাকে একটি মজবুত ভিত্তি দেওয়া, যা আসলে পৃথিবীতে পাওয়া খুব কঠিন।

বেশিরভাগ মানুষই বাস্তবতা এবং কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তার প্রকৃতি বুঝতে পারে না। এবং তারা জানে না মানসিক পরিবেশে তাদের কী প্রভাব ফেলছে।

অতএব, আমরা বুঝতে পারি যে এটি চ্যালেঞ্জিং, তবে এটি অবশ্যই সহজভাবে এবং স্পষ্টভাবে দেওয়া উচিত যেমনটা সত্যিই তেমন, নতুবা আপনি এমন প্ররোচনার কাছে নতিস্বীকার করবেন যা আপনি সম্ভবত বুঝতে পারবেন না, এবং আপনি আপনার মধ্যে, আপনার চিন্তা এবং আবেগের মধ্যে, কি ঘটছে তা পার্থক্য করতে সক্ষম হবেন না, বা আপনার চারপাশের বিশ্বের কি ঘটছে।

আপনি খুব পরিষ্কার চোখে খুব বড় উপায়ে চিন্তা করতে হবে। তথ্যটিকে আরও অনুকূল বা আনন্দদায়ক করতে আপনাকে রঙ না করে স্পষ্টভাবে শুনতে হবে। এটা স্পষ্ট যে এটি প্রয়োজন, কিন্তু এটি এত লোকের জন্য খুবই কঠিন। এবং প্রত্যেকেরই এটি নিয়ে কিছুটা অসুবিধা রয়েছে।

পৃথিবীটা একটি খুব বাস্তব পরিস্থিতিতে উদীয়মান হচ্ছে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ে যা চলছে তা এই পৃথিবীতে একটি জাতি হিসাবে মানবতার অস্তিত্বের আগে থেকেই চলছে।

এবং স্রষ্টা সমগ্র বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে যে আধ্যাত্মিক কাজটি পরিচালনা করছেন তা আগে থেকেই চলছে, অনেক আগে থেকেই, মানব ধর্মীয় ঐতিহ্য যখন শুরু হয়েছিল।

যেহেতু বৃহত্তর সম্প্রদায় পরিস্থিতির এমন একটি কঠিন সেটের প্রতিনিধিত্ব করে, সৃষ্টিকর্তা শক্তি এবং ক্ষমতার একটি শক্তিশালী সেটকে গতিশীল করেছেন এবং প্রকাশ্য ভৌতিক বাস্তবতার মধ্যে এবং এর বাইরেও পরিষেবার একটি দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন।

আপনি যদি এই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতাগুলির সাথে, এই অপরিহার্য সত্যগুলির সাথে মোকাবিলা করতে আসতে পারেন, তাহলে আপনি নিজেকে এমন একটি অবস্থানে রাখতে পারেন যে পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার কাজের প্রকৃতি এবং আপনি কেন এমন আছেন সে সম্পর্কে শিখতে শুরু করবেন।

মানবজাতির জন্য দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট

ঈশ্বরের ম্যাসেন্জার মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

এই দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে, আপনি বিশ্বের মহান পরিবর্তনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন, যা আপনি এখনও বুঝতে পারছেন না, মানুষের ইতিহাসে যেকোনো সময়ে ঘটেছে তার চেয়ে বড় পরিবর্তন।

কারণ আপনি বুদ্ধিমান জীবনের পূর্ণ একটি মহাবিশ্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। এই মহাবিশ্ব থেকে একটি হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছে। এবং আপনি একটি নতুন বিশ্ব বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন, কারণ মানবতা বিশ্বকে অনেক উপায়ে পরিবর্তন করেছে, এবং এখন এটি নিজেই পরিবর্তিত হচ্ছে, এমনভাবে যা আপনি এখনও নিয়ন্ত্রণ বা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না।

এই দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে, স্বর্গ পৃথিবীতে একটি নতুন বাণী পাঠিয়েছে, একটি বাণী যা মুহাম্মদের সময় থেকে বিশ্বকে দেওয়া হয়েছে তার যেকোন কিছুর অসদৃশ। কারন এই ধরনের বাণী শুধুমাত্র দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে দেওয়া হয়, একটি দুর্দান্ত প্রয়োজনের প্রতিক্রিয়া এবং মানবতাকে উন্নত করার একটি মহান সুযোগ, তার উন্নয়নের পরবর্তী মহান পর্যায়ের জন্য এটি প্রস্তুত করার জন্য প্রতিনিধিত্ব করে।

যারা সংবেদনশীল, যারা দেখছেন, যারা শুনছেন তারা এই শক্তির নির্মাণ, জীবনের এই গতিবিধি, এই মহান পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। এবং সম্ভবত তারা আলোড়িতও হয়েছেন, কারণ ঈশ্বর মানুষকে এই সময়ের জন্য প্রস্তুত করার জন্য উদ্দীপিত করেছেন, দৈববাণীর মহান সময়ের জন্য।

কেন ঈশ্বর বিশ্বের সাথে আবার কথা বলবেন যদি না একটি বড় প্রয়োজন ছিল – এত বড় যে পূর্ববর্তী প্রকাশগুলি সত্যিই এটি সম্পূর্ণ বা পর্যাপ্তভাবে সম্বোধন করতে পারে না, এত মহান যে ঈশ্বরকে আবার কথা বলতে হবে, সব অস্বীকার এবং বিশ্বাসের পরেও যে এটি ঘটতে পারে? কিন্তু ঈশ্বর কবে কথা বলবেন তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন এবং এটি ঘোষণা করার ক্ষমতা কারও নেই যে এটি হতে পারে না।

এই পরবর্তী দশকটি হবে মানবতার জন্য একটি বড় দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট, যেহেতু এই দুর্দান্ত পরিবেশগত পরিবর্তন বিশ্বের চেহারা বদলে দিতে শুরু করেছে, যেহেতু মানবতা পৃথিবীর বাইরে থেকে একটি ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে যারা এই পৃথিবীকে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়। তারা এখানে আপনাকে ধ্বংস করার জন্য নয়, আপনাকে ব্যবহার করার জন্য, আপনাকে বিশ্বের সম্পদের অংশ হিসাবে দেখছে।

এই দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টটি অনুভব করে, কিছু লোক মনে করবে এটিই শেষ – এটি মানবতার শেষ, এটি সময়ের শেষ, অথবা এটি মানব সভ্যতার শেষ। এবং কিছু লোক মনে করে যে এটি একটি গৌরবময় সূচনা, জ্ঞান এবং ঐক্যের, আধ্যাত্মিকতার মানবতার জন্য একটি মহান নতুন যুগ।

কিন্তু ঈশ্বর প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে যে সাহস এবং জ্ঞানের শক্তি রেখেছেন তা দিয়ে কে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারে? অথচ এই জ্ঞান পৃথিবীতে অজানা, অল্প কয়েকজন ছাড়া।

তাই তারা [মানুষ] সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। তারা প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়। তারা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান লক্ষণ চিনতে ব্যর্থ হয়। তারা হয় তাদের দেশগুলিতে দারিদ্র্য বা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়, অথবা তারা তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং আকাঙ্ক্ষা এবং অসুবিধায় নিপতিত থাকে, গাফেল, অজ্ঞাত যে তাদের জীবন তাদের হিসাবের বাইরে পরিবর্তন হতে চলেছে।

এমন কিছু আছে যারা এই দুর্দান্ত পরিবর্তনটি অনুভব করে, কিন্তু এর মুখোমুখি হতে খুব ভয় পায়। তাই তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, অথবা তারা এটিকে অর্থ দেওয়ার এবং বোঝার চেষ্টা করে, এটিকে তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের দুনিয়ার বোঝার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে, যখন প্রকৃতপক্ষে দুর্দান্ত পরিবর্তনটি এই বিষয়ে তাদের সামর্থ্যের বাইরে অনেক বড় পরিবর্তন।

অনেক মানুষ এই সময়ে শান্তি এবং সমতার জন্য প্রার্থনা করে। কেউ কেউ যাকে তারা আলোকিত বলে তার খোঁজও করে, কিন্তু যা আসছে তার জন্য এটি প্রস্তুতি নয়। যা আসছে তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, একটি অগ্নিপরীক্ষা, সামনে একটি কঠিন রাস্তা।

ঈশ্বর কেবল তখনই কথা বলবেন যদি এমনটি পুরো মানব পরিবারের জন্য হত। শত শতাব্দী ধরে মানুষের ধার্মিকতা ও নৈতিকতার উন্নতির জন্য যথেষ্ট যোগান দেওয়া হয়েছে, যদিও এই জিনিসগুলি আজ বিশ্বে মূলত অবহেলিত বা এড়ানো হয়েছে।

একটি মহা বিপদ, একটি মহা অসুবিধা, কিন্তু একটি মহান সুযোগ থাকতে হবে। কিসের জন্য একটি ভেঙে যাওয়া মানবতাকে একত্রিত করতে পারে – নিজের সাথে বিতর্কিত, প্রতিশোধ এবং ক্রোধ এবং অন্যদের জয় করার প্রয়োজন বা আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ? কিসে এটি কাটিয়ে উঠতে পারে – যা আজ বিশ্বে এত বিপর্যয়পূর্ণ মনে হচ্ছে, এবং দিন দিন এটি আরও খারাপ হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে – কিন্তু এখানে বসবাসকারী সকলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, একটি চ্যালেঞ্জ যা সবাইকে প্রভাবিত করবে, একটি চ্যালেঞ্জ যার থেকে কোন পরিত্রাণ নেই? একটি দুর্দান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা জন্য শুধুমাত্র প্রস্তুতি এবং উত্থান রয়েছে।

এটা পিছিয়ে যাওয়ার এবং আপনার নিজের আধ্যাত্মিক বোঝাপড়ায় কাজ করার সময় নয়, অথবা পৃথিবী থেকে পালিয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকার জন্য, অথবা সবকিছু শেষ হয়ে গেছে বা সবকিছু শুরু হচ্ছে এমন ভাবার সময় নয়। এটি একটি ধারাবাহিকতা, আপনি দেখতে পাচ্ছেন, মানবতার জন্য, বিশেষ করে গত কয়েক শতাব্দী ধরে, বিশ্বকে অনেক উপায়ে প্রভাবিত করেছে, বিশ্বকে অনেক উপায়ে অবনতি করেছে, বিশ্বকে অত্যধিক শোষণ করেছে।

এটাই বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ এনেছে, কারণ এই পৃথিবী অন্যদের দ্বারা মূল্যবান যারা খুব দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষন করছে। তারা গোপনে নিজেদের এখানে রোপণ করতে চায়। তারা সামরিক নয়, তাই তাদের শক্তির কোন দুর্দান্ত প্রদর্শন নেই, তবে তারা খুব প্ররোচক। এবং এইরকম সময়ে যখন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে, বা ভীত বা উদ্বিগ্ন হয়, অথবা ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ নিয়ে জীবনযাপন করে, তখন এই প্ররোচনা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে – মানুষের মনকে ঘুরিয়ে দেয়া, মানুষকে তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এবং নেতাদের বিরুদ্ধে পরিণত করা, মানুষকে হস্তক্ষেপের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া।

কি ঘটছে এবং কি আসছে তার কোন ধারনা পেতে, আপনার এমন কিছু জিনিসের মুখোমুখি হওয়ার সাহস থাকতে হবে যা সম্ভবত আপনি যা ভেবেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি। আপনি অবশ্যই সাড়া দিতে সক্ষম হবেন। আপনাকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণী আপনার নিজের মধ্যে এবং অন্যদের সাথে আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার যা কিছু জানতে হবে এবং যা কিছু করতে হবে তা সবই সরবরাহ করছে। এটি অবশ্যই ব্যক্তি পর্যায়ে ঘটতে হবে। পুরো জাতি এখনো প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এটি ব্যক্তিদের সাথে শুরু হয়, পৃথকভাবে এবং একসাথে প্রস্তুত হওয়া।

কিন্তু কে জানবে কিভাবে এটা করতে হয়? মহাবিশ্বের জীবনের জন্য কীভাবে এটি প্রস্তুত করা যায় তা কেউ জানে না। কেউ জানে না সেখানে কি আছে। আপনার সিনেমা এবং আপনার কল্পকাহিনী আপনাকে এ সম্পর্কে কোন বাস্তব ধারণা দিতে পারে না।

কে আপনাকে নতুন বিশ্ব বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত করতে পারে? আপনার কয়েকটি সমাধান আছে, তবে আপনার আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হবে। ঝড় আসার অনেক আগেই আশ্রয় গড়ে তোলার সাহস কার আছে? জল বৃদ্ধি এবং জমি শুকিয়ে যাওয়ার আগে আজ যা করতে হবে তা করার দূরদর্শিতা কার আছে? আপনার মধ্যে এই ক্ষমতা আছে, কিন্তু এটি এখনও আপনার অজানা।

পৃথিবীতে যে বিরাট পরিবর্তন আসছে তার জন্য আমরা আপনাকে প্রস্তুত করতে এসেছি, যে দুর্দান্ত পরিবর্তন মানব সভ্যতাকে বদলে দেবে, ভাল বা খারাপের জন্য- স্থায়ীভাবে, এই সময় থেকে, যেন আপনি একটি অদৃশ্য রেখা অতিক্রম করেছেন যা সবকিছু বদলে দেয়।

আপনি এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন না। এমনকি যদি লোকেরা তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখতে এবং অনুভব করতে পারতো, তাহলেও তারা এটি কী এবং এর অর্থ কী এবং কীভাবে এটি ঘটবে এবং কী করা উচিত তা নিয়ে তাদের মতবিরোধ থাকতো।
মহাবিশ্বে জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আপনার প্রবেশের বিষয়ে, পৃথিবীতে কেউ জানে না কিভাবে এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। একমাত্র ঈশ্বরই এটি প্রদান করতে পারেন। এবং আপনার মহাকাশের আশেপাশের সেই কয়েকটি জাতি যারা মুক্ত তারা আপনাকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কিন্তু তারা হস্তক্ষেপ করবে না। তারা শুধু আপনার সাথে তাদের জ্ঞান শেয়ার করতে পারে, যা তারা করেছে।
এটি আত্ম-আবেশ থেকে একটি মহান আহ্বান; এমন একটি পৃথিবীতে নিজেকে পূর্ণ করার চেষ্টা করার একটি মহান আহ্বান যেখানে পরিপূর্ণতা সত্যিই পাওয়া যায় না; বিভ্রান্তি এবং আপনার আত্ম-অস্বীকার থেকে একটি আহ্বান; মানুষের দ্বন্দ্ব, মানুষের ইচ্ছা এবং মানুষের আধিপত্যের আহ্বান।

এমনকি শুরু করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই সেই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে যা আমরা আজ এখানে বলছি এবং বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণী জুড়ে কথা বলেছি। আপনি যা ভাবছেন তা কিন্তু এমন নয়। এবং যদি আপনি এটির মুখোমুখি হন, আপনি হয়তো অভিভূত এবং আশাহীন বোধ করতে পারেন, কিন্তু ঈশ্বর ইতিমধ্যেই আপনার মধ্যে আশা, আপনার মধ্যে ক্ষমতা, আপনার মধ্যে শক্তি – আপনার ভিতরে গভীরভাবে স্থাপন করেছেন।

আপনার বুদ্ধিবৃত্তি খুব ক্ষুদ্র এবং খুব দুর্বল এবং খুব বেশি ব্যস্ত; দেখতে এবং কি করতে হবে তা জানতে সক্ষম হতে বিশ্বের দ্বারা খুব শর্তসাপেক্ষ। আপনার ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি প্রত্যাদেশের প্রয়োজন। আর সেটাই দেওয়া হয়েছে।

এটির মুখোমুখি হওয়া এবং গ্রহণ করার বিনয় এবং সততা কার আছে? এখানে আপনি দেখবেন কে সাহসী আর কে সাহসী নয়, কে নম্র আর কে নম্র নয়, কে সাড়া দিচ্ছে আর কে সাড়া দিচ্ছে না, কে ভবিষ্যতের জন্য উন্মুক্ত আর কে উন্মুক্ত নয়, কে তাদের জীবনে তাদের অবস্থানে তাদের নিজস্ব বিনিয়োগ এবং তাদের আদর্শ থেকে যথেষ্ট মুক্ত নতুন কিছু এবং মহান এবং শক্তিশালী কিছুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য।

আপনি এটিকে একটি দুর্দান্ত পরীক্ষা হিসাবে দেখতে পারেন এবং এটি আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষা করবে। কিন্তু আপনি যা মুখোমুখি হচ্ছেন তা হল বাস্তবতা এবং আপনার নিজের জগতের অপব্যবহারের পরিণতি, এবং বুদ্ধিমান জীবনের একটি মহাবিশ্বের মুখোমুখি না হওয়ার পরিণতি, প্রকৃতি এবং বাস্তবতার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণ উদ্ভাস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিণতি।

আপনি কি করতে চান তা জানার জন্য আপনার যথেষ্ট সৎ হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই বলতে হবে যে আপনি পরিকল্পনা করতে পারবেন না। আপনার ধারণাগুলি এর জন্য খুব ক্ষুদ্র বলে আপনাকে অবশ্যই যথেষ্ট সৎ হতে হবে।

কিন্তু এখানে থাকাটা আপনার নিয়তি। আপনাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে এই সময়ে এখানে থাকার জন্য, এই দুর্দান্ত জিনিসগুলির মুখোমুখি হতে যা আমরা আজ এখানে বলছি। আপনার সেই অংশ যা পাঠানো হয়েছে এবং এটি জানে যে এটি আপনার মনের পৃষ্ঠের নীচে রয়েছে। আপনি যদি নিজের মধ্যে আরও গভীরে যেতে পারেন তবে এটি দেখার এবং জানার ক্ষমতা আপনার আছে।

যা আপনাকে চালিত করবে তা হল জরুরি। আপনি শুরুতে ভীত হতে পারেন, কিন্তু এর বাইরে, এটি জ্ঞান যা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, কারণ এটি ভয় ছাড়াই হয়। এটা চিরন্তন। এটি আপনার অংশ যা চিরন্তন যা এখনও তার উত্সের সাথে সংযুক্ত। এটি আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং আপনাকে রক্ষা করতে এবং আপনাকে পথ দেখাতে চায় যাতে আপনি বিশ্বকে যা দিতে পাঠানো হয়েছে তা দিতে পারেন, আপনার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশটি পালন করতে পারেন, যা আপনাকে এই জীবনে পূরণ করবে এবং আপনার সত্ত্বাকে এখানে যুক্তিযুক্ত করবে।

যে বাস্তবতা আসছে আপনি তার মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত আপনি সাড়া দেবেন না। এই মুহুর্তে আপনি যা ভাবতে পারেন তার চেয়েও বড়। কিন্তু আমরা আপনার জন্য কিছু ছবি আঁকতে পারি যাতে আপনি এর ব্যাপ্তি এবং ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

বিশ্বের বড় একটা অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে, যেখানে অনেক বড় জনসংখ্যা ইতিমধ্যেই বসবাস করছে। তারা কি করবে? তারা কোথায় যাবে? কে তাদেরকে তাদের জাতির মধ্যে গ্রহণ করবে?

ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হবে কারণ পৃথিবী শুষ্ক, গরম, চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আপনার জীবনে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তা আপনার কল্যাণের জন্য এবং এই নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে আপনার ক্ষমতার জন্য খুব মৌলিক বিষয়গুলিতে নেমে আসবে।

সমুদ্রের উত্থান হবে। জমি শুকিয়ে যাবে। পুরো শহর পরিত্যাগ করতে হবে। পুরো উপকূলরেখা পরিত্যাগ করতে হবে। ভবিষ্যতের কোনো শতাব্দীতে নয়, এই শতাব্দীতে। আগামীকাল নয়, কিন্তু আসছে।

যখন এটা ঘটবে তখন আপনি এর জন্য প্রস্তুতি নেবেন না, কারণ অনেক দেরী হয়ে গেছে। আপনি যখন ওভারটেক করতে চলেছেন তখন আপনি সাড়া দেবেন না, কারণ এটি অনেক দেরি হয়ে গেছে। আপনি বালুচরে, আগ্নেয়গিরির পাশে বা নদীর পাশে আপনার বাড়ি তৈরি করবেন না, কারণ তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

আপনি যদি মনোযোগ দিবেন তাহলে পৃথিবীর নিদর্শন প্রতিদিন আপনার কাছে আসছে। আপনি অবশ্যই ভয় বা অস্বীকার বা দুর্বলতার কাছে হাল ছেড়ে দেবেন না বা মেনে নেওয়া উচিত হবে না। এটাই আপনাকে শক্তিশালী করবে।

এটিই মানবতাকে ঐক্যবদ্ধ করবে – যে জিনিসটি কেউ আশা করে না, যে জিনিসটি কেউ চায় না, যে জিনিসটিকে কেউ বিশ্বাস করে না তা সম্ভব, যে জিনিসটি বোধগম্য নয় এবং নতুন বলে মনে হয়, যা অধিকাংশ মানুষ কখনও অনুভব করেনি – একটি গ্রহীয় জরুরি অবস্থা যা থামেনি।

আপনি অভিযোগ করতে পারেন। আপনি ঈশ্বরের উপর রাগান্বিত হতে পারেন। আপনি অন্য কোন জাতি, অথবা আপনার সরকার, অথবা আপনার পিতামাতাকে দোষ দিতে পারেন। কিন্তু আপনাকে এই সময়ে এখানে থাকার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। এটিতে আপনার নাম রয়েছে। আপনি আসলেই এখানে এসেছেন এবং সাড়া দিতে এসেছেন।

যদিও আপনার ভূমিকা খুব সুনির্দিষ্ট হতে পারে, যদিও আপনার ব্যস্ততা খুব সীমিত হতে পারে, এটি অবশ্যই এই বৃহত্তর বাস্তবতার মধ্যে থাকতে হবে যার কথা আমরা আজ এখানে বলছি।

আপনাকে সামনে চিন্তা করতে হবে। আপনি আপনার ভয় এবং পছন্দ এবং দ্বিধা এবং আপনার অস্পষ্ট মতামত এবং অন্যদের নিন্দা এবং আপনার সংশয় এবং জীবন এবং নিজের সম্পর্কে আপনার হাস্যকর ধারণাগুলি কাটিয়ে উঠতে হবে।

আপনাকে মানুষের সেবা করতে হবে। নিজেকে মেনে নিতে হবে। যে সমস্ত জিনিসগুলি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ তা আপনাকে করতে হবে, কারণ এটি করা সহজ জিনিস বা যে জিনিসটি আপনাকে খুশি করে তা নয়, বরং কারণ এটি সেই জিনিস যা প্রয়োজন।

ঈশ্বর অ্যালার্ম বাজাচ্ছেন। এটা শুধু একটি দলের জন্য নয়। এটা শুধু একটি জাতির জন্য নয়। এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য।

কোথাও লুকানোর জায়গা নেই। কোথাও পালানোর নেই। এমন কোন জায়গা নেই যা পরিবর্তনের মহান ঢেউ দ্বারা আক্রান্ত হবে না বা বাইরে থেকে আসা বাহিনী দ্বারা বিশ্বে আজ যে হস্তক্ষেপের বিপদ ঘটছে তা অনুভব করবে না।

আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার দুর্বলতা এবং আপনার করুণ মনোভাব এবং অন্যদের প্রতি বৈরিতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

কোন মহান নেতা আসবেন না এবং মানবতাকে রক্ষা করবেন এবং আপনাকে এই মহান সংকট থেকে বের করে আনবেন। এটা হবে অনেক মানুষের একসঙ্গে কাজ করার প্রচেষ্টা।

ঈশ্বর আপনাকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন যা সামনে আসছে এবং প্রস্তুত করার জন্য কি করা আবশ্যক, আপনার জীবনে এবং অন্যদের সাথে আপনার সম্পর্কের জন্য। কিন্তু এর বাইরে, অবশ্যই মহান মানব আবিষ্কার থাকতে হবে। মানুষের মহান প্রচেষ্টা থাকতে হবে। মানুষের বিশাল খরচ হতে হবে। বিশ্বের সমস্ত সম্পদকে লাগবে এটি প্রস্তুত করতে।

এটি আপনার জন্য নিখুঁত, যে অন্যথায় একটি অদ্ভুত, অর্থহীন জীবন যাপন করবে, হতাশায় ভরা, ভুল বোঝাবুঝি, বাস্তব দিকনির্দেশনা ছাড়া, প্রকৃত অর্থ ছাড়া। আপনি এক জিনিস থেকে আরেক জিনিস, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি, খুঁজতেই থাকবেন আপনি যা খুঁজছেন, কিন্তু এখনও সত্যিই বিচ্ছিন্ন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, আপনার চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থেকে।

এই মুহুর্তে যারা সাড়া দিচ্ছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। এই সময়ে যারা জাগ্রত আছেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। এটি সাড়া দিতে পারে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি আহ্বান। আর যারা সাড়া দিতে পারবে না তাদের জন্য নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় বসবাসের পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।
যদি মানবতা পর্যাপ্ত সাড়া দিতে না পারে, যদি পর্যাপ্ত মানুষ সাড়া দিতে না পারে, তাহলে মানব পরিবার অন্যান্য শক্তির আধিপত্যের শিকার হবে, যারা ইতিমধ্যেই আপনাদের মধ্যে এবং এমনকি আপনার মধ্যেও, নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যেও মতবিরোধের বীজ রোপণ
করছে। মানবজাতির অসচেতনতার সময় হস্তক্ষেপ করার এটি তাদের দুর্দান্ত সুযোগ, যখন মানবতা দায়িত্বজ্ঞানহীন, যখন মানবতা তার নিজের দ্বন্দ্ব এবং হাস্যকর সাধনায় আচ্ছন্ন।

আপনি অনুধাবন করতে পারেন না যে এই পৃথিবী অনুর্বর গ্রহের মহাবিশ্বে কতটা মূল্যবান। আপনি বুঝতে পারছেন না আপনি কিসের সম্মুখীন হচ্ছেন। সুতরাং একমাত্র ঈশ্বরই আপনার কাছে এই বিষয়গুলো প্রকাশ করতে পারেন। যদি আপনি এটি গ্রহণ করতে না পারেন, তাহলে আপনি এই জগতে হারিয়ে যাবেন – বিভ্রান্তিতে হারিয়ে যাবেন, কষ্টে হারিয়ে যাবেন, শত্রুতা এবং বিদ্রোহে হারিয়ে যাবেন।

ইতিমধ্যেই আপনার রাজনৈতিক সরকারগুলো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে, ভেঙে যাচ্ছে, আপনার দেশ চরমপন্থীদের মধ্যে বিভক্ত যারা তাদের দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা বুঝতে পারছে না যে জাতিকে একত্রিত করতে হবে, কার্যত এবং মৌলিকভাবে, আমরা আজ এখানে যা উল্লেখ করছি তার পরিণতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হতে হবে। । পৃথক হওয়ার পরিবর্তে, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত – এই জন্য নয় যে এটা করা ভাল কাজ, বরং এটাই একমাত্র কাজ।

যারা বলে, “ওহ, এটা খুব বেশি। এটা খুবই চরম। এটা হতে পারে না। পরিস্থিতি এমন হবে না! ”এরা এমন মানুষ যারা সাড়া দেওয়ার জন্য খুব দুর্বল। তারা খুব তাদের নিজস্ব অগ্রাধিকার এবং আবেগ দেওয়া হয়। এমন কিছুর মোকাবিলা করার জন্য তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি নেই, যদিও প্রতিটি অতিবাহিত দিনের সাথে তাদের কাছে দুনিয়ার নিদর্শনগুলি উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এটাই মানবতার বিবর্তন। বিবর্তনের ভেতরে রয়েছে বেদনাদায়ক প্রান্তিকতা। পৃথিবী আজ কেবল স্বর্গীয় পরিবর্তনের মাধ্যমেই স্বর্গ হয়ে উঠেনি, বরং আক্রমনাত্মক পরিবর্তনের মাধ্যমে – মহা বিলুপ্তি, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন, দুর্বিপাক, রাসায়নিক সংযোগ। এটাই বিবর্তন। এটা এমন কিছু সহজ পথ নয় যা আপনি অনুসরণ করেন, যা আপনাকে প্রতিটি মোড়ে আনন্দিত করে। আপনি মহা বিবর্তনের সময়ে পৃথিবীতে এসেছেন। ব্যর্থ হবেন এবং আপনি বিদেশী শক্তির দ্বারা শাসিত এবং নিপীড়িত হয়ে উঠবেন, আপনি আজ যা কল্পনা করতে পারেন তার বাইরে।

আপনি যদি জেগে উঠেন এবং ঐক্যবদ্ধ হন, মানবতা একটি শক্তিশালী জাতি, একটি স্বাধীন জাতিতে পরিণত হবে, যাতে এই স্বাধীনতা রক্ষা এবং সংরক্ষণ করা যায়। শুধুমাত্র নতুন বাণীই বর্ণনা করে কেন এটি এমন এবং এর প্রকৃত অর্থ কী।

আপনি এই জিনিসগুলি কখনই জানতে পারবেন না। আপনি কখনই জানতে পারবেন না যে আপনার পৃথিবীতে কে আছে এবং কি তাদেরকে ক্ষমতা দেয় এবং তাদের দুর্বলতাগুলি কী বা তারা কোথা থেকে এসেছে বা কেন তারা এখানে এসেছে বা কীভাবে তারা কাজ করে। আপনি একটি কল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি, একটি অগ্রাধিকারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে। “ওহ, এটা অবশ্যই আমাদের সুবিধার জন্য হবে। তারা আমাদের জন্য প্রযুক্তির উপহার আনতে যাচ্ছে। তারা আমাদের পৃথিবীতে আমাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে যাচ্ছে। তারা আমাদের বন্ধু হতে যাচ্ছে। তারা আমাদের ত্রাণকর্তা হতে চলেছে। ” ওহ, এই ধরনের নির্বুদ্ধিতা। দুঃখজনক এটা। অনুমানযোগ্য, হ্যাঁ, কিন্তু তবুও দুঃখজনক।

আপনি কিসের মুখোমুখি হচ্ছেন বা এর প্রতি সাড়া দেওয়ার জন্য আপনার যে শক্তি রয়েছে সে সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নেই। আপনার দুর্বলতা বা অন্যের দুর্বলতায় বিশ্বাস করবেন না, কারণ আপনাকে অবশ্যই আপনার শক্তিতে বিশ্বাস রাখতে হবে। এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই জেগে উঠতে হবে। সংযত হয়ে উঠুন। বাস্তববাদী হয়ে উঠুন। প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠুন। গঠনমূলক হয়ে উঠুন। পৃথিবী যেভাবে চলছে সে সম্পর্কে আপনি কেবল একদল ঘ্যানঘ্যানানি শিশু হতে পারেন না। এটা আপনার বা অন্য কারোর জন্য কিছুই করবে না।

আমাকে অবশ্যই আপনার সাথে এইভাবে কথা বলতে হবে কারণ সময় দেরি হয়ে গেছে এবং মানবতা পর্যাপ্ত সাড়া দিচ্ছে না। আমি অবশ্যই আপনার সাথে এইভাবে কথা বলব কারণ আমি আপনাকে সম্মান করি, যদিও আপনি জানেন না আপনি কে। আপনি মনে করেন যে আপনি পৃথিবীতে বিচরণকারী একজন ব্যক্তি, কিন্তু আপনি কে যে এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এবং মানবতার ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে অংশ নিতে এখানে পাঠানো হয়েছে।

এর মানে কি আপনি এখনও জানেন না। আপনি এখনও জানেন না এটি দেখতে কেমন হবে, অবশ্যই না। আপনি এই যাত্রা খুব কমই শুরু করেছেন। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এটি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে, এটি দেখতে কেমন হবে?
আপনি আপনার আশেপাশের মানুষকে অস্বীকার করতে দেখবেন, অথবা এটা নিয়ে মজা করছে, অথবা এটাকে হাস্যকর মনে করছে, অথবা এটাকে অন্য কিছুর মত মনে করছে, অথবা জোরালোভাবে দ্বিমত পোষণ করছে, অথবা বলছে আপনাকে অবশ্যই একজন মহান সাধক বা ত্রাণকর্তায় বিশ্বাস করতে হবে এবং এটাই আপনাকে যা করতে হবে।

এটাই মানবতার দুর্বলতা। হস্তক্ষেপ এর উপরই ভরসা করছে। এটি মনে করে আপনি দুর্বল এবং বিভক্ত এবং করুণ। এটার আপনার প্রয়োজন কারণ এটা এই পৃথিবীতে বাস করতে পারে না। এটার আপনার প্রতি মোটেও শ্রদ্ধাবোধ নেই। পারলে এটি আপনাকে প্রলুব্ধ করবে। এটি আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে যদি এটি আপনাকে প্রলুব্ধ করতে না পারে। এটাই তার শক্তি। এটি এটাই নিয়োগ করে।

আপনি পরবর্তী দশকে দাঁড়িয়ে আছেন — এক দশকের উত্তাল পরিবর্তনের দশক, বিবর্তনের দশক, বিবর্তনের পরিবর্তন, শুধু ব্যক্তিগত পরিবর্তন নয়, শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয় — বিবর্তনীয় পরিবর্তন। এটি প্রত্যেকের জন্য ফলাফল পরিবর্তন করবে। সফল অথবা ব্যর্থ, এটি মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, সম্ভবত সবচেয়ে বেশি।

একটি জাতি সফল হবে না যদি অন্য জাতি ব্যর্থ হয়। আপনি এখন যে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা মোকাবেলা করতে আপনাকে এক ধরণের কার্যকরী রূপে একত্রিত হতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে, এবং সময় অনেক দেরী হয়ে যাবে এবং বিপর্যয় বাড়বে।

এটি আপনাকে কেমন লাগবে তা আমরা আপনাকে বলব না কারণ আপনার এখনও এটি শোনার শক্তি নেই। কিন্তু আমরা আপনাকে যা দিচ্ছি তা হল এই বৃহত্তর দ্বিধা থেকে বেরিয়ে আসার পথ, এই জন্য নয় যে কেউ এসে আপনাকে উদ্ধার করতে যাচ্ছে, এমন নয় যে কিছু বিদেশী শক্তি এসে আপনাকে উদ্ধার করতে যাচ্ছে – বিদেশী শক্তি আপনার সমস্যা, আপনার সমাধান নয় – এই কারণে নয় যে কিছু মহান সাধক বা ঋষি আসবেন এবং মানবতাকে তার দুর্দশা থেকে বের করে আনবেন। এটি বিশ্বজুড়ে মানুষের সাড়া দেওয়ার আহ্বান।

আপনি যে কোন ধর্মের, যেকোনো জাতির, যেকোন সংস্কৃতির, জীবনের যে কোন স্টেশনেই থাকুন না কেন, আপনি নারী বা পুরুষ, শিশু বা কিশোর, এটি দূরদূরান্তে যাওয়ার আহ্বান। কে বহুদূর নিয়ে যাবে? কে এই মেসেঞ্জারকে সম্মান করবে, যাকে এঞ্জেলিক অ্যাসেম্বলি থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, যাতে তিনি এই মহান গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্টে এটিকে এখানে নিয়ে আসেন?

এটি বাস্তবতার সাথে একটি সংঘর্ষ আমরা আপনাকে আজ এখানে দিচ্ছি। এটা নিয়ে তর্ক করুন। অস্বীকার করুন. ভান করুন এটি এমন নয়, এবং আপনি ব্যর্থ হবেন।

তাহলে আপনার মধ্যে কে সফল হবে? আপনাদের মধ্যে কে সাড়া দেবে? আপনার মধ্যে কে নিজেদের তৈরি নয় এমন একটি প্রস্তুতির পথ নেবে যা আপনার নিজের বোঝার বাইরে এবং আপনি যা অভ্যস্ত তার বাইরে একটি বিশ্বের মুখোমুখি হতে পারেন?

এই পরবর্তী দশক হবে অত্যন্ত নির্ণায়ক। এটি সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধান্তমূলক হবে না, তবে এটি খুব বড় সিদ্ধান্তমূলক হবে। যদি আপনি আপনার বর্তমান পথে চলতে থাকেন, সামান্য পরিবর্তনের সাথে, তাহলে এই পৃথিবীর মানুষদের পরিণতি আজকের তুলনায় অনেক বেশি হবে, এত বড় যে এমনকি জাতিসমুহ তাদের নিজস্ব জনসংখ্যার সমস্যাগুলি সামলাতে পারবে না, এমনকি ধনী দেশেও।

শুরুতে, আপনি ভয় পাবেন। আমরা বুঝতে পেরেছি. এটা সহজাত; এটা স্বাভাবিক। আমরা আশা করি না যে আপনি সর্বজ্ঞ এবং সর্বশক্তিমান হবেন, কিন্তু আমরা আপনাকে দায়িত্বশীল হতে বলছি। আপনাকে আপনার ভয় অতিক্রম করতে হবে, এবং আপনি করবেন, যদি আপনি এগিয়ে যান।

ঈশ্বর আপনার নিজের মধ্যে জ্ঞানের শক্তির সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য একটি প্রস্তুতি পাঠিয়েছেন, এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে এটি বিশ্বব্যাপী সহজতম ভাষায় অনুবাদ করা যেতে পারে, তা সবচেয়ে গভীরতার সাথে আপনি কল্পনা করতে পারেন – ঈশ্বর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তুতি। যা পৃথিবীতে এর আগে কখনো ঘটেনি।

প্রস্তুতি তৈরি এবং উদ্ভাবিত হয়েছে, তা ঈশ্বরের কাছ থেকে সরাসরি কিছু? পৃথিবী এবং মানবতা যদি বড় বিপদে না পড়ত ঈশ্বর সাড়া দিতেন না।

অন্য কোন কিছুই আপনাকে শক্তিশালী করবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে সম্পূর্ণ করে তুলবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে যোগ্য করে তুলবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে অর্থপূর্ণ সম্পর্কের সাথে জড়িত করবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে অন্যদের সাথে একত্রিত করবে না এবং মানুষ ও জাতি এবং সংস্কৃতি এবং ধর্মের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার ক্ষত নিরাময় করবে; কিন্তু এই বিষয়গুলির মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমরা আজ এখানে কথা বলছি এবং একটি প্রত্যাদেশ পাওয়া যা এই বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের প্রস্তুতির পরবর্তী মহান পদক্ষেপ, সবচেয়ে গভীর প্রয়োজন এবং অসুবিধার সময়ে দেওয়া হয়েছে।

মেসেঞ্জার বেরিয়ে এইসব কথা বলবেন, যেমনটা সে আগে করেছেন। তিনি আপনার হৃদয়ের সাথে কথা বলবেন, উপরন্ত তিনি আপনার শক্তির সাথেও কথা বলবেন। তিনি আপনাকে আশ্বস্ত করবেন যে ঈশ্বরে কোন নিন্দা নেই, ঈশ্বরে কোন জাহান্নাম এবং অভিশাপ নেই, কারণ এটি একটি মানব সৃষ্টি।

কিন্তু আপনি একটি নরকীয় অবস্থায় বাস করছেন, এবং ঈশ্বরের পরিকল্পনা হল আপনাকে পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে এই থেকে আপনাকে উদ্ধার করা — যা প্রয়োজন, কেবল এমন কিছু নয় যা আপনাকে মুহূর্তে ভাল লাগবে; প্রয়োজনীয় জিনিস; যে জিনিসগুলি একটি বাস্তব পার্থক্য তৈরি করবে।

আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন বা না করুন, আপনি ধার্মিক হোন বা না হোন, সবই এক। এটি একটি অ্যাকশানে যাওয়ার আহ্বান। আজ আমরা এখানে যা বলছি তাতে সাড়া না দিতে পারলে কোন ধর্মই আপনাকে রক্ষা করবে না।

আশীর্বাদ আপনার সাথেই আছে, কিন্তু আপনি জানেন না যে আপনি আশীর্বাদপ্রাপ্ত। আপনি কষ্টে আছেন, কিন্তু আপনি জানেন না আসলে কি আপনাকে কষ্ট দেয়। আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন কারণ আপনি জানেন না আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনি কোথায় আছেন এবং দিগন্তে কী আসছে।

আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে. আপনাকে অবশ্যই অধ্যবসায়ী হতে হবে। এটি এমন কিছু নয় যা আপনি কেবল সপ্তাহান্তে বা এক বছরে ঠিক করতে যাচ্ছেন। এটি করতে আপনার বাকি জীবন লাগবে। কিন্তু আপনি নতুন জীবন বাস্তবতায় আপনার জীবন নিয়ে আর কি করবেন?

এই নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় বিলাসিতা থাকবে অল্প, কিন্তু থাকবে বিশাল প্রয়োজনীয়তা এবং মহান অর্থ এবং মহান উদ্দেশ্য এবং মহান অবদান। এটাই বিশ্বকে মহাবিশ্বের একটি শক্তিশালী ও মুক্ত জাতি হিসেবে পরিণত করবে, যেখানে স্বাধীনতা বিরল।

আমরা আপনাকে এটি দিচ্ছি এবং অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই যে আমরা কি বলতে চাচ্ছি এবং আমরা কি বলছি। ভীরু হবেন না। মনে করবেন না যে আপনি ইতিমধ্যে সত্যটা জানেন, কারণ আপনি যা জানেন তা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশের সামনে কিছুই নয়। আপনার ধারণা, আপনার বিশ্বাস, আপনার প্রত্যয়, আপনার দৃঢ় মতামতের উপর নির্ভর করার কিছু নেই, কিন্তু আপনার মধ্যে একটি গভীর বুদ্ধিমত্তা রয়েছে যা আমরা যা বলি তার সাড়া দেবে, যদি আপনি নিজের মধ্যে যথেষ্ট স্বাধীন হন তবে এটি ঘটতে দেবে।

এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। এটা সহজ নয়. এটা আরামদায়ক নয়। এটি শুরুতে আশ্বস্ত করার মতো নয়, কিন্তু মানবতা এর আগে অনেক বড় প্রয়োজনের সময়, অসাধারণ কষ্ট, দুর্দান্ত সংঘর্ষের সময় অসংখ্যবার বেড়ে উঠেছে।

তাই আজ আমরা এখানে যা বলছি তা আপনার জানা। এটা আপনার সংস্কৃতিতে আছে। এটা আপনার ইতিহাসে আছে। এটা আপনার রক্তে আছে।

আপনি একটি দুর্বল এবং ভঙ্গুর মানুষ নন, তবে আপনি আপনার বিলাসিতা এবং স্ব-ভোগে দুর্বল হয়ে পড়েছেন; আপনি ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা খুঁজতে বিচলিত এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

দুর্দান্ত সময় আপনার উপর, এবং আপনাকে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। যদি আপনি সাড়া দিতে পারেন তবে এটি একটি অতুলনীয় মূল্যের উপহার। এটি আপনার জন্য সব কিছু করবে যা আপনি নিজের জন্য করতে পারেননি। এটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু করবে যা অবশ্যই করা উচিত, যদি যথেষ্ট মানুষ সাড়া দিতে পারে।

স্বর্গ অপেক্ষা করে এবং দেখে কে সাড়া দিতে পারে। এখানে কোন নিন্দা নেই। আছে শুধু উৎসাহ। কিন্তু যা ঘটছে তার উপর রয়েছে দারুণ সংযম, বিশাল প্রয়োজন এবং অত্যন্ত জরুরি।

মহান পরিবর্তন আপনার উপর। এটা প্রস্তুতির নেওয়ার সময়। প্রস্তুতিটি এখানে, এটি দেওয়া হয়েছে, ঈশ্বরের অনুগ্রহের মাধ্যমে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ফেরেশতা এবং সংস্কারক এবং প্রকৃত বান্দাদের মাধ্যমে।

জ্ঞান অনুসন্ধান

ঈশ্বরের ম্যাসেন্জার মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বোঝাপড়া এবং দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করা অবশ্যই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বেশ অপরিহার্য, তবে একা এটি যথেষ্ট হবে না। এখানে আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তা বা আপনার ইচ্ছার শক্তির উপর নির্ভর করতে পারেন না যাতে আপনি আরও জটিল মানসিক পরিবেশের মধ্যে কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় বুদ্ধি অর্জন করতে পারেন। এই পরিবেশে সফলভাবে কাজ করার জন্য আপনার মানসিক শক্তি বা ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে। একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনি যতই শক্তিশালী হয়ে উঠুন না কেন, আপনার শক্তিটি গ্রুপ মনের শক্তির তুলনায় তুচ্ছ হবে যা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক পরিবেশে মিথস্ক্রিয়ার প্রকৃত গতিশীলতার প্রতিনিধিত্ব করে।

অতএব, এখানে আপনাকে অবশ্যই একটি বৃহত্তর শক্তি, বৃহত্তর বুদ্ধিমত্তা, নিজের মধ্যে একটি বৃহত্তর শক্তি আহ্বান করতে হবে। এটাকে আমরা জ্ঞান বলি। এটি আপনার জানার ক্ষমতা দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। যখন আমরা জ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করি, তখন আমরা কোন তথ্য বা ধারনা বা এমন কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছি না যা আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখতে পারবেন। আমরা আপনার আধ্যাত্মিক মনের সম্ভাবনার কথা বলছি।

খুব কম লোকই বুঝতে পারে যে এটি আসলে কী। সম্ভবত তারা স্বীকার করে যে তাদের একটি আধ্যাত্মিক প্রকৃতি আছে; সম্ভবত তারা তাত্ত্বিকভাবে মেনে নিতে পারে যে তারা আধ্যাত্মিক প্রাণী, তাদের সম্পর্কে চিরন্তন কিছু আছে এবং এটি তাদের ঐশ্বরিকের সাথে সংযুক্ত করে।

কিন্তু এটি এখানে সত্যিই প্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য এবং আপনার আধ্যাত্মিকতাকে সত্যিকার অর্থে বোঝার জন্য, আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আপনার আধ্যাত্মিকতা আপনার মধ্যে একটি মনের প্রতিনিধিত্ব করে – একটি মহান মন, এমন একটি মন যা ব্যক্তিগত মনের বাইরে যা আপনি চিন্তা করেন এবং হিসাব করেন। আমরা এই মনকে জ্ঞান বলি। এটি আপনার মধ্যে জানা মন। এবং মানসিক পরিবেশে আপনার কাজ করার ক্ষমতা বোঝার ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জ্ঞান আপনার জন্য আপনার প্রকৃত মিশন এবং জীবনের উদ্দেশ্য আছে। আপনি কেন দুনিয়াতে এসেছেন, কার সাথে আপনাকে এখানে দেখা করতে হবে এবং আপনাকে কি করতে হবে তা সম্পর্কে আপনার বৃহত্তর উপলব্ধি বজায় রেখেছে।

এর অর্থ এই নয় যে যা কিছু ঘটবে তা পূর্বনির্ধারিত, কিন্তু এই ব্যক্তিগত জীবনের প্রেক্ষাপটে আপনার কিছু অর্জন করতে হবে এবং কিছু সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এটি বিশ্বের মধ্যে আপনার ভাগ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এই ভাগ্যের জ্ঞান এবং এটি আবিষ্কার করার এবং এটি পূরণ করার ক্ষমতা আপনার ভেতরে জ্ঞানের মধ্যে থাকে।
এখন কিছু লোক জিজ্ঞাসা করবে, “আচ্ছা, এটা কি অবচেতন মন?” এবং আমি বলি, না, এটা অবচেতন মন নয়। অবচেতন মন এখনও আপনার ব্যক্তিগত মনের অংশ, যে মন সরাসরি আপনার শারীরিক অস্তিত্বের সাথে সংযুক্ত।

জ্ঞান আপনার শাশ্বত মন, আপনার আধ্যাত্মিক মনের প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু এটি কেবল একটি সত্তা নয়। এটি একটি মন যা চিন্তা করে। এটি এমন একটি মন যা জীবনের একটি উদ্দেশ্য এবং একটি মিশন এবং একটি দিক নির্দেশ করে।

যখন আপনি জ্ঞানের কাছাকাছি আসতে শুরু করেন, যখন আপনি জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেন, তখন আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করেন এবং আপনার জন্য জ্ঞানের যে মহান উদ্দেশ্য আছে তা গ্রহণ করতে শুরু করেন। এবং সময়ের সাথে সাথে আপনি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারবেন যে এই উদ্দেশ্যটি আপনার নিজের এবং এটি আপনার সত্যিকারের ইচ্ছা এবং জীবনে আপনার সত্যিকারের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে।

জ্ঞানের পুনরুদ্ধার আধ্যাত্মিক আবিষ্কার এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের সারাংশকে উপস্থাপন করে। জ্ঞান আবিষ্কৃত এবং পুনরুদ্ধার করার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি যদি জ্ঞানের ছাত্র হয়ে যান এবং জ্ঞানের পথে চলেন এবং জ্ঞানের পথে বসবাস করা শিখেন, তাহলে অবশেষে আপনার ব্যক্তিগত মন এবং আপনার মধ্যে বৃহত্তর মন একত্রিত হয়ে এক হয়ে যাবে। এখানে আপনি সম্পূর্ণরূপে সমন্বিত হয়ে যাবেন, এবং একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার শক্তি এবং অর্থ এবং ক্ষমতা বিশ্বে সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শিত হবে।

এই মুহুর্তেও জ্ঞান আপনার কাছে আহ্বান করছে, এটি গ্রহণ করুন – তার প্রজ্ঞা গ্রহণ করুন, তার পরামর্শ নিন এবং তার দিকনির্দেশনা আপনার নিজের মতো করে গ্রহণ করুন। এটি আপনার মধ্যে মহান আধ্যাত্মিক আহ্বান, এবং এটি এই মুহুর্তে ঘটছে।

কারণ বিশ্ব বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আবির্ভূত হচ্ছে, এবং বিশ্বে একটি মহান আধ্যাত্মিক আহ্বান রয়েছে যা মানুষকে এটি উপলব্ধি করতে এবং তদনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে সক্ষম করবে। আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান জানে এর অর্থ কী। এটা জানে এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা জানে আপনি কি ভূমিকা পালন করবেন। এবং এটি ঠিক জানে যে আপনাকে কোথায় যেতে হবে এবং এটি অর্জন করার জন্য আপনাকে কার সাথে দেখা করতে হবে।

যুক্তি বা কর্তনের মাধ্যমে এই বিষয়গুলির মধ্যে কোনটি উপলব্ধি করা যায়? জীবনে বৃহত্তর মনের ইচ্ছা খুঁজে পেতে এবং সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য আপনি কীভাবে আপনার চিন্তাভাবনা মনকে ব্যবহার করতে পারেন? আধ্যাত্মিকতা বলতে কী বোঝায় এবং বিশ্বে এটি কীভাবে কাজ করে তা আপনি বুঝতে বা আদর্শ করার চেষ্টা করতে পারেন। আপনি হয়তো মানুষের মধ্যে ঐশ্বরিক কার্যকলাপ বুঝতে বা আদর্শিক করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জিনিসগুলি শুধুমাত্র জানা যাবে।

আপনার স্রষ্টার অর্থ, অস্তিত্ব এবং ইচ্ছা শুধুমাত্র জানা যাবে। জীবনে আপনার আসল উদ্দেশ্য, অর্থ ও দিকনির্দেশ কেবলমাত্র জানা যাবে। আপনার সত্যিকারের সম্পর্কগুলি – যেগুলি আপনার বিকাশের জন্য নির্ধারিত, অংশগ্রহণের জন্য – সেগুলি কেবলমাত্র জানা যায়। আপনার প্রকৃত প্রকৃতি, অর্থ এবং মূল্য শুধুমাত্র জানা যাবে।

অতএব, আমরা আপনার জীবনের প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য এবং প্রকৃত সম্পর্কের প্রকৃত ভিত্তি খুঁজে বের করার জন্য মহান যাত্রা এবং পথ হিসেবে জ্ঞানের দিকে ফিরে যাই, যা আপনি এখানে থাকাকালীনই আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান আপনার জন্য এই সমস্ত ধারণ কিছু করে। জ্ঞান ছাড়া, আপনি এটি খুঁজে পাবেন না। আপনার চিন্তাভাবনা যতই উন্নত হোক না কেন, আপনার চিন্তাভাবনা যতই অত্যাধুনিক হোক না কেন, আপনার বিশ্বাস যতই সার্বজনীন হোক না কেন, সেগুলি আপনার জন্য জ্ঞান যা ধারণ করে তারা তা ধারণ অথবা পোষন করতে পারে না।

এখানে আপনি একটি মৌলিক সত্য বুঝতে এসেছেন: আপনার চিন্তাশীল মনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যা আপনাকে আপনার জীবনের বৃহত্তর বাস্তবতা প্রকাশ করতে এবং জীবনের অসুবিধা এবং বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম করে। কিন্তু আপনার চিন্তাশীল মন শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র জ্ঞানের সেবা করতে পারে। তবুও এই সেবা ছাড়া, এটা এমন ভাব করবে যেন এটা সেবা করার জিনিস ছিল এবং আপনার জীবনে একটি আধিপত্যশীল ও ধ্বংসাত্মক শক্তিতে পরিণত হবে। যদি আপনার চিন্তাশীল মন অপরিহার্য ফোকাস হয়ে ওঠে, তাহলে আপনি আপনার বৃহত্তর বাস্তবতা এবং আপনার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে এবং তা পূরণে আপনাকে সক্ষম করার জন্য এর আবশ্যকীয় ভূমিকা বুঝতে পারবেন না।

পৃথিবীতে আজ এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বোঝাপড়া বা তাদের বিশ্বাস এবং সহযোগিতার উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেন যাতে তাদের প্রকৃত প্রকৃতি এবং এর উদ্দেশ্য এখানে বোঝার ভিত্তি হিসেবে দেওয়া যায়। তবে এটি সর্বদা ব্যর্থতা এবং হতাশার দিকে পরিচালিত করে, কারণ আপনার চিন্তাশীল মন কেবল এটি করতে বৃহত্তর মনকে সেবা করতে পারে। এটি একা এই ভিত্তি প্রদান করতে পারবে না। এটি একা কেবল বৃহত্তর বোঝাপড়া, বৃহত্তর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে না, যা আপনার প্রয়োজন হবে।

এটি আপনাকে স্বয়ং জ্ঞানের দিকে ফিরে যাওয়া এবং জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি গ্রহন করা শিখতে মুক্ত করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে, এটিই প্রকৃত আধ্যাত্মিক পথ। বিশ্বের সব ধর্মীয় প্রথাই যথাসম্ভব খাঁটি কারণ তারা এই মৌলিক আবিষ্কার এবং প্রকাশকে সমর্থন করে।

তবুও যদি আপনি আধ্যাত্মিকতার দিকে তাকান এবং আপনি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রচলন কেড়ে নেন; যদি আপনি ধর্মের সমস্ত ভৌতিক ফাঁদগুলি সরিয়ে নেন, তবে আপনার কাছে যা আছে তা হল আধ্যাত্মিকতার সারমর্ম। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে এটিকে জ্ঞান বলে। এটি আপনার জানার ক্ষমতার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। এটি নিজের মধ্যে এবং আপনার সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গভীর উপলব্ধির মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভ করে। এটি সর্বদা আপনাকে বিশ্বের সত্যিকারের উত্পাদনশীল ক্রিয়াকলাপের দিকে মনোনিবেশ করে এবং আপনার অনন্য আহ্বান এবং জীবনের উদ্দেশ্যকে উপলব্ধি করতে, প্রকাশ করতে এবং পূরণ করতে আপনাকে ধাপে ধাপে, নির্দেশ করে।

আমরা আগেই বলেছি, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে, আপনাকে অবশ্যই আধ্যাত্মিকতার আসল নির্যাস আবিষ্কার করতে হবে। বিশ্বাস, প্রথা, আচার, সংস্কৃতি শুধুমাত্র মানবতার জন্য। আপনি নিজেকে মানবতার বাইরে, এমনকি পৃথিবীর উদ্ভিদ এবং প্রাণী রাজ্যেও সেতুবন্ধন করতে পারবেন না, যদি না আপনি আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত সারমর্ম খুঁজে পান এবং নিজের জন্য এটি অনুভব করেন।

ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষকে তাদের আসল আধ্যাত্মিক স্বভাব এবং জীবনের উদ্দেশ্য অভিজ্ঞতার সুযোগ দিতে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এটি শুধুমাত্র আপনার চিন্তার মনের মতই পরিবেশন করতে পারে, একটি বৃহত্তর বাস্তবতা। এটি একা বৃহত্তর বাস্তবতা নয়। আপনার মধ্যে, বৃহত্তর বাস্তবতা প্রদর্শিত হয় এবং জ্ঞানের মধ্যে মূর্ত হয়।

এখানে আবার আমরা ধারণা বা বিশ্বাসের কথা বলছি না। আমরা জানার গভীর অভিজ্ঞতার কথা বলছি। এটি ঐশ্বরিকের সাথে আপনার সম্পর্ক এবং সমস্ত জীবনের সাথে আপনার অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে প্রদর্শন করে এবং নিশ্চিত করে।

তবুও আপনার জন্য পৃথিবীতে জ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। আপনি কেন পৃথিবীতে এসেছেন তা মনে পড়ে। আপনি এখানে আসার আগে আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারের সাথে আপনি যে চুক্তি করেছিলেন তা মনে রাখে । এটি একটি বাস্তব অবদান প্রদানের জন্য ভৌতিক জীবনে পুনরায় প্রবেশ করার আপনার আকাঙ্ক্ষাকে স্মরণ করে, যা আপনাকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।

জ্ঞান ভুলে যায়নি, কিন্তু আপনি ভুলে গেছেন। আপনি ভুলে গেছেন কারণ একজন মানুষ হিসেবে বিকাশের জন্য, মানব সমাজে প্রবেশ করতে এবং সেখানে কাজ করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আপনাকে ভুলে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। যদি আপনার প্রাচীন বাড়ির স্মৃতি এবং আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য একটি শিশু হিসাবে আপনার মনের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আপনি পৃথিবীতে বসবাসের সমস্যার মুখোমুখি হতে চাইবেন না। আপনি কেবল আপনার প্রাচীন বাড়িতে যেতে চান, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি অবশেষে ফিরে আসবেন।

অতএব, আপনি এখানে একটি কার্যকরী মানুষ হওয়ার জন্য বিশ্বে প্রবেশ করার সময় স্মৃতিভ্রংশের সময় প্রবেশ করেন। কিন্তু একবার এটি পর্যাপ্তভাবে অর্জিত হলে, আপনাকে অবশ্যই জ্ঞানের দিকে ফিরে যেতে হবে। আপনাকে অবশ্যই জ্ঞান খুঁজে বের করতে হবে এবং জ্ঞানের পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে এর কি সম্পর্ক আছে? বৃহত্তর কমিউনিটি আধ্যাত্মিকতা বোঝার এবং অনুভব করার ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য উপাদান কেন? কেন এই মৌলিকতা যাতে আপনি বুদ্ধিমান জীবনের অন্যান্য রূপের সাথে আপনার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে সক্ষম?

