লেখকের আর্কাইভঃ marc

মানব ধর্ম ও বিশ্বাসের সীমা ছাড়িয়ে যাওয়া

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

বিশ্বের ধর্মীয় প্রথার একটি সমৃদ্ধ ঔতিহ্য রয়েছে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, তারা বিশ্ব সরকার, সমাজ ইত্যাদি দ্বারা তাদের হেরফের সত্ত্বেও পৃথিবীতে জ্ঞানকে বাঁচিয়ে রেখেছে। তারা অনেক, অনেক মানুষের জন্য আধ্যাত্মিকতার উজ্জ্বলতা ধরে রেখেছে।

তবুও যেহেতু মানবতা আপেক্ষিক বিচ্ছিন্নতার অবস্থায় বিকশিত হয়েছে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অন্যান্য ধরণের বুদ্ধিমান জীবনের সাথে চ্যালেঞ্জ এবং লাভের সম্মুখীন হয়নি, তাই এই বিশ্বের ঐতিহ্যের কিছু মৌলিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে । মানবতার বিচ্ছিন্নতার কারণে এই সীমাবদ্ধতাগুলি বোধগম্য, এবং এগুলি অবশ্যই এই বিচ্ছিন্নতার বড় অংশ হিসাবে বোঝা উচিত।

জ্ঞান শিক্ষার্থীর জন্য, কিছু বিষয় রয়েছে যা অবশ্যই পুনর্মিলন করা উচিত। এই সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য থেকে উদ্ভূত যেখানে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষ লালিত হয়েছে। তারা মানবতার আকাঙ্ক্ষা এবং মানবতার সচেতনতা এবং বোঝার সীমা উভয়েরই প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনি কঠোর ধর্মীয় পটভূমি থেকে বেরিয়ে আসুন বা না আসুন, আপনি এই অবস্থার দ্বারা প্রভাবিত হন, কারণ এগুলি সামগ্রিকভাবে আপনার সাংস্কৃতিক অবস্থার অন্তর্নিহিত রুপ।

আসুন আমরা এখন এগুলিকে সম্বোধন করি যাতে আপনি বিশ্বে আধ্যাত্মিক আহ্বানের অর্থ কী এবং বিশ্বের পরিস্থিতি কীভাবে পরিবর্তিত হয়েছে এবং এর এখন কী প্রয়োজন তা সম্পর্কে আপনার স্পষ্ট ধারণা থাকে।

বিশ্বে বিশ্বাসের কিছু প্রচলিত নিয়ম আছে যা সারা বিশ্বে প্রচলিত আছে, উভয় ধর্মীয় ঐতিহ্যে যা অনেক জাতি এবং উপজাতীয় ঐতিহ্যের মধ্যেও রয়েছে। এই ঐতিহ্যের মূলে রয়েছে জীবনের অসুবিধাগুলো সমাধানের প্রচেষ্টা এবং বৃহত্তর বা মহান শক্তির উপর আস্থা বজায় রাখার জন্য, একটি ঐশ্বরিক শক্তিতে, যা মানুষের কার্যকলাপকে রক্ষা ও নির্দেশনা দিতে পারে।

যদিও ধর্ম তাদের সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক মেলামেশায় অন্য অনেক কিছু হয়ে গেছে, তাদের অনুশীলনের সারমর্ম হল আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতাকে বাঁচিয়ে রাখা, মানুষকে সরাসরি স্বর্গীয় অভিজ্ঞতা লাভ করা এবং বিশ্বে উচ্চতর চেতনা আনতে সক্ষম করা, নৈতিকতার একটি সেট যা মার্কেটপ্লেস যা নির্দেশ করতে পারে এবং যা জাগতিক জীবন মানুষের মধ্যে উদ্দীপিত করে তার চেয়ে বড়।

তবুও কিছু সমস্যা আছে। এই সমস্যাগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায় এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিকতার অর্থ বোঝার ক্ষেত্রে একটি বড় বাধা প্রদান করে। এই কারণেই ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি আজ বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অর্থ বোঝার পথে বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য পর্যাপ্ত প্রস্তুতির জন্য মানুষের কী প্রয়োজন তা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

এর মধ্যে অন্তর্নিহিত হল এই যে মানবতা সম্পর্কে তাদের মৌলিক বোঝাপড়া এবং প্রকৃতি এবং ঐশ্বরিকের সাথে তার সম্পর্ককে চরমভাবে চ্যালেঞ্জ করা হবে এই বাস্তবতা দ্বারা যে মানবতা একটি বৃহত্তর সম্প্রদায় হয়ে উঠছে। এখানে তাদের অবশ্যই বুঝতে হবে যে তাদের সর্বাধিক লালিত আদর্শগুলি পরম নয়। এগুলি সর্বজনীন নয়, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, এবং আধ্যাত্মিক জীবনের প্রয়োজনীয়তাগুলি এখন পুনরায় মূল্যায়ন করতে হবে। এবং জীবনের মানদণ্ড এবং জীবনের অর্থ অবশ্যই একটি বৃহত্তর প্রসঙ্গ থাকতে হবে যাতে অর্থপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।

 

আমরা মনে করি এটি পৃথিবীর সব ধর্মীয় ঐতিহ্যের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর একটি বিষয়। তাদের অবশ্যই বৃদ্ধি এবং প্রসারিত করতে হবে। যদি তারা বৃদ্ধি না করে এবং প্রসারিত না হয়, তাহলে তারা চুক্তি করবে এবং মূলত প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠবে এবং এই সময়ে মানবতার ক্ষেত্রে যে বিরাট পরিবর্তন ঘটছে তার বিরোধিতা করবে। এটি তাদের ঐতিহ্যের মধ্যে নতুন জীবন এবং নতুন চেতনা এবং নতুন সচেতনতা নিয়ে আসবে যা মানবতার এখন খুবই প্রয়োজন।

 

বিশ্বে বর্তমান ধর্মীয় ঐতিহ্যের মধ্যে কিছু দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে যা অবশ্যই সমাধান করা উচিত। আমরা ইতিমধ্যে এর মধ্যে অনেকগুলি উল্লেখ করেছি, কিন্তু এখন আমাদের কাছ থেকে দেখে নেওয়া যাক।

প্রথমে, আসুন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের পরিপ্রেক্ষিতে স্বর্গ এবং নরকের সমগ্র ধারণাটি পরীক্ষা করি। সহজভাবে বললে, স্বর্গ প্রতিনিধিত্ব করে আপনি কোথা থেকে এসেছেন এবং আপনি কোথায় ফিরে আসবেন, কিন্তু আজকের অভিজ্ঞতার পরিপ্রেক্ষিতে, এটি আপনার জ্ঞানের সাথে আপনার ঘনিষ্ঠতা, জ্ঞানের প্রতি আপনার আনুগত্য এবং জ্ঞানের সাথে আপনার সনাক্তকরণের সাথে সম্পর্কিত।

জাহান্নাম আপনার প্রকৃত প্রকৃতির অধিগমন অর্জন করতে আপনার অক্ষমতার প্রতিনিধিত্ব করে, যা আপনাকে মারাত্মক অনিশ্চয়তা এবং সন্দেহ, উদ্বেগ এবং কষ্টের জগতে ফেলে দেয়। এটিই প্রায়শ্চিত্ত। প্রায়শ্চিত্ত খারাপ আচরণের পুরষ্কার নয়। স্বর্গ যদি আপনাকে না চায় তাহলে আপনি যেখানে যান সেটা প্রায়শ্চিত্ত নয়। স্বর্গ সবসময় আপনাকে চায়।

প্রায়শ্চিত্ত হল জ্ঞান ছাড়া জীবন যাপন করা। এটি আলাদা করা হচ্ছে। এটি অন্তরণ এবং বিচ্ছিন্নতার জীবন যাপন করছে – নিজের মধ্যে জ্ঞান থেকে বিচ্ছিন্নতা এবং জীবনে আপনার সত্যিকারের সম্পর্কের অর্থ থেকে বিচ্ছিন্নতা।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, প্রচলিত অর্থে কোন স্বর্গ এবং নরক নেই। আপনি যদি এটি সম্পর্কে চিন্তা করেন তবে এটি আপনার কাছে বোধগম্য হতে শুরু করবে। মানুষের পরিবেশে ভাল আচরণের জন্য অন্য সভ্যতা এবং অন্যান্য পরিবেশে পরিবর্তন করতে হবে। অনেক ক্ষেত্রে, অন্যান্য জাতিগুলির স্বর্গ এবং নরকের নিজস্ব সংমিশ্রণ, ভাল আচরণের জন্য তাদের পুরষ্কার, খারাপ আচরণের জন্য তাদের শাস্তি রয়েছে। সেগুলো আপনার কাছে অপ্রাসঙ্গিক বলে মনে হবে যেমন আপনার স্বর্গ ও নরকের উপস্থাপন তাদের কাছে মনে হতে পারে। এখানে সার্বজনীন কিছু নেই। এটি একটি স্থানীয় প্রথা, একটি স্থানীয় ঐতিহ্য এই ক্ষেত্রে, আপনার বিশ্বের জন্য স্থানীয়।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, কোন শুরু এবং শেষ নেই। কোন চমত্কার সৃষ্টির গল্প নেই। মহাবিশ্বে জীবনের কোন আসন্ন শেষ নেই। শেখার অবশ্য শেষ আছে। এবং প্রকাশিত জীবনের একটি সমাপ্তি হবে, কিন্তু ভবিষ্যতে এটি এতদূর যে আপনার উদ্বেগের ক্ষেত্রের বাইরে।

একইভাবে, শারীরিক বাস্তবতার মধ্যে জীবনের বিবর্তন এমন একটি বিষয় যা আপনার পৃথিবী সৃষ্টির অনেক আগে ঘটেছিল। সুতরাং শুরুটা অনেক আগে থেকেই, এবং শেষটা এতদূর ভবিষ্যতে যে, এগুলো আপনার জীবনে ঐশ্বরিক অর্থ এবং প্রকৃতি সম্পর্কে বোঝার জন্য প্রাসঙ্গিকতা নির্ধারণ করতে পারে না।

আবার, আমাদের অবশ্যই আপনার ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ব্যবহৃত প্ররোচনার ক্ষমতা এবং সত্যিকারের ধর্মীয় জীবন যাপনের অর্থের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। রাজনৈতিক সুবিধার সাথে মিশ্রিত সামঞ্জস্য এবং আনুগত্য অনেকগুলি আদর্শ ও বিধানের জন্ম দিয়েছে যা এখানে বেশিরভাগ মানুষের চিন্তাকে প্রভাবিত করে বলে মনে হয়।

এটা এমনভাবে বলা যায় যে, যদি শাস্তির বড় হুমকি না থাকে, যতক্ষণ না এমন নিষ্ক্রিয়তা থাকে যেখানে মানুষকে বিশ্বাস করতে হয়, তারা লক্ষ্যহীনভাবে ঘুরে বেড়াবে। তাদের নিজস্ব কোন প্রকৃত প্রণোদনা না থাকায়, তাদের অবশ্যই শাসিত হতে হবে, এবং তাই এই বিষয়গুলি কার্যকরভাবে পরিচালনার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু জ্ঞানের ছাত্রকে অবশ্যই এই দ্বিধাবিভক্তির বাইরে দেখতে হবে এবং সেখানে বিদ্যমান প্রকৃত সত্য দেখতে হবে। আসুন ভাল এবং মন্দের মধ্যে দ্বিচারিতা দেখি। এটি একটি খুব কঠিন কারণ অনেকেরই এই বিষয়ে খুব, খুব মৌলবাদী ধারণা রয়েছে।

যে আদর্শবাদের অস্তিত্ব রয়েছে তার বেশিরভাগই প্রকৃত গুরুতর বিবেচনার এবং মননশীলতার ফল নয় বরং এটি একটি সামাজিক প্রতিক্রিয়া। উদাহরণস্বরূপ, লোকেরা মনে করে যে অতীতে গির্জার আধিপত্যের কারণে, তাদের অবশ্যই মন্দ ধারণাটি প্রত্যাখ্যান করতে হবে। তারা কি সত্যিই এই বিষয়ে চিন্তা করেছে, নাকি এটি কেবল একটি প্রতিক্রিয়া?

স্পষ্টতই, এমন কিছু আছে যারা ভালোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, এবং এমন কিছু আছে যারা ভালোর বিরুদ্ধে কাজ করার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা বিপরীত চরম প্রতিনিধিত্ব করে। মাঝখানে অন্য সবাই, এক বা অন্যভাবে প্রভাবিত হচ্ছে।

ভাল শক্তি আছে এবং অসঙ্গতির শক্তি আছে। আপনি তাদের ভাল এবং মন্দ বলতে পারেন, কিন্তু তারা মূলত এর চেয়ে জটিল। ভাল করার ক্ষমতা এবং মন্দ করার ক্ষমতা প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে রয়েছে। তাহলে, কোনটি একজন ব্যক্তির জীবনে প্রধান শক্তি হয়ে ওঠে? যে কোনও ব্যক্তির মধ্যে, একজন হয় মৌলিকভাবে বা অন্যের চেয়ে কিছুটা বেশি প্রভাবশালী।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিকতার মধ্যে, এটি অন্যভাবে দেখা যেতে পারে। এখানে আমরা আবার জ্ঞানের সারাংশে ফিরে আসি। যখন আপনি জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত থাকেন, তখন আপনি ভাল কাজ করেন। যখন আপনি জ্ঞানের সাথে সংযুক্ত নন, তখন আপনি ভালোর বিরুদ্ধে কাজ করার প্রবণতা রাখেন যদিও আপনার ভালোর প্রতি ঝোঁক রয়েছে।

জীবনে কেউই পুরোপুরি ভালো নয়, এবং জীবনে কেউই পুরোপুরি খারাপ নয়। আপনি পুরোপুরি ভালো হতে পারবেন না কারণ সবসময়ই সুযোগ থাকে যে আপনি প্রতারিত হতে পারেন অথবা আপনার উপলব্ধি এবং বিচারে ভুল করতে পারেন। প্রত্যেকেই ফিজিক্যাল জীবনে ভুল করতে সক্ষম। এটি পৃথিবীতে যেমন সত্য তেমনি বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে।

একইভাবে, কেউই পুরোপুরি খারাপ হতে পারে না কারণ আপনি ব্যক্তি থেকে জ্ঞানকে নির্মূল করতে পারবেন না। ঈশ্বর সেখানে যা রেখেছেন তা আপনি ধ্বংস করতে পারবেন না। এটা অস্বীকার করা যেতে পারে; এটি ব্যর্থ করা যেতে পারে; এটি সম্পূর্ণরূপে এড়ানো যায়, কিন্তু এটি নির্মূল করা যায় না।

অতএব, প্রত্যেক ব্যক্তি, তার আচরণ যতই ক্ষতিকারক হোক না কেন, সক্ষম এবং ভাল করার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে আপনাকে অবশ্যই ভাল এবং মন্দ কী সে সম্পর্কে একটি শিশুসুলভ দৃষ্টিভঙ্গি কাটিয়ে উঠতে হবে, ফেরেশতা এবং ভূতদের প্রতি শিশুসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিকে কাটিয়ে উঠতে হবে এবং জীবনের বাস্তবতায় ফিরে আসতে হবে।

সৃষ্টিকর্তা জানেন যখন আপনি দুনিয়াতে আসবেন যে পৃথিবী অনেক অসুবিধায় পূর্ণ এবং আপনি অনেক ভুল করবেন এবং আপনি হয়তো আপনার উদ্দেশ্য এবং এখানে আপনার পথ খুঁজে পেতে সফল হবেন না। স্পষ্টতই, এটি বোঝা যায়।

আসলে, খুব কম লোকই এখানে তাদের উদ্দেশ্য এবং তাদের মিশন খুঁজে পায়। অন্য সবাই চেষ্টা করে কিন্তু কোনোভাবে সফল হতে পারে না। এর কারণ এই যে পৃথিবী এত কঠিন এবং তাদের প্রথম শিক্ষার মহাপ্রাচীর অর্জন করার জন্য, তাদের অবশ্যই তাদের প্রকৃত প্রকৃতি, তাদের আসল উৎপত্তি এবং তাদের প্রকৃত ভাগ্য সম্পর্কে অজ্ঞ থাকতে হবে।

আবার, যদি আপনি আপনার প্রাচীন বাড়ি এবং সেখানে আপনার সম্পর্ক সম্পর্কে এত সচেতন হন, তাহলে আপনি পৃথিবীতে প্রবেশ করতে চাইবেন না। এটা খুব কঠিন হবে। আপনার বাড়ি যাওয়ার আকাঙ্ক্ষা এতটাই দুর্দান্ত হবে যে এটি আপনাকে এখানে সম্পূর্ণরূপে অংশগ্রহণ করতে অক্ষম করবে। পৃথিবীতে প্রবেশের আগে যখন আপনি আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারের সাথে থাকেন, তখন পৃথিবী এত কঠিন মনে হয় না। সেখানে থাকা, সবকিছু তাই অক্ষত; সবকিছু এত সম্পূর্ণ; আপনি সম্পূর্ণরূপে বোঝা যায়। আপনি পৃথিবীতে যখন আসেন, এবং এর সবকিছু চলে গেছে। এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বাস্তবতা।

অতএব, সৃষ্টিকর্তা জানেন যে আপনি এখানে অনেক ভুল করবেন। এজন্য নিন্দা করা প্রশ্নের বাইরে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে আপনি আপনার প্রকৃত আত্মা খুঁজে পান, আপনি এখানে আপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার মিশন খুঁজে পান। সমস্ত জোর এর উপরই।

এটা সম্ভব করার জন্য সৃষ্টিকর্তা আপনাকে জ্ঞান দিয়েছেন। জ্ঞান ছাড়া, আপনি বিশ্বের দ্বারা পরাজিত এবং পরাস্ত হবেন। আপনার সত্যকে উপলব্ধি এবং আবিষ্কার করার ক্ষমতা থাকবে না। আপনার কোন প্রকৃত বিবেক থাকবে না। জ্ঞান ছাড়া, আপনি সম্পূর্ণরূপে মন্দ হতে পারেন।

কিন্তু পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ আজ বুঝতে পারে না যে তাদের জ্ঞান আছে। এটা তাদের ধর্মীয় শিক্ষার অংশ নয়। তাদেরকে বিশ্বাস করতে এবং বাধ্য হতে শেখানো হয়। তাদেরকে ধারণায়, কথায়, বইয়ে, মানদণ্ডে এবং কনভেনশনে বিশ্বাস করতে শেখানো হয়। এবং যদি তারা তা করতে ব্যর্থ হয় তবে তাদের ভয়ঙ্কর প্রতিশোধের হুমকি দেওয়া হয়। জ্ঞানের পথে কোন শিক্ষা নেই। জ্ঞান পুনরুদ্ধার করার কোন পদ্ধতি নেই। এটি একটি আদিম জাতিতে বোধগম্য, কিন্তু মানবতা এখন তার আদিম অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসছে যদিও তার বেশিরভাগ আচরণ এখনও খুব আদিম।

মানুষকে জানতে হবে। বিশ্বাস যথেষ্ট নয়। বিশ্বাস দুর্বল এবং বিশ্বাসযোগ্য এবং সহজেই প্ররোচিত এবং প্রভাবিত হয়। যা আজ বিশ্বে প্রয়োজন নেই। মানবতার জন্য এর চেয়ে ভাল বিশ্বাসের প্রয়োজন নেই। এর জন্য জ্ঞানের চেয়ে কম কিছু দরকার নেই।

এবং তবুও এটি ধর্মীয় চিন্তায় কিরকম বিপ্লব হয়ে যাবে। যারা তাদের মতাদর্শ এবং প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভর করে তাদের স্থিতিশীলতা এবং পরিচয় দিতে তারা এই ধারণা দ্বারা ব্যাপকভাবে হুমকির সম্মুখীন হবে, কারণ তারা মানবতার অন্তর্নিহিত মঙ্গল বা বাস্তবতা এবং জ্ঞানের অর্থ বিশ্বাস করে না।

সুতরাং স্বর্গ ও নরকের উপর জোর, পরকালের পুরস্কার ও শাস্তির উপর জোর, ভাল ও মন্দের উপর জোর – সবই এমন পরিবেশে ঘটে যেখানে জ্ঞান অজানা এবং জোর দেওয়া হয় না। এটি জ্ঞানের পুরুষ বা মহিলার জন্য জ্ঞান প্রদানের পথে যাএা শুরু করার জন্য এটি একটি খুব কঠিন পরিবেশ তৈরি করে। তাদের অবশ্যই শুধু এই শক্তির সাথে তাদের পরিমণ্ডলে নয়, নিজেদের মধ্যেও মোকাবেলা করতে হবে।

 

কিছু লোকের ধর্মীয় প্রশিক্ষণ এতটাই কঠোর এবং তাদের উপর এত জোর দিয়ে রাখা হয়েছে যে তারা এটিকে ছাড়াইয়া উঠে আসতে পারে না। এটি এমন একটি নিষ্পেষণ চাপ। এটা তাদের উপর নিপীড়ন। তারা তাদের আনুগত্যকে একটি পুরনো ধারনা থেকে তাদের ভেতরের জীবন্ত বাস্তবতায় স্থানান্তরের চেষ্টা করার জন্য অনেক অপরাধ বোধ করে।

ভাল এবং মন্দের এই দ্বন্দ্ব থেকে, স্বর্গ এবং নরক, একটি নতুন অভিজ্ঞতা বোঝার গভীর অক্ষমতা আসে। জিনিসগুলি একটি বিশ্বাসের সেট অনুসারে বিচার করা হয় যা মূলত নতুন অভিজ্ঞতার জন্য সত্যই অপ্রাসঙ্গিক।