আমরা যেমন বলেছি, জ্ঞান হল আপনার আধ্যাত্মিকতা এবং আপনার আধ্যাত্মিক স্বভাবের সারাংশ। এটি মহাবিশ্বের সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের আধ্যাত্মিকতা এবং আধ্যাত্মিক প্রকৃতিরও সারাংশও।

যদিও আপনি একই ইতিহাস, একই সংস্কৃতি, একই আচার, একই কনভেনশন বা এমনকি একই বিশ্বাস বা আদর্শকে ধারণ করেন না, জ্ঞানের স্তরে আপনি একজন। আপনি একে অপরকে বুঝতে পারেন। আপনি এক সওা থেকে আরেকটা সত্ত্বা, এক অস্তিত্ব থেকে আরেকটা অস্তিত্বে যোগাযোগ করতে পারেন। একসাথে আপনি জাতি, সংস্কৃতি, পরিচয়, বিশ্বাস এবং মেলামেশার সমস্ত সীমানা অতিক্রম করতে পারেন। এটি সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের সাথে আপনার মৌলিক সংযোগ। এটি তাদের সাথে ভাগ করে নেওয়া বৃহত্তর আধ্যাত্মিকতা। এই কারণেই এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিকতার সারমর্ম।

যাইহোক, জ্ঞান আপনাকে বিশ্বের বাইরে থেকে এবং মানবতার প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিমান জাতিগুলির সাথে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম করার জন্য মৌলিক। এটি মৌলিকভাবে সত্য কারণ জ্ঞানই আপনার একমাত্র অংশ যা মানসিক পরিবেশে প্রভাবিত হতে পারে না।

আসুন আমরা এটি পরিষ্কার করি। আপনার চিন্তা, আপনার ইচ্ছা, আপনার অনুভূতি, আপনার আবেগ, আপনার প্রবণতা এবং আপনার বিশ্বাস সবই প্রভাবের অধীন এবং প্রকৃতপক্ষে, বছরের পর বছর প্রভাবের ফল। আপনি যদি আপনার মনকে সাবধানে পরীক্ষা করেন তবে আপনি খুঁজে পাবেন যে আপনি যে চিন্তাধারাগুলির উপর নির্ভর করেন তার বেশিরভাগই আপনি নির্মাতা নন যা আপনাকে নিশ্চিত এবং স্থিতিশীলতা দেয়। তারা কেবল আপনার পরিবেশ থেকে শোষিত হয়েছে। তারা পরিস্থিতির ফসল। যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, পৃথিবীতে খুব কম মূল চিন্তাভাবনা আছে।

জ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অন্যতম কাজ হল তাদের নিজস্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণরূপে সম্মতি দেওয়া এবং এই পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করার জন্য অব্যাহত থাকা প্রাথমিক উপাদান এবং শক্তিগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া। যদিও এটি একটি সংস্কৃতির মধ্যে সামাজিক অভিন্নতা তৈরি করে, এটি ব্যক্তির জন্য দারুণ সংযম তৈরি করে, সংযম যা জ্ঞানের একজন শিক্ষার্থীকে চিনতে এবং কাটিয়ে উঠতে শেখা উচিত।

জ্ঞান খুঁজে পেতে হলে, আপনাকে অবশ্যই এমন সব কিছু চিনতে হবে যা আপনাকে এটি আবিষ্কার করতে বাধা দেয়। জ্ঞান অনুসরণ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই সেই বাধাগুলি চিনতে হবে এবং অতিক্রম করতে হবে যা আপনাকে এটি করতে বাধা দেয়। এখানে আপনি মানসিক পরিবেশে সেই শক্তির মুখোমুখি হন যা অতীতে আপনার চিন্তাধারাকে নির্দেশ করে এবং শর্তযুক্ত করে এবং সেই শক্তিগুলি যা অব্যাহত রয়েছে। এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার বেশিরভাগ বিশ্বাস আপনার নিজের নয়, আপনার বেশিরভাগ চিন্তা আপনার নিজের নয়, আপনার অনেক আবেগ আপনার নিজের নয়। বছরের পর বছরের প্রভাবাধীনে তারা আপনার মধ্যে শর্তযুক্ত হয়েছে।

এই কারণেই আমরা সুপারিশ করি না যে জ্ঞানের শিক্ষার্থী প্রচুর পরিমাণে টেলিভিশন শোনেন বা সংবাদপত্রটি প্রচুর পরিমাণে পড়েন যদি না কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা ফোকাস বিশ্বব্যাপী ঘটনা বা মানুষের একটি নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে জানার জন্য থাকে। গণমাধ্যমের এই রূপগুলি কেবলমাত্র পুরানো ধারণাগুলিকে শক্তিশালী করে যাতে প্রত্যেককে একই রকম বা একইভাবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যন্ত খুব কম বৈচিত্র্যের সাথে চিন্তা করে। এই ধরনের কন্ডিশনিং ইচ্ছাকৃত এবং অসাবধানী উভয়ই। এটি প্রত্যেককে একইভাবে একই তথ্য দিচ্ছে অনেকটা ভিন্নতা ছাড়াই।

তবুও আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞানকে প্ররোচিত করা যায় না। এটি কেবল অন্যের জ্ঞান এবং মহাবিশ্বের জ্ঞানের প্রতি সাড়া দেয়, যা স্রষ্টার মন। এটি প্ররোচিত নয়, এটি প্রতীত নয়, এমনকি এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় পরিবেশের মধ্যেই জীবনের সমস্ত উদ্ভাস দেখেও বিভ্রান্ত হয় না। এটা জানে কোনটা সত্য আর কোনটা সত্য নয়। এটি মিথ্যা দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এটি মিথ্যা দ্বারা আন্দোলিত হয় না। এটি মিথ্যা দ্বারা পরাস্ত হয় না।

এই কারণেই এটি আপনার মধ্যে মহান শক্তি এবং ক্ষমতা। জীবন সম্পর্কে তার উপলব্ধি ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি বা সাংস্কৃতিক কন্ডিশনিং দ্বারা নির্ধারিত হয় না। এজন্য এটি বিশ্বে আপনার স্বাধীনতার প্রতিনিধিত্ব করে।

জ্ঞানের কাছাকাছি আসুন এবং আপনি জ্ঞানের স্বাধীনতা এবং জ্ঞানের শক্তি এবং জ্ঞানের সংকল্প পাবেন। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি এমন একটি জিনিস যা আপনি মুক্ত থাকবেন বা আপনি প্ররোচিত হবেন এবং শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করবেন কিনা তার মধ্যে সমস্ত পার্থক্য তৈরি করে।

আপনি যখন ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ নিতে শিখবেন , আপনি দেখতে পাবেন সামাজিক অবস্থার ক্ষমতা এবং এটি আপনার চিন্তাভাবনা এবং আপনার আচরণকে কতটা অপরিমেয় প্রভাবিত করেছে। তবুও বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে, প্ররোচনার শক্তিগুলি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সচেতনভাবে নির্দেশিত।

আমরা যেমন বলেছি, মানুষের বিশ্বাস, মানবিক আদর্শ, এমনকি মানবধর্ম, মানসিক পরিবেশে সেই সমস্ত দর্শকদের দ্বারা সুবিধা গ্রহণ করা হবে যারা বিশ্বের মধ্যে প্রভাব এবং ক্ষমতা অর্জন করতে চায়। মানুষ যা চায়, যা কিছু মানুষ ভয় পায়, যা কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, অবচেতনভাবে, এমন সব উপাদানকে প্রতিনিধিত্ব করে যা আপনার দর্শকরা মানুষের চিন্তাভাবনা এবং মানুষের আচরণকে নির্দেশ এবং নির্দেশ করতে ব্যবহার করতে পারে। এটি মানসিক পরিবেশে দক্ষতার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি হেরফেরের একটি অদৃশ্য রূপ, এবং তবুও এর প্রকাশগুলি খুব দৃশ্যমান।

আপনি যা পড়েন, আপনাকে কী বলা হয়, আপনি কী শুনেন এবং কীভাবে আপনাকে জিনিসগুলি দেখতে শেখানো হয় তার সবই জীবনের দুর্দান্ত প্রকাশ। এখানে খুব কম মুক্ত চিন্তার মানুষ আছে কারণ এখনও বিশ্বের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই আছেন যারা জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী।

যদি আপনি এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন, পছন্দ ছাড়াই এবং গুরুতর উদ্বেগ ছাড়াই, আপনি মানুষের অবস্থার আরও বৃহত্তর ধারণা অর্জন করতে শুরু করবেন এবং কেন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে মানবতা এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ।

এখানে জীবনের গতিশীলতা এবং মিথস্ক্রিয়া বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভাল এবং মন্দ সম্পর্কে আপনার ধারণার বাইরে যেতে হবে। আমরা যেমন বলেছি, আপনার দর্শকরা মন্দ নয়; তাদের কেবল তাদের নিজস্ব চাহিদা রয়েছে যা তাদের বাধ্য করে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তারা জ্ঞানের সাথেও শক্তিশালী নয়, কারণ তাদের একটি নির্দিষ্ট উপায়ে চিন্তা করার জন্য এবং কোনও ব্যক্তিগত বিবেচনার বাইরে কিছু ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য শর্তযুক্ত এবং প্রোগ্রাম করা হয়েছে।

যদি আমি এতদূর যা বলছি তা আপনি অনুসরণ করেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে মানবতার জ্ঞানের প্রয়োজন। এটি এখন কেবল একটি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান নয়। বেঁচে থাকা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এটি অপরিহার্য। এবং, এর বাইরে, সম্ভবত আপনি দেখতে পাবেন যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যেও মানবতার একটি সুবিধা আছে কারণ মানবজাতি, তার জটিল সামাজিক বিকাশ এবং তার সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের কারণে, জ্ঞানের ক্ষমতা রয়েছে, বলা যায় এই মুহূর্তে আপনার দর্শকদের থেকে জ্ঞানের জন্য অনেক বেশি ক্ষমতা এবং সুযোগ রয়েছে।

যে কেউ জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী হতে পারে সে মানসিক পরিবেশে মুক্ত থাকবে এবং সেখানে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। তবুও জ্ঞান ছাড়া, আপনি এটি করতে পারবেন না। এটা সম্ভব হবে না। আপনার চিন্তা সহজভাবে আরো শক্তিশালী চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হবে কারণ বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, আপনি গোষ্ঠী মনের সাথে মোকাবিলা করছেন, একগুচ্ছ স্বাধীন চিন্তাশীল ব্যক্তিদের সাথে নয়। এবং মানসিক পরিবেশের মধ্যে, গ্রুপ মন অসাধারণ শক্তিশালী।

আপনার পরিদর্শকরা সবাই গ্রুপ মনের অনুশীলন করে এবং এটি প্রদর্শন করে। এটাই তাদের মানুষের উপলব্ধি, মানব স্মৃতি এবং মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করার দক্ষতা দেয়, যা তারা পৃথিবীর মধ্যে মানুষের সাথে সরাসরি ঘটেছে। এর প্রমাণ অবশ্যই আমি যা বলছি তার সাক্ষ্য দেবে।

যদি পরবর্তীতে লোকেরা মনে করে যে এটি একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা ছিল এই সত্যকে বিশ্বাস করে না যে তারা দর্শকদের উপস্থিতিতে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আপনি নিজেকে আশ্বস্ত করার জন্য এটিকে ভাল বলতে পারেন অথবা আপনি এটিকে খারাপ বলতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি নিজের ইচ্ছাকে নির্ধারণ করতে না পারেন, যদি আপনি নিজের মনকে ফোকাস করতে না পারেন, যদি আপনি একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতির সাথে সরাসরি মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে আপনার অভ্যন্তরীণ সত্য বা প্রকৃতি প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে আপনি মানসিক পরিবেশে পরাস্ত হয়েছেন। যদি এটি চলতে থাকে, আপনি অবশেষে আপনার ইচ্ছা হারাবেন এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারবেন না।

এখানে আপনার জ্ঞানের ভিত্তি অর্জনের সম্ভাবনা ক্রমশ দূরবর্তী হয়ে উঠছে। আপনি মাটি হারাবেন। আপনি কেবল তাদের গ্রুপ মনের প্রভাব হয়ে উঠবেন। এবং যেহেতু তারা বিশ্বের মধ্যে জ্ঞান পুনরুদ্ধার সমর্থন করে না, তারা আপনার প্রকৃত প্রকৃতি এবং এর বার্তা এবং আপনার জন্য উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে আপনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করবে।

সম্ভবত আপনি ভাবছেন, “এটা কিভাবে সম্ভব? কীভাবে এটি বিশ্বের মধ্যে ঘটতে পারে? তবুও আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে এটি এই মুহুর্তে ঘটছে এবং কয়েক দশক ধরে ঘটছে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে প্রচলিত হয়ে উঠবে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের এখানে, এবং এটি ইতিমধ্যে তার প্রভাবের জাল প্রতিষ্ঠা করছে। এবং এই প্রভাবটি এই মুহুর্তে আপনি যতটা উপলব্ধি করতে পারেন তার চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। এই কারণেই জ্ঞানের প্রয়োজন, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বোঝাপড়া এবং দৃষ্টিভঙ্গি শেখার প্রয়োজনীয়তা, এই সময়ে এত গুরুত্বপূর্ণ।

মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে। মানসিক পরিবেশের দিক দিয়ে শুরু থেকেই কখনোই শক্তিশালী ছিল না, কিন্তু এটি মারাত্মকভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই বিশ্বের মধ্যে একটি তীব্র এবং জরুরি আধ্যাত্মিক আহ্বান রয়েছে। এটা মানুষ যতটা উপলব্ধি করে তার চেয়ে বেশি জরুরি। তারা সম্ভবত মনে করে, “আচ্ছা, এটি আলোকিত হওয়ার একটি সুযোগ মাত্র।” না। এটি অখণ্ডতা এবং স্বয়ং মানবতার আত্মনিয়ন্ত্রণ সংরক্ষণের প্রয়োজন।

এমনকি যদি মানবতার গুরুতর পরিবেশগত এবং সামাজিক সমস্যা না থাকত, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি বিশ্বে একটি জরুরি আহ্বান সৃষ্টি করত। তবুও মানুষ বৃহত্তর শক্তি সম্পর্কে অজানা যা এখন তাদের অভিজ্ঞতাকে রুপ দিচ্ছে এবং যা তাদের ভবিষ্যত এবং ভাগ্য নির্ধারণ করছে।

তবুও যদি আপনি মানব ইতিহাস পড়েন, এখানেও আপনি দেখতে পাবেন যে অধিকাংশ মানুষ বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি সম্পর্কে অবগত ছিল না যা তাদের ভবিষ্যত এবং তাদের ভাগ্যকে গঠন করেছিল। এটি মানব ইতিহাস জুড়ে প্রদর্শিত হয়েছে, এবং তবুও পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ অন্য স্তরে পৌঁছেছে, সম্পূর্ণ অন্য মাত্রায়।

অতএব, জ্ঞানের আহ্বান, যা মৌলিকভাবে একটি আধ্যাত্মিক আহ্বান, বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত তীব্রতা এবং তাত্পর্য সহকারে ধ্বনিত হচ্ছে। এই কারণেই আপনি সম্ভবত সামান্য ব্যক্তিগত আরাম বা ব্যক্তিগত আনন্দ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। এজন্যই কিছু একটা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সম্ভবত আপনি এটি বুঝতে পারবেন না। সম্ভবত আপনি এর অর্থ কি জানেন না। সম্ভবত এটি আপনাকে বিরক্ত করে এবং আপনাকে কেবলমাত্র কয়েকটি আরামের উপর নির্ভর করতে বাধা দেয় যা আপনি পথিমধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তবুও এটি আপনার ভিতরে জ্ঞানের গতিবিধির প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এটি সেই মহান এবং জরুরী আহ্বানের প্রতিনিধিত্ব করে যা আমরা এখানে বলছি।

মানবতা যাতে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে সফলভাবে আবির্ভূত হতে পারে এবং সেখানে একটি স্থান গ্রহণ করতে পারে, এমন একটি স্থান যেখানে এটি তার স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং বজায় রাখতে পারে এবং তার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, জ্ঞানের বিকাশ, ব্যক্তিগতভাবে এবং সম্মিলিতভাবে, অনেক বড় হতে হবে এই মুহুর্তের তুলনায়।

এটা সরকারি কর্মসূচির ফল হবে না। এটি আপনার শিক্ষা ব্যবস্থার ফল হবে না। এটি হবে আপনার মতো ব্যক্তি, পুরুষ ও মহিলাদের, সাহসের এবং জ্ঞানের পথ অনুসরণ করার জন্য অভ্যন্তরীণ আহ্বানের, এবং জ্ঞানে শক্তিশালী হওয়ার, এবং তাদের দায়িত্ব দাবি করার এবং তারা এখানে থাকা অবস্থায় তাদের উত্তরাধিকার গ্রহণের ফলাফল।

জ্ঞানসম্পন্ন নর -নারী সবসময় মানব জাতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এগুলি সর্বদা আবিষ্কার, উদ্ভাবন এবং সামাজিক পুনরুজ্জীবনের উত্স ছিল। তারা সর্বদা সেখানে আধ্যাত্মিকতার নির্যাস যোগ করে ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখার উৎস। এবং তবুও এখন আমরা একটি দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে এসেছি যেখানে এর প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি।

আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান জানে যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানবতা উদ্ভূত হচ্ছে। এটা জানে এইজন্যই আপনি পৃথিবীতে এসেছেন। এটি জানে যে এটি একটি অত্যধিক প্রয়োজন এবং বাস্তবতা। এবং তবুও এটি ঠিক জানে আপনি এই মুহুর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন, আপনি কী বিশ্বাস করেন, আপনি কী ভাবেন, আপনি কী মূল্য দেন, আপনার অনুভূতি কোথায় থাকে এবং কী তাদের প্রভাবিত করে।

এটি জানে যে আপনাকে অবশ্যই মুক্ত হতে হবে। এটি জানে যে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ এবং শক্তিশালী হতে হবে। এটি জানে যে আপনাকে জ্ঞানের মহান সাম্য এবং জ্ঞানের মহান শক্তি খুঁজে বের করতে হবে। এবং এটি আপনাকে নিরন্তর এই দিকে নিয়ে যাবে। বিশ্রাম হবে না। যতক্ষণ না আপনি এটি খুঁজে পান ততক্ষণ পর্যন্ত কোন অবকাশ পাবেন না, কারণ এটি আপনার সত্তার অনুসন্ধান এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা জ্ঞান প্রতিষ্ঠা করতে, জ্ঞান অর্জন করতে এবং জ্ঞান প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং এখনও এটি সাধারণত অনেক বেশি বিপজ্জনক এবং আরও কঠিন পরিস্থিতির অধীনে হয় যা আপনি এখন আপনার বিশ্বের মধ্যে সম্মুখীন হন। অত্যন্ত নিবন্ধিত এবং উন্নত সমাজে, ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞানের উত্থান একটি বড় হুমকি হিসাবে দেখা হয়, এবং এটি প্রায়ই নির্মমভাবে দমন করা হয়।

এখানে নাগরিকদের মন, মনোভাব এবং অগ্রাধিকারগুলি মানসিক পরিবেশ এবং সামাজিক অবস্থার মাধ্যমে অতিশয় নিয়ন্ত্রিত। অতএব, জ্ঞানের ব্যক্তি এই পরিস্থিতিতে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের স্বাধীনতা অর্জন করা এবং তাদের সামাজিক পরিবেশ এবং তাদের মানসিক পরিবেশের মধ্যে এটি বজায় রাখা একটি ভয়ানক কঠিন কাজ। তবুও তারা একা নন।

এবং এখানে আমরা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য আপনার বোঝার এবং প্রস্তুতির একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশে এসেছি। প্রত্যেক ব্যক্তি যে জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী হয়ে উঠতে এবং বিশ্বের অভ্যন্তরে যে মহান আহ্বানে সাড়া দিতে সচেতন সিদ্ধান্ত নেয় তার অসাধারণ সহায়তা হবে এবং তারা নিজেদেরকে বিশ্বের বৃহত্তর সমিতির জন্য উন্মুক্ত করবে, উভয় জগতের মধ্যে এবং এর বাইরেও।

মানুষের উন্নয়ন তত্ত্বাবধান মহান আধ্যাত্মিক শক্তি। আমরা এইগুলিকে অদৃশ্য সত্তা বলি, অথবা কমপক্ষে এইভাবে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অনেক সংস্কৃতিতে তাদের বলা হয়। উদ্যানপালকদের মত, তারা মানুষের বুদ্ধি এবং মানব আত্মার বিকাশ তত্ত্বাবধান করে যেমন তারা বুদ্ধিমত্তা এবং আত্মার তত্ত্বাবধান করে যেখানে সমস্ত জগতে বুদ্ধিমান জীবন বসবাস করে।

এখানে মানব সমাজ একটি মহান উর্বরতা প্রতিনিধিত্ব করে, এবং তবুও তারা প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। এখানে ব্যক্তির পক্ষে জ্ঞানের প্রতি সাড়া দেওয়া এবং ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ গ্রহণ করা সম্ভব, কিন্তু তাদের পক্ষে মানবতার দিককে প্রভাবিত করা খুব কঠিন কারণ তাদের সংখ্যা খুবই কম এবং তাদের অভিজ্ঞতা এবং তাদের বিকাশের বিপরীতে মানব সমাজে প্রচলন এবং প্রথা অনেক বেশি।

তারা অসাধারণ মানুষ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, এবং তবুও চরম প্রতিকূলতা, নিপীড়ন বা ভুল বোঝাবুঝির মুখোমুখি না হওয়ার জন্য তাদের অবশ্যই গোপন থাকতে হবে। তবুও তাদের অদৃশ্য সত্তাদের সাথে একটি বৃহত্তর সমিতি রয়েছে, একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক সমিতি, যা অগ্রগতি এবং উন্নতির সাথে সাথে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এটি, তাহলে, আপনাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মানবতার আসল মিত্ররা কেমন এবং কেন তারা মানব উন্নয়ন এবং মানুষের অখণ্ডতা রক্ষায় উদ্বিগ্ন সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আপনার সত্যিকারের মিত্ররা জ্ঞানের একটি সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব করে। তারা মহান সামরিক বা রাজনৈতিক শক্তি নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তারা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। তবুও তারা অদৃশ্য সত্তাদের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে এমনকি আপনি এখানে থাকাকালীন, কারণ এটি একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক সমিতি এবং নেটওয়ার্ক যেখানে আপনি জ্ঞানের পথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আবির্ভূত হন।

এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে ভৌত জগতের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াগুলির একটি দুর্দান্ত এবং জটিল বিকাশ ঘটলেও, এক অর্থে, পর্দার আড়ালে, যোগাযোগের একটি দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক যা ভৌতিক ক্ষেত্রের বাইরে প্রসারিত। কারণ এটি জ্ঞানের স্তরে, এটি জ্ঞান প্রদর্শন করে এবং জ্ঞানকে প্রতিফলিত করে। এটা কোন মানসিক পরিবেশ নয় এই অর্থে যে কোন ধরনের শক্তি সেখানে বাস করতে পারে। মানসিক পরিবেশ একটি মানসিক পরিবেশ, কিন্তু জ্ঞানের পরিবেশ একইভাবে মানসিক পরিবেশ নয়।

এখানে আপনি বুঝতে শুরু করেছেন যে বৃহত্তর কমিউনিটিতে আপনার মিত্র আছে। তারা পৃথিবীতে জ্ঞানের পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করে এবং তারা অদৃশ্য সত্তার সাথে সংযুক্ত থাকে, যেমন আপনি অদৃশ্য সত্তার সাথে সংযুক্ত হতে শিখছেন। তারা সমগ্র মহাবিশ্বের মধ্যে জ্ঞানকে দৃঢ় করতে চায়। তারা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান জটিল মানসিক এবং সামাজিক পরিবেশের মধ্যে জ্ঞানকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। জীবনে তাদের মিশন হল জ্ঞান প্রকাশ করা, জ্ঞান প্রদর্শন করা এবং ব্যক্তিবর্গের মন ও হৃদয়ে জ্ঞানকে জীবিত রাখা, উভয় নিজ নিজ জগতের মধ্যে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে।

যদিও আপনি তাদের মুখোমুখি কখনও দেখা করবেন না, এগুলো আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ মিত্র এবং আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে। শুধুমাত্র যদি আপনি জ্ঞানের পথে অগ্রসর হন, কেবলমাত্র যদি আপনি উপলব্ধির মহান সীমানা অতিক্রম করেন তবে আপনি সরাসরি তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন, এবং তাদের অভিপ্রায়ের শক্তি এবং তাদের ইচ্ছার অনুগ্রহ।

তবুও এই মুহুর্তে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি জানেন যে তাদের অস্তিত্ব রয়েছে, অথবা আপনি অনুভব করবেন যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানবতার একেবারে কোন সুযোগ নেই এবং আমি এখানে যা উপস্থাপন করছি তা একেবারে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হবে এবং এটি আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে। কিন্তু নিরুৎসাহিত হবেন না, সৃষ্টিকর্তার শক্তি, অদৃশ্য সত্তার শক্তি এবং জ্ঞানের মহান সম্প্রদায়ের শক্তি যেমন তারা বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে রয়েছে আপনার সাথে থাকে এবং আপনার সামাজিক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে আপনার কঠিন কাজে আপনাকে সমর্থন করে , আপনার মানসিক পরিবেশে স্বাধীনতা অর্জন এবং জ্ঞানের পথ খুঁজে বের করার জন্য।

সান্ত্বনাও নিন কারণ পৃথিবীতে আজ একটি মহান শিক্ষা রয়েছে যা সৃষ্টিকর্তা এখানে অস্তিত্বে আসতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এটি আপনার সত্যিকারের মিত্রদের আকাঙ্ক্ষা এবং ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে যাতে আপনি আপনার স্বাধীনতা খুঁজে পেতে পারেন এবং বিশ্বের সেবায় গঠনমূলকভাবে তা প্রকাশ করতে পারেন।

‘বৃহত্তর সম্প্রদায় জ্ঞানের পথ’ নামে একটি মহান শিক্ষা মানবতাকে দেওয়া হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করা এবং শেখার, জীবনযাপন এবং জ্ঞানের পথ প্রকাশে মৌলিক এবং অপরিহার্য শিক্ষা প্রদান করা। এটি ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ নামক অধ্যয়নের একটি অনন্য পদ্ধতি প্রদান করে।

এটি বিশ্বের প্রত্যেকের জন্য এবং যে কেউ এই মুহুর্তে নিজের মধ্যে মহান আহ্বান অনুভব করতে পারে তার জন্য। এটি আধ্যাত্মিক পুনরুদ্ধারের ভিত্তি স্থাপন করে, যাকে আমরা জ্ঞান পুনরুদ্ধার বলি। এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং বোঝাপড়া অর্জনের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি আপনাকে অন্যদের সাথে সত্য এবং উদ্দেশ্যমূলক সম্পর্কগুলির স্বীকৃতি এবং প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম করে। এটি বাস্তবতা এবং জ্ঞানের অভিজ্ঞতা দৈনন্দিন জীবনে, বিশ্বের মধ্যে আপনার ক্রিয়াকলাপের সমস্ত দিক নিয়ে আসে। এবং পরিশেষে, এটি আপনাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত করে আপনার প্রকৃত শক্তি ও সামর্থ্যের সাথে যুক্ত করে, স্বাধীনতার ভিত্তি প্রদান করে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর মানসিক পরিবেশের মধ্যে বুদ্ধিমান মিথস্ক্রিয়ার গতিশীলতা শেখানোর মাধ্যমে যেখানে আপনি এখন একটি জাতি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন।

এটি আপনার ভাগ্যের প্রতি সাড়া দেয়; এটি আপনার ভাগ্যের উপর জোর দেয়। এটি আপনার প্রকৃত আধ্যাত্মিক প্রকৃতির প্রতি সাড়া দেয়; এটি আপনার প্রকৃত আধ্যাত্মিক প্রকৃতির উপর জোর দেয়। এই শিক্ষণ এক ব্যক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে, কিন্তু এটি শুধুমাত্র এই এক ব্যক্তির শিক্ষার ফসল নয়, কারণ পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে এই ধরনের শিক্ষণ তৈরি করতে পারে।

তাহলে আত্মবিশ্বাস রাখুন, কারণ আপনার দারুণ সহযোগিতা আছে। প্রস্তুতির পদ্ধতি আপনাকে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটি আপনার জন্য উপলব্ধ। এই বইটি তার বাস্তবতা এবং বিশ্বে অস্তিত্বের একটি প্রমান।

আত্মবিশ্বাস রাখুন কারণ অদৃশ্য সত্তা আপনার সাথে আছে এবং আপনাকে পথ দেখাবে এবং আপনাকে এগিয়ে যাবে এবং জ্ঞানের পথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আশীর্বাদ করবে।

আত্মবিশ্বাস রাখুন কারণ আপনার বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিশালী মিত্র আছে, যারা অনেক কষ্ট এবং ত্যাগের মাধ্যমে জ্ঞানের বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তাদের নিজস্ব জগতের মধ্যে জ্ঞানের পথকে উন্নত করেছে। একটি ‘বৃহত্তর সম্প্রদায় জ্ঞানের পথ’ অধ্যয়নের মাধ্যমে তাদের কৃতিত্ব আপনার কাছে উপলব্ধ করা হয়েছে। এবং তাদের সচেতনতা এবং তাদের আত্মার মাহাত্ম্য সরাসরি অনুভব করা যায় যখন আপনি জ্ঞানের স্তরে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে শিখবেন এবং জীবনের এই বৃহত্তর আধ্যাত্মিক প্যানোরামায় প্রবেশ করবেন।

এখানে আপনি চমত্কার বিশ্বাস ছাড়াই প্রবেশ করেন, জটিল আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ব্যবস্থা ছাড়া, উচ্চ আদর্শ ছাড়া, অবাস্তব মেলামেশা ছাড়াই। পরিবর্তে, আপনি আত্মার বিশুদ্ধতা এবং মনের সম্পূর্ণতা দিয়ে প্রবেশ করবেন যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তিকে জীবনের এই মহান সমিতিতে প্রবেশ করতে সক্ষম করবে যাকে আমরা জ্ঞান বলি।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য আপনার প্রস্তুতি, তাই, একটি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি। এটি আপনার আধ্যাত্মিক শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা পুনরুদ্ধারের একটি মৌলিক প্রস্তুতি। এটি জ্ঞানের পথ অনুসরণ করে এবং জ্ঞানের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় । এখানে আপনি ধর্মের সীমা অতিক্রম করেন এবং আধ্যাত্মিকতার বৃহত্তর প্যানোরামায় প্রবেশ করেন কারণ এটি সত্যিই কাজ করে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনের ভৌতিক বাস্তবতার মধ্যে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতার মধ্যে বিদ্যমান।

দীক্ষা

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
28 জুন, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

 

বিশ্ব যখন তার দৈনন্দিন বিষয়গুলি নিয়ে চলেছে, কিন্তু ম্যাসেঞ্জারকে অবশ্যই একটি ঘোষণা করতে হবে। তাঁকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বাঁণীকে প্রচার করতে হবে, কারণ এটি অনেক মানুষের জীবন এবং ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।

এটি তাদের আহ্বান, তাদের মহান আহ্বানের সূচনা করবে যা অন্য কোনও শিক্ষার দ্বারা বা অন্য কোনও বাস্তবতার দ্বারা শুরু করা যায়নি।

এটি এখানে এসেছে দুর্দান্ত পরিবর্তনের জন্য বিশ্বেকে প্রস্তুত করতে, পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ — এক দুর্দান্ত পরিবেশ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন — যা আজ মানুষ প্রত্যাশা করে তার চেয়েও অনেক বৃহওর।

অনেক লোক নতুন প্রত্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে, কারণ তারা পূর্বের ধর্মগুলিতে, বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহ্যের মধ্যে এই দীক্ষা পায়নি। তারা প্রেমের মাধ্যমে, কাজের মাধ্যমে, অন্য কোনও ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে গভীর সংযোগ খুঁজে পেতে সক্ষম হয়নি। তারা এতদিন অপেক্ষা করেছিল। এত দিন তারা প্রত্যাদেশের অপেক্ষায় ছিল।

তাদের জন্য, এটি কেবল কোনও একটা শিক্ষা বা কোনও একটা ঘটনা নয়। তাদের কাছে কেবল অনুমান করা বা বিতর্ক করা অথবা অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করার কিছু নয়। তাদের কাছে, ঘোষণাটা দারূণ বা অস্বাভাবিক কিছুও নয়। এটি একটা নিখুঁত জিনিস।

এটা তাদের দীক্ষা। এটি তাদের আহ্বানকে ধরে রেখেছে, তাদের মনের প্রাচীন করিডোরগুলিতে কথা বলেছে, তাদের একটি অংশের সাথে কথা বলছে যা তারা খুব কমই জানে, তবে এটি তাদের সত্তা এবং বিশ্বে তাদের উপস্থিতির কেন্দ্রবিন্দু।

তাদের জন্য, এটি একটি সর্বশ্রেষ্ঠ মুহূর্ত যদিও তারা এর সম্পূর্ণ অর্থ বা ভবিষ্যতে এটির কী প্রয়োজন হবে তা বুঝতে পারে না। তাদের কাছে, এটির জন্যই তারা অপেক্ষা করতেছিল।

তাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছিল দুর্দান্ত পরিবর্তনের সময়ে। তাদেরকে একটি নতুন ভবিষ্যত গঠনের অংশ হিসাবে বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাদের সংযোগ অতীতের চেয়ে ভবিষ্যতের সাথে বেশি। তারা ভবিষ্যতের সন্তান।

এর আগে যা ঘটেছিল, যা আগে প্রকাশিত হয়েছিল তা অনুপ্রেরণাজনক বা উপকারী হতে পারে তবে এটি তাদের দীক্ষা রাখে নাই। এটি তাদের মহান আহ্বান করে নাই। এই জিনিসগুলিতে তারা এত দিন যা খুঁজছিল এবং অপেক্ষায় ছিল তা ধারণ করে নাই। এটা তাদের ভাগ্য, আপনি দেখুন।

আপনি পৃথিবীতে আসার আগে যা স্থাপন করা হয়েছিল তা পরিবর্তন করতে পারবেন না। যদিও দিনের এবং বছরের ঘটনাগুলি আপনার পরিস্থিতির পরিবর্তন করে এবং আপনার সুযোগের পরিবর্তন করে, তবে আপনার ভাগ্য এখনও একই।

আপনি এই সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারেন। আপনি এই নিয়ে বিতর্ক করতে পারেন। আপনি এটিকে দুর্দান্ত প্রকল্প, দুর্দান্ত রোম্যান্স, দুর্দান্ত প্রচেষ্টা বা যে কোনও সংখ্যক বিভ্রান্তি এবং কল্পনা দিয়ে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করতে পারেন তবে আপনি আসার আগে আপনার ভিতরে যা ছিল তা পরিবর্তন করতে পারবেন না।

এটি কীভাবে ঘটবে, যদি এটি ঘটে, যেখানে এটি ঘটবে সবকিছু পরিবর্তিত হবে এবং বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবং মানুষের মধ্যে পরিবর্তনশীল আনুগত্যে এবং তাদের পরিস্থিতি এবং পরিবেশ এবং আরও অনেক কিছুর দ্বারা পরিবর্তন হচ্ছে।

যদি নতুন বাঁণী গ্রহন করা আপনার নিয়তি হয়, তবে আপনি অন্য কোথাও আপনার আহ্বান খুঁজে পাবেন না। আপনি যেভাবে পারেন চেষ্টা করুন। প্রতিরোধী হন। অস্বীকার করুন। আলাদা হয়ে দাঁড়ান। এটির সাথে দোষ খুঁজতে চেষ্টা করুন। এটি অবজ্ঞা করার চেষ্টা করুন। এটি  উপসাগর এ রাখার চেষ্টা করুন। তবে এটি আপনার ভাগ্যকে ধারণ করে যে আপনি এটি পরিবর্তন করতে পারবেন না।

আপনার মন জল্পনা করতে পারে। আপনার মন প্রশ্ন করবে। আপনার মন এটি হাস্যকর মনে করবে; এটি হতে পারে না। তবে আপনার হৃদয় জানবে। আপনার আত্মা সক্রিয় করা হবে।

এটি এমন ভয়েসের মতো যা পৃথিবীতে আসার আগে আপনাকে বলেছিল, আপনাকে এই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করছে। এটি সেই ভয়েস – সেই ভয়েসের মতো আমাদের ভয়েসের মতো — যা সংযোগটি জীবন্ত করে তোলে, যা আপনার জীবনের প্রাথমিক ফোকাস এবং অর্থ পুনরুদ্ধার করে।

তবে দীক্ষার মুহুর্তে আপনি বুঝতে পারবেন না। এটা এত বিভ্রান্তকর হবে। এটি আপনার লক্ষ্য এবং আপনার ধারণা এবং আপনার নিজের সম্পর্কে এবং বিশ্বে আপনি যা করছেন তার থেকে সম্পুর্ন আলাদা।

এবং হঠাৎ করেই, এটি এমন হয় যেন আপনি বজ্রপাতের শিকার হন এবং অন্ধকারে এক মুহুর্তের জন্য সবকিছু আলোকিত হয়। এবং আপনি আপনার জীবন সম্পর্কে সত্যতা দেখেন এবং আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং আহ্বান থেকে আপনি সত্যই কতটা দূরে রয়েছেন, যেন আপনি সমুদ্রের কোন ভেলায় ভাসতে ছিলেন, বাতাস এবং বিশ্বের ঢেউয়ের দ্বারা বাহিত হয়ে চলেছেন।

কিন্তু ঈশ্বর আপনাকে সমুদ্রের বিশালতায় প্রবাহিত হওয়ার সময় আপনাকে পেয়ে গেছেন। সমুদ্রের তলদেশের একটি ক্ষুদ্র কণার মতো, আপনাকে সন্ধান করা হয়েছে। আপনি প্রত্যাদেশের দ্বারা সন্ধান হয়েছেন।

আপনার পরিস্থিতি বা মনের অবস্থা যাই হোক না কেন, আহ্বানটি আপনার সাথে কথা বলবে, কারণ এটি আপনার ভাগ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি অন্য কারও ভাগ্য নয়। তাদের সম্পর্কে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। এটা আপনার নিয়তি।

আপনি বলতে পারেন, “অন্যান্য লোকদের কী হবে? আমার স্ত্রীর কি হবে? আমার বাচ্চাদের কী হবে? আমার প্রিয় বন্ধুদের কি হবে?”

কিন্তু ঈশ্বর সমুদ্রের উপরের কনিকাটি খুঁজে পেয়েছেন এবং সেই কনিকাটি আপনি।

এটি দীক্ষা। এটি রহস্যময়। আপনি বুদ্ধি দিয়ে এটি বুঝতে পারবেন না। এর অর্থ কী বা এটি আপনাকে কী করতে পরিচালিত করবে আপনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এটি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কারণ ঈশ্বর আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

আপনার দুর্দান্ত ধারণা, আপনার দৃয় বিশ্বাস, এ সবকিছুই বর্তমানের মুখে অগভীর এবং দুর্বল বলে মনে হয়। আপনার যুক্তিগুলি ফাঁকা। আপনার প্রত্যাখ্যান প্রকৃতপক্ষে আবেগ ছাড়া। আপনার অস্বীকৃতি কৃত্রিম। আপনার অস্বীকৃতিতে দৃয় বিশ্বাসের অভাব রয়েছে। কারণ এটি আপনার দীক্ষা।

এবং একবার দীক্ষাটি স্বীকৃতি পেয়ে গেলে, কিছু সংগ্রামের পরে, প্রস্তুতির যাত্রাটি আপনার সামনে প্রসারিত হবে। জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি আপনার সামনে প্রসারিত। আপনার সত্যিকারের জীবন পুনরুদ্ধার এবং যা আপনার প্রয়োজন হবে এবং আপনার বর্তমান পরিস্থিতি এবং দায়বদ্ধতাগুলি ধাপে ধাপে আপনার সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

আপনি যেখান থেকে এসেছেন সেখান থেকে আপনি নিজের উদ্দেশ্যটিতে পৌঁছাতে পারবেন না কারণ আপনি অবিচ্ছিন্ন এবং আপনার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান পাননি। যেখানে আপনার জীবন বোঝানো হচ্ছে সেই জায়গার সন্ধান আপনি পাননি।

এটি এমন কি সময় যখন প্রত্যাদেশ দ্বারা উদ্ঘাটিত করা হবে। মুহুর্তের জন্য মনে হবে, তবে হঠাৎ করেই সব কিছু আলাদা লাগতে শুরু করবে। আপনার এমন অভিজ্ঞতা আছে যা আপনার সাধারণ অভিজ্ঞতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং এটি একটি বৈসাদৃশ্য তৈরি করতে শুরু করবে যা আপনি আপনার সাথে চালিয়ে যাবেন। কারন আপনি নিজে থেকে কিছুই করতে পারবেন না যা এর সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। আপনি যে কোনও অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করেছেন তার চেয়ে এটি বড়। এটি আপনি নিজের জন্য নির্ধারিত যে কোনও লক্ষ্যের চেয়ে বড়।

আপনি আতঙ্কিত ও অভিভূত, বিভ্রান্ত বোধ করছেন তবে ঠিক আছে। এটা স্বাভাবিক। আপনার জীবনটি হঠাৎ করে পাল্টে ফেলার জন্য অবশ্যই বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এটি অবশ্যই আপনার বর্তমান আবেগ এবং বিভ্রান্তির জন্য বিমোহিতকর হবে।

একবার ঈশ্বর আপনার উপরে ঈশ্বরের চিহ্ন তৈরি করে ফেলেছেন, তারপরে এমন নয় যে আপনি নিজের জীবন থেকে এটি মুছে ফেলতে পারেন বা এটিকে ঢাকতে পারেন বা এটিকে দূরে সরিয়ে দিতে বা ব্যাখ্যা করতে বা নিজেকে যুক্তিযুক্ত করতে পারেন যাতে এর শক্তি হ্রাস পায়। আপনি কি আপনার জন্য প্রত্যাদেশের সাথে লড়াই করতে যাচ্ছেন?

এটি দুর্ঘটনাক্রমে নয় যে আপনি নতুন প্রত্যাদেশটি শুনে এসেছেন বা এমনকি শুনেছেন। স্বর্গের সমস্ত শক্তি যা আপনাকে সমর্থন করে তা আপনাকে এই স্বীকৃতি দানের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং প্রক্রিয়াতে আপনার জীবনকে ধ্বংস থেকে দূরে রাখা, আপনি ইতিমধ্যে যে ক্ষতি করেছেন তা এবং ইতিমধ্যে আপনি যে অবক্ষয় তৈরি করেছেন তা সীমাবদ্ধ করা, যাতে আপনি উপলব্ধ হন এবং সাড়া জানাতে সক্ষম হন।

দীক্ষা আপনাকে অসহায় এবং বিভ্রান্ত, অত্যন্ত অনিশ্চিত বোধ করতে পারে। আপনি এমনকি এটি একটি বড় দুর্ভাগ্য বলে মনে করতে পারেন। তবে স্বর্গের অবস্থান ও দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি অল্প সংখ্যক লোকের মধ্যে ধন্য, একজন ব্যক্তি যাকে সবচেয়ে বড় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে যদি এর অর্থ আপনার জীবন ও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় তাতে কি? আপনি কে এবং কেন আপনাকে প্রেরণ করা হয়েছে তার তুলনায় এটি কী?

হ্যাঁ, এই মুহুর্তে আপনার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং সম্ভবত আপনার সাথে জড়িত অন্যদের কাছে অর্থপূর্ণ। তবে আপনাকে একটি মহান সুযোগ এবং একটি সুযোগের চেয়েও বেশি দেওয়া হয়েছে — একটা আহ্বান।

এই দীক্ষাটি একবার হয়ে গেলে, আপনার যাত্রা বদলে যাবে, সম্ভবত শুরুতেই অজ্ঞাতসারে, তবে কিছু আপনার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করেছে। আপনি সত্যিই একই রকম থাকতে পারবেন না। এমনকি আপনি যদি জীবনও ব্যয় করেন যা ঘটেছে তা অস্বীকার করেন এবং প্রত্যাখ্যান করেন আপনি কখনই একই রকম থাকতে পারবেন না।

আপনি সরল আনন্দ নিয়ে একা কখনও খুশি হতে পারবেন না। আপনি আপনার পূর্বের লক্ষ্যগুলি বা বিযুক্তি, শখ এবং আগ্রহের সাথে কখনই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে।

স্বর্গের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি মহান আশীর্বাদ। অবশেষে, আপনার জীবন মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনার কাছে এটি এই মুহুর্তে খুব আলাদা বলে মনে হবে।

তারপরে আপনাকে অবশ্যই প্রত্যাদেশে আটকে থাকতে হবে যদি তা আপনার দীক্ষা হয় এবং আপনি জানতে পারবেন যে এটি আপনার সত্তার কেন্দ্রে রয়েছে কিনা। এটি নিজের সাথে কোনও বৌদ্ধিক আলোচনা নয়। এটি একটি যৌক্তিক প্রক্রিয়া নয়। মানুষের যৌক্তিকতা কেবল একটি অনিশ্চিত এবং অবিশ্বাস্য পৃথিবীর সাথে সমঝোতা করার জন্য একটি মোকাবিলার ব্যবস্থা। এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে উপযুক্ত তবে অন্যদের মধ্যে আশাহীন।

আপনি ম্যাসেঞ্জার সম্পর্কে জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যদি তিনি দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়ে দীক্ষা হয় তবে আপনার সুযোগটি আরও বেশি এবং তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি এখানে থাকাকালীন আপনার তাকে মিস করা আপনার পক্ষে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে।

প্রত্যাদেশ প্রতি কয়েক শতাব্দীতে, অথবা সম্ভবত সহস্রাব্দে একবার আসে এবং আপনি সেই সময়ে এখানে উপস্থিত আছেন। স্বর্গের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি দুর্দান্ত আশীর্বাদ, একটি মহান সুযোগ।

কিন্তু মেসেঞ্জারকে কে চিনতে পারে? তিনি দেখতে খুবই সাধারন। তিনি দেখতে চিত্তাকর্ষক নন। তিনি বিশ্বে কোনও বড় পদ দখল করেন না। তিনি জনসাধারণের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবেন। তিনি তাদের মধ্যে চলাফেরা করবেন। কেউ তাকে চিনতে পারবে না, কেবল সম্ভবত তাদের জন্য যারা প্রত্যাদেশের দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

যারা তাঁর সাথে সাক্ষাত করেন তাদের কাছে তিনি তাঁর আসল উদ্দেশ্যটি প্রকাশ এবং তারা কে তার উপর নির্ভর করে তাদের সাথে বিশ্বে কাজও করতে পারবেন না। এটি কীভাবে হতে পারে যে কেউ এটিকে দেখবে না? এটি কীভাবে হতে পারে যে পৃথিবীতে এই মহান গুরুত্বের কেউ তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের দ্বারা অচেনা হয়ে যায়?

এটি বিশ্বের দুর্দশা। প্রত্যেকেরই দেখার চোখ রয়েছে এবং শুনার কান রয়েছে তবে তারা অন্যরকমভাবে তাকিয়ে আছে এবং তারা তাদের মনের মধ্যে কী আছে এবং কী তাদের মনের মধ্যে যা আছে তা নিশ্চিত করে সেটা দেখার চেষ্টা করছে এবং বাস্তবে যা আছে তা নয়।

সুতরাং তারা তাকায় কিন্তু তারা দেখতে পায় না। তারা কান দেয়, কিন্তু তারা শুনতে পায় না। তারা ম্যাসেঞ্জারের পাশে দাঁড়ায়, কিন্তু তারা স্বীকৃতি দেয় না যে তারা এই মুহুর্তে পুরো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

সে নিজের সম্পর্কে এই কথা কখনও বলবেন না। তিনি এ জন্য অনেক বেশি নম্র, সুতরাং এটি অবশ্যই তাঁর জন্য বলা উচিত।

এটি শতাব্দীর আগের মত। আপনি মুহাম্মদের সাথে একটি টেবিলে চা খাচ্ছিলেন, তবে তিনি কে ছিলেন তা আপনি জানেন না। ঠিক আছে, তিনি অন্য কারও মতো লাগে। তিনি উপস্থিতি বিচ্ছুরিত করছেন না। তিনি এত দুর্দান্ত বা এত সর্বশক্তিমান নন যে তার চারপাশের প্রত্যেকেই তার উপস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তিনি কেবল একজন মানুষ, ঐতিহ্যবাহী সাজে, কেবল একজন মানুষ। এই যে সে। আমি এখন তাকে দেখতে পাচ্ছি। তিনি এখানে এসেছেন। বিশেষ কিছু না। এমনকি লোকেরা তাঁর কথা শোনার জন্য তাকে প্রচণ্ড প্রচার করতে হয়েছিল। এত অন্ধ ছিল তার চারপাশের প্রত্যেকে, খুব কম লোকই দেখতে পেত। যে কোনও প্রত্যাদেশের সময় ম্যাসেন্জারের উপর এরকমই দ্বিধা এবং বোঝা।

দীক্ষা প্রভাব দিয়ে শুরু হয়। এটি অসন্তুষ্টি এবং আপনি যা সন্ধান করছেন তা স্বীকৃতি দিয়ে শুরু হয় যে আপনার যা আছে এবং আপনি যেখানে আছেন এবং আপনি যা করছেন তাতে সন্তুষ্ট নন কারণ এটি আপনি কে এবং আপনি এখানে কেন এসেছেন তা উপস্থাপন করে না।

যারা সন্তুষ্ট বলে মনে করেন তারা এখনও নিজের মধ্যে এত গভীরভাবে পৌঁছতে পারেননি যে তাদের কোথায় থাকা উচিত এবং তাদের কী করা দরকার তারা যে অনেক অপ্রতুল হচ্ছেন তা বুঝতে পারে।

লক্ষ্যটি সুখের জন্য নয় বরং প্রস্তুতি, তৎপরতা, যোগাযোগ, পুনর্মিলন এবং চূড়ান্তভাবে বিশ্বের অবদান, যেখানেই এটি একটি ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত হতে পারে। সে কারণেই সুখের সাধনা এতটাই প্রতারণামূলক কারণ প্রত্যাদেশটি আপনাকে অস্বস্তি করে তুলবে। এটি আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

আপনি কি মনে করেন যে ঈশ্বর আসবেন এবং আপনাকে সান্ত্বনা দেবেন যখন আপনাকে কিছু করার জন্য পাঠানো হয়েছে যা আপনি এখন করছেন না এবং করার কোন আশাও নেই যদি না আপনাকে আরও মহান কিছু দেওয়া হয়, যদি না আপনাকে জনতার ভেতর থেকে বাইরে ডেকে নেওয়া হয়, যদি না আপনার যাত্রা স্বর্গের শক্তি দ্বারা পরিবর্তন করা হয়?