উদাহরণস্বরূপ, বৃহত্তর সম্প্রদায় পৃথিবীতে রয়েছে। যারা এই সম্পর্কে সচেতন তারা ভাল এবং মন্দের এই ধারণাগুলি প্রজেক্ট করে। তারা বলে, “তারা কি ভাল? তারা কি খারাপ? তারা কি ঐশ্বরিক? তারা কি শয়তান?” এমনকি শিক্ষিত লোকেরা যারা এটি বলে না তারা আসলে এটি অনুভব করতে পারে। তারা উদ্বিগ্ন। এই কুসংস্কারগুলি এত গভীরভাবে প্রতিষ্ঠিত এবং সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের এতটাই একটি অংশ যে কখনও কখনও এগুলোকে চিনতে এবং তাদের ছাড়িয়া উঠা বড় কঠিন।

জ্ঞান ছাড়া ধর্ম কুসংস্কারে পরিণত হয়। এটি বিশ্বাসে পরিণত হয়, এবং বিশ্বাস পরিচালনা করা এবং প্রভাবিত করা সহজ। জ্ঞান ছাড়া, মানুষ সব ধরণের জিনিস বিশ্বাস করতে পারে, এমনকি যদি তারা তাদের অভিজ্ঞতার সাথে সরাসরি বিপরীত হয়।

মানুষকে শেখানো যেতে পারে যে তারা স্বভাবতই দুষ্ট এবং তাই তাদের অবশ্যই ধর্মীয় মতাদর্শের কঠোর আনুগত্যের অধীন হতে হবে। এবং তবুও এটি তাদের নিজের একটি প্রাকৃতিক অভিজ্ঞতাকে বিশ্বাসঘাতকতা করে। তাদের শেখানো যেতে পারে যে তারা শারীরিকভাবে খারাপ, তাদের শরীর খারাপ, বাস্তবিক অভিজ্ঞতা খারাপ, যে কোনওভাবে বেঁচে থাকা একটি বড় দুর্ভাগ্য এবং এটি নিজেই এবং এক ধরণের শাস্তি। তবুও এটি জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতার সম্পূর্ণ বিপরীত এবং এটি মানুষের উদ্দেশ্য এবং বিশ্বে উপস্থিতির প্রকৃত প্রকৃতির সম্পূর্ণ বৈপরীত্য, যা অন্তর্নিহিতভাবে ভাল কাজ করা।

সৃষ্টিকর্তা এখানে সবাইকে ভালো করার জন্য পাঠিয়েছেন। কিন্তু প্রত্যেককেই প্রথমে পৃথিবীর মধ্যে দিয়ে যেতে হবে। অনেকের জন্য, এটি তাদের দুর্দান্ত সুযোগ এবং তাদের বৃহত্তর অভিব্যক্তি অস্বীকার করার জন্য যথেষ্ট হবে।

হিরো পূজা মানব ধর্মের আরেকটি সহজাত অংশ। এটি কোন কোন প্রথায় একে অন্যদের চেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। মানুষের বিশ্বাস করার জন্য একধরনের অতিমানব থাকা দরকার, কেউ একজন মহান, কেউ একজন যে মানুষের পতনশীলতা প্রদর্শন করে বলে মনে হয় না, এমন একজন যিনি নিখুঁত অবস্থায় আছেন।

এবং তবুও এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে সত্য হতে পারে? বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে একজন ব্যক্তি কি ঈশ্বরের মাধ্যম হতে পারে? এটি এমন একটি দর্শনার্থী দৌড়ের মতো যা এখানে এসে আপনাকে বলছে, “ঠিক আছে, আপনি স্বর্গে প্রবেশ করতে পারবেন না যদি না আপনি সম্পূর্ণ বিশ্বাস করেন এবং আমাদের হিরোকে অনুসরণ করেন এবং মেনে চলেন,” যারা অবশ্যই মানুষ হবে না।

যদিও বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানুষের মধ্যে মহান কাজ এবং মানুষের উচ্চতর বুদ্ধিমত্তা এবং চেতনা অনুপ্রাণিত করার জন্য এটি একটি মানবিক প্রেক্ষাপটে অর্থপূর্ণ হতে পারে, এটি ধরে রাখে না।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন বিশিষ্ট সত্তা থাকতে পারে না। দৈহিক জীবনে কেবলমাত্র এমন প্রাণী রয়েছে যারা জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী বা দুর্বল। এর বাইরে, তাদের সামাজিক ব্যবস্থা এবং তাদের প্রযুক্তি এবং তাদের নৈতিকতার বিকাশ রয়েছে।

কিন্তু সমালোচনামূলক বিষয় হল তারা জ্ঞানে শক্তিশালী কিনা কারণ, আমরা যেমন বিশ্বের মধ্যে দেখেছি, জ্ঞান ছাড়া ভাল নৈতিকতা খারাপ ফলাফলের দিকে নিয়ে যায়। অনেক কিছু যা মানুষ শুরু করে একটি ভাল উদ্দেশ্য হিসাবে, কিন্তু এটি ইতিবাচক উপায়ে শেষ হয় না।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে হিরো পূজার ধারণা প্রাসঙ্গিক হতে পারে না। যীশুর মতো একজন মহৎ পৃথিবীর মধ্যে, যদিও তাকে এখনও ব্যাপকভাবে ভুল বুঝেছে, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, তিনি একজন স্থানীয় হিরো।

বুদ্ধিমান জীবনের সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে মহান শিক্ষক পাঠানো হয়েছে। যাইহোক, অনেকে যিশুর মতো একই পরিণতি ভোগ করেছেন। কিছু কিছু ক্ষেত্রে, ধর্মগুলি তাদের উপর নির্মিত হয়েছে, যা তাদের প্রকৃত প্রকৃতি এবং উদ্দেশ্যকে খুব কমই প্রতিফলিত করে।

বিশ্বের অনেক ধর্মীয় প্রথায়, এমন ধারণা রয়েছে যে আপনার এবং স্রষ্টার মধ্যে অন্য কাউকে অবশ্যই মধ্যস্থতাকারী হতে হবে: কিছু ঐশ্বরিক ব্যক্তি, একজন ব্যক্তি যিনি একটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে একটি মহান পদে অধিষ্ঠিত। যদি এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রকৃত প্রজ্ঞা থাকত এবং সেগুলি সম্পূর্ণ উপকারের দ্বারা পরিচালিত হতো, তাহলে এটি সম্ভব এবং উপকারী হত। কিন্তু সবাই ভ্রমপ্রবণ। সুতরাং এটি বড় ভুল বোঝাবুঝির দিকে পরিচালিত করে এবং অফিসের অপব্যবহার এবং অবৈধ ব্যবহার করে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, মানুষকে অনেক বেশি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এই দায়িত্বের জন্য একটি খুব উন্নত স্ব-সততার প্রয়োজন, যা এখনও বিশ্বের মধ্যে খুব বেশি চর্চা করা হয়নি কারণ মানুষ যদি জ্ঞানের উপায় শিখতে পারে, তাহলে তারা যা কিছু চায় তা বলতে পারবে, যা কিছু তারা সংযুক্ত করে, যা কিছু তারা তাদের নিজেদের মধ্যে জ্ঞান থেকে আসা হিসাবে তাদের নিজেদের জন্য আকাঙ্ক্ষিত হয়।

মানুষ এই ভুলগুলো করবে। তারা ভাববে, “আমি যা চাই তা চাই এবং বাকিদের সঙ্গী জাহান্নাম!” তারা এটাকে জ্ঞান বলবে অথবা যা তারা মনে করবে তারা যা চায় তা লাভের সুবিধা দেবে।

সুতরাং আপনি সমস্যাটি দেখতে পাচ্ছেন। কিন্তু ত্রুটির বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও, জ্ঞানের পথ অবশ্যই মানবতাকে শিখিয়ে দিতে হবে, তার কুসংস্কার, দৃষ্টিশক্তির অভাব, ধর্মীয় আদর্শের জন্য, তাই অন্ধকার [মানবতা] বৃহত্তর অবস্থার জন্য যা তার ভাগ্য এবং ভবিষ্যতকে রূপ দিচ্ছে, জ্ঞানের পথে অবশ্যই একটি মহান পথ থাকতে হবে। এটি বিশ্বের ধর্মগুলিকে প্রতিস্থাপন করবে না কিন্তু তাদের প্রকৃত প্রতিশ্রুতি এবং একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জীবন প্রেক্ষাপটে বিদ্যমান এবং অর্থপূর্ণ হওয়ার সম্ভাবনা দেবে।

এত গভীরভাবে জড়িয়ে আছে অনেক আধ্যাত্মিক ধারণা যে তারা জ্ঞানের ছাত্রের জন্য একটি গুরুতর সমস্যা তৈরি করে, উভয় নিজের মধ্যে এবং তাদের সম্পর্কের মধ্যে। মানবতার ইতিহাসে মহান সাধকরা সর্বদা তাদের সময়ের প্রচলিত প্রথার বাইরে দাঁড়িয়ে আছেন। এমনকি যদি তাঁরা সেই প্রথা পুনরুদ্ধারে মূল ভূমিকা পালন করেন, এমনকি যদি তাঁরা মূল ব্যক্তিত্ব হন, তবুও তাঁরা সর্বদা নিজেদের মধ্যে একটি মহান কর্তৃত্ব অনুসরণ করেছেন। ফলস্বরূপ, তাঁরা প্রায়ই ধর্মীয় কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে প্রচণ্ড কষ্ঠ এবং নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন যে তাঁরা সেখানে সেবা করার জন্য ছিলেন।

বর্তমান বিশ্বে অনেক প্রচলিত কুসংস্কার রয়েছে। তারা জ্ঞান থেকে আসে না। এই বিশ্বাস যে ঈশ্বর প্রাথমিকভাবে [মানবতার] কল্যাণের সাথে অন্য সব কিছু বাদ দেওয়ার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তা একটি কুসংস্কার। আপনি যদি একজন খারাপ ব্যক্তি হন, তাহলে আপনি অনন্তকাল ধরে জাহান্নামে বসবাস করতে যাবেন এই ধারণাটি একটি কুসংস্কার। স্বর্গ খোঁজার জন্য প্রত্যেককে অবশ্যই একজন শিক্ষকের উপর বিশ্বাস করতে হবে এই ধারণাটি একটি কুসংস্কার। এই বিশ্বাস যে স্বর্গ থেকে আসা কোন শক্তি বা নক্ষত্র থেকে আসা কোন দর্শক অবশ্যই রাক্ষসী বা দেবদূত হতে হবে একটি কুসংস্কার।

যদিও এর মধ্যে কিছু অবিশ্বাস্য মনে হয় এবং আপনি মনে করবেন, “আমি নিজেও এই জিনিসগুলিতে বিশ্বাস করি না,” আপনি ঘনিষ্ঠভাবে পরীক্ষা করে দেখতে পাবেন যে এগুলি আপনার সর্তকরণের অংশ হয়েছে কারণ এগুলি মানব সমাজে প্রচলিত। এমনকি অত্যাধুনিক মানুষ যারা কখনও প্রকাশ্যে নিজেদের জন্য এই ধরনের মতামত দাবি করবে না তারা তাদের নিজেদের মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে অনুভব করতে পারে।

কয়জন মানুষ দুষ্ট হওয়ার ভয় পায় নাকি অশুভ শক্তির খপ্পরে পড়ে? এটি তাদের নিজেদের গভীর প্রবণতা সম্পর্কে সন্দেহ করতে পরিচালিত করবে। একটি নির্দিষ্ট প্রথার মধ্যে প্রাচীন লেখার উপর ভিত্তি করে কতজন লোককে রাজি করানো যেতে পারে যে, পৃথিবীতে তাদের ভালো করার প্রবণতা আসলে একটি খারাপ জিনিস হবে? অতীতে রাজারা এবং রাজকীয়রা নিজেদেরকে ঔশ্বরিক নিয়োগ দিয়েছিলেন এবং যথেষ্ট মানুষকে বিশ্বাস করতে প্রণোদিত করেছিলেন।

এখানে আরেকটি সমস্যা আছে। মানবতাকে নাবালক অবস্থায় রাখা ছাড়াও, অজ্ঞতা ও কুসংস্কারের অবস্থায়, কিছু প্রচলিত ধর্মীয় ধারণা মানবতাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের লোকদের থেকে হেরফেরের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।

মানবতা গত অর্ধ শতাব্দী ধরে তীব্রভাবে অধ্যয়ন করা হয়েছে, শুধু মানব শারীরবৃত্ত নয় মানব সংস্কৃতি এবং মানব ধর্ম, মানব আদর্শ এবং মানব প্রেরণা, মানব মনোবিজ্ঞান। যদিও লোকেরা নিজেদেরকে বিস্ময়করভাবে জটিল বলে মনে করে, এই ক্ষেত্রে এটি সত্য নয়। আপনি যদি নিজেকে বাইরে থেকে দেখতে পারেন এবং নিজেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার আচরণ এত জটিল নয় এবং আপনি নিজের দুর্বলতাগুলি দেখতে পাবেন।

আমরা যেমন বলেছি, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রস্তুতিতে, তাদের প্রধান লক্ষ্য হবে মানব সরকার এবং মানব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি তাদের নিজদের লক্ষ্যের জন্য মানবতাকে প্রভাবিত করতে চাইছে । তারা উভয়ই দুর্বল।

সরকার ক্ষমতা চায়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ক্ষমতা চায়। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলি প্ররোচনার মাধ্যমে, মানসিক পরিবেশকে প্রভাবিত করার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতা অর্জন করে। সরকার অন্য উপায়ে ক্ষমতা লাভ করে, কিন্তু তাদেরও প্রভাব বিস্তার করতে হবে। তাই রাজনৈতিক এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো তখন মানুষের আচরণ, মানবিক মূল্যবোধ, মানবিক আদর্শ এবং মানবিক অগ্রাধিকারকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী হয়ে ওঠে।

এটি একটি আশ্চর্যজনক বিষয়, কিন্তু মানব ধর্মের কারসাজি এমন একটি মারাত্মক সমস্যার সৃষ্টি করে। বৃহত্তর কমিউনিটি বাহিনী, যেমন আমরা বলেছি, মানুষের সামনে হাজির হওয়া একজন সাধকের ছবির একটি অভিক্ষেপ তৈরি করতে পারে। যদিও এটি কেবল তাদের মনের মধ্যে একটি অভিক্ষেপ, তারা মনে করবে এটি বাস্তব। যদি তারা জ্ঞানে শক্তিশালী না হয় এবং বিচক্ষণতা তৈরি করতে না পারে, তারা যা দেখবে তাতে বিশ্বাস করবে।

বৃহত্তর কমিউনিটি বাহিনীর পক্ষে এটি করা কঠিন নয়। তারা মানুষকে ভাবতে পারে যে এখানে তাদের উপস্থিতি আধ্যাত্মিক নবজীবনের অংশ, অথবা আধ্যাত্মিক সীমা, অথবা প্রাচীন ভবিষ্যদ্বাণীর পরিপূর্ণতা হিসাবে, অথবা খ্রিস্টের দ্বিতীয় আগমন গঠন করে। এই ধরণের অনুমান বিপুল সংখ্যক মানুষকে তাদের নিজস্ব প্রকৃতি এবং জ্ঞান লঙ্ঘন করে পদক্ষেপ নিতে অনুপ্রাণিত করতে পারে।

খুব ধর্মীয় প্রথা যাদের প্রকৃত ম্যান্ডেট হল ক্ষমতায়ন এবং মানবতার উত্থান এর কারণ হল মানব পরিবারের মধ্যে জ্ঞান এখনো শক্তিশালী নয়। [তবুও] জ্ঞানের সম্ভাবনা দারুণ; জ্ঞানের উপায় শেখার সুযোগটি উল্লেখযোগ্য, বিশেষ করে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অন্যান্য সমাজের তুলনায়।

মানুষ স্বাভাবিক জ্ঞানে, প্রাকৃতিক মঙ্গল, প্রাকৃতিক প্রবণতায় প্রশিক্ষিত হয় না। তাদের জ্ঞানের মহান সম্পদ দাবি করতে শেখানো হয় না। তাদের শেখানো হয় বাধ্য হতে, অনুসরণ করতে, পরিবেশন করতে এমনকি যদি এই ধরনের কাজকর্ম তাদের প্রকৃতি এবং তাদের বৃহত্তর প্রবৃত্তির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করে।

এই মুহুর্তে, আপনি বলতে পারেন, “আচ্ছা, মনে হচ্ছে মানবজাতি সত্যিই খারাপ!” কিন্তু এটি এমন নয়, কারণ এটি বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে ঘটে। বিচ্ছিন্নভাবে বিকশিত সমস্ত জাতিগুলির এই সমস্যা রয়েছে। তারা মনে করে যে তারা মহাবিশ্বের কেন্দ্র। তারা অনুভব করে যে তাদের ঐশ্বরত্ব এবং সৃষ্টির ধারণাগুলি সর্বাধিক এবং সর্বজনীন। তারা বিশ্বাস করে যে তাদের মূল্যবোধ অবশ্যই প্রত্যেকের এবং সবকিছুর জন্যই সত্য।

এই বক্তৃতার শুরুতে আমরা যেমন বলেছি, এটি মূলত বিচ্ছিন্নভাবে বসবাসের ফল। অন্যান্য বুদ্ধিমত্তা, বেচাকেনা, বাণিজ্য এবং অন্যান্য বুদ্ধিমান জাতিগুলির সাথে যোগাযোগ করুন, এই চরম অবস্থানের পরিবর্তন করুন এবং সমাজের অনেক মূল্যবোধ এবং সর্বাধিক লালিত আদর্শের পুনর্বিবেচনার প্রয়োজন হবে।

এটি আমাদের পুনর্বিবেচনার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আসে। অনেক মানুষ আশা করে এবং কেউ কেউ আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করে যে সৃষ্টিকর্তা তাদের উদ্ধার করবেন, তাদের রক্ষা করবেন। জীবনের একটি নির্দিষ্ট দুর্বলতা আছে যা খুবই আসল এবং খুবই বাস্তব। আপনার পূর্বপুরুষরা একটি ভাল ফসলের জন্য প্রার্থনা করেছিলেন যাতে তারা বেঁচে থাকতে পারে। লোকেরা এখন তাদের প্রচেষ্টার জন্য একটি ভাল ফলাফলের জন্য প্রার্থনা করে, তাদের বিবাহের জন্য একটি ভাল ফলাফল, তাদের স্বাস্থ্যের সমস্যার সমাধান, এবং তারা ঈশ্বরের কাছে আবেদন করে।

মানুষের পক্ষে এটি করা স্বাভাবিক এবং সহজাত, কিন্তু এটি জগতের মধ্যে ঔশ্বরীর প্রকৃতি এবং কার্যকলাপ বোঝার ক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা তৈরি করে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আগমন এই প্রত্যাশা, এই আকাঙ্ক্ষা এবং ঔশ্বরিক সুরক্ষা এবং হস্তক্ষেপের এই দাবিকে উদ্দীপিত করবে, কিন্তু তা থাকবে বলে মনে হবে না। “ঈশ্বর কোথায় আমাদের রক্ষা করবেন? যীশু কোথায়? বুদ্ধ কোথায়? মুহাম্মদ এখন কোথায় আমাদের পথ দেখাবেন?”

অনেকের কাছে এটি একটি আধ্যাত্মিক সংকট হবে। ঈশ্বরের চোখে মানবতার প্রাধান্য সম্পর্কে তাদের সম্পূর্ণ ধারণা ভেঙে যাবে। মহাবিশ্ব এবং জীবনের মধ্যে ঔশ্বরিক ক্রিয়াকলাপের প্রকৃতি সম্পর্কে তাদের সমগ্র বোঝাপড়া এতটাই নাড়া দেবে এবং এতটাই পরিবর্তিত হবে যে অনেকের জন্য এটি খুব বেশি হবে।

এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি এবং বাস্তবতাকে অস্বীকার করবে। মানুষ এই নতুন বাস্তবতাকে গ্রহণ করতে চাইবে না কারণ তারা এমনকি এটি এবং এর প্রভাবগুলি বিবেচনা করতে পারে না। এবং তবুও, এটি তাদের জীবনের অংশ। এটা তাদের শিক্ষার অংশ। এটি তাদের বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য একটি প্রয়োজনীয় শর্ত। এটি একটি বিশ্বের মধ্যে একটি জাতি হিসাবে বিকাশের অনিবার্য ফলাফল। শেষ পর্যন্ত সব জগতের সকল জাতি অবশ্যই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সংস্পর্শে আসবে যা তাদের বৃহত্তর প্রেক্ষাপটকে উপস্থাপন করে। এবং সব ক্ষেত্রে, তাদের নিজস্ব লালিত আদর্শ, বিশ্বাস এবং অনুমান ব্যাপকভাবে চ্যালেঞ্জ করা হবে। কার জন্য মহাবিশ্বের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা ছাড়া জীবনে সর্বজনীন দৃষ্টিভঙ্গি থাকতে পারে?

সৃষ্টিকর্তা প্রত্যেক ব্যক্তির জীবনে সক্রিয়ভাবে তাদের মধ্যে জ্ঞানের মাধ্যমে এবং অদৃশ্যগনদের কার্যকলাপের মাধ্যমে জড়িত। কিন্তু অনেক অদৃশ্যগন নেই, যা মানুষ বিশ্বাস করে তার বিপরীতে। লোকেরা প্রায়শই এই বলে নিজেকে আত্মবিশ্বাস দেয়, “আচ্ছা, এই সব ফেরেশতা আমার চারপাশে সবসময় থাকে!” কিন্তু তা সেরকম নয়।

প্রতিটি অদৃশ্যকে শত শত ব্যক্তির [তত্ত্বাবধান] করতে হবে। সুতরাং ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতার প্রয়োজন, জ্ঞানের বিকাশ এবং ব্যক্তির মধ্যে সত্যিকারের আত্মপ্রেরণার উত্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং আগের তুলনায় আজ অনেক বেশি প্রয়োজন।

ভেঙে যাচ্ছে পুরনো প্রথা। উপজাতীয় পরিচয় এবং সংস্কৃতি বৃহত্তর গোষ্ঠী দ্বারা একত্রিত হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে, অর্থনৈতিক পরস্পর নির্ভরতা এবং পরিবেশগত অবক্ষয়ের মাধ্যমে জাতিগুলি একে অপরের মধ্যে মিশে যাচ্ছে। বিশ্বে এখন বিচ্ছিন্নতা অর্জন করা খুব কঠিন। এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতির দ্বারা বিশ্বের বিচ্ছিন্নতা এখন ফেলে দেওয়া হচ্ছে।

এই প্রচলিত ধারণাগুলির মানবতার জন্য কিছু উপকারিতা রয়েছে, কিন্তু তারা সুদূর অতীতে তাদের যে কোনও উপকারিতা ছাড়িয়ে গেছে। মানবিকতাকে মানসিকভাবে শক্তিশালী হতে হবে। এটি আরও দক্ষ, আরও বিচক্ষণ, আরও সক্ষম হতে হবে। ভাল করার অনুপ্রেরণা, ভালোর জন্য একটি শক্তি হতে হবে, এখন থেকে ক্রমবর্ধমান ব্যক্তিদের কাছ থেকে আসতে হবে।

পৃথিবী উত্তাল অবস্থার মধ্যে রয়েছে। এটি একটি সম্প্রদায় হওয়ার প্রক্রিয়ায় মধ্যে রয়েছে, এর কারণ এই নয় যে লোকেরা এটি একটি সম্প্রদায় হতে চায়, কারণ এটি বেঁচে থাকার জন্য একটি সম্প্রদায় হতে হবে। মানুষ এটা জানে, কিন্তু তারা বুদ্ধিগত বা আবেগগতভাবে এই ধারণা সহ্য করতে পারে না।

একটি ধারণা আছে যে জীবন আপনাকে কেবল সেটাই দেবে যা আপনি মোকাবেলা করতে প্রস্তুত। অনেকেই এখন এটা ভাবছেন। এটি এই যুগের একটি পুরাণশাস্ত্র। কিন্তু বাস্তবতা হল জীবন আপনাকে দেবে যা জীবন আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে আপনি প্রস্তুত থাকুন বা নাই থাকুন, আপনি এটি পরিচালনা করতে পারেন বা না পারেন, আপনি এটিকে একত্রিত করতে পারেন বা না পারেন।

মহান জিনিসগুলিতে বিশ্বাস করা এখন আর যথেষ্ট নয়। আপনাকে অবশ্যই মহান হতে হবে, এখন আপনার চেয়ে বড়, আপনি যতটা বেশি মহান হতে পারেন। আপনার প্রতিষ্ঠান বা তাদের আদর্শে বিশ্বাস করা যথেষ্ট নয়। ঈশ্বর আপনার মধ্যে যা রেখেছেন তা আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে এবং এটি আপনার মধ্যে উদ্ভূত হতে দিতে হবে। পৃথিবীতে বহু আগে থেকে বসবাসকারী মহান সাধকদের কাজে বিশ্বাস করা যথেষ্ট নয়, কারণ আপনি এখন ভিন্ন জগতে বাস করছেন, বিভিন্ন প্রয়োজনীয়তার অধীনে।

এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি মানবতাকে উপবন থেকে বের করে আনবেন। এমন কোন ব্যক্তি নেই যিনি বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে মানবতাকে রক্ষা করবেন। সেখানে শুধু মানুষের দায়িত্ব, মানুষের সক্ষমতা এবং মানুষের সহযোগিতার অনুশীলন হয়।

এগুলি সবই জ্ঞানের ফলাফল। এগুলি সবই প্রাকৃতিক দায়িত্ব এবং প্রজ্ঞা এবং সামর্থ্যের ফলাফল যা সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি ব্যক্তিকে দিয়েছেন। এই বিষয়গুলি এখন জোর দেওয়া আবশ্যক।

বিশ্ব বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্থান হচ্ছে। পৃথিবীতে একটা মহান আহ্বান আছে। এটি জ্ঞানের আহ্বান। এটি একটি নতুন যুগের সূচনা, একটি কঠিন যুগ, একটি মহান যুগ। মানবতা কেবল তখনই সফল হবে যদি এটি সেই দক্ষতাগুলি গড়ে তুলতে পারে যা আমরা এখানে বর্ণনা করছি। এটি তার সুযোগ এবং এখনই সময়।

মহামারী এবং পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গের মুখোমুখি

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৭ই নভেম্বর, ২০২১ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

ইতিহাসের এই মুহুর্তে, মানবতা একটি মহান মহামারীর মুখোমুখি হচ্ছে, একটি বিশ্বব্যাপী মহামারী, একটি মহামারী যা প্রকৃতি থেকে এসেছে, একটি মহামারী যা অত্যন্ত বিপজ্জনক, সংক্রমণযোগ্য এবং মানব জাতি এবং জনসংখ্যার সমস্ত ভ্রমণ এবং মিথস্ক্রিয়া এবং একে অপরের সাথে জড়িত সহ বিশ্বজুড়ে চলাফেরা করার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।

এটা মানব পরিবারের জন্য একটি মহান পরীক্ষা। এটা কি সাড়া দিতে পারে? এটা সম্পর্কে কি শিক্ষিত হয়ে উঠবে? অথবা এটা কি কেবল আশা করবে যে এটি কেবল একটি ক্ষণস্থায়ী পর্যায়, একটি মেঘ তাদের জীবনের উপর দিয়ে চলে যাচ্ছে, যেখানে তারা ফিরে যেতে চাইছে যেন সত্যিই গুরুতর কিছুই ঘটেনি?

কিন্তু আফসোস, মহামারীটি মানব পরিবারের জন্য একটি গুরুতর পরিবর্তনকারী উপাদান, কারণ এটি বছরের পর বছর ধরে চলবে, এবং এটি যে ধ্বংস নিয়ে আসবে তা এত বিশাল এবং এমন একটি জীবন-পরিবর্তনকারী অভিজ্ঞতা হবে যে এটি আক্ষরিকভাবে সর্বত্র মানুষকে প্রভাবিত করবে: তাদের অর্থনীতি , তাদের সামাজিক কাঠামো, তারা কীভাবে অন্যান্য মানুষের সাথে জড়িত, জাতির মধ্যে সম্পর্ক ইত্যাদি।

এটি একটি দুর্দান্ত সমতা। এটি কাকে প্রভাবিত করতে চায় তার উপর বৈষম্য করে না কারণ সুযোগ যেখানেই থাকবে সেখানেই যাবে, আপনি ধনী বা দরিদ্র হোন।

এমনকি আধুনিক ঔষধের সাথেও, এটি একটি বড় অসুবিধা সৃষ্টি করে, অনেক লোক এই ঔষধেটি গ্রহণ করবে না, এই ভেবে যে এটি তাদের জীবনে একটি আক্রমণ, বা এটি প্রশ্নবিদ্ধ, বা সন্দেহজনক, বা এটি এমন একটি সরকারের কাছ থেকে এসেছে যা তারা বিশ্বাস করে না। তবে এটি সহায়ক এবং কার্যকর হবে। তবে এর চেয়ে অনেক বেশি প্রয়োজন হবে।

এমনকি এই মুহুর্তে, এমনকি এটি ইতিমধ্যেই মানব পরিবারের, সমগ্র বিশ্বের জাতির জন্য প্রচুর ক্ষতি সাধন করার পরেও, এমনকি এখন মানুষ সন্দিহান এবং দ্বিধাগ্রস্ত। তারা সত্যিই যথাযথভাবে সাড়া দিচ্ছে না। তারা মনে করে যে এটি একটি বৃহৎ দ্বিধা, একটি বিশাল উপদ্রব, যে এটি শীঘ্রই কেটে যাবে, এবং সবাই আবার ঘুমাতে যাবে, বা বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে, বা তারা আগে যা করছিল তা অর্থপূর্ণ হোক বা না হোক।

কিন্তু এটি পরিবর্তনের একটি বিশাল তরঙ্গ, বিশ্বের উপর একটি দুর্দান্ত তরঙ্গ. কারণ মানবতা প্রকৃতিকে এতটাই ব্যাহত করেছে যে এটি প্রকৃতিতে এমন উপাদান প্রকাশ করেছে যার সাথে এটির সরাসরি যোগাযোগ করা উচিত নয়, বিশ্বের লুকানো সম্পদ, পৃথিবীর ভূগর্ভস্থ গুহা এবং এখন যে সমস্ত রোগ রয়েছে তার মধ্যে প্রবেশ করা এবং শোষণ করা, এবং সমস্ত রোগ যা এখন বিশাল আর্কটিক অঞ্চলে অনুবিদ্ধ করা আছে যা এই শতাব্দীতে এবং আগামী শতাব্দীতে মুক্তি পেতে পারে এমন একটি মানবতার কাছে আসতে পারে যার কোন প্রতিরোধ নেই।

অতএব, আপনাকে অবশ্যই এই জিনিসগুলির সম্মুখীন হতে হবে। ভান করা বন্ধ করুন। এটি কোথা থেকে এসেছে এবং কীভাবে এটি সমাধান করা হবে এবং কীভাবে এটি শীঘ্রই শেষ হবে সে সম্পর্কে নিজেকে গল্প বলা বন্ধ করুন এবং আপনার এটি নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই কারণ আপনি সুস্থ, বা আপনি তরুণ, বা এরকম কিছু। নিজেকে প্রতারণা করা বন্ধ করুন। আপনি একটি বিশাল প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হচ্ছেন, একটি প্রতিপক্ষ যা এখন আক্ষরিক অর্থে সর্বত্র রয়েছে। যেখানেই মানুষ কাজ করে এবং মিথস্ক্রিয়া করে, সেখানেই থাকবে। এটি সংক্রমণের প্রতিটি উপায় খুঁজে পাবে।

আপনি ঈশ্বরকে দোষারোপ করতে পারবেন না। এটি প্রকৃতির সাথে আপনার সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত – এমন একটি সম্পর্ক যা আপনি নষ্ট করেছেন, যেটিকে আপনি গুরুত্বের সাথে নেননি; একটি সম্পর্ক যা আপনি ভুলে গেছেন বা সংযুক্ত বোধ করেননি; একটি সম্পর্ক যা এটির সাথে মহান সুবিধা বহন করে কিন্তু মহান দায়িত্বও বহন করে; এমন একটি সম্পর্ক যার জন্য মহান সংযম, সতর্কতা এবং প্রজ্ঞার প্রয়োজন, যা মূলত বিশ্বের মানবতার শোষণের অভাব রয়েছে।

এর জন্য পরিণতি আছে। এটা ঈশ্বরের ইচ্ছা নয়। এটি কেবল আপনার প্রাকৃতিক পরিবেশে বসবাসের ফলাফল। সেখানে এমন কিছু শক্তি রয়েছে যেগুলির সাথে আপনি লড়াই করতে জানেন না, সম্ভবত অদৃশ্য, এমন কিছু যা আপনি কখনো ভাবতেও পারবেন না, এমন কিছু যা প্রাচীন জনগণ কখনই ভাবতে পারেনি। এটা রহস্যময় নয়। এটা অন্য কোনো গ্রহ বা বাস্তবের অন্য কোনো মাত্রা থেকে আসছে না। এটি জীবনের শারীরিক ফ্যাব্রিকের অংশ যেখানে আপনি বাস করেন, এই এক পৃথিবীতে বিচ্ছেদে বসবাস করেন।

ঘুরে দেখুন এবং আপনি দেখতে পাবেন কে সাড়া দিচ্ছে এবং কে নয়, কে দায়ী এবং কে নয়, কে সতর্কতা অবলম্বন করছে এবং কে নয়, আজকে তারা কীসের মুখোমুখি হচ্ছে সে সম্পর্কে সত্যিই খুব কম লোকই শিক্ষিত হচ্ছে।

মানবজাতির ইতিহাসে বিশ্বে এটি ভয়াবহ উপায়ে ঘটেছে। এটি বিশ্বযুদ্ধের চেয়ে আরও বিধ্বংসী, মানবজাতির সময়ে এই গ্রহে আগে যা ঘটেছিল তার চেয়েও বেশি পরিণতিমূলক। তারপরও মানুষ এ বিষয়ে অজ্ঞ। তারা অতীত অধ্যয়ন করে না, তাই তারা ভবিষ্যতের জন্য বা এমনকি বর্তমান মুহুর্তের জন্যও প্রস্তুত নয়।

এর মোকাবিলা করার জন্য আপনাকে শক্তিশালী হতে হবে। এটি আপনাকে শক্তিশালী করে তুলবে এর মুখোমুখি হতে। এটি তার সাথে গুরুতর অনিশ্চয়তা বহন করে। খুব শীঘ্রই এটা শেষ হচ্ছে না, তাহলে আপনি কি করতে যাচ্ছেন? আপনি আপনার জীবন এবং আচরণে কি ধরনের পরিবর্তন আনবেন? আপনার কি ধরনের ধারণা ত্যাগ করতে হবে, বা বিশ্বাস আপনার পরিত্যাগ করতে হবে? কীভাবে আপনি আপনার চিন্তাভাবনা এবং জীবনের প্রতি আপনার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করবেন?

আপনি এ থেকে পালাতে পারবেন না। এটি অতিক্রম না হওয়া পর্যন্ত আপনি কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। আপনি নিজেকে একটি ঘরে বন্দি করতে পারবেন না এবং আশা করবেন যে এটি আপনার কাছে পৌঁছাবে না।

আমরা আজ আপনাদের এই কথাগুলো বলছি কারণ পৃথিবীতে পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গ আসছে। আপনি এমন একটি পৃথিবীতে বাস করেন যা উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। আপনি পৃথিবীর জলবায়ু, বায়ুমণ্ডলের রসায়ন বদলে দিয়েছেন।

ধীরে ধীরে, ক্ষণে ক্ষণে, আপনি হয়তো লক্ষ্য করবেন না যদি না আপনি একটি খুব দূষিত স্থানে বসবাস করেন, কিন্তু আপনি বিশ্বের বায়ুমণ্ডল পরিবর্তন করছেন, এবং এর পরিণতি হবে মহামারীর চেয়েও বেশি।

পৃথিবীর সমগ্র অঞ্চল মানুষের বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়বে। এবং তারা কোথায় যাবে? কে তাদের দেশে নিয়ে যাবে? কে সাড়া দেবে? আজকে আপনি এখানে যা মোকাবেলা করছেন তার চেয়ে এটি আরও বড় পরিণতি, বড় চ্যালেঞ্জ বহন করে।

একটি মহামারী, এটি যেমন মর্মান্তিক – এবং এটি দুর্দান্ত – কিন্তু পরিবর্তনের একটি বিশাল তরঙ্গ। এটি আপনাকে এর বাইরে কি ঘটবে তার জন্য প্রস্তুত করতে পারে, কিন্তু আপনি যদি প্রস্তুত না হতে পারেন, আপনি যদি প্রস্তুত না হন, আপনি যদি শিক্ষিত না হন এবং পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পারেন তবে ভবিষ্যতে আপনার ভাল ফল হবে না।

ঈশ্বর আপনাকে জ্ঞানের একটি বৃহত্তর শক্তি দিয়েছেন, আপনার মধ্যে একটি গভীর বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন, আপনাকে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে, আপনাকে নির্দেশ দেওয়ার জন্য কোথায় যেতে হবে এবং কোথায় যেতে হবে না, কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না, কী ভাবতে হবে এবং কী ভাবতে হবে না। এভাবেই ঈশ্বর আপনাকে রক্ষা করবেন, আপনি বুঝতে পেরেছেন?

ঈশ্বর সবাইকে বাঁচাতে শেষ মুহূর্তে পৃথিবীতে হস্তক্ষেপ করেন না। সেটা হলো মূর্খতা। ঈশ্বরের অনুগ্রহ এবং সাহায্যের অলৌকিক ঘটনা এই মুহূর্তে আপনার মধ্যে বাস করছে, আবিষ্কারের অপেক্ষায়। কিন্তু বর্তমান বিশ্বের কত কম মানুষই এ কথা জানে। বিশ্বের ধর্মগুলিতে সত্যিই এটা জোর দেওয়া হয় না, যদিও এটা সেখানে শিক্ষার অংশ হিসাবে বিদ্যমান।

মানুষ ভেড়ার মত একে অপরকে অনুসরণ করে। শুধুমাত্র মানুষ তাই করে যা সবচেয়ে সহজ। মানুষ কতকগুলো জিনিসের সাথে মোকাবিলা করতে চায় না – তাদের স্বাস্থ্য, তাদের সম্পর্ক, তাদের কাজ, তাদের জীবনের মান, তারা নিজের এবং অন্যান্য লোকেদের জন্য কি করছে। অনেক আত্মতুষ্টি, অনেক অস্বীকার।

এবং তারপরে আপনার কাছে বিশ্বের সবচেয়ে দরিদ্র মানুষ রয়েছে যারা আক্ষরিক অর্থে তাদের পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহত্তর মাত্রার কিছু করতে পারে না – প্রতিদিন শুধু দুর্দান্ত কষ্ট এবং বঞ্চনার মধ্য দিয়ে বেঁচে থাকার জন্য সংগ্রাম করে।

সত্য জানতে, প্রথমে আপনাকে সত্যের মুখোমুখি হতে হবে, আপনার পরিস্থিতির সত্যতা, ব্যক্তিগতভাবে- আপনার জীবন, আপনার স্বাস্থ্য, আপনার মঙ্গল, আপনার স্থিতিশীলতা এবং সমস্ত কারণ যা এটিকে সমর্থন করে বা ক্ষুন্ন করে, আপনার সম্পর্কের গুণগত মান, কারণ আপনার জীবনে কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা সবাই আপনার উপর ভাল বা খারাপের জন্য প্রভাব ফেলছে। আপনি কিছু ঘটার জন্য অপেক্ষা করতে পারবেন না, কারণ যখন সেগুলি হবে, আপনি কষ্ট পাবেন। এবং আপনি প্রতিক্রিয়া জানাতে শক্তিহীন হবেন।

মানবতার জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। এটা হয়ে গেছে—তার সম্পদের সাথে, এমন সম্পদ যা পৃথিবীতে অপেক্ষাকৃত কম লোকেরই আছে—এটা অলস হয়ে গেছে। এটি বিশ্ব, প্রকৃতির প্রতি প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে উঠেছে – তাদের চারপাশের প্রকৃতির প্রতি এবং এমনকি তাদের নিজেদের মধ্যে তাদের গভীর প্রকৃতির প্রতি, যা ঈশ্বর সেখানে যে জ্ঞান স্থাপন করেছেন তার বাস্তবতা।

এ নিয়ে আর কিছু কল্পনা না থাক। এ ব্যাপারে যেন কোন অস্বীকার না হয়। মনে করবেন না যে আপনি এই পরিস্থিতিতে তাদের জন্য প্রস্তুতি না নিয়ে, সচেতনভাবে এবং একটি সংকল্পবদ্ধ উপায়ে ভাল করবেন – শুধু এখানে এবং সেখানে মুহূর্তের জন্য নয়, তবে একটি টেকসই উপায়ে।

আপনি একটি আরো কঠিন এবং বিপজ্জনক বিশ্বে বসবাস করতে চলেছেন. আপনি যদি বেঁচে থাকতে চান এবং কোন প্রকৃত অর্থ এবং মূল্যবোধের কল্যাণ পেতে চান তবে আপনি এর মুখে বোকা বানাতে পারবেন না।

এটাই বাস্তবতা যার মাঝে আপনি বসবাস করেন। আপনি এটাকে দূরে সরিয়ে দিতে পারবেন না। মানবতা তাদের চারপাশের অনেক সম্পদ এবং প্রকৃতির স্থিতিশীলতাকে ধ্বংস করেছে বলে আগে যা তৈরি করা হয়েছে তারই পরিস্থিতি। এখন আপনাকে অবশ্যই অতীতের পরিণতির মুখোমুখি হতে হবে, আপনার সন্তান হিসাবে এবং আপনি জীবনে এগিয়ে যাওয়ার সাথে সাথে বর্তমানের পরিণতির মুখোমুখি হবেন।

এটি একটি উপহার, যা আমরা আজ এখানে আপনাকে বলছি। আপনি যা শুনতে চান তা নয়, তবে এটি আপনাকে রক্ষা করবে। আপনি যা পছন্দ করেন তা নয়, তবে আপনি যা পছন্দ করেন তা আপনাকে দুর্বল এবং প্রতিক্রিয়াহীন করে তুলবে এবং ভবিষ্যতের জন্য আপনার মঙ্গল এবং কল্যাণ নিয়ে সন্দেহের মধ্যে ফেলে দেবে।

মানুষ যা চায় সে সম্পর্কে খুব দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হতে পারে, কিন্তু আপনি যা চান না তার মুখোমুখি হতে হয়। এটাই বাস্তবতা। আপনাকে বাস্তবতার সাথে পুনরায় যুক্ত হতে হবে – আপনি যেভাবে এটি হতে চান বা এটি হওয়ার আশা করেন বা এটি হওয়ার জন্য জোর দিয়ে থাকেন তেমনটি নয়, কিন্তু এটা সত্যই যেমন ঠিক তেমনই।

এখানে কোনো ষড়যন্ত্র নেই। জীবনের সাথে শুধুমাত্র বাস্তব মিথষ্ক্রিয়া আছে, যা সত্যিই ঘটছে। এটাই বাস্তবতা যার সাথে আপনাকে জড়িত থাকতে হবে। এর কিছুটা আশাব্যঞ্জক হবে। এর কিছু কিছু আশাব্যঞ্জক হবে না। এর কিছু আশ্বস্ত হবে। এর কিছু কিছু বেশ বিরক্তিকর হবে। আপনাকে এসবের সম্মুখীন হতে হবে।