আপনি কেবল সমুদ্রের এক ছএাক হয়ে উঠবেন, নিজের কাছেও অজানা, অন্যের কাছেও অজানা। এমনকি যদি সমাজে আপনার একটি বিশাল অবস্থান থাকে এবং আপনি ধন- সম্পদ এবং মর্যাদা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনার জীবনের খালি প্রকৃতি বিস্তৃত হবে যদি না আপনি আপনার মহান কাজটি পেয়ে থাকেন এবং আপনার যোগ্যতার সর্বোওম উপায়ে করে থাকেন।

যারা এই কাজটি করেন তারা তৃপ্তি এবং একটা মূল্য বোধ এবং শক্তি অনুভব করেন যা অন্য সবার কাছে হারিয়ে যায়, তারা নিজেদের জন্য যাই ঘোষণা করুক না কেন।

ঈশ্বরের নতুন বাঁণী মানবজাতির আধ্যাত্মিকতার প্রকৃতি স্পষ্ট করে দেবে, যা সংস্কৃতি, প্রচলিত রীতি এবং রাজনৈতিক কারসাজি দ্বারা আচ্ছন্ন।

এটি স্পষ্ট করে দেবে যে আপনি দুটি মনে নিয়ে জন্মেছেন — একটি পার্থিব মন যা বিশ্ব দ্বারা শর্তাধীন এবং আপনার মধ্যে গভীর মন যা এখনও ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত। এটি পরিষ্কার করে দেবে যে বুদ্ধিবৃত্তির সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং এই সীমানার বাইরে আপনাকে অবশ্যই মনের পৃষ্ঠতলে যেতে হবে।

এটি পরিষ্কার করে দেবে যে, আপনি আপনার মহান কাজ এবং ভাগ্য ছাড়া নিজেকে পরিপূরণ করতে পারবেন না এবং আপনি যে সমস্ত আনন্দ অনুসন্ধান করেন তা অস্থায়ী এবং আপনার আত্মার গভীর প্রয়োজনকে সন্তুষ্ট করবে না।

এটি পরিস্কার করে দেবে যে, আপনি দুর্দান্ত পরিবর্তনের এমন এক সময়ে বাস করছেন, যেখানে মহাবিশ্বে মানবতার বিচ্ছিন্নতার অবসান হবে এবং যেখানে পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ বিশ্বকে আঘাত করবে – এমন এক সময়, যা মহা উত্থান ও অনিশ্চিয়তার সময়, একটা প্রত্যাদেশ উদ্ভূত হওয়ার সময়।

মানুষ ম্যাসেঞ্জারের অনেকগুলি জিনিস চাইবে – নিয়তির বিধানের জন্য, অলৌকিক কাজের জন্য, অতিপ্রাকৃত কাউকে বিশ্বাস করার প্রত্যাশা, তাঁর উপস্থিতি এবং তাঁর কাজের দ্বারা তাদের জীবন আরও সমৃদ্ধ হওয়ার আশা করবে।

তারা হতাশ হবে, যেমন পূর্ববর্তী ম্যাসেঞ্জারগন অনেক মানুষকে হতাশ করেছিল। এ কারণেই ম্যাসেঞ্জারকে অস্বীকার করা হয়, প্রত্যাখ্যান করা হয়, এড়ানো হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে ধ্বংস করা হয় কারণ জনগণ যা চায় তা পায় না। তারা কেবল তাদের সত্যিকারের যা প্রয়োজন তা গ্রহণ করে।

মানুষ যা চায় এবং স্বর্গের ইচ্ছা খুব আলাদা। তবে সত্যিকার অর্থে যদি আপনি বেঁচে থাকা এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ জিনিসগুলি অর্জনের বাইরে আপনার গভীর প্রয়োজনীয়তাগুলি বুঝতে পারতেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি যা চান এবং স্বর্গের ইচ্ছা প্রকৃতপক্ষে একই। তবে এই স্বীকৃতিটি কেবল ব্যক্তির জন্য আত্ম-সততার খুব গভীর অবস্থায় ঘটবে।

এটি সম্ভবত এখনও পুরোপুরি খুঁজে পাননি। তবে আপনারা যারা আমাদের কথা শুনছেন তারা এমন পর্যায়ে এসেছেন যেখানে দীক্ষা আসতে পারে। আপনাকে অবশ্যই আপনার হৃদয় দিয়ে শুনতে হবে, আপনার রায় এবং আপনার ধারণাগুলির সাথে নয় এবং আপনার মনে হয় যে সমস্ত প্রয়োজনীয়তা প্রত্যাদেশটি সত্য এবং আপনার অর্থবহ হওয়ার জন্য প্রয়োজন, যেন আপনি এই বিষয়গুলি নির্ধারণ করতে পারেন।

এমনকি মানুষের দুর্দশার মধ্যেও, এখনও তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার মতো নম্রতা নেই যে তারা স্রষ্টার সাথে এবং স্বর্গের ইচ্ছার সাথে তাদের প্রাথমিক সম্পর্কের বিষয়ে জড়িত হওয়ার শর্তাদি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।

আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি প্রকৃতপক্ষে এটি করতে পারবে না কারণ এটি বিশ্বাসের ক্ষেত্রের বাইরে ঘটে। বিশ্বাস আপনাকে আপনার প্রাচীন বাড়িতে, আপনার স্বর্গীয় অবস্থাতে প্রবেশ করাবে না, কারণ বিশ্বাস খুব দুর্বল, খুব অস্থায়ী। আপনি যখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন, তখন আপনার কোনও বিশ্বাস থাকবে না। তারা সবাই শরীরের সাথে চলে যাবে। আপনি ঠিক সেখানে সেইভাবেই যাবেন আপনি প্রকৃতপক্ষে যেমন।

আপনার আধ্যাত্মিক পরিবার আপনাকে গ্রহণ করবে এবং আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে যে আপনি নির্দিষ্ট কিছু অর্জন করেছেন কিনা এবং সেই মুহুর্তে, আপনার বিশ্বাসের বোঝা এবং অন্ধ প্রভাব ছাড়াই, দিনের মত স্পষ্ট হবে যে আপনি এই প্রাথমিক কাজগুলি করেছেন বা করেন নি। এবং যদি অস্বীকার করা হয় তবে তাতে কোন নিন্দা নেই। এর অর্থ হ’ল আপনার কাজটি এখনও শেষ হয়নি।

আপনাকে স্বর্গে ফিরে যেতে হবে, আপনি বুঝতে পাচ্ছেন। আপনাকে বিচ্ছিন্ন বিশ্ব, বিচ্ছিন্ন মহাবিশ্বের সেবা করতে হবে। আপনাকে অবদানের মাধ্যমে এবং স্ব-বিকাশের মাধ্যমে আপনাকে ফিরে যেতে হবে। আপনি দুর্দশাগ্রস্ত, বিরোধযুক্ত, বিতর্কিত, গুরুতর ব্যক্তি হিসাবে আপনার প্রাচীন বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন না। যদি এমনটি হত তবে স্বর্গ আপনার কাছে জাহান্নামের মতো মনে হত।

ঈশ্বর কেবলমাত্র এই সমস্ত সমস্যাগুলির সাথে বিতরণ করেন না কারণ ঈশ্বর তাদের তৈরি করেন নি। তাদের অবহেলা করতে হবে। ঈশ্বর আপনার পূর্বের জীবন ও অস্তিত্বের ট্র্যাজেডিকে মুছে ফেলা এবং আপনার কাছে মর্যাদা এবং আপনার নিজের উদ্দেশ্য দাবি করা এবং আপনার উদ্দেশ্য যা পরিবেশন করা হবে তার ফিরিয়ে আনতে আপনাকে জ্ঞানের শক্তি, গভীর বুদ্ধি এবং একটি মহান আহ্বান জানিয়েছেন।

এটি সমস্ত কিছু দীক্ষা দিয়ে শুরু হয়। যদি এটি সত্য এবং কার্যকর হতে হয় তবে এটি দীক্ষা দিয়ে শুরু হয়। ঈশ্বর এখানেই নিযুক্ত হওয়ার শর্তাদি নির্ধারণ করেন এবং আপনার প্রাচীন বাড়ীর আসল যাত্রা শুরুর সূচনা করেন।

আপনি নিজেকে আপনার প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন না কারণ আপনি উপায়টি জানেন না। আপনি কেবল অন্য কারও কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনটি অনুসরণ করতে পারবেন না কারণ জ্ঞান এবং বর্তমানের সাথে জড়িত হওয়া অবশ্যই লাইন বরাবর কোথাও হতে হবে, নতুবা এটি একটি বৌদ্ধিক উদ্যোগ এবং আত্মার কোন যাত্রা নয়।

বিশ্বের জন্য সময়টা কম। নিজেকে নিখুঁত করতে বা আপনার দ্বিধা প্রকাশের চেষ্টা করার জন্য কয়েক দশক এবং শতাব্দী ব্যয় করার সময় নেই। এই আহ্বানটা এখুনকার জন্য। সময় দেরি হয়ে গেছে।

আপনি সাড়া জানাতে পারলে এটি আপনার জন্য চাপ হবে তবে চাপটি আপনাকে সাড়া জানাতে এবং প্রস্তুত হতে সময় কমিয়ে দেবে। এবং এটি একটি মহান আশীর্বাদ, কারণ সময়টি তাদের ভোগান্তির সমান হবে যারা সাড়া দিতে পারবে না।

উপহারটি আপনার মধ্যে রয়েছে তবে আপনি দরজাটি খুলতে পারবেন না। আপনার কাছে চাবি নেই। আপনি আপনার গভীর প্রকৃতিটি আবিষ্কার করতে পারবেন না কারণ আপনার কাছে এখনও পুরো ধারনা নেই। আপনি এখনও আপনার উত্সের সাথে সম্পর্ক স্থাপন হয়নি কারণ আপনার গভীর প্রকৃতিটি আপনার উত্সের সাথে সম্পর্ক। এটা কেমন হবে আপনি যদি কখনও এটা বের করতে পারেন যে আপনি বিচ্ছিন্নতা-এ জীনব-যাপন করছেন, পৃথিবীর মহাসাগরে হারিয়ে গেছেন।

এটিই স্বর্গের উপহার — যা আপনার জীবন মুক্ত করতে পারে। তবে আপনাকে অবশ্যই পথটি আপনার কাছে উপস্থাপনের অনুমতি দিতে হবে।

আপনাকে অবশ্যই প্রত্যাশের সাড়া দিতে হবে। যদি আপনি ঈশ্বরের পূর্ববর্তী প্রত্যাদেশসমূহের সাড়া না দিয়ে থাকেন তবে আপনি নতুন প্রত্যাশের অপেক্ষায় রয়েছেন।

হতাশা বা বিভ্রান্তির এক মুহুর্তে আপনি নিজের মধ্যে আরও গভীর আলোড়ন অনুভব করবেন। এবং আপনি বুঝতে পাবেন যে আপনি এমন একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে এসেছেন যা আপনি এখনও আবিষ্কার করেন নি, তবে যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই মুহুর্তের জন্য যেখানে আপনার জীবন ডাকা হচ্ছে।

ম্যাসেঞ্জারের মিশন

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
10 এপ্রিল, 2012 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

 

ঈশ্বর এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে যা যা প্রেরণ করা হয়েছে তার অসদৃশ তিনি পৃথিবীতে একটি নতুন প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছেন।

পৃথিবীতে একজন মেসেঞ্জার প্রেরণ করা হয়েছে — এমন একজন মেসেঞ্জার যিনি একরকম সাধারণ জীবনযাপন করেছিলেন, এমন একজন মেসেঞ্জার যিনি একজন নম্র মানুষ এবং যিনি এই ভূমিকার জন্য খুব দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

যদিও অন্যরা এই জাতীয় ঈশ্বরের ম্যাসেন্জার উপাধি হিসাবে দাবি করতে পারে তবে সত্যই, পৃথিবীতে কেবল একজনই প্রেরিত। স্বর্গ এটি অবশ্যই জানে, যদিও লোকেরা অন্যান্য দাবি ও বিবৃতি রাখবে।

মানুষ মেসেঞ্জারকে ভয় পায়। এটি তাদের জন্য কী অর্থ হতে পারে, কীভাবে এটি তাদের ধারণাগুলি পরিবর্তন করতে পারে বা কীভাবে এটি তাদেরকে একরকম বৃহত্তর পরিষেবা বা সংস্থায় ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে তারা ভয় পান।

অনেক লোকই কেবলমাত্র এই ভিত্তিতেই ঈশ্বরের নতুন বাঁণীকে প্রত্যাখ্যান করবে কারণ তারা ভয় করে যে পৃথিবীতে এমন একটি নতুন প্র্রত্যাদেশ রয়েছে যা মানব ইতিহাস এবং নিয়তির গতিপথকে পরিবর্তন করতে পারে এবং এটি প্রাতিষ্ঠানিক এবং অনেক সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে এমন জনপ্রিয় ধারণা এবং বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

তবে সমস্ত জীবনের স্রষ্টা এই বিষয়গুলির দ্বারা আবদ্ধ নন এবং কেবল মানবতার কল্যাণ এবং মানবতার ভবিষ্যত এবং নিয়তির জন্য প্রয়োজনীয় বাঁণী এবং প্র্রত্যাদেশ প্রদান করেন, এই বিশ্বজুড়ে এবং মহাবিশ্বের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যেও।

ঈশ্বরের নতুন বাঁণী পৃথিবীতে এর আগে কখনও আনা হয়েছিল এমন যে কোনও কিছু থেকে আরও বিস্তৃত এবং সর্বব্যাপী এবং বিস্তারিত। এটি এমন এক সময় দেওয়া হচ্ছে যখন মানব পরিবার শিক্ষিত হয়ে উঠেছে এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সাথে একটি বিশ্ব সভ্যতা ও অর্থনীতিতে অংশ নিচ্ছে। এটি পূর্ববর্তী যেকোন প্র্রত্যাদেশের তুলনায় একেবারেই আলাদা পরিবেশ, যা একান্তই আঞ্চলিক ধরনের ছিল এবং যা কেবলমাত্র একটি দীর্ঘ সময় জুড়ে এবং প্রচুর বিবাদ, সংঘাত এবং সহিংসতার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

মানবতা বুদ্ধিমান জীবনে পরিপূর্ণ মহাবিশ্বের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে — এটি একটি অ-মানব মহাবিশ্ব যা এখন এটির সাথে লড়াই করতে শিখতে হবে।

এবং মানবতা ক্রমহ্রাসমান সংস্থান এবং পরিবেশ অস্থিতিশীলতার বিশ্বে বাস করছে, যা হাজার হাজার বছর ধরে দেখা যায় নাই। পৃথিবীর নিজের ইতিহাস ছাড়া, এমনকি আপনার ইতিহাসও এর অর্থ কী হতে পারে তার বিবরণ দিতে পারে না।

প্রত্যাদেশটি নিজস্ব ভাষ্য নিয়ে আসে। এটি কেবল একটি রহস্যময় শিক্ষা নয় যা মানুষের ব্যাখ্যার কাছে রেখে যায়, যেমনটি আগে হয়েছিল।

এই প্রত্যাদেশটি সম্পূর্ণ এবং ব্যাপক, একটি ব্যক্তির জীবন এবং মানবতার জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের বর্তমান এবং ভবিষ্যত উভয়ের জন্যই আলোচনা করে।

এবং তবুও ইতিহাসের সমস্ত প্রত্যাদেশগুলির মতো এটি মানবতার উদ্বেগের চেয়ে বৃহত্তর বিষয়গুলির কথা বলে। এটি এমন বিষয়গুলির কথা বলে যা মানবতা হ্রাসকারী বিশ্বে ঔক্যবদ্ধ হওয়া বেছে নেবে নাকি বাকী সংস্থানগুলিতে কার অধিগত করার ক্ষমতা রয়েছে তা নিয়ে লড়াই এবং সংগ্রাম করবে তাতেই সমস্ত পার্থক্য তৈরি করবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে নিযুক্ত হতে পারবে কিনা তাতে এই সমস্ত পার্থক্য তৈরি হবে যা ইতিমধ্যে দুনিয়াতে মানব দুর্বলতা, দ্বন্দ্ব এবং প্রত্যাশার সুযোগ নিয়ে এখানে উপস্থিত জাতিদের দ্বারা বিশ্বে একটি হস্তক্ষেপের কারণ ঘটাচ্ছে।

এত বড় একটি বাঁণীর জন্য মেসেঞ্জার সহ কয়েকজন ব্যক্তির যাদেরকে তাঁর এই প্রস্তুতি এবং ঘোষণায় সহায়তা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন।

তিনি এখানে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বা প্রতিটি প্রয়োজনের সমাধানের জন্য আসেননি। তাঁর বাঁণীটি ব্যক্তির মধ্যে আত্মার প্রয়োজনের কথা বলে – জীবনের উত্সের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন এবং ঈশ্বর জ্ঞান নামক প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে গভীর বুদ্ধির উপস্থিতির মাধ্যমে যে শক্তি দিয়েছেন তা অর্জন করার প্রয়োজনের কথা বলে।

ম্যাসেঞ্জার এখানে তর্ক বা বিতর্ক বা বিশ্ব বিষয় বা বিভিন্ন গোষ্ঠী, জাতি বা উপজাতির উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ইস্যু করার পক্ষে নেই। তিনি এখানে একচেটিয়া সাংস্কৃতিক অবস্থান বা ধর্মীয় অনুষঙ্গ যদি তাদের আদৌ একটি থাকে, নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে প্রত্যাদেশবাঁণী ও মুক্তির বার্তা আনতে এখানে এসেছেন।

এটি জাতি এবং সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আদর্শকে অতিক্রম করে। এটি এই বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ককে সরিয়ে দেয় কারণ এটি বাস্তবতা এবং ভবিষ্যতের জন্য সমগ্র বিশ্বকে মুক্তি এবং প্রস্তুত করার জন্য ঈশ্বরের পক্ষ থেকে একটি নতুন বাঁণী যা অতীতের থেকে খুব আলাদা হবে।

কেবল ঈশ্বরই এ জাতীয় জিনিস সরবরাহ করতে পারেন। এমনকি এই মুহুর্তে, ধর্মগুলি নিজের মধ্যেও বিভক্ত। তারা বিতর্কিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে উদীয়মান বিশ্বব্যাপী সমস্যাগুলির সমাধান করতে অক্ষম যা ভবিষ্যতে মানবতাকে ছাড়িয়ে যাবে যদি তারা অপ্রস্তুত থাকে।

কাদের ধর্ম সেরা বা সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠাতা তা নিয়ে তর্ক করা এখন কেবল মানবতার ক্ষতি করতে পারে। এটি বিভাজক এবং একচেটিয়া। এটি মানব পরিবারের দ্বিধা এবং ভাঙ্গনকে সংযুক্ত করে।

ঈশ্বর ভাল জানেন। এবং প্রত্যাদেশের বাঁণী আনার জন্য যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে সে হল যথাযথ একজন। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি দীর্ঘ প্রস্তুতিতে ব্যর্থ হননি এবং এই সমস্ত কিছু তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জন্য প্রয়োজন ছিল।

জনগন এটি প্রতিহত করবে এবং এতে বিরক্তি প্রকাশ করবে এবং মেসেঞ্জারকে সমস্ত ধরণের বিষয়ে অভিযুক্ত করবে। তবে সেই হল একজন। তাঁর মূল্য এবং তাঁর ভূমিকা দেখার ব্যর্থতা অনুধাবনকারী পক্ষের ব্যর্থতা, ঈশ্বর এখন দুনিয়াতে প্রেরণ করছেন যে মহান আশীর্বাদ তা চিনতে এবং গ্রহণ করার ব্যর্থতা।

মেসেঞ্জারের কোন গর্ব নেই। তিনি একজন নম্র মানুষ, তবে এই মহা আহ্বান এবং তাঁর উপরে যে বৃহত্তর দায়িত্ব রয়েছে এবং বিশ্বকে একটি নতুন প্রত্যাদেশ আনার ক্ষেত্রে তাঁর যে দুর্দান্ত কষ্টের মুখোমুখি হতে হবে তা তাঁকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন। এবং ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ কোন অভিজাত গোষ্ঠী বা সাংস্কৃতিকভাবে সুযোগ্য, ধনী এবং মজাদারদের জন্য নয়। এটি সমাজের প্রতিটি পদে এবং স্থানে থাকা ব্যক্তির জন্য – এমনকি সবচেয়ে আদিম, সবচেয়ে উন্নত, সর্বাধিক বিচ্ছিন্ন বা সর্বাধিক সার্বজনীন প্রতিটি সমাজের।

কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তার প্রজ্ঞাই এঞ্জেলিক উপস্থিতির মাধ্যমে, প্রত্যাদেশের ভয়েসের মাধ্যমে এইভাবে কথা বলতে পারেন যা আপনি এই মুহুর্তে শুনছেন।

মেসেঞ্জারের উদ্দেশ্য হল প্রত্যাদেশকে বিশ্বে নিয়ে আসা, এর প্রথম সাড়াদানকারীদের সন্ধান করা, তাদেরকে প্রত্যাদেশের বাঁণীর সাথে জড়িত করা এবং তাদের আরও গভীর প্রকৃতির সাথে মিলিত হওয়া এবং জীবনের আহ্বানের সাথে সম্মতি জানানোর সুযোগ দেওয়া।

এই কারণেই শিক্ষার একটি বিশাল বিষয় দেওয়া হয়েছে, যারা এটি গ্রহণ করতে পারে, খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং সফলভাবে তাদের জীবনে এটি প্রয়োগ করতে পারে তাদের জন্য ব্যক্তিগত প্রত্যাদেশর পথ প্রশস্ত করার জন্য।

এর দাবিগুলি দুর্দান্ত নয়, তবে এই মুহুর্তে বেশিরভাগ লোকেরা যে পরিমান সততা প্রদর্শন করে তার চেয়েও বেশি সততার দাবি করে, নিজের ধারণা ও বিশ্বাসকে বিশ্বজুড়ে উত্সাহিত করার জন্য কেবল একটি সততা নয়, বরং তার জীবনের গভীরতর প্রবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং একটি নম্রতা এবং সংকল্পবদ্ধ অবস্থায়, অনুসরণ করতে মনস্থ করা। কারন এটিই  হল ব্যক্তির জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি, যা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ প্রথমবারের জন্য পুরোপুরি প্রকাশ করল।

এখানে উপাসনা করার কোনও বীর নেই। এখানে বিচারের দিবস নেই। এখানে কোনও চূড়ান্ত পরীক্ষা নেই, যা প্রায় প্রত্যেকেই যাইহোক ব্যর্থ হবে।

নিশ্চয় আল্লাহ এর চেয়ে ভাল জানেন। ঈশ্বর জানেন যে জ্ঞান ব্যতীত লোকেরা বিভ্রান্ত ও ব্যর্থ হবে, মূর্খ ভুল করবে এবং তাদের জীবনকে বিসর্জন দেবে এবং বিপজ্জনক ও অত্যাচারী শক্তির কাছে ডুবে যাবে। যদি ব্যক্তি ঈশ্বরের শক্তি দ্বারা পরিচালিত না হয়, তবে তারা তাদের দুর্বলতা এবং তাদের বিভ্রান্তি এবং তাদের জীবন অন্যের দ্বারা প্রাধান্য পেয়েছে এ ছাড়া আর কী প্রদর্শন করবে?

আপনি দেখুন, আপনার বিশ্বের ঈশ্বর পুরো বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ঈশ্বর, পুরো মহাবিশ্ব – এক গ্যালাক্সিতে এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন জাতি এবং আরও অনেক কিছু এবং বহু ছায়াপথ এবং অন্যান্য মাত্রার মধ্যে এবং এর বাইরে অপরিবর্তনীয় সৃষ্টি। আপনি এখন এমন এক ঈশ্বরের সাথে এমন মহত্ত্ব এবং প্রসার নিয়ে কাজ করছেন যে আপনার ধারণা এবং আপনার বিশ্বাস এই বিশালতার সামনে বিবর্ণ ও হোঁচট খেয়ে পড়বে।

এই ঈশ্বরই আপনাদের মধ্যে জ্ঞান স্থাপন করেছেন যাতে তিনি আপনাকে পথ দেখাতে, আশীর্বাদ করতে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর জীবনের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন, আপনাকে আপনার লজ্জাকর এবং আবেগপূর্ণ ব্যস্ততা এবং আত্ম-মমতা থেকে বের করে আনতে পারেন, আপনাকে সম্মান ও মর্যাদা, আত্মসম্মানবোধ, উদারতা, সমবেদনা এবং নম্রতা ফিরিয়ে দিতে পারেন।

এই বিষয়গুলি শেখানো, এই জিনিসগুলি সরবরাহ করা, যারা দেখতে পায় না এবং জানে না তাদের প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধ সহ্য করা ম্যাসেন্জারের কাজ।

এটিই বৃহত্তর আহ্বান, আপনি দেখুন। এটিই ব্যক্তিকে পুনরুদ্ধার করে এবং বৃহত্তর জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটিই হল সমস্ত লোকের এমনকি গরিবদের মধ্যে দরিদ্রতম যারা অবক্ষয়ের মধ্যে বাস করে তাদের কাছে সম্মান ও মর্যাদা এনে দেয়।

এটি হ্রাসকারী সংস্থার জগতের সামনে ঐক্য ও সহযোগিতার বৃহত্তর নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা। আপনি কি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করতে পারেন, আপনাদের যারা প্রাচুর্যের ভেতর বাস করেছেন, সম্ভবত? আপনি কি ভাবতে পারেন যে এটি মানব পরিবারকে কী করতে পারে? এটি মানব সভ্যতা ধ্বংস করতে পারে।

অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অভিনয় করা আক্রমণাত্মক বাহিনীর সাথে মানবতার লড়াইয়ের ফলে মানব সভ্যতার অবনতি ও ধ্বংস হতে পারে।

মানুষ এটি জানে না। তারা এ নিয়ে ভাবেন না। সম্ভবত এটি তাদের পক্ষে খুব বেশি, যারা তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলি হারাবার ভয়ে ছোট্ট জিনিসগুলিতে তাদের সমস্ত চিন্তাভাবনা দিয়েছেন। তারা পুরো জিনিসটি দেখতে পায় না, যা সকলের জন্য ফলাফল নির্ধারণ করবে।

তবে যাঁরা দেখতে ও শুনতে পায়, তাদের জন্য প্রত্যাদেশের বাঁণী তাদের সাথে কথা বলবে এবং তারা প্রথমে সাড়া দেবে। এবং তাদের মাধ্যমেই, প্রত্যাদেশের বাঁণীটি তাদের সাথে কথা বলবে যারা আরও আচ্ছন্ন হয়ে আছেন এবং দিগন্তের উপর দিয়ে আসা দুর্দান্ত ঘটনাগুলি দেখতে কম সমর্থ হন। একজন মানুষ এত সবকিছু করতে পারে না। এটি ম্যাসেঞ্জারের সাথে একমত হয়ে কাজ করার জন্য অনেকের নিযুক্ত থাকতে হবে।

এবং তারপরে আপনার স্ব-সন্ধানী এবং আগ্রাসী লোকের সমস্যা রয়েছে, যারা বিশ্বাস করেন যে তারা মহাবিশ্বে খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাদের নিজস্ব সংস্করণ আছে বলে দাবি করে, মেসেঞ্জারের সাথে একমতের অভিনয় করে, অন্যান্য শিক্ষার সাথে বা তাদের নিজস্ব ধারণা দিয়ে নতুন বাঁণীকে মিলিত করার চেষ্টা করে।

এই যে দুর্নীতি তখনই ঘটে যখনই বিশুদ্ধ কিছু পৃথিবীতে আনা হয়। এবং এজন্যই ঘোষণার আগেই প্রত্যাদেশের বাঁণী দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এটি লিখিতভাবে রয়েছে। এজন্য আপনি মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে পাচ্ছেন। এটি এমন একটি ভয়েস যা যীশু, বুদ্ধ এবং মুহাম্মদের সাথে কথা বলেছে, আপনি তা শুনতে পাচ্ছেন।

আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন? আপনারা যারা খুব কম মূল্যহীন অন্যান্য অনেক বিষয় শোনেন, আপনারা কি এই কথাগুলি শুনতে পাচ্ছেন? এমনকি যদি আপনারা অনিশ্চিত ও সন্দেহজনক হন তবুও আপনারা কি ম্যাসেঞ্জার এবং প্রত্যাদেশটি শুনতে পাচ্ছেন? এটি দিনের মতোই স্পষ্ট, প্রবঞ্চনা ছাড়াই, জটিলতা ছাড়াই, স্রোতের মেঘলা এবং প্রত্যাদেশের পরিবেশকে কলুষিত করার জন্য মানুষের ভাষ্য ছাড়াই।

মেসেঞ্জারের উদ্দেশ্য হ’ল ঈশ্বরের বাঁণীকে এখানে তাঁর অবশিষ্ট বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিষ্ঠিত করা যাতে মানবতা পরিবর্তিত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথেই এর নিযুক্ততার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

এটি আপনার ধর্মতত্ত্ব পরিবর্তন করবে। এটি ঈশ্বরের এবং ঈশ্বর কীভাবে বিশ্বে কাজ করে সে সম্পর্কে আপনার উপলব্ধির পরিবর্তন করবে। মুক্তির অর্থ কী সে সম্পর্কে এটি আপনার মৌলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানাবে কারণ আপনি যখন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ঈশ্বরের কথা চিন্তা করেন, তখন এটি সবকিছু পরিবর্তন করে দেয়।

এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন রেস এবং আরও কিছুর জন্য স্বর্গ কী? জাহান্নাম কী, যখন আপনি জানেন যে আল্লাহ্ আপনাদের মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন এবং আপনি কখনই তা থেকে এড়াতে পারবেন না – এর আশীর্বাদ এবং এর মুক্তি থেকে?

ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং শক্তির বাস্তবতার সাথে কমবেশি যুক্ত, মহাবিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ধর্ম রয়েছে এই বোঝার সাথে কারও ধর্মীয় সম্পর্ক কী?

ঈশ্বর আবার কখন কথা বলবেন কে বলতে পারে? অহংকার এবং অজ্ঞতা ছাড়া কে বলতে পারে যে ঈশ্বর আবার কথা বলতে পারেন না? এমনকি ঈশ্বরের মেসেঞ্জাররাও এটি বলতে পারে না। এমনকি অ্যাঞ্জেলিক হোস্টও এটি বলতে পারে না। তাহলে ঈশ্বর পরবর্তী সময়ে কী করবেন তা নির্ধারণ করার জন্য কোন ব্যক্তি এমন কর্তৃত্বের দাবি করতে পারে? এটি অহংকার এবং বোকামির প্রতিমূর্তি।

মেসেঞ্জারের মিশনকে এই সমস্ত কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। এতে বৌদ্ধিক ঔদ্ধত্যের মুখোমুখি হতে হবে। একেবারে অন্ধ প্রত্যাখানের মুখোমুখি হতে হবে। এটি প্রত্যেক ধরণের অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।

এটি সেই ব্যক্তির দিকে যিনি 1400 বছরে প্রাপ্ত ঈশ্বরের ভালবাসার সর্বাধিক প্রকাশ নিয়ে আসছেন। এটি এমন একজনের দিকে পরিচালিত যার জীবন, যদিও অসুবিধা এবং অপূর্ণতার মুখোমুখি, তবুও প্রত্যাদেশটি নিজেই তাঁর একটি প্রদর্শনী।

মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, দূরবর্তী কাহিনী ও চমকপ্রদ গল্পের মাধ্যমে কেবল এটির বিষয়ে শুনার পরিবর্তে পুরো পৃথিবী এখন প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে পারে।

প্রথমবারের মতো, মানব পরিবার প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে পারে, প্রত্যাদেশের কথাগুলি পড়তে পারে, এমন নয় যে ম্যাসেঞ্জারকে চেনে না এমন লোকদের দ্বারা তারা বহু শতাব্দী পরে চিত্রিত হয়েছিল, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে মৌখিক ঔতিহ্যের মাধ্যমে চালিত হয় নাই, যা এই মুহূর্তে ঠিক আছে।

কারন মানবতার এটির সাথে শর্ত করতে তাঁর শতাব্দী হাতে নেই। যে পরিবর্তন চলছে তা খুব দ্রুত। বৃহত্তর বাহিনীর রূপান্তর খুবই শক্তিশালী এবং অপ্রতিরোধ্য।

বিশ্বজুড়ে, মানুষ বিশ্বের গতিবিধি সম্পর্কে প্রত্যাশা এবং উদ্বেগ অনুভব করছে। তারা এই ভয়কে যাই হোক না কেন এটিকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করতে পারে, কারণ পৃথিবীতে যে পরিবর্তনের দুর্দান্ত তরঙ্গ আসছে তা তারা অনুভব করছে। তারা অনুভব করছে যে মানবতা এখন সচেতনতার বাইরে থাকা শক্তির অধীনে আরও দুর্বল, অসহায় হয়ে উঠছে।

এই কারণেই ঈশ্বর প্রত্যাদেশ বাঁনী বিশ্বে প্রেরণ করেছেন। এর কারণেই এখানে ম্যাসেঞ্জার উপস্থিত আছেন।

তাঁকে সম্মান করুন। তাঁর তারিফ করুন। তিনি উপাস্য নন, তবে কোন ম্যাসেঞ্জারই দেবতা ছিলেন না। তিনি নিখুঁত নন, তবে কোন ম্যাসেঞ্জারই নিখুঁত ছিলেন না। তিনি বাঁণীর সাথে লড়াই করেছেন কারণ সমস্ত ম্যাসেঞ্জারই তাদের প্রত্যাদেশ নিয়ে লড়াই করেছেন।

তাঁর উপর আক্রমণ করা হবে এবং নিন্দা করা হবে কারণ সকল ম্যাসেঞ্জারকে একই রকম চিন্তাভাবনা, অহংকার ও অজ্ঞতাবোধের মুখোমুখি হতে হয়েছিল যে আজ ম্যাসেঞ্জারকেও মুখোমুখি হতে হবে, এবং এমনকি এই মুহুর্তে সম্মুখীন হচ্ছেন।

তার উদ্দেশ্য ব্রিজ তৈরি বা সরকার পরিবর্তন বা বিশ্বের প্রতিটি সমস্যা এবং ত্রুটি ও অবিচারকে সংশোধন করা নয়।

তাঁর মিশন হল ব্যক্তিকে গোপনে পুনরুদ্ধার করা এবং মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনার জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করা, যা এখন আপনার উপরে রয়েছে এবং যা এই মুহুর্তে এমনকি দিগন্তের উপরে চলে আসছে।

ক্রমহ্রাসমান বিশ্বে টিকে থাকতে না পারলে মানবতার কিছুই থাকবে না। আপনার উন্নত কাজ, সম্পদ এবং শিল্প সব শেষ হয়ে যাবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ে মানবতার কিছুই থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতা অত্যন্ত বিরল, যদি এটি প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে এবং তার সীমানাগুলি সুরক্ষা করতে না পারে এবং তার লোকদের কমপক্ষে যথেষ্ট পরিমাণে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে যে তারা তাদের পারস্পরিক কল্যাণ, সুরক্ষা এবং অগ্রগতির জন্য সাড়া দিতে পারে।

প্রত্যাদেশের আলোকে, মানুষের বোকামি, অজ্ঞতা এবং অহংকার সম্পূর্ণরুপে প্রকাশিত হয়েছে। এটি যেন পৃথিবীর উপর এক দুর্দান্ত আলো [জ্বলজ্বল করে] এবং যা কিছু অন্ধকার এবং গোপনীয়, যা কিছু প্রতারণামূলক এবং দূষিত সমস্ত কিছু প্রত্যাদেশের আলোয় প্রকাশিত হয়; মানুষের অবস্থানের দুর্বলতা; তাদের জীবনের করুণ অবস্তা; তাদের পুনরুদ্ধার, মর্যাদাবোধ এবং মুক্তির জন্য দুর্দান্ত প্রয়োজনীয়তা, মানব দুর্নীতি; মানুষের প্রতারণা; যারা ধার্মীক বলে দাবি করে, যারা ধার্মীক নয়, তবে যারা ধর্মকে শক্তি ও আধিপত্যের জন্য ব্যবহার করে।

এই সবকিছু প্রত্যাদেশের আলোকে প্রকাশিত হবে এবং এ কারণেই যারা প্রত্যাদেশকে অস্বীকার করবে তাদের পক্ষে এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, কারণ এটি তাদের অবস্থানকে হুমকির সম্মুখীন করবে; এটি তাদের দুর্বলতা, তাদের ত্রুটি এবং বিপজ্জনক প্রবণতা প্রকাশ করবে।

প্রত্যাদেশ মহান প্রেমের ফসল, কারণ ঈশ্বর মানবতার প্রতি ক্রুদ্ধ নন। ঈশ্বর জানেন যে জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি ব্যতীত মানুষ তাদের নিজস্ব সচেতনতায় পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা দেয় যে তারা বোকা, স্বার্থপর এবং ধ্বংসাত্মক আচরণ করবে।

ঈশ্বর এটি জানেন। মানবতা জানে না। এটি বুঝতে পারা নিছক বিশ্বাসের বিষয় নয়। এটি একটি গভীর স্বীকৃতির বিষয়, নিজের মধ্যে গভীর অনুরণন, একটি গভীর সত্যতা যে আপনি নিজেই নিজেকে পরিপূরণ করতে পারবেন না এবং সেটা হল বিশ্বে একটি মহান প্রত্যাদেশের বড় প্রয়োজন।

মানুষ কি এই সৎ হতে পারে? লোকেরা নিন্দা ছাড়াই নিজের সম্পর্কে এতো শান্ত হতে পারে? লোকেরা কোথায় আছে এবং সত্যই তারা ধনী বা দরিদ্র, সুবিধাবাদি বা সুবিধাবঞ্চিত – যে ডিগ্রিতে তাদের জীবন শূন্য হয়ে পড়েছে তা কি সত্যই জেনে রাখতে পারে? তারা কি এর মুখোমুখি হতে পারে এবং বুঝতে পারে যে এই শূন্যতা ঈশ্বরের কাছে একটি আহ্বান এবং ঈশ্বর তাঁর সাড়া দিয়েছেন?

মেসেঞ্জারের মিশন হল পৃথিবীতে তাঁর অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে যত লোকের কাছে সম্ভব বাঁণী নিয়ে আসা এবং অন্যরা যারা তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর মহান কাজ পরিচালনা করবে, যারা ভবিষ্যতে নতুন বাঁণী বহন করবে, এটিকে আরও বেশি লোকের কাছে নিয়ে আসবে — সুবিধাবঞ্চিত, সমৃদ্ধশালী, ধনী দেশ, দরিদ্র দেশ, প্রকৃতিতে বাসকারী অধিবাসী, বড় বড় শহরের লোকদের কাছে।

প্রত্যাদেশটি এখানেই রয়েছে। এটি একা অধ্যয়ন করা যায়। এটি কার্যকরভাবে অন্যদের সাথে একসাথেও অধ্যয়ন করা যেতে পারে। এটি শোনা যায়। এটি পড়া যেতে পারে। এটি পরিষ্কারভাবে অনুবাদ করা যায়। এটা অবশ্যই শেয়ার করা উচিত। এটি প্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তির দায়িত্ব এবং এটি করা আপনার স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা হবে।

তবে তাদের সময়ে সমস্ত বড় বড় প্রত্যাদেশের মতোই, এটিকে প্রতিরোধ করা হবে এবং প্রথমে কঠিন হয়ে উঠবে, কারণ বিশ্ব জানে না ঈশ্বরের কাছ থেকে তার একটা প্রত্যাদেশের প্রয়োজন। বিশ্ব এর জন্য প্রস্তুত নয় এবং বহু লোক নানাপ্রকার এবং বিভিন্ন কারণে এর বিরোধিতা করবে।

সময়ক্রমে, আপনি যদি এটি পরিষ্কারভাবে দেখতে পান, তবে আপনি দেখতে পাবেন যে ম্যাসেঞ্জার আপনার জীবনের সত্যিকারের বাস্তবতাটি একটি বৃহত আকারে প্রদর্শন করছেন — যে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করার জন্য বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছিল। সম্ভবত এটি বিশাল আকারে অথবা বিশ্বব্যাপি হতে যাচ্ছে না। এটা কোন ব্যাপার নয়।

প্রত্যেককে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে বিশ্বের পাঠানো হয়েছিল। এবং রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে লোকেরা এ সম্পর্কে অবগত নয় বা এটির সন্ধান করতে পারে না, [বা] যে লোকেরা এটির প্রতি অন্ধ, এটিকে শুনতে পায় না, অনুভব করতে পারে না, একে অপরকে সমর্থন করতে পারে না — এটাই মানব পরিবারের ট্রাজেডি। এটি হল দুর্নীতি, বিভেদ, দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ এবং এমন সব কিছুর কারণ যা মানব পরিবারকে জর্জরিত করে এবং এটিকে মহাবিশ্বের মহান মানুষ্যজাতি হতে বাধা দেয়।

এই সমস্ত বিষয় যা মানবতাকে জর্জরিত করে সেগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে তার স্বাধীনতার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্ত জিনিস এখন পর্যাপ্ত লোকের দ্বারা উপলব্ধি হতে হবে – সম্ভবত সবাই নয়, তবে যথেষ্ট লোক – যাতে বিশ্বে একটি বৃহত্তর আন্দোলন ঘটতে পারে, একটি বৃহত্তর বিবেক প্রকাশিত হতে পারে যা এই মুহূর্তে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যেই বাস করছে।

প্রত্যাদেশ শিখার অর্থ জ্ঞানের সাথে পুনরায় সম্পর্কের মধ্যে ফিরে আসা, যা আপনার অংশ যা ঈশ্বরকে কখনও ছেড়ে যায় নি, এটি এখনও যোগাযোগের মধ্যে রয়েছে, এটি জ্ঞানী এবং বিশ্বের দ্বারা নিরবচ্ছিন্ন, এটি বিশ্বকে ভয় পায় না, এটি এমন একটি প্রজ্ঞা এবং একটি শক্তি যা আপনি আপনার জীবনে এতদূর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এমন সাহস এবং নিষ্ঠার উত্স।

এটি মেসেঞ্জারের উপহার। এটি ছিল পূর্ববর্তী রসূলগণেরও উপহার। তবে তাদের গল্প বদলে গেছে। এবং প্রায়শই তাদের কথাগুলি ভুলভাবে পড়ে থাকে।

ঈশ্বরের সমস্ত প্রত্যাদেশগুলি প্রত্যেক ব্যক্তির জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি পুনরুদ্ধার করার জন্য, কারণ এটাই তাদের আসল বিবেক এবং এটাই তাদেরকে খাঁটি ও কার্যকরী উপায়ে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আসে।

বিশ্ব ধন্য হয়েছে কারণ ঈশ্বর আবার কথা বলছেন। বিশ্ব ধন্য হয়েছে কারণ ম্যাসেঞ্জার বিশ্বে রয়েছেন।

এই আশির্বাদটি গ্রহণ করুন। অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। প্রত্যাদেশটি খুবই মহান। আপনি এক মুহুর্তে এটি বুঝতে পারবেন না। আপনি এটি একটি কথায় পড়তে পারবেন না। আপনার জীবন এবং আপনি যে পৃথিবী দেখেন তার জন্য অবশ্যই এর প্রজ্ঞা এবং প্রাসঙ্গিকতার সন্ধানে আপনাকে এটির কাছে আসতে হবে।

এটা একটি পরীক্ষা, আপনি দেখুন। এটি প্রত্যাদেশের সময়ে বেঁচে থাকার অসুবিধা এবং মহান সুযোগও। এটি একটি পরীক্ষা-প্রাপকের জন্য পরীক্ষা।

যারা ব্যর্থ হয়েছে ঈশ্বর তাদেরকে শাস্তি দেবেন না, তবে তারা তাদের জীবন ও ক্রিয়াকলাপে প্রত্যাদেশ এবং মহান ক্ষমতায়ন, স্পষ্টতা ও আশীর্বাদ গ্রহণ করার মতো অবস্থানে থাকবে না।

ঈশ্বর দুষ্টদের শাস্তি দেন না, কারণ আল্লাহ জানেন যে জ্ঞান ব্যতীত দুষ্টামি বৃদ্ধি পাবে।

এই কারণেই প্রত্যাদেশটি তাদেরকে মহান বুদ্ধিমত্তার দিকে আহ্বান করে যা তাদের মধ্যেই বাস করে যা তাদের জন্য এবং বিশ্বের জন্য ঘটতে পারে এমন সমস্ত ভাল জিনিসের জন্য মৌলিক।

এটি ঐশ্বরিক উপস্থিতি এবং শক্তি সম্পর্কে আপনার বোঝার মহান ব্যাখ্যা নিয়ে আসে, ঈশ্বর কীভাবে এই বিশ্বে কাজ করেন – সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বর।

এটি আপনার মহান সুযোগ, মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহূর্ত, মানব পরিবারের জন্য এক দুর্দান্ত মোড় যা এটি নির্ধারণ করবে যে এটি ভবিষ্যতে একটি অবাধ ও সুসংহত সভ্যতা হবে নাকি এটি ক্ষয় হয়ে বিদেশী প্ররোচনায় পড়বে।

এটি দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট, দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জ, দুর্দান্ত সুযোগ, দুর্দান্ত আহ্বান এবং একটি মহান মুক্তিলাভ।

এটি আপনার বোধগম্যতায় আসুক।

প্রত্যাদেশকালীন সময়ে বেঁচে থাকা

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
27 সেপ্টেম্বর, 2011 এ
লিডভিল, কলোরাডোতে

এই বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আপনি প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়াটি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হলেন। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায়, পুরো প্রক্রিয়াটি রেকর্ড করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতের ব্যাখ্যাগুলিতে কোনও ভুল হতে না পারে, যেমনটি অতীতে প্রায়শই ঘটেছিল।

এটি কেবল প্রত্যাদেশ বাণী হিসাবেই তাৎপর্যপূর্ণ নয়। এটি স্বয়ং প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া – ভয়েস শুনতে সক্ষম হওয়া, এবং যীশু, বুদ্ধ এবং মুহাম্মদ এবং এই পৃথিবীর ইতিহাসে জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত অন্যান্য অনেক মহান শিক্ষকদের সাথে যেভাবে কথা বলেছিল তার অনুরূপ।

এটি একটি অনন্য সুযোগ এবং গভীর শিক্ষা যা ধর্মীয় চিন্তায় অনেক ত্রুটি পরিষ্কার করতে পারে এবং ঈশ্বরের সমস্ত পূর্ববর্তী প্রত্যাদেশগুলিকে একটি নতুন এবং আরও পরিষ্কার আলোতে ফেলতে পারে।

কারণ এই পৃথিবী এবং সমস্ত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া একই। একজন ব্যক্তি নির্বাচিত হয় এবং বিশ্বে প্রেরণ করা হয়। যখন তারা তাদের বিকাশ এবং পরিপক্কতার একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন তাদেরকে সাধারণ পরিস্থিতি থেকে ডেকে আনা হয়, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপস্থানে ডাকা হয়, অ্যাঞ্জেলিক উপস্থিতির সাথে একটি দুর্দান্ত মুখোমুখি হয় যা সেই নির্দিষ্ট বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করে। তারপরে তাদেরকে বৃহত্তর সেবার জন্য আহ্বান করা হয় এবং একটি বৃহত্তর সেবার জন্য প্রস্তুত করা হয়, যা বিশ্বের নতুন এবং বিপ্লবী কিছু আনার জন্য প্রস্তুত।

এটি কেবল অতীত বোঝার বা অতীত বিশ্বাসের সংশোধন নয়। এটি আসলেই নতুন এবং বিপ্লবী কিছু। এটি নিছক উন্নতি বা বর্ধন বা কোনও কিছুর উপর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নয় যা ইতিমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে এবং ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি নতুন প্রান্তিকতা।

আপনি আপনার জীবনের জন্য এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য প্রত্যাদেশ এবং প্রত্যাদেশ প্রক্রিয়া এবং প্রত্যাদেশের স্পষ্টতা এবং প্রত্যাদেশটির অর্থ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন।

কারণ এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি বাঁণী, কেবল একটি উপজাতি বা এক সম্প্রদায় বা একটি জাতি বা একটি অঞ্চলের জন্য নয়। এটি আগে যা দেওয়া হয়েছিল তার কোনও পুনর্বিবেচনা নয়। এটি আগে যা দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়াও নয়। এটি পৃথিবীতে বিদ্যমান কোন শিক্ষা বা ধর্মতত্ত্বের সাথে সংযুক্ত নয়। এটি নতুন এবং বিপ্লবী কিছু। এটি মানব পরিবারের জন্য একটি দুর্দান্ত দ্বারপ্রান্ত এবং একটি দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনি যেখানেই থাকছেন, আপনি যে জাতির মধ্যে থাকুন না কেন, আপনার পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন, অতীতে প্রকাশিত সময়ের যে কোনও সময়ের মতো মহান।

প্রত্যাদেশে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আপনার প্রস্তুতি, আপনার উন্মুক্ততা, আপনার সততা এবং আপনার আন্তরিকতা নির্ধারণ করবে। যা কিছু মিথ্যা, যা কিছু ছদ্মবেশী, যা দূষিত বা ভুল তা প্রত্যাদেশের আলোতে প্রকাশিত হয়।

ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন মেসেঞ্জার কে পেতে পারেন? কে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে? মানুষ কীভাবে সাড়া জানাবে? তারা কি আদৌ সাড়া দেবে?

প্রত্যাদেশের সময়ে সমস্ত কিছু উন্মোচন হয় — একজনের ধর্মীয় বোঝাপড়ার মূল্য, একজনের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিশুদ্ধতা, কারও দৃষ্টিভঙ্গির স্পষ্টতা এবং সততা, একজনের হৃদয় ও মনের উন্মুক্ততা। এই সমস্ত কিছু প্রত্যাদেশের বাঁণীতে প্রকাশিত হয়। এবং আপনি এখন এই প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন।

একজনকে প্রস্তুত করে বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছে। এমন দাবি করার মতো অন্য কেউ থাকতে পারে না, কারণ স্বর্গ জানেন কে নির্বাচিত এবং কে নয়। যারা নিজেদেরকে বেছে নেন এবং নিজেরাই নির্বাচিত হন, তারা বিশ্বে একটি নতুন প্রত্যাদেশ নিয়ে আসতে পারেন না। তাদের শক্তি বা স্পষ্টতা নেই এবং সবচেয়ে বড় কথা, তাদের কাছে প্রত্যাদেশের বাঁণীই নেই।

প্রত্যাদেশের সময়ে সমস্ত কিছুই উন্মোচিত হয়।

প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া গল্প এবং কল্পনা এবং অলৌকিক ঘটনাগুলির থেকে এতটাই আলাদা যে মানুষ এই জাতীয় ঘটনার জন্য দায়ী, মানবঘটনার ইতিহাসে এ জাতীয় চূড়ান্ত ঘটনাগুলিকে আরও বেশি সুনাম ও বিস্তৃতি দেওয়ার জন্য এই জাতীয় ঘটনা থেকে উদ্ভূত শিক্ষা সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি মহিমান্বিত এবং তাত্পর্য করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তবে এই দুর্দান্ত ঘটনাগুলির সমস্তেরই বিনীত সূচনা হয়। তারা গ্র্যান্ড এবং চাঞ্চল্যকর নয়। তারা অলৌকিক ঘটনা এবং অসাধারণ ঘটনায় ভরা থাকে না যেখানে প্রত্যেকে বিস্ময়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এটাই বাস্তবতা এবং মানব আবিষ্কারের মধ্যে পার্থক্য।

কিন্তু প্রত্যাদেশ হল অসাধারণ। এটা বিরল। কারণ ঈশ্বর কেবল সহস্রাব্দে একবার পৃথিবীতে একটি নতুন বাঁণী প্রেরণ করেন, এক বিশাল দোরগোড়ায়, মানব পরিবারের পক্ষে চ্যালেঞ্জ এবং অসুবিধার সময়; বহত্তর সুযোগ এবং সাংঘাতিক প্রয়োজনের সময়, যেখানে একটি নতুন প্রত্যাদেশ দেওয়া উচিত, কেবল পুর্বে কী সরবরাহ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে উপরন্তু মন্তব্য নয়।

এরপরেই এটির অবশ্যই শ্রোতার ধারণাগুলি এবং বিশ্বাসের বাইরে তাদের আরও গভীর অংশে পৌঁছাতে হবে, তাদের মধ্যে একটি গভীর বুদ্ধিমত্তা রয়েছে, তাদের এমন একটি অংশ যা এখনও ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে, সেই অংশকে আমরা জ্ঞান বলে থাকি।

আপনি জ্ঞানকে বোকা করতে পারবেন না। এই স্তরের উপলব্ধিতে কোনও ত্রুটি নেই। তবে হায়, খুব অল্প লোকই মনের এই অবস্থা অর্জন করেছেন, এই গভীর সংযোগ, যথেষ্ট যে তারা স্পষ্ট দেখতে এবং জ্ঞান অনুসরণ করতে পারেন, যা বিশ্বে ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনার সামনে প্রকাশিত প্রত্যাদেশ হল মানবতার পক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও বৃহত্তম প্রত্যাদেশ। কারণ এটি একটি শিক্ষিত বিশ্ব, বৈশ্বিক যোগাযোগের জগতে, বৃহত্তর পরিশীলনের একটি পৃথিবী এবং ক্রমবর্ধমান এবং গভীর প্রয়োজন, বিভ্রান্তি ও দুর্বিপাকের বিশ্বের সাথে কথা বলে।

একটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে, একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে এটি দেওয়া প্রথম মহান প্রত্যাদেশ। এবং সে কারণেই এটি আরও বৃহত্তর স্পষ্টতা, বৃহত্তর জোর, বৃহত্তর পরিশীলিততা এবং জটিলতার সাথে এখনই কথা বলতে হবে।

কারণ আপনি শিশু হতে পারবেন না এবং আপনি বিশ্বের ভিতরে এবং তার বাইরেও যে মুখোমুখি হবেন তার মোকাবেলা করতে পারবেন না। আপনি কেবল অন্ধ অনুসারী হতে পারবেন না এবং বিশ্বে যে পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ আসছে তার বা মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবনের সাথে মানবতার মুখোমুখি – ইতিহাসের বৃহত্তম এবং পরিণতিপূর্ণ ঘটনা, তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন না।

আপনি ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারবেন না এবং ভাবতে পারবেন না যে আপনি এখানে আপনার ভাগ্য পূর্ণ করছেন, কারণ আপনাদের প্রত্যেকেই এক বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে যা বিশ্বের বিবর্তন এবং আপনার চারপাশের মানুষের প্রয়োজনের বাস্তবতার সাথে যুক্ত।

আপনার মধ্যে কেবল জ্ঞানই জানে যে এটির সঠিক অর্থ কী এবং এটির জন্য আপনাকে প্রস্তুত করার জন্য অবশ্যই কী করা উচিত এবং আপনার এবং অন্যের মাধ্যমে কী অর্জন করা উচিত যাদের সাথে আপনি কোনও বৃহত্তর উদ্দেশ্যের আলোকে প্রাকৃতিকভাবে সহযোগিতা করবেন।

সন্দেহজনক এবং বিশ্বাস করা কঠিন মনে হয় এমন দেবতাদের এক বিগ্রহ বা চমকপ্রদ কাহিনী তৈরি করার জন্য প্রত্যাদেশ এখানে আসেনি। এটা আপনাকে ঈশ্বরের ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যকে উপস্থাপন করতে উত্সাহিত করার জন্য ঈশ্বরের দাস বানানো জন্য এখানে নয়, যা কেবলমাত্র আপনার মধ্যে জ্ঞানই আপনাকে সক্ষম করতে পারে।

এটি ভবিষ্যতের জন্য এক মহান বাঁণী যা অতীতের মতো হবে না। পতনশীল একটি বিশ্ব; ক্রমহ্রাসমান সংস্থানগুলির একটি বিশ্ব; পরিবেশ ধ্বংসের একটি বিশ্ব; এমন একটি বিশ্ব যেখানে মানুষের যত্ন নেওয়া, সারা বিশ্বে খাদ্য, জল, ওষুধ এবং শক্তি সরবরাহ করা আরও কঠিন হবে; বৃহত্তর বিপদ এবং বিতর্কের একটি বিশ্ব; এবং তদতিরিক্ত এমন এক বিশ্ব যা বিশ্বজগতের জাতিগুলির দ্বারা হস্তক্ষেপের মুখোমুখি যারা মানুষের দুর্বলতা এবং প্রত্যাশাগুলির সুযোগ নেওয়ার জন্য এখানে রয়েছে।

সুতরাং, বাঁণীটি খুব শক্তিশালী, তবে এটি অবশ্যই খুব স্পষ্ট হওয়া উচিত। এবং ম্যাসেঞ্জারকে অবশ্যই এটি ঘোষণা করতে হবে এবং এর অর্থ কী তা শেখাতে সক্ষম হতে হবে। এটি এমন একটি বিষয় যা প্রস্তুতির জন্য কয়েক দশক প্রয়োজন। ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন বাঁণী পেতে ম্যাসেঞ্জারকে এমনকি কয়েক দশক সময় লেগেছে, এটি এত বিশাল এবং অন্তর্ভুক্তিকর।

ম্যাসেঞ্জারকে অবশ্যই পৃথিবীতে পদবিহীন এক ব্যক্তি হতে হবে, তবে তাকে অবশ্যই সুশিক্ষিত এবং অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হতে হবে। তিনি অবশ্যই সহজ এবং নম্র হতে হবে। তাকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে কথা বলতে হবে যাতে সবাই বুঝতে পারে। তাকে অবশ্যই তাঁর জীবনের মাধ্যমে তাঁর বাঁণীর মূল্য এবং একটি নতুন প্রত্যাদেশের জীবন যাপন এবং শেখার তাৎপর্য প্রদর্শন করতে হবে।

তিনি নিখুঁত নন, তবে কোন ম্যাসেঞ্জারই নিখুঁত ছিলেন না। তিনি জনসাধারণের জন্য কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটাবেন না কারণ মেসেঞ্জারদের কেউই প্রকৃতপক্ষে এটি করেননি। তিনি এখানে সর্বত্র — ধনী-দরিদ্র, উত্তর ও দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম, সমস্ত জাতির মধ্যে, সমস্ত ধর্মের মানুষের জীবনে ঐশ্বরিক উপস্থিতি এবং শক্তির গভীর অভিজ্ঞতার দ্বার উন্মুক্ত করতে এসেছেন। তিনি এখানে বিশ্বের ধর্মগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য আসেননি, তবে তাদের আরও বৃহত্তর স্পষ্টতা এবং প্রাসঙ্গিকতা প্রদান করছেন।

কারন মানব সভ্যতার বেঁচে থাকতে এবং স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতে মানবতার সবচেয়ে বড় সাফল্যের ভিত্তি হয়ে উঠতে হলে পৃথিবীতে যে পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ আসছে তার জন্য মানবতাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।

মানবতাকে মহাবিশ্বের জীবন সম্পর্কেও প্রস্তুত এবং শিক্ষিত হতে হবে, আপনার নিজের পৃথিবীতে হস্তক্ষেপের উপস্থিতি সম্পর্কে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা নির্ধারণ করার জন্য আপনাদেরকে যে পরিমাণ বুঝার প্রয়োজন হবে।

বিশ্বের কোন ধর্মই আপনাকে এই বিষয়গুলির জন্য প্রস্তুত করতে পারে না, কারণ সেগুলো পূর্ববর্তী যুগের জন্ম হয়েছিল এবং যদিও এগুলি মানবতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে এবং বিশ্বের ধর্মগুলোর মধ্যে আরও বৃহত্তর ঐক্য আনতে, যুদ্ধ ও সংঘাতের অবসান ঘটাতে ঈশ্বরের কাছ থেকে এক নতুন বাঁণী লাগবে যাতে মানবতা আগত বড় বড় চ্যালেঞ্জগুলির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।

আপনি অতীতে সংযুক্ত থেকে ভবিষ্যতের প্রত্যাদেশ বুঝতে পারবেন না। আপনি আপনার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অবিচল থেকে বুঝতে পারবেন না যে ঈশ্বর আবার কীভাবে কথা বলবেন এবং কেন ঈশ্বর আবারও কথা বললেন এবং এটি আপনার এবং অন্যদের জন্য কী অর্থ বহন করবে। আপনার হৃদয় বন্ধ করা যাবে না, নতুবা আপনি শুনতে পাবেন না এবং আপনি দেখতে পাবেন না।

আপনার এইরকম প্রত্যাদেশের মূল্য দিতে অবশ্যই মানবতাকে যথেষ্ট ভালবাসতে হবে এবং এটি যা শিক্ষা দেয় সেই অনুসারে জীবনযাপন করতে, যে শক্তি সরবরাহ করে, যে অনুগ্রহ ও সমবেদনার উপর জোর দেয় তা গ্রহণ করতে হবে।

মেসেঞ্জার সামনে একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক যাত্রার মুখোমুখি হচ্ছেন, কারণ নতুন বাঁণীর বিরুদ্ধে অনেক প্রতিরোধের উপস্থিতি ঘটবে, যেমনটি পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাঁণীর প্রতি অতীতে সর্বদা দুর্দান্ত প্রতিরোধ ছিল, যখনই ও যেখানেই দেওয়া হয়েছিল।

তিনি প্রতিটি শহরে কথা বলছেন না। তিনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। তিনি কেবল এখানে এবং সেখানেই কথা বলবেন। তবে তাঁর বাঁণী বিশ্বে সম্প্রচারিত হবে এবং প্রত্যাদেশের বাঁণী নিজের ভাষ্য, নিজস্ব নির্দেশনা এবং নিজস্ব স্পষ্টতা দিয়ে বিশ্বকে উপস্থাপন করা হবে। এটি এমন কিছু নয় যা ভবিষ্যতের পণ্ডিত এবং ব্যক্তিদের ব্যাখ্যা করতে, মন্তব্য করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, কারণ এটি অতীতে বিপজ্জনক এবং দুর্ভাগ্যজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এজন্যই প্রত্যাদেশটি এত স্পষ্ট এবং এত পুনরাবৃত্তিযোগ্য। এজন্যই মানুষের ত্রুটি, ভুল ধারণা এবং ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা হ্রাস করার পক্ষে এটি এতটা স্পষ্ট।

এটি ব্যক্তির জ্ঞানের শক্তিকে প্রত্যর্পণ করে, যা আগে কেবল অভিজাত এবং নির্বাচিতদের বিশেষাধিকার ছিল। এটি মানবতার গভীর বিবেক, যে বিবেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে আপনাদের গাইড এবং পরামর্শ হতে আপনাদের এখানে আসার আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে বিষয়ে কথা বলে।

ম্যাসেন্জারের অবশ্যই ইবাদাত করা উচিত নয়। তিনি দেবতা নন। ম্যাসেন্জারগণের কেউই দেবতা ছিলেন না। তাঁরা ম্যাসেঞ্জার ছিলেন — অর্ধেক মানব, অর্ধেক পবিত্র – উভয় বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করে, বিশ্বের বাস্তবতা এবং প্রাচীন বাড়ির বাস্তবতা যা থেকে আপনারা প্রত্যেকে এসেছেন এবং যেখানে আপনারা প্রত্যেকে অবশেষে ফিরে আসবেন।

তাঁর উপস্থিতি যা স্পষ্ট করা উচিত তা স্পষ্ট করে দেবে। তাঁর আওয়াজ যারা শুনতে পারে তাদের মন এবং অন্তরে কথা বলবে। তিনি বিশ্বের প্রয়োজন এবং হৃদয় এবং আত্মার প্রয়োজনের সাথে কথা বলবেন। তিনি কেবল উত্তরগুলিই নয়, উত্তর নিজেই নিয়ে আসেন। কারণ ঈশ্বর প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে বৃহত্তর বুদ্ধি এবং মন স্থাপন করেছেন, তবে এটি পৃথিবীতে কোন পরিমাণেই জানা যায় না, কেবল কয়েকজন ছাড়া।

কেবলমাত্র বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্যই নয়, আপনাকেও ভবিষ্যতের জন্য কেবল মানব প্রযুক্তি এবং মানবীয় দক্ষতা পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। এটি আপনার প্রকৃতি এবং আপনার সত্তার জন্য আরও গভীর এবং প্রয়োজনীয় কিছু হতে হবে। মেসেঞ্জার এই বিষয়গুলির কথা বলবেন।

এটি প্রত্যাদেশের সমস্ত অংশ, আপনি দেখুন। ঈশ্বর আপনাকে দিনের জন্য কোনও উত্তর দেন না বা আগামীকালের জন্যও একটি উত্তর দেন না, তবে সব দিন এবং সব পরিস্থিতিতে একটি উত্তর দেন।

ঈশ্বরকে আপনার জীবন পরিচালনা করতে হবে না, কারণ সমস্ত মহাবিশ্বের পালনকর্তা এইভাবে আপনার সাথে নিযুক্ত নন। ঈশ্বর আরও বুদ্ধিমান। ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, যা আপনার মনে অন্যান্য সমস্ত আওয়াজ এবং আবেগ, বাসনা এবং ভয় থেকে বোঝার জন্য একটি নিখুঁত পথপ্রদর্শক বুদ্ধি।

প্রত্যাদেশ জ্ঞানের পদক্ষেপ সরবরাহ করেছে, এটিই সর্বাধিক অনুদানের অনুপ্রবেশ পাওয়ার পথ যা ঈশ্বর মানবতা বা মহাবিশ্বের যে কোনও উদীয়মান বা উন্নত জাতিকে কখনও দিতে পারেন।

ঐশ্বরিক সম্পর্কে এখন আপনার উপলব্ধি অবশ্যই জীবনের বৃহত্তর প্যানোরামাতে নেওয়া উচিত। আপনার বোধগম্যতাগুলি অতীতে নোঙ্গর করা যাবে না, তবে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং ভবিষ্যতের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হতে হবে, কারণ আপনার ভেতর ও আপনার চারপাশে আরও বেশি এবং বৃহত্তর পরিবর্তন ঘটে। আপনার প্রভু এখন অবশ্যই বিশ্বজগতের প্রভু, এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন রেস এবং আরও অনেক কিছুর মালিক।

এটি মানবতার জন্য প্রত্যাদেশের একটি অংশ, যে কোনও প্রত্যাদেশের চেয়ে খুব আলাদা এবং আরও বিস্তৃত। এটির সাহায্যে, আপনি সমস্ত প্রত্যাদেশকে মূল্যায়ন করবেন এবং সেগুলি থেকে জ্ঞান অর্জন করবেন।

আপনি যদি একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হন তবে আপনার খ্রিস্ট ধর্ম এখন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বিস্তৃত হবে। আপনি যদি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হন তবে আপনার বিশ্বাস ও অনুশীলন এখন বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বিস্তৃত হবে। আপনি যদি অনুশীলনকারী বৌদ্ধ বা ইহুদি ধর্মের বিশ্বাস বা কোনও ধর্মীয় পথের হন তবে এই সমস্তই নতুন প্রত্যাদেশ বাঁণীর দ্বারা সম্প্রসারিত হবে। মেসেঞ্জার এই বিষয়গুলির কথাই বলবেন। প্রত্যাদেশ বাঁণী এই বিষয়গুলির কথাই বলে।

এবং প্রথমবারের মতো, আপনি প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে পাবেন। পূর্বে সুস্পষ্ট কারণে এটি রেকর্ড করা কখনই সম্ভব ছিল না, তবে এখন আপনি প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে সক্ষম হবেন। এটি একটি আশ্চর্যজনক জিনিস, তবে এটি আপনার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ আপনি যদি এটি শুনতে না পারেন, যদি আপনি এটি সনাক্ত করতে না পারেন, তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হবে। আপনি এটি সমালোচনা, অস্বীকার এবং এড়াতে পারেন, তবে এটি কেবল আপনার দুর্বলতা এবং আপনার সীমাবদ্ধতা দেখাবে।

ঈশ্বর আপনার জন্য আরও কি করতে হবে? আপনি যদি প্রত্যাদেশটি গ্রহণ করতে না পারেন তবে ঈশ্বর আপনার জন্য কী করতে পারেন? ঈশ্বর সমগ্র বিশ্বকে এবং পৃথকভাবে আপনাকে একটি উত্তর দিয়েছেন – আপনার বিশ্বাস, আপনার ঐতিহ্য, আপনার ধর্ম, সংস্কৃতি এবং জাতিকে। আপনি কি অনুগ্রহ চান? আপনি কি সরবরাহকারী চান? আপনি কি জীবনের অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে চান? আপনি কি আনুকূল্য পেতে চান? আপনি কি প্রতিটি টার্নে অলৌকিক কাজ চান? আপনি কি স্বর্গের কোনও ধরণের কল্যাণে থাকতে চান, যেন আপনি পৃথিবীতে অসহায় এবং দুর্বল হয়ে পড়েছেন?