অন্য মানুষ এটির মুখোমুখি হওয়ার দাবি করবেন না। আশা করবেন না যে অন্য মানুষ এটির মুখোমুখি হবে। আপনাকে প্রথমে এটির মুখোমুখি হতে হবে। যদি আপনি তা না করেন, তাহলে জীবন আপনার জন্য কঠোর হবে এবং আপনি এর প্রেক্ষিতে এবং এর প্রকাশে অসহায় বোধ করবেন।

এটি মানুষের জন্য একটি মহান জাগরণের আহ্বান। আপনি এখন সুখের এবং সমস্ত বিস্ময়কর জিনিস যা আপনি হতে চলেছেন, করতে চলেছেন এবং যা আছে তা নিয়ে আর স্বপ্ন দেখা যাবে না। পরিবর্তিত ভূদৃশ্যের প্রতি আপনাকে সাড়া দিতেই হবে।

যখন আপনার পরিবেশ পরিবর্তিত হয়, সবকিছু বদলে যায়। যখন আপনার জলবায়ু পরিবর্তন হয়, সবকিছু বদলে যায়। যখন আপনার সম্পদ নিঃশেষিত হয়ে যায়, সবকিছু বদলে যায়।

যারা এটি দেখতে এবং এর মুখোমুখি হতে পারবে তারা গঠনমূলক উপায়ে প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় খুঁজে পাবে, কেবল নিজেদেরকে শক্তিশালী করার জন্য নয়, নিজেদেরকে এমন একটি অবস্থানে রাখতে পারবে যেখানে তারা অন্যদের সেবা করার জন্য যথেষ্ট স্থিতিশীল হতে পারে। এটাই এখানে লক্ষ্য। আপনি কোথাও লুকিয়ে থাকতে পারবেন না এবং নিজের চারপাশে একটি দুর্গ তৈরি করতে পারবেন না, কারণ ভবিষ্যতে এটির কোনও সুরক্ষা নেই।

আমি আপনার ব্যক্তিগত ইচ্ছা বা আপনার ব্যক্তিত্বের কথা বলছি না। আমি আপনার একটি গভীর অংশের সাথে কথা বলছি যারা সাড়া জানাতে পারে এবং যদি আপনি এটির অনুমতি দেন তবে সাড়া দিবেন। এজন্যই তো আপনি এসেছেন।

সুখ এবং কল্পনার পিছনে ছুটে আপনি কখনই আপনার জীবনের আসল উদ্দেশ্য খুঁজে পাবেন না। বাস্তব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করার মাধ্যমেই আপনাকে ডিজাইন করা হয়েছে এবং মোকাবেলা করার জন্যই তৈরি করা হয়েছে যা আপনাকে সত্যিকার অর্থে পুনরুদ্ধার করবে এবং আপনাকে উদ্দেশ্য ও অর্থপূর্ণ জীবন এবং বৃহত্তর দিকনির্দেশনা দেবে।

আপনি তর্ক করতে পারেন। আপনি বিতর্ক করতে পারেন। আপনি যে কোন কিছু বিশ্বাস করতে পারেন। কিন্তু একমাত্র বিষয় হল যে আপনি বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারেন এবং তার সাথে যুক্ত হতে পারেন এবং সেখানে সেবা ও অবদানের শক্তিতে পরিণত হতে পারেন।

ভবিষ্যতের চাহিদা এতটাই প্রাধান্য পাবে যে আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। এখন আপনি প্রকৃতির সাথে যুদ্ধ করছেন। এটি এমন একটি যুদ্ধ নয় যে প্রকৃতির উদ্দেশ্য ছিল। এটি এমন একটি যুদ্ধ যা আপনি প্রতিষ্ঠা করেছেন এবং গতিশীল করেছেন – আপনি এবং আপনার আগে যারা এসেছেন, বিশ্বকে একটি অন্তহীন কূপ, সুবিধা এবং সম্পদের পরিপূর্ণ ভাণ্ডার ভেবেছিলেন।

কিন্তু আফসোস আপনি জমাজমি শেষ করেছেন, বাতাস ও জলকে দূষিত করেছেন এবং মাটিকে ক্ষয় করেছেন। এই জিনিসগুলিকে সংশোধন করতে সক্ষম হতে সময়ের সাথে সাথে টিকে থাকা একটি অপরিসীম মানব সহযোগিতা এবং প্রচেষ্টা লাগবে। আর সেটা অন্য কারোর করার নয়। আপনি এই সবকিছুর মধ্যে কিছু অংশে ভূমিকা পালন করবেন, আপনি বুঝতে পারলেন, আপনার দক্ষতা এবং আপনার স্বাভাবিক প্রবণতার উপর ভিত্তি করে।

ইতিমধ্যে পৃথিবী আরও কঠিন হয়ে উঠছে। ইতিমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তিত হচ্ছে এবং বিপর্যয়গুলি আবার ক্রমবর্ধমান পুনরাবৃত্তি এবং শক্তিশালী এবং ধ্বংসাত্মকতায় পুনরায় ঘটছে। ইতিমধ্যেই মহামারী মানব সমাজের সুদূর প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যাচ্ছে। আপনি পালিয়ে বা লুকিয়ে এটি থামাতে পারবেন না।

এটি মোকাবেলা করা যেতে পারে, কিন্তু লোকেদের সত্যিই অংশগ্রহণ করতে হবে এবং স্বীকার করতে হবে এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রচেষ্টা, এমন কিছু নয় যা আপনি কয়েক সপ্তাহ বা মাসের জন্য করতে ইচ্ছুক। এটি একটি দুর্দান্ত প্রচেষ্টা. এবং এটি মানুষকে একত্রিত করতে পারে এবং মানুষকে শক্তিশালী করতে পারে এবং তাদের মতপার্থক্য এবং তাদের আদর্শবাদ এবং তাদের অনুপ্রেরণা এবং তাদের মতাদর্শগুলিকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করতে পারে যা বিশ্বের সীমাহীন সংঘাত ও বিভেদ সৃষ্টি করে।

মহামারী এখন আপনার প্রশিক্ষণ। প্রথমত, নিজেকে রক্ষা করুন, হয় টিকা দেওয়ার মাধ্যমে বা অন্য কোনও উপায়ে যদি এটি কার্যকর হয় তবে আপনাকে অবশ্যই নিজেকে রক্ষা করতে হবে, কারণ এটি হয় আপনাকে হত্যা করতে পারে বা এটি আপনাকে জীবনের জন্য পঙ্গু করে দিতে পারে। এবং এটি পুনরায় ঘটতে পারে কারণ এমনকি টিকা দেওয়ার পরেও, যদি এটি বজায় না থাকে তবে এটি পুনরায় ঘটতে পারে। এই সমস্যা কত বড়, আপনি দেখুন।

আপনাকে শুধু একমত হতে হবে না। শুধু এটার চারপাশে হাঁটুন। এটা বিবেচনা করুন। এটা চিন্তা করুন। দেখুন আপনি কোথায় দুর্বল এবং কোথায় আপনি শক্তিশালী। আপনি কোথায় হাল ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এবং আপনি আগে কীভাবে হাল ছেড়ে দিয়েছেন তা দেখুন। এবং তারপরে বার বার মনে করুন আপনি এমন কিছু করেছিলেন যা শক্তিশালী এবং চাহিদাপূর্ণ এবং কঠিন ছিল। আপনি এখন আরও কঠিন পৃথিবীতে বাস করতে যাচ্ছেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আপনি দুর্বল এবং ভঙ্গুর এবং বোকা হতে পারবেন না।

ঈশ্বরের ইচ্ছা হল মানবতা প্রস্তুত হবে, এবং এই মহামারী প্রস্তুতির অংশ হবে। আপনি এখানে পৃথিবীতে বড় বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন এবং পৃথিবীর বাইরে থেকে এমন জাতিদের থেকে গুরুতর বিপদের সম্মুখীন হচ্ছেন যারা এই পৃথিবীকে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইবে কারণ মানবতা হ্রাস পাচ্ছে এবং তার নিজের অসুবিধাগুলির সাথে লড়াই করছে।

এটি নির্দিষ্ট কিছু লোকের দ্বারা পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। এটা সেই মহান সময়ের অংশ যার জন্য আপনি এসেছেন। এবং আপনি এখানে এসেছেন স্বর্গ থেকে প্রেরিত একটি উদ্দেশ্য নিয়ে এই পৃথিবীতে একটি পার্থক্য করার জন্য যা আপনি বরং এড়িয়ে যাবেন অথবা অস্বীকার করবেন।

এটি আপনার বৃহত্তর জীবন, কেবল দুর্বল এবং অগভীর এবং অযোগ্য হওয়া নয়। কিছু লোক সেই পথটি বেছে নেবে, এবং ইতিমধ্যেই এটি বেছে নিয়েছে। এটি যেন আপনার সিদ্ধান্ত না হয়, কারণ তাদের জন্য ফলাফল অবশ্যই অনুকূল হবে না।

প্রকৃতি অপ্রস্তুতদের প্রতি নির্দয়। এবং আপনি এখন প্রকৃতির সাথে আচরণ করছেন। ঈশ্বর দেখছেন আপনি কি করবেন, কারণ ঈশ্বর ইতিমধ্যেই প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, আবিষ্কারের অপেক্ষায়। যদি তারা এটি ব্যবহার না করে, যদি তারা এটি সম্পর্কে সচেতন না হয়, যদি তারা এটি অনুসরণ না করে, তবে তাদের পরিণতি ভোগ করতে হবে – দৈহিক জীবনে বেঁচে থাকার অসুবিধা, আপনার উত্স থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বেঁচে থাকার বড় ট্র্যাজেডি। একটি অস্থায়ী শারীরিক বাস্তবতায় যা বিপত্তি, পরিবর্তন এবং অনিশ্চয়তায় পূর্ণ।

আপনি অন্যদের সাহায্য করার আগে, আপনাকে অবশ্যই আপনার জীবনকে স্থিতিশীল করতে হবে, একটি অর্থনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল বিশ্বে, একটি কার্যত অস্থিতিশীল বিশ্বে বসবাসের জন্য আপনার জীবনকে প্রস্তুত করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বাস্থ্য, আপনার সংকল্পকে শক্তিশালী করতে হবে এবং শুধুমাত্র এমন লোকদের সাথেই মেলামেশা করতে হবে যারা আপনার মধ্যে এটিকে সমর্থন করতে পারে। যারা দুর্বল তাদের সেবা করুন, হ্যাঁ, কিন্তু তারা আপনার সঙ্গী হওয়া উচিত নয়।

এটি একটি মহান প্রজ্ঞা যা আমরা আজ এখানে আপনার জন্য উপস্থাপন করছি। আপনি যদি এটিকে অবহেলা করেন, বা অসম্মত হন, বা এটিকে এড়িয়ে যান, বা এটিকে প্রতিহত করেন, তবে আপনি কেবল আপনার জীবনের বৃহত্তর সম্ভাবনার দরজা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারন, মহত্ত্ব কেবল মহান দূরদর্শিতা এবং কাল্পনিক ধারণা থাকা নয়, এটি বাস্তব ঘটনাগুলি পূরণের পণ্য, চাপের মধ্যে দুর্দান্ত পরিষেবা প্রদান করে। এটিই প্রচেষ্টার সমস্ত ক্ষেত্রে মহান পুরুষ এবং নারীদেরকে জাগিয়ে তোলে।

আপনি যদি নিরাপদ এবং সুরক্ষিত থাকতে চান তবে আপনি কোথাও লুকিয়ে যাবেন, এবং পৃথিবী অন্ধকার হয়ে যাবে। এবং আপনি খুব অল্প স্বস্তির নিয়ে এর জন্য আরও বেশি আতঙ্কিত হয়ে উঠবেন।

আপনি নিজের মধ্যে জ্ঞান নিয়ে জন্মেছেন। এটা ঈশ্বরের সাথে আপনার সংযোগ। ঈশ্বরের সাথে আপনার সংযোগ গড়ে তুলুন। কিন্তু তা করার জন্য, আপনাকে সাহায্য করার জন্য ঈশ্বরের কাছ থেকে কিছু প্রয়োজন, কারণ আপনি জানেন না জ্ঞান কী। আপনি মনে করেন এটি আপনার ধারণা বা আপনার আবেগ বা আপনার অনুভূতি। আপনি মনে করতে পারেন এটি আপনার দৃঢ় এবং স্থির বিশ্বাস। কিন্তু আমরা আজ এখানে যে জ্ঞানের কথা বলছি তা নয়।

আপনাকে জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ নিতে হবে, যা ঈশ্বর এখন বিশ্বকে প্রদান করেছেন দুর্দান্ত মহামারী এবং পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গের মুখে যা এখন দিগন্তে তৈরি হচ্ছে, যার কিছু আপনি দেখতে পাচ্ছেন এবং কিছু আপনি এখনও দেখতে পাচ্ছেন না। তারা সবাই সেখানে তৈরি করছে।

সমস্ত পরিস্থিতিতে আরামদায়ক এবং সুখী হওয়ার চেষ্টা করবেন না, কারণ আপনার বৃহওর কাজ করতে হবে, সম্পাদন করার জন্য দুর্দান্ত শক্তিশালী এবং আপনার চিন্তাভাবনা, আপনার দৃষ্টিভঙ্গি এবং আপনার আচরণে বিরাট পরিবর্তন আনতে হবে।

সবাই এটা করবে না, তা তো অবশ্যই, কিন্তু সবাই পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গ থেকে বেঁচে থাকতে পারবে না। সবাই জ্ঞানের সাথে জড়িত হবে না, কিন্তু প্রত্যেকেরই সামনের কঠিন সময়ে অতিক্রম করার শক্তি এবং সাহস থাকবে না।

আপনার মনে নেই, কিন্তু আপনি এই পৃথিবীতে আসার আগে একটি চুক্তি করেছিলেন যে কিছু কিছু জিনিস ছিল যা আপনি খুব কঠিন পরিস্থিতিতে সম্পাদন করার চেষ্টা করবেন। এটাই আপনার সামনের রাস্তা। এটিই আপনাকে শক্তি, সাহস, আত্মসম্মান এবং আত্ম-গ্রহণযোগ্যতা যোগাবে। অন্য যেকোনো কিছু এই জিনিসগুলিকে আপনার কাছ থেকে কেড়ে নেবে, নিশ্চিতভাবে।

যেমন আপনি আপনার চারপাশে দেখতে পাচ্ছেন যে লোকেরা কল্পনা বা আনন্দ বা আরামের পিছনে চেষ্টা করছে এবং তারা সত্যিই কতটা অসুখী এবং হারিয়ে গেছে এবং বিভ্রান্ত।

ঈশ্বর চান আপনি সফল হন, কিন্তু সফল হতে আপনাকে সাহসী ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ হতে হবে। আপনি নিজে এটি তৈরি করতে পারবেন না। আপনার মহান সহায়তার প্রয়োজন, যা সমস্ত জীবনের উত্স এখন বিশ্বের জন্য একটি নতুন বাণীর মাধ্যমে আপনার জন্য সরবরাহ করেছে, কারণ অন্য কোন কিছুই আপনাকে সত্যিকারভাবে রক্ষা করতে পারবে না।

যীশুতে বিশ্বাস করা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না। নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করা এবং কোন সংযুক্তি না থাকা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না, কেননা আপনি সেজন্য এই পৃথিবীতে আসেননি। শুধুমাত্র ধর্মের নির্দেশ অনুসরণ করা আপনাকে রক্ষা করতে পারবে না, কারণ সেগুলি প্রাচীনকালে দেওয়া হয়েছিল এবং এখন আপনার জীবন এবং আপনার সামনের জীবনকে সত্যিই সাড়া দিতে পারবে না।

ঈশ্বর এটা অবশ্যই জানেন, কিন্তু মানুষ বিভ্রান্ত। এই বিভ্রান্তির মধ্য দিয়েই আপনাকে এখন পাশ কাটিয়ে যেতে হবে এবং এর শিকার বা এটির অনুগামী হতে হবে না। এটি মেঘ এবং কুয়াশার মতো যা আপনাকে কোথায় যেতে হবে এবং আপনাকে কী করতে হবে তা দেখা থেকে বিরত রাখে – আপনার মনকে বিভ্রান্ত করা, আপনার জীবনকে ভরিয়ে দেওয়া, সম্ভবত অন্যদের সাথে আপনার মেলামেশাকে আধিপত্য করা।

এই হল সামনে এগিয়ে চলার মহান পথ। এটি একটি আনন্দদায়ক জীবন নয় বরং একটি চ্যালেঞ্জিং জীবনের দিকে পরিচালিত করে। এটি অফুরন্ত সুখের দিকে নিয়ে যায় না বরং মহান সংকল্প, মহান সেবা এবং বৃহত্তর পুরস্কারের দিকে নিয়ে যায়। আপনি অগত্যা যা চান তা নয়, তবে এটি আপনি যা জানেন তাই কারণ ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, এবং আপনার সেই অংশটি জানে যে আমরা আজ এখানে কি কথা বলছি এবং আপনি যদি এই জ্ঞানটি নিজের মধ্যে অনুভব করতে সক্ষম হন তবে এটি সম্পূর্ণরূপে অনুরণিত হবে।

পৃথিবী যতই কঠিন এবং বিপজ্জনক এবং অনিশ্চিত হোক না কেন, আশীর্বাদ আপনার মধ্যেই রয়েছে। ঈশ্বর আপনাকে ইতিমধ্যেই উপহার দিয়েছেন। আপনি যদি এটি আবিষ্কার করতে শিখেন, এটির সাথে নিজেকে সারিবদ্ধ করুন এবং অনুসরণ করুন, আপনি দেখতে পাবেন এর অর্থ কী। তার আগে, আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে। এতে আপনার বিশ্বাস থাকতে হবে। আপনাকে বাস্তব পরিস্থিতি এবং বাস্তব চ্যালেঞ্জের মাধ্যমে আপনার কাছে নিজেকে প্রমাণ করার অনুমতি দিতে হবে।

আশীর্বাদ প্রতিদিন আপনার সাথে যায়, কারণ আপনার কিছু অংশ এখনও আপনার উত্সের সাথে সংযুক্ত। এটি আপনার সেই অংশ নয় যার একটি নামের ট্যাগ রয়েছে এবং এখানে সমাজের সদস্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, তবে আপনার গভীরতর উপাদান যা স্থায়ী এবং এটি একটি মহৎ উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে রয়েছে, যা আজকে অবশ্যই আবিষ্কার এবং গ্রহণ করা উচিত।

কিভাবে বসবাস করতে হবে

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
২৯ শে অক্টোবর, ২০০৮ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

আমূল পরিবর্তিত বিশ্বে, হ্রাসকারী সম্পদ এবং পরিবেশ ধ্বংসের সম্ভাবনার মুখোমুখি হয়ে, প্রশ্নটি অবশ্যই উঠা উচিৎ: কীভাবে একজন নৈতিকভাবে বসবাস করতে পারে? আপনার নিজের নৈতিকতা এবং আদর্শের মধ্যে পার্থক্য এবং পৃথিবীতে আপনি যেভাবে আচরণ করেন তার মধ্যে পার্থক্য উপলব্ধি করা এখানে গুরুত্বপূর্ণ। লোকেরা প্রায়শই এখানে গুরুতর আপোষ করে বা কোন কোন ক্ষেত্রে, বিশ্বের উপর তাদের কর্মের পরিণতি সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে।

যদিও তারা মানুষের স্বাধীনতার মূল্য দেয়, উদাহরণস্বরূপ, তারা এমন পণ্য বা পরিষেবা ক্রয় করতে পারে যা অন্যান্য দেশে মানুষের দাসত্ব সৃষ্টি করে – এমন শর্তাবলী, যদি তারা সরাসরি প্রত্যক্ষদর্শী হত, তাহলে তাদের জন্য তা ভীতিকর ছিল। এবং তবুও এই শর্তগুলি তাদের জীবনযাপনের পদ্ধতি দ্বারা সমর্থিত এবং উত্সাহিত হয়।

এর জন্য একটি বিবেকের প্রয়োজন যা বেশিরভাগ লোকেরা নিজেদের জন্য প্রতিষ্ঠিত করেছে তার বাইরে। এর মানে হল যে আপনি কিভাবে বসবাস করেন তা আপনার মূল মূল্যবোধের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। এবং এর অর্থ এটাও যে আপনার মূল মূল্যবোধ ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে গভীর বিবেক রেখেছেন তার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ।

এই গভীর বিবেক আপনার সামাজিক বিবেক নয়। এটা এমন নয় – আপনাকে যা বিশ্বাস করতে শেখানো হয়েছে, বা আপনাকে যা করতে হবে, অথবা সমাজ যা সঠিক এবং ভুল বলে, উপযুক্ত বা অনুচিত বলে। আপনার মৌলিক বিবেক এর থেকেও গভীর। এটি আপনার এবং সমস্ত সংবেদনশীল প্রাণীর মধ্যে প্রতিষ্ঠিত। কিন্তু এই পৃথিবীতে এবং অন্যান্য জগতেও, এই গভীর বিবেক অচেনা হয়ে যেতে পারে। সামাজিক অবস্থাসমুহ এটিকে কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে এবং কী সঠিক এবং সৃজনশীল এবং উপকারী, এবং কী নয় তার জন্য নির্দেশিকাসমুহ প্রতিষ্ঠার মানদণ্ড হিসাবে প্রতিস্থাপন করতে পারে।

সমাজের বিবেক খুবই আপোষহীন। এটি উচ্চ মান ধারণ করতে পারে, কিন্তু এটি অত্যন্ত নৈতিক আচরণের উপর জোর দেয় না। এটি নৈতিক উচ্চ স্থানের দাবি করতে পারে, কিন্তু একবার আপনি এর প্রয়োগ বিবেচনা করতে শুরু করলে, এটি আপোষ এবং সমঝোতা দ্বারা পরিপূর্ণ।

ঈশ্বর আপনার মধ্যে একটি গভীর বিবেক স্থাপন করেছেন, জ্ঞান নামে একটি বিবেক। এটা কোনটা সঠিক এবং ভুল তার জ্ঞান। এমনকি যদি বুদ্ধিগতভাবে আপনি কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে অচলাবস্থার মধ্যে থাকেন, তা সঠিক বা ভুল হোক, একটি গভীর স্তরে আপনি সত্যটি সনাক্ত করতে পারেন। আপনি আপনার বুদ্ধির মধ্যে একটি বিভ্রান্তি অনুভব করতে পারেন কারণ ধারণাসমুহ আপনার মনের পৃষ্ঠায় সংঘর্ষ করে এবং মূল্যসমুহ সংঘর্ষ করে, কিন্তু আপনার মনের পৃষ্ঠের নীচে আরও গভীরে ঈশ্বরের গভীর বিবেক। এখানে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে – এমনকি যদি এটি ব্যয়বহুলও হয়, এমনকি যদি এটি এই মুহূর্তে অসুবিধাও সৃষ্টি করে, এমনকি যদি এটি আপনাকে অন্যদের কাছ থেকে সুযোগ বা অনুমোদন থেকে বঞ্চিত করে বলেও মনে হয়।

এই গভীর জ্ঞান যা ঈশ্বর আপনার মধ্যে রেখেছেন তা সম্পূর্ণ নৈতিক এবং ন্যায়সঙ্গত, তবে মহান স্তরে। এটা আপোষহীন। এটা শক্তিশালী। এবং যারা সাড়া দিতে পারে তারা শেষ পর্যন্ত মহান মানবতাবাদী এবং মহান উদ্ভাবক হয়। তারা মানবতাকে উচ্চতর মানদণ্ডে ধারণ করে। তারা অন্যায় প্রকাশ করে। তারা বৃহত্তর নৈতিক ও নাগরিক দায়িত্বের কথা বলে। অন্যরা যখন দ্বন্দ্ব এবং সমঝোতার জীবনে পড়ে, তারা উচ্চতর মান ধরে রাখে। এই ব্যক্তিরা প্রায়শই তাদের নিজের জীবনে অপমানিত এবং প্রত্যাখ্যাত হয় এবং কখনও কখনও তারা মারা যাওয়ার পরে সুপ্রসিদ্ধ হয়, যখন তারা আর একটি সামাজিক সমস্যা, বিরক্তিকর নয়।

এখানে সামগ্রিকভাবে মানবতা আপোষ এবং অজ্ঞতার দিকে পরিচালিত হয়, সমঝোধার মাধ্যমে এবং প্রায়ই দারিদ্র্যকে পিষে ফেলে যা মানুষকে এমন পরিস্থিতিতে বাধ্য করে যা অত্যন্ত কঠিন এবং অমানবিক। এটি অবহেলা, অজ্ঞতা, পছন্দ বা পরিস্থিতি দ্বারা হোক না কেন, মানবতা উচ্চ নৈতিক স্তরে কাজ করে না।

কিন্তু তার মানে এই নয় যে আপনার গ্রুপের মানদণ্ড অনুসরণ করা উচিত। প্রশ্নের জন্য, “আপনি কীভাবে নৈতিকভাবে বিশ্বে বসবাস করতে পারেন?” ব্যক্তির জন্য একটি প্রশ্ন। অন্য সবাই যা করতে পছন্দ করে তা আপনার মানকে উপস্থাপন করা উচিত নয়, নতুবা আপনি ত্রুটির সাথে যুক্ত হবেন। মনে করবেন না যে সমঝোতার জীবন ন্যায়সঙ্গত যেহেতু অন্য সবাই এটি করছে।

লোকেরা এই ভুলটি তাদের নিজের বিবেক থেকে এক ধরণের পালানোর জন্য করে, অথবা তারা তাদের আচরণকে বেছে নেওয়ার কারণ হিসাবে প্রয়োজনীয়তা বা ব্যবহারিকতাকে উদ্ধৃত করে। অথবা তারা বলে এটা স্বাভাবিক। তাদের আবেগ স্বাভাবিক। তবে আপনি এটি যুদ্ধ এবং হত্যা এবং চুরির ন্যায্যতার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। ঔতিহাসিক বা জৈবিক নজির দাবি করে, আপনি এমনকি সবচেয়ে জঘন্য কাজগুলিকেও ন্যায্যতা দিতে পারেন।

আপনি আপনার বুদ্ধিকে বোঝাতে পারেন, যা অত্যন্ত সামাজিক চাপের অধীন। আপনার মতাদর্শ এই সমঝোতাগুলিকে সামঞ্জস্য করতে পারে কারণ আপনার আদর্শ আপনার সামাজিক অবস্থার দ্বারা এতটাই নির্ধারিত হয়েছে। কিন্তু একটি গভীর স্তরে, আপনি এই জিনিসগুলিকে সমর্থন করতে পারেন না।

আপনার মধ্যে জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতির মাধ্যমে ঈশ্বর আপনাকে মুক্ত করেন। এটিই আপনাকে আপনার জীবন পুনরুদ্ধার করতে, নিজেকে একটি বৃহত্তর এবং উচ্চতর মান ধরে রাখার দিকে পরিচালিত করে। এটি আপনাকে আপনার ক্রমাগত অভিযোগ এবং অন্যের নিন্দা বন্ধ করতে পরিচালিত করে। এটিই আপনাকে মানবতা এবং বিশ্বকে বৃহত্তর সেবা প্রদানের পথ দেখায়।

আপনার মধ্যে জ্ঞানের একটি উচ্চ মান আছে। এটি বিশ্ব দ্বারা দূষিত হয়নি। এটি জনগণের সর্বসম্মতি বা রাজনৈতিক অভিযোজন বা সামাজিক অভিযোজন দ্বারা আপোস করা হয়নি। এটি আপনার মধ্যে বিশুদ্ধ থাকে, এবং এই কারণেই এটি আপনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অংশ। এটি আপনার সবচেয়ে নৈতিক অংশ। এটি আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ। আপনি যে কোন সংখ্যক বিভিন্ন সামাজিক প্ররোচনা বা ব্যক্তিগত প্রলোভনকে স্বীকার করতে পারেন, কিন্তু আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞানকে প্ররোচিত বা প্রলুব্ধ করা সম্ভব নয়।

আপনি এই গভীর জ্ঞানের যত কাছাকাছি আসবেন, ততই আপনি আপনার জীবনে তার উপস্থিতি অনুভব করবেন, ততক্ষণ আপনি এমন কিছু সম্পর্কে সংযমের অনুভূতি অনুভব করবেন যা এই মুহুর্তে খুব আকর্ষণীয় বলে মনে হয় এবং আপনি একটি কিছু জিনিস করতে আপনাকে অনুপ্রাণিত বোধ করবেন, নির্দিষ্ট জায়গায় যাওয়া এবং নির্দিষ্ট মানুষের সাথে দেখা করা।

এটি আপনার বুদ্ধির চেয়ে অনেক বেশি বুদ্ধিমান। এটি অনেক বেশি শক্তিশালী কারণ এটি আপোস করা হয়নি, এবং এটি সামাজিক অবস্থার এবং সামাজিক অভিযোজনের একটি পণ্য নয়।

লোকেরা প্রায়শই প্রচণ্ড বিভ্রান্তি বা হতাশার সময়ে জ্ঞানের কাছে আসে যখন তারা নিজের মধ্যে একটি গভীর কর্তৃত্বের সন্ধান করে, যখন তারা আরও আত্ম-সৎ হওয়ার চেষ্টা করে-পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে এবং মানুষের সাথে তাদের জড়িত থাকার বিষয়ে সত্যের মুখোমুখি হতে। এই মুহুর্তগুলি তাদের গভীর বিবেকের সাথে জড়িত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। এই বিবেক নিছক একটি পথপ্রদর্শক বা সমন্বয় বা সীমানার একটি সেট নয়; এটি অত্যন্ত বুদ্ধিমান। এটির একটি ইচ্ছা এবং একটি উদ্দেশ্য এবং বিশ্বে এটির একটি নিয়তি রয়েছে।

এখানে আপনি নিজেকে কি বলে মনে করেন তা নির্বিশেষে এবং আপনার পরিস্থিতি এবং আপনার আপোষ নির্বিশেষে, আপনাকে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে। এখানে শুধুমাত্র আপনার ভিতরের জ্ঞান জানে এই বৃহত্তর উদ্দেশ্য কি। এটা আপনার বুদ্ধির নাগালের বাইরে। এই মুহুর্তেও এটি আপনার মধ্যে বাস করছে।

আপনি যখন ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ গুলি নিতে শিখবেন, আপনি আপনার জীবনে এই গভীর আন্দোলন এবং দিকনির্দেশ অনুভব করতে শুরু করবেন। এটি আপনার নৈতিক পরিধি তৈরি করবে যা আপনাকে আপনার শক্তি খুঁজে পেতে, আপনার জীবনকে ভারসাম্য এবং সম্প্রীতির মধ্যে আনতে এবং একটি নতুন পথ এবং একটি নতুন দিকনির্দেশনা তৈরি করবে। এই বৃহত্তর দিকে যাওয়ার জন্য আপনার এখন আপনার সমস্ত শক্তির প্রয়োজন হবে। আপনার সমস্ত আপোষ আপনার শক্তিকে রক্তাক্ত করছে, আপনার আত্মবিশ্বাসকে ক্ষতিসাধন করছে এবং ক্ষয় করছে, উদ্দেশ্য এবং ভাগ্যের অনুভূতিকে ক্ষতিসাধন করছে এবং ক্ষয় করছে।

মানুষ যখন বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তখন তাদের কোন দিক নির্দেশনা থাকে না। তারা দাবি করে কোন উচ্চ কর্তৃপক্ষ নেই। তারা নিজেদের মধ্যে আত্মসমর্পণ করেছে। তারা হাল ছেড়ে দিয়েছে। তারা কোন উপায় দেখে না, এবং তাদের এমন একটি পথ অনুসরণ করার শক্তি নেই যা তাদেরকে তাদের দ্বিধা থেকে বের করে আনবে।

জ্ঞান আপনার জীবন এবং আপনার ক্রিয়াকলাপ এবং আপনার জড়িতদের জন্য প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা সরবরাহ করবে। কিন্তু এমন কিছু বিষয় আছে যা প্রত্যেকের অবশ্যই জানা উচিত যা আপনাকে কীভাবে এগিয়ে যেতে হবে এবং নিজের মধ্যে জ্ঞানের প্রকৃতি সম্পর্কে খুব স্পষ্ট ধারণা দেবে।

আমরা এই বিষয়ে কথা বলতে পারি কারণ আপনার মধ্যে জ্ঞান আপনার ব্যক্তিগত সৃষ্টি নয়। “আপনার জ্ঞান” এবং “আমাদের জ্ঞান” বা “তাদের জ্ঞান” এমন কিছু নেই। এটি সবার জন্য একই মান। এটি একই উত্স থেকে জন্মগ্রহণ করে। প্রতিটি ব্যক্তির বিশ্বে একটি অনন্য অবদান আছে এবং একটি অনন্য ডিজাইন এবং ফাংশন যা তাদের এই অবদান রাখতে সক্ষম করবে, কিন্তু মনে করবেন না যে এর মান এবং জ্ঞানের প্রজ্ঞা ব্যক্তি ভেদে ভিন্ন। আপনার নিজের ব্যক্তিগত বিচ্ছেদকে এই বলে রক্ষা করবেন না, “আচ্ছা, আপনি কীভাবে বলতে পারেন যে আমার মধ্যে থাকা জ্ঞান কী বলবে?” আমরা এটা বলতে পারি কারণ আমরা জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত।

যখন মানুষ জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত হয়, তারা একে অপরের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে কাজ করে। তাদের এখনও বিভিন্ন ধারণা এবং সম্ভবত ভিন্ন ব্যাখ্যা আছে, কিন্তু তারা একই শক্তির দ্বারা পরিচালিত হয় যা একই উৎস থেকে আসে। এটি এমন গাছের মতো যা একই মূল থেকে জন্মায়। এগুলি ভূপৃষ্ঠে ভিন্ন দেখায়, তবে ভূগর্ভে এগুলি সমস্ত সংযুক্ত।

তাই এখানে কিছু সাধারণ নির্দেশিকা আছে। প্রথমে, ধরে নিন যে পৃথিবী একটি পবিত্র স্থান কারণ আপনি একটি পবিত্র উদ্দেশ্যে এসেছেন। পৃথিবী, এমনকি প্রাকৃতিক পৃথিবী, সহিংসতা এবং অস্থিতিশীলতায় পূর্ণ এবং এটি মনুষ্য পরিবেশ হিসেবে অবশ্যই সত্য এটি অধপতন এবং আপোষ এবং নিপীড়নে পূর্ণ। কিন্তু আপনি এখনও একটি পবিত্র প্রচেষ্টা হিসাবে বিশ্বের মধ্যে অটল। এখানে আপনি যা কিছু করেন এবং যা কিছু আপনি বিনিময় করেন এবং আপনার সমস্ত ক্রিয়াকলাপকে অবশ্যই দেখতে হবে যে তারা মানুষের কল্যাণ এবং বিশ্বের কল্যাণকে সমর্থন করে কিনা।

এখানে আপনার মন অনেক অজুহাত ও আপোষ করার চেষ্টা করবে, কিন্তু আপনার গভীর বিবেক জানতে পারবে। মনে করবেন না যে আপনি বিদেশে লোকদের কর্মসংস্থান দিয়ে উপকৃত করছেন যদি তাদের উপ-মানবিক পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করা হয় বা যদি তাদের কাজ তাদের পরিবেশকে নষ্ট করে, তাহলে তাদের ভবিষ্যত কল্যাণ এবং বেঁচে থাকার বিষয়ে সন্দেহ সৃষ্টি করে। আপনি একজন ভোক্তা হিসাবে আপনার কাজের মাধ্যমে আপনার নৈতিকতা প্রয়োগ করেন কারণ এটি আপনার জীবনে অংশগ্রহণের একটি বড় অংশ।-

আপনি যেভাবে জীবনযাপন করেন এবং যেভাবে ভ্রমণ করেন তা দেখুন এবং আপনি কীভাবে সম্পদ সংরক্ষণ করতে পারেন তা দেখুন। এটি শুধুমাত্র বিশ্বে একটি ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য নয়, ভবিষ্যতে আপনাকে আরও স্থিতিশীলতা দেওয়ার জন্যও প্রয়োজনীয় হবে যখন অপরিহার্য সম্পদগুলি আরও অপর্যাপ্ত এবং ব্যয়বহুল হয়ে উঠবে। মনে করবেন না যে আপনি যদি এনার্জি এবং সম্পদের একজন রাক্ষুসে ভোক্তা হন তাহলে আপনি বিশ্বে শান্তির প্রচার করতে পারবেন, কারণ সম্পদের অতিরিক্ত ব্যবহার প্রকৃতপক্ষে যুদ্ধ-বিগ্রহের ইঞ্জিন।

এটি আপনার মধ্যে জ্ঞানের কাছে পরিচিত যদিও আপনার ধারণাগুলি অনেক যুক্তি এবং বিতর্ক এবং অজুহাত দিয়ে এর বিরুদ্ধে তর্ক করতে পারেন। ভাববেন না যে পৃথিবী একটি অন্তহীন কূপ যা থেকে আপনি সংগ্রহ করতে পারেন এবং প্রত্যেকেই সীমাহীনভাবে সংগ্রহ করতে পারে, কারণ মানবজাতি সীমানায় পৌঁছেছে, এবং কিছু ক্ষেত্রে সীমা অতিক্রম করেছে, যা বিশ্ব সরবরাহ করতে পারে। এটি ভবিষ্যতে অপরিমেয় অসুবিধা এবং পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গ তৈরি করবে।

এরপরে, প্রতিটি ব্যক্তির দিকে তাকান যে তারা জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী কিনা। এবং যদি তারা না হয়, তাহলে তাদের জীবন আপনাকে জানাবে জ্ঞান ছাড়া বেঁচে থাকার পরিণতি, এই মহান নির্দেশক শক্তি ছাড়া বেঁচে থাকা। তাদের সমঝোতাগুলি দেখুন এবং এই সমঝোতাগুলি নিজে না করার গুরুত্ব উপলব্ধি করুন।

তাদের নিন্দা করবেন না বা তাদের হেয় করবেন না। কারণ প্রত্যেকের সমস্যা হল মৌলিকভাবে যে তারা এখনও আবিষ্কার করেনি এবং ঈশ্বর তাদের মধ্যে যে জ্ঞানের শক্তি রেখেছেন তা অনুসরণ করছে না। তারা যে সমঝোতা করে এবং যে বৈধতা তারা দেয় সেগুলিই আপনি করেন এবং দেন এবং আপনি এখন ত্যাগ করতে শিখছেন।

এখানে সবাই সমঝোতার অবস্থায় বাস করছে, এবং যারা এই সমঝোতা করা বন্ধ করে দেয় তারা অন্যদের জন্য পথপ্রদর্শক এবং অনুপ্রেরণা হয়ে ওঠে। মনে হচ্ছে আপনি জেগে উঠতে শুরু করেছেন, কিন্তু আপনার আশেপাশের সবাই এখনও স্বপ্ন দেখছে। এবং স্বপ্নের কোন বাস্তব নৈতিক পরিসর বা ফোকাস নেই; এখানে জীবন যাই হোক না কেন যা আপনি চান বা আপনি কল্পনা করেন। এই বিভ্রান্তির অবস্থায় অনেকেই চোখ খোলা রেখে জীবন যাপন করছেন।

এরপরে, জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ অনুশীলন নিন। ঈশ্বর আপনাকে গাইড করার জন্য, আপনাকে রক্ষা করার জন্য এবং জীবনে আপনার বৃহত্তর অর্জনের দিকে পরিচালিত করার জন্য ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে মহান শক্তি রেখেছেন তার সাথে একটি শক্তিশালী সংযোগ তৈরি করুন। এই অধ্যয়ন এবং এই ফোকাস চলমান হতে হবে। কিছু পদক্ষেপ নিয়ে বলবেন না, “আচ্ছা, আমি অনেক উন্নতি করেছি।” জ্ঞানে যাওয়ার জন্য অনেকগুলি পদক্ষেপ রয়েছে, এবং জ্ঞান আপনার জীবনের সমস্ত পরিস্থিতিতে আপনাকে পরিবেশন করার জন্য। কিন্তু আপনার জ্ঞান সম্পর্কে সচেতনতা এখনও খুব সীমিত। আপনি এখনও আপনার সামাজিক অবস্থার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, এবং আপনি যে আপোষগুলি করেন, এবং আপনি নিজেকে কি বলেন এবং আপনি অন্যদের কি বলার অনুমতি দেন তার দ্বারা পরিচালিত হয়।

আপনার জীবন এবং পরিস্থিতি পুনরায় মূল্যায়ন করুন। একে বলা হয় ‘ মহান মূল্যায়ন’। আপনি যা করেন এবং আপনার যা কিছু আছে তা দেখুন এবং নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন: “এটি কি ভবিষ্যতে টিকে থাকবে? আমার এভাবে বেঁচে থাকা কি সত্যিই নৈতিক? এটা কি আমার গভীর বিবেকের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ? ” এখানে আবার আপনার মন যুক্তি ও যুক্তি তৈরি করতে পারে বা অন্য মানুষের দিকে আঙুল তুলতে পারে, কিন্তু এটি সত্যিই আপনার গভীর বিবেকের বিষয়।

আপনার জীবনকে সঠিকভাবে সেট করতে এবং নিজের সাথে সঠিক হওয়ার জন্য, আপনাকে অবশ্যই এমন আচরণ এবং ক্রিয়াকলাপ এবং চিন্তাভাবনা বন্ধ করতে হবে যা আপনার সততাকে নষ্ট করে। আপনার জীবনকে সহজ করুন এবং আপনার চারপাশের সমাজ থেকে আপনার কম প্রয়োজন হবে, এবং এর ফলে এটি আপনার উপর কম প্রভাব ফেলবে। আপনি যদি অনেক মালিক হওয়ার চেষ্টা করেন এবং প্রচুর পরিমাণে গ্রাস করেন, তাহলে আপনার সামাজিক অবস্থা আপনার গভীর বিবেককে ছাপিয়ে যাবে, এবং আপনি নিজেকে সামঞ্জস্য করবেন এবং বিশ্বের এমন অবস্থাকে সমর্থন করবেন যা ন্যায়সংগত হতে পারে না।—-

এরপরে, মনে করবেন না যে প্রযুক্তি বা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন সমস্ত সমস্যা এবং পরিণতির যত্ন নেবে যা মানবতার প্রভাব বিশ্বের উপর সৃষ্টি করেছে। এটি একটি অন্ধ এবং মূর্খ বিশ্বাস। এটি আপনার ক্ষমতা অন্যকে দিচ্ছে। এটি পৃথিবীতে একজন অংশগ্রহণকারী এবং ভোক্তা হিসাবে আপনার দায়িত্বগুলি পরিত্যাগ করছে। প্রত্যেককে অবশ্যই পার্থক্য তৈরি করতে হবে। আপনি শুধুমাত্র আপনার অংশটুকু করতে পারেন এবং এই বিষয়ে অন্যদের উৎসাহিত করতে পারেন।

মানুষ যদি মনে করে আপনি চরম হচ্ছেন তাহলে চিন্তা করবেন না। যারা আপোষের জীবন যাপন করছে তাদের কাছে সত্য চরম দেখাচ্ছে। অন্য সবকিছুর সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেয়ে সত্যের সাথে চরম হওয়া ভাল।