ঈশ্বর আপনাকে জ্ঞানের মাধ্যমে শক্তি দান করছেন এবং নতুন প্রত্যাদেশের মাধ্যমে জ্ঞানের দিকে আহ্বান করছেন।

তিনি ঈশ্বর নন যিনি জগতকে রক্ষা করবেন, তবে বিশ্বকে বাঁচাতে এখানেই প্রেরিত লোকেরা তা করবে। এবং তারা তাদের ছোট কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে এবং এটি তাদের বোধগম্যতার চেয়ে আরও বৃহত্তর হবে। এবং এটি তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে আলাদা হবে। এবং এগুলি তাদের উদ্ধার করবে এবং তাদের পুনরুজ্জীবিত করবে, তাদের কাছে স্বর্গের শক্তি এবং ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে, যা মনের পৃষ্ঠের নীচে গভীরভাবে তাদের মধ্যে জ্ঞানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আপনার কাছে প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়াটি বোঝার সুযোগ রয়েছে। এবং যদি আপনি এটি বুঝতে পারেন তবে দেখতে পাবেন এটি আসলে কী একটি অলৌকিক কাজ। এবং আপনি ম্যাসেন্জারকে দেবদেবীতে পরিণত করবেন না, তবে তাকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে সম্মান জানান যা তিনি প্রাপ্য। এবং আপনি আপনার পদ্ধতির প্রতি সত্যবাদী হবেন – প্রত্যাদেশটি খারিজ বা উপেক্ষা করা নয়, বরং তবে এটি শুনতে, এটির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এবং এটি আপনার জীবনে যথেষ্ট প্রয়োগ করার জন্য যাতে আপনি এর বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং অর্থটি বুঝতে পারেন।

মানুষ চায় ঈশ্বর তাদের জন্য অনেক কিছু করেন — দুর্যোগ থেকে তাদের বাঁচান, তাদের সুযোগ সুবিধা দিন, অসুস্থকে নিরাময় করুন, দুর্নীতিবাজ ও দমনকারী সরকারকে পরাস্ত করুন, তাদের ধনী করে তুলুন, তাদেরকে সুখী করুন, তাদের সন্তুষ্ট করুন বা শান্তিতে রাখুন।

কিন্তু মানুষ যা চায় এবং ঈশ্বর যা চান তা এক নয়, প্রাথমিক ভাবে নয়। কারন আপনার হৃদয়ের আসল চাহিদা হল স্রষ্টার ইচ্ছার সাথে অনুরণিত হওয়া, তবে আপনার হৃদয় এবং আত্মার আসল চাহিদা এমন কিছু হতে পারে যা আপনার সচেতনতার মধ্যে নেই। আরও গভীর সততা আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে।

ঈশ্বর জ্ঞানের শক্তি প্রদান করেছেন এবং এর সাথে পথের যাত্রা এবং জীবনের সাথে সম্পর্কের আবদ্ধতা যা ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়। এটি সকলকে, এমনকি দুষ্ট, এমনকি দরিদ্রতমদেরও সেবা করে।

এখানে কোনও নায়ক এবং মাস্টার নেই। তবে জ্ঞানের সাথে যারা শক্তিশালী তারাই কেবল বিশ্বে এর অনুগ্রহ ও শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন।

মানুষ চিন্তাভাবনা করা এবং বিশ্বাস করা শেখানো থেকে এটি কতটা আলাদা। তবে চিন্তা ও বিশ্বাস মনের উপরিতলে রয়েছে। এই উপরিতলের নীচেই আপনার প্রকৃত প্রকৃতি এবং জ্ঞানের শক্তির মহান সূত্রপাত।

এটি আপনার জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন্দ্রীয় তা আপনি এখনও বুঝতে পারেন নি। এজন্যই ধর্ম প্রকৃতপক্ষে কী এবং এর অর্থ, আধ্যাত্মিকতা আসলে কী এবং এর অর্থ এবং সমস্ত সত্য আধ্যাত্মিক অনুশীলন কীভাবে জ্ঞানের মূল পদক্ষেপ তা প্রত্যাদেশের বাঁণীতে অবশ্যই স্পষ্ট করে দিতে হবে।

তবে এটি বিশ্বের ধর্মগুলিতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল, সুতরাং তারা আচার, ঐতিহ্য, ভাষ্য এবং ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। অনেকের কাছে সেগুলি দৃয় বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে; অন্যদের জন্য, কেবল একটি সান্ত্বনা মাত্র। তাদের সত্যিকারের শক্তি কেবলমাত্র তাদের মধ্যেই পাওয়া যেতে পারে একজন মহান শিক্ষক এবং একজন জ্ঞানী গাইডের সাথে।

মানবকুলের কাছে এর জন্য এখন আর সময় নেই, কারণ সময়টি দেরী হয়ে গেছে। এটি কেবল কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনেই বৃহত্তর যাত্রা করা নয়। সমগ্র মানব জাতিকে বিশ্বে যে দুর্দান্ত পরিবর্তন আসছে তার জন্য সর্বাধিক কার্যকর এবং অপরিহার্য উপায়ে প্রস্তুত করা এবং এটি ইতিমধ্যেই উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং শহরগুলিকে অভিভূত করতে শুরু করেছে, জাতিদের একে অপরের সাথে সংঘাতের মধ্যে ফেলছে, আপনার আকাশকে অন্ধকার করছে, আপনার নদীগুলিকে দূষিত করছে, আপনি প্রতিদিন নির্ভর করেন এমন সংস্থানসমুহকে হুমকি মধ্যে ফেলছে।

প্রত্যাদেশের বাঁণী এখানে আপনাকে ভয় দেখাতে নয়, বরং আপনাকে ক্ষমতায়িত করার জন্য; আপনাকে শক্তি, সাহস এবং সংকল্প দেওয়ার জন্য; আপনাকে সহানুভূতি এবং সহনশীলতা দেওয়ার জন্য; আপনাকে জ্ঞানের শক্তি দেওয়ার জন্য যা আপনার আসল শক্তি এবং অখণ্ডতার উত্স।

পৃথিবী বদলে গেছে, কিন্তু মানুষ এর সাথে পরিবর্তন হয়নি। মহা তরঙ্গ আসছে, কিন্তু মানুষ তা জানে না। বিশ্বজুড়ে হস্তক্ষেপ ঘটছে, কিন্তু মানুষের তা অজানা বা সম্ভবত এটি একটি বিস্ময়কর জিনিস বলে মনে করছে।

মানবতাকে প্রস্তুত করতে, মানবতাকে জাগ্রত করতে এবং মানবিকতাকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে একটি বাঁণী লাগবে যাতে এর একটা বৃহত্তর ভবিষ্যত হতে পারে এবং এর স্বাধীনতা এবং তার নিয়তির দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জে বেঁচে থাকতে পারে।

অনেক কিছু শিখতে হবে। অনেক বিষয় আলাদা করে রাখতে হবে, অনেক বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে, অনেক বিষয়কে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি প্রত্যাদেশ এই সবকিছু নিয়ে আসে। এটির প্রাপকের এবং এটি গ্রহণের জন্য যে লোকেরা এত ধন্য হয়েছেন তাদের কাছে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এবং ম্যাসেঞ্জার বিশ্বে থাকাকালীন সময়ে আপনার তাঁকে শোনার, তাঁর কথার এবং এই মুহুর্তে তাঁর উপস্থিতির অর্থ বিবেচনা করার এই দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।

এটি অনেকের কাছে একটা দুর্দান্ত ধাক্কা হবে। এটি অনেকের দ্বারা প্রতিহত হবে। এটি অনেকের দ্বারা গৃহীত হবে।

তবে মানবতাকে তার পরিস্থিতির বাস্তবতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং যে পরিস্থিতিতে এটি প্রস্তুত হতে হবে তা জাগাতে একটা বিরাট ধাক্কা লাগবে। এটি প্রত্যাদেশের ধাক্কা নেবে। এটি ভবিষ্যতের ধাক্কা নেবে। এটি এই বর্তমান মুহুর্তের বাস্তবতা এবং উপলব্ধি গ্রহণ করবে যে তারা এখানে যে ধরনের জীবন যাপনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল সে ধরনের জীবন যাপন করছে না এবং এটি স্বীকৃতি গ্রহণ করবে যে একমাত্র আপনার ধারণাগুলি আপনাকে বৃহত্তর জিনিসের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে না, আপনার অবশ্যই জ্ঞানের শক্তি থাকতে হবে, এটি স্বর্গের শক্তি যা আপনাকে দেওয়া হয়েছিল।

এটিই প্রত্যাদেশের অর্থ। এটি কেবল ধারণার প্রত্যাদেশ নয়। এটি অভিজ্ঞতার একটি প্রত্যাদেশ। এটি কারোর প্রকৃত প্রকৃতি, উত্স এবং নিয়তির প্রত্যাদেশ।

এর জন্য আপনার চোখ খোলা থাকুক। আপনার হৃদয় গ্রহণযোগ্য হোক। আপনার ধারণাগুলি পুনর্বিবেচনার জন্য যথেষ্ট নমনীয় হোক। এবং আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি এখান একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য পরিবেশন করতে এসেছেন, যা আপনি নিজেই আবিষ্কার বা পরিচালনা করতে পারবেন না। প্রত্যাদেশটি আপনার হোক এবং আপনার মাধ্যমে অন্যকে দেওয়া হোক। মেসেঞ্জারকে পৃথিবীতে তাঁর অবশিষ্ট সময়টিতে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মানিত করা হোক। এবং এটি আপনার জীবনের যারা বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং দিকনির্দেশ খুঁজতে চাইছেন তাদের জন্য এটি একটি মহান আশীর্বাদ, শোধন এবং অনুপ্রেরণার সময় হতে পারে।

বন্ধন

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
16 এপ্রিল, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

আজ আমরা ঈশ্বরের উচ্চ কর্তৃপক্ষের কথা বলব।

উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এখন আপনার সাথে কথা বলছে, অ্যাঞ্জেলিক উপস্থিতির মাধ্যমে কথা বলছে, এমন একটি অংশের সাথে কথা বলছে যা আপনার সত্তার একমাত্র কেন্দ্র এবং উত্স, আপনার সামাজিক অবস্থার বাইরে, আপনার ধারণা এবং বিশ্বাসের বাইরে, এবং সংস্কৃতি এবং এমনকি আপনার ধর্মের ধারণা এবং বিশ্বাসের বাইরে কথা বলছে।

উচ্চতর কর্তৃপক্ষের বিশ্ব এবং বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি বাণী রয়েছে। বাণীর্টি একটি ধারণার চেয়ে বড়। এটি এক সেট ধারণার চেয়েও অধিক। এটি একটি আহ্বান এবং একটি নিশ্চিতকরণ, আপনাকে সাড়া জানাতে আহ্বান করছে এবং এটি নিশ্চিত করে যে আপনার মধ্যে এবং বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে আরও একটি গভীর প্রকৃতি রয়েছে। নিশ্চিতকরণটি আপনার সাড়া জানানোর সক্ষমতার একটি টার্নিং পয়েন্ট।

শক্তি এবং উপস্থিতি  মহাবিশ্বের উপরে অধিষ্ঠিত, যা আপনি সম্ভবত কল্পনা করতে পারেন তার চেয়েও অনেক বড় এবং বিস্তৃত মহাবিশ্ব এবং এমনকি নৈসর্গিক মহাবিশ্বকে ছাড়িয়ে সৃষ্টির বৃহত্তর রাজ্যেও, যা এমন কিছু যে পৃথিবীতে খুব কম লোকই রয়েছে যে এটা সম্ভব বলে বিবেচনা করে।

এবং তবুও উচ্চতর কর্তৃপক্ষ আপনার মনের পৃষ্ঠতলের গভীর তলদেশে, আপনার সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্থানে, আপনার সত্তার কেন্দ্রস্থলে আপনার সাথে কথা বলে।

এটি আপনার সবচেয়ে বড় সম্পর্ক এবং লোকের সাথে, জায়গার সাথে এমনকি জিনিসের সাথে আপনার সমস্ত সম্পর্কের অর্থ ও উদ্দেশ্যটির উত্স।

আপনার গভীরতর অংশের সাথে কথা বলার জন্য, আপনার গভীর অংশের সাথে আপনাকে পরিচিত করতে এবং একটি নতুন বিশ্বে বাস করার জন্য এবং বুদ্ধিমান জীবনের একটি মহাবিশ্বের সাথে জড়িত থাকার জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে আপনার এখন এই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দরকার, এটি গ্রেটার কমিউনিটি জীবন। আপনি এই বিষয়গুলি জানেন না, তবে তারা আপনার অংশ।

আপনি যখন আপনার ইচ্ছা এবং আপনার ভয় এবং অন্যের আকাঙ্ক্ষা ও ভয় ছাড়িয়েও শুনতে পেলেন তখন আপনি স্বচ্ছতার সময়, প্রজ্ঞাজ্ঞানের সময় এবং হতাশার সময়েও আপনার গভীর প্রকৃতির অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন।

উচ্চতর কর্তৃপক্ষ আপনাকে আহ্বান জানিয়েছে, আপনাকে আপনার মনের প্রাচীন করিডোরগুলির মাধ্যমে ডেকে পাঠাচ্ছে, আপনাকে আপনার বিশ্বাস এবং আপনার ব্যস্ততার বাইরে ডেকেছে।

কারণ ঈশ্বর আবার কথা বলেছেন এবং কথা এবং শব্দ পৃথিবীতে র‍য়েছে। এটি একটি গভীর যোগাযোগ, বুদ্ধির বুঝতে পারার চেয়েও গভীর এবং আরও প্রগাঢ়।

এটি একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং গভীরতর দায়িত্ব এবং বৃহত্তর সংঘবদ্ধতার কথা বলে, যা এই পৃথিবীর ভেতর এবং তার বাইরেও। এবং এই সংঘের মাধ্যমে আপনি একটি সেতু হয়ে উঠবেন – এই বিশ্বের একটি সেতু, আপনার প্রাচীন বাড়ির একটি সেতু যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি ফিরে যাবেন।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তাদের রয়েছে দুর্দান্ত ভয় – হারানোর ভয়, না থাকার ভয়, বঞ্চনার ভয়, নিপীড়নের ভয়, বেদনা ও কষ্টের ভয় এবং মৃত্যুর বেদনা।

তবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত কিছুর বাইরে কথা বলে। এটি সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির সাথে কথা বলছেন।

আপনার মধ্যে সৃষ্টি গভীর মনকে আমরা জ্ঞান বলে থাকি। এটি আপনার স্থায়ী অংশ। এটি আপনার অংশ যা এই জীবনের পূর্বে ছিল এবং এটি এই জীবনের পরে থাকবে, বিচ্ছিন্নতার ক্ষেত্রগুলি দিয়ে ভ্রমণ করবে, কেবলমাত্র ভয়েসের শক্তি দ্বারা পরিচালিত।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তাদের বড় ভয় রয়েছে। অনেকের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। তবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলির বাইরে যাঁরা দেখতে এবং শুনতে পারে এবং যারা গভীর স্তরে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তাদের সাথে কথা বলে।

আপনি এটি মূল্যায়ন করতে পারবেন না। এটি আপনার মনের চেয়েও বড়। আপনি এটি নিয়ে বিতর্ক করতে পারবেন না, কারণ এটি আপনার সক্ষমতার বাইরে।

এটি রহস্যজনক কারণ এটি বিস্তৃত। এর উত্স এই পৃথিবী এবং সমস্ত পৃথিবীর বাইরে, সুতরাং আপনি এটি কল্পনা করতে পারবেন না।

তবে অভিজ্ঞতাটি এত গভীর যে এটি আপনার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং আপনাকে বিচ্ছিন্নতার স্বপ্ন থেকে আপনাকে জাগিয়ে তুলতে পারে, আপনাকে আপনার ব্যস্ততা এবং সংযুক্তি এবং সমস্ত কিছুর বাইরে নিয়ে আসে যাতে আপনি প্রাচীন কন্ঠস্বর শুনতে পান, এত প্রাচীন যে এটি আপনার হিসাবনিকাশ বহির্ভূত জীবনের কথা বলে। তবে এমন একটি জীবন যা আপনার জীবন।

দিগন্তের উপরে কী আসছে ঈশ্বর তা জানেন। ঈশ্বর জানেন আপনি এখানে কেন এসেছেন। ঈশ্বর আপনাকে এখানে একটি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন। আপনার পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য এর জন্য খুব কমই দায়ী।

এটি আরও বড় কিছু। এটি আরও সাধারণ এবং কম সুবিশাল। এটি আপনার সত্তা এবং আপনার প্রকৃতি এবং আপনার ডিজাইনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু।

এটি আপনার সর্বাধিক প্রাথমিক সম্পর্ক, গভীর ভালবাসা, সর্বাধিক সখ্যতা। এটি আপনাকে নিজের সাথে এক করে দেয় এবং আপনার জীবনকে লক্ষে নিয়ে আসে।

এটি আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে ডেকে আনে যা ক্ষতিকারক বা আপনার কোন প্রতিশ্রুতি নেই। এটি আপনাকে পৃথিবীতে বৃহত্তর অংশ গ্রহণের আহ্বান জানায়, রহস্যময় প্রাচীন কণ্ঠস্বর দ্বারা পরিচালিত, এমন একটি ভয়েস যা আপনি কখনও শুনেছেন তার অসদৃশ, যা আপনি কখনও অনুভব করেছেন তার চেয়ে গভীর, আপনি দেখতে বা স্পর্শ করতে পারেন এমন কিছুর চেয়েও মহান।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তারা দুর্দান্ত ভয় দ্বারা চালিত হয়। এমনকি তাদের আনন্দ ভীতি এবং আশঙ্কায় পূর্ণ।

তবে প্রাচীন কণ্ঠস্বর ভয়ের বাইরে এবং যখন আপনি প্রতিক্রিয়া জানান, আপনি তখন ভয়ের বাইরে।

কে বলতে পারে এটি কি? কে এর মূল্যায়ন করতে পারে?

নির্বোধ না হয়ে কার্যকারিতার দিক থেকে ভাবুন। বিশ্লেষণাত্মক হতে হবে না। কারন এটি একটি গভীর এবং আরও অন্তর্নিহিত স্তরে ঘটছে।

এটি= থেকে সঙ্কোচ করবেন না। কারন এটিই  আপনার জীবন, আপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার আহ্বান।

উপস্থিতি এবং কৃপা আপনার সাথে আছে। তবে আপনি অন্য জিনিসের দিকে তাকিয়ে আছেন। আপনার মন অন্য কোথাও। যা আপনাকে মুক্তি দেয় এবং পুনরুদ্ধার করে তা এখন আপনার সাথে রয়েছে। তবে আপনি অন্য দিকে তাকিয়ে আছেন।

দৈববাণী এখন পৃথিবীতে। ঈশ্বর মানবতার জন্য একটি মহান বাণী এবং মানব পরিবারের জন্য একটি কঠিন এবং বিপজ্জনক ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রস্তুতি নিয়ে আবারও এসেছেন।

এটা কি? এর মানে কী? কেন এমন হচ্ছে? আপনি কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

কেবলমাত্র দৈববাণীই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। নিজেকে আলাদা করে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তারা খুব বিভ্রান্ত হয়। এরা খুব ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তারা কোথায় বা তারা কী করছে তা তারা জানে না। তাদের লক্ষ্যগুলির বেশিরভাগই সমাজের লক্ষ্য। তারা জানেন না যে তারা জীবনে কোথায় যাচ্ছে বা কেন তারা এখানে আছে বা কে তাদেরকে পাঠিয়েছে এবং কী তাদের পুনরুদ্ধার করবে এবং তাদের পূর্ণতা দেবে এবং তাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং দিকনির্দেশ দেবে।

প্রাচীন ভয়েস এখন আপনার সাথে কথা বলছে। এবং আপনি প্রাচীন ভয়েসটি নিজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানায় শুনতে পাবেন কারণ আপনার সংযোগটি খুবই গভীর। এটি মরুভূমির নিচ দিয়ে প্রবাহিত ভূগর্ভস্থ নদীগুলির মতো, শুদ্ধতম জলের ভূগর্ভস্থ নদী যা পৃষ্ঠ থেকে দেখা যায় না এবং যা অন্য উপায় ছাড়া পাওয়া যায় না।

আপনি যখন আপনার জীবনকে পৃষ্ঠের উপরে কাটান তখন আপনার মধ্যে গভীরে আপনি ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হন। এবং এই সংযোগটি গভীরতর ভয়েস এবং আরও বৃহত্তর দিক অনুসরণ করে আহ্বান এবং সাড়ার মাধ্যমে অভিজ্ঞ হয়।

লোকেরা জিজ্ঞেস করে কেন? এটি কেন ঘটছে? তাদের এই মুহুর্তে পুরোপুরি মনোযোগ আনতে তাদের অবশ্যই থামতে এবং শুনতে এবং শুনতে শিখতে হবে যাতে তারা শুনতে পারে এবং অনুভব করতে পারে এবং বুঝতে পারে যে তাদের মধ্যে প্রত্যাদেশটি আলোড়িত হচ্ছে।

সুতরাং প্রত্যাদেশটি উদ্দীপনা জাগায়, প্রত্যাদেশটি প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে। প্রত্যাদেশের সময়ে ঈশ্বর বিশ্বের সাথে এইভাবে কথা বলেন। এটি গভীরতম এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যায়ে সম্পর্ক।

আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছেদ হতে পারবেন না। কারণ ঈশ্বর আপনার সাথে সর্বত্র যায়। ঈশ্বর প্রতি মুহুর্তে, প্রতিটি ক্রিয়াকলাপে আপনার সাথে আছেন।

কেবল আপনার চিন্তায় আপনি আলাদা থাকতে পারেন, নিজেকে অন্য জিনিসের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন, অন্যান্য জিনিসের সাথে সনাক্ত করতে পারেন। তবে প্রাচীন ভয়েস আপনার মধ্যে রয়েছে, আপনাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ডাকে, আপনাকে গাইড করে, আপনাকে পিছনে ধরে রাখে।

আপনার গভীর উপদেশ এবং আপনার হৃদয়ের তাগিদ বুঝতে আপনাকে অবশ্যই শুনতে শুরু করতে হবে। নিজের মধ্যে শুনুন। বিচার ও নিন্দা ছাড়াই বিশ্বকে শুনুন। কি আসছে তার লক্ষণ শুনুন। আপনাকে কীভাবে সাড়া জানাতে হবে তা শুনুন। কার সাথে থাকবেন এবং কার সাথে থাকবেন না শুনুন।

এখানে আপনি ভয় অনুসরণ করবেন না। এখানে নিন্দা নেই। এখানে একটি বৃহত্তর বিচক্ষণতা এবং একটি বৃহত্তর স্বীকৃতি আছে।

আপনাকে গাইড করতে এবং আপনাকে রক্ষা করতে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর জীবন এবং বিশ্বজুড়ে অংশগ্রহণের জন্য ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন। এটি কর্তৃত্ব এবং বুদ্ধিবৃত্তির নাগালের বাইরে থাকে। এটি গভীর স্তরে ঘটছে।

আপনি এটি একবার অনুভব করা শুরু করলে, আপনি একটি বৃহত্তর বিচক্ষণতা অর্জন করতে শুরু করবেন। আপনি কী করেন এবং কাদের সাথে মিশামিশি করছেন সে সম্পর্কে আপনি যত্নবান হবেন। আপনি অন্যদের সাথে অংশগ্রহণ করা উচিত কিনা এবং তারা আপনার সাথে কী যোগাযোগ করছে তা দেখার জন্য আপনি গভীরভাবে শুনবেন ।

লোকেরা অনেক কিছুই বিশ্বাস করে তবে তারা খুব কমই জানে। তারা মনের পৃষ্ঠে বাস করছে, যা অশান্ত এবং বিশৃঙ্খল এবং বিশ্বের বাতাস এবং আবেগ দ্বারা পরিচালিত।

তাদের বিশ্বাসগুলি গভীর সম্পর্কের একটি বিকল্প। তাদের ব্যস্ততাগুলি যে বৃহত্তর ব্যস্ততার সাথে ভাগ্য নির্ধারিত হয় তা এড়ানো।

দূরে দাঁড়িয়ে তারা দেখতে পায় না। তারা জানতে পারে না। তারা সাড়া দিতে পারে না। তারা তাদের চিন্তাধারা কর্তৃক, তাদের মনের দ্বারা, তাদের প্রতিক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়। তারা দাস, তুচ্ছভাবে জীবনযাপন করছে।

তবে রহস্যটা তাদের মধ্যেই রয়েছে। এটি জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লক্ষ্য অর্জন, সম্পদ এবং সাহচর্য সুরক্ষা এবং সমাজে স্বীকৃতি ছাড়াইয়াও এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এটি একটি বৃহত্তর ব্যস্ততার ক্ষেত্র।

রহস্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কিছুর উত্স। সমস্ত বিখ্যাত আবিষ্কার এবং অবদান, দুর্দান্ত সম্পর্ক, গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা – এগুলি সবকিছু রহস্য থেকে এসেছে — আপনি কে, আপনি এখানে কেন এসেছেন, আপনাকে কী ডাকে, আপনার বৃহত্তর সংশ্লিষ্টতা, পৃথিবীতে নির্দিষ্ট লোকের সাথে আপনার ভাগ্য, আপনার চারপাশের প্রত্যেকে যখন ঘুমাচ্ছেন, স্বপ্ন দেখছেন এবং প্রতিক্রিয়াবিহীন অবস্থায় আছেন তখন আপনার পথ সন্ধান করার ক্ষমতা। এটি এমন একটি যাত্রা যা আপনি অবশ্যই গ্রহণ করবেন নতুবা আপনার জীবন ঝামেলাপুর্ণ স্বপ্নের মত হবে এবং এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।

আপনি এই দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পরে যখন আপনি আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারে ফিরে আসেন, তারা আপনাকে আপনি কাজটি সম্পাদন করেছেন কিনা, গভীরভাবে সংযোগ স্থাপন করেছেন কিনা তা দেখতে আপনার দিকে তাকাবে। এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি করেছেন না করেননি।

এখানে কোন রায় এবং নিন্দা নেই, কেবল স্বীকৃতি এখানে। এখানে যা রহস্যজনক ছিল তা বাস্তবে বাস্তব হয়ে ওঠে এবং আপনার অগ্রাধিকারগুলি স্পষ্ট। এখানে কোনও বিভ্রান্তি নেই। কোন প্রতিরোধ নেই।

এবং আপনি ফিরে আসতে চাইবেন, নিজেকে বলবেন, “এবার আমি মনে রাখব। আমি এখন জানি। আমি এখন দেখতে পাচ্ছি। আমি স্মরণ রাখবো।”

আপনি এখানে থাকাকালীন সময়ে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এটিই সমস্ত পার্থক্য নির্ণয় করে। এটিই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কিছুর শুরু। এটাই আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

এটি কেবল রহস্যময় কারণ আপনি এ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন, রূপের জগতে ধরা পড়েছেন, বিশ্বে হারিয়ে গেছেন, ব্যক্তি হিসাবে বেড়ে উঠছেন, একটি কঠিন এবং পরিবর্তিত বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তারপরে আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু আসে এবং আপনি অনুভব করতে শুরু করেন যে রহস্যটি আপনার সাথে এবং আপনার মধ্যে রয়েছে এবং আপনাকে প্রভাবিত করছে।

এর উত্স নৈসর্গিক বাস্তবতার বাইরে, কারণ আপনি কে তা নৈসর্গিক বাস্তবতার বাইরে। আপনি শেষ পর্যন্ত যেখানে যাচ্ছেন তা নৈসর্গিক বাস্তবতার বাইরে। তবে আপনি এখানে এসেছেন কারণ আপনাকে এখানে কোনও উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। এটিই রহস্য।

আমরা আপনাকে গভীর স্তরে জড়িত করার জন্য, যা খাঁটি তা প্রমাণ করার জন্য, আমরা আপনার এমন একটি অংশের সাথে কথা বলি যা আপনি খুব কমই জানেন যা আপনার বৃহত্তর অংশ এবং আপনার এই অংশটি সাড়া দেবে আমাদের একসাথে প্রাচীন প্রতিশ্রুতির কারণে।

আপনি এটিকে ভয় পান, তবে আপনি একই সময়ে এটি কামনা করেন। এটি একটি প্রাকৃতিক ইচ্ছা, আপনি বিশ্বের যা কিছু করছেন বা করতে পারেন তার চেয়েও প্রাকৃতিক।

এটাই বন্ধন।

জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ

ধাপ ১

আমি এখন জ্ঞানহীন।

যে কোনও ধরনের উন্নয়নের বিকাশ শুরু করার জন্য অবশ্যই একটি দফা থাকতে হবে। আপনি যেখানে আছেন সেখান থেকেই শুরু করতে হবে, আপনি যেখান থেকে চান সেখান থেকে শুরু করা যাবেনা। এখানে আপনি যে জ্ঞানহীন তা বুঝে শুরু করতে হবে। এর অর্থ এই নয় যে জ্ঞান আপনার সাথে নেই। এটি সহজভাবে বলা যায় যে আপনি জ্ঞানের সাথে নেই। জ্ঞান আপনার অংশগ্রহণের জন্য অপেক্ষা করছে। জ্ঞান নিজেই অপেক্ষা করছে তাকে আপনাকে দেওয়ার জন্য। অতএব, আপনি এখন জ্ঞানের সাথে সম্পর্ক স্থাপনের জন্য প্রশিক্ষণ শুরু করছেন, মনের সর্বোচ্চ দিকটি যা আপনি আপনার প্রাচীন ঘর থেকে নিয়ে এসেছিলেন। 

আজ দিনে তিনবার ১০ মিনিটের জন্য জ্ঞান কী তা নিয়ে চিন্তা করবেন, কেবল নিজের ধারণাগুলিকেই প্রয়োগ করে না, কেবল আপনার অতীতের বোঝাপড়াটি প্রয়োগ করে না, তবে আসলেই জ্ঞান কী তা নিয়েই চিন্তাভাবনা করুন।

অনুশীলন ১: ১০-মিনিটের তিনটি অনুশীলনের সময়কাল।

ধাপ ২

জ্ঞান আমার সাথে আছে। আমি কোথায়?

জ্ঞান আপনার সঙ্গে আছে, সম্পূর্ণরূপে, কিন্তু এটি আপনার মনের একটি অংশে থাকে যার প্রবেশাধিকার আপনি এখনও লাভ করেননি। জ্ঞান আপনার সত্য স্ব, আপনার সত্য মন এবং মহাবিশ্বে আপনার সত্যিকারের সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে। এছাড়াও এটি নিশ্চিত করে বিশ্বের মধ্যে আপনার বৃহত্তর আহ্বান এবং আপনার প্রকৃতির একটি নিখুঁত ব্যবহার, আপনার অন্তর্নিহিত ক্ষমতা এবং দক্ষতা, এমনকি আপনার সীমাবদ্ধতাও  — এগুলো বিশ্বের ভা্লোর জন্য দেওয়া হয়েছে।

জ্ঞান আপনার সঙ্গে আছে, কিন্তু আপনি কোথায়? আজ ভাবুন আপনি কোথায় আছেন। জ্ঞানের সঙ্গে না থাকলে আপনি কোথায় আছেন? সুতরাং, আজ তিন বার, প্রতি ১০ মিনিট করে, ভাবুন আপনি কোথায়, শুধু শারীরিক বা ভৌগোলিক দিক থেকে নয়, কিন্তু আপনি বিশ্বের দরবারে নিজের সচেতনতার নিরিখে ভাবুন। খুব ভাবুন, সাবধানে ভাবুন। এই ভাবনা থেকে আপনার মন কে বিভ্রান্ত হতে দেবেন না। এখন এটি খুব জরুরি আপনার প্রস্তুতির শুরুতেই এই প্রশ্নগুলো অত্যন্ত গম্ভীরতার সাথে জিজ্ঞাসা করা।

অনুশীলন ২: ১০-মিনিটের তিনটি অনুশীলনের সময়কাল।

ধাপ ৩

আমি আসলে কী জানি?

আজ নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন আপনি আসলে কি জানেন এবং যা ভাবছেন তা থেকে আলাদা করুন আপনি যা জানেন অথবা কি আশা করেন বা কি চান নিজের জন্য বা আপনার জগতের জন্য, আপনি কি নিয়ে ভয় পান, আপনি কি বিশ্বাস করেন, আপনি কি যত্ন করেন এবং আপনি কি মুল্য দেন। এই প্রশ্নটিকে যথাসম্ভব সর্বোত্তম দিক থেকে আলাদা করার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: “আমি আসলেই কি জানি”? এই প্রশ্নের যে উত্তরই দেওয়া হোক না কেন তা অবশ্যই আপনাকে অবিরামভাবে পরীক্ষা করে দেখতে হবে যে এগুলি আপনার বিশ্বাস বা অনুমান বা অন্য ব্যক্তিদের বিশ্বাস বা অনুমান বা এমনকি বৃহত্তর মানবজাতির সাথে প্রতিনিধিত্ব করে কিনা।

আজ তিনবার, প্রতিটি ১০ মিনিটের জন্য, এই প্রশ্নটি জিজ্ঞাসা করুন এবং আপনার প্রতিক্রিয়া এবং এই প্রশ্নের অর্থ সম্পর্কে খুব গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করুন, “আমি আসলে কী জানি?”

অনুশীলন ৩: তিন বার ১০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪                                                                               আমি সেটাই চাই যেটা আমি মনে করি আমি জানি।

আপনি যা চান তা আপনি চান, আপনি জানেন এবং এটি আপনার নিজেকে বোঝার এবং আপনার বিশ্বকে বোঝার জন্য ভিত্তি তৈরি করে। আসলে, এটি আপনার অস্তিত্বের ভিত্তি গঠন করে। তবে সৎ পরীক্ষার মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হবেন যে আপনার বোঝাপড়াটি মূলত অনুমানের উপর ভিত্তি করে, এবং এই অনুমানগুলি আপনার নিজের অভিজ্ঞতার উপর বেশি ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয়নি, যদি তা মোটেই ভিত্তি করে থাকে।

আজ, তিনটি সংক্ষিপ্ত সময়কালে আপনি অবশ্যই আপনার অনুমানগুলি বিবেচনা করার জন্য আপনার মনোযোগকে সম্পূর্ণরূপে নিবেদিত করুন, সেই জিনিসগুলোর কথা চিন্তা করেন যেটা আপনি আসলেই মনে করেন আপনি জানেন, এমন জিনিসগুলো আপনি প্রশ্ন করার কথা চিন্তা করেননি আগে – সেগুলোও যা আপনি আজকে জানেন। আজকের পাঠটিতে, তারপর, পূর্ববর্তী অনুশীলন থেকে যেখানে আপনি নিজেই যা জানেন এবং প্রকৃত জ্ঞানের মধ্যে এবং আপনি নিজের চিন্তাভাবনার মধ্যে পার্থক্য দেখতে শুরু করেন, এবং সেইসাথে আপনি জ্ঞান হিসেবে যা ভাবছেন এবং নিজের অনুমান, বিশ্বাস এবং আশা নিয়ে বিবেচনা করছেন তার মধ্যেকার সম্পর্ক খুজে বের করুন।

অতএব, আপনি যা ভাবেন সেগুলি সম্পর্কে প্রত্যেকবার চিন্তা করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে তারা আপনার অনুমানের উপর ভিত্তি করে বড় হচ্ছে, আপনি বুঝতে পারবেন পৃথিবীতে আপনার ভিত্তি কতটা দুর্বল। এই বোঝাপড়াটি অপ্রীতিকর হতে পারে এবং আপনাকে বিপথগামী করতে পারে, তবে আপনাকে জীবনের সত্যিকারের ভিত্তি খুঁজে পাওয়ার উত্সাহ এবং ইচ্ছা প্রদান করার জন্য এটি একেবারে প্রয়োজনীয়।

অনুশীলন ৪: তিন বার ১০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫

আমি যা বিশ্বাস করতে চাই তাতে বিশ্বাস করি।

এই বিবৃতিটি মানবতার একটি দুর্দান্ত ভ্রান্ত ধারনা এবং আত্ম-প্রতারণার সবচেয়ে বিপজ্জনক রূপ। বিশ্বাসগুলি প্রাথমিকভাবে যা পছন্দসই তার উপর ভিত্তি করে, আসলে কী ঘটছে বা কী সত্য তার ভিত্তিতে নয়। এই বিশ্বাসগুলি মানবতার সর্বোচ্চ আদর্শের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং এর মধ্যে সেগুলি সত্যই প্রতিফলিত হয়, কিন্তু দৈনন্দিন দিনের ভিত্তিতে, এবং বেশির ভাগ ব্যবহারিক বিষয় গুলিতে, লোকেরা সত্যের চেয়ে, বরং তাদের প্রত্যাশাগুলি নির্ভর করে। আপনার একটি খুব স্পষ্ট ধারণা থাকা উচিত যে কোনও সমাধান দিকে আসা এবং কোনও গঠনমূলক স্থাপনা বাস্তবতার সাথেই শুরু হয়। এই মুহুর্তে আপনার যা আছে এবং আপনি কে তা থেকে আপনাকে শুরু করতে হবে।

অতএব, আজ আপনার তিনটি ব্যবহারিক অনুশীলনের সময়, এই বিবরণ নিয়ে চিন্তা করুন। অনুসন্ধান করুন আপনি কি বিশ্বাস করেন এবং তারপর অনুসন্ধান করুন আপনি কি চান। আপনি দেখতে পাবেন যে এমনকি আপনার ভয় এবং নেতিবাচক বিশ্বাসগুলিও আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষার সাথে সম্পর্কিত। কেবলমাত্র আজকের অনুশীলনের যত্নশীল প্রয়োগে  এটি আপনাকে প্রকাশ করবে।

অনুশীলন ৫: তিন বার ১০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৬

বিশ্বে আমার একটি আসল ভিত্তি রয়েছে।

বিশ্বাস এবং বিবেচনার বাইরে যা আপনার নিজের ভয় এবং অনিশ্চয়তাকে ছদ্মবেশ করে রাখে, সেখানে আপনার জন্য এই বিশ্বের একটি সত্য ভিত্তির অস্তিত্ব আছে। এই ভিত্তিটি এই পৃথিবীর বাইরের আপনার জীবনের উপর নির্ভরশীল, যেহেতু আপনি সেখান থেকে এসেছেন এবং সেখানে ফিরে যাবেন। আপনি যেই জায়গা থেকে এসেছেন সেখানেই ফিরে যাবেন, এবং আপনি খালি-হাতে এখানে আসেন নি।

আজ দু’বার, জীবনে আপনার ভিত্তি কী তা ভেবে ১৫-২০ মিনিট ব্যয় করুন। এই সম্পর্কে আপনার সমস্ত ধারণা চিন্তা করুন। এটি একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। আপনাকে আন্তরিকতার সাথে এবং গভীর অনুপ্রবেশতার সাথে বুঝতে হবে এই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার বৃহত্তর প্রয়োজনীয়তা।

আসল একটি ভিত্তি ছাড়া, আপনার আসল অর্জন এবং অগ্রগতি আশাহীন হবে। এটি একটি মহৎ আশীর্বাদ, তারপর, যে এটি আপনার আছে, যদিও এটি আপনার কাছে অজানা।

অনুশীলন ৬: ১৫ থেকে ২০-মিনিটের দুটি অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৭

পুনর্বিবেচনা

আজকের দুটি অনুশীলনের সময়, আমরা এপর্যন্ত আজ যা করেছি 

তা সব পুনর্বিবেচনা করুন, প্রথম ধাপ থেকে শুরু করে পূর্বের ধাপ পর্যন্ত পুনর্বিবেচনা করুন। তারপর সমস্ত পদক্ষেপের ক্রম একসাথে বিবেচনা করুন। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই পর্যায়ে যে আপনার কোনও  উপসংহারে আসার প্রয়োজন নেই, তবে নিজেকে প্রশ্নগুলো করুন এবং সীমাটি বুঝুন যেখানে আপনার সত্যিকারের জ্ঞানের দরকার। আপনি যদি  আজকের অনুশীলনটির প্রকৃতপক্ষে উদ্যোগ নেন, এটি স্পষ্ট হয়ে যাবে যে আপনার এই বৃহত্তর প্রয়োজন আছে। আপনি আপনার অনুমান ছাড়া দুর্বল, কিন্তু আপনিও সত্য এবং জীবনের নিশ্চয়তা গ্রহণ করার অবস্থানে আছেন।

আজ দুটি অনুশীলনের সময়কাল নিন, প্রত্যেকটি ৩০ মিনিট করে, এই বিষয়গুলি বিবেচনা করার জন্য।

অনুশীলন ৭: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৮

আজ আমি শান্ত হব।

আজ আপনার দুটি ধ্যান অনুশীলনে, ১৫ মিনিটের জন্য নিরবতা অনুশীলন করুন। তিনটি গভীর শ্বাস নিয়ে এবং তারপরে একটি অভ্যন্তরীণ বিন্দুতে মনোযোগ দিয়ে শুরু করুন। এটি একটি কাল্পনিক বিন্দু হতে পারে বা এটি আপনার দৈহিক দেহের একটি বিন্দু হতে পারে। চোখ বন্ধ করে, আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ দিন, বিচার এবং মূল্যায়ন ছাড়াই। প্রাথমিক প্রচেষ্টা কঠিন প্রমাণিত হলে নিরূত্সাহ হবেন না। জীবনে গুরুত্বপূর্ণ কোনও কিছুর সূচনা প্রথমে কঠিন হতে পারে, কিন্তু আপনি যদি অবিচল থাকেন, আপনি এই মহান লক্ষ্য অর্জন করতে পারবেন, কারণ নিরবতার মাধ্যমেই সমস্ত কিছু জানা যায়।

অনুশীলন ৮: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৯

নিরবতায় সমস্ত কিছু জানা যায়।

মনের নিরবতা বৃহত্তর মন উদয় করতে এবং তার জ্ঞান প্রকাশ করতে দেয়। যারা জ্ঞানের আকাঙ্ক্ষায় নিরবতা গড়ে তোলেন তারা বৃহত্তর উদ্ঘাটন ও সত্য অন্তর্দৃষ্টি উদ্ভূত হওয়ার জন্য প্রস্তুত হবেন। অনুশীলনের সময় বা কোনও সাধারণ ক্রিয়াকলাপের্ সময় অন্তর্দৃষ্টি উদ্ভূত হতে পারে। এখানে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হ’ল প্রস্তুতিটি করা হয়েছে।

গতকালের নিরবতার অনুশীলনটি আজ দু’বার অনুশীলন করুন, কিন্তু ফলাফলের প্রত্যাশা ছাড়াই অনুশীলন করুন। কোনও ধরণের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করার জন্য এই অভ্যাসটি ব্যবহার করবেন না কারণ আপনি নিরবতা অনুশীলন করছেন, যার মধ্যে সমস্ত জল্পনা, সমস্ত প্রশ্ন এবং সমস্ত অনুসন্ধান শেষ। ১৫ মিনিটের জন্য, আজ দু’বার, আবারও নিরবতার অনুশীলন করুন।

অনুশীলন ৯: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

আমি কেন এসব করছি?

এটা খুব ভাল প্রশ্ন! আপনি কেন এসব করছেন? আপনি এই প্রশ্নগুলি কেন জিজ্ঞাসা করছেন? আপনি কেন বৃহত্তর জিনিস খুঁজছেন? আপনি চেষ্টা করছেন কেন? এই প্রশ্নগুলি অনিবার্য। আমরা তাদের পূর্বানুমান করছি। কেন আপনি এসব করছেন? আপনি এটি করছেন কারণ এটি অপরিহার্য। সম্পূর্ণরূপে অগভীর এবং অস্থিতিশীল জীবনের চেয়ে যদি আপনি কিছু বৃহত্তর জীবনের উপভোগ করতে চান, তবে আপনার আরও গভীর প্রবেশ করা উচিত এবং সন্দেহজনক অনুমান এবং আশাবাদী প্রত্যাশাগুলির উপর আত্মবিশ্বাসী না হয়ে। বৃহত্তর উপহারটি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই নিজেকে মানসিকভাবে, আবেগের দিক দিয়ে এবং শারীরিকভাবে প্রস্তুত হতে হবে। জ্ঞান ব্যতীত, আপনি নিজের উদ্দেশ্য জানতে পারবেন না। আপনি আপনার আসল উত্স এবং আপনার নিয়তি জানতে পারবেন না, এবং একটি অস্থির স্বপ্নের মতো আপনি এই জীবনের মধ্য দিয়ে ছুটে যাবেন এবং আর কিছুই নয়।

ধাপ ১০

জ্ঞান কি?