তারপর, মনে করবেন না যে মানুষের চতুরতা দিগন্তে উদ্ভূত সমস্ত সমস্যার সমাধান করবে। কারণ মানবতা সর্বশক্তিমান নয়। এর অন্তহীন সম্পদ নেই। এতে অন্তহীন শক্তি নেই। এটা বিশ্বাস করা যে অন্য লোকেরা আপনার জন্য সমস্যার যত্ন নেবে। এখানে যেসব লোকেরা দাবি করে যে তারা তাদের জীবনে পরিবর্তন চায় তার অর্থ সাধারণত তারা চায় যে অন্য লোকেরা তাদের জন্য পরিবর্তন আনুক এবং তাদের জন্য কিছু পরিবর্তন করুক।

পরিবর্তন কঠিন। এটা বিরক্তিকর। এর জন্য আপনাকে কমপক্ষে একটি সময়ের জন্য, আপনার নিরাপত্তার অনুভূতি এবং আপনার অনেক সুবিধা যা আপনি উপভোগ করেন তা ত্যাগ করা প্রয়োজন। এজন্যই সাদাসিধে জীবন যাপন করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আপনাকে আঘাতমূলক ক্ষতি ছাড়াই একটি উচ্চ স্তরে, আরও নৈতিক স্তরে জীবনযাপন করতে দেয়। যদি আপনি সবকিছু চান সংস্কৃতির যা কিছু প্রদান করতে পারে, আপনি তার মূল্যবোধের কাছে নতি স্বীকার করবেন, এবং আপনি এর ত্রুটির জন্য অবদান রাখবেন, এবং আপনি এর আপসগুলোকে ন্যায্যতা দেবেন।

উচ্চমানের কম জিনিসের মালিক হোন। আপনি যাদের সমর্থন করতে চান তাদের কাছ থেকে জিনিস কিনুন। বিশ্বের কার্যকলাপ সমর্থন করুন যা সত্যিই উপকারী। যদি আপনি ধনী হন, তাহলে আপনার সম্পদ ব্যবহার করুন ব্যক্তি এবং ব্যক্তি-গোষ্ঠগুলোকে যারা বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ এবং অপরিহার্য কাজ করছেন তাদের সমর্থন করার জন্য।

এক ধরণের ব্যক্তিগত লক্ষ্য হিসাবে কখনও বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জন করা দুর্নীতি এবং ধ্বংসাত্মক। এখানে যদি আপনি এই ধরনের কর্মের পরিণতিগুলি দেখেন, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি মানুষের দুঃখ, সংঘাত এবং যুদ্ধের জন্য বীজ রোপণ করছেন। আপনি যা চান তা পেতে অন্য কাউকে আপনার জন্য ত্যাগ করতে হবে। আপনি যে মূল্য দিতে চান, সেই দামে আপনি যা চান তা প্রদানের জন্য অন্য কারো জীবনকে অবনমিত করতে হবে। আপনার মনে হতে পারে আপনি আপনার অনিয়ন্ত্রিত বাসনা পূরণের জন্য বিশ্বকে কাজে লাগাচ্ছেন, কিন্তু আপনি আসলে যা করছেন তা হল সংস্কৃতি ধ্বংস করা এবং অন্য মানুষকে এমন অবস্থায় দাস করা যা আপনি নিজে কখনোই সহ্য করবেন না বা ক্ষমা করবেন না।

এরপরে, পৃথিবীতে আসা পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউগুলি চিনতে শুরু করুন, এবং সেই অনুযায়ী আপনার জীবনকে প্রস্তুত করুন এবং বিজ্ঞতার সাথে এবং সৎভাবে। বিশ্বে পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউ আসছে, কারণ মানবজাতি পরিবেশ এবং জলবায়ুকে প্রভাবিত করেছে, এবং মানবজাতি বিশ্বের সম্পদের অত্যধিক ব্যবহার করেছে এবং এখন সীমাবদ্ধতা এবং পতনের মুখোমুখি হতে শুরু করবে।

এখানে, আপনাকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য গভীর বিবেক ব্যতীত, আপনি কেবল আরও বেশি -বেশি সম্পদ, অধিক সম্পদ, আরও ক্ষমতা, আরও সুবিধা, আরও নিরাপত্তা এবং আরও অনেক কিছু পেতে চাইতে পারেন। কিন্তু পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউগুলি সে সবকিছুকে নষ্ট করে দিতে পারে। মানবজাতিকে এই দুর্দান্ত ঢেউগুলোকে প্রশমিত করতে হবে এবং ধনী দেশগুলোতেও এগুলোকে বেশ উল্লেখযোগ্য উপায়ে মানিয়ে নিতে হবে।

আপনি যদি জবাব দিতে সক্ষম হন, যদি আপনি দায়িত্বশীল হন, আপনি দেখতে পাবেন যে এটি আপনার মূল্যবোধ এবং বিশ্ব সম্পর্কে আপনার ধারণাকে পরিবর্তন করবে এবং আপনার জন্য আপনি কিভাবে বাস করেন, কোথায় থাকেন এবং কিভাবে থাকেন সে বিষয়ে আপনার জন্য আরও বেশি সততা এবং অধিকতর বিবেচনার প্রয়োজন হবে। পৃথিবীতে নিজেকে পরিচালনা করুন। এটি সম্পূর্ণরূপে যথাযথ এবং আপনার জন্য মুক্তির কারন হবে যদি আপনি এটি পরিষ্কারভাবে দেখতে পারেন এবং নিজের মধ্যে জ্ঞানের সাথে সাড়া দিতে পারেন।

জ্ঞানের বিবেচনায়, আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি যা চান তা আপনি সত্যিই চান না কারণ জ্ঞান আসলে সেগুলোকে গুরুত্ব দেয় না। যখন আপনি আপনার সিদ্ধান্তগুলি আপনার নিজের জ্ঞানের মধ্যে নিয়ে যান, আপনার মধ্যে একটি গভীর স্থান, আপনি দেখতে পাবেন যে এটির প্রয়োজন আছে কি না। এখানে আপনি আপনার সময় এবং আপনার শক্তি এবং জীবনকে সম্পূর্ণরূপে মূল্যায়ন করবেন। আপনি এমন জিনিসের পিছনে এটি নষ্ট করতে চান না যা আপনার জীবনে কিছুই যোগ করবে না, আপনার কল্যাণের কিছুই হবে না এবং আপনার বিজ্ঞতার কিছুই হবে না।

এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি অনেক সহজভাবে জীবনযাপন করতে পারেন, এবং এটি আপনার জন্য প্রচুর পরিমাণে শক্তি মুক্ত করবে, আপনাকে অধ্যয়ন এবং চিন্তা করার সময় দেবে, ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ নেওয়ার সময় এবং আপনার সচেতনতাকে পরিমার্জিত করতে এবং অন্য ব্যাক্তিদের সাথে আপনার সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

বর্তমানে, মানুষ অন্যদের সাথে প্রকৃত সম্পর্ক রাখার চেয়ে বৈষয়িক জিনিষ অর্জনের বিষয়ে বেশি উদ্বিগ্ন। সম্পর্ক গড়তে সময় এবং শক্তি লাগে। আপনি যদি আপনার সমস্ত সময় ক্রীতদাসের মতো কাজ করেন বড় অঙ্কের অর্থ উপার্জনের জন্য, তাহলে আপনার এই সময়টি সম্পর্কের জন্য থাকবে না। এবং আপনার পরিবারের সাথে, আপনার পত্নীর সাথে, আপনার বাচ্চাদের সাথে এবং আপনার বন্ধুদের সাথে আপনার সম্পর্ক এর ফলে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এটি আপনার জীবনযাত্রার মান এবং আপনার চারপাশের জীবনমানকে অবনতি করবে।

মানুষ দাসদের মতো কাজ করতে পারে তাদের সম্পর্কের বিশৃঙ্খলার সাথে এক ধরনের কৃত্রিম জাঁকজমক নিয়ে বসবাস করতে, কারও সাথে গভীর মেলামেশা ছাড়াই – এমন পরিস্থিতিতে যেখানে প্রত্যেকে নিজের ব্যক্তিগত সম্পদের জন্য অন্য সবার সুবিধা নিচ্ছে। এই ধনীদের দুঃখজনক অবস্থা, যারা তাদের সম্পর্কের অনুরণনের অভাব থেকে ব্যাপকভাবে ভোগে। তারা তাদের অধিকৃত বস্তুসামগ্রি এবং তাদের সম্পদ এবং এই সবকিছু এবং এই সম্পদ অর্জনের জন্য যা করতে এবং ত্যাগ করতে হয় তার দ্বারা তারা এতটাই আধিপত্য বিস্তার করে যে, এটি তাদের নিজের পরিবার এবং তাদের সন্তানদের মধ্যে দুর্নীতির পরিবেশ তৈরি করে।

একটি গভীর সম্পর্ক, উদ্দেশ্য এবং অর্থের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য সময়ের প্রয়োজন। কিন্তু আপনার যদি সময় না থাকে, তবে এই ধরনের সম্পর্কগুলি অস্তিত্ব পাবে না। এবং এমনকি যদি এই ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই বিষয়ে সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি থাকে, আপনি নিজেকে জড়িত করতে খুব ব্যস্ত থাকবেন, অন্যান্য বিষয় নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন।

এটি এই ব্যস্ততা এবং এই অতিমাত্রায় এবং এই কারোর আকাঙ্ক্ষা এবং বাধ্যবাধকতার প্রতি আনুগত্য যা জীবনের মান, সম্পর্কের অর্থ, সহচরের মূল্য এবং গভীর ভক্তির গুণমানকে হ্রাস করছে যা প্রেমের সবচেয়ে বড় প্রকাশ।

এখানে লোকেরা বিভ্রান্ত হয় যে তারা একজন ব্যক্তির প্রতি অনুগত কিনা বা সেই ব্যক্তির অবস্থার প্রতি। তারা কি আরেকজনের প্রকৃতি এবং সত্তার প্রতি নাকি একসাথে তৈরি করা জীবনধারাতে নিবেদিত?

আরো সহজ জীবনে, সম্পদ, সৌন্দর্য এবং আকর্ষণের প্রলোভন মানুষের উপর একই প্রভাব ফেলে না। এবং পৃথিবীতে যে পরিবর্তন আসছে তার বড় ঢেউয়ের কারণে, আরও সহজ সরল জীবন যাপন করা প্রয়োজন। কারন সম্পদ ভাগ করে নিতে হবে। ধীরে ধীরে সঙ্কুচিত কূপ থেকে জলপানের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান হবে।

এখানে খুব বেশি থাকা এবং অতিরিক্ত হওয়া নৈতিকভাবে নিন্দনীয় হবে। আপনার মনে হতে পারে সব ঠিক আছে। আপনি যা করছেন তা ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য আপনি অনেক অজুহাত এবং যুক্তি তৈরি করতে পারেন, তবে গভীর স্তরে একটা অস্বস্তি থাকবে।

এখানে যতক্ষণ না আপনি আপনার সম্পদের অধিকাংশই দান করতে ইচ্ছুক, ততক্ষণ ধনী হওয়ার অধিকার আছে, একজন দানশীল হতে। আপনার মৌলিক চাহিদার বাইরে, কেন এত সম্পদ? প্রতিপত্তির জন্য? অন্যকে প্রভাবিত করার জন্য? এটিকে সামাজিক শক্তি হিসেবে ব্যবহার করতে? অন্যকে ছাড়িয়ে যাওয়ার জন্য?

অর্থ ঈশ্বর এবং দানব হয়ে ওঠে যখন এটি কেবল একটি দরকারী হাতিয়ার হওয়া বন্ধ করে দেয়। অতএব, সমস্ত ধনী ব্যক্তিদের দানশীল হওয়া উচিত। এটাই তাদের ভূমিকা এবং দায়িত্ব। এটাই তাদের মুক্তি দেবে এবং তাদের এই ভাবতে বাধা দেবে যে তাদের সম্পদই তাদের আসল মূল্য।

প্রকৃত মূল্য হল জ্ঞান এবং জ্ঞানের উপর নির্মিত সম্পর্কগুলি এবং সততা, সরলতা এবং অর্থপূর্ণ জীবনের প্রদর্শন। এখানে আপনি আপনার আকাঙ্ক্ষার বা আপনার সম্পদের, অথবা অন্যের মতামত এবং প্রত্যাশার দাস হতে চান না। এটি এক ধরনের অসাধারণ স্বাধীনতা যা খুব কম মানুষেরই আছে। এবং অদ্ভুতভাবে যথেষ্ট, এই সমৃদ্ধির অবস্থায় এই স্বাধীনতা থাকা আরও কঠিন।

প্রায়শই দরিদ্র অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ, যতক্ষণ না তাদের বসবাসের জন্য পর্যাপ্ত সম্পদ থাকে, তারা অনেক বেশি সুখী এবং অধিকতর উদ্বিগ্ন-মুক্ত – তাদের জীবন এবং তাদের সম্পর্ককে অনেক বেশি মাএায় উপভোগ করতে মুক্ত; সমৃদ্ধ পরিবেশে বসবাসকারী মানুষের চেয়ে বেশি সৃজনশীল এবং বেশি সন্তুষ্ট, যারা ক্রমাগত আরো পাওয়ার চেষ্টা করছে এবং সামর্থবান হওয়ার জন্য জন্য ক্রীতদাসের মতো কাজ করছে, অথবা নিজেদেরকে অন্যের হাতে তুলে দিয়েছে যারা এটি বহন করার জন্য ক্রীতদাসের মতো কাজ করবে।

পরের কথা হল: আপনাকে অবশ্যই পৃথিবীকে ফিরিয়ে দিতে হবে। আপনি পৃথিবী থেকে সম্পদ আরোহন করছেন। আপনি বিশ্বে প্রভাব ফেলছেন। আপনি পৃথিবীকে দূষিত করছেন। আপনি এটি এড়াতে পারবেন না। আপনি খুব সাধারণ জীবনযাপন করলেও পৃথিবীতে আপনার প্রভাব থাকবে। তাই আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে।

প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ করুন। প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা করুন। যারা প্রাকৃতিক বিশ্বের কল্যাণের জন্য কথা বলছেন তাদের অবদান রাখুন। আপনি যদি ধনী হন, তাহলে যারা উদারতার সাথে বৈচিত্র্য এবং প্রাকৃতিক পরিবেশের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করছেন তাদের জন্য দান করুন, কারণ এই পরিবেশটিই সবাইকে টিকিয়ে রাখছে। কেবল ভূমিতে পঙ্গপালের মতো হয়ে যাবেন না, সমস্ত কিছু দৃষ্টিতে গ্রাস করে ফেলবেন, কেবল তখনই শেষ পর্যন্ত ধ্বংস হয়ে যাবে যখন খাবার শেষ হয়ে যাবে।

অবশেষে, এবং সম্ভবত খুব নিকট ভবিষ্যতে, একটি স্থিতিশীল রাষ্ট্র, মানুষের স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার উপর ভিত্তি করে একটি রাষ্ট্র গড়ে তোলার জন্য মানবতাকে বৃদ্ধি এবং সম্প্রসারণের উপর উদ্ব্যক্তি ছেড়ে দিতে হবে। অবশেষে, মানবতাকে মানবিক উপায়ে তার জনসংখ্যা সীমাবদ্ধ করতে হবে এবং ব্যবহার সীমিত করতে হবে কারণ বিশ্বের সীমাবদ্ধতা সর্বত্র মানুষের অবস্থার উপর নিজেদের বাধ্য করবে। সেজন্য অধিকতর সরলতার জীবন বেছে নেওয়া, এমন জীবন যা আপনাকে আরও বেশি সময় দেয়, অধিক স্বাধীনতা দেয় এবং অন্যদের সাথে অর্থপূর্ণভাবে মেলামেশার সুযোগ দেয় তা এমনকি পৃথিবীর কল্যাণেও উপকারী।

আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে। আপনি নেন। আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে। এটি পৃথিবীকে ভাড়া দেওয়ার মতো। আপনাকে অবশ্যই কিছু ফেরত দিতে হবে। এটি আপনার জীবনের অংশ এবং অবদান হোক। যারা এই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করছেন এবং যারা এই অবদানের অভিব্যক্তি হন তাদের সমর্থন করুন।

আপনার ভিতরে জ্ঞান যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠবে, আপনি জীবনে একটি বৃহত্তর দিক অনুভব করবেন। এটি আপনাকে আরও নির্দিষ্ট উপায়ে অন্যদের অবদানের রাজ্যে নিয়ে যাবে, এমন উপায়ে যা আপনার প্রকৃতি, ডিজাইন এবং উদ্দেশ্যগুলির জন্য অনন্য এবং নির্দিষ্ট।

আপনার ভিতরে জ্ঞান যেমন শক্তিশালী হয়ে উঠবে, আপনি জীবনে একটি বৃহত্তর দিক অনুভব করবেন। এটি আপনাকে আরও নির্দিষ্ট উপায়ে অন্যদের অবদানের রাজ্যে নিয়ে যাবে, এমন উপায়ে যা আপনার প্রকৃতি, ডিজাইন এবং উদ্দেশ্যগুলির জন্য অনন্য এবং নির্দিষ্ট।

শেষ পর্যন্ত, আপনি এখানে এই অবদান রাখতে এসেছেন। কিন্তু এই অবদান আপনার মধ্যে স্বাভাবিকভাবেই উত্থিত হবে এবং এমন কিছু হবে না যা আপনি বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে তৈরি করার চেষ্টা করেন। এটি অনেকটা একটি শক্তি, একটি আন্দোলন, একটি আকর্ষণ এবং একটি ক্ষমতা যা আপনাকে টানছে। আপনার জীবনের খুঁটিনাটি মোকাবেলা করতে এবং ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে আপনার বুদ্ধিকে ব্যবহার করতে হবে, কিন্তু মূল প্রেরণাদায়ক শক্তি হবে আপনার মধ্যে জ্ঞান।

বিশ্ব আপনাকে বলবে আপনাকে কোথায় দান করতে হবে এবং আপনি কি দান করতে হবে। এটি আপনার কাছ থেকে আপনার উপহার আহ্বান করবে, কারণ আপনি সেগুলি নিজের থেকে আহ্বান করতে পারবেন না। তারা আপনার সাথে কথা বলবে – পৃথিবী, বিশ্বের অবস্থা, এমনকি বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অবস্থাও আপনার সাথে কথা বলবে এবং আপনার অনন্য উপহারগুলি আপনাকে ডেকে আনবে।

এজন্য আপনি পৃথিবীকে অস্বীকার করে, পৃথিবী সম্পর্কে কল্পনায় বা অন্য কেউ বিশ্বের সমস্ত সমস্যার যত্ন নেওয়ার কথা ভাবতে পারেন না। কারণ ঈশ্বর আপনাকে এখানে পাঠিয়েছেন একটি নির্দিষ্ট অবদান রাখার জন্য। এটি করতে, আপনাকে অবশ্যই যতটা সম্ভব বস্তুনিষ্ঠতা এবং সহানুভূতি সহ বিশ্বের মুখোমুখি হতে হবে। কিছু জিনিস আপনার সাথে কথা বলবে, এবং আপনি জানতে পারবেন যে আপনি সেখানে অবদান রাখবেন।

এটি ধনীদের মুক্তি দেয়। যারা তাদের আত্মসমৃদ্ধির জন্য জীবন দিয়েছে তাদের এটি মুক্তি দেয়। এটি তাদের মুক্তি দেয় যারা পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে, তাদের নিজস্ব ভয় এবং আকাঙ্ক্ষার জগতে হারিয়ে গেছে। এটি দুর্বলদের শক্তিশালী করবে। এবং এটি প্রত্যেককে নিজের সাথে সঠিক হওয়ার সুযোগ দেবে এবং একটি গভীর পরিতৃপ্তি এবং নিশ্চিতকরণের অভিজ্ঞতা দেবে যা আপনি এখানে যা করতে এসেছিলেন তা করার এবং আপনি এখানে যা দেওয়ার জন্য এসেছিলেন তা দেওয়া। অন্য কিছু আপনার জন্য এই সন্তুষ্টি এবং নিশ্চিতকরণ প্রদান করতে পারে না।

জ্ঞান এই বিষয়গুলি প্রকাশ করবে, কিন্তু আপনাকে অবশ্যই সেগুলি সম্পর্কে চিন্তা করতে হবে এবং আপনার জীবন এবং আপনার পরিস্থিতির গভীর মূল্যায়নের সাথে নিজেকে যুক্ত করতে হবে। আপনি আপনার ভালোর জন্য এটি করেন। আপনার অখণ্ডতা বোধ পুনরুদ্ধার করার জন্য আপনি এটি করেন। আপনি আপনার নিজের ক্ষমতা এবং সামর্থ অনুভব করার জন্য এটি করেন। এবং আপনি এটি বিশ্বের কল্যাণের জন্য এবং অন্যদের জন্য করেন।

আপনি পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউয়ের আগে আপনার মহান মূল্যায়ন গ্রহণ করুন। যখন তারা আঘাত করবে, তখন আপনার পরিস্থিতি পরিবর্তন করার এবং বিশ্বে আপনার অবস্থান সুরক্ষিত করার সময় বা সুযোগ থাকবে না।

বৃষ্টি আসার জন্য অপেক্ষা করবেন না নইলে আপনি আপনার জাহাজ তৈরি করতে পারবেন না। পরিস্থিতি আপনাকে পাকড়াও না করা পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন না অথবা আপনি আপনার পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে অক্ষম হয়ে উঠবেন। এই গভীর মূল্যায়ন শুধুমাত্র নৈতিক নয়, এটি সম্পূর্ণরূপে প্রয়োগীকও।

এখনই সময়। আপনি আপনার জীবন পরিবর্তন করতে পারেন কারণ জ্ঞান আপনার মধ্যে অবস্থান করছে। এর শক্তি এবং সাহস আছে। এটি আপনাকে সেই জিনিসগুলি করার ক্ষমতা দেবে যা আপনি জানেন যে আপনাকে অবশ্যই করতে হবে, যে জিনিসগুলি পরিবর্তন করতে হবে যা আপনাকে অবশ্যই পরিবর্তন করতে হবে এবং যে জিনিষগুলি থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে যা আপনাকে অবশ্যই মুক্ত করতে হবে। আপনি মনে করতে পারেন যে আপনার শক্তি নেই, আপনার প্রতিশ্রুতি নেই, আপনার শক্তি নেই। কিন্তু আপনার ভিতর জ্ঞানের মধ্যে এই সব জিনিষই আছে।

জ্ঞানের সাহায্যে আপনি এমন অসাধারণ কাজ করতে পারেন যা আপনি কখনোই ভাবতে পারেননি। আপনি আসক্তি এবং পরাধীনতা এবং স্ব-আপোষকে এমন ডিগ্রীতে পরাস্ত করতে পারবেন যা আপনি আগে কখনও ভাবতে পারেননি।

জ্ঞানের সাথে, ঈশ্বর আপনাকে অনুপ্রাণিত করবেন। এবং আপনি আপনার গভীর বিবেকের উপস্থিতি অনুভব করবেন, যা আপনাকে আপনার জীবন সম্পর্কে স্পষ্টতা দান করবে এবং আপনাকে কী করতে হবে এবং কী করতে হবে না, কী খুঁজতে হবে এবং কী এড়িয়ে চলতে হবে, কোথায় নিজেকে নিযুক্ত করতে হবে এবং কোথায় নিজেকে আটকে রাখতে হবে, সে সম্পর্কে স্পষ্টতা দান করবে। আপনাকে উপহার এবং শক্তি এবং এই পৃথিবীতে মুক্তির জন্য দুর্দান্ত সুযোগ দেওয়া হয়েছে সেই পরিস্থিতিতে যা আজ বিদ্যমান এবং ভবিষ্যতেও উদ্ভূত হবে।

এই শিক্ষা মানবতার জন্য একটি নতুন প্রত্যাদেশের অংশ, মানবতার জন্য একটি নতুন বাঁণী, সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে একটি নতুন বাঁণী ব্যক্তিকে মুক্ত করার জন্য এবং বিশ্বকে বাঁচাতে এবং সংরক্ষণ করার জন্য যাতে মানবতার এখানে একটি ভবিষ্যত থাকতে পারে, অতীতের চেয়ে ভাল একটা ভবিষ্যত।

এই নতুন বাঁণী সম্পর্কে জানুন। এর প্রজ্ঞা এবং তার অনুপ্রেরণা গ্রহণ করুন। এটি আপনাকে সকল ধর্মের ঐক্য দেখাবে এবং তাদের মধ্যে সত্য এবং অপরিহার্য কি তা দেখাবে।

এটি আপনার মধ্যে জ্ঞানের সাথে কথা বলুক এবং ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে গভীর শক্তি রেখেছেন তার সাথে এটি অনুরণিত হতে দিন। কারন মানবতার জন্য এই নতুন প্রত্যাদেশ আপনার এবং সবার মধ্যে এই জ্ঞানকে উদ্দীপিত করবে। যে মাএাতে এটি সম্পন্ন করা যায় তা হবে সেই মাএা যা মানবতা অগ্রসর হতে পারে, তার ত্রুটিগুলি সংশোধন করতে পারে এবং তার ভবিষ্যতের জন্য এবং তার ভবিষ্যতের কৃতিত্বের জন্য ঐক্য ও সহযোগিতার মহান ভিত্তি স্থাপন করতে পারে।

ক্ষতিকর প্রভাব সমুহ

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
১৩ ই মে, ২০১১ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

পৃথিবী একটি সুন্দর জায়গা, বিশেষত এই পৃথিবীটা, বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে বন্ধ্যাত্ব জগতের একটি রত্ন । কিন্তু পৃথিবীটাও একটা বিপদজনক জায়গা, অনেক পীড়নের জায়গা, অনেক কষ্টের জায়গা।

এটা আপনার প্রাচীন বাড়ির মত নয়, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি ফিরে যাবেন। এটি একটি বিচ্ছেদের জায়গা । এটি একটি বিযুক্তির জায়গা । এটি এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষ একে অপরের থেকে আলাদা এবং সম্ভবত নিকটবর্তী নৈকট্য থাকলেও, তাদের নিজেদের বিচ্ছিন্নতার অন্ধকারে নিক্ষিপ্ত মনে হয়, ভয় এবং অনিশ্চয়তায় ভরা পৃথিবীতে নিক্ষিপ্ত।

এজন্যই ঈশ্বর আপনাকে জ্ঞান দিয়েছেন, বৃহত্তর বুদ্ধিমত্তা, আপনাকে পথনির্দেশনা দিতে, আপনাকে রক্ষা করতে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর জীবনের দিকে নিয়ে যেতে – সেবা এবং পরিপূর্ণতার একটি মহান জীবন।

তবুও পৃথিবী এখনো বিপজ্জনক, এমনকি তাদের জন্য যারা বৃহত্তর ডাকে সাড়া দিয়েছেন। বিশেষ করে তাদের অবশ্যই নজর দেওয়া উচিত বিপদ এবং বিশ্বের প্রভাবের দিকে যা ক্ষতিকর । তাদের বিশেষভাবে দেখা উচিত যে কি তাদের শক্তিশালী করে এবং কি তাদের দুর্বল করে, কি তাদের সাড়া দিতে সক্ষম করে এবং কি এই সাড়াকে উপেক্ষা করে বা ছোট করে। যারা এক মহান আহ্বান অনুভব করেন, তাদের অবশ্যই এই বিষয়গুলোতে মনোযোগ দেওয়া উচিত।

তারা সময়ের সাথে সাথে বুঝতে পারবে যে তাদের সাহায্য করার জন্য তাদের নির্দেশিকা প্রয়োজন যাতে তাদের মন নবায়ন এবং চারপাশের বিশ্ব দ্বারা অনিয়ন্ত্রিত হয় । এর মানে এই নয় যে তারা পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছে, এর জন্য খুব কমই জিজ্ঞাসা করা হয়, শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্য যারা মনস্থির জীবন যাপন করতে যাচ্ছে। কিন্তু সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের জন্য তারা পৃথিবীতে প্রেরিত হয়েছে পৃথিবীতে থাকার জন্য, জড়িত থাকার জন্য এবং বিশ্বের সেবায় নিয়োজিত থাকার জন্য।

প্রত্যেকের জন্য একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, এবং উদ্দেশ্য নির্দিষ্ট। তবুও এর সাড়া দিতে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হলে, আপনার চারপাশের বিপদ এবং বিশ্বের প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে, এবং নিজের ভেতরেও যা ক্ষতিকর।

যারা সাড়া দিতে শুরু করেছে এবং জ্ঞান এবং ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ এর পথে যাত্রা শুরু করেছে, তাদের জন্য কিছু বিপদ স্পষ্ট হবে যা অন্যদের কাছে স্পষ্ট নয়। বিশ্বে কিছু প্রভাব, এবং মানসিক পরিবেশে আরো সূক্ষ্ম প্রভাব, তাদের উপর প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করবে। এবং তারা এসব বিষয়ে সচেতন হওয়া জরুরি।

আপনার দুটি মন আছে । আপনার একটি পার্থিব মন এবং একটি গভীর মন আছে । ঈশ্বর আরো গভীর মন সৃষ্টি করেছেন। এবং পৃথিবীতে আপনার অভিজ্ঞতা এবং অতীত থেকে বিশ্বের প্রতি আপনার প্রতিক্রিয়া আপনার পার্থিব মন তৈরি করেছে এবং এখনও এটিকে একটি দুর্দান্ত মাত্রায় প্রভাবিত করে।

এটি আপনার পার্থিব মনকে আপনার গভীর মনের নির্দেশনায় আনা – যে মন সমস্ত জীবনের স্রষ্টার প্রতি সাড়া দিতে পারে – যা সমস্ত ঐতিহ্যে সকল আধ্যাত্মিক অনুশীলনের ফোকাস এবং লক্ষ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের নতুন বাঁণীতে স্পষ্ট করা হয়েছে, বাঁণীর উদ্দেশ্য হল স্বচ্ছতা আনয়ন এবং আপনার আধ্যাত্মিকতার অর্থ এবং বৃহত্তর দিক যা আপনার জীবন অনুসরণ করতে হবে তার স্বচ্ছতা আনয়ন।

যখন আপনাকে পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহার করতে বলা হচ্ছে না, তখন আপনাকে অবশ্যই এর ক্ষতিকর প্রভাব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে এবং এসব প্রভাব থেকে নিজেকে রক্ষা করতে হবে এবং তাদের থেকে নিজেকে আলাদা করতে হবে যখন সেটা প্রয়োজন হবে।

পৃথিবীর দুঃখজনক ঘটনা, পৃথিবীর কঠিনতা, মানুষের ব্যর্থতা, মানুষের দুর্নীতি, মানুষের আগ্রাসন, মানুষের নিষ্ঠুরতা – এই সব জিনিস আপনার নিজের মধ্যে জ্ঞানের উপস্থিতি অনুভব করা এবং তার পথনির্দেশনা এবং তার উপদেশের সাড়া দেওয়া আপনার জন্য আরো কঠিন করে তুলবে।

এর অর্থ এই নয় যে আপনি এই বিষয়গুলিকে অস্বীকার করবেন বা এগুলি প্রত্যাখ্যান করবেন, কারণ এটি হবে অসাধু হয়ে যাওয়া। তার মানে আপনি বিশ্বের প্রতি সহানুভূতিশীল এবং সচেতন হতে বিরত থাকবেন। কিন্তু এর মানে এই যে সেখানে ইনস্যুলেশন থাকতে হবে, কারণ আপনার মন এখন আরো সংবেদনশীল, আপনি ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ গ্রহণ করার সাথে সাথে আপনার মন এখন তার উপলব্ধিতে আরও অনুপ্রবেশিত হয়ে উঠছে। এবং আপনি অবশ্যই এই বিষয়গুলি মনোযোগ দিয়ে দেখবেন, একটি বৃহত্তর সচেতনতার সাথে।

শুরুতে, আপনি একটা কোমল অঙ্কুরের মত। আপনি আপনার গভীরতর প্রকৃতির প্রতি সংবেদনশীল হয়ে উঠছেন। আপনি নিজের মধ্যে উন্মুক্ত হতে শুরু করছেন। এই সময়ে, আপনাকে অবশ্যই অবকাশে থাকতে হবে, পৃথিবীর বিপদ থেকে, এমনকি বিশ্বের দুঃখজনক ঘটনা থেকে, এমনকি বিশ্বের সংবাদ থেকে – কিছু সময়ের জন্য যাতে আপনি আরও বেশি অভ্যন্তরীণ শক্তি অর্জন করতে পারেন, জ্ঞান যে শক্তি প্রদান করে।

এজন্যই আপনি অবশ্যই গণমাধ্যমের কাছে খুব সীমিত প্রকাশ থাকতে হবে, বিশেষ করে যদি আপনি গণমাধ্যমের কাছে অতিমাত্রায় প্রকাশিত হয়ে থাকেন । এখন আপনাকে অবশ্যই এই প্রকাশ সীমিত করতে হবে অথবা আপনার মন ক্রমাগত আপনার চারপাশের বিশ্ব দ্বারা উত্তেজিত, উদ্দীপিত এবং নির্দেশিত হবে।

বিশ্বকে বন্দী করে রাখছে। এর ট্রাজেডির নিজস্ব আকর্ষণ আছে। এর অসুবিধা হচ্ছে ক্রমাগত অনিশ্চয়তা, বিচার এবং দুঃখ। অন্যের ব্যর্থতা, অন্যের দুঃখজনক ঘটনা, সবই খুব বাধ্যকারী হয়, আপনি দেখুন। এবং আপনি আপনার আশেপাশের লোকজনকে এই জিনিসগুলি দ্বারা ক্রমাগত বাধ্য হতে দেখেন।

কিন্তু এটা এখন আপনার জন্য বিপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ আপনি শক্তি এবং উপস্থিতির সাথে সংযোগ অর্জন করার চেষ্টা করছেন যা ঈশ্বর আপনার মধ্যে স্থাপন করেছেন। এখনকার দিনের যা স্বাভাবিক প্রভাব এবং ঘটনাবলী মনে হয় তা আপনার উদ্দেশ্য এবং অগ্রগতির জন্য ক্ষতিকর হিসেবে দেখা যায়।

যখন আপনি আপনার ভেতরের প্রকৃতি সম্পর্কে বেশি সচেতন হবেন, আপনি আপনার চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে বেশি সচেতন হবেন। আপনি সব দিক দিয়েই সংবেদনশীল হয়ে যাবেন। এজন্যই আপনাকে আপনার প্রকাশকে বিশ্বের ঘটনা এবং এমনকি আপনার চারপাশের মানুষের দুঃখজনক ঘটনা এবং অসুবিধার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে, নচেৎ আপনি তাদের পরিস্থিতি এবং পরিবেশের দ্বারা বন্দি হয়ে যাবেন, আপনাকে আপনার নিজের মধ্যে শক্তি এবং নিশ্চিততার উৎস থেকে দূরে সরিয়ে নিয়ে যাবে।

ঠিক তেমনি, এমনকি পৃথিবীর সেবায় পৃথিবীর প্রতি আকৃষ্ট হওয়া একটা ক্ষতিকর প্রভাব যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি সত্যিই প্রস্তুত ও শক্তিশালী হয়েছেন । আপনি বিশ্বের সেবা করতে প্রস্তুত নন। সমস্যা সমাধানে বা সমর্থক হওয়ার জন্য আপনি প্রকৃতপক্ষে প্রস্তুত নন, কারণ এটি আপনাকে আপনার কেন্দ্র এবং ক্ষমতার উৎস থেকে দূরে সরিয়ে দেবে।

শুধুমাত্র পরে আপনি পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারবেন,  আপনাকে সমর্থন করার জন্য জ্ঞানের শক্তি দিয়ে এখন অভ্যন্তরীণ নির্দেশিত । কিন্তু উন্নয়নের এই ধাপেও, প্রজ্ঞা আপনাকে দেখাবে যে আপনি নিজেকে কিসে প্রকাশ করেন এবং আপনি নিজেকে যা দেবেন তাতেও আপনাকে অবশ্যই খুব যত্নশীল হতে হবে।

মন শুধু অনেক কিছু বিনোদন দিতে পারে। যেকোন প্রদত্ত মুহূর্তে এর শুধুমাত্র এত ক্ষমতা আছে। এটা শুধু পারে অনেক সমস্যার সমাধান করতে এবং অনেক কিছু সম্বোধন করতে পারে। এটি পৃথিবী এবং অন্যদের অসুবিধায় পূর্ণ হবে যতক্ষণ না আপনি জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ নিতে শুরু করতে পারেন, যার জন্য সময় এবং শক্তি এবং ফোকাস প্রয়োজন।

এখানে আপনি আপনার শক্তি এবং দিকনির্দেশনার উৎস খুঁজে পেতে আপনার ভেতরের জগতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখানে আপনি চিনতে পারবেন আপনার বাইরের জীবনে কি উপকারী এবং কি বিভ্রান্তিকর, গোলমেলে বা বিরক্তিকর। এখানে আপনি শান্তি খুঁজছেন না। আপনি একটি মৌলিক সংযোগ করতে চান যা ভবিষ্যতে অভ্যন্তরীণ শান্তি সম্ভব করবে।

এখানে আপনি পৃথিবী থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন না। আপনি নিজেকে পৃথিবীর জন্য প্রস্তুত করছেন, কারণ আপনি এখনো মহান উদ্দেশ্য অনুমান করতে প্রস্তুত নন। আপনার শক্তি নেই। আপনার প্রজ্ঞা নেই। আপনার উচ্চতর উদ্দেশ্যে যে সূক্ষ্ম বিচার শক্তি এবং বিচক্ষণতা প্রয়োজন তা এখনও পাননি।

যদিও এটি সম্পাদনা এবং সামাজিকভাবে অন্যদের সহায়ক হতে, অন্যদের সেবার জন্য অনুমোদিত মনে হয়, এই আনুষ্ঠানিক পর্যায়ে, আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। যারা জীবনে উন্নতি করছে না তাদের কাছ থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে। আপনাকে অবশ্যই মানুষের দুঃখজনক ঘটনা থেকে সরে আসতে হবে। যারা তাদের চারপাশে মনোযোগ দিচ্ছে তাদের থেকে আপনাকে প্রত্যাহার করতে হবে, এমনকি যদি তাদের চাহিদা বৈধও হয়, এর ফলে আপনার মন দখল করে আপনাকে দূরে নিয়ে যাবে, বাইরের জগতে ফিরে আসবে।

আপনি যদি ঐশ্বরিক এবং জাগতিক বিষয়ের মধ্যে সেতু হতে চান, আপনাকে যেমন ডিজাইন করা হয়েছিল, আপনি যদি এই বৃহত্তর সংযোগ এবং এই বৃহত্তর শক্তি পেতে চান এবং এটি বিশ্বে সফলভাবে বহন করতে পারেন, তাহলে আপনার উভয় প্রান্তে একটি ব্রিজের মতো একটি পা রাখতে হবে, উভয় প্রান্তে নোঙ্গর করতে হবে। এর জন্য মনের আলাদা ব্যবহার, একটি ভিন্ন বোঝাপড়া, আলাদাভাবে বিশ্বকে দেখার এবং বিশ্বের প্রতিক্রিয়া জানার এক ভিন্ন উপায় প্রয়োজন।

এই মুহূর্তে আপনি হারিয়ে গেছেন পৃথিবীর মাঝে, আর হারিয়ে গেছেন পৃথিবীকে নিয়ে আপনার নিজের চিন্তায়। আপনি বন্দি, আর আপনি আপনার কাছে অচেনা। আপনি জানেন না আপনার গভীরতর প্রকৃতি এবং নিজের মধ্যে জ্ঞানের গতিবিধি এবং শক্তি সম্পর্কে জানেন না তবে এখনও এই শক্তিটিকে পৃথিবীতে বহন করতে এবং আপনার উপহারগুলিকে দুনিয়াতে অবদান রাখতে যেখানে তারা সত্যিকার অর্থেই বোঝানো হচ্ছে সেখানে অবদান রাখতে সক্ষম হন।

আপনি যা ভাবছেন বা বিশ্বাস করছেন তা নিয়ে আপনি প্রস্তুত নন। এমনকি যদি আপনি অনুভব করেন যে ঈশ্বর আপনাকে দিয়ে কিছু করতে চান, এবং আপনি সেভাবে নির্ভরযোগ্য, আপনি এখনও প্রস্তুত নন।

ঈশ্বর এটা জানেন। এবং এজন্যই জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ প্রদান করা হয়েছে। আর এজন্যই এখানে নতুন উদ্ঘাটন, কারন মানবজাতি ভবিষ্যতে মহা ধ্বংসের সম্মুখীন হচ্ছে। সামনে অনিশ্চিত ও কঠিন সময়কে নেভিগেট করতে হলে এই বৃহত্তর শক্তি ও গভীরতর অভিমুখীতার প্রয়োজন হবে।

ভাববেন না যে পৃথিবী আপনাকে অতিক্রম করবে না, কারণ সে আপনাকে ইতিমধ্যেই অতিক্রম করেছে। এবং যত জিনিস আরো কঠিন হয়ে ওঠে এবং সেখানে বৃহত্তর অস্থিতিশীলতা, বৃহত্তর কঠিনতা এবং বৃহত্তর মানবিক দুর্ভোগ, তা আপনাকে আরও সম্পূর্ণরূপে ছাড়িয়ে যাবে।

আপনি যা পড়াশুনা করছেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন। আপনার মনকে কেবলমাত্র তা খাওয়ান যা জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণে আপনাকে সমর্থন করতে পারে। সংবাদপত্র সরিয়ে রাখুন। এমনকি উপন্যাসটি সরিয়ে রাখুন কারণ এটি আপনাকে ধারণ করে এবং এমন একটি সময়ে যখন আপনার গভীর প্রকৃতির সাথে এবং ঈশ্বর আপনার মধ্যে যে শক্তি ও উপস্থিতি রেখেছেন তার সাথে জড়িত হওয়া আপনার পক্ষে সর্বোচ্চ গুরুত্বের বিষয়।

টেলিভিশন বন্ধ করুন, এমনকি রেডিও, নিজের সাথে আবার পরিচিত হতে, আপনার মনের বিভিন্ন অবস্থার পর্যবেক্ষক হয়ে উঠতে, আপনার অভিজ্ঞতা গ্রহণ করতে এবং কোন অভিজ্ঞতাটি সত্যই উপকারী এবং কোনটি নয় তা বুঝতে। আপনি এটা করতে পারবেন না যদি আপনি ক্রমাগত পৃথিবীতে টেনে ফিরে নিয়ে যান।

আপনি যদি অন্যের প্রশংসা নিয়ে সেবার জীবন যাপন করেন, যদি জ্ঞান আপনার মধ্যে শক্তিশালী না হয়, তবে আপনি এখনও দুর্বল এবং আপনি সত্যিই আপনার উপায় জানেন না।

মদ এবং নেশা থেকে বিরত থাকুন যা আপনার মনের অবস্থাকে পরিবর্তন করে। আপনি আপনার মনের অবস্থা সম্পর্কে সচেতন হতে চেষ্টা করছেন এবং উদ্দেশ্যমূলকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে চান, এমনকি অবজ্ঞাপূর্ণভাবেও। আপনি কীভাবে তা করতে পারেন যখন এই জিনিসগুলি নিয়ে ইহা কুয়াশাচ্ছন্ন এবং মেঘে ঢাকা থাকে?