আমরা এটা বলতে পারি যে জ্ঞান সে জিনিসটা নয় যার সাথে এটাকে সাধারণত সংযুক্ত করা হয়। এটি কোনও ধারণা নয়। এটা কোনও তথ্যের শরীর নয়। এটি বিশ্বাসের ব্যবস্থা নয়। এটি স্ব- মূল্যায়নের প্রক্রিয়া নয়। এটি আপনার জীবনের দুর্দান্ত রহস্য। এর বাহ্যিক প্রকাশগুলো হলো গভীর সংস্কার, মহান অন্তর্দৃষ্টি, অনির্বচনীয় জানা, বর্তমান ও ভবিষ্যত সম্পর্কে বিচক্ষণ ধারণা এবং অতীত সম্পর্কে বিজ্ঞতা উপলব্ধি করা। কিন্তু মনের এই মহান অর্জন সত্ত্বেও জ্ঞান এর চেয়েও বড়। এটা আপনার সত্য স্ব, একটা স্ব যা জীবন থেকে পৃথক্ নয়।

অনুশীলন ১০: আজ পাঠটি তিনবার পড়ুন।

ধাপ ১১

আমি জীবন থেকে আলাদা নই।

আপনার স্বতন্ত্রতা এবং ব্যক্তিগতভাবে আপনার সাথে জড়িত – আপনার দেহ, আপনার ধারণাগুলি, আপনার অসুবিধা, আপনার নির্দিষ্ট অভিব্যক্তি, আপনার ব্যক্তিত্বের বৈশিষ্ট্য, আপনার প্রতিভা -সহ সমস্ত মহান অর্জনগুলি থাকা সত্ত্বেও আপনি জীবন থেকে আলাদা নন। এটা স্পষ্ট যে আপনি যদি সরলভাবে নিজের দিকে তাকান এবং বুঝতে পারবেন যে আপনার নিজ দেহের প্রকৃত গঠনপ্রনালী, আপনার শারীরিক জীবনের প্রকৃত বস্ত্রটি এবং শারীরিক জীবনে যা আছে তা সম্পূর্ণরূপে তৈরি করা হয়েছে। আপনার চারপাশের সমস্ত কিছুর মতোই আপনি একই “উপাদান” দিয়ে তৈরি হয়েছেন তা একেবারেই স্পষ্ট। যা রহস্যময় তা হল আপনার মন। এটি বোঝার একটি আলাদা বিষয়  বলে মনে হলেও এটি আপনার শারীরিক বস্ত্রের মতো জীবনের একটি অংশ। আপনার নিজের উত্স এবং আপনার জীবনের মোট অন্তর্ভুক্তি সম্পর্কে আপনি একজন ব্যক্তি হিসেবে অজ্ঞাত। এই মুহূর্তে আপনার ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য হচ্ছে একটা বোঝা কিন্তু যখন এটি নিজের জীবনকে প্রকাশ করতে পারবে তখন এটি আপনার জন্য আনন্দের উৎস হয়ে উঠবে।

অনুশীলন ১১: আজ পাঠটি তিনবার পড়ুন। 

ধাপ ১২

আমার ব্যক্তিত্ব জীবনের এক বহিঃপ্রকাশ।

এই প্রসঙ্গে আপনার ব্যক্তিত্ব হ’ল একটি মহান সম্পদ এবং আনন্দের উত্স, বিচ্ছিন্নতার কারণ বা নিজেকে বা অন্যের নিন্দার উত্স নয়  । এই পার্থক্য আপনাকে অন্যের থেকে উঁচু করে না এবং আপনাকে হেয় করে না। এটি কেবলমাত্র আপনার ব্যক্তিত্বের আসল উদ্দেশ্য এবং ভবিষ্যতে এর সম্ভাব্যতা প্রকাশ করে। আপনি এখানে কিছু প্রকাশ করতে এসেছেন। এটি আপনার ব্যক্তিত্বের আসল অর্থ, যেহেতু আপনি আর আলাদা হতে চান না।

আমরা আপনাকে যেভাবে ব্যাখ্যা করেছি তার উপর  , আজ দু’বার অভ্যন্তরীণ নীরবতা অনুশীলন করুন।

অনুশীলন ১২: প্রতিটি ১৫ মিনিটের দুটি ব্যবহারিক অনুশীলন।

ধাপ ১৩

আমি আলাদা হতে অনন্য হতে চাই।

এই ধারণাটি বিচ্ছেদের আসল উদ্দেশ্যকে উপস্থাপন করে, তবে এটি অপ্রয়োজনীয় । আমরা এখানে এটি একটি বিবৃতি হিসাবে নয়  , আপনার বর্তমান অবস্থার প্রকাশ হিসাবে দিচ্ছি।

আপনি আলাদা হতে চান, কারণ এটি আপনার “আমি” সংজ্ঞায়িত করে, আপনার “আমি” ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্নতার দ্বারা নির্ধারিত হয় , তাঁর সাথে পুনর্মিলন দ্বারা নয়  । বিচ্ছেদ আপনার সমস্ত ব্যথা এবং মনের বিভ্রান্তির উত্স। আপনার দৈহিক অস্তিত্ব বিচ্ছিন্ন জীবনের প্রকাশ, তবে কেবলমাত্র একটি নির্দিষ্ট দৃষ্টিকোণ থেকে। অন্য দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি মোটেই বিচ্ছেদ প্রদর্শন করে না। এটি বৃহত্তর বাস্তবতার একটি অনন্য অভিব্যক্তি প্রদর্শন করে।

আজ দুবার এই ধারণার প্রতি মনোনিবেশ করে ১৫ মিনিট ব্যয় করুন। এই পাঠটির অর্থ কী তা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে চিন্তা করুন এবং আপনার নিজের জীবনের সাথে তার প্রাসঙ্গিকতার প্রতিফলনের জন্য নিজের অভিজ্ঞতার প্রতি আহ্বান করুন। আপনার বিচ্ছেদের আকাঙ্ক্ষার জন্য আপনাকে যে সময়, শক্তি ও কষ্টের মূল্য দিতে হয়েছে তা প্রতিফলিত করুন। বিচ্ছেদের জন্য আপনার অনুপ্রেরণা উপলব্ধি করুন এবং আপনি জানতে পারবেন যে আপনি মুক্ত হতে চান। 

অনুশীলন ১৩: প্রতিটি ১৫ মিনিটের দুটি ব্যবহারিক অনুশীলন।

ধাপ ১৪

পর্যালোচনা

আগের দেওয়া সমস্ত নির্দেশাবলী আবার পর্যালোচনা করুন। এই পর্যালোচনাতে প্রতিটি পদক্ষেপে যে নির্দেশাবলী দেওয়া হয়েছে  সেগুলি পুনরায় পড়ুন। অনুশীলনে আপনার জড়িততার গভীরতা এবং আপনি যে ফলাফলগুলি পেয়েছেন তা নির্ধারণ করতে আপনার সমস্ত ব্যবহারিক অনুশীলনও পর্যালোচনা করুন। আপনার পুরো প্রস্তুতি জুড়ে, আপনি আপনার উপলব্ধির বিষয় বস্তুটি অনুসন্ধান করবেন। এটি নিজেই তৈরি হবে এবং সময়ের সাথে সাথে আপনার নিজের জ্ঞান সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি প্রকাশ করবে।

আপনার অনুশীলনের সমস্ত নির্দেশাবলী, ফলাফল এবং গুণমান পর্যালোচনা করতে আজ প্রায় ৪৫ মিনিটের একটি স্থায়ীভাবে অনুশীলন সময়  ব্যয় করুন। আগামীকাল আমরা একসাথে আমাদের প্রস্তুতির পরবর্তী পর্যায়ে  শুরু করব।

অনুশীলন ১৪: ৪৫ মিনিটের একটি অনুশীলন সেশন।

ধাপ ১৫

আজ আমি আমার অভিজ্ঞতা শুনব।

আজ  আমার মনের বিষয় বস্তু খুঁজে বের করতে আমি আমার অভিজ্ঞতা শুনব।

আপনার জন্মের দিন থেকেই আপনি যা কিছু যুক্ত করেছেন তার নীচে আপনার মনের আসল বিষয় বস্তু সমাহিত হয়েছে  তা অনুধাবন করুন। এই সত্য বিষয় বস্তু আপনার বর্তমান জীবন এবং বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে নিজেকে প্রকাশ করতে ইচ্ছুক। এটি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার মনের আসল বিষয় বস্তু এবং এটির যে বার্তাগুলি আপনি অনুভব করছেন তা থেকে আপনার কাছে আসা বার্তাগুলি শুনতে এবং পার্থক্য করতে শিখতে হবে।  জ্ঞান থেকে আপনার চিন্তাভাবনা আলাদা করতে শেখা একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এবং এই প্রশিক্ষণ কোর্সে আপনাকে এটি শেখার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

৪৫ মিনিটের আজকের একটি অনুশীলনটি অন্তঃস্থ শ্রবণের জন্য নিবেদিত হবে। এটির জন্য আপনার নিজের বিবেচনার বিষয় বস্তু বিঘ্নিত হওয়া সত্ত্বেও, আপনার নিজের বিচার ছাড়াই শুনতে হবে। এমনকি যদি আপনার চিন্তার বিষয় বস্তু দ্বিমত পোষণ করে, আপনাকে অবশ্যই বিচার ছাড়াই শুনতে হবে আপনার মনটি খোলার অনুমতি দেওয়ার জন্য । আপনি মনের চেয়ে আরও গভীর কিছু শুনছেন, তবে সেখানে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই মনের মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

অনুশীলন ১৫: ৪৫ মিনিটের একটি অনুশীলন সেশন।

ধাপ ১৬

জ্ঞান আমার মনের বাইরে।

আপনার মনের সীমার বাইরে জ্ঞান, আপনার সত্তার আসল মর্ম, আপনার সত্য স্ব, আপনি নিজেকে “বিশ্ব” হিসাবে তৈরি করার জন্য তৈরি করেছেন এমন “আমি” নয়  , তবে আপনার সত্য “আমি”। চিন্তাভাবনা এবং ধারণাগুলি, আগ্রহগুলি এবং নির্দেশনা এই সত্য “আমি” থেকে উত্থিত হয় । আপনার সত্য স্ব নিজেকে যা জানাতে চাইছে তার বেশিরভাগ অংশ আপনি এখনও শুনতে সক্ষম হন না। তবে সময়ের সাথে সাথে, আপনি এটি শিখতে সক্ষম হবেন যেহেতু আপনার মন শান্ত হয়ে যায় এবং আপনি শ্রবণ এবং অন্তর্দৃষ্টিটির সঠিক স্তরে পৌঁছে যাবেন।

আজ প্রতিটি 15 মিনিটের তিন পিরিয়ডে অনুশীলন করুন। আগের দিনের চেয়ে আরও মনোযোগ দিয়ে শুনুন। আরও গভীর আগ্রহ নিয়ে শুনুন। আপনাকে অবশ্যই বিচার ছাড়াই আবার শুনতে হবে। আপনার অবশ্যই কিছু এডিট করা চলবে না। আপনাকে অবশ্যই গভীরভাবে শুনতে হবে যাতে আপনি শুনতে শিখতে পারেন।

অনুশীলন ১৬: তিন সময়  ১৫ মিনিটের অনুশীলন।

ধাপ ১৭

আজ আমি সত্য শুনতে চাই।

সত্য শোনার আকাঙ্ক্ষা এমন একটি বিষয়  যা উ ভয় ই একটি প্রক্রিয়া এবং সত্য প্রস্তুতির ফলাফল। শোনার ক্ষমতা এবং শোনার আকাঙ্ক্ষা বিকাশ করা যা আপনি চেয়েছিলেন তা আপনাকে দেবে। সত্যটি আপনার পক্ষে একেবারে উপকারী, তবে প্রথমে এটি আপনার অন্যান্য পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যগুলির জন্য যথেষ্ট ধাক্কা ও হতাশ হতে পারে। যদি আপনি নিশ্চিত এবং ক্ষমতায়ন চান যা সত্য আপনার কাছে নিয়ে আসবে, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ঝুঁকি নিতে হবে। সত্য সর্বদা দ্বন্দ্বের সমাধান নিয়ে আসে, সর্বদা স্ব অভিজ্ঞতা  দেয়, আপনাকে সর্বদা বর্তমান বাস্তবতার উপলব্ধি  দেয় এবং সর্বদা আপনাকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য দিকনির্দেশনা সরবরাহ করে।

আজ, আপনার ১৫ মিনিটের তিনটি অনুশীলনের সময় কালে, মন থেকে এবং আবেগের বাইরে শোনার চেষ্টা করে সত্য শোনার অনুশীলন করুন। আবার উদ্বিগ্ন হবেন না আপনি যা শুনছেন সেগুলি যদি আপনার নিজের চিন্তাভাবনা সম্পর্কে ছুটে চলে। মনে রাখবেন, আপনি শ্রবণশক্তি বিকাশ করছেন। এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। শরীরে পেশী অনুশীলনের মতো আপনি শ্রবণশক্তি নামক মন অনুশীলনকে অনুশীলন করছেন। অতএব, এই দিনটি শোনার অনুশীলন করুন, এই সময় সীমাগুলিতে নিজেকে নিবেদিত রাখার জন্য অনুশীলন করুন যাতে আপনি নিজের মধ্যে উত্থিত সত্য বোধ করতে পারেন।

অনুশীলন ১৭: প্রতিটি ১৫ মিনিটের তিনটি ব্যবহারিক অনুশীলন।

ধাপ ১৮

আজ আমি নিজের মধ্যে উত্থিত সত্য অনুভব করছি।

সত্যকে অবশ্যই পুরোপুরি অনুভব করতে হবে। এটি কেবল একটি ধারণা নয়  , কেবল একটি চিত্র নয়  , যদিও ধারণাগুলি এবং চিত্রগুলি এর সাথে যেতে পারে। সত্য একটি সংবেদন, তাই এটি গভীরভাবে অনুভূত হয় । এটি যাদের মধ্যে প্রবেশ করতে শুরু করে তাদের জন্য এটি বিভিন্ন উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে পারে তবে তা সত্ত্বেও, এটি নিজেই প্রকাশ পাবে। এটি এমন কিছু যা আপনার অবশ্যই অনুভব করা উচিত। এবং এই জন্য আপনার মন অবশ্যই শান্ত হতে হবে। সত্য এমন কিছু যা আপনি নিজের দেহের সাথে এবং আপনার সম্পূর্ণ অস্তিত্বের সাথে অনুভব করবেন।

জ্ঞানের সাথে আপনার অবিরাম কথাবার্তা হয়  না, তবে এটি সর্বদা আপনার জন্য একটি বার্তা রাখে। জ্ঞানের কাছে যাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই জ্ঞানের মতো হতে হবে:  আরও সম্পূর্ণ, আরও নিরপেক্ষ, আরও বেশি নিষ্ঠাবান, আরও মনোনিবেশিত, আরও স্ব-শৃঙ্খলাবদ্ধ, আরও সহানুভূতিশীল এবং আরও আত্ম-প্রেমময়। এই গুণাবলির উত্সের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার মধ্যে এই সমস্ত গুণাবলীর বিকাশ ঘটবে।

আপনার নিজের মধ্যে অনিবার্য সত্যকে অনুভব করার সময়  আপনার আজ এই দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা উচিত। এটি আপনাকে নিজের দিক থেকে অভিন্ন অভিজ্ঞতা প্রদান করে আপনার ব্যক্তিত্বের সমস্ত দিককে এক করে দেবে। আপনার ১৫ মিনিটের তিনটি অনুশীলনের সময় কালে, আপনার মধ্যে উদ্ভূত সত্যটি অনুভব করতে পুরোপুরি মনোনিবেশ করুন। এটি অভ্যন্তরীণ নীরবতার মতো অবস্থায় অনুশীলন করুন এবং প্রথমে আপনার পক্ষে যদি এটি কঠিন মনে হয়  তবে নিরুৎসাহিত হবেন না। কেবল অনুশীলন করুন এবং আপনি এগিয়ে যাবেন।

পাশাপাশি দিনব্যাপী, সন্দেহ বা দ্বিধা ছাড়াই জীবনে আপনার আসল লক্ষ্যটি অনুসরণ করুন। এই সত্য লক্ষ্য থেকে আপনার প্রয়োজনীয়  সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিসগুলি আসবে এবং দর্শন ও বিচক্ষণতার দুর্দান্ত শক্তি যা আপনাকে ঐ ব্যক্তিদের সন্ধান দেবে যাদের খুজতে আপনি এ বিশ্বে এসেছেন।

অনুশীলন ১৮: প্রতিটি ১৫ মিনিটের তিনটি ব্যবহারিক অনুশীলন।

ধাপ ১৯

আজ আমি দেখতে ইচ্ছুক।

দেখার ইচ্ছা হল জানার আকাঙ্ক্ষার মতো। এটির জন্য আপনার মনের মৌলিক মানসিক শক্তির একটি সংশোধন প্রয়োজন । পরিষ্কার দৃষ্টি দিয়ে দেখার অর্থ হল আপনি পছন্দ মত দেখতে পাচ্ছেন না। এর মানে হল যে আপনি যা দেখতে চান তার চেয়ে বরং আসলে বাস্তবে যা ঘটছে তা আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন। আপনার ইচ্ছার বাইরে আসলেই কিছু আছে। এটা খুব সত্য। দেখার আকাঙ্ক্ষা হল একটি বৃহত্তর সত্য দেখার ইচ্ছা। এর জন্য বৃহত্তর সততা এবং বৃহত্তর খোলামেলা মনের প্রয়োজন ।

আজ আপনার দুটি অনুশীলন সেশনে, এক সহজ জাগতিক বস্তুর উপর নজর দেওয়ার অভ্যাস করুন। আপনার চোখটিকে সেই বস্তু থেকে সরিয়ে ফেলবেন না, তবে দেখুন এবং খুব আন্তরিকতার সাথে দেখার অনুশীলন করুন। আপনি কোনো কিছু দেখার চেষ্টা করছেন না।  আপনি কেবল খোলা মনে তাকিয়ে আছেন। যখন মন খোলা থাকে, তখন এটি অভিজ্ঞতা লাভ করে তার নিজস্ব গভীরতার, এবং অভিজ্ঞতা লাভ করে গভীরতার যা এটি চাক্ষুষ করে।

এমন একটি সাধারণ বস্তু বেছে নিন যা আপনার পক্ষে খুব কম অর্থপূর্ণ এবং কমপক্ষে ১৫ মিনিটের জন্য আজ দু’বার তার দিকে নজর রাখবেন। আপনার মনকে খুব শান্ত হয়ে উঠতে দিন। আপনি যখন এই বস্তুটির দিকে তাকাবেন তখন গভীরভাবে এবং নিয়মিত শ্বাস নিন। আপনার মনকে নিজের মধ্যে বসতি স্থাপনের অনুমতি দিন।

অনুশীলন ১৯: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২০

আমার অগ্রগতিকে ধীর করতে আমি সন্দেহ ও বিভ্রান্তিকে সুযোগ দেব না।

আপনার নিজের সিদ্ধান্তহীনতা বাদে কী আপনার অগ্রগতিকে ধীর করতে পারে, এবং মনের বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা ছাড়া সিদ্ধান্তহীনতা কি জন্ম দিতে পারে? আপনার একটি উচ্চ লক্ষ্য রয়েছে যা এই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে প্রদর্শিত হবে। সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি যেন আপনার জন্য কোনও বাধা হয়ে না দাঁড়ায়। সত্যিকারের ছাত্র হওয়ার অর্থ হ’ল আপনি অনুমানগুলি যতটা সম্ভব কম তৈরি করুন এবং উচ্চ শক্তি আপনাকে যে দিকে নির্দেশ করবে সেই দিকে এগিয়ে চলুন। উচ্চতর শক্তি আপনাকে তার ক্ষমতার স্তরে উন্নীত করতে চায়। সুতরাং, আপনি এই প্রস্তুতির উপহার পাবেন এবং আপনি এটি অন্যকে দিতে পারেন। সুতরাং, আপনি নিজের জন্য সরবরাহ করতে পারবেন না যা আপনি পাবেন। আপনি নিজের স্বতন্ত্র শক্তি এবং ক্ষমতা উপলব্ধি করতে পারেন কারণ তাদের অবশ্যই বিকাশ করা উচিত যাতে আপনি এই প্রশিক্ষণ প্রোগ্রামে এগিয়ে যেতে পারেন। আপনার জীবনের অন্তর্ভুক্তিটি আপনি উপলব্ধি করতে পারেন যেহেতু জীবন আপনার সত্যিকারের বিকাশে আপনাকে পরিবেশন করার চেষ্টা করছে।

অতএব, আপনি আপনার দুটি অনুশীলনের সময় কালে আগের দিনের করা একই অনুশীলনটি অনুশীলন করুন, এবং আপনাকে হতাশ করতে সন্দেহ বা বিভ্রান্তিকে সু্যোগ দিবেন না। আজ একজন সত্যিকারের ছাত্র হতে হবে। আপনার নিজেকে অনুশীলনে মনোনিবেশ করার অনুমতি দিন। আপনার নিজেকে এই ক্রিয়াকলাপে উত্সর্গ করুন। আজ একজন সত্যিকারের ছাত্র হতে হবে।

অনুশীলন ২০: প্রতিটি ১৫ মিনিটের দুটি ব্যবহারিক অনুশীলন।

ধাপ ২১

পর্যালোচনা

আপনার তৃতীয় পর্যালোচনাতে, গত সপ্তাহের সমস্ত পাঠ এবং সেই পাঠগুলির ফলাফল পর্যালোচনা করুন। আজ কোনও সিদ্ধান্তে না নেওয়ার  অনুশীলন করুন, তবে কেবল উন্নয়নের রেখাটি সনাক্ত করুন এবং আপনি এখনও পর্যন্ত যে অগ্রগতি করেছেন তা নোট করুন। খুব তাড়াতাড়ি সত্যিকারের সিদ্ধান্ত নেওয়া , যদিও এটি করা খুব লোভনীয় হতে পারে। শুরুর শিক্ষার্থীরা তাদের পাঠ্যক্রমের বিচার করার মতো অবস্থানে নেই। এই অধিকার অবশ্যই অর্জন করতে হবে এবং যদি আপনি আপনার সিদ্ধান্তগুলি সত্যিকারের প্রভাবিত করতে এবং বুদ্ধিমান হতে চান তবে তা আরও পরে আসতে হবে।

অতএব, আপনার একটি অনুশীলনের সময় কালে, অনুশীলনের শেষ বিভাগ এবং এ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা অর্জন করা সমস্ত বিষয়  পর্যালোচনা করুন।

অনুশীলন ২১: একটি ৪৫ মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২২

আমি ঈশ্বরের শিক্ষক দ্বারা পরিবেষ্টিত।

আপনি সত্যই ঈশ্বরের পরামর্শদাতাদের দ্বারা ঘিরে আছেন যারা এই জাতীয় প্রশিক্ষণ পেয়েছিলেন যা এখন আপনি করছেন। যদিও বিভিন্ন রূপে, বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন বিশ্বে, একটি খুব অনুরূপ প্রস্তুতি তাদের দেওয়া হয়েছিল । এবং তাদের অবস্থা, চেতনা এবং জীবনের পরিস্থিতির জন্য বুদ্ধিমানের সাথে নির্বাচিত হয়েছিল।

আজ, ১৫ মিনিটের দুইটি অনুশীলনের সময় কালে, ঈশ্বরের শিক্ষকদের উপস্থিতি অনুভব করুন। আপনি এগুলি এখনও আপনার চোখ দিয়ে দেখতে পাচ্ছেন না এবং আপনি এখনও আপনার কান দিয়ে শুনতে পারবেন না কারণ এই জ্ঞান অনুষঙ্গগুলি এখনও পর্যাপ্ত পরিমার্জন করা হয় নি তবে আপনি তাদের উপস্থিতি অনুভব করতে পারেন, কারণ তাদের উপস্থিতি আপনাকে ঘিরে রেখেছে এবং সুরক্ষা  দেয়। আপনার অনুশীলনে, অন্যান্য চিন্তা যাতে বাধা না  দেয়। সন্দেহ বা বিভ্রান্তি বোধ করবেন না, কারণ আপনি যে পুরষ্কারটি চেয়েছেন তা অর্জনের জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই জেনে রাখতে হবে যে শক্তি অর্জন করতে প্রয়োজনীয় তা, আত্মবিশ্বাস এবং জ্ঞানের উত্স অর্জন করার জন্য আপনি একা নন, যা আপনাকে অর্জনের জন্য এখানে প্রেরণ করা হয়েছিল।

আপনি ঈশ্বরের শিক্ষক দ্বারা পরিবেষ্টিত হয়ে আছেন। তারা এখানে আপনাকে ভালবাসা, সমর্থন এবং নির্দেশ দেওয়ার জন্য আছেন।

অনুশীলন ২২: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২৩

ঈশ্বরের শিক্ষকেরা আমাকে ভালোবাসে, আমাকে ঘিরে রাখে এবং আমাকে সমর্থন করে।

এটি প্রস্তুত করার সাথে সাথে এর সত্যতা স্ব-স্পষ্ট হয়ে উঠবে, তবে আপাতত এটির জন্য বৃহৎ বিশ্বাসের প্রয়োজন  হতে পারে। এই ধারণাটি বিদ্যমান ধারণাগুলি বা বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে, তবে এটি সত্য। ঈশ্বরের পরিকল্পনা অদৃশ্য এবং খুব অল্প লোক দ্বারা স্বীকৃত কারণ খুব অল্প লোকেরই মনের উন্মুক্ততা এবং মনোযোগের মান রয়েছে যা তাদের চারপাশে যা ঘটেছিল তা স্পষ্টতই দেখতে  দেয়, যা এ মুহুর্তে তাদের কাছে মোটেই স্পষ্ট নয়  । আপনার শিক্ষকরা আপনাকে ভালবাসে, আপনাকে ঘিরে থাকেন এবং আপনাকে সমর্থন করেন কারণ আপনি জ্ঞানে উদ্ভূত হচ্ছেন। এটি তাদের আহ্বান করে আপনার দিকে। আপনি সেই কয়েকজনের মধ্যেই রয়েছেন যাঁর কাছে প্রতিশ্রুতি আছে এবং নিজের কল্পনার ঘুম থেকে বাস্তবতার অনুগ্রহে অবতীর্ণ হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

অতএব, আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময় কালে, এই ভালবাসা, সমর্থন এবং দিকনির্দেশনা অনুভব করুন। এটি একটি অনুভূতি। এটি ধারণা নয়  । এটি একটি অনুভূতি। এটি এমন কিছু যা আপনার অবশ্যই অনুভব করা উচিত। ভালবাসা এমন একটি জিনিস যা জানতে হলে অবশ্যই আপনাকে অনুভব করতে হবে। আপনি প্রকৃতপক্ষে আপনার শিক্ষকদের দ্বারা ভালবাসা, চারপাশে ঘিরে থাকা এবং সমর্থন পাচ্ছেন এবং আপনার কাছে তাদের দুর্দান্ত উপহারের জন্য আপনি খুব যোগ্য।

অনুশীলন ২৩: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২৪

আমি ঈশ্বরের ভালবাসার যোগ্য।

আপনি সত্যই ঈশ্বরের ভালবাসার যোগ্য। উপরন্তু, আপনিই ঈশ্বরের ভালবাসা। কোনও প্রবঞ্চনা ছাড়াই, আপনার অস্তিত্বের মূল অংশে, এটি আপনার সত্য আমিকে উপস্থাপন করে। আপনি এখনও আপনার নিজের “আমি” অনুভব করেন নি এবং যতক্ষণ না অনুভব করছেন ততক্ষণ আপনি এটি অনুভব করছেন এমন ভান করবেন না। তবে, জেনে রাখুন যে এটি আপনার সত্য “আমি”। আপনি একজন মানুষ, তবে আপনি একজন মানুষের চেয়ে বিশাল কিছু। আপনি যদি তাই হোন তবে আপনি কীভাবে ঈশ্বরের ভালোবাসার অযোগ্য হতে পারেন? আপনার শিক্ষকেরা আপনাকে ঘিরে রেখেছে এবং আপনার যা দরকার তা আপনাকে সরবরাহ করে, যাতে আপনি জীবনের সাথে আপনার নিজের এবং আপনার সত্যিকারের সম্পর্ক অনুভব করতে পারেন।

আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময় কালে, আবারও আপনার শিক্ষকদের ভালবাসা, সমর্থন এবং দিকনির্দেশনা গ্রহণের অনুশীলন করুন এবং যদি কোনও ভাবনা এটিকে বাধা  দেয়, যদি কোনও অনুভূতি এটিকে প্রতিরোধ করে, নিজেকে আপনার মহান যোগ্যতার কথা মনে করিয়ে দিন। আপনি পৃথিবীতে যা করেছেন তার জন্য আপনি যোগ্য নন। আপনি কে, আপনি কোথা থেকে এসেছেন এবং কোথায় যাচ্ছেন তার জন্য আপনি যোগ্য। আপনার জীবন ত্রুটি এবং ভুল, ভুল সিদ্ধান্ত এবং দুর্বল পছন্দ দ্বারা পূর্ণ হতে পারে, তবে আপনি এখনও আপনার প্রাচীন বাড়ি থেকে এসেছেন যেখানে আপনি ফিরে আসবেন। ঈশ্বরের দৃষ্টিতে আপনার যোগ্যতা অপরিবর্তিত। আপনার ত্রুটিগুলি মেরামত করার জন্য শুধুমাত্র মহান প্রচেষ্টা আছে যাতে আপনি আপনার সত্য স্ব-তে অনুভব করতে পারেন যাতে এটি বিশ্বের মধ্যে অনুষ্ঠিত হতে পারে।

অতএব, আপনার অনুশীলনের সময় কালে, গ্রহণযোগ্যতা অনুশীলন করুন এবং সত্যিকারের যোগ্যতার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন। জীবনের সবচেয়ে  বড় সত্যের সাথে কোনও চিন্তাভাবনা যেন বিরোধ না করে।

অনুশীলন ২৪: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২৫

আমি জীবনের এক সর্বাধিক সত্যের সাথে আছি।

জীবনের সর্বাধিক সত্য কী? আপনার অবশ্যই তা অনুভব করতে হবে, যেহেতু একক কোনও সর্বাধিক সত্যকেই কেবল কোনও ধারণার দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা যায় না, যদিও ধারণাগুলি এটি আপনার বর্তমান উপলব্ধির কাঠামোর মধ্যে প্রতিফলিত করতে পারে। সর্বাধিক সত্য হল উচ্চতর সম্পর্কের ফলাফল। আপনার জীবনের সাথে আরও গভীর সম্পর্ক রয়েছে। আপনার মধ্যে থাকা আপনার প্রকৃত শিক্ষকদের সাথে আপনি সর্বাধিক সম্পর্কে আছেন। সময়ের সাথে সাথে, যারা আপনার চারপাশের বিশ্বে রয়েছেন আপনি তাদের সাথে এই জাতীয় উচ্চ সম্পর্কের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন তবে শুরু করার জন্য আপনাকে অবশ্যই তাদের প্রাথমিক অবস্থার মধ্যে এই সম্পর্কের উত্স অনুভব করতে হবে। তারপরে আপনাকে কেবল এটি বাইরের বিশ্বে স্থানান্তর করতে হবে যা সময়ের সাথে সাথে ঘটবে।

আপনার দুটি অনুশীলনের সময় কালে এই সম্পর্কটি অনুভব করে অনুশীলন করুন। আবার গ্রহণ করতে শিখুন, কারণ এই অনুভূতি দেওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই প্রথমে এটি গ্রহণ করতে হবে। আপনি এটি গ্রহণ করার সাথে সাথে এটি প্রাকৃতিকভাবে নিজেকে দেবে। প্রক্রিয়াতে, আপনার মর্যাদা পুনরুদ্ধার হবে, এটি স্পষ্ট হয়ে উঠবে। আপনার নিজের বা আপনার ধারণাগুলি বিকৃত করার দরকার নেই। একটি দুর্দান্ত ভালবাসা সততার সাথে ভাগ করে নেওয়ার  অর্থ হল আপনি অবশ্যই এটি অনুভব করছেন। এই অভিজ্ঞতাটিই আমরা আপনাকে আজ দিতে চাই।

অনুশীলন ২৫: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২৬

আমার ত্রুটিগুলি আমার জ্ঞানের জন্ম  দেয়।

ত্রুটিটিকে ন্যায়সঙ্গত করা অর্থহীন, তবে ত্রুটি আপনাকে সত্যের মূল্য দিতে পারে এবং এর মধ্যে এটি সত্য জ্ঞানের দিকে পরিচালিত করতে পারে। এটিই এটির সম্ভাব্য মুল্য। আমরা ত্রুটিটি ক্ষমা করি না, তবে ত্রুটি দেখা দিলে আমরা এটিকে আপনার সত্যিকারের প্রয়োজন  হিসাবে পরিপূর্ণ করে তুলতে চাই যাতে আপনি এটি থেকে শিখতে পারেন এবং এটির আর পুনরাবৃত্তি করতে না পারেন। আপনার কেবল নিজের ত্রুটিগুলিকে ভুলে যাওয়া বা তাদের ন্যায্যতা দেওয়া উচিত নয়  , কারণ এটি আপনাকে অসৎ করে তুলবে। কেবল আপনার ত্রুটিগুলিকে খাটি সেবা হিসেবে দেখবেন না, কারণ তারা অবশ্যই বেদনাদায়ক ছিল।  এর সত্যিকারের অর্থ হ’ল আপনি যেন বুঝতে পারেন যে ত্রুটিটি ত্রুটিই ছিল এবং তারপরে আপনি নিজের পক্ষে সুবিধার জন্য এটি ব্যবহার করার চেষ্টা করতে পারবেন। ভুল দ্বারা আনা ব্যথা এবং দুর্ভাগ্য অবশ্যই মেনে নেওয়া উচিত, কারণ এটি আপনাকে কল্পনা থেকে বাস্তবতাকে আলাদা করতে এবং কোনটি মূল্যবান এবং কোনটি মূল্যবান নয়   তা শেখায়। আত্মবিকাশের জন্য আপনার ত্রুটিটি ব্যবহার করার অর্থ হল আপনি ত্রুটিটি স্বীকার করেছেন এবং এখন আপনি এটি থেকে মূল্য অর্জনের জন্য এটি ব্যবহারের চেষ্টা করছেন কারণ যতক্ষণ ত্রুটি থেকে উপকৃত না হবেন ততক্ষণ পর্যন্ত ভুলটি কেবল একটি ভুলই হবে এবং এটি আপনার জন্য ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণ হয়ে থাকবে।

আজ, আপনার ৩০ মিনিটের দুটি অনুশীলনের সময় কালে, আপনি যে নির্দিষ্ট ত্রুটিগুলি করেছেন তা দেখুন। এগুলির ব্যথা উপেক্ষা করার চেষ্টা করবেন না, তবে দেখুন আপনার বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনি কীভাবে এগুলি নিজের সুবিধার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এইভাবে ত্রুটিগুলি ব্যবহার করে আপনাকে আপনার জীবনের মান বাড়ানোর জন্য কী করা উচিত এবং কী সংশোধন বা সমন্বয় করা দরকার তা আপনাকে দেখাতে পারে। মনে রাখবেন যে কোনও ত্রুটির সমাধানের ফলে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যিকারের স্বীকৃতি এবং সত্য বিচক্ষণতার জন্ম  দেয়।

আপনার অনুশীলনের সময় কালে আপনি নিঃশব্দে একা বসে থাকার সময়  যে ত্রুটিগুলি মনে আসে তা পর্যালোচনা করুন এবং তারপরে দেখুন প্রত্যেকে কীভাবে আপনার বর্তমান উপকারে কাজে লাগানো যেতে পারে। তাদের কাছ থেকে কী শিখতে হবে? এমন কি করা উচিত যা আগে করা হয় নি? এমন কি করা উচিত নয়   যা আগে করা হয়েছিল? কীভাবে এই ত্রুটিগুলি অগ্রিম স্বীকৃতি পেতে পারে? তাদের পূর্ববর্তী লক্ষণগুলি কী ছিল এবং ভবিষ্যতে ত্রুটি হওয়ার আগে এই জাতীয় লক্ষণগুলি কীভাবে স্বীকৃতি পেতে পারে?

এই অন্তর্নিহিত প্রক্রিয়াটির জন্য অনুশীলনকালে এটি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করে এই সময় টি ব্যবহার করুন এবং যখন আপনি শেষ করবেন, ফলাফল কারও সাথে ভাগ করবেন না। এই তদন্তটিকে তার প্রাকৃতিক উপায়ে চালিয়ে যেতে দিন, নিঃসন্দেহে এটি প্রাকৃতিক ভাবে ঘটবে।

অনুশীলন ২৬: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময় কাল। 

ধাপ ২৭

আমার একটি বিজ্ঞতা আছে যা আমি আবিষ্কার করতে চাই।

এই নিশ্চয়তা আপনার সত্য ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে। আপনি যদি এটি অনুভব না করেন তবে এর অর্থ হ’ল আপনি মিথ্যা এবং আপনার অস্তিত্বের সত্য ভিত্তি ছাড়াই এমন কিছু বিনোদন করছেন। আপনি যদি কখনও অনুভব করেন যে সত্য আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, তাহলে আপনি এর মূল্য স্বীকার করতে পারেন নি। সম্ভবত এটি আপনার পরিকল্পনা এবং লক্ষ্যগুলিকে হতাশ করেছে। সম্ভবত আপনি এমন কিছু হারিয়েছেন যা আপনি সত্যিই চেয়েছিলেন। সম্ভবত এটি আপনাকে পছন্দসই কিছু পেতে বাধা দিয়েছে। তবে সকল ক্ষেত্রে এটি আপনাকে ব্যথা এবং দুর্দশা থেকে বাঁচিয়েছে। আপনার প্রকৃত ফাংশনটি স্বীকৃত না হওয়া পর্যন্ত সত্য কীভাবে আপনাকে পরিবেশন করছে তা আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন না, কারণ আপনার ফাংশনটি আবিষ্কার না হওয়া অবধি আপনি অন্য কার্যাবলিকে দাবি ও ন্যায়সঙ্গত করার চেষ্টা করবেন। যদি এই অন্যান্য ক্রিয়াকলাপগুলি সত্য দ্বারা নিরুৎসাহিত করা বা অস্বীকার করা হয়  তবে দুর্দান্ত বিভ্রান্তি ও সংঘাত হতে পারে। তবুও মনে রাখবেন যে সত্যটি আপনাকে সর্বদা একটি বৃহত্তর ত্রুটি থেকে বাঁচিয়েছে যা আপনি অন্যথায় করেছেন।

লোকেরা জ্ঞানকে অনুভব করতে পারে না কারণ তারা চিন্তাভাবনা এবং সিদ্ধান্ত নিয়ে ডুবে থাকে। এই চিন্তাভাবনা এবং রায়গুলি কোনও ব্যক্তির জন্য একটি স্ব-আবদ্ধ বিশ্ব তৈরি করে, একটি স্ব-আবদ্ধ বিশ্ব যেখানে তারা দেখতে পায় না। তারা কেবল তাদের চিন্তার বিষয় বস্তু দেখতে পারে এবং তাদের জীবনের অভিজ্ঞতা সম্পূর্ণ রঙিন করে  দেয়, তাই তারা জীবনকে মোটেও দেখতে পায় না।

অতএব, আপনার দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলনের সময় কালে দেখুন এবং সত্য কীভাবে আপনাকে পরিবেশন করেছে তা দেখুন। খুশির অভিজ্ঞতাগুলি দেখুন। অভিজ্ঞতাগুলি দেখুন যা বেদনাদায়ক ছিল। বিশেষত বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতায়, সত্য আপনাকে কীভাবে পরিবেশন করেছে তা দেখুন। খোলাখুলি দেখুন। কোনও প্রাক্তন অবস্থান রক্ষা করবেন না যদি আপনি তা করতে প্রলুব্ধ হন। যদি আগের সময়ের ক্ষতি থেকে এখনও ব্যথা উপস্থিত থাকে তবে সেই ব্যথা এবং তার নিরুৎসাহাকে মেনে নিন, তবে দেখার চেষ্টা করুন এবং দেখুন কীভাবে আপনি এই ক্ষতির দ্বারা সত্যিকার অর্থে পরিবেশন করেছেন।

আপনার অভিজ্ঞতা দ্বারা পরিবেশন করা এই দৃষ্টিকোণটি আপনাকে অবশ্যই চাষ করা উচিত। এই অভিজ্ঞতাটি নিজে নিজেই প্রমাণ করে না। এটা বুঝুন। এটি কেবল আপনাকে আপনার অগ্রগতি এবং আপনার ক্ষমতায়নের জন্য আপনার অভিজ্ঞতা ব্যবহার করার সুযোগ  দেয়। যারা সত্যকে প্রতিক্রিয়া জানায় সত্য তাদের জীবনে সহায়তা করার জন্য মায়াবিশ্বে কাজ করে। আপনি সত্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, তা না হলে আপনি এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতেন না। সুতরাং, আপনি এমন এক স্থানে পৌঁছেছেন যেখানে মনে হয়  সত্য অন্যান্য বিষয় গুলির সাথে প্রতিযোগিতা করে এবং তাই, এটি সনাক্ত করা খুব শক্ত। বিকাশের এই প্রোগ্রামে সত্যকে অন্য সমস্ত কিছু থেকে এমনভাবে আলাদা করা হবে যাতে আপনি এটি সরাসরি অনুভব করতে পারেন এবং এর উপস্থিতি বা আপনার জীবনে এর উপকারী অস্তিত্ব সম্পর্কে বিভ্রান্ত না হোন। কারণ সত্য এখানে আছে আপনার সেবা করার জন্য যেমন আপনি এখানে আছেন সত্যের সেবা করার জন্য।

অনুশীলন ২৭: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ২৮

পর্যালোচনা

আমরা আমাদের চতুর্থ পর্যালোচনার সময় টি একটি বিশেষ প্রার্থনার মাধ্যমে শুরু করব।

“আমি আমার জ্ঞানকে ঈশ্বরের কাছ থেকে উপহার হিসাবে গ্রহণ করি। আমি আমার শিক্ষককে আমার  বড় ভাই এবং বোন হিসাবে গ্রহণ করি। আমি আমার বিশ্বকে এমন এক স্থান হিসাবে গ্রহণ করি যেখানে জ্ঞান পুনরুদ্ধার এবং অবদান রাখতে পারে। আমি আমার অতীতকে জ্ঞানহীন জীবনের প্রদর্শন হিসাবে গ্রহণ করি। আমি আমার জীবনের অলৌকিক বিষয় গুলিকে জ্ঞানের উপস্থিতির প্রমাণ হিসাবে স্বীকার করি এবং আমি নিজেকে এখনই এটির চাষাবাদ করতে দিচ্ছি যা আমার মধ্যে সবচেয়ে  বড় মঙ্গল তা বিশ্বকে দেওয়ার জন্য।”

আবার আমরা অনুশীলনের শেষ সপ্তাহটি পর্যালোচনা করব, সমস্ত নির্দেশাবলী পুনরায় পাঠ করব এবং প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়ে আপনার অনুশীলনের সময়ে কী ঘটেছিল তা পর্যালোচনা করব। নিজেকে অনুগ্রহ করে জিজ্ঞাসা করুন আপনি কতটা গভীরভাবে অনুশীলনে জড়িত ছিলেন। আপনি কতটা অনুসন্ধান এবং তদন্ত করতে চেয়েছিলেন, আপনি নিজের অভিজ্ঞতার সাথে কতটা যত্ন সহকারে পরীক্ষা করেছেন এবং যে পরিমাণ বাধা থাকতে পারে তা অনুপ্রাণিত করতে আপনি কতটা অনুপ্রাণিত বোধ করেছেন।

আমাদের 45-মিনিটের পর্যালোচনার সময় টি আপনাকে এই প্রস্তুতির ক্ষেত্রে আপনার উন্নয়নের উপর দৃষ্টিভঙ্গি দিতে শুরু করবে। এটি কেবল নিজের জন্য নয়  , যাদের ভবিষ্যতে আপনি পরিবেশন করবেন তাদের পক্ষেও উপকারী, কারণ আপনি এখন যেভাবে গ্রহণ করছেন, আপনি যে প্রসঙ্গে এবং যে কোনও আকারে আপনার পক্ষে উপযুক্ত তা দিতে চাইবেন। লোকেরা কীভাবে শিখবে এবং কীভাবে মানুষ বিকাশ করবে তা আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে। এটি অবশ্যই আপনার নিজের অভিজ্ঞতা থেকে আসে এবং এটি অবশ্যই আপনার জ্ঞানের প্রাকৃতিক বিকাশ। আবার কোনও সন্দেহ বা বিভ্রান্তি আপনাকে সত্যিকারের প্রয়োগ  থেকে বিরত রাখতে দেবেন না।

অনুশীলন ২৮: ৪৫ মিনিটের একটি অনুশীলন সময় ।

ধাপ ২৯

জ্ঞান শেখার জন্য আজ আমি নিজেকে পর্যবেক্ষণ করব।

অনুশীলনের এই বিশেষ দিনে, আপনার চিন্তাভাবনা এবং আচরণ সম্পর্কে যথাসম্ভব সচেতনতা বজায় রেখে সারা দিন নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন। স্ব-পর্যবেক্ষণের এই গুণটি বিকাশের জন্য আপনাকে যথাসম্ভব রায় মুক্ত থাকতে হবে কারণ রায় আপনাকে পর্যবেক্ষণকারী হতে অক্ষম করে। আপনাকে অবশ্যই নিজেকে অধ্যয়ন করতে হবে যেন আপনি এমন কেউ ছিলেন যার সাথে আপনি আরও বেশি উদ্দেশ্যমূলক হতে পারেন।

আজ, আমরা প্রতি ঘন্টার শুরুতে অনুশীলন করব। প্রতি ঘন্টা শুরুতে আপনি আপনার চিন্তাভাবনাগুলি দেখবেন এবং আপনার বর্তমান আচরণটি পর্যবেক্ষণ করবেন। এই ধ্রুবক স্ব-পর্যবেক্ষণ আপনাকে আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতার সাথে আরও বেশি জড়িত করতে সক্ষম করবে এবং জ্ঞানকে আপনার উপর আরও বেশি করে তার ইতিবাচক প্রভাব প্রয়োগ  করতে দেবে। আপনার কী প্রয়োজন  এবং কীভাবে আপনাকে সহায়তা করতে হবে তা জ্ঞান জানেন তবে আপনাকে এটি গ্রহণ করতে শিখতে হবে।  সময়ের সাথে সাথে আপনাকে কীভাবে দিতে হবে তা শিখতে হবে যাতে আপনি আরও বেশি পেতে পারেন। এটি গ্রহণ করা গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে দিতে সক্ষম করবে, এবং এই পৃথিবীতে পরিপূর্ণতার মূল অংশ হল দান করা। তবে আপনি নি:স্ব অবস্থা থেকে দিতে পারবেন না। অতএব, অন্যদের সাথে এবং জীবনের সাথে আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনি নিজের মধ্যে যে অপ্রতিরোধ্য শক্তি তৈরি করেছেন তা থেকে আপনাকে অবশ্যই আন্তরিকতার সাথে দিতে হবে।

প্রতিটি অনুশীলনের সময় কালে কেবল কয়েক মিনিট সময়  লাগে তবে আপনার সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়া উচিত। এটি করার জন্য আপনার চোখ বন্ধ করার দরকার নেই, যদিও এটি যথাযথ হয়  তবে এটি সহায়ক হবে। আপনি অন্যের সাথে কথোপকথনের মাঝামাঝি অনুশীলন করতে পারেন। প্রকৃতপক্ষে, খুব কম পরিস্থিতি রয়েছে যা আত্মতন্ত্রের এই মুহূর্তটি রোধ করবে। অনুশীলনে আপনি কেবল নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন, “আমি কেমন অনুভব করছি?” এবং “আমি এখন কী করছি?” এই সব। তারপরে অনুভব করুন এমন কিছু আছে যা আপনার অবশ্যই করা উচিত যা আপনি করছেন না। যদি কোন সংশোধন করার দরকার না হয়, আপনি যা করছেন তা চালিয়ে যান। যদি সংশোধন করতে হয়  তবে এগুলি যথাসম্ভব তাত্পর্যপূর্ণ করে তুলুন। আপনার ভেতরের পথনির্দেশকে অনুমতি দিন আপনাকে প্রভাবিত করার , যদি আপনি প্রেরণা,  ভয়  বা উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা পরিচালিত না হন তবে এটি করবে। এই দিনটি নিজেকে পর্যবেক্ষণ করুন।

অনুশীলন ২৯: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৩০

আজ আমি আমার বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করব।

আগের দিনটির মতো অনুশীলন পরিকল্পনা অনুসরণ করে এই দিনটি আপনার বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করুন। বিচার ছাড়াই আপনার বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করুন এবং বিচার ছাড়াই আপনি বিশ্বে কী করছেন তা পর্যবেক্ষণ করুন। তারপরে অনুভব করুন কিছু করার দরকার আছে কিনা। আবারও আপনার প্রতি ঘন্টার অনুশীলনগুলি কয়েক মিনিট সময়  নেয় এবং আপনি অনুশীলন করার সাথে সাথে এগুলি আরও দ্রুত, আরও আগ্রহী এবং আরও কার্যকর হয়ে উঠবে।

আমরা আপনাকে বিনা বিচারে বিশ্ব দেখার জন্য কামনা করছি, কারণ এটি আপনাকে বিশ্ব যেমন দেখতে তেমন দেখতে সক্ষম করবে। ভাববেন না যে আপনি বিশ্বকে বাস্তবে যেমন দেখছেন ঠিক সত্যিই তেমন কারণ আপনি যা দেখেছেন তা বিশ্ব সম্পর্কে আপনার নিজস্ব বিচার। আপনি বিচার ছাড়া যে বিশ্ব দেখতে পাবেন তা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিশ্ব যা আপনি আগে কখনও দেখেন নি।

অনুশীলন ৩০: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৩১

আমি এমন একটি বিশ্ব দেখতে চাই যা আমি এর আগে কখনও দেখিনি।

এটি জ্ঞানের প্রতি আপনার আকাঙ্ক্ষাকে উপস্থাপন করে। এটি আপনার শান্তির জন্য আকাঙ্ক্ষার প্রতিনিধিত্ব করে। এ সব একই আকাঙ্ক্ষা। এই ইচ্ছাটি আপনার জ্ঞান থেকে উদ্ভূত হয় । এটি অন্য ইচ্ছাগুলির সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। এটি অন্যান্য জিনিসগুলির হুমকি দিতে পারে, যদিও এটি অগত্যা করার দরকার নেই। অতএব, আজকের স্বীকৃতিটি আপনার জীবনে সত্যিকারের ইচ্ছা প্রতিফলিত করে। এটি নিশ্চিত হওয়ার সাথে সাথে এটি আপনার কাছে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে এবং আপনি এটি সময়ের সাথে এবং আরও বেশি করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

আজ প্রতি ঘন্টায়, একটি পৃথক বিশ্ব দেখার জন্যে আপনার আকাঙ্ক্ষা অনুভব করুন। বিচার ছাড়াই পৃথিবীর দিকে তাকান এবং নিজেকে বলুন, “আমি আলাদা একটি পৃথিবী দেখতে চাই” প্রতি ঘন্টায় এটি করুন। কোনও অনুশীলন সেশন মিস না করার চেষ্টা করুন। আপনি যেভাবে অনুভব করেন তা নিয়েই অনুশীলন করুন, যা ঘটছে তা বিবেচনা করুন। আপনি আপনার সংবেদনশীল অবস্থাগুলির চেয়েও  বড় এবং তাই আপনাকে এগুলি অস্বীকার করার দরকার নেই, যদিও তাদের সময় মতো নিয়ন্ত্রণ করা দরকার। আপনি আপনার চারপাশের যে চিত্রগুলি দেখেন তার চেয়ে  বড় আপনি কারণ তারা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিশ্বজুড়ে আপনার বিচারকে উপস্থাপন করে। আজ অনুশীলন করুন, বিচার ছাড়াই দেখার চেষ্টা করুন এবং আপনি যখন দেখবেন তখন অনুভব করুন।

অনুশীলন ৩১: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৩২

সত্যটি আমার সাথে আছে, আমি এটি অনুভব করতে পারি।

সত্য আপনার সাথে আছে। আপনি এটি অনুভব করতে পারেন এবং আপনি যদি এটির অনুমতি দেন তবে তা আপনার মনের মধ্যে এবং আপনার আবেগের মধ্যে জ্বলে উঠতে পারে। সত্যের আকাঙ্ক্ষা এবং সত্য অভিজ্ঞতা লাভের সক্ষমতা বিকাশে আজ আপনার প্রস্তুতি চালিয়ে যান।

আপনার দুটি দীর্ঘ অনুশীলনের সময় কালে, ৩০ মিনিটের প্রতিটি সময় কালে চোখ বন্ধ করে শান্তভাবে বসে থাকুন, গভীরভাবে এবং নিয়মিত শ্বাস নিন, আপনার মনের অবিরাম অস্থিরতার বাইরে সত্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। আপনাকে আরও গভীর করে তুলতে আপনার শ্বাস ব্যবহার করুন, কারণ আপনি যদি নিজেকে আন্তরিকতার সাথে মান্য করেন তবে আপনার শ্বাস আপনাকে সর্বদা আপনার চিন্তার বাইরে নিয়ে যাবে। কোনও কিছুই আপনাকে বিভ্রান্ত বা অসন্তুষ্ট করতে পারবে না। যদি কোনও কিছু আপনার মস্তিষ্কে প্রবেশ করে এবং আপনার এটি প্রকাশ করতে অসুবিধা হয় , তবে নিজেকে বলুন যে আপনি এটি পরে দেখবেন তবে এই মুহূর্তে আপনি আপনার মন থেকে একটি ছোট অবকাশ গ্রহণ করছেন। সত্য অনুভব করার অনুশীলন করুন। সত্য ভাববেন না। সত্য অনুভব করার অনুশীলন করুন।

অনুশীলন ৩২: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ৩৩

আমার জীবনে একটি মিশন রয়েছে তা পূরণ করার জন্য।

আপনার জীবনে একটি মিশন পূরণ করার আছে, একটি মিশন যা এখানে আসার আগে আপনাকে দেওয়া হয়েছিল, এমন একটি মিশন যা আপনি এই পৃথিবী ছাড়ার পরে আপনি তা পর্যালোচনা করতে সক্ষম হবেন। এটি এই পৃথিবীতে কিছু নির্দিষ্ট কাজ সম্পাদনের জন্য জ্ঞানের পুনরুদ্ধার এবং আপনার চারপাশের মানুষের সাথে সঠিক সম্পর্ককে বোঝায়। এই মুহুর্তে এটি এতটা গুরুত্বপূর্ণ নয়   যে আপনি আপনার বর্তমান জীবনকে মূল্যায়ন করেছেন তা দেখার জন্য যে এটি আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্যে প্রতিফলিত করে কিনা, কারণ আপনি এখন জ্ঞান পুনরুদ্ধারের সাথে জড়িত। আপনার জ্ঞান আরও শক্তিশালী হওয়ার সাথে সাথে এর উপকারটি আপনার উপর এবং আপনার মাধ্যমে আলোকিত করবে। আপনার ক্রিয়াকলাপগুলি তখন প্রয়োজন  মত সামঞ্জস্য করা হবে। অতএব, আপনার অতীত বা আপনার বর্তমান ক্রিয়াকলাপকে দোষারোপ করা বা ত্যাগ করার দরকার নেই, কারণ আপনি এখন আপনার মধ্যে একটি বৃহত্তর শক্তিকে মেনে চলছেন।

আজ আপনার দুটি দীর্ঘ অধ্যয়নের সময়  আপনার জীবনের সর্বোচ্চ মিশন সম্পর্কে ধারণাটি বিবেচনা করুন। এটি সম্পর্কে চিন্তা করুন। আপনার নিজের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া দ্বারা তাত্ক্ষণিকভাবে বিশ্বাসী হয়ে উঠবেন না। এটি সম্পর্কে সাবধানে চিন্তা করুন। এর অর্থ কী হতে পারে তা ভেবে দেখুন। আপনার জীবনের সেই মুহুর্তগুলি ভাবুন যখন আপনি এটির সম্পর্কে আগে ভেবেছিলেন বা এই জাতীয় মিশনের সম্ভাবনা স্বীকার করেছিলেন। আপনার দুটি অনুশীলনের সময় কালে, আপনার এটি সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করার সুযোগ থাকবে তবে সাবধানে থাকুন – এখনই কোনও সিদ্ধান্তে যাবেন না।

অনুশীলন ৩৩: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ৩৪

আমি জ্ঞানের প্রথম শিক্ষার্থী।

আপনি জ্ঞানের প্রথম শিক্ষার্থী। নির্বিশেষে আপনি নিজেকে কতটা স্বজ্ঞাত বিবেচনা করেন, নির্বিশেষে আপনি নিজেকে কতটা মানসিকভাবে সক্ষম বিবেচনা করেন, নির্বিশেষে আপনি নিজেকে কতটা আবেগগতভাবে সৎ মনে করেন, আপনার স্বীকৃত অগ্রগতি যাই হোক না কেন, আপনি এখনও জ্ঞানের মাত্র একটি প্রাথমিক ছাত্র। খুশি হন যে এটি এমনই, কারণ প্রথমদিকে শিক্ষার্থীরা সবকিছু শিখতে সক্ষম হয়  এবং তাদের নিজস্ব সাফল্যগুলি রক্ষা করার প্রয়োজন  হয়  না। আমরা আপনার কৃতিত্বগুলিকে অবহেলা করি না, তবে কেবলমাত্র আপনার মধ্যে যে মহিমা রয়েছে তা নিয়ে আলোকপাত করার ইচ্ছা করি, যা এর প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে, এমন এক মহিমা যা আপনাকে জীবনে সত্যিকারের সাম্যতা এনে দেবে এবং সময়ের সাথে সাথে এখানে বিশ্বে আপনি নির্দিষ্টভাবে কী করতে এসেছেন তা প্রকাশ করবে।

আপনার দুটি অনুশীলনের সময় সীমার মধ্যে নিজেকে স্বীকারোক্তি দিয়ে শুরু করুন যে আপনি জ্ঞানের একটি প্রথম দিকের শিক্ষার্থী এবং নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন এই পাঠ্যক্রম সম্পর্কে বা ছাত্র হিসাবে আপনার সক্ষমতা সম্পর্কে কোনও অকালপক্ক সিদ্ধান্তে না যাওয়ার। এ জাতীয় রায়গুলো অকালপক্ক হয় এবং সকল অবস্থাতে খুব কমই সত্যকে প্রতিফলিত করে। এগুলি সাধারণত আত্ম হতাশার একটি রূপ এবং এগুলি মোটেই কোনও উপযুক্ত উদ্দেশ্য পরিবেশন করে না।

আজকের ধারণাটি নিজের কাছে ঘোষণা করার পরে এবং নিজেকে বিচারক না করার কথা মনে করিয়ে দেওয়ার পরে, আপনার দুটি অনুশীলনের সময় কালে ১৫ মিনিটের অভ্যন্তরীণ নীরবতা অনুশীলন করুন। নিজের মধ্যে সত্য অনুভব করার চেষ্টা করুন। আপনার মনকে একটি বিন্দুতে কেন্দ্রীভূত করুন, হয়  কোনও শারীরিক বিন্দু বা প্রয়োজনে কোনও কাল্পনিক বিন্দু। আপনার ভিতরে সবকিছু শান্ত হতে দিন। নিজেকে যথাসম্ভব শান্ত হওয়ার অনুমতি দিন এবং অসুবিধা দেখা দিলে হাল ছাড়বেন না। আপনি জ্ঞানের একটি শুরুর ছাত্র এবং এভাবে সমস্ত কিছু শিখতে পারেন।

অনুশীলন ৩৪: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময় কাল।

ধাপ ৩৫

পর্যালোচনা

এই পর্যালোচনা আপনাকে কিছুটা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জ্ঞানের পথ শেখার সুযোগ দেবে। দুটি 30-মিনিটের অনুশীলন সময়কালে, আপনার আগের সপ্তাহের নির্দেশাবলী এবং অনুশীলনের অভিজ্ঞতাগুলি পর্যালোচনা করুন। যতটা সামান্য সম্ভব রায় দিয়ে এটি করুন। নিখুঁতভাবে দেখুন এবং দেখুন কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল, আপনি কী করেছিলেন এবং ফলাফল কী হয়েছিল। এই উদ্দেশ্য পর্যালোচনা আপনাকে সর্বনিম্ন ব্যথা এবং স্ব-নির্যাতনের সাথে অন্তর্দৃষ্টি এবং বোঝার সর্বাধিক প্রবেশাধিকার দেবে। আপনার আবেগের বিষয়বস্তু দমন না করে আপনি এখন আপনার জীবন সম্পর্কে বাস্তব হতে শিখছেন। নিজের একটি দৃষ্টিভঙ্গি ধ্বংস করার চেষ্টা করার পরিবর্তে আপনি কেবল অন্যটি চাষাবাদ করার চেষ্টা করছেন।

অতএব, আপনার পর্যালোচনায়, এই বাক্যাংশটি গাইডলাইন হিসাবে ব্যবহার করুন: “আমি দেখব, তবে আমি বিচার করব না।” এইভাবে, আপনি জিনিসগুলি চিনতে সক্ষম হবেন। আপনার নিজের থেকে অন্যের জীবন সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি দেওয়া আপনার পক্ষে কতটা সহজ হতে পারে তা মনে রাখবেন। অন্যের সাথে আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্যমূলকতা সম্ভব কারণ আপনি কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যে তাদের জীবনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করছেন না, এবং আপনি আপনার জীবনকে যত বেশি ব্যবহারের চেষ্টা করবেন ততই আপনি তাদের এবং তাদের প্রকৃতি, তাদের উন্নয়ন বা তাদের গন্তব্য বুঝতে কম সক্ষম হবেন। অতএব, আপনি আপনার জীবনকে যত কম ব্যবহার করার চেষ্টা করবেন, তত বেশি আপনি এটি বুঝতে সক্ষম হবেন, এর প্রশংসা করতে পারবেন এবং আপনার বৃহত্তর অগ্রগতির জন্য এর অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়াটি সহ কাজ করতে পারবেন।

অনুশীলন ৩৫: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল

ধাপ ৩৬

আমার জীবনের রহস্য অন্বেষণ করা।

সত্যিই আপনার জীবনটি একটি রহস্য এবং হ্যাঁ, সত্যই এটির প্রয়োজন যদি আপনি এর উদ্দেশ্য, এর অর্থ এবং এর সঠিক দিক বুঝতে আগ্রহী হন তবে আপনি এটি অন্বেষণ করতে পারেন। এটি আপনার সুখ এবং সংসারে পরিপূর্ণতার জন্য অপরিহার্য, কারণ আপনি যদি নিজের জীবনকে মনোযোগ দিয়ে দেখেন, তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি সামান্য কিছুতেই সন্তুষ্ট নন। আপনারা যারা জ্ঞান অন্বেষণ করেন তাদের জন্য অবশ্যই আরও বড় কিছু দেওয়া উচিত। আপনাকে অবশ্যই নিছক জিনিসগুলির তলদেশে প্রবেশ করতে হবে যা বেশিরভাগ লোককে পর্যাপ্ত পরিমাণে উদ্দীপিত করে। আপনাকে অবশ্যই আপনার গভীর তৃষ্ণা মেনে নিতে হবে তা না হলে আপনি নিজের সাথে অপ্রয়োজনীয় শোক এবং দ্বন্দ্ব ঘটাবেন। অন্যান্য লোকেরা কী গুরুত্ব দেয় তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কি মূল্যায়ন করেন। আপনি যদি বৃহত্তর অর্থের সন্ধান করে থাকেন, যা সত্য অর্থ, তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার মন পৃষ্ঠে প্রবেশ করতে হবে।

আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময়কালে, আপনার আধ্যাত্মিক শিক্ষকদের উপস্থিতি অনুভব করার পরে আবার ধ্যানের দিকে মনোনিবেশ করুন। এটি আপনাকে করার চেষ্টা করতে হবে এমন কিছু নয়। এর সহজ অর্থ হ’ল শিথিল করা, শ্বাস ফেলা এবং আপনার মনকে খুলতে দেওয়া। আপনার শক্তি ও উত্সাহ দেওয়ার জন্য আপনার শিক্ষকদের সাথে আপনার সম্পর্কের গুণগত মান অপরিহার্য, কারণ আপনি কেবল নিজের দক্ষতায় সন্দেহ করতে পারেন, তবে আপনার শিক্ষকদের দক্ষতার উপর পুরোপুরি বিশ্বাস করার কারণ আপনার রয়েছে, যারা জ্ঞানের পথে যাওয়ার আগে এই পথ অতিক্রম করেছিলেন। তারা পথটি জানেন, যা তারা এখন আপনার সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য চাইছে।

অনুশীলন ৩৬: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৩৭

জ্ঞানের একটি পথ আছে।

কিভাবে জ্ঞানের একটি পথ থাকতে পারেনা যখন এটা আপনার সত্য স্ব? যখন এটিই প্রকাশের সবচেয়ে প্রাকৃতিক রূপ তখন জ্ঞানের পক্ষে নিজেকে প্রকাশ করার উপায় কীভাবে নেই? যখন জ্ঞান আপনার সমস্ত সম্পর্কের নিখুঁত উত্স হয় তখন সম্পর্কগুলিতে আপনাকে গাইড করার উপায় জ্ঞানের কীভাবে হতে পারে না? জ্ঞানের একটি পথ আছে। এর জন্য দক্ষতা এবং বাসনা প্রয়োজন। উভয়ের বিকাশে সময় লাগবে। আপনাকে অবশ্যই সত্যকে মূল্য দিতে শেখা উচিত এবং মিথ্যাটিকে মূল্য দেওয়া উচিত নয় এবং এগুলি একে অপরের থেকে পৃথক এবং আলাদা করতে শিখতে সময় লাগে। এটি বুঝতে সময় লাগে যে মিথ্যা আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না, এবং সত্যই পারে।। এটি অবশ্যই পরীক্ষার মাধ্যমে এবং ত্রুটির মাধ্যমে এবং পার্থক্যের মাধ্যমে শিখতে হবে। জ্ঞানের কাছে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার জীবন হবে আরও পরিপূর্ণ, আরও সুনির্দিষ্ট এবং আরও সরাসরি। আপনি যখন জ্ঞান থেকে দূরে সরে যান তখন আপনি রাগ, বিভ্রান্তি এবং হতাশার কাছাকাছি চলে আসেন।

আপনার আজকের দুটি অনুশীলনের সময়কালে, যা ধ্যানের অনুশীলন হবে না, জ্ঞানের অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য সমস্ত উপায় নিয়ে চিন্তা করে কমপক্ষে ১৫ মিনিট ব্যয় করুন। জ্ঞানের কাছে যাওয়ার জন্য সবকিছু কাগজের টুকরোতে লিখে রাখুন। উভয় অনুশীলন সময় ব্যয় করুন এবং আপনি ভাবতে পারেন এমন সমস্ত সম্ভাবনা গুলো নিঃশেষ করুন। খুব নির্দিষ্ট হতে চেষ্টা করুন। আপনার কল্পনা ব্যবহার করুন, তবে আপনার পক্ষে বেশ আসল এবং অর্থবহ বলে মনে হচ্ছে এমন রুটগুলি চার্ট করুন। এইভাবে, আপনি জানবেন যে জ্ঞানের পথ কীভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে আপনি কী চিন্তা করেন এবং এ থেকে আপনি বুঝতে পারবেন যে ঈশ্বর জ্ঞানের পথ জানেন।

অনুশীলন ৩৭: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৩৮

ঈশ্বর জ্ঞানের পথ জানেন।

আপনি হারিয়ে গেলে কীভাবে আপনার উপায়টি খুঁজে পাবেন? আপনি যখন অস্থায়ীটিকে এত বেশি মূল্য দেন তখন আপনি কীভাবে নিশ্চিততা জানতে পারবেন? লোকসান ও ধ্বংসের হুমকিতে আপনি এতটা আতঙ্কিত হয়ে কীভাবে আপনি নিজের জীবনের শক্তি জানতে পারবেন? জীবন আপনার প্রতি সদয়, কারণ এটি কেবল পুরষ্কারই দেয় না তবে পুরষ্কারের পথও দেয়। যদি এটি আপনার উপায় হয়ে থাকে তবে জীবন নিষ্ঠুর হতে পারে, যেহেতু আপনি যে সমস্ত সম্ভাব্য বিকল্পগুলি নিয়ে আসতে পারেন এবং তারপরে অন্যরা যে বিকল্পগুলি নিয়ে আসতে পারে সেগুলি এবং অন্যদের পক্ষে সফল হবে এমন জ্ঞান অর্জনের জন্য অপশনগুলিও চেষ্টা করতে হবে, তবে এটি আপনার ক্ষেত্রে কার্যকর নাও হতে পারে। পৃথিবীতে আপনার অল্পকালীন থাকার সময়, আপনি কীভাবে এই সমস্ত অর্জন করতে এবং অত্যাবশ্যক শক্তি সঞ্চয় করতে পারেন? যখন অনেকগুলি পথ আপনাকে হতাশ করে তখন আপনি কীভাবে জ্ঞানের সন্ধান চালিয়ে যেতে সক্ষম হবেন?

ঈশ্বর জ্ঞানের পথ জানেন তা সজ্ঞানে আজ বিশ্বাস করুন, এবং আপনাকে যে পথটি প্রদান করা হয়েছে কেবল তা অনুসরণ করা উচিত। এইভাবে, জ্ঞানটি কেবল আপনার মধ্যে উদ্ভূত হয় কারণ এটি স্বীকৃত, কারণ শুধুমাত্র ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান জানেন এবং শুধুমাত্র আপনার মধ্যে জ্ঞানই ঈশ্বরকে জানেন। দু’জনে এক সাথে অনুরণন করার সাথে সাথে তারা দু’জনেই আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠবে। এতে আপনি শান্তি পাবেন।

আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময়কালে, ৩০ মিনিটের প্রতিটি সময়কালে, নিঃশব্দে, নিস্তব্ধতায় ঈশ্বরের উপস্থিতি অনুভব করার অনুশীলন করুন। ঈশ্বরের সম্পর্কে চিন্তা না করে, অনুমান না করে, না ভেবে, সন্দেহ না করে, তবে সহজ অনুভূতি করুন। এটি কোন কল্পনা নয় যাতে আপনি এখন মনোনিবেশ করছেন, যদিও আপনি কল্পনার প্রতি মনোনিবেশ করতে অভ্যস্ত। নিরবতা এবং নিরিবিলিতে, সমস্ত কিছু স্পষ্ট হয়। ঈশ্বর খুব স্থির আছেন, কারণ ঈশ্বর কোথাও যাচ্ছেন না। আপনি যত স্থির হয়ে উঠবেন, আপনি ঈশ্বরের শক্তি অনুভব করবেন।

অনুশীলন ৩৮: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৩৯

আল্লাহর শক্তি আমার সাথে আছে।

আল্লাহর শক্তি আপনার সাথে রয়েছে। এটি আপনার জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে। সুতরাং, আপনার জ্ঞান পুনরায় দাবি করতে শিখুন এবং আল্লাহ যে শক্তি দিয়েছেন তা আপনি পুনরায় দাবি করতে শিখবেন এবং আপনি নিজের ক্ষমতাও পুনরায় দাবি করতে পারবেন, কারণ আল্লাহর ক্ষমতার কাছে যাওয়ার জন্য আপনার শক্তিটির প্রয়োজন হবে। সুতরাং, যা কিছু সত্যই শক্তিশালী এবং যা সত্যই ভাল তা আপনার এবং আল্লাহর মধ্যেই নিশ্চিত হয়ে যায়। এই দিনটিকে তাই আপনার জীবনে এই উপস্থিতি এবং এই শক্তিটি অনুভব করার জন্য দেওয়া একটি দিন হোক। আল্লাহকে কল্পনাতে কল্পনা করার দরকার নেই। আপনার বোঝার বা বিশ্বাসকে শক্তিশালী করার জন্য আপনার কাছে ছবি বা চিত্রের দরকার নেই। আপনার এখানে দেওয়া অনুশীলনগুলি কেবলমাত্র কাজে লাগাতে হবে।

আপনার প্রতিটি ৩০ মিনিটের গভীর ধ্যানের অনুশীলনগুলিতে, আবার স্থির হয়ে যান এবং নিজেকে আল্লাহর শক্তি অনুভব করার অনুমতি দিন। আপনার মনকে নির্দেশিত করার জন্য নিজের শক্তিকে কাজে লাগান এবং সন্দেহ বা ভয় আপনাকে হতাশ করবেন না। আল্লাহর শক্তি আপনার জীবনের রহস্যকে উপস্থাপন করে, কারণ এটি বৃহত্তর পরিকল্পনা অনুসারে যে শক্তিটি আপনি আল্লাহর কাছ থেকে বিশ্বকে যথাযথভাবে ব্যবহার করার জন্য নিয়ে এসেছেন তার প্রতিনিধিত্ব করে। তাই নিজেকে উত্সর্গের সাথে, সরলতার সাথে এবং নম্রতার সাথে অনুপ্রবেশ করার অনুমতি দিন যাতে আপনি আল্লাহর শক্তি অনুভব করতে পারেন।

অনুশীলন ৩৯: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪০

আজ আমি ঈশ্বরের শক্তি অনুভব করব।

ঈশ্বরের শক্তি এত নিখুঁত এবং সর্বজনীন যে এটি একেবারে সমস্ত কিছুকে প্রভাবিত করে। যারা পৃথক হয়ে গেছে এবং নিজের চিন্তায় হারিয়ে গেছে কেবল তাদের মন ঈশ্বরের মহান নেয়ামত থেকে পৃথক করা যেতে পারে। যারা ঈশ্বরের প্রতি প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে তারা সময়মতো ঈশ্বরের বার্তাবাহক হয়ে যায় যাতে তারা বিভ্রান্তিতে পিছনে থেকে যায় এমন ব্যক্তিদের জন্য অনুগ্রহের উপহার প্রদান করতে পারে।

পৃথিবীর সমস্ত দৃশ্যমান শক্তি – প্রকৃতির শক্তি, মৃত্যুর অনিবার্যতা, রোগের ধ্রুবক হুমকি, ক্ষতি এবং ধ্বংস, সমস্ত ধরণের সংঘাত – এগুলি ঈশ্বরের মহান নীরবতার মধ্যে কেবল অস্থায়ী আন্দোলন। এই মহান নীরবতা যা আপনাকে ঈশ্বরের শান্তি এবং পূর্ণ উপভোগে ফিরে আসতে আহ্বান জানিয়েছে, তবে আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।

আজ আপনি নিজেকে ৩০ মিনিটের দুটি অনুশীলনের সময়কালে প্রস্তুত করুন। নিঃশব্দ ধ্যানে, ঈশ্বরের শক্তি অনুভব করার চেষ্টা করুন। আপনার যাদুকরী চিত্রগুলি জঞ্জাল করার দরকার নেই, কারণ এই শক্তিটি এমন কিছু যা আপনি অনুভব করতে পারেন, কারণ এটি সর্বত্র। আপনার পরিস্থিতি বা অবস্থা যাই হোক না কেন, আপনার উন্নয়নের পক্ষে অনুকূল হোক বা না হোক, আজ আপনি ঈশ্বরের শক্তি অনুভব করতে পারেন।

অনুশীলন ৪০: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪১

আমি ঈশ্বরের শক্তি ভয় করি না।

এই আবশ্যকতা আপনার সুখের জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ আপনাকে অবশ্যই ভালবাসার শক্তি এবং ঈশ্বরের শক্তির উপর বিশ্বাস রাখতে শিখতে হবে। এর জন্য আপনাকে অবশ্যই আপনার পূর্বের ধারণা, অনুমান এবং অতীতের বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতার মূল্যায়ন ত্যাগ করতে হবে। আপনি যাকে সবচেয়ে বেশি ভালোবাসেন তার থেকে আলাদা হওয়া খুব বেদনাদায়ক। এবং বিচ্ছিন্নতা বজায় রাখার একমাত্র উপায় হ’ল আপনি যা ভালোবাসেন তাকে নষ্ট করা, এটি কে অশুভ উদ্দেশ্য দেওয়া এবং তারপরে নিজের মধ্যে অপরাধবোধ জাগ্রত করা।ঈশ্বরের শক্তি অনুভব এবং গ্রহণ করলে, মন্দ ও অপরাধবোধ অবশ্যই আপনাকে ছেড়ে চলে যাবে। যা সবচেয়ে প্রাকৃতিক তা অন্বেষণ করতে আপনাকে অবশ্যই এগিয়ে যেতে হবে। এটি একসাথে নতুন স্থল ভেঙে এবং বাড়িতে আসার মতো।

নীরবতার মধ্যে, আজ ঈশ্বরের শক্তি অনুভব করে দু’বার অনুশীলন করুন। ঈশ্বরের কাছ থেকে উত্তর সন্ধান করবেন না। আপনার মোটেও কথা বলার দরকার নেই তবে কেবল উপস্থিত থাকার দরকার যেহেতু আপনি তার সাথে সম্পর্ক স্থাপন করতে শিখছেন যা আপনার সমস্ত সম্পর্কের উত্স, আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি আপনাকে গাইড করতে, সান্ত্বনা দিতে এবং প্রয়োজনে আপনাকে সংশোধন করার জন্য আপনার কাছে সহজেই আসতে পারে। তবে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের শক্তি অনুভব করতে হবে এবং এর মধ্যে আপনি নিজের শক্তি খুঁজে পাবেন।

অনুশীলন ৪১: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪২

পর্যালোচনা

আজ আপনার পর্যালোচনাতে, গত সপ্তাহে দেওয়া সমস্ত নির্দেশাবলী এবং অনুশীলনের অভিজ্ঞতাগুলির পর্যালোচনা করুন। আপনি কত গভীরভাবে এবং কত সাবধানতার সাথে অনুশীলন করছেন তা দেখতে আজ বিশেষ যত্ন নিন। আপনার স্বাদ বা প্রত্যাশা পূরণের জন্য আপনি পাঠগুলি পরিবর্তন বা সমন্বয় করছেন না তা নিশ্চিত করুন। মনে রাখবেন যে পাঠ্যক্রমের সত্যিকারের পুরষ্কার পাওয়ার জন্য আপনাকে কেবল অনুসরণ করতে হবে। আপনার অংশ ছোট। আমাদের অংশ দুর্দান্ত। আমরা উপায় প্রদান করি। আপনার কেবল বিশ্বাস এবং সত্য প্রত্যাশায় তাদের অনুসরণ করা দরকার। এটি করার ফলে আপনি ধৈর্য, বিচক্ষণতা, বিশ্বাস, ধারাবাহিকতা এবং স্ব-মূল্যবান বিকাশ ঘটাবেন। স্ব-মূল্য কেন? কারণ নিজেকে জ্ঞানের দুর্দান্ত উপহারগুলির কাছে যাওয়ার অনুমতি দেওয়ার জন্য আপনাকে নিজের মূল্য দিতে হবে। আপনার জন্য উত্সাহিত উপহারগুলি গ্রহণের চেয়ে আর কোনও কিছুই আত্ম-বিদ্বেষ এবং আত্ম-সন্দেহকে আরও তাত্পর্যপূর্ণ এবং সম্পূর্ণভাবে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনবে না।

তারপরে, আজকে আপনার এক দীর্ঘ অনুশীলনে, গত সপ্তাহের অনুশীলনের পর্যালোচনা করুন। বিচার না করে দেখুন এবং কী দেওয়া হয়েছে তা দেখুন, আপনি কী করেছেন এবং আপনার অনুশীলনকে আরও গভীর করার জন্য সম্ভবত কী করা যেতে পারে যাতে আপনি আরও সহজেই এর সুবিধা পেতে পারেন। আপনার যদি সমস্যা হয় তবে সমস্যাগুলি সনাক্ত করুন এবং সেগুলি সংশোধন করার চেষ্টা করুন। সামনে আরও বেশি জড়িত থাকতে সপ্তাহটিকে দিন। এটি করার মাধ্যমে আপনি কেবল নিজের ইচ্ছাকে পরিচালিত করে আত্ম-সন্দেহ এবং বিভ্রান্তি সংশোধন করবেন।

অনুশীলন ৪২: এক দীর্ঘ অনুশীলন সময়।

ধাপ ৪৩

আমার ইচ্ছা ঈশ্বরকে জানার।

আপনার ইচ্ছা ঈশ্বরকে জানার। এটাই আপনার আসল ইচ্ছা। অন্য কোনও ইচ্ছা বা অনুপ্রেরণা হ’ল এটি থেকে বাঁচা, যা আপনার ইচ্ছাকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটি আপনার ইচ্ছা যা আপনার কাছে ভীত হয়ে উঠেছে। আপনি যা জানেন তার থেকে আপনি ভয় পান এবং সবচেয়ে গভীরভাবে অনুভব করেন। এটি আপনাকে অন্য যেগুলিতে প্রতিনিধিত্ব করে না তাতে আশ্রয় পেতে পরিচালিত করে এবং এর মধ্যে আপনি নিজের পরিচয় হারিয়ে ফেলেন এবং একটি পরিচয় গড়ে তোলার চেষ্টা করেছেন যা আপনি পালানোর জন্য অনুসন্ধান করেছেন এমন বিষয়গুলির সাথে সম্পর্কিত। বিচ্ছিন্নতায় আপনি কৃপণ, তবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সুখ ফিরে পাওয়া যায়।

আপনার ইচ্ছা ঈশ্বরকে জানার। নিজের ইচ্ছায় ভয় পাবেন না। আপনি ঈশ্বরের দ্বারা নির্মিত। ঈশ্বরের ইচ্ছা আপনাকে জানার। আপনার ইচ্ছা ঈশ্বরকে জানার। অন্য কোন ইচ্ছাশক্তি নেই। এগুলি ব্যতীত অন্যান্য সমস্ত প্রেরণাগুলি কেবল বিভ্রান্তি এবং ভয় নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। ঈশ্বরকে জানার জন্য ঈশ্বর শক্তি দেয় এবং আপনাকে শক্তিও দেয়।

আজ আপনার দু’টি অনুশীলনের মধ্যে নীরব ধ্যানে, নিজের ইচ্ছার শক্তি অনুভব করার অনুশীলন করুন। ভয় এবং সন্দেহকে আপনার মনে মেঘ হতে দেবেন না। আপনার ঈশ্বরের ইচ্ছা অনুভব করার চেষ্টা করার দরকার নেই। এটা কেবল সেখানে রয়েছে। এটির জন্য কেবল আপনার মনোযোগের প্রয়োজন। অতএব, কেবল এই অভিজ্ঞতার সামনে উপস্থিত হয়ে গভীরভাবে অনুশীলন করুন।

অনুশীলন ৪৩: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪৪

আমি আমার নিজের শক্তি জানতে ইচ্ছুক।

আপনার বর্তমান পরিস্থিতিতে আপনার তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনের কারণে আপনি এই নিশ্চিতকরণটি খুব স্বল্প পরিমাণে খুঁজে পেতে পারেন, তবে নিশ্চিতকরণটি আপনি প্রথমবারের উপলব্ধি করার চেয়ে আরও গভীর। আপনি যে দাবি করেছেন তার চেয়ে আপনার অনেক বেশি শক্তি রয়েছে, তবে যতক্ষণ না এর প্রয়োগ এমনভাবে পরিচালিত হয় যা সত্যিকার অর্থে আপনাকে পুনরায় জেনারেট করে এবং আপনার সত্য ক্ষমতাগুলি সামনে না আসে ততক্ষণ এটি পুরোপুরি উপলব্ধি করা যায় না।

আপনি কীভাবে আপনার শক্তিকে উপলব্ধি করতে পারেন যখন আপনি নিজের দুর্বলতা ও অসহায় বোধ করেন, যখন আপনি নিজেকে অযোগ্য বোধ করেন, যদি আপনি নিজেকে অপরাধবোধ বা বিভ্রান্তিতে চাপিয়ে দেন বা ক্রোধে নিজের আপাত ব্যর্থতার জন্য অন্যকে দোষ দেন? আপনার শক্তি দাবি করার অর্থ যা আপনাকে পিছনে ফেলেছে তাকে মুক্তি দেওয়া। তাদের অস্তিত্ব নেই দাবি করে আপনি তাদের ছেড়ে দেবেন না। আপনি এগুলি ছেড়ে দিন কারণ আপনি আরও বড় কিছুকে মূল্য দেন। তাদের বাধা নিছক এই চিহ্ন যে আপনাকে অবশ্যই তাদের মধ্য দিয়ে যেতে হবে। আপনার নিজের শক্তি তখন চাষাবাদ হয়। আপনি আপনার শক্তি সন্ধান করেন এবং আপনার শক্তি সন্ধান করতে আপনি এটি ব্যবহার করেন। আমরা আপনার শক্তি জানতে এবং এটি আপনার নিজের পক্ষ থেকে কাজে লাগাতে চাই।

আজ আপনার দু’টি ধ্যান পদ্ধতিতে, নীরবে এবং নিঃশব্দে, নিজের শক্তি অনুভব করার চেষ্টা করুন। চিন্তা-ভাবনাগুলিকে একা একা বিরক্ত করবেন না, কারণ ভয় এবং সন্দেহ কেবলই কল্পনা — বাষ্পীয় জিনিস যা মেঘের মতো আপনার মনকে অতিক্রম করে। আপনার মনের মেঘের বাইরে জ্ঞানের মহাবিশ্ব। অতএব, মেঘগুলি তারার বাইরে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে বাধা দেবেন না।অতএব,  নক্ষত্রের ওপারে আপনার দৃষ্টিভঙ্গিকে মেঘগুলিকে বাধা দিতে দিবেন না।

অনুশীলন ৪৪: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪৫

একা আমি কিছুই করতে পারি না।

আপনি একা কিছুই করতে পারবেন না। কিছুই একাকী সম্পন্ন হয়নি, এমনকি আপনার বিশ্বেও কিছুই সম্পাদিত হয়নি। কিছুই কখনও একা তৈরি করা হয়নি, এমনকি আপনার মনের মধ্যেও। একা কিছু করে পাওয়ার মধ্যে কোনও ক্রেডিট নেই। সবকিছুই একটি যৌথ প্রয়াস। সবকিছুই সম্পর্কের ফসল।

এটি কি ব্যক্তি হিসাবে আপনাকে হেয় করে? অবশ্যই না। এটি আপনাকে আপনার সত্যিকারের সাফল্য উপলব্ধি করার জন্য পরিবেশ এবং বোঝাপড়া দেয়। আপনি আপনার স্বকীয়তার চেয়ে বৃহত্তর, এবং এইভাবে আপনি এর সীমাবদ্ধতা থেকে মুক্ত হতে পারেন। আপনি আপনার ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে কাজ করেন কিন্তু আপনি এর চেয়ে বড়। আপনার ব্যক্তিত্বের সীমাবদ্ধতাগুলি গ্রহণ করুন এবং এই সীমাবদ্ধ স্বতন্ত্রতায় ঈশ্বর হওয়ার আশা করবেন না, অন্যথায় আপনি এটিকে বিশাল বোঝা ও বিশাল প্রত্যাশা দেবেন এবং তারপরে আপনি ব্যর্থতার জন্য নিজেকে শাস্তি দেবেন। এটি স্ব-বিদ্বেষের দিকে পরিচালিত করে। এটি আপনাকে আপনার শারীরিক জীবনে বিরক্তি প্রকাশ করতে এবং ব্যক্তিগতভাবে, আবেগগত এবং শারীরিকভাবে নিজেকে গালাগালি করতে পরিচালিত করে। আপনার সীমাবদ্ধতাগুলি গ্রহণ করুন যাতে আপনি আপনার জীবনের মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব গ্রহণ করতে পারেন।

অতএব, আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময়কালে, চোখ খোলা রেখে, এখন আপনার সীমাবদ্ধতার দিকে মনোনিবেশ করুন। তাদের চিনুন। তাদের ভাল বা খারাপ হিসাবে বিচার করবেন না। কেবল তাদের চিনুন। এটি আপনাকে নম্রতা দেয় এবং নম্রতায় আপনি শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের অবস্থানে থাকেন। আপনি যদি নিজের সীমাবদ্ধতাগুলো রক্ষা করেন, তবে কীভাবে আপনি তাদের সীমা ছাড়িয়ে যাবেন?

অনুশীলন ৪৫: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪৬

আমকে অবশ্যই ছোট হতে হবে মহান হতে।

এটি কি এমন একটি অসঙ্গতি যে আপনার অবশ্যই ছোট হতে হবে মহান হওয়ার জন্য? এটি অসঙ্গতি নয় যদি আপনি এর অর্থ বুঝতে পারেন। আপনার সীমাবদ্ধতাগুলি স্বীকৃতি দেওয়ার ফলে আপনি সীমাবদ্ধ প্রসঙ্গে খুব সফলভাবে কাজ করতে পারবেন। এটি আপনি আগে যেটা বুঝতে পেরেছিলেন তার চেয়ে বৃহত্তর বাস্তবতা প্রদর্শন করে। আপনার মাহাত্ম্য কেবল আশা বা উচ্চ প্রত্যাশার ভিত্তিতে হওয়া উচিত নয়। এটি আদর্শবাদের ভিত্তিতে নয়, সত্য অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। নিজেকে ছোট হতে দিন এবং আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবেন যে শ্রেষ্ঠত্ব আপনার সাথে রয়েছে এবং সেই শ্রেষ্ঠত্ব হল আপনার অংশ।

আপনার আজকের দুটি অনুশীলন সময়ে, নিজেকে সীমিত করার অনুমতি দিন তবে বিনা বিচারে। এখানে কোন নিন্দা নেই। সীমাবদ্ধতার দিকে মনোনিবেশ করার জন্য আপনার মনকে সক্রিয়ভাবে নিযুক্ত করুন। নিন্দা না করে ফোকাস করুন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেখুন। আপনি এই পৃথিবীতে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য বৃহত্তর বাস্তবতার বাহন হতে চাইছেন। অভিব্যক্তির জন্য আপনার বাহনটি বেশ সীমাবদ্ধ তবে আপনার যে কাজটি সম্পাদন করতে হবে তা সম্পাদন করার পক্ষে এটি যথেষ্ট পর্যাপ্ত। এর সীমাবদ্ধতা স্বীকার করার ক্ষেত্রে, আপনি এর প্রক্রিয়াটি বুঝতে এবং এটির সাথে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে শিখতে পারেন। তারপরে এটি আর সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং আপনার জন্য আনন্দময় প্রকাশের এক রূপ হবে।

অনুশীলন ৪৬: দুটি ১৫-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪৭

আমার কেন শিক্ষকের দরকার?

আপনি এই প্রশ্নটি আগে বা পরে এবং সম্ভবত অনেক সময় জিজ্ঞাসা করেন। এই প্রশ্নটি আপনার নিজস্ব প্রত্যাশা দ্বারা উত্পন্ন হয়। তবুও, আপনি যখন আপনার জীবনটি মনোযোগ সহকারে দেখবেন তখন আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি যা শিখেছেন তার জন্য আপনার নির্দেশনা প্রয়োজন।  সম্ভবত আপনি ভেবেছিলেন যে নিজের ভিতরে যা অনুভব করেছেন তা আপনিই তৈরি করেছেন, তবে এটি নির্দেশের ফলাফল।  সম্পর্কের মাধ্যমে, আপনি যা অর্জন করেছেন তা শিখেছেন, এটি হল বাস্তবিক দক্ষতা বা অন্তর্নিহিত প্রকাশ।  এটি উপলব্ধি করার জন্য সম্পর্কের জন্য দুর্দান্ত প্রশংসা এবং বিশ্বে অবদানের শক্তির একটি পূর্ণ স্বীকৃতি দেয়।

যদি আপনি কোনও দক্ষতা শিখতে আন্তরিকভাবে আগ্রহী হন তবে প্রথমে আপনাকে কতটা জানা নেই তা বুঝতে হবে, তারপরে আপনাকে অবশ্যই কতটা শিখতে হবে তা আপনাকে অবশ্যই সনাক্ত করতে হবে এবং তারপরে আপনাকে অবশ্যই সর্বোত্তম নির্দেশাবলীর সন্ধান করতে হবে। এটি অবশ্যই জ্ঞান পুনঃনির্ধারণের ক্ষত্রেও প্রযোজ্য। আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনি কতটা জানেন, আপনার কতটা জানা দরকার এবং তারপরে প্রদত্ত নির্দেশনাটি গ্রহণ করতে হবে।  শিক্ষকের প্রয়োজনীয়তা কি একটি দুর্বলতা? একদম নয়। এটি একটি সৎ মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে একটি সৎ স্বীকৃতি।  আপনি যদি জানেন যে আপনি কতটা কম জানেন এবং আপনার কতটুকু জ্ঞান এবং নিজের জ্ঞানের শক্তি প্রয়োজন, তখন আপনি বুঝতে পারবেন এটি কতটা সুস্পষ্ট।  আপনি কিভাবে তাদের দিতে পারেন যারা মনে করে তাদের কাছে ইতিমধ্যে সব কিছু আছে, অথচ বাস্তবতা হল তারা দারিদ্র্য? আপনি তাদের দিতে পারবেন না। এবং তাদের দারিদ্র্যতা স্ব-নিপীড়িত এবং স্ব রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে।

আপনি কেন একজন শিক্ষকের প্রয়োজন? কারণ আপনার শেখা দরকার। এবং আপনার অতীতের অশিক্ষা যা আপনাকে পেছনে আটকে রেখেছে তা ভুলতে পারা শিখতে হবে। আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময়গুলিতে, চোখ বন্ধ করে ধ্যানের জন্য, কেন আপনার একজন শিক্ষকের প্রয়োজন তা বিবেচনা করুন। এমন কোনও ধারণা পর্যবেক্ষণ করুন যা দেখে মনে হয় যে আপনি নিজেরাই এটি করতে পারেন যদি আপনি যথেষ্ট স্মার্ট বা যথেষ্ট শক্তিশালী বা অন্য কোনও যোগ্যতার পূরণ করে। যদি এই প্রত্যাশাগুলি দেখা দেয়, তাহলে তাদের যা আছে তার জন্য চিনে নিন। এই প্রত্যাশাগুলি জোর দেয় যে আপনি অজ্ঞতায় রয়ে যান, নিজেকে একটি নির্ভরযোগ্য প্রশিক্ষক হিসাবে ঘোষণা করে।  আপনি যা জানেন না তা আপনি নিজেকে শিখাতে পারবেন না এবং এটি করার চেষ্টা করে পুরানো তথ্যটি পুনরায় আরম্ভ করা হয় এবং এটি আপনাকে আপনার বর্তমান পরিস্থিতিতে বেঁধে রাখে।

অতএব, আজ অনুশীলনে সত্য নির্দেশের প্রয়োজন এবং আপনার প্রতিরোধের প্রয়োজনটি বিবেচনা করুন, যদি এটি সেখানে থাকে, সত্য নির্দেশের উপস্থিতি যা আপনার কাছে এখন সহজলভ্য।

অনুশীলন ৪৭: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪৮

সত্য নির্দেশ আমার জন্য প্রাপ্তিসাধ্য।

সত্য নির্দেশ প্রাপ্তিসাধ্য। এটি আপনার পরিপক্বতার পর্যায়ে পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করছে যেখানে আপনি নিজের জীবনে এটির প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেন। এটি সত্যের অনুপ্রেরণাকে উত্সাহিত করে শেখার জন্য। এটি জন্মায় আপনার সীমাবদ্ধতাগুলিকে স্বীকৃতি দিতে যা আপনার আসল প্রয়োজন তার আলোকে। জ্ঞানের ছাত্র হওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিজেকে ভালবাসতে হবে এবং এগিয়ে যাওয়ার জন্য নিজেকে ক্রমাগত ভালবাসতে হবে। ইহা ব্যতীত শেখার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা নেই। ভালবাসা ছাড়া ভয় থাকে, অন্য কোনও কিছুর জন্য ভালোবাসা বদলানো যায় না। কিন্তু ভালবাসা বদলায়নি, এবং সত্য সহায়তা আপনার জন্য প্রাপ্তিসাধ্য করা হয়েছে।

আজকে আপনার দু’টি ধ্যান চর্চায়, সেই সত্য সহায়তার উপস্থিতি অনুভব করার চেষ্টা করুন। নিস্তব্ধতা এবং নীরবে, আপনার নিজের জীবন এবং আপনার চারপাশে এটি অনুভব করুন। এই ধ্যানের অনুশীলনগুলি আপনার মধ্যে একটি বৃহত্তর সংবেদনশীলতা খুলতে শুরু করবে, সম্পূর্ণ নতুন ধারণা। আপনি উপস্থিত জিনিসগুলি দেখতে শুরু করবেন, যদিও আপনি সেগুলি দেখতে পাচ্ছেন না। আপনি বার্তাটির উত্সটি এখনও শুনতে না পারলেও আপনি ধারণাগুলি এবং তথ্যের প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হবেন। এটি সৃজনশীল চিন্তার আসল প্রক্রিয়া, কারণ লোকেরা ধারণা গ্রহণ করে; তারা তাদের তৈরি করে না। আপনি একটি বৃহত্তর জীবনের অংশ। আপনার ব্যক্তিগত জীবনই এর অভিব্যক্তির বাহন। আপনার স্বতন্ত্রতা তখন আরও বেশি চাষাবাদ ও আনন্দময় হয়ে ওঠে, আপনার জন্য একটি কারাগার আর নয়, বরং আপনার আনন্দময় অভিব্যক্তির রূপ।

সত্য সহায়তা আপনার জন্য প্রাপ্তিসাধ্য। আপনার জীবনে এর চিরস্থায়ী উপস্থিতি অনুভব করে এই দিনটি অনুশীলন করুন।

অনুশীলন ৪৮: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৪৯

পর্যালোচনা

এটি আপনার অনুশীলনের সপ্তম সপ্তাহের সমাপ্তি চিহ্নিত করে। এই পর্যালোচনাতে, আপনাকে সাত সপ্তাহের অনুশীলনটি পর্যালোচনা করতে, সমস্ত নির্দেশাবলীর পর্যালোচনা করতে এবং প্রতিটি ব্যবহারের আপনার অভিজ্ঞতা স্মরণ করার জন্য বলা হচ্ছে। এর জন্য বেশ কয়েকটি দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কালের প্রয়োজন হতে পারে তবে শিক্ষার্থী হওয়ার অর্থ কী এবং শেখা কীভাবে বাস্তবে সম্পাদিত হয় তা বোঝার জন্য আপনার পক্ষে এটি প্রয়োজনীয়।

একজন শিক্ষার্থী হিসাবে নিজেকে বিচার না করার জন্য খুব যত্নশীল হতে হবে। আপনি ছাত্র হিসাবে নিজেকে বিচার করার মতো অবস্থানে নেই। আপনার কাছে মানদণ্ড নেই, কারণ আপনি স্ব-জ্ঞানের শিক্ষক নন। আপনি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে দেখতে পাবেন যে আপনার কিছু ব্যর্থতা বৃহত্তর সাফল্যের দিকে পরিচালিত করবে এবং আপনি যা সাফল্য হিসাবে ভেবেছিলেন তার কিছু ব্যর্থতা হতে পারে। এটি আপনার মূল্যায়নের পুরো সিস্টেমটিকে গুরুত্ব আরোপ করবে এবং আপনাকে আরও বেশি স্বীকৃতি দেবে। এটি আপনার পক্ষে এবং অন্যদের প্রতি সমবেদনা পোষণ করা সম্ভব করবে যার পক্ষে আপনি এখন তাদের সাফল্য এবং ব্যর্থতার জন্য বিচার করেন।

অতএব, প্রথম আটচল্লিশটি অনুশীলনের চর্চা পর্যালোচনা করুন। আপনি প্রতিটি পদক্ষেপে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং আপনি নিজেকে কতটা গভীরভাবে জড়িয়েছেন তা স্মরণ করার চেষ্টা করুন।  আপনার সাফল্য, আপনার শিক্ষাদীক্ষা এবং আপনার বাধাগুলি দেখার চেষ্টা করুন।  আপনি এ পর্যন্ত এসেছেন।  অভিনন্দন! আপনি প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন। এগিয়ে যাওয়ার জন্য এখনই উত্সাহিত হোন, কারণ জ্ঞান আপনার সাথে রয়েছে।

অনুশীলন ৪৯: বেশ কয়েকটি দীর্ঘ অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫০

আজ আমি জ্ঞানের সাথে থাকব।

আজ জ্ঞানের সাথে থাকুন যাতে আপনার কাছে নিশ্চিততা এবং জ্ঞানের শক্তি সহজলভ্য হয়। আপনাকে স্থির করে দিতে জ্ঞানকে অনুমতি দিন। আপনাকে শক্তি ও যোগ্যতা দিতে জ্ঞানকে অনুমতি দিন। আপনাকে শেখাতে জ্ঞানকে অনুমতি দিন। মহাবিশ্বটি যেমন উপস্থিত রয়েছে তেমন প্রকাশ করতে জ্ঞানকে অনুমতি দিন, যেভাবে আপনি বিচার করেন সেভাবে নয়।

আপনার দু’টি অনুশীলনের সময়ে জ্ঞানের শক্তি অনুভব করে নিরবতা অনুশীলন করুন। প্রশ্ন করবেন না। এটির এখন প্রয়োজন নেই। নিজের সাধনার বাস্তবতা সম্পর্কে নিজের সাথে তর্ক করবেন না, কারণ এটি অযথা এবং অর্থহীন। আপনি গ্রহণ না করা অবধি আপনি জানতে পারবেন না এবং গ্রহণ করার জন্য আপনাকে নিজের জানার ইচ্ছাতে অবশ্যই বিশ্বাস রাখতে হবে।

আজ জ্ঞানের সাথে থাকুন। আপনার অনুশীলনের সময়কালে, কোনও কিছুকেই আপনাকে হতাশ করতে দিবেন না। আপনার কেবল আরাম দরকার এবং উপস্থিত থাকতে হবে। এই অনুশীলনগুলি থেকে একটি বৃহত্তর উপস্থিতি স্বীকৃত হবে এবং এটি আপনার ভয়কে হ্রাস করতে শুরু করবে।

অনুশীলন ৫০: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫১

আমাকে আমার ভয়গুলি চিনতে দাও যাতে আমি তাদের বাইরে সত্য দেখতে পারি।

আপনাকে অবশ্যই আপনার বাধাগুলি চিনতে হবে যাতে আপনি তাদের বাইরেও দেখতে পারেন। যদি সেগুলি উপেক্ষা করা হয় বা অস্বীকার করা হয়, যদি সেগুলি সুরক্ষিত করা হয় বা অন্য নামে ডাকা হয় তবে আপনি নিজের সংযমের প্রকৃতি বুঝতে পারবেন না। যা আপনাকে নিপীড়ন করে তা আপনি বুঝতে পারবেন না। আপনার জীবন ভয়ের জন্ম দেয় নি। আপনার উৎস ভয়ের জন্ম দেয় নি। আপনার ভয়কে চিনতে পারার অর্থ হল, আপনি অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে আপনি আরও বড় কিছুর অংশ। এটি উপলব্ধি করে আপনি নিজের জীবন সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হয়ে উঠতে এবং আত্ম-নিন্দা ছাড়াই আপনার বর্তমান পরিস্থিতি বুঝতে শিখতে পারেন, কারণ এই পরিস্থিতিতে আপনার অবশ্যই  নিজেকে চাষাবাদ করতে হবে। আপনি এখন যেখানেই আছেন সেখান থেকে আপনাকে শুরু করতে হবে। এটি করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার দুর্বলতা এবং আপনার শক্তির একটি তালিকা তৈরি করতে হবে।

আপনার আজকের দুটি অনুশীলনে, আপনার ভয়ের আশঙ্কার অস্তিত্ব মূল্যায়ন করুন এবং নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন যে আপনার বাস্তবতা তাদের বাইরে রয়েছে, তবে আপনার জীবনে তাদের ক্ষতিকারক উপস্থিতি বুঝতে আপনাকে অবশ্যই তাদের চিনতে হবে। আপনার চোখ বন্ধ করুন এবং আজকের জন্য ধারণাটি পুনরাবৃত্তি করুন; তারপরে আপনার মনে উদ্ভূত প্রতিটি ভয় বিবেচনা করুন। নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন, সত্যটি রয়েছে সেই নির্দিষ্ট ভয়ের বাইরে। সমস্ত ভয় উত্থাপন করার অনুমতি দিন এবং এইভাবে মূল্যায়ন করুন।

নির্ভয়ে থাকতে হলে আপনাকে অবশ্যই ভয় এর প্রক্রিয়া, লোকের উপর এর প্রভাব এবং বিশ্বে এর ফলাফল বুঝতে হবে । আপনাকে অবশ্যই এটি প্রতারণা ছাড়াই এবং পছন্দ ছাড়াই চিনতে হবে। আপনি সীমিত পরিসরে, সীমিত পরিবেশে দুর্দান্ত কাজ করছেন । আপনার পরিবেশের সীমাবদ্ধতাগুলি বুঝুন এবং আপনার বাহনের সীমাবদ্ধতাগুলি বুঝুন এবং সীমাবদ্ধ থাকার কারণে আপনি নিজেকে আর ঘৃণা করতে পারবেন না।

অনুশীলন ৫১: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫২

আমার জ্ঞানের উৎস খুঁজে পাওয়ার জন্য আমি মুক্ত ।

আপনার জ্ঞানের উত্স আপনার সাথে এবং আপনার বাইরেও বিদ্যমান। জ্ঞানের উত্স যেখানে রয়েছে তা নিয়ে কোনও পার্থক্য নেই, কারণ এটি সর্বত্র রয়েছে। আপনার জীবন বাঁচানো হয়েছে কারণ ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান লাগিয়েছেন। তবে জ্ঞানকে উত্থিত হওয়ার অনুমতি না দেওয়া এবং তার উপহার আপনার হাতে দেওয়ার অনুমতি না দেওয়া পর্যন্ত আপনি নিজের মুক্তি বুঝতে পারবেন না। যা আপনাকে সত্যিকারের জীবনের উপহার পেতে সক্ষম করে তা ছাড়া আর কি স্বাধীনতা স্বাধীন? অন্য সমস্ত স্বাধীনতা বিশৃঙ্খল হওয়ার স্বাধীনতা, নিজের ক্ষতি করার স্বাধীনতা। মহান স্বাধীনতা হ’ল আপনার জ্ঞান সন্ধান করা এবং এটি আপনার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া। আজ আপনি আপনার জ্ঞানের উত্সটি মুক্ত করতে পারেন।

নীরবতায় আপনার দু’টি অনুশীলনের মধ্যে আপনার জ্ঞানের উৎসটি গ্রহন করুন। নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে আপনি এটি করতে মুক্ত। ভয় বা উদ্বেগ নির্বিশেষে, অপরাধবোধ ও লজ্জা নির্বিশেষে নিজেকে জ্ঞানের উত্স গ্রহণ করার অনুমতি দিন। আপনি আজ আপনার জ্ঞানের উত্স গ্রহণ করতে মুক্ত।

অনুশীলন ৫২: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫৩

আমার উপহারগুলো অন্যদের জন্য।

আপনার উপহারগুলি অন্যের কাছে দেওয়ার অর্থ, তবে প্রথমে আপনাকে অবশ্যই আপনার উপহারগুলিকে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং যা এই ধারনাগুলিকে সংযত করবে, তাদের পরিবর্তন করবে বা অস্বীকার করবে সেগুলি থেকে তাদের আলাদা করতে হবে । অন্যকে সাহায্য করার প্রসঙ্গ বাদে আপনি কীভাবে নিজেকে বুঝতে পারবেন? আপনি একা কিছুই করতে পারবেন না। একা আপনার কোনও অর্থ নেই। কারণ আপনি একা নন। এটি একটি বোঝা এবং একটি হুমকি হিসাবে দেখা হবে যতক্ষণ আপনি তার দুর্দান্ত অর্থ এবং এটির যে উপহারটি সত্য তা উপলব্ধি না করেন। এটিই আপনার জীবনের মুক্তি। যখন জীবন আপনাকে পুনরুদ্ধার করে, আপনি জীবন এবং তার সমস্ত আশীর্বাদ পুনরুদ্ধার করেন, যা আপনি নিজেকে দিতে পারেন তার চেয়ে অনেক বেশি। আপনার জীবনের অর্থ উপলব্ধি এবং অন্যের কাছে আপনার সহায়তার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়, কারণ এ জাতীয় অংশগ্রহণ ব্যতীত আপনি কেবল আংশিকভাবে আপনার নিজের মূল্য, নিজের উদ্দেশ্য, নিজের অর্থ এবং দিক উপলব্ধি করতে পারবেন।

আজ আপনার দুটি ব্যবহারিক অনুশীলনের সময়, অন্যকে সাহায্য করার জন্য আপনার ইচ্ছা অনুভব করুন। আপনি ঠিক কীভাবে সহায়তা করতে চান তা এখনই সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার নেই। এটি যেমন আপনার সহায়তা করার আকাঙ্ক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ নয়,  কারন সহায়তার রুপটি সময়ের সাথে সাথে আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং পাশাপাশি বিকাশ লাভ করবে। সত্যিকারের অনুপ্রেরণায় জন্মানো সহায়তার জন্য আপনার আকাঙ্ক্ষা আজ আপনাকে আনন্দ দেবে।

অনুশীলন ৫৩: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫৪

আমি আদর্শবাদে বাঁচব না।

হতাশার ওপর ভিত্তি করে কি কাঙ্ক্ষিত, তা নিয়ে ধারণা না থাকলে আদর্শবাদ কি? আপনার আদর্শবাদ আপনাকে, আপনার সম্পর্ক এবং আপনি যে পৃথিবীতে বাস করেন তার সাথে অন্তর্ভুক্ত। এটিতে ঈশ্বর এবং জীবন এবং আপনি কল্পনা করতে পারেন এমন সমস্ত অভিজ্ঞতার সাথে অন্তর্ভুক্ত। অভিজ্ঞতা ছাড়া, আদর্শবাদ আছে। আদর্শবাদ শুরুতে সহায়ক হতে পারে, কারণ এটি আপনাকে সত্য পথে পরিচালিত করতে শুরু করতে পারে তবে আপনাকে অবশ্যই নিজের সিদ্ধান্ত বা নিজের পরিচয়টি বিশ্রামে রাখলে চলবে না, কারণ কেবল অভিজ্ঞতা আপনাকে সত্য দেয় এবং তা দিতে পারে যা আপনি সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করতে পারেন। আদর্শবাদকে আপনাকে গাইড করতে দেবেন না, কারণ জ্ঞানই এখানে আপনাকে গাইড করার জন্য রয়েছে।

আপনার আজকের দুটি পদ্ধতির মধ্যে, নিজের আদর্শবাদের মাত্রাটি চিহ্নিত করুন। আপনি নিজে কী হতে চান, আপনি আপনার বিশ্বে কী হতে চান এবং আপনি আপনার সম্পর্কে কী হতে চান তা সাবধানতার সাথে পর্যবেক্ষণ করুন। আজকের ধারণার পুনরাবৃত্তি করুন এবং চোখ বন্ধ করে আপনার প্রতিটি আদর্শ পরীক্ষা করুন। যদিও আপনার আদর্শগুলি উপকারী বলে মনে হচ্ছে এবং আপনার ভালবাসা এবং সম্প্রীতির প্রতিচ্ছবিকে প্রতিনিধিত্ব করে বলে মনে হচ্ছে, তারা বাস্তবে আপনাকে পিছনে ফেলছে, কারণ তারা সেই জায়গাটিকে প্রতিস্থাপন করে যা সত্যই আপনাকে উপহার হিসাবে দেবে।

অনুশীলন ৫৪: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫৫

বিশ্বটি যেমন আছে আমি তেমন গ্রহণ করব।

আদর্শবাদ হ’ল বিশ্বটিট যেমন রয়েছে তেমন গ্রহণ না করার চেষ্টা করা। এটি দোষ ও নিন্দাকে ন্যায়সঙ্গত করে। এটি এমন একটি জীবনের প্রত্যাশা প্রতিষ্ঠা করে যা এখনও বিদ্যমান নেই এবং এইভাবে আপনাকে মারাত্মক হতাশায় ফেলে দেয়। আপনার আদর্শবাদ আপনার নিন্দাকে মজবুত করে।

বিশ্বটি এখন যেমন রয়েছে তেমন আজকে গ্রহণ করুন। গ্রহণের সাথে ভালবাসা আসে, কারণ আপনি এমন একটি বিশ্বকে ভালোবাসতে পারবেন না যা আপনি থাকতে চান। আপনি কেবল এমন একটি বিশ্বকে পছন্দ করতে পারেন যা বিদ্যমান আছে। নিজেকে বিদ্যমান হিসাবে নিজেকে এখনই গ্রহণ করুন এবং পরিবর্তন এবং অগ্রগতির সত্যিকারের আকাঙ্ক্ষা স্বাভাবিকভাবেই আপনার মধ্যে উদ্ভূত হবে। আদর্শবাদ নিন্দাকে ন্যায়সঙ্গত করে। এই মহান সত্যকে স্বীকৃতি দিন এবং আপনি জীবন এবং যা সত্য এবং প্রত্যাশা বা প্রত্যাশার ভিত্তিতে নয় বরং সত্যিকারের ব্যস্ততার ভিত্তিতে একটি তাত্ক্ষণিক এবং গভীর অভিজ্ঞতা পেতে শুরু করবেন।

অতএব, আজ আপনার দুইটি -৩০ মিনিট অনুশীলনের সময়ে জিনিসগুলি ঠিক তেমনভাবে গ্রহণ করার দিকে মনোনিবেশ করুন। আপনি এটি করতে সহিংসতা, দ্বন্দ্ব বা অজ্ঞতা প্রশ্রয় দিচ্ছেন না। আপনি কেবল বিদ্যমান শর্তাদি গ্রহণ করছেন যাতে আপনি তাদের সাথে গঠনমূলকভাবে কাজ করতে পারেন। এই গ্রহণযোগ্যতা ব্যতীত সত্যিকারের প্রবৃত্তির জন্য আপনার আর কোনও শুরু করার জায়গা নেই। দুনিয়াকে যেমন রয়েছে ঠিক তেমন মঞ্জুরি দিন, কারণ এই পৃথিবীই যা আপনি পরিবেশন করতে এসেছেন।

অনুশীলন ৫৫: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৫৬

পর্যালোচনা

আজকের পর্যালোচনায়, গত সপ্তাহের শিক্ষা এবং তাদের সাথে আপনার সম্পৃক্ততার পর্যালোচনা করুন। বুঝতে চেষ্টা করুন যে অগ্রগতি যদিও প্রথমে ধীর বলে মনে হচ্ছে, যা ধীর এবং তথাপি ব্যাপকভাবে অগ্রগতি হবে। ধারাবাহিকভাবে প্রয়োগ করা হয় এমন জড়িতকরণ আপনাকে আপনার সাফল্যের জন্য সরলরেখা দেবে।

আপনার পর্যালোচনাতে, আমরা আপনাকে আবার স্মরণ করিয়ে দেব আপনি যদি নিজের প্রত্যাশা পূরণ না করেন তবে আপনাকে স্ব-বিচার থেকে বিরত রাখতে হবে। প্রদত্ত নির্দেশাবলী অনুসরণ করার জন্য কী প্রয়োজন তা কেবল উপলব্ধি করুন এবং যথাসম্ভব পুরোপুরি নিজেকে এগুলিতে জড়িত করুন। মনে রাখবেন যে আপনি শিখতে শিখছেন, এবং মনে রাখবেন যে আপনি নিজের স্ব-মূল্য এবং সত্যিকারের ক্ষমতাগুলি পুনরায় দাবি করতে শিখছেন।

অনুশীলন ৫৬: এক দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কাল।

ধাপ ৫৭

স্বাধীনতা আমার সাথে আছে।

স্বাধীনতা আপনার অভ্যন্তরে রয়েছে, আপনার মধ্যে জন্মগ্রহণের অপেক্ষায়, দাবি করার ও গ্রহণযোগ্য হওয়ার অপেক্ষায় , বেঁচে থাকার জন্য এবং প্রয়োগিত হওয়ার অপেক্ষায় এবং সম্মানিত এবং অনুসরণ হওয়ার অপেক্ষায়। আপনারা যারা নিজের কল্পনার ওজনের নিচে বাস করছিলেন, আপনারা যারা নিজের চিন্তাভাবনায় এবং অন্যের চিন্তাভাবনায় বন্দী ছিলেন, আপনারা যারা এই বিশ্বের উপস্থিতিতে ভয় পেয়েছিলেন এবং হুমকির মুখোমুখি হয়েছিলেন তারা এখন আশাবাদী, কারণ সত্যিকারের স্বাধীনতা আপনাদের মধ্যে রয়েছে। এটি আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি আপনার প্রাচীন বাড়ি থেকে এটি আপনার সাথে নিয়ে এসেছেন। আপনি এটি প্রতিটি দিন, প্রতিটি মুহূর্তে আপনার সাথে রাখেন।

উন্নয়নের এই প্রোগ্রামটির সাথে সাথে আপনি এখন স্বাধীনতার দিকে যেতে শিখছেন এবং ভয় এবং নিজের ধারণার অন্ধকার থেকে দূরে সরে যেতে শিখছেন। স্বাধীনতায় আপনি স্থায়িত্ব এবং ধারাবাহিকতা পাবেন। এটি আপনাকে এমন ভিত্তি দেবে যার ভিত্তিতে আপনার ভালবাসা এবং স্ব-মূল্যবোধকে গড়ে তুলতে হবে এবং এই ভিত্তি বিশ্বকে কাঁপিয়ে তুলবে না, কারণ এটি বিশ্বের চেয়ে বৃহত্তর। এটি বিচ্ছেদ ভুলভ্রান্তির দ্বারা জন্ম হয় না। এটি আপনার জীবনের অন্তর্ভুক্তির সত্যতার দ্বারা জন্ম নিয়েছে।

প্রতি ঘন্টায় আজকের ধারণার পুনরাবৃত্তি করুন এবং প্রতিটি মুহুর্তে অনুভব করুন যে স্বাধীনতা আপনার সাথে রয়েছে। আপনি যখন দিন জুড়ে স্বাধীনতার কাছাকাছি আসবেন, তখন কী আপনাকে পিছনে আটকে রেখেছে তা আপনি আরও এবং আরও স্পষ্টভাবে সনাক্ত করতে সক্ষম হবেন। আপনি বুঝতে পারবেন যে এটি কেবল আপনার নিজের চিন্তার সাথে আপনার আনুগত্য যা আপনাকে পিছনে রাখে। এটি আপনার নিজের কল্পনার প্রতি আগ্রহ যা আপনাকে পিছনে রাখে। এটি আপনার বোঝা হালকা করবে এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে সত্যিকারের পছন্দ উপলব্ধ। এই উপলব্ধি আপনাকে আজ স্বাধীনতায় আসার শক্তি দেবে।

আপনার দুটি ধ্যানের অনুশীলনগুলিতে, আজকের ধারণার পুনরাবৃত্তি করুন এবং আপনার মনকে নীরব থাকতে দেওয়ার চেষ্টা করুন যা এটি তার স্বাধীনতার সূচনা করবে। নীরবতার মধ্যে এই অনুশীলনটি আপনার মনের শেকলগুলি কাঁপিয়ে আলগা করতে সক্ষম করবে যা এটি বেধে রেখেছিল — অতীতের ক্ষমা করার অক্ষমতা, ভবিষ্যতের প্রতি উদ্বেগ এবং বর্তমানকে এড়িয়ে চলতে। নীরবতায় আপনার মন যা কিছু এর নিজের অন্ধকারের মধ্যে ছোট, লুকানো এবং বিচ্ছিন্ন করে রাখে তার উপরে উঠে যায়। আজ স্বাধীনতা আপনার কতটা কাছাকাছি, যাদের এটি পাওয়ার জন্য কেবল তাদের মনকে শান্ত করা দরকার। এবং আপনারা যারা এই পৃথিবীতে এসেছেন, তাদের পুরস্কার কত মহান, কারণ স্বাধীনতা আপনাদের সাথে রয়েছে।

অনুশীলন ৫৭: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৫৮

জ্ঞান আমার সাথে আছে।

আজকে আমরা আপনার জীবনে জ্ঞানের উপস্থিতি নিশ্চিত করছি। প্রতি ঘন্টায় এই নিশ্চিতকরণের দাবি করুন এবং তারপরে এই উপস্থিতিটি অনুভব করার চেষ্টা করার জন্য কিছুটা সময় নিন। আপনাকে এটি অনুভব করতে হবে। আপনি এটি একা কল্পনা করতে পারবেন না, কারণ জ্ঞানের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। আপনি আজ যে পরিস্থিতিতেই নিজেকে খুঁজে পান না কেন, এই প্রতিশ্রুতিটি একবারে পুনরাবৃত্তি করুন এবং এর অর্থ অনুভব করার চেষ্টা করুন। আপনি দেখতে পাবেন যে এমন অনেকগুলি পরিস্থিতি রয়েছে যা আপনি অনুশীলনের জন্য অনুপযুক্ত বলে মনে করেছিলেন যেখানে আপনি অনুশীলন করতে পারেন। এইভাবে, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার সত্যের প্রবণতাগুলি পূরণ করার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা পরিচালনার ক্ষমতা আপনার রয়েছে এবং আপনি দেখতে পাবেন যে কোনও পরিস্থিতিতেই সত্য প্রস্তুতি এবং স্ব-প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত পরিবেশ রয়েছে।

প্রতি ঘন্টায় অনুশীলনের চেষ্টা করুন। আপনার সময় সম্পর্কে সচেতন থাকুন। যদি এক ঘন্টা মিস হয়ে যায় তবে চিন্তা করবেন না, তবে আপনি এগিয়ে যাওয়ার সময় বাকি সময়গুলিতে অনুশীলনের জন্য নিজেকে পুনর্নির্দেশ করুন। জ্ঞান আজ আপনার সাথে আছে। আজ জ্ঞানের সাথে থাকুন।

অনুশীলন ৫৮: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৫৯

আজ আমি ধৈর্য শিখব।

এটি একটি মনের পক্ষে খুব কঠিন যা ধৈর্য ধরে কষ্ট পাচ্ছে। মনের পক্ষে ধৈর্য ধরে চঞ্চল হওয়া খুব কঠিন। যে মনের পক্ষে অস্থায়ী বিষয়গুলি থেকে ধৈর্য ধরার জন্য তার মূল্যবান সমস্ত চেষ্টা করা হয়েছে তার পক্ষে এটি খুব কঠিন। কেবলমাত্র বৃহত্তর কোনও কিছুর সন্ধানে ধৈর্য ধরা জরুরি কারণ এর জন্য আরও বৃহত্তর প্রয়োগ প্রয়োজন। আপনার জীবনকে দীর্ঘমেয়াদী বিকাশের ক্ষেত্রে চিন্তা করুন, তাত্ক্ষণিক সংবেদন এবং লাভের দিক দিয়ে নয়। জ্ঞান নিছক উদ্দীপনা নয়। এটি সর্বশক্তিমান এবং চিরন্তন ক্ষমতার গভীরতা এবং এর মাহাত্ম্য আপনাকে গ্রহণ ও প্রদানের জন্য দেওয়া হয়েছে।

আজ প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন করুন যে আপনি ধৈর্য ধরতে শিখবেন এবং আপনি নিজের জীবনের সমালোচনা না করে নিজের জীবনকে পর্যবেক্ষণ করবেন। নিশ্চিত করুন যে আপনি আপনার ক্ষমতা এবং আপনার পরিস্থিতি সম্পর্কে উদ্দেশ্যমূলক হয়ে উঠবেন যাতে আপনি তাদের আরও বৃহত্তর নিশ্চিততা প্রয়োগ করতে পারেন।

আজই ধৈর্য শিখুন এবং ধৈর্যের মাধ্যমে শিখুন। এভাবে আপনি আরও দ্রুত, আরও নিশ্চিতভাবে এবং আরও  ভালবাসার সাথে এগিয়ে যাবেন ।

অনুশীলন ৫৯: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৬০

আমি আজ বিশ্বের বিচার করব না।

আপনার বিচার ছাড়াই, জ্ঞান আপনাকে কী করতে হবে এবং আপনাকে যা বুঝতে হবে তা নির্দেশ করতে পারে। জ্ঞান একটি বৃহত্তর বিচারের প্রতিনিধিত্ব করে, তবে এটি এমন একটি বিচার যা আপনার নিজের থেকে অনেক আলাদা, কারণ এটি ভয়ের জন্ম দেয় না। এতে রাগ থাকে না। এটি সব সময় পরিবেশন করতে এবং লালন  করতে বোঝানো হয়। এটা ঠিক যে, এটা তাদের অর্থ বা তাদের নিয়তি ছাড়া প্রতিটি ব্যক্তির বর্তমান অবস্থার সত্য স্বীকৃতি দেয়।

আজ বিশ্বকে বিচার করবেন না যাতে আপনি বিশ্বটি যেমন আছে তেমন দেখতে পারেন। আজ বিশ্বকে বিচার করবেন না যাতে আপনি বিশ্বটি যেমন আছে তেমনভাবে গ্রহণ করতে পারেন। বিশ্বটি যেমন আছে ঠিক তেমন হওয়ার অনুমতি দিন যাতে আপনি এটি চিনতে পারেন। একবার বিশ্বকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়ে গেলে আপনি বুঝতে পারবেন যে, এর জন্য আপনাকে কতটা প্রয়োজন এবং আপনি এটিকে কতটা দিতে চান। বিশ্বকে দোষের দরকার নেই। এর জন্য প্রয়োজন পরিষেবার। এর জন্য প্রয়োজন সত্যের। সর্বোপরি এর জ্ঞানের প্রয়োজন।

আজ প্রতি ঘন্টার শুরুতে, বিচার ছাড়াই বিশ্বকে দেখুন। আজকের জন্য স্বীকৃতিটির পুনরাবৃত্তি করুন এবং এক মুহূর্তের জন্য বিচার ছাড়াই বিশ্বের দিকে তাকিয়ে  অতিবাহিত করুন। আপনি যে চেহারাটি দেখতে পাচ্ছেন না কেন, তা যদি আপনাকে সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট করে, আপনি এর সুন্দর বা কুৎসিত খুজে পান না কেন, আপনি এটিকে উপযুক্ত বা অযোগ্য মনে করেন না কেন, বিচার ছাড়াই এটিকে দেখুন।

অনুশীলন ৬০: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৬১

ভালবাসা আমার মাধ্যমে নিজেকে দেয়।

ভালবাসা আপনার মাধ্যমে নিজেকে প্রকাশ করে যখন আপনি তার প্রকাশের বাহন হতে প্রস্তুত হন। স্ব-অক্ষমতা বা অপরাধবোধকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য আপনার ভালবাসার চেষ্টা করার দরকার নেই। অন্যের অনুমোদন পাওয়ার জন্য আপনার প্রেম করার দরকার নেই। তাদের উপর একটি সুখী বা পরোপকারী মনোভাব রাখার চেষ্টা করে আপনার অসহায়ত্ব বা হীনমন্যতা বোধকে শক্তিশালী করবেন না। আপনার মধ্যে ভালবাসা প্রকাশিত হবে, যেহেতু এটি আপনার মধ্যে জ্ঞান হতে জন্মায় এবং এটি এর একটি অঙ্গ।

আজ প্রতি ঘন্টার শুরুতে আপনি বিশ্বের দিকে তাকানোর সময়, স্বীকার করুন যে আপনার মধ্যে ভালবাসা নিজেই কথা বলবে। যদি আপনি বিচার না করে থাকেন, যদি আপনি বিশ্বের সাথে সত্যই যেমন থাকতে চান তেমন থাকতে সক্ষম হন এবং আপনি যদি অন্যদের সাথে সত্যই উপস্থিত থাকতে সক্ষম হন তবে আপনার মধ্যে ভালবাসা নিজে থেকেই কথা বলবে। ভালবাসাকে আপনার জন্য কথা বলতে বাধ্য করবেন না। ভালবাসাকে আপনার ইচ্ছাগুলি বা আপনার প্রয়োজনগুলি প্রকাশ করার জন্য চেষ্টা করবেন না, কারণ ভালবাসা নিজেই আপনার মাধ্যমে কথা বলবে। আপনি যদি ভালবাসার প্রতি উপস্থিত হন তবে আপনি বিশ্বের প্রতি উপস্থিত থাকবেন এবং ভালবাসা আপনার মাধ্যমে কথা বলবে।

অনুশীলন ৬১: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৬২

আজ আমি জীবনের কাছে শুনতে শিখব।

আপনি যদি বিশ্বের কাছে উপস্থিত থাকেন, আপনি বিশ্বটি শুনতে সক্ষম হবেন। আপনি যদি জীবনের কাছে উপস্থিত থাকেন, আপনি জীবনটি শুনতে সক্ষম হবেন। আপনি যদি ঈশ্বরের কাছে উপস্থিত হন, আপনি ঈশ্বরের কথা শুনতে পারবেন। আপনি যদি নিজের কাছে উপস্থিত হন তবে আপনি নিজেকে শুনতে সক্ষম হবেন।

অতএব, আজ শোনার অনুশীলন করুন। প্রতি ঘন্টার শুরুতে, আপনার চারপাশের এবং নিজের মধ্যে থাকা বিশ্বটি শোনার চেষ্টা করুন। এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং তারপরে এই অনুশীলনটি সম্পূর্ণ করুন। এটি কেবল কয়েক মুহুর্ত সময় নিবে। আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার পরিস্থিতি নির্বিশেষে, আজ এটি অনুশীলনের জন্য আপনার একটি উপায় থাকবে। আপনার পরিস্থিতিকে আপনার উপর আধিপত্য বিস্তার করতে দেবেন না। আপনি তাদের মধ্যে থেকেই অনুশীলন করতে পারেন। আপনি অনুশীলনের এমন একটি উপায় খুঁজে পেতে পারেন যা অন্যের সাথে বিব্রতকর বা অনুপযুক্তি তৈরি করবে না। আপনি একা থাকুন বা অন্যের সাথে নিযুক্ত থাকুন, আপনি আজ অনুশীলন করতে পারেন। প্রতি ঘন্টা শুরুতে অনুশীলন করুন। শোনার অনুশীলন করুন। অনুশীলন করুন উপস্থিত থাকার। সত্যিকার শোনার অর্থ হল যে আপনি বিচার করছেন না। এর অর্থ আপনি পর্যবেক্ষণ করছেন। মনে রাখবেন, আপনি মনের একটি অনুষদ বিকাশ করছেন যা আপনার জ্ঞানের শ্রেষ্ঠত্ব প্রদান এবং গ্রহণ করতে সক্ষম হবার জন্য প্রয়োজনীয় হবে।

অনুশীলন ৬২: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন

ধাপ ৬৩

পর্যালোচনা

আগের মতো, আপনার পর্যালোচনায় গত সপ্তাহের অনুশীলনটি পর্যালোচনা করুন এবং আপনার জড়িত থাকার পরিমাণ এবং এটি কীভাবে বর্ধিত এবং উন্নত করা যেতে পারে তা শিখুন। এই সপ্তাহে আপনার অনুশীলন প্রসারিত করা হয়েছে। আপনার মানসিক অবস্থা যাই হোক না কেন, যারা আপনাকে প্রভাবিত করে এবং আপনি যেখানেই থাকুন না কেন এবং আপনি যা করছেন তা যাই হোক না কেন, সব ধরনের পরিস্থিতিতে প্রয়োগ করার জন্য আপনার সাথে বিশ্বের মধ্যে এটি গ্রহণ করা হয়েছে। এইভাবে, সবকিছু আপনার অনুশীলনের অংশে পরিণত হয়। পৃথিবী, তারপরে ভীতিজনক জায়গা হওয়ার পরিবর্তে যা আপনাকে নিপীড়ন করে, জ্ঞান চাষাবাদ করার জন্য একটি দরকারী জায়গা হয়ে ওঠে।

আপনি যখন আপনার সংবেদনশীল পরিস্থিতি নির্বিশেষে অনুশীলন করতে সক্ষম হন তখন আপনাকে যে শক্তি দেওয়া হয়েছিল তা অনুধাবন করুন, কারণ আপনি নিজের আবেগের চেয়ে বেশি, এবং এটি উপলব্ধি করার জন্য আপনার তাদের দমন করার দরকার নেই। আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ রাজ্যের সাথে উদ্দেশ্য হয়ে ওঠার জন্য, আপনাকে অবশ্যই এমন একটি অবস্থান থেকে পরিচালনা করতে হবে যেখানে আপনি তাদের পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন এবং যেখানে আপনি তাদের দ্বারা প্রভাবিত নন। এটি আপনাকে নিজের কাছে উপস্থিত হতে দেয় এবং আপনাকে সত্যিকারের মমতা এবং বোঝাপড়া দেয়। তাহলে আপনি নিজের সাথে অত্যাচারী হবেন না এবং আপনার জীবনে জুলুম-অত্যাচার শেষ হয়ে আসবে।

আপনার এক দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কালে, পূর্বের সপ্তাহটিকে নিন্দা ছাড়াই যথাসম্ভব সাবধানতার সাথে মূল্যায়ন করুন। মনে রাখবেন আপনি কীভাবে অনুশীলন করতে হয় তা শিখছেন। মনে রাখবেন আপনি নিজের দক্ষতা বিকাশ করতে শিখছেন। মনে রাখবেন আপনি একজন ছাত্র। শুরুর শিক্ষার্থী হোন, কারণ প্রথম দিকের শিক্ষার্থী কিছুটা অনুমান করে এবং সব কিছু শিখতে চায়।

অনুশীলন ৬৩: এক দীর্ঘ অনুশীলন সময়।

ধাপ ৬৪

আজ আমি অন্যকে শুনব।

আজ তিনটি পৃথক ঘটনায়, অন্যকে শোনার অনুশীলন করুন। মূল্যায়ন ছাড়াই এবং বিচার ছাড়াই শুনুন। আপনার মনকে অন্য কিছুতে বিভ্রান্ত করা ছাড়া শুনুন। সহজভাবে শুনুন। আজ তিনটি পৃথক ব্যক্তির সাথে অনুশীলন করুন। শোনার অনুশীলন করুন। আপনি যখন শুনবেন তখন নীরব থাকুন। তাদের কথা অতিক্রম করে শোনার চেষ্টা করুন। তাদের উপস্থিতির বাইরে দেখার চেষ্টা করুন। তাদের উপর চিত্র প্রজেক্ট করবেন না। শুধু শুনুন।

আজ অভ্যাস করছেন অন্যের কথা শোনার। তারা যা বলছে তাতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না। তাদের সাথে অনুশীলনের জন্য আপনাকে যদি তাদের সাথে সরাসরি কথা বলতে হয় তবে তাদের কাছে আপনার অনুচিত প্রতিক্রিয়া দেওয়ার দরকার নেই। আপনি আপনার কথোপকথনে পুরো মন জড়িয়ে রাখবেন। কথা না বলে শোনার অনুশীলন করার জন্য সময় নিন। অন্যদের আপনার কাছে প্রকাশ করতে অনুমতি দিন। আপনি দেখতে পাবেন যে তাদের কাছে আপনার জন্য আরও বৃহত্তর যোগাযোগ রয়েছে আপনার প্রথম প্রত্যাশার চেয়ে। আপনার এটিকে আকার দেওয়ার দরকার নেই। কেবল আজ শোনার অনুশীলন করুন যাতে আপনি জ্ঞানের উপস্থিতি শুনতে পান।

অনুশীলন ৬৪: তিনটি অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৬৫

আমি বিশ্বে কাজ করতে এসেছি।

আপনি বিশ্বে এসেছেন কাজ করতে। আপনি বিশ্বে এসেছেন শিখতে এবং অবদান রাখতে। আপনি বিশ্রামের জায়গা থেকে কাজের জায়গায় এসেছেন। কাজটি শেষ হয়ে গেলে আপনি বিশ্রামের জায়গায় বাড়ি চলে যাবেন। এটি একমাত্র জানা যাবে, এবং আপনার জ্ঞান এটি আপনার কাছে প্রকাশ করবে যখন আপনি প্রস্তুত হবেন।

আপাতত, ঘন্টা কালীন অনুশীলন করুন। নিজেকে বলুন যে আপনি এই পৃথিবীতে কাজ করতে এসেছেন এবং তারপরে এই বাস্তবতাটি অনুভব করতে কিছুক্ষণ সময় নিন। আপনার কাজটি আপনার বর্তমান কর্মসংস্থানের চেয়ে বৃহত্তর। আপনার কাজটি আপনি বর্তমানে মানুষ এবং মানুষের জন্য যা করার চেষ্টা করছেন তার থেকেও বৃহত্তর। আপনি নিজের জন্য যা করার চেষ্টা করছেন তার চেয়ে আপনার কাজটি বৃহত্তর। উপলব্ধি করুন যে আপনার কাজটি কী তা আপনি জানেন না। এটি আপনার কাছে প্রকাশিত হবে এবং এটি আপনার জন্য বিকশিত হবে, তবে আজকে বুঝতে পারেন যে আপনি পৃথিবীতে এসেছেন কাজের জন্য। এটি আপনার শক্তি, আপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার গন্তব্যকে নিশ্চিত করবে। এটি আপনার সত্যিকারের বাড়ির বাস্তবতাকে নিশ্চিত করবে, যেখান থেকে আপনি নিজের উপহার নিয়ে এসেছেন।

অনুশীলন ৬৫: প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৬৬

আমি বিশ্ব সম্পর্কে অভিযোগ করা বন্ধ করব।

বিশ্ব সম্পর্কে অভিযোগ করার অর্থ বিশ্বটি আপনার আদর্শবাদের সাথে মিলছে না। বিশ্ব সম্পর্কে অভিযোগ করার অর্থ আপনি এখানে যে কাজ করতে এসেছেন তা আপনি চিনতে পারছেন না। বিশ্বের সম্পর্কে অভিযোগ আপনাকে এর ভবিষ্যদ্বাণীগুলি বুঝতে সহায়তা করে না। বিশ্ব সম্পর্কে অভিযোগ করার অর্থ আপনি বিশ্বটি ঠিক যেমন বুঝতে তেমন বুঝতে পারেন না। আপনার অভিযোগগুলি ইঙ্গিত দেয় যে কিছু প্রত্যাশা হতাশ হয়েছে। আপনার বিশ্বটি যেমন ঠিক তেমন বুঝতে এবং নিজেকে সত্যই বুঝতে এই হতাশাগুলি আপনার জন্য প্রয়োজনীয়।

আজ প্রতি ঘন্টায় নিজের কাছে এই নিশ্চয়তা দিন এবং তারপরে অনুশীলন করুন। প্রতি ঘন্টায় এক মিনিট সময় ব্যয় করুন বিশ্ব সম্পর্কে অভিযোগ না করে। ঘন্টাকে অযত্নে যেতে না দিয়ে, অনুশীলনের জন্য উপস্থিত থাকুন। অন্যরা কী পরিমাণ বিশ্ব সম্পর্কে অভিযোগ করে এবং এটি তাদেরকে কতটা কম দেয় এবং এটি বিশ্বকে কতটা কম দেয় তা সনাক্ত করুন। যারা এর মধ্যে বাস করে তারা ইতিমধ্যে বিশ্বের নিন্দা করেছে। যদি এটি ভালবাসা এবং চাষ করা হয় তবে এর পূর্বাভাসগুলি অবশ্যই স্বীকৃত হবে এবং তার সুযোগগুলি অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে। যখন এমন পরিবেশ দেওয়া হয় যেখানে জ্ঞান পুনরুদ্ধার করা যায় এবং অবদান রাখতে পারে সেখানে কে অভিযোগ করতে পারে? বিশ্বের কেবল জ্ঞান এবং জ্ঞানের প্রকাশ প্রয়োজন। কীভাবে এটি নিন্দার যোগ্য হতে পারে?

অনুশীলন ৬৬: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৬৭

আমি জানি না আমি পৃথিবীর জন্য কী চাই।

আপনি বিশ্বের জন্য কী চান তা আপনি জানেন না কারণ আপনি বিশ্বকে বুঝতে পারেন না এবং আপনি এখনও এর দুর্দশা দেখতে সক্ষম হননি। আপনি যখন বুঝতে পারেন যে আপনি বিশ্বের জন্য কী চান তা জানেন না, এটি আপনাকে অনুপ্রেরণা এবং বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করার, আবার দেখার সুযোগ দেয়। এটি আপনার বোঝার জন্য প্রয়োজনীয়। এটি আপনার সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। বিশ্ব কেবল তখনই হতাশ হবে যদি এটির ভুল বোঝাবুঝি হয়। আপনার যদি ভুল বোঝাবুঝি হয় তবে আপনি নিজেকে হতাশ করবেন। আপনি বিশ্বে এসেছেন কাজ করতে। এটি আপনাকে যে সুযোগ দেয় তার স্বীকৃতি দিন।

সকল পরিস্থিতিতে আজ প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন করুন। প্রতিজ্ঞাটি বলুন এবং তারপর এর সত্যকে উপলব্ধি করার চেষ্টা করুন। আপনি জানেন না যে আপনি বিশ্বের জন্য কী চান তবে আপনার জ্ঞান জানে এটির কী অবদান রাখতে হবে। আপনি বিশ্বের জন্য আপনার নিজের ডিজাইন দিয়ে জ্ঞান প্রতিস্থাপন করার চেষ্টা ছাড়া, জ্ঞান কোনও বাধা ছাড়াই নির্দ্বিধায় নিজেকে প্রকাশ করবে, এবং আপনি এবং বিশ্ব তার উপহারগুলির মহান সুবিধাভোগী হয়ে উঠবেন।

অনুশীলন ৬৭: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৬৮

আমি আজ নিজের প্রতি বিশ্বাস হারাব না।

আজকে নিজের মধ্যে বিশ্বাস হারাবেন না। আপনার অনুশীলন বজায় রাখুন। আপনার শিখার ইচ্ছা বজায় রাখুন। সিদ্ধান্ত ছাড়াই থাকুন। এখানে খোলামেলা এবং দুর্বলতা আছে। আপনার নিজেকে শক্তিশালী করার প্রচেষ্টা ছাড়াই সত্য বিদ্যমান রয়েছে। নিজেকে এটির প্রাপক হতে অনুমতি দিন।

আজ প্রতিটি ঘন্টার উপর অনুশীলনে নিজেকে মনে করিয়ে দিন যে আপনি আজ নিজের উপর বিশ্বাস হারাবেন না। জ্ঞানের উপর, আপনার শিক্ষকদের উপস্থিতিতে, জীবনের উপকারে বা পৃথিবীতে আপনার মিশনে বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবেন না। এই সমস্ত বিষয়গুলো নিশ্চিত করার জন্য অনুমতি দিন যাতে তারা সময়মতো সম্পূর্ণরূপে আপনার কাছে প্রকাশ করতে পারে। আপনি যদি তাদের কাছে উপস্থিত হন তবে এগুলি আপনার কাছে এতটাই স্পষ্ট হয়ে উঠবে যে আপনি তাদের সব কিছু দেখতে পাবেন এবং অনুভব করতে পারবেন। আপনার দুনিয়ার দৃষ্টিভঙ্গি রূপান্তরিত হবে। আপনার বিশ্বের অভিজ্ঞতা রূপান্তরিত হবে। আর আপনার ক্ষমতা ও শক্তি সবই ঐক্যবদ্ধ হবে নিজেকে প্রকাশ করার জন্য।

আজকে নিজের মধ্যে বিশ্বাস হারাবেন না।

অনুশীলন ৬৮: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৬৯

আজ আমি নিরবতা অনুশীলন করব।

আপনার আজ ৩০ মিনিটের দুটি অনুশীলনের সময়গুলিতে নিরবতা অনুশীলন করুন। আপনার ধ্যান গভীর হতে দিন। এতে নিজেকে দিন। দাবি এবং অনুরোধের সাথে ধ্যানে প্রবেশ করবেন না। এতে নিজেকে দিতে ধ্যানে প্রবেশ করুন। এটা আপনার মধ্যে প্রকৃত আত্মার মন্দির যার কাছে আপনি নিজেকে নিয়ে আসেন। আপনার অনুশীলনের সময়কালে, উপস্থিত থাকুন এবং স্থির থাকুন। শূন্যতার বিলাসিতায় নিজেকে স্নান করার অনুমতি দিন। কারণ ঈশ্বরের উপস্থিতি প্রথমে শূন্যতার হিসাবে অভিজ্ঞতা লাভ করে কারণ এতে চলাচলের অভাব রয়েছে এবং তারপরে এই শূন্যতার মধ্যে আপনি এমন উপস্থিতি অনুভব করতে শুরু করবেন যা সমস্ত জিনিসকে ঘিরে ধরে এবং জীবনের সমস্ত অর্থ দেয়।

আজ নিরবতা অনুশীলন করুন যাতে আপনি জানতে পারেন।

অনুশীলন ৬৯: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৭০

পর্যালোচনা

আজ দশ সপ্তাহ অনুশীলনের সমাপ্তি হল।  অভিনন্দন! আপনি এ পর্যন্ত এসেছেন। একজন সত্যিকারের ছাত্র হওয়ার অর্থ হল যে পদক্ষেপগুলি দেওয়া হয়েছে তা আপনি অনুসরণ করছেন। এটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিজেকে সম্মান করতে শিখতে হবে, আপনার নির্দেশের উৎসকে সম্মান করতে হবে, আপনার সীমাবদ্ধতাগুলি সনাক্ত করতে হবে এবং আপনার শ্রেষ্ঠত্বকে মূল্য দিতে হবে। সুতরাং এটি হচ্ছে আপনার জন্য সম্মানের দিন এবং আপনার স্বীকৃতির দিন।

আগের তিন সপ্তাহের পর্যালোচনাগুলো অনুশীলন করুন। নির্দেশাবলী পুনরায় পড়ুন এবং প্রতিটি অনুশীলনের সময়কালের স্মরণ করুন। আপনি কী দিয়েছিলেন এবং কী দেননি তা স্মরণ করুন। আপনার অংশগ্রহণকে সম্মান করুন এবং আজ এটি আরও জোরদার করার প্রয়াস করুন। জ্ঞান অর্জনের জন্য আপনার দৃড়তা আরও গভীর করুন এবং সত্য অনুসারী হওয়ার অভিজ্ঞতাটি আরও গভীর করুন যাতে ভবিষ্যতে আপনি সত্য নেতা হতে শিখতে পারেন। সত্যিকারের প্রাপক হওয়ার জন্য আপনার অভিজ্ঞতা আরও গভীর করুন যাতে আপনি একজন সত্যিকারের দাতা হতে পারেন।

এই দিনটি পর্যালোচনা করা যাক, অতএব, আপনার জন্য একটি সম্মানের দিন হবে এবং এমন এক দিন যা আপনার প্রতিশ্রুতি জোরদার করে। আপনার অংশগ্রহণকে আন্তরিকভাবে মূল্যায়ন করুন। আপনার আপাত সাফল্য এবং ব্যর্থতা মূল্যায়ন করুন। আপনার অভিজ্ঞতাকে আরও গভীর করতে আপনার সাফল্যগুলি আপনাকে উত্সাহিত করবে এবং আপনার ব্যর্থতাগুলো আপনাকে কী করতে হবে তা শিখিয়ে দেবে। যারা সম্মানিত এটি তাদের জন্য সম্মানের দিন।

অনুশীলন ৭০: বেশ দীর্ঘ অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৭১

আমি এখানে আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্য পালনের জন্য এসেছি ।

আপনি নিছক বেঁচে থাকা এবং যে বিষয়গুলির প্রতি সন্তুষ্ট হতে পারেন তার সন্তুষ্টি ছাড়াই আপনি এখানে আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্য পালনের জন্য এসেছেন। এটি সত্য কারণ আপনার একটি আধ্যাত্মিক প্রকৃতি রয়েছে। আপনার একটি আধ্যাত্মিক উৎস এবং একটি আধ্যাত্মিক গন্তব্য রয়েছে। এই জীবনে আপনার ব্যর্থতা হ’ল আপনার আধ্যাত্মিক প্রকৃতির প্রতি প্রতিক্রিয়া জানাতে ব্যর্থতা, যা আপনার বিশ্বের ধর্মগুলি দ্বারা বিকৃত এবং অপব্যবহার করা হয়েছে, যা আপনার বিশ্বের বিজ্ঞান দ্বারা অবহেলিত এবং অস্বীকার করা হয়েছে। আপনার একটি আধ্যাত্মিক স্বভাব আছে। আপনার সেবা করার বৃহত্তর উদ্দেশ্য রয়েছে। আপনি যখন এই উদ্দেশ্যে আপনার ঝোঁককে বিশ্বাস করেন,তখন আপনি এর কাছাকাছি আসতে সক্ষম হবেন। যখন আপনি আত্মবিশ্বাস অনুভব করেন যে এটি ভালবাসার সত্যিকারের উৎসকে উপস্থাপন করে, তখন আপনি এটির জন্য নিজেকে উন্মুক্ত করতে শুরু করবেন এবং এটি আপনার জন্য দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন হবে।

আজ আপনার দুটি ধ্যান চর্চার সময়সীমার মধ্যে, আপনার জীবনে ভালবাসার উপস্থিতিতে নিজেকে উন্মুক্ত করার অনুমতি দিন। নিঃশব্দে বসে গভীরভাবে শ্বাস নিন, নিজেকে সত্যিকারের ভালবাসার উপস্থিতি অনুভব করুন, যা আপনার জীবনে বৃহত্তর উদ্দেশ্যের উপস্থিতিকে বোঝায় ।

অনুশীলন ৭১: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৭২

আজ আমি আমার গভীর প্রবণতার উপর ভরসা করব।

আপনার গভীর প্রবণতার উপর ভরসা করুন কারন তারা বিশ্বস্ত, তবে আপনাকে অবশ্যই তাদের বুঝতে এবং তাদের অন্যান্য অনেক বাসনা, বাধ্যবাধকতা এবং আকাঙ্ক্ষার থেকে আলাদা করতে শিখতে হবে যা আপনি অনুভব করেন এবং আপনাকে প্রভাবিত করে। আপনি কেবল অভিজ্ঞতার মাধ্যমে এটি শিখতে পারেন। আপনি এটি শিখতে পারেন কারণ আপনার গভীর প্রবণতা সর্বদা আপনাকে অর্থপূর্ণ সম্পর্কের দিকে নিয়ে যায় এবং বিচ্ছিন্নতা বা বিভাজনমূলক ব্যস্ততা থেকে দূরে রাখে। এটি শিখতে আপনার অবশ্যই এটি অনুশীলন করতে হবে, এবং এতে সময় লাগবে, তবে এই দিকটিতে করা আপনার প্রতিটি পদক্ষেপ আপনাকে জীবনের প্রেমের উৎসের কাছাকাছি নিয়ে আসবে এবং আপনাকে এমন বৃহত্তর শক্তি প্রদর্শন করবে যা আপনাকে অবশ্যই পরিবেশন করবে যা আপনাকে অবশ্যই পরিবেশন করতে হবে এবং যা আপনাকে অবশ্যই গ্রহন করতে শিখতে হবে।

আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময়, নিরবতা এবং নিস্তব্ধতায়, এই বৃহত্তর শক্তিটি গ্রহণ করুন এবং আপনার গভীরতম প্রবৃত্তির উপর আস্থা রাখুন। এই দুটি অনুশীলনের সময়ে আপনি নিজেকে সম্পূর্ণ মনোযোগ দেওয়ার অনুমতি দিন এবং অন্যান্য সমস্ত বিষয়কে পরবর্তীতে বিবেচনার জন্য আলাদা করে রাখুন। আপনি নিজেকে গভীরতম প্রবণতাগুলি সনাক্ত করতে অনুমতি দিন, যার উপর আপনার ভরসা রাখতে হবে।

অনুশীলন ৭২: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ  ৭৩

আমি আমার ত্রুটিগুলোকে অনুমতি দেব আমাকে শেখাতে।

যদি আপনি আপনার ভুলগুলিকে শেখাতে অনুমতি দেন তবে এটি তাদের অর্থ প্রদান করবে। অন্যথায়, আপনার ভুলগুলির কোনও মূল্য থাকবে না এবং এটি আপনার বিরুদ্ধে পরিচালিত হবে। সুতরাং, পাঠ হিসাবে ত্রুটিগুলির ব্যবহার হ’ল আপনার মহত্ত্বের পথ নির্দেশ করার জন্য নিজের সীমাবদ্ধতার ব্যবহার। ঈশ্বরের ইচ্ছা আপনার ত্রুটিগুলি থেকে শিখুন যাতে আপনি ঈশ্বরের মাহাত্ম্য শিখতে পারেন। এটি আপনাকে হেয় করার জন্য নয়, বরং আপনাকে উন্নীত করার জন্য করা হয়। আপনি অতীতে অনেক ভুল করেছেন এবং কিছু ত্রুটি রয়েছে যা আপনি এখনও করতে পারেন। ক্ষতিকারক ত্রুটির পুনরাবৃত্তি থেকে রক্ষা পেতে এবং ত্রুটি থেকে শিখতে পারতে আমরা আপনাকে এখনই নির্দেশ দিতে চাই।

আজকের দিনের প্রতিটি ঘন্টায়, নিজের কাছে পুনরাবৃত্তি করুন যে আপনি নিজের ত্রুটিগুলি থেকে শিখতে চান এবং এর অর্থ কী একটি মুহূর্তের জন্য অনুভব করুন। সুতরাং, আজ প্রচুর অনুশীলনের মধ্য দিয়ে, আপনি যে বিবৃতি দিচ্ছেন তা বুঝতে শুরু করবেন এবং সম্ভবত এটি কীভাবে আনা যায় তা বুঝতে পারবেন। আপনি যদি নিজের ত্রুটিগুলি থেকে শিখতে চান তবে তাদের চিনতে আপনি এতটুকু ভয় পাবেন না। তারপরে আপনি তাদের বোঝার ইচ্ছা রাখবেন, তাদের অস্বীকার করবেন না, তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দেবেন না, অন্য নামে ডাকবেন না, বরং নিজের সুবিধার্থে তাদের স্বীকার করবেন। এই স্বীকৃতি থেকে, আপনি জ্ঞান পুনরুদ্ধারে অন্যকে সহায়তা করতে সক্ষম হবেন, কারণ তাদেরও তাদের ত্রুটিগুলি থেকে কীভাবে শিখতে হবে তা শিখতে হবে।

অনুশীলন ৭৩: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৭৪

আজ শান্তি আমার সাথে থাকবে। 

আজ আপনার সাথে শান্তি থাকবে। শান্তিতে থাকুন এবং এর আশীর্বাদ গ্রহণ করুন। আপনাকে বিরক্ত করে এমন সব কিছু নিয়ে শান্ত হন। আপনার ভারী বোঝা নিয়ে আসুন।  উত্তর খুঁজতে আসবেন না। বুঝতে চাইতে আসবেন না।  এর আশীর্বাদ নিতে আসুন। শান্তি সংঘাতের জীবনে হস্তক্ষেপ করতে পারে না তবে আপনি শান্তির জীবনে প্রবেশ করতে পারেন। আপনি শান্তিতে ফিরে আসুন, যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে এবং এতে আপনার বোঝা মুক্তি পাবে।

আপনার দীর্ঘ দুটি অধিবেশন চলাকালীন, শান্তি প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে অভ্যন্তরীণ নীরবতায় অনুশীলন করুন। নিজেকে এই উপহারটি গ্রহণ করার মঞ্জুরি দিন এবং যদি কোনও ভাবনা আপনাকে বিভ্রান্ত করে তবে নিজেকে আপনার মূল্য: আপনার জ্ঞানের মূল্য এবং আপনার “আমি” এর মূল্য মনে করিয়ে দিন। এখনই জানুন যে আপনি নিজের ভুল থেকে শিখতে ইচ্ছুক এবং তাদের সাথে আপনাকে সনাক্ত করার দরকার নেই, তবে সেগুলি্কে কেবল আপনার স্ব-বিকাশের জন্য একটি মূল্যবান উত্স হিসাবে ব্যবহার করুন, যেন তারা আপনার জন্য উপযুক্ত হতে পারে।

অনুশীলন করুন, তারপর গ্রহণ করুন। আজ আরও কিছুটা খুলুন। যদি প্রয়োজন হয় তবে আপনি পরবর্তী বিবেচনার জন্য এমন সমস্ত বিষয়গুলিকে আলাদা করে রাখুন। শান্তি আজ আপনার সাথে থাকবে। আজ শান্তিতে থাকুন।

অনুশীলন ৭৪: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৭৫

আজ আমি আমার স্ব শুনব।

আজ আপনার নিজের কথা শুনুন, আপনার মধ্যে ক্ষুদ্রতর স্ব কে নয় যা অভিযোগ ও উদ্বেগ ও বিস্ময় প্রকাশ করে এবং কিছু চেয়ে থাকে, তবে আপনার মধ্যে উচ্চতর স্ব শুনুন। আপনার মধ্যে উচ্চতর স্ব শুনুন, যা জ্ঞান, যা আপনার আধ্যাত্মিক শিক্ষকদের সাথে যুক্ত, যা আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারের সাথে যুক্ত এবং যাতে আপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার জীবনের প্রতি আহ্বান রয়েছে। শোনার জন্য প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না, তবে শুনতে শিখুন। এবং আপনার শ্রুতি সময়ের সাথে গভীর হওয়ার সাথে সাথে, যখনই এটি প্রয়োজন হবে তখনই আপনার সত্য স্ব আপনার সাথে কথা বলবেন, এবং আপনি তখন শুনতে এবং বিভ্রান্তি ছাড়াই প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম হবেন।

আজ আপনার দু’টি অনুশীলনের সময়, নিজের স্ব শোনার অনুশীলন করুন। এখানে কোন প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করবেন না। এর কোন প্রয়োজন নেই। আপনার শোনার দক্ষতা বিকাশ করতে হবে। আপনার সত্যিকারের স্ব আজ শুনুন যাতে আপনি ঈশ্বর কি জানেন এবং কি পছন্দ করেন তা শিখতে পারেন।

অনুশীলন ৭৫: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৭৬

আজ আমি অন্যকে বিচার করব না।

বিচার ছাড়াই আপনি দেখতে পারবেন। বিচার ছাড়াই আপনি শিখতে পারবেন। বিচার ছাড়াই আপনার মন উন্মুক্ত হয়ে যাবে। বিচার ছাড়াই আপনি নিজেকে বুঝতে পারবেন। বিচার ছাড়াই আপনি অন্যকে বুঝতে পারবেন।

আজ প্রতিটি ঘন্টায়, আপনি নিজেকে এবং আপনার চারপাশের বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করার সাথে সাথে এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন। এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এর প্রভাব অনুভব করুন। আপনার রায়গুলি কয়েক মুহুর্তের জন্য প্রকাশ করুন এবং তারপরে তার বিপরীতে এবং অভিজ্ঞতাটি অনুভব করুন যা এটি আপনাকে সরবরাহ করবে। আজ আর কোন বিচার করবেন না। অন্যদের স্ব কে নিজের কাছে প্রকাশ করার অনুমতি দিন। বিচার ব্যতিরেকে আপনি আপনার কাঁটার মুকুটের নীচে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন না। বিচার ছাড়াই আপনি আপনার শিক্ষকদের আপনাকে সহায়তা করার উপস্থিতি অনুভব করবেন।

আপনার প্রতি ঘন্টার অনুশীলনগুলিকে সামঞ্জস্য হতে দিন। যদি এক ঘন্টা বাদ পড়ে যায় তবে নিজেকে ক্ষমা করুন এবং নিজেকে আবার নতুন করে নিবেদিত করুন। ত্রুটিগুলি হল আপনাকে শেখানোর জন্য, আপনাকে শক্তিশালী করা এবং আপনাকে যা শেখার দরকার তা আপনাকে দেখানোর জন্য।

অন্যেরা যা করে তা সত্ত্বেও, সে কীভাবে আপনার সংবেদনশীলতাকে, আপনার ধারণাগুলিকে বা আপনার মূল্যবোধকে ঘৃণা করে তা সত্ত্বেও, আজ আর অন্যকে কোন বিচার করবেন না।

অনুশীলন ৭৬: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৭৭

পর্যালোচনা

আজ আপনার পর্যালোচনাতে, আবার গত সপ্তাহের অনুশীলন এবং নির্দেশের পর্যালোচনা করুন। আবার নিজের মধ্যে থাকা গুণাবলী যা আপনাকে আপনার প্রস্তুতির ক্ষেত্রে সহায়তা করে এবং নিজের মধ্যে থাকা গুণাবলী যা আপনার প্রস্তুতিটিকে আরও কঠিন করে তোলে তা পরীক্ষা করুন। এই বিষয়গুলি নিরপেক্ষভাবে পর্যবেক্ষণ করুন। নিজের সেই দিকগুলো শক্তিশালী করতে শিখুন যা জ্ঞান পুনরুদ্ধার করতে আপনার অংশগ্রহণকে উৎসাহিত ও শক্তিশালী করে, এবং সেই গুণগুলো সামঞ্জস্য বা সংশোধন করতে শিখুন যা হস্তক্ষেপ করে। প্রজ্ঞা পাওয়ার জন্য আপনাকে অবশ্যই উভয়কে চিনতে হবে। আপনাকে অবশ্যই সত্য শিখতে হবে এবং অবশ্যই ত্রুটি সম্পর্কে শিখতে হবে। আপনাকে অবশ্যই এটি অগ্রগতির জন্য করতে হবে এবং অন্যের সেবা করার জন্য আপনাকে এটি করতে হবে। আপনি যদি ত্রুটি সম্পর্কে না জানেন এবং নিরপেক্ষভাবে এটি দেখতে না পারেন এবং এটি কীভাবে উদ্ভূত হয়েছে এবং কীভাবে এ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় তা আপনি বুঝতে পারবেন না – যতক্ষণ না আপনি এই বিষয়গুলি শিখেন — আপনি কীভাবে অন্যের সেবা করবেন জানেন না এবং তাদের ত্রুটিগুলি আপনাকে ক্রুদ্ধ করবে এবং আপনাকে হতাশ করবে। জ্ঞানের সঙ্গে আপনার প্রত্যাশা অন্যের প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখবে। জ্ঞানের সাহায্যে আপনি কীভাবে সেবা করবেন তা শিখবেন এবং কীভাবে নিন্দা করবেন তা আপনি ভুলে যাবেন।

অনুশীলন ৭৭: একটি দীর্ঘকালীন অনুশীলন।

ধাপ ৭৮

আমি একা কিছু করতে পারি না।

আপনি একা কিছু করতে পারবেন না, কারণ আপনি একা নন। এর চেয়ে বড় সত্য আপনি পাবেন না। তবুও, আপনি এমন কোনও সত্য খুঁজে পাবেন না যার জন্য আরও বেশি চিন্তাভাবনা এবং পরীক্ষা প্রয়োজন। এটিকে মুখের মূল্যে নেবেন না, কারণ এই সত্যটি খুব দুর্দান্ত। এটি আপনার অধ্যয়ন করা প্রয়োজন।

প্রতি ঘন্টায় আজ এই বিবৃতিটির পুনরাবৃত্তি এবং তার প্রভাব বিবেচনা করুন। সব পরিস্থিতিতে এটি করুন, কারণ আপনি প্রতিটি পরিস্থিতিতে কীভাবে শিখবেন, প্রতিটি পরিস্থিতিতে কীভাবে অনুশীলন করবেন, প্রতিটি পরিস্থিতিতে আপনার অনুশীলনকে কীভাবে উপকৃত করা যায় এবং আপনার অনুশীলন কীভাবে প্রতিটি পরিস্থিতিতে উপকৃত হতে পারে তা আপনি খুঁজে পাবেন।

আপনি একা কিছুই করতে পারবেন না এবং আপনার অনুশীলনে আজ আপনি আপনার আধ্যাত্মিক শিক্ষকদের সহায়তা পাবেন, যারা আপনাকে তাদের শক্তি দেবে। আপনি নিজের শক্তি দেওয়ার সাথে সাথে আপনি এটি অনুভব করবেন। আপনি নিজের থেকে আরও বড় শক্তি উপলব্ধি করতে পারবেন যে আপনাকে এগিয়ে যেতে, ভুল বোঝাবুঝির দুর্দান্ত পর্দা প্রবেশ করতে এবং আপনার জ্ঞানের উত্স এবং জীবনে আপনার সম্পর্কের উত্স উপলব্ধি করতে সক্ষম করবে। আপনার সীমাবদ্ধতাগুলি গ্রহণ করুন, একা আপনি কিছুই করতে পারবেন না, তবে জীবনের সাথে সমস্ত কিছু আপনাকে পরিবেশন করার জন্য দেওয়া হয়। জীবনের সাথে, আপনার প্রকৃত প্রকৃতিটি অন্যের সেবার ক্ষেত্রে মূল্যবান এবং মহিমান্বিত হয়।

অনুশীলন ৭৮: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৭৯

আমি আজ অনিশ্চয়তাকে থাকতে দেব।

অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকতে দেওয়া মানে প্রচুর বিশ্বাস রয়েছে। এর অর্থ হ’ল নিশ্চয়তার আরেকটি রূপ উদয় হচ্ছে। আপনি যখন অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকতে দেন, তার অর্থ হল আপনি সৎ হয়ে উঠছেন, কারণ সত্যই আপনি অনিশ্চিত। অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকতে দেয়ায় আপনি ধৈর্যশীল হয়ে উঠছেন, কারণ আপনার নিশ্চিততা ফিরে পেতে ধৈর্য দরকার। অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকতে দেয়ায় আপনি সহনশীল হয়ে উঠছেন। আপনি বিচার থেকে সরে যাচ্ছেন এবং আপনার মধ্যে এবং আপনার চারপাশের জীবনের সাক্ষী হয়ে উঠছেন। আজই অনিশ্চয়তা গ্রহণ করুন যাতে আপনি শিখতে পারেন। অনুমান না করেই আপনি জ্ঞানের সন্ধান করবেন। বিচার ছাড়াই, আপনি নিজের সত্যিকারের প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করতে পারবেন।

আজ প্রতিটি ঘন্টা অবধি, আজকের বক্তব্যটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এর অর্থ কী তা পরীক্ষা করুন। এটি আপনার নিজের অনুভূতি থেকে পরীক্ষা করুন এবং আপনার চারপাশের বিশ্বে আপনি যা দেখেন তার আলোকে এটি পরীক্ষা করুন। আপনি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত অনিশ্চয়তা বিদ্যমান থাকবে। আপনি যদি এটির অস্তিত্বের অনুমতি দেন তবে আপনি ঈশ্বরকে আপনার সেবা করার অনুমতি দিতে পারেন।

অনুশীলন ৭৯: প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৮০

আমি কেবল অনুশীলন করতে পারি।

আপনি কেবল অনুশীলন করতে পারেন। জীবন হল অনুশীলন। আমরা কেবল আপনার অনুশীলনকে পুনর্নির্দেশ করছি যাতে এটি আপনাকে পরিবেশন করে এবং যাতে এটি অন্যের সেবা করে। আপনি বারবার অনুশীলন করেন, আপনি বারবার বিভ্রান্তি অনুশীলন করেন, আপনি রায় অনুশীলন করেন, আপনি দোষের অনুমানের অনুশীলন করেন, আপনি অপরাধবোধ অনুশীলন করেন, আপনি বিচ্ছিন্নতা অনুশীলন করেন এবং আপনি অসঙ্গতি অনুশীলন করেন। আপনি আপনার রায়গুলি প্রয়োগ করে চালিয়ে যাওয়ার দ্বারা দৃঢ় হন। আপনি আপনার অনিশ্চয়তাগুলিকে জোর দিয়েই চালিয়ে যান। আপনি নিজের স্ব-বিদ্বেষকে এটিকে চালিয়ে যাওয়ার দ্বারা অনুশীলন কর। আপনি আপনার আত্মবিদ্বেষ চর্চা করেন এর প্রভাব দ্বারা অব্যাহত রেখে।

আপনি যদি নিজের জীবনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে দেখে থাকেন তবে এক মুহুর্তের জন্য, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার পুরো জীবন হল অনুশীলন। অতএব, আপনি আপনার সুবিধার জন্য পাঠ্যক্রমে আছে কিনা তা বিবেচনা না করেই আপনি অনুশীলন করবেন। অতএব, আমরা এখনই অনুশীলন করতে পারে এমন একটি পাঠ্যক্রম দিয়েছি। এটি আপনাকে এমন অনুশীলনগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে যা বিভ্রান্ত ও শ্বাসরোধ করে তুলেছিল, যা আপনাকে বিবাদ করেছিল এবং যা আপনাকে ভুলে এবং বিপদে ফেলেছিল। আমরা আপনাকে একটি দুর্দান্ত অনুশীলন দিচ্ছি যাতে আপনি সেই জিনিসগুলি অনুশীলন করবেন না যা আপনার মূল্য এবং আপনার নিশ্চয়তাকে ক্ষুণ্ন করে।

আপনার আজকের দুটি অনুশীলন সময়ের মধ্যে, আপনি কেবল অনুশীলন করতে পারেন এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং তারপরে নীরবতা এবং গ্রহণযোগ্যতা অনুশীলন করুন। আপনার অনুশীলনকে শক্তিশালী করুন এবং আমরা যা বলছি তা আপনি নিশ্চিত করুন। আপনি কেবল অনুশীলন করতে পারেন। সুতরাং, ভালর জন্য অনুশীলন করুন।

অনুশীলন ৮০: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৮১

আমি আজ নিজেকে ফাঁকি দেব না।

প্রতি ঘন্টা শুরুতে, এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এর প্রভাব অনুভব করার চেষ্টা করুন। জ্ঞানের প্রতি আপনার প্রতিশ্রুতি জোরদার করুন। আত্ম-প্রতারণার আপাত স্বাচ্ছন্দ্যে পড়বেন না। কেবল অনুমান বা অন্যের বিশ্বাস নিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করবেন না। সাধারণতা সত্য হিসাবে গ্রহণ করবেন না। বাস্তবতার প্রতিনিধি হিসাবে অন্যদের উপস্থিতি গ্রহণ করবেন না। নিজের নিছক চেহারা গ্রহণ করবেন না। এই জিনিসগুলি করা প্রমাণ করে যে আপনি নিজের বা নিজের জীবনকে মূল্য দিচ্ছেন না এবং আপনি নিজের পক্ষে প্রচেষ্টা চালাতে খুব আগ্রহী নন।

জ্ঞান খুঁজতে আপনাকে অবশ্যই অনিশ্চয়তায় প্রবেশ করতে হবে। এর মানে কি? এর সহজ অর্থ হ’ল আপনি মিথ্যা অনুমান, স্বাচ্ছন্দ্যের ধারণা এবং স্ব-নিন্দার বিলাসিতা ত্যাগ করছেন। আত্ম নিন্দা কেন একটি বিলাসিতা? কারণ এটি করা সহজ এবং আপনার সত্য পরীক্ষা করার প্রয়োজন নেই। আপনি এটি গ্রহণ করেন কারণ এটি এই বিশ্বে গ্রহণযোগ্য, এবং এটি আপনাকে আপনার বন্ধুদের সাথে কথা বলার জন্য একটি দুর্দান্ত চুক্তি দেয়। এটি সহানুভূতি প্রকাশ করে। অতএব, এটি সহজ এবং দুর্বল।

আজ নিজেকে ফাঁকি দেবেন না। নিজেকে আপনার জীবনের রহস্য এবং সত্য পরীক্ষা করার অনুমতি দিন। আজ প্রতি ঘন্টায় আজকের ধারণার পুনরাবৃত্তি করুন এবং এর অর্থ কী তা অনুভব করুন। এছাড়াও আজ, দুটি দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কালে, বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং তারপরে নীরবতা এবং গ্রহণযোগ্যতার জন্য নিজেকে উত্সর্গ করুন। এতক্ষণে, আপনি কীভাবে নিস্তব্ধতার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করবেন তা শিখতে শুরু করেছেন। আপনার নিঃশ্বাস ব্যবহার করে, আপনার মনকে কেন্দ্রীভূত করা, চিন্তাভাবনা ত্যাগ করা এবং নিজেকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া যে আপনি এই জাতীয় প্রচেষ্টার জন্য যোগ্য। আপনি যে লক্ষ্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন তা নিজেকে স্মরণ করিয়ে দিন। আজ নিজেকে ফাঁকি দেবেন না। যা সহজ এবং বেদনাদায়ক তা হতে দেবেন না।

অনুশীলন ৮১: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৮২

আমি আজ অন্যকে কোন বিচার করব না।

আমরা আবার এই পাঠ অনুশীলন করব, যা আপনি এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে আমরা নির্দিষ্ট বিরতিতে পুনরাবৃত্তি করব। বিচার হল না জানার সিদ্ধান্ত। এটা না দেখার সিদ্ধান্ত। শুনতে না পারার সিদ্ধান্ত। স্থির না হওয়ার সিদ্ধান্ত। আপনার মনকে ঘুমিয়ে রাখে এবং আপনাকে বিশ্বজুড়ে হারিয়ে রাখে এমন একটি সুবিধাজনক চিন্তাভাবনা অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত। বিশ্ব ত্রুটি পূর্ণ। কিভাবে এর অন্যথায় হতে পারে? অতএব, এটিকে আপনার নিন্দা নয় তবে আপনার গঠনমূলক সহায়তার প্রয়োজন।

আজ আর অন্যকে বিচার করবেন না। প্রতি ঘন্টায় নিজেকে এটি মনে করিয়ে দিন এবং সংক্ষিপ্তভাবে এটি বিবেচনা করুন। আপনার দুটি ধ্যান অনুশীলনে নিজেকে এটি স্মরণ করিয়ে দিন, যেখানে আপনি এই বিবৃতি দেন এবং তারপরে নীরবতায় এবং গ্রহণযোগ্যতায় প্রবেশ করেন। আজ অন্যের বিচার করবেন না যাতে আপনি সুখী হতে পারেন। 

অনুশীলন ৮২: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৮৩

আমি সব কিছুর বাইরে জ্ঞানের মূল্য দেই।

আপনি যদি এই বিবৃতিটির গভীরতা এবং শক্তি অনুভব করতে পারেন তবে এটি আপনাকে সমস্ত ধরণের দাসত্ব থেকে মুক্ত করবে। এটি আপনার চিন্তার সমস্ত বিবাদ মুছে ফেলবে। এটি আপনার সমস্ত ঝামেলা ও আপনার বিভ্রান্তি সম্পূর্ণরূপে শেষ করবে। আপনি সম্পর্ককে আধিপত্যের রূপ বা শাস্তির রূপ হিসাবে দেখবেন না। এটি আপনাকে অন্যদের সাথে আপনার অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ নতুন উপলব্ধির ভিত্তি দেয়। এটি আপনাকে এমন একটি প্রসঙ্গ দেবে যার মধ্যে আপনি নিজের মতো করে আরও বেশি দৃষ্টিভঙ্গি বজায় রেখে মানসিক এবং শারীরিকভাবে নিজেকে বিকশিত করতে সক্ষম হবেন। আপনার দক্ষতার অপব্যবহার ছাড়া আপনাকে কী হতাশ করতে পারে? তবে অন্য লোকের দক্ষতার অপব্যবহার ছাড়া কি আপনাকে কষ্ট দেয় এবং রাগায়?

জ্ঞানকে মূল্যায়ন করুন। এটা আপনার বোঝার বাইরে। জ্ঞান অনুসরণ করুন। এটি আপনাকে এমন কোনও উপায়ে পরিচালিত করে যা আপনি কখনও অনুভব করেন নি। জ্ঞানকে বিশ্বাস করুন। এটি আপনাকে নিজের কাছে ফিরিয়ে আনে। সর্বদা উপলব্ধির আগে বিশ্বাস আসে। সর্বদা বিশ্বাসের আগে অংশগ্রহণ আসে। অতএব, জ্ঞানের সাথে অংশগ্রহণ করুন।

প্রতি ঘন্টায় আপনার স্বীকৃতি সম্পর্কে নিজেকে মনে করিয়ে দিন। খুব ধারাবাহিক হতে চেষ্টা করুন। আপনি অন্য সমস্ত কিছুর চেয়ে জ্ঞানকে মূল্যবান বলে জোর দেওয়ার জন্য আজকে ভুলে যাবেন না। আপনার দুটি ধ্যান চর্চায়, এই বিবৃতিটিকে একটি নিশ্চিতকরণ হিসাবে দিন এবং তারপরে, নিরবতায় নিজেকে নিজেকে গ্রহণ করার অনুমতি দিন। উত্তর বা তথ্য অর্জনের জন্য এই অভ্যাসগুলি ব্যবহার করবেন না, তবে নিজেকে শান্ত হতে দিন, কারণ একটি শান্ত মন সব কিছু শিখতে পারে এবং সমস্ত কিছু জানতে পারে। কথাগুলি কেবল যোগাযোগের একটি রূপ। আপনি এখন যোগাযোগ করতে শিখছেন, কারণ আপনার মন এখন আরও বৃহত্তর সমিতির জন্য উন্মুক্ত হবে। 

অনুশীলন ৮৩: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন।

ধাপ ৮৪

পর্যালোচনা

পূর্ববর্তী সপ্তাহের পদ্ধতিগুলি এবং নির্দেশাবলী পর্যালোচনা করুন। উদ্দেশ্যমূলকভাবে আপনার অগ্রগতি পর্যালোচনা করুন। আপনার পড়াশুনাটি কতটা দুর্দান্ত হবে তা অনুধাবন করুন। আপনার পদক্ষেপগুলি এখন ছোট, তবে তাত্পর্যপূর্ণ। ছোট পদক্ষেপগুলি আপনাকে সমস্ত পথে পরিচালিত করে। আপনি দুর্দান্ত লাফ দেবেন বলে আশা করা হয় না, তবুও প্রতিটি ছোট পদক্ষেপ একটি দুর্দান্ত লাফের মতো মনে হবে, কারণ এটি আপনাকে আগের চেয়ে অনেক বেশি উপহার দেবে। আপনার অভ্যন্তরীণ জীবন শুরু হওয়ার সাথে সাথে এবং আপনার উপর এটির আলোকপাত করতে শুরু করার সাথে সাথে আপনার বাহ্যিক জীবনকে পুনরায় সাজানোর অনুমতি দিন। আপনার ফোকাস বজায় রাখুন এবং আপনার বাহ্যিক জীবনে পরিবর্তন গ্রহণ করুন কারণ এটি আপনার সুবিধার জন্য দেওয়া হয়। জ্ঞান লঙ্ঘন করা হলেই ত্রুটির ইঙ্গিতটি আপনার কাছে প্রকাশিত হবে। এটি আপনাকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহন করতে নিয়ে যাবে। জ্ঞান যদি আপনার চারপাশের পরিবর্তনের দ্বারা বিরক্ত না হয় তবে আপনার বিরক্ত হওয়ার দরকার নেই। সময়মতো আপনি জ্ঞানের শান্তি অর্জন করবেন। আপনি এর শান্তি, এর নিশ্চয়তা এবং এর সত্য উপহারগুলিকে ভাগ করে নিবেন।

অতএব, আজ একটি দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কালে আপনার পর্যালোচনা পরিচালনা করুন। অত্যন্ত ঝোঁকের সাথে এবং বাছবিচারের সাথে পর্যালোচনা করুন। নিজেকে আপনার শেখার প্রক্রিয়ার স্বীকৃতি মিস করতে দেবেন না। অনুশীলন ৮৪: এক দীর্ঘ অনুশীলন সময়। 

ধাপ ৮৫

আমি আজ ক্ষুদ্র জিনিসগুলিতে সুখ খুজে পাই।

আপনি ক্ষুদ্র জিনিসগুলিতে সুখ পাবেন কারণ সুখ আপনার সাথে রয়েছে। আপনি ক্ষুদ্র জিনিসগুলিতে সুখ পাবেন কারণ আপনি নীরব হতে এবং পর্যবেক্ষণ করতে শিখছেন। আপনি ছোট জিনিসগুলিতে সুখ পাবেন কারণ আপনার মনটি গ্রহনযোগ্য হয়ে উঠছে। আপনি ছোট পরিস্থিতিতে সুখের অভিজ্ঞতা অর্জন করবেন কারণ আপনি আপনার বর্তমান পরিস্থিতিতে উপস্থিত রয়েছেন। আপনি যদি তাদের প্রতি মনোযোগী হন তবে ক্ষুদ্র জিনিসগুলি দুর্দান্ত বার্তাগুলি বহন করতে পারে। তারপরে ক্ষুদ্র জিনিসগুলি আপনাকে উত্যক্ত করবে না।

একটি নীরব মন হচ্ছে একটি সচেতন মন। স্থির মন এমন একটি মন যা শান্তিতে থাকতে শিখছে। শান্তি একটি নিষ্ক্রিয় অবস্থা নয়। এটি সর্বাধিক ক্রিয়াকলাপের একটি অবস্থা, কারণ এটি আপনার জীবনকে দুর্দান্ত উদ্দেশ্য এবং তীব্রতায় জড়িত করে, আপনার সমস্ত ক্ষমতা সক্রিয় করে এবং তাদেরকে অভিন্ন দিকনির্দেশ দেয়। এটি শান্তি থেকে আসে। ঈশ্বর স্থির রয়েছেন, তবে ঈশ্বরের কাছ থেকে সমস্ত কিছু গঠনমূলক এবং অভিন্ন ক্রিয়ায় উত্পন্ন হয়। এটিই সমস্ত অর্থবহ সম্পর্কের রূপ ও দিকনির্দেশ দেয়। এই কারণেই আপনার শিক্ষকরা আপনার সাথে রয়েছেন, কারণ এখানে একটি পরিকল্পনা রয়েছে।

গভীর ধ্যানে আজ দু’বার নিরবতা অনুশীলন করুন। প্রতি ঘন্টায় আপনার পাঠের নিশ্চয়তার বিবরণ দিন এবং সংক্ষেপে এটি বিবেচনা করুন। আপনার দিনকে অনুশীলনের জন্য মঞ্জুরি দিন, যাতে অনুশীলনটি আপনার সমস্ত অন্যান্য ক্রিয়াকলাপে নিজেকে ছড়িয়ে দিতে পারে। 

অনুশীলন ৮৫: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৮৬

যারা আমাকে দিয়েছে তাদের আমি সম্মান জানাই।

যাঁরা আপনাকে দিয়েছেন তাদের সম্মান জানালে কৃতজ্ঞতা তৈরি করবে, যা সত্যিকারের ভালবাসা এবং উপলব্ধির শুরু করবে। আজ আপনার দুটি গভীর অনুশীলনের সময়কালে, আপনাকে সেই সমস্ত লোকদের সম্পর্কে ভাবতে বলা হবে যারা আপনাকে দিয়েছেন, তাদের সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করুন এবং আপনার অনুশীলনের সময়কালে অন্য কিছু চিন্তা করবেন না। আপনার পক্ষে তারা কী করেছে তা আপনাকে গভীরভাবে বিবেচনা করতে বলা হয়। যাদের সাথে আপনি রাগান্বিত ও বিরক্ত, তাদের সাথে দেখার চেষ্টা করুন যে তারাও কীভাবে জ্ঞান পুনরুদ্ধারে আপনাকে পরিষেবা দিয়েছে।  আপনার অনুভূতির বিরুদ্ধে মিথ্যা সাক্ষ্য দিবেন না, তবে তাদের প্রতি আপনার অনুভূতি থাকা সত্ত্বেও, যদি অসুস্থ অনুভূতি হয়, আপনাকে তাদের সেবার স্বীকৃতি দেওয়ার চেষ্টা করুন। যেহেতু আপনি স্বীকার করেছেন যে কেউ আপনাকে পরিবেশন করেছে তাই সে সম্পর্কে আপনি অবশ্যই ক্রুদ্ধ বা বিচলিত হতে পারেন, এবং এটি প্রায়শই ঘটে। সম্ভবত আপনি এই পাঠ্যক্রমটি সম্পর্কে ক্রুদ্ধ হবেন যা কেবল আপনাকে পরিবেশন করতে চায়। কেন আপনি এই পাঠ্যক্রমটিতে রাগ করবেন? কারণ জ্ঞান যা কিছু তার পথে দাঁড়িয়ে আছে সব ধুয়ে ফেলে। এ কারণেই মাঝে মাঝে আপনি রাগান্বিত হন এবং কেন হন তা জানেন না।

আপনার দুটি অনুশীলন সময়ে বেশ মনোযোগী হওয়ার অনুমতি দিন। মনোনিবেশ করুন। আপনার মনের শক্তি ব্যবহার করুন। যারা আপনার সেবা করেছেন তাদের কথা চিন্তা করুন। আপনাকে সেবা করেছে বলে যদি এমন ব্যক্তি মনে আসে যাকে আপনি বিবেচনা করেন নি, তাহলে ভাবুন তারা আপনার কীভাবে সেবা করেছে। এই দিনটি স্বীকৃতির দিন হোক। এই দিন পুনরুদ্ধারের দিন হোক।

অনুশীলন ৮৬: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৮৭

আমি যা জানি তাতে আমি ভয় পাব না।

আজ প্রতি ঘন্টার সময় এই বিবৃতিটির পুনরাবৃত্তি অনুশীলন করুন এবং এর অর্থ বিবেচনা করুন। প্রতি ঘন্টায় আপনি আপনার জীবন থেকে ভয়কে খালাস করতে শিখবেন, কারণ জ্ঞান সমস্ত ভয় দূর করবে এবং আপনি জ্ঞানকে প্রকাশ করার অধিকার দেওয়ার জন্য ভয়কে সরিয়ে দেবেন। আপনি যা জানেন বিশ্বাস করুন। এটি সর্বশ্রেষ্ঠ মঙ্গলজনক। আপনি নিজের প্রতি প্রচণ্ড ক্ষোভ ও অবিশ্বাস পোষণ করতে পারেন তবে এটি জ্ঞানের দিকে নির্দেশিত নয়। এটি আপনার ব্যক্তিগত মনে পরিচালিত হয়েছে, যা সম্ভবত আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য বুঝতে পারে না। এটি সম্ভবত আপনার সবচেয়ে বড় প্রশ্নের উত্তর দিতে বা আপনার জীবনে সুনির্দিষ্ট, উদ্দেশ্য, অর্থ এবং দিকনির্দেশ সরবরাহ করতে পারে না। যা পড়ে যায় তা ক্ষমা করে দিন। যা অকাট্য তা সম্মান করুন। এবং দুজনকে আলাদা বলতে শিখুন।

আজ আপনার দুটি অনুশীলনের সময়কালে, ভয় ছেড়ে দেওয়ার অনুশীলন করুন যাতে আপনি জানতে পারেন। দাবি না করেই আপনার মনকে নীরব এবং গ্রহণযোগ্য হতে দেওয়া এমন একটি প্রদর্শন যে আপনি জ্ঞানের উপর বিশ্বাস করছেন। এটি আপনাকে এই বিশ্বের দুর্দশা এবং শত্রুতা থেকে মুক্ত করে দেবে। এটির সাহায্যে আপনি আলাদা একটি বিশ্ব দেখতে শুরু করবেন।

অনুশীলন ৮৭: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৮৮

আমার উচ্চতর স্ব কোন পৃথক ব্যক্তি নয়।

আপনার উচ্চতর স্ব এবং আপনার আধ্যাত্মিক শিক্ষক সম্পর্কে প্রায়শই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। এটি বিচ্ছেদের দৃষ্টিকোণ থেকে সমাধান করা খুব কঠিন। কিন্তু যখন আপনি জীবনকে একটি বিকশিত সম্পর্কে ব্যাপক আকারে পরস্পরের সাথে সংযুক্ত হিসাবে ভাবেন, তখন আপনি অভিজ্ঞতা এবং স্বীকৃতি পেতে শুরু করেন যে আপনার উচ্চতর স্ব সত্যই সম্পর্কের বৃহত্তর অংশের একটি অংশ। এটি আপনার অংশ যা পৃথক নয় তবে অর্থপূর্ণভাবে অন্যের সাথে বন্ধনে আবদ্ধ। অতএব, আপনার উচ্চতর স্ব আপনার শিক্ষকদের উচ্চতর স্ব এর সাথে বন্ধনে আবদ্ধ। তারা এখন দ্বৈততা ছাড়াই, কারণ তাদের অন্য কোনও স্ব নেই। আপনার দুটি স্ব  রয়েছে: যে স্ব তৈরি হয়েছিল এবং স্ব যা আপনি তৈরি করেছেন। আপনার দ্বারা নির্মিত “স্ব” আপনার সত্য “স্ব” এর সেবায় আনার অর্থ হল তাদের মধ্যে বিবাহ দেওয়া ও একে অপরের সেবায় একত্রিত করা এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধের চিরতর অবসান ঘটানো।

আজ প্রতি ঘন্টায় আপনার বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এর প্রভাব অনুভব করুন। আপনার দীর্ঘ দুটি অনুশীলনের সময়কালে, আপনার অনুশীলনে নীরবতার ক্ষেত্রে এবং গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে পরিচয় হিসাবে আপনার স্বীকৃতিটি ব্যবহার করুন। 

অনুশীলন ৮৮: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৮৯

আমার আবেগগুলি আমার জ্ঞানকে হতাশ করতে পারে না।

আবেগগুলি আপনাকে প্রবল বাতাসের মতো আকর্ষণ করে। তারা আপনাকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় টানছে। সম্ভবত সময়ে আপনি তাদের প্রক্রিয়া আরও ভালভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন। আমাদের আজকের অনুশীলনটি জোর দেওয়ার জন্য যে, তারা জ্ঞানকে নিয়ন্ত্রণ করে না। জ্ঞানকে আপনার আবেগগুলি নষ্ট করার প্রয়োজন নেই। এটি কেবল তাদের অবদান রাখতে চায়। সময়ের সাথে সাথে, আপনি আপনার আবেগগুলি সম্পর্কে আরও অনেক বেশি উপলব্ধি করতে পারবেন এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার আবেগগুলি আপনার মন এবং আপনার দেহের মতো একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে কাজ করতে পারে। যে সমস্ত জিনিস ব্যথা, অস্বস্তি এবং বিচ্ছিন্নতার উত্স হয়ে দাঁড়িয়েছে, যখন একটি শক্তিতে আসে – যা একক শক্তি – তখন একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পরিবেশন করার বাহনে পরিণত হবে। এমনকি ক্রোধ এখানে আরও বৃহত্তর উদ্দেশ্যে কাজ করে কারণ এটি আপনাকে দেখায় যে আপনি জ্ঞান লঙ্ঘন করেছেন। যদিও আপনার রাগ অন্যের দিকে পরিচালিত হতে পারে না, এটি কেবল একটি লক্ষণ যে কিছু ভুল হয়ে গেছে এবং সেগুলো সংশোধন করতে হবে। আপনি দুঃখের উত্স বুঝতে পারবেন, এবং আপনি সময়মতো সমস্ত আবেগের উত্স বুঝতে পারবেন।

প্রতি ঘন্টার অনুশীলনে এবং আপনার দুটি দীর্ঘ ধ্যানের সময়কালের শুরুতে, আজকের ধারণার পুনরাবৃত্তি করুন এবং তারপরে নিরবতায় প্রবেশ করুন। আজ যা নিশ্চিত তা মূল্য দিতে এবং যা অনিশ্চিত তা বুঝতে শিখুন, কোনটি কারণ এবং কোনটি কারণকে বাধা দেয় তা স্বীকৃতি দেওয়া তবে সময়মত যা নিজেই কারণ কে পরিবেশন করে তা চিনতে শিখুন।

অনুশীলন ৮৯: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৯০

আজ আমি কোন অনুমান করব না।

আপনি আরো একটি দিন জ্ঞান পুনরুদ্ধারের জন্য উত্সর্গ করার কারণে আজ কোনও অনুমান করবেন না। শেখার ক্ষেত্রে আপনার অগ্রগতি সম্পর্কে কোনও অনুমান করবেন না। আপনার বিশ্ব সম্পর্কে কোনও অনুমান করবেন না। এই দিনটি খোলামেলা মন রেখে অনুশীলন করুন যা ঘটনার সাক্ষ্য দেয় এবং যা শিখতে চায়। অনুমান ব্যতীত যে স্বাধীনতা আসে তা উপভোগ করুন, কারণ রহস্য আপনার পক্ষে ভয় এবং উদ্বেগের উত্স না হয়ে বরং অনুগ্রহের উত্স হয়ে উঠবে কারণ আপনি এটি অর্জন করতে শিখছেন।

আপনার প্রতি ঘন্টা অনুশীলনে এবং আজ আপনার দুটি দীর্ঘ ধ্যান চর্চায়, যেখানে আপনি নীরবতা এবং গ্রহণযোগ্যতা অনুশীলন করেন, আপনি এই শব্দের মূল্য এবং শক্তি অনুভব করতে পারেন। আজকে কোনও অনুমান করবেন না। নিজেকে দিনভর স্মরণ করিয়ে দিন, কারণ অনুমান করা নিছক একটি অভ্যাস এবং যখন অভ্যাসটি খালাস করা হয়, তখন মন তার প্রাকৃতিক ক্রিয়াকলাপটিকে তার পূর্ববর্তী বাধা ছাড়াই চর্চা করতে পারে। 

অনুশীলন ৯০: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৯১

পর্যালোচনা

আমাদের পর্যালোচনা আবারও গত সপ্তাহের নির্দেশাবলী এবং আপনার অনুশীলনের প্রতি মনোনিবেশ করবে। প্রতিদিন যা ঘটেছিল তা পুনরায় অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য এবং আপনার বর্তমান অভিজ্ঞতা থেকে এটি দেখার জন্য এই সময় দিন। কীভাবে শিখতে হয় তা শিখুন। শেখার প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানুন। লোক দেখানোর রূপে শেখা ব্যবহার করবেন না। নিজের কাছে নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করার চেষ্টা করার জন্য শেখা ব্যবহার করবেন না। আপনি নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারবেন না। এটি প্রমাণ করা যা আপনার যোগ্যতার বাইরে। আপনি যখন এটি অনুমতি দেবেন তখন আপনার মূল্য নিজেই প্রদর্শিত হবে, যা আপনি এখন করতে শিখছেন। অনুশীলনের অভ্যাস করুন। কিছু দিন সহজ হবে। কিছু দিন কঠিন হবে। কিছু দিন আপনি অনুশীলন করতে চাইবেন। অন্যান্য দিন হয়ত আপনি অনুশীলন করতে চাইবেন না। প্রতিদিন আপনি অনুশীলন করবেন কারণ আপনি একটি বৃহত্তর ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করছেন। এটি ধারাবাহিকতা প্রদর্শন করে, যা শক্তির প্রদর্শন। এটি একটি বৃহত্তর আত্মো-উৎসর্গ প্রদর্শন করে। এটি আপনাকে নিশ্চিততা এবং স্থিতিশীলতা দেয় এবং আপনাকে ক্ষুদ্রতর শক্তি সহ সমস্ত বিষয় সহানুভূতির সাথে আচরণ করতে দেয়।

আপনার আজকের দীর্ঘ পর্যালোচনাটি আপনার শেখার প্রক্রিয়ার একটি পরীক্ষা হবে। নিজেকে বিচার না করতে মনে রাখবেন যাতে আপনি শিখতে পারেন। 

অনুশীলন ৯১: এক দীর্ঘ অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৯২

বিশ্বে পালনের জন্য আমার একটি ভূমিকা আছে।

আপনি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিশ্বে এসেছেন। আপনি বিশ্বের বর্তমান প্রয়োজনে সেবা করতে এসেছেন। আপনি ভবিষ্যতের প্রজন্মের জন্য প্রস্তুত করতে এসেছেন। এসব কি এখন ব্যক্তিগতভাবে আপনার কাছে অর্থবহ হতে পারে? সম্ভবত না, কারণ আপনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য কাজ করছেন। আপনি যে জীবন যাপন করবেন এবং আপনার অনুসরণকারীদের জীবনের জন্য আপনি কাজ করছেন। এটি এখন আপনার জন্য সিদ্ধ, কারণ এটি আপনার উপহার যা আপনি দিতে এসেছেন। অজুহাত এবং অনিশ্চয়তা ছাড়াই, এটি স্বাভাবিকভাবেই আপনার কাছ থেকে উত্থিত হবে এবং নিজেকে বিশ্বে উপহার দেবে। অন্যান্য জীবনের সাথে আপনার জীবনটি খুব নির্দিষ্ট উপায়ে বুনানো রয়েছে, এর অর্থ হ’ল আপনাকে এবং যাদের সাথে আপনি যোগাযোগ করেন তাদের সকলকে উন্নত করা। পরিকল্পনাটি আপনার ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষার চেয়ে বৃহত্তর এবং কেবল আপনার ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষাই আপনাকে যা করতে হবে তা আপনার দৃষ্টিকে মেঘাচ্ছন্ন করতে পারে। আজ, কৃতজ্ঞ থাকুন যে বিশ্বে আপনার জন্য একটি ভূমিকা রয়েছে। আপনি এই ভূমিকাটি সম্পাদন করার জন্য- আপনার নিজের সিদ্ধির জন্য, আপনার বিশ্বের অগ্রগতি এবং আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারকে সেবা করার জন্য বিশ্বে এসেছেন।

আপনার আজকের দুটি অনুশীলনের সময়কালে, মনোনিবেশ করুন এবং নিশ্চিত করুন যে এখানে আপনার পালনের জন্য একটি ভূমিকা আছে। আপনার ধারণাগুলি বা আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী সেই ভূমিকাটি পূরণ করার চেষ্টা করবেন না, তবে সেই ভূমিকাটিকে নিজে থেকে সিদ্ধ করার অনুমতি দিন, কারণ আপনি যখন প্রস্তুত হয়ে যাবেন তখন আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান তা সিদ্ধ করবে। নীরবতায় এবং গ্রহনযোগ্যতায়, বিশ্বে আপনার দায়িত্ব পালন করার জন্য একটি ভূমিকা রয়েছে তা নিশ্চিত করুন এবং শক্তি ও এই দুর্দান্ত সত্য ধারণার অভিজ্ঞতা অর্জন করুন।

অনুশীলন ৯২: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৯৩

আমাকে এখানে একটি উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে।

আপনাকে একটি উদ্দেশ্যে বিশ্বের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে, আপনার উপহারগুলিতে অবদান রাখতে যা জ্ঞান থেকে নির্গত হবে। আপনি বিশ্বে থাকাকালীন আপনার সত্যিকারের বাড়ি মনে রাখার জন্য আপনি এখানে এসেছেন। আপনি যে দুর্দান্ত উদ্দেশ্যটি বহন করছেন তা এই মুহূর্তে আপনার সাথে রয়েছে এবং আমরা আপনাকে যে প্রস্তুতি দিচ্ছি সেই প্রস্তুতিটির মধ্য দিয়ে এটি পর্যায়ক্রমে উত্থিত হবে। এই উদ্দেশ্যটি আপনি নিজের জন্য যে সমস্ত উদ্দেশ্য কল্পনা করেছেন তার চেয়ে বিশাল। আপনি নিজের জন্য বাঁচার চেষ্টা করেছেন এমন সমস্ত উদ্দেশ্য থেকে এটি বিশাল। এটির জন্য আপনার কল্পনা বা আপনার সৃষ্টির প্রয়োজন নেই, কারণ এটি আপনার মাধ্যমেই সিদ্ধ হবে এবং এটি আপনাকে নিখুঁত ভাবে একীভূত করবে। বিশ্বে আপনার জন্য একটি উদ্দেশ্য রয়েছে। আপনি এখন ধাপে ধাপে অভিজ্ঞতা পেতে এবং এটি গ্রহণ করতে শেখার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন যাতে এটি আপনার কাছে দুর্দান্ত উপহার দিতে পারে।

আপনার দু’টি অনুশীলনের সময়ে, এই বিবৃতিটির বাস্তবতাকে নিশ্চিত করুন। নীরবতায় এবং গ্রহণযোগ্যতায় আপনার মনকে এর আসল ক্রিয়ায় বসতে দিন। নিজেকে একজন ছাত্র হতে দিন, যার অর্থ আপনার জন্য সরবরাহিত জিনিসগুলি ব্যবহারের জন্য নিজেকে গ্রহণযোগ্য এবং দায়বদ্ধ হতে দিন। এই দিনটি বিশ্বে আপনার নিজের জন্য তৈরি জীবন না হয়ে, আপনার সত্যিকারের জীবনের একটি স্বীকৃতি হোক।

অনুশীলন ৯৩: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৯৪

আমার স্বাধীনতা হল আমার উদ্দেশ্য সন্ধান করা।

আপনার উদ্দেশ্য সন্ধান করতে এবং এটি সিদ্ধ করতে সক্ষম হওয়া ব্যতীত স্বাধীনতার পক্ষে কী মূল্য রয়েছে? উদ্দেশ্য ব্যতীত স্বাধীনতা হল নিছক বিশৃঙ্খল হওয়ার অধিকার, বাহ্যিক প্রতিরোধ ব্যতীত বেঁচে থাকার অধিকার। তবে বাহ্যিক প্রতিরোধ ব্যতিরেকে আপনি কেবল নিজের অভ্যন্তরীণ সংযমের কঠোরতা সম্পাদন করবেন। এটা কি উন্নতি? সামগ্রিকভাবে এটি কোনও উন্নতি নয়, যদিও এটি স্ব-আবিষ্কারের জন্য সুযোগ তৈরি করতে পারে।

বিশৃঙ্খলাকে স্বাধীনতা বলবেন না, কারণ এটি স্বাধীনতা নয়। ভাববেন না অন্যরা যেহেতু আপনাকে সীমাবদ্ধ করে নি বলে আপনি উন্নত অবস্থায় আছেন। উপলব্ধি করুন যে আপনার স্বাধীনতা আপনাকে আপনার উদ্দেশ্য সন্ধান করতে এবং এটি সিদ্ধ করতে সক্ষম করে। এভাবে স্বাধীনতা বোঝা আপনার উদ্দেশ্য আবিষ্কার করার পক্ষে আপনার জীবনের সমস্ত দিককে -আপনার বর্তমান পরিস্থিতি, আপনার সম্পর্ক, আপনার জড়িত ক্রিয়াকলাপ, আপনার সাফল্য, আপনার ত্রুটিগুলি, আপনার বৈশিষ্ট্য এবং আপনার সীমাবদ্ধতা-  ব্যবহার করতে সক্ষম করবে। যখন কোনও বৃহত্তর উদ্দেশ্য আপনার মাধ্যমে এমন কোনও উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করতে শুরু করে যাতে আপনি চিনতে এবং গ্রহণ করতে পারেন, আপনি শেষ পর্যন্ত অনুভব করবেন যে আপনার জীবন পুরোপুরি একীভূত হচ্ছে। আপনি আর নিজের মধ্যে আলাদা ব্যক্তি হতে পারবেন না, তবে একক ব্যক্তি, সমগ্র এবং সমন্বিত, নিজের সমস্ত দিক নিয়ে এই একটি উদ্দেশ্য পালন করতে নিয়োজিত হবে।

ত্রুটি করার স্বাধীনতা আপনাকে উদ্ধার করবেনা। ত্রুটিগুলি যে কোনও পরিস্থিতিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে পারে এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে স্বাধীনতাও পাওয়া যেতে পারে। সুতরাং, স্বাধীনতা সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করুন। জ্ঞান যখন কারামুক্ত হবে এবং যখন আপনি একজন ব্যক্তি হিসাবে বিশ্বে এর দুর্দান্ত লক্ষ্যটি বহন করতে সক্ষম হওয়ার জন্য যথেষ্ট উন্নতি সাধন করবেন তখন জ্ঞান নিজেকে প্রকাশ করবে। আপনার আধ্যাত্মিক শিক্ষকরা, যারা আপনার চাক্ষুষ দৃষ্টিকোণের বাইরে আপনার সাথে রয়েছেন, তারা আপনাকে জ্ঞানের দিকে পরিচালিত করতে এখানে এসেছেন। এটি করার জন্য তাদের নিজস্ব পদ্ধতি রয়েছে, কারণ তারা বিশ্বের স্বাধীনতার আসল অর্থ এবং এর আসল উদ্দেশ্য বুঝতে পারে।

অতএব, আপনার অনুশীলনের সময়কালে আমরা আবারও এই বিবৃতিটির শক্তিটির প্রতিশ্রুতি দিয়েছি এবং আপনাকে নিজের মধ্যে গভীরভাবে এটির অভিজ্ঞতার জন্য দুটি সুযোগ দেব। আপনাকে এটি মানসিকভাবে অনুমান করার চেষ্টা করার দরকার নেই, তবে কেবল আরাম করুন যাতে এটি অভিজ্ঞ হতে পারে। আপনার সাথে ঈশ্বরের উপস্থিতির মাহাত্ম্যটি অনুভব করার জন্য এটি সম্পূর্ণরূপে আপনার মনকে কেন্দ্রীভূত করুন এবং এটি আপনার মধ্যে রয়েছে, কারণ এটি স্বাধীনতার দিকে তাকিয়ে আছে যেখানে সত্যিকার অর্থেই স্বাধীনতা বিদ্যমান রয়েছে।

অনুশীলন ৯৪: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ৯৫

আমি কীভাবে নিজেকে সিদ্ধ করতে পারি?

যখন আপনি জানেন না আপনি কে, যখন আপনি জানেন না আপনি কোথা থেকে এসেছেন বা আপনি কোথায় যাবেন, যখন আপনি জানেন না কে আপনাকে পাঠিয়েছে এবং কে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে যখন আপনি ফিরে যাবেন, তখন কীভাবে আপনি নিজেকে সিদ্ধ করতে পারেন? কীভাবে আপনি নিজেকে একা সিদ্ধ করতে পারেন যখন আপনি নিজেই জিবনের অংশ? জীবন থেকে আলাদা হয়ে কি নিজেকে সিদ্ধ করতে পারবেন? শুধুমাত্র উদ্ভট কল্পনা এবং অলিক কল্পনাশক্তিতে আপনি নিজেকে সিদ্ধ করার ধারণা পোষণ করে বিনোদন পেতে পারেন। এখানে কোন পরিপূর্ণতা নেই, কেবল বিশৃঙ্খলা বাড়ছে। বছরগুলির অগ্রগতির সাথে সাথে আপনি নিজের মধ্যে ক্রমবর্ধমান অন্ধকার অনুভব করবেন, যেন একটি দুর্দান্ত সুযোগ হারিয়ে গেছে। জীবনটি সত্যই বিদ্যমান হিসাবে উপলব্ধি করার জন্য এবং এটি সত্যিকার অর্থে আপনার কাছে যেমন অফার করা হয়েছে তত পরিপূর্ণতা অর্জন করবেন না। এই সুযোগটি হারাবেন না, জীবনকে উপলব্ধি করা যা সত্যিই বিদ্যমান রয়েছে এবং সিদ্ধি লাভ করার জন্য এটি আপনার কাছে সত্যিকার অর্থেই নিবেদিত রয়েছে।

শুধুমাত্র কল্পনার মধ্যে আপনি নিজেকে সিদ্ধ করতে পারেন, কিন্তু কল্পনা বাস্তবতা নয়। এটিকে গ্রহণ করা প্রথমে সীমাবদ্ধতা এবং হতাশার মতো মনে হতে পারে, আপনার ইতিমধ্যে আপনার নিজের ব্যক্তিগত সিদ্ধির জন্য নকশা এবং উদ্দেশ্য রয়েছে, তাদের অভিজ্ঞতা অর্জিত হোক বা না হোক। আপনার সিদ্ধির জন্য আপনার পুরো এজেন্ডাটি এখন প্রশ্নে আনা উচিত, আপনাকে কোনও মূল্যবোধ থেকে বঞ্চিত না করে, তবে আপনাকে এমন একটি বন্ধন থেকে মুক্তি দিতে হবে যা আপনাকে সময়মতো প্রতারণা করতে এবং হতাশ করতে পারে। অতএব, নিজেকে সিদ্ধ করার আপনার চেষ্টার নিরাশাকে মেনে নেওয়া শেষ পর্যন্ত আপনাকে উন্মুক্ত করে আপনার কাছে সহজলভ্য দুর্দান্ত উপহারটি পেতে এবং যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে। এই দুর্দান্ত উপহারটি আপনার মাধ্যমে বিশ্বের কাছে এমনভাবে দেওয়া উচিত যা আপনার সুখের জন্য এবং যারা তাদের কাছে স্বাভাবিকভাবে আপনার প্রতি আকৃষ্ট হবে তাদের সুখের জন্য নির্দিষ্ট রয়েছে।

আপনি কীভাবে নিজের মতো করে সিদ্ধ হতে পারেন? আজকের প্রতিটি ঘন্টায়, এই প্রশ্নটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং আপনার পরিস্থিতি নির্বিশেষে এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায় নিন। আপনি যখন প্রতি ঘন্টায় অনুশীলন করবেন তখন বিশ্বের সন্ধান করুন এবং দেখুন যে লোকেরা কীভাবে নিজেদের সিদ্ধ করার চেষ্টা করছে, বর্তমানে যে পরিস্থিতি রয়েছে এবং যে পরিস্থিতিতে প্রত্যাশা রয়েছে তাও দেখুন। এটি তাদের জীবন থেকে কতটা পৃথক করে তোলে তা বুঝুন যখন সত্যই এর অস্তিত্ব রয়েছে। এটি কীভাবে তাদেরকে তাদের নিজস্ব অস্তিত্বের রহস্য এবং জীবনের আশ্চর্য থেকে পৃথক করে তোলে যা তারা প্রতিদিনের প্রতিটি মুহুর্তের মুখোমুখি হতে পারে। নিজেকে এত বঞ্চিত হতে দেবেন না। আজগুবি কল্পনা আপনার জন্য সর্বদা একটি দুর্দান্ত ছবি আঁকবে তবে বাস্তবে এর কোনও ভিত্তি নেই। যারা একে অপরের কল্পনাগুলি দৃঢ় করার চেষ্টা করে কেবলমাত্র তারাই এই উদ্দেশ্যে একে অপরের সাথে সম্পর্কের চেষ্টা করবে এবং তাদের হতাশা পারস্পরিক হবে, যার জন্য তারা একে অপরকে দোষ দিতে ঝুঁকবে। তাই, এমন কিছুর সন্ধান করবেন না যা কেবলমাত্র আপনাকে অসুখী করে তুলতে পারে এবং কেবলমাত্র আপনার জন্য সম্পর্কের দুর্দান্ত সুযোগকেই ধ্বংস করে দিতে পারে।

প্রতি ঘন্টায় এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন। আপনার দুটি অনুশীলনের সময়কালে নীরবতা এবং গ্রহণযোগ্যতা প্রবেশ করুন যাতে আপনি সত্যিকারের উপস্থিতি হিসাবে সিদ্ধি পেতে শিখতে পারেন। 

অনুশীলন ৯৫: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৯৬

ঈশ্বরের ইচ্ছা আমাকে বোঝামুক্ত করা।

আপনার মুক্তি ও ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ঈশ্বরের প্রথম পদক্ষেপ হলো, আপনার সুখের জন্য প্রয়োজনীয় নয় এমন জিনিস থেকে আপনাকে বোঝামুক্ত করা, আপনাকে এমন জিনিস থেকে বোঝামুক্ত করা যা সম্ভবত আপনাকে সন্তুষ্ট করতে পারে না, আপনাকে এমন জিনিস থেকে বোঝামুক্ত করা যা কেবল আপনাকে ব্যথার কারণ হয় এবং আপনার মাথা থেকে কাটার মুকুট তুলে ফেলা যা আপনি পরিধান করে আছেন, যা বিশ্বে আপনার সিদ্ধির প্রয়াসকে প্রতিনিধিত্ব করে। একটি বৃহত্তর ইছা আপনার মধ্যে উপস্থিত রয়েছে যা নিজেকে প্রকাশ করতে চায়। আপনি যখন এটি অনুভব করেন, তখন অবশেষে আপনি অনুভব করবেন যে আপনি নিজের পরিচিত। আপনি অবশেষে সত্যিকারের সুখ উপভোগ করবেন, কারণ আপনার জীবনটি শেষ পর্যন্ত সংহত হবে। এই আবিষ্কারটি করার জন্য আপনাকে অবশ্যই বোঝামুক্ত হতে হবে। আপনার কাছ থেকে কোনও মূল্য নেওয়া হবে না। আপনাকে একাকী ও ব্যভিচারী করা ঈশ্বরের ইচ্ছা নয়, বরং আপনার সত্য প্রতিশ্রুত উপলব্ধির সুযোগ দেওয়ার জন্য যাতে আপনি শক্তি ও সত্যের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যেতে পারেন।

অতএব, এই পৃথিবীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে এবং পৃথিবীর যে কোনও চিত্রকে আঁকতে পারে এমন নিজস্ব আদর্শবাদ থেকে, পৃথিবীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে আর কোথাও নিয়ে যাওয়া আপনার অর্থহীন দ্বন্দ্ব থেকে আপনি উদ্বিগ্ন হওয়ার জন্য এই প্রথম দুর্দান্ত অফারটি স্বীকার করুন। ibly সরলতা এবং নম্রতায় জীবনের মাহাত্ম্য আপনার উপর উদয় হবে এবং আপনি জানতে পারবেন যে আপনি সর্বাধিক মূল্যবোধের জন্য কোনও কিছু দিয়েছেন না।

তারপরে, আপনি যে আশাবাদী দ্বন্দ্ব সমাধানের চেষ্টা করেছেন তা থেকে আপনাকে বোঝামুক্ত করার জন্য প্রথমে এই দুর্দান্ত অফারটি গ্রহন করুন, অর্থহীন সাধনা থেকে যা আপনাকে কোথাও নিয়ে যায় না, এই পৃথিবীর মিথ্যা প্রতিশ্রুতি থেকে এবং আপনার নিজস্ব আদর্শবাদ যা এমন একটি চিত্র এঁকে দেয় যা বিশ্ব সম্ভবত সমর্থন করতে পারে না। সরলতা এবং নম্রতায় জীবনের মাহাত্ম্য আপনার উপর উদয় হবে এবং আপনি জানতে পারবেন যে আপনি সর্বাধিক মূল্যবোধের জন্য কোনও কিছুই দিতে হচ্ছে না।

প্রতি ঘণ্টায় এই বিবৃতিতী পুনরাবৃত্তি করুন এবং এটি সম্পর্কে চিন্তা করুন। আপনার বর্তমান পরিস্থিতির নিরিখে এর অর্থটি পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার চারপাশের মানুষের জীবনে এর প্রদর্শনটি পর্যবেক্ষণ করুন। আপনার বাস্তবতার সাথে এর বাস্তবতাটি পর্যবেক্ষণ করুন, যা আপনি এখন নিখুঁতভাবে সাক্ষ্যদান করতে শিখছেন।

আজ আপনার দুইটি দীর্ঘতর অনুশীলনের সময়ে, এই ধারণাটিতে মনোনিবেশ করার চেষ্টা করুন এবং এটির বিশেষত আপনার জীবনে প্রয়োগ করুন। সক্রিয়ভাবে আপনার মনকে জড়িত করুন এবং আপনার বর্তমান উচ্চাকাঙ্ক্ষাগুলি, আপনার বর্তমান পরিকল্পনা এবং এর বাইরেও এই বিবৃতিটির অর্থ সম্পর্কে চিন্তা করার চেষ্টা করুন। আপনি এটি করার সাথে সাথে অনেকগুলি সন্দেহের মধ্যে পড়ে যেতে পারেন তবে বুঝতে হবে যে জ্ঞান আপনার পদ্ধতি ও পরিকল্পনা দ্বারা বা আপনার আশা ও হতাশার দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এটি কেবলমাত্র সেই সময়ের জন্য অপেক্ষা করছে যখন এটি আপনার মধ্যে প্রাকৃতিকভাবে উত্থিত হতে পারে এবং আপনি তার দুর্দান্ত উপহারগুলির প্রথম দিকের প্রাপক হতে পারেন।

অনুশীলন ৯৬: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ৯৭

সিদ্ধি কী তা আমি জানি না।

এই বিবৃতি কি দুর্বলতার স্বীকার করা? এটা কি হতাশার পদত্যাগ করা? না এটা না। এটা প্রকৃত সততার শুরু। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি কতটা সামান্য বুঝতে পেরেছেন এবং একই সাথে জ্ঞানের দুর্দান্ত অফার যা আপনার কাছে উপলব্ধ রয়েছে তখনই আপনি দুর্দান্ত উত্সাহ এবং উত্সর্গের সাথে এই সুযোগটি গ্রহণ করতে পারবেন। আপনি কেবলমাত্র সিদ্ধি কল্পনা করতে পারেন তবে আপনার মধ্যেই সিদ্ধির জ্ঞান বাঁচে এবং জ্বলে ওঠে। এটি এমন একটি আগুন যা আপনি বের করে আনতে পারবেন না। এটি একটি আগুন যা এখন আপনার মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। এটি সিদ্ধি, ঐক্য এবং অবদানের জন্য আপনার বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষাকে উপস্থাপন করে। আপনার পরিকল্পনা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার নীচে আপনার সমস্ত আশা ও আশঙ্কার নীচে এই আগুন এখন জ্বলছে। সিদ্ধি সম্পর্কিত আপনার ধারণাগুলি ত্যাগ করুন, তবে হতাশ হবেন না, কারণ আপনি নিজেই যে উপহারগুলি বহন করেছেন তা গ্রহণের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছেন। আপনি এই উপহারগুলি আপনার সাথে বিশ্বে নিয়ে এসেছেন। এগুলি আপনার মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে যেখানে আপনি তাদের খুঁজে পাবেন না।

আপনি জানেন না যে সিদ্ধি কি। একাকি খুশির উদ্দীপনা সিদ্ধি হতে পারে না, কারণ সিদ্ধি নিঃশব্দ একটি রাজয়। এটি অভ্যন্তরীণ গ্রহণযোগ্যতার একটি রাজ্য। এটি সম্পূর্ণ সংহতকরণের একটি রাজ্য। এটি সময়ের সাথে নিজেকে প্রকাশ করার একটি কালজয়ী রাজ্য। এমনকি সবচেয়ে আনন্দের উদ্দীপনা কীভাবে আপনাকে তা দিতে পারে যা অন্য পরিস্থিতিতেও স্থায়ী হতে পারে এবং উত্তেজনা শেষ হয়ে গেলেও যা থেমে যায় না? আমরা আপনাকে শুভ উদ্দীপনা থেকে বঞ্চিত করতে চাই না, কারণ তারা খুব ভাল হতে পারে তবে তারা ক্ষণিকের এবং এটি আপনাকে আরও বৃহত্তর সম্ভাবনার দিকে এক ঝলক দিতে পারে। এখানে আমরা আপনার মনের মধ্যে দুর্দান্ত সংস্থানগুলি চাষাবাদ করার মাধ্যমে এবং বিশ্বকে দেখার একটি উপায় শেখানোর মাধ্যমে আপনাকে আরও বৃহত্তর সম্ভাবনার দিকে সরাসরি নিয়ে যেতে চাই যাতে আপনি এর আসল উদ্দেশ্য সম্পর্কে জানতে পারেন।

অতএব, আজ প্রতি ঘন্টায়, আজকের ধারণার পুনরাবৃত্তি করুন এবং নিজেকে এবং আপনার চারপাশের বিশ্বের দৃষ্টিতে এটি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করুন। আজ, আপনার দুইটি দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কালে, এই ধারণাটি বিবেচনা করার জন্য আরও একবার গুরুত্ব সহকারে সময় দিন। এই অনুশীলনের সময়কালে আপনার নিজের জীবন সম্পর্কে ভাবতে ভুলবেন না এবং যে পরিকল্পনাগুলি আপনার নিজের সিদ্ধি সম্পর্কে সচেতন সেগুলির জন্য আজকের ধারণাটি প্রয়োগ করুন। এই চিন্তাভাবনা ধ্যানের জন্য মানসিক পরিশ্রমের প্রয়োজন। এখানে আপনি নীরব থাকবেন না। আপনি তদন্ত করবেন। আপনি অন্বেষণ করবেন। আপনি সক্রিয়ভাবে আপনার মনের মধ্যে যে জিনিসের অস্তিত্ব রয়েছে তার ভিতরে প্রবেশ করার জন্য ব্যবহার করবেন। এটি গুরুতর আত্মনিয়ন্ত্রণের একটি সময়। যখন আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি যা ভেবেছিলেন তা কেবল কল্পনার একটি রূপ, তখনই কেবল আপনি জ্ঞানের জন্য আপনার দুর্দান্ত প্রয়োজন উপলব্ধি করতে পারবেন।

আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনাকে শিখতে হবে আরও পাবার জন্য। যদি আপনি ভাবেন যে আপনার কাছে আসলে যা আছে তার চেয়ে বেশি আপনার কাছে রয়েছে তবে আপনি এটি সম্পর্কে অবহিত না হয়েই দরিদ্র হয়ে পড়বেন এবং আপনার পক্ষে তৈরি করা দুর্দান্ত পরিকল্পনাটি বুঝতে পারবেন না। আপনি যেখানেই আছেন সেখান থেকে আপনাকে অবশ্যই শুরু করতে হবে কারণ এই পথেই আপনি এগিয়ে যেতে পারেন, প্রতিটি নিশ্চিত ধাপ, প্রতিটি সামনের ধাপ যা আগের ধাপের উপর নির্মিত। এখানে আর পিছিয়ে পড়বে না, কারণ আপনি জ্ঞানের পথে দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হবেন।

ধাপ ৯৮

পর্যালোচনা

আপনার পর্যালোচনাতে পূর্ববর্তী সমস্ত নির্দেশাবলী এবং অনুশীলনের শেষ সপ্তাহে আপনি এতদূর যা কিছুর অভিজ্ঞতা পেয়েছেন তা আবার পর্যালোচনা করুন। সত্যিকার অর্থে এই পাঠের সাথে আপনার প্রবৃত্তি সততার সাথে মূল্যায়ন করুন এবং বোঝার ক্ষেত্রে তারা আপনাকে কী দিয়েছে তার স্বীকৃতি দিন। আপনার মূল্যায়নে খুব স্পষ্ট হওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন আপনি একজন ছাত্র। আপনি আসলে যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তার চেয়ে বেশি উপলব্ধি করেছেন বলে দাবি করবেন না।

এই পদ্ধতির সরলতা সম্ভবত সুস্পষ্ট বলে মনে হতে পারে তবে অনেকের পক্ষে এটি অর্জন করা খুব কঠিন, কারণ তারা এই ভেবে অভ্যস্ত যে তাদের কাছে তাদের চেয়ে বেশি রয়েছে বা তাদের চেয়ে কম রয়েছে যা তাদের প্রকৃত পরিস্থিতি দেখতে তাদের পক্ষে খুবই কঠিন হয়, এমনকি তারা সুস্পষ্ট হলেও।

আপনার একটি দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কালে, আপনার পাঠগুলি পর্যালোচনা করুন এবং প্রত্যেককে গভীরতার সাথে বিবেচনা করুন, যে দিন তাদের দেওয়া হয়েছিল এবং এই মুহূর্ত পর্যন্ত তাদের সঙ্গে আপনার কার্যকলাপ স্মরণ করে তাদের সম্পর্কে উপলব্ধি করুন। পূর্ববর্তী ছয়টি ধাপের প্রতিটি খুব সতর্কতার সাথে পর্যালোচনা করুন এবং এমন সিদ্ধান্তে নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকুন যা আপনার সত্য অভিজ্ঞতার প্রতিনিধিত্ব করে না। মিথ্যা সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়ার চেয়ে অনিশ্চিত থাকাই শ্রেয়।

অনুশীলন ৯৮: এক দীর্ঘ অনুশীলনের সময়কাল।

ধাপ ৯৯

আমি আজ দুনিয়াকে দোষ দেব না।

আজকে বিশ্বকে দোষারোপ না করার, এর সুস্পষ্ট ভুলের বিচার না করার এবং এই ত্রুটিগুলির জন্য অন্যকে দাবী বা দায়ী না করার চেষ্টা করুন। নিঃশব্দে বিশ্ব দেখুন। আপনার মন নীরব থাকতে দিন।

প্রতি ঘন্টা এটি অনুশীলন করুন এবং খোলা চোখ দিয়ে বিশ্বের দিকে তাকান। আপনার দুটি দীর্ঘ অধিবেশন চলাকালীন, বিশ্বের দিকে চোখ খোলা রেখে অনুশীলন করুন। আপনি যা দেখেন তাতে কিছু আসে যায় না, কারণ এ সব একই। আজ আপনাকে অবশ্যই বিচার ছাড়াই দেখার দিকে মনোনিবেশ করতে হবে, কারণ এটি আপনাকে আপনার সত্যিকারের মানসিক দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করবে।

অতএব, আপনার ব্যবহারিক অনুশীলনের সময়, চোখ খোলা রেখে বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করুন, বিচার না করেই দেখুন। আপনার তাত্ক্ষণিক পরিবেশ সম্পর্কে দেখুন। শুধু এমন জিনিসটির উপর নজর দিন যা প্রকৃতপক্ষে আছে। কল্পনায় জড়িয়ে যাবেন না। আপনার চিন্তাগুলিকে অতীত বা ভবিষ্যতের দিকে ঘোরাঘুরি করাবেন না। শুধুমাত্র বাস্তবতা পর্যবেক্ষণ করুন। চিন্তাভাবনাগুলি যে রায় হিসাবে বিবেচিত হয়, সেগুলি বিবেচনা না করেই সহজভাবে তাদের বরখাস্ত করুন, কারণ আজ আপনি দেখার অনুশীলন করছেন — বিনা বিচারে দেখা যাতে আপনি দেখতে পাচ্ছেন যে আসলে কী আছে।

অনুশীলন ৯৯: দুটি ৩০ -মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ১০০

আজ আমি জ্ঞানের একজন শুরুর দিকের শিক্ষার্থী হব।

আপনি জ্ঞানের একজন শুরুর দিকের শিক্ষার্থী। এই শুরুর জায়গাটা মেনে নিন। নিজের জন্য বেশি দাবি করবেন না, কেননা জ্ঞানের রাস্তাটা আপনি বোঝেন না। বৃহত্তর অনুমানের পথে আপনি দুর্দান্ত পুরষ্কার অর্জন করতে পারেন, তবে এটি আপনাকে জ্ঞানের পথের চেয়ে আলাদা পথে নিয়ে যায়, এমন এক পথ যেখানে অবাস্তব সমস্ত কিছুই পরিত্যাগ করা হয় এবং সত্যিকারের সমস্ত কিছু গ্রহণ করা হয়। জ্ঞানের রাস্তাটা এমন কোনও রাস্তা নয় যা লোকেদের নিজেরাই কল্পনা করে, কারণ এটি কল্পনা দ্বারা জন্মগ্রহন করে না।

অতএব, জ্ঞানের একজন শুরুর দিকের শিক্ষার্থী হোন। প্রতি ঘন্টা শুরুতে, এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এটি প্রতিফলিত করুন। নিজের সম্পর্কে আপনার মতামত নির্বিশেষে, এটি উন্নত বা নিম্ন যাই হোক না কেন, আপনি আগে যা করেছেন তা যাই হোক না কেন, আপনার সাফল্যগুলি যা আপনি বিবেচনা করেন তা বিবেচনাধীন নয়, আপনি কেবল জ্ঞানের একজন শুরুর দিকের শিক্ষার্থী। শুরুর শিক্ষার্থী হিসাবে আপনি যা শিখতে পারবেন তা শিখতে চাইবেন এবং আপনি ইতিমধ্যে যা দাবি করেছেন তা রক্ষার ভার আপনার উপর পড়বে না। এটি আপনার জীবনে যথেষ্ট ভার সহজ করবে এবং সত্যিকারের অনুপ্রেরণা এবং উত্সাহের সম্ভাবনা দেবে, যার অভাব রয়েছে এখন।

জ্ঞানের শুরুর দিকের শিক্ষার্থী হোন। এই নিশ্চিতকরণের সাথে আপনার দীর্ঘ দুটি অনুশীলনের সময়কাল শুরু করুন এবং নিজেকে নীরবতায় বসতে এবং গ্রহণ করার অনুমতি দিন। বিনা আবেদন, প্রশ্ন ছাড়াই এবং প্রত্যাশা বা দাবী ছাড়াই আপনার মনকে শান্ত থাকার সুযোগ দিন, কারণ আপনি জ্ঞানের প্রথম দিকের শিক্ষার্থী এবং আপনি কী চাইবেন বা কী আশা করবেন তা এখনও জানেন না।

অনুশীলন ১০০: দুটি ৩০-মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ১০১

বিশ্বের আমাকে প্রয়োজন, তবে আমি অপেক্ষা করব।

যখন আপনাকে বিশ্বের প্রয়োজন হয় তখন কেন অপেক্ষা করবেন? আমরা যে শিক্ষণ উপস্থাপন করছি তার সাথে কি এটি বেমানান বলে মনে হচ্ছে না? আপনি যদি এর অর্থ বুঝতে চান তবে এটি আসলে কোনওভাবেই বেমানান নয়। যেহেতু বিশ্বের আপনাকে প্রয়োজন, তাই অপেক্ষা করা অন্যায় এবং দায়িত্বজ্ঞানহীন বলে মনে হতে পারে। এটি কি আমাদের নির্দেশের পরিপন্থী নয়? না, আপনি যদি এর অর্থটি সঠিকভাবে বুঝতে পারেন তবে এটি বেমানান নয়। আপনার প্রস্তুতিতে আমরা এ পর্যন্ত আপনাকে যা দিয়েছি তা যদি আপনি গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে থাকেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার মধ্যে যে জ্ঞান রয়েছে তা বিশ্বকে প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং আপনি নির্দিষ্ট জায়গায় অবদান রাখার অনুপ্রাণিত বোধ করবেন এবং অন্যকে দিতে নারাজ হবেন না। আপনার মধ্যে এই দুর্দান্ত প্রতিক্রিয়া ব্যক্তিগত দুর্বলতা বা ব্যক্তিগত নিরাপত্তাহীনতা বা গ্রহণযোগ্যতা বা স্বীকৃতির প্রয়োজনীয়তা থেকে জন্মগ্রহণ করবে না। এটি এড়ানো বা অপরাধবোধের কোনও রূপ হবে না। আসলে, এটির আপনার সাথে মোটেই কিছুই করার থাকবে না। এ কারণেই এটি অত্যন্ত দুর্দান্ত, কারণ এটি আপনার ক্ষুদ্রত্বের প্রতিকারের জন্য নয়, পৃথিবীতে যে জ্ঞানের শক্তি রয়েছে তা প্রদর্শন করা যাতে আপনি এটির সাক্ষ্য দিতে পারেন এবং এর প্রকাশের বাহন হয়ে উঠতে পারেন।

বিশ্বের যখন আপনাকে প্রয়োজন হয় তখন কেন অপেক্ষা করবেন? কারণ আপনি এখনও দিতে প্রস্তুত নন। বিশ্বের যখন আপনাকে প্রয়োজন হয় তখন কেন অপেক্ষা করবেন? কারণ আপনি এখনও এর প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারেন না। বিশ্বের যখন আপনাকে প্রয়োজন হয় তখন কেন অপেক্ষা করবেন? কারণ আপনি মিথ্যা প্রেরণার ভিত্তিতে অবদান রাখতে চান, এবং কেবল আপনার দ্বিধা জোরদার করতে পারেন। দেওয়ার সময় আসবে এবং তখন তা আপনার জীবন নিজে থেকেই ঘটবে এবং আপনি এটি গ্রহণ করতে, তার প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞানের দিকনির্দেশনা অনুসরণ করতে প্রস্তুত থাকবেন। আপনি যদি বিশ্বের সত্যিকারের সেবায় পরিণত হতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে এবং আমরা এখন এই শপথ গ্রহণ করছি।

বিশ্বজগতের দুর্দশাগুলি যেন আপনাকে বড় উদ্বেগ না দেয়। ধ্বংসের হুমকিগুলি যেন আপনার ভয়কে জাগিয়ে তুলতে না পারে। এই বিশ্বের অন্যায়গুলি যেন আপনার ক্রোধকে উদ্বুদ্ধ না করে, কারণ তারা যদি তা করে থাকে তবে আপনি জ্ঞান ছাড়াই সন্ধান করছেন। আপনি নিজের ব্যর্থ আদর্শবাদ দেখছেন। এটি দেখার উপায় নয় এবং তাই এটি দেওয়ার উপায়ও নয়। আপনাকে দিতে প্রেরণ করা হয়েছিল, এবং দেওয়া আপনার কাছে অন্তর্নিহিত। আপনার এটিকে নিয়ন্ত্রণ করার দরকার নেই কারণ আপনি প্রস্তুত হওয়ার পরে এটি নিজেই দেবে। অতএব, এই মুহুর্তে বিশ্বকে পরিষেবা করা আপনার প্রস্তুতির মধ্যে রয়েছে এবং যদিও এটি আপনাকে দেওয়ার প্রয়োজনের জন্য তাত্ক্ষণিক প্রশংসা দেবে না, তবে এটি আরও বৃহত্তর পরিষেবা সরবরাহ করার পথ প্রশস্ত করবে।

আপনার আজ দুটি ব্যবহারিক অনুশীলনের সময়, সক্রিয়ভাবে আজকের ধারণা সম্পর্কে চিন্তা করুন এবং আপনার আচরণ, আপনার প্রবণতা, আপনার ধারণা এবং বিশ্বাসের আলোকে এটি বিবেচনা করুন।

অনুশীলন ১০১: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল।

ধাপ ১০২

আমাকে অবশ্যই অনেক শেখা জিনিস ভুলতে হবে।

আপনার জীবন আপনার নিজস্ব ধারণা এবং চাহিদা, আপনার নিজস্ব প্রত্যাশা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা, ভয় এবং জটিলতায় পূর্ণ। অতএব, দান করার জন্য আপনার বাহনটি বোঝা হয়ে গেছে এবং বিশৃঙ্খল হয়ে আছে, এবং আপনার শক্তির অপব্যবহার করা হচ্ছে। এজন্যই আপনাকে বোঝা থেকে মুক্তি দেওয়া ঈশ্বরের প্রথম পদক্ষেপ। এটি না হওয়া পর্যন্ত আপনার কি করতে হবে তা না জেনেই, আপনার বিপজ্জনক অবস্থা না বুঝেই এবং অবশ্যই আপনার প্রয়োজনীয় সহায়তাটি গ্রহণ না করেই আপনি কেবল পরিস্থিতি সমাধানের জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। অতএব, আপনার শেখা জিনিস ভুলতে গ্রহণ করুন, কেননা এটি আপনার বোঝা কমিয়ে দেবে এবং আপনাকে আশ্বাস দিবে যে, আপনারা যারা এখানে দান করতে এসেছেন তাদের জন্য একটি বৃহত্তর জীবন সম্ভব এবং অবধারিত রয়েছে।

প্রতি ঘন্টা শুরুতে, এই বিবৃতিটি পুনরাবৃত্তি করুন এবং এটি বিবেচনা করুন। বিশ্ব সম্পর্কে আপনার উপলব্ধির দিক থেকে এর বাস্তবতা দেখুন। আপনার দীর্ঘ দুটি অনুশীলনের সময়কালে, আবারও নিঃশব্দে মানসিক নীরবতা অনুশীলন করুন, যেখানে কোন কিছু চেষ্টা করা হয় না এবং যেখানে কোন কিছু এড়ানো হয় না। আপনি কেবল নিজের মনকে নীরব রাখতে সম্পৃক্ত করছেন যাতে এটি নিজেই তার প্রতিক্রিয়া জানাতে শিখতে পারে যা এটিকে আহ্বান করে। প্রতিটি ধাপের সাহায্যে আপনি আপনার শেখা জিনিস ভুলতে থাকবেন, যা এটি প্রতিস্থাপিত করেছিল জ্ঞান সেটি পূরণ করবে। এটি তাত্ক্ষণিক, কারণ আপনি কেবল নিজেকে একটি গ্রহণ করার মতো অবস্থানে নিয়ে যাচ্ছেন যাতে আপনার দান আপনার কাছে অকৃপণ, খাঁটি এবং সিদ্ধ হতে পারে।

অনুশীলন ১০২: দুটি ৩০ মিনিটের অনুশীলন সময়কাল। প্রতি ঘন্টা অনুশীলন।

ধাপ ১০৩

আমি ঈশ্বরের দ্বারা সম্মানিত।

আপনি ঈশ্বরের দ্বারা সম্মানিত, এবং তবুও এই বিবৃতিটি আপনার অনিশ্চয়তার বোধকে উদ্বুদ্ধ করতে পারে, আপনার অপরাধবোধকে জাগিয়ে তুলতে পারে, আপনার গর্ববোধকে বিভ্রান্ত করতে পারে এবং এখন আপনার মধ্যে উপস্থিত সমস্ত ধরণের সংঘাতকে উত্সাহিত করতে পারে। অতীতে আপনি অবাস্তব হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন এবং এটি আপনাকে ব্যর্থ করেছে। ব্যর্থতা আপনাকে আবার অনুসরণ করবে এই ভয়ে এখন আপনি কিছু হতে ভয় পান। সুতরাং, মাহাত্ম্য উপস্থিত হয় ক্ষুদ্রতা হিসাবে এবং ক্ষুদ্রতা উপস্থিত হয় মাহাত্ম্য হিসাবে এবং সব কিছুকে তাদের প্রকৃত অর্থ থেকে পিছিয়ে বা উল্টিয়ে দেখা হয়।

আপনি ঈশ্বরের দ্বারা সম্মানিত, আপনি এটি গ্রহণ করতে পারেন বা না পারেন। এটি মানুষের মূল্যায়ন নির্বিশেষে সত্য, শুধুমাত্র মূল্যা