আপনি চান আপনার চোখ পরিষ্কার হোক। আপনি চান আপনার কান শুনতে পায় এবং আপনার চোখ দেখতে পায়। আপনি অজান্তের কুয়াশা এবং আপনার মধ্যে যে দুর্ভোগ এবং বিভ্রান্তি এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব সৃষ্টি করে তা থেকে আপনি অব্যাহতি পেতে চান।

এরপর, আপনাকে অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে কে আপনার জীবনে আছে এবং তারা আপনার মধ্যে কি প্রভাবিত করে। এই বিষয়ে সবাই হয় আপনাকে সাহায্য করছে অথবা আপনাকে বাধা দিচ্ছে আপনার গভীরতর প্রকৃতিতে সাড়া দিতে এবং আপনার জীবনের মহান ডাক আবিষ্কার করতে। এমনকি দয়ালু এবং প্রেমময় ব্যক্তিও আপনার বৃহত্তর সাধনা এবং আপনার মহৎ উদ্দেশ্য সম্পর্কে সন্দেহ এবং অবিশ্বাস করতে পারে।

যেসব মানুষ নিজের মধ্যে এসবের অভিজ্ঞতা নেই তারা তাদের চমৎকার গুণাবলী নির্বিশেষে আপনাকে সাহায্য করতে পারবে না। প্রকৃতপক্ষে, তারা একটি বাধা হয়ে দাঁড়াবে। আপনার দৃষ্টিভঙ্গিতে উদ্যমহীন এবং চটকদার লোকদের কাছ থেকে আপনাকে সরিয়ে নিতে হবে। আপনার জীবনে কে আছেন তা নির্ধারণ করবে আপনি কী জানতে সক্ষম হবেন এবং যা আপনি জানেন তা অনুসরণ করার আপনার ক্ষমতা। এবং সে কারণেই আপনার সম্পর্কের গুণগতমানটি খুব গুরুত্বপূর্ণ।

এমনকি যদি আপনার শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি থাকে যে আপনার জন্য একটি বাস্তব সহযোগী হতে পারে এবং জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণে আপনার মহান প্রচেষ্টাকে সমর্থন করতে পারে, তাহলে তা হাজার বন্ধুর চেয়ে বেশি উপকারি হবে, যারা শুধুমাত্র সুপারফিসিয়াল জিনিসের সাথে আপনার সময় দখল করে নেবে। কারন মানুষের ব্যস্ততা নিছক নিজের কাছ থেকে পালিয়ে আসা।

আপনার চিন্তাভাবনা পরিবর্তন করতে এবং কিভাবে স্পষ্টভাবে দেখা যায় এবং বিকৃতি ছাড়াই শুনতে হয় তা শিখতে হলে আপনাকে দারুণ মনোযোগ দিতে হবে। এর জন্য সময় এবং শক্তি অবশ্যই আপনার কাছে উপলব্ধ হবে। আপনি যদি খুব ব্যস্ত থাকেন, পৃথিবীতে খুব বেশি ধরা পড়েন, অন্য মানুষের সমস্যা এবং প্রয়োজন নিয়ে অতিরিক্তভাবে জড়িত থাকেন, তাহলে আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ জীবনের মজুত নেওয়ার ক্ষমতা আপনার থাকবে না। উন্নয়নের সত্যিকারের জীবন গড়ার শক্তি আপনার থাকবে না।

আমরা এমন বিষয়গুলির বিষয়ে কথা বলছি যা আপাত এবং আপনি পৃথিবীতে দেখতে পাবেন। নিজের অতীত ও অভিজ্ঞতার মাধ্যমেই এটা দেখা যায়, আপনি এটি অন্যের আচরণ এবং আবেগ এবং বিভ্রান্তিতে স্পষ্ট দেখতে যায়। নিন্দা না করে দেখুন এবং আপনি দেখতে সক্ষম হবেন। এবং আপনার বোঝাপড়া জ্ঞানের প্রতি আপনার অঙ্গীকারকে শক্তিশালী করবে।

কারন জ্ঞান ছাড়া, আপনি পৃথিবীতে ভাসমান – অন্যদের মতামত দ্বারা পরিচালিত, বিশ্বের ঘটনা দ্বারা পরিচালিত, আপনার নিজের ভয় এবং আকাঙ্ক্ষা দ্বারা পরিচালিত, অলসতা এবং আতঙ্কের মাঝে অস্থির। যখন আপনি আপনার মন পর্যবেক্ষণ করতে শুরু করবেন এবং দেখবেন কি দখল করছে এটাকে, কি কষ্ট দিচ্ছে, কি আধিপত্য বিস্তার করছে, তখন আপনি বিশ্বের প্রভাব দেখতে পাবেন। এবং আপনি দেখতে পাবেন যে কি মাত্রায় আপনাকে পিছনে ধরে রেখেছে।

আমরা এমন বিষয়গুলির বিষয়ে কথা বলছি যা বুঝতে সহজ, তবে মানসিক পরিবেশে এমন শক্তি রয়েছে যেগুলি বোঝা আরও কঠিন। আপনার চোখ এবং আপনার কান, আপনার সংবেদন এবং আপনার স্পর্শ দিয়ে আপনি কেবল জীবনের একটি নির্দিষ্ট বর্ণালীটির অভিজ্ঞতা লাভ করেন। আপনার অনুভূতিগুলি যা রিপোর্ট করতে পারে তার বাইরেও জীবন আছে।

মানসিক পরিবেশে মজবুত ও শক্তিশালী শক্তি রয়েছে, মানুষের চিন্তা ও আবেগকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত শক্তিশালী। বিভিন্ন বাড়ি এবং বিভিন্ন জায়গায় যান যেখানে মানুষ একত্রিত হয় এবং আপনি সেখানে অনন্য মানসিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা লাভ করবেন।

কিছু জায়গা ভালো লাগবে । কিছু জায়গা তাদের দেখেই ভাল লাগবে না। প্রত্যেকেরই এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। প্রকৃতির বাইরেও এমন কিছু জায়গা আছে যেখানে আপনি অনিশ্চিত বা অবাঞ্ছিত বোধ করতে পারেন কারণ এখানেও সূক্ষ্ম শক্তি রয়েছে।

মানুষ ভিন্ন মাএায় এইসব জিনিসের প্রতি সংবেদনশীল । কিন্তু যখন আপনি আপনার সংবেদনশীলতা বিকাশ করবেন এবং যখন আপনার ইন্দ্রিয়গুলি আরও পরিশোধিত হবে তখন আপনার মানসিক পরিবেশের অভিজ্ঞতা অনেক বেশি হবে। এবং আপনি এখানেও দেখতে পাবেন কিছু বিষয় আছে যা এড়িয়ে চলার এবং কিছু বিষয় রয়েছে সচেতন থাকার।

আপনি আপনার পরিবেশের প্রতি আরো সংবেদনশীল হয়ে উঠবেন, এবং আপনার দৃষ্টি আরো গভীর ও তীক্ষ্ণ হয়ে উঠবে। এটি আপনাকে অন্যান্য বিপদ এবং প্রভাব সম্পর্কে সতর্ক করবে যা আপনি সত্যিই বুদ্ধিগতভাবে হিসাব করতে পারবেন না।

এটি আপনার মনকে পরিশোধন এবং তার মনোযোগের প্রাকৃতিক ফলাফল, কিন্তু এই বৃহত্তর সংবেদনশীলতার সাথে, গভীর প্রজ্ঞা এবং বৃহত্তর আত্মসংযম এবং আত্মশৃঙ্খলা থাকতে হবে । এই আত্মসংযম ও আত্মশৃঙ্খলা ছাড়া আপনার সংবেদনশীলতা আপনার জন্য অন্যদের সাথে থাকা এবং জীবনের স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে কাজ করা আরো কঠিন করে তুলবে।

আপনার প্রত্যাহার এবং আরও বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার ঝোঁক থাকবে। আপনি এখন কোনও ধরণের স্বাচ্ছন্দ্য বা সাফল্যের সাথে জীবনে অংশ নিতে অনিচ্ছুক অথবা সক্ষম হবেন না। সেটা আপনার প্রস্তুতির উদ্দেশ্যে নয়, কারণ আপনি আরো শক্তিশালী উপায়ে বৃহত্তর উদ্দেশ্য নিয়ে পৃথিবীতে থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

মানসিক পরিবেশেও বিপদ আসে। মহাবিশ্বের উপস্থিতি, শারীরিক উপস্থিতি আছে যারা আজ পৃথিবীতে, মানুষের দুর্বলতা ও বিভাজনের সুযোগ নিতে চাইছে। তারা মানসিক পরিবেশে একটি শক্তিশালী প্রভাব ফেলে এবং কিছু মানুষের উপর এই প্রভাবকে ফোকাস করতে পারে তাদের পরিকল্পনার দিকে অথবা তাদের প্রতিরোধকে দুর্বল করতে। জ্ঞানীরা এই বিষয়গুলো জানে। নির্বোধরা নিছক প্রভাবিত হয়।

বৃহত্তর শক্তি অর্জনের জন্য, আপনাকে বৃহত্তর দায়িত্ব অর্জন করতে হবে। এর মানে হল আপনি শুধুমাত্র যেকোন জিনিসের উপর সম্পূর্ণরূপে সাড়া দিতে পারবেন না, কিন্তু আপনি কি বলবেন এবং করবেন তার ব্যাপারে আপনাকে অবশ্যই বৃহত্তর সংযমের অনুশীলন করতে হবে। যে এই বিষয়ে সচেতন নয়, তার কাছে এটা তাদের স্বাধীনতার সীমাবদ্ধতা মনে হবে, কিন্তু যে জ্ঞানের দিকে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার কাছে এটি একটি মহান সমর্থন এবং একটি বড় উৎসাহ হিসেবে দেখা হবে।

এই জন্যই যদি আপনি জ্ঞানের দিকে পদক্ষেপ নিতে থাকেন, তাহলে জীবনের এই বৃহত্তর যাত্রা না করা মানুষগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকা খুব কঠিন হয়ে পড়বে। যদিও তাদের ভালো ইচ্ছা থাকে, তারা আপনার গভীরতর আহ্বান যা আপনাকে আপনার শক্তির কেন্দ্র এবং উত্সের দিকে আকর্ষণ করছে তা তারা সনাক্ত করতে ও সম্মান করতে পারবে না।

তারা বিভ্রান্তিকর হবে। তারা এখন আপনার জন্য ক্ষতিকর প্রভাব হয়ে উঠবে। এবং যদিও আপনি তাদের সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন না যদি তারা আপনার পরিবারের সদস্য বা অতীতে আপনার নিকটবর্তী কেউ হয়, তাহলে আপনাকে তাদের ব্যাপাবে আরও বড় বিচক্ষণতা এবং সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

জ্ঞানের শক্তি আপনার সাথে আছে। বর্তমান আপনার সাথেই আছে । কিন্তু পৃথিবীর সবকিছু যা আপনাকে অতীতে কর্তৃত্ব করেছে এবং যা এখন আপনাকে কর্তৃত্ব করছে তাও আপনার সাথেই আছে। এবং এই জিনিসগুলি আপনাকে বিভিন্ন দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

অতএব, আপনার প্রস্তুতির সময়, বিশেষত শুরুতে, আপনাকে লোক, স্থান এবং নির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে আপনার প্রকাশকে সীমাবদ্ধ করতে হবে। এর জন্য প্রয়োজন মহান সংযম এবং মহান বিচক্ষণতা, যা অধিকাংশ মানুষ ধারন করে না, কারণ তাদের এসব অনুশীলন করার শক্তি নেই।

এখানে এমনকি আপনার শখ বা আপনার বিনোদন পুনর্বিবেচনা করা আবশ্যক। এটা কি আপনার জন্য মানসিক এবং শারীরিকভাবে উপকারী? এটা কি সত্যিই আপনাকে অবকাশ দেয়? এটা কি সত্যিই আপনাকে বিশ্রাম দেয়? এটা কি জ্ঞানের সাথে আপনার জড়িত হওয়াকে সমর্থন করে? নাকি এটা অব্যাহতি পাওয়ার একটি রূপ, পালিয়ে যাওয়া? অনেক কিছুই আসলে এই শ্রেণীতে ফিট হয় এবং এই উদ্দেশ্য পরিবেশন করে।

সিনেমায় যাওয়া থেকে বিরত থাকুন, কারণ তারা আপনাকে ছাপিয়ে যায় এবং শক্তিশালী ছবি দিয়ে আপনার মন ভরে যায় যা আপনার মন স্থির করতে এবং আপনার ভেতরের জীবন অন্বেষণ করতে শুরু করতে আরও কঠিন করে তোলে।

দেখুন সঙ্গীত আপনার জন্য কি করে। সব সময় বাজানোর চেয়ে দেখুন কেমন আবেগ, চিন্তা, অনুভূতি জাগায়। এটা কি সত্যিই আপনার জন্য উপকারী? অথবা এটা কি আপনাকে আপনার কষ্ট, আপনার স্পৃহা, আপনার আকাঙ্খা, আপনার হতাশার কথা মনে করিয়ে দেয়?

এই সব জিনিস পুনরায় মূল্যায়ন করা উচিত কারণ সবকিছু আপনার উপর প্রভাব ফেলছে, এবং সেই প্রভাব হয় সহায়ক নয়তো বাধা। এটা বুঝতে পেরে, তারপর, আপনাকে আপনার জীবনের সমস্ত জিনিস, মানুষ, স্থান এবং প্রভাবকে আরো উদ্দেশ্যমূলক ভাবে মূল্যায়ন করার মানদণ্ড দেয়, বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং বিচক্ষণতার সাথে।

বৃহত্তর উদ্দেশ্য ও সততা নিয়ে জীবন যাপন করার স্বাধীনতা থাকলে এই স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে, যা অনেক কিছুর কাছে হেরে গেছে। আপনি কার সাথে আছেন এবং আপনি কি করেন, আপনি কিভাবে আপনার সময় ব্যয় করেন এবং আপনার মন কোথায় যাওয়ার প্রবণতা এবং এবং আপনার উপর আপনার কার্যক্রমের প্রভাব এবং পরিনাম তা পুনরায় মূল্যায়ন করতে হবে। এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আগে অনেক কিছুই নির্দোষ, অথবা এমনকি আনন্দদায়ক বলে মনে হয়েছিল, তা সত্যিই একটি বাধা।

এটা সত্যিই নিজের প্রতি সৎ হয়ে ওঠা। এটি একটি দৃষ্টিকোণ বনাম অন্য দৃষ্টিকোণের বিষয় নয়। এটি একটি বিশ্বাস বা বিশ্বাসের সেট বনাম অন্যান্য বিশ্বাসের সেট সম্পর্কে নয়। নিজের প্রতি সৎ হওয়া, গভীর পর্যায়ে সৎ হওয়া।

এই ব্যক্তির সাথে আপনার সম্পৃক্ততা বা এই কার্যকলাপ বা বিশ্বের সাথে জড়িত হওয়ার এই ধরন সম্পর্কে সত্যতা কি? সত্যিই সত্যি বলতে কি, কিছু উপকার হোক বা না হোক, এবং আপনি দেখবেন কিভাবে এবং এমনকি আপনাকে অবশ্যই এর সাথে জড়িত থাকতে হবে কিনা।

জ্ঞানের দিকে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে নিজের প্রতি সৎ হওয়ার একটি প্রক্রিয়া এবং ফলে অন্যদের প্রতি সৎ-আপনার সাধনায় সৎ, আপনার মূল্যবোধের সৎ, অন্যদের সাথে যোগাযোগের ক্ষেত্রে সৎ, আপনি আপনার নিজের লক্ষ্য নির্ধারণে সৎ এবং কেন সেট করলেন সৎ।

জ্ঞান গভীর এবং সহজ কারণ এটি সম্পূর্ণ সৎ। আপনি জটিল এবং বিভ্রান্ত কারণ আপনি এখনও সম্পূর্ণ সৎ হননি। জ্ঞান শক্তিশালী, মনোযোগী এবং ক্ষমতাবান। তোমার মন বিচ্ছুরিত, বিভ্রান্ত এবং বিরোধিতা করার দিকে স্থির কারণ আপনি এখনও সম্পূর্ণ সৎ হওনি। আপনি সত্যিকারভাবে জীবনের সবচেয়ে গভীরভাবে যা জানেন এবং আপনার সত্য দিকনির্দেশনা নিয়ে এই শর্তে আপনি আসলে আসেননি, যা সত্যই সৎ হওয়ার সমস্ত ফলাফল।

এটি একটি উন্নত বিশ্বাস ব্যবস্থা থাকা সম্পর্কে নয়। এটা দৃষ্টিকোণ সম্পর্কে নয়। মতামত ও ধারণার বিষয় নয়, কারন তার সবই মনের পৃষ্ঠদেশে।

আমরা এমন কিছু কথা বলছি যা আপনার মনের পৃষ্ঠের চেয়ে অনেক গভীর, এমন কিছু যা আপনার প্রকৃতির সাথে অন্তর্নির্মিত – যা আপনাকে পৃথিবীতে এনেছে এবং যা আপনি পৃথিবী ছেড়ে চলে যাওয়ার পর প্রতিফলিত হবেন, যা আপনার এখানে থাকার জন্য সবচেয়ে প্রাথমিক এবং মৌলিক।

আপনি যখন জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, আপনার আন্তরিকতাটি নতুন ক্ষেত্রে প্রসারিত করার সুযোগ পাবেন এবং প্রশ্ন ছাড়াই আপনি সবসময় অনুমান বা বিশ্বাস করেছেন এমন জিনিস পুনর্বিবেচনা করার সুযোগ পাবেন । এটা একটা খুব গভীর মূল্যায়ন।

এখানে আপনি দেখতে শুরু করবেন কোনটা ক্ষতিকর আর কোনটা উপকারী। এখানে আপনি সহজ আনন্দকে মূল্য দেবেন। এবং আপনি আপনার মন এবং জীবনকে এমন জিনিসগুলিতে বিলিয়ে দেওয়ার বিপদ এবং বিপত্তি দেখবেন যা আপনার জন্য সত্যিকারের প্রতিশ্রুতি বা উদ্দেশ্য নেই।

এটা আপনার বোঝাপড়া হতে দিন।

বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে অপরিহার্য সত্য

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৩০ জানুয়ারী, ১৯৯৭ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

এই সময়ে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা এবং মানবতার কাছে এর সামগ্রিক গুরুত্ব উপস্থাপন করতে, আমরা উপলব্ধি করি যে আমরা আজ মানব সংস্কৃতিতে অনেক পছন্দের ধারণা এবং লালিত ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমরা অনেক প্রশ্ন এবং সম্ভবত বিভ্রান্তির একটি মহান চুক্তি উদ্দীপিত করছি। কিন্তু এটিই বাস্তবতা যা অবশ্যই উপস্থাপন করতে হবে, এবং মানুষকে অবশ্যই এটির অর্থ বোঝার জন্য এবং তাদের পূর্বের ধারণাগুলিকে ছাড়িয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজে বের করতে হবে যদি তারা তাদের এটি করতে বাধা দেয়।

কারণ মানবতা তার বিকাশের একটি খুব কৈশোর পর্যায়ে রয়েছে, এটি অনেক আদর্শ এবং কুসংস্কারে ভরা যার বাস্তবতার সাথে কোন সম্পর্ক নেই। পরিবর্তে, তারা মানুষের চেতনার আকাঙ্ক্ষা এবং ভয়ের প্রতিনিধিত্ব করে। এত দৃঢ়ভাবে এগুলি মেনে চলতে পারে যে মানুষের পক্ষে নতুন কিছু শোনা খুব কঠিন হতে পারে। এই কিতাবে কী উপস্থাপন করা হচ্ছে তা স্পষ্টভাবে দেখা এবং স্পষ্টভাবে বোঝা তাদের পক্ষে খুব কঠিন হতে পারে।

আমরা এই অসুবিধাগুলি বুঝতে পারি, এবং আমরা যতটা সম্ভব স্পষ্টভাবে যে বাস্তবতাগুলি উপস্থাপন করছি তা স্পষ্ট করার চেষ্টা করব। তবুও আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে যে আপনি নিজের জন্য দেখতে পাবেন এমন অনুকূল অবস্থান অর্জনের জন্য আপনাকে কাজ করতে হবে। এই কিতাবে যা উপস্থাপন করা হচ্ছে তা কেবল বিশ্বাস করাই যথেষ্ট নয়। আপনাকে অবশ্যই এটি নিজের জন্য অনুভব করতে হবে এবং আপনি অবশ্যই এটি পরিষ্কারভাবে দেখতে সক্ষম হবেন। এখানেই, আপনি অধিকাংশ কাজগুলো করেন।

আপনি যদি আপনার ব্যস্ততায় নিমজ্জিত থাকেন, আপনি যদি মানব আদর্শ এবং বিশ্বাসে নিমগ্ন থাকেন তবে আপনি সম্পূর্ণ দৃষ্টিকোণ দেখতে পারবেন না এবং আপনি নিজের মধ্যে এবং আপনার চারপাশের বিশ্ব উভয়ের মধ্যেই বৃহত্তর শক্তিগুলিকে চিনতে পারবেন না, যা আপনার জীবন এবং আপনার ভাগ্য গঠন করছে। অতএব, আমরা আমাদের বাণীর সাথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছি। আমরা বুঝতে পারি এটি কতটা মহান।

মানবতা হল বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভূত আরও একটি জাতি। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সমাজ এবং সংস্কৃতির বিশাল নেটওয়ার্ক জুড়ে, এই মুহুর্তে অন্যান্য জাতি রয়েছে যেগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উদ্ভূত হওয়ার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। আপনি এখন যেখানে আছেন তাদের কেউ কেউ এগিয়ে আছেন। অন্যরা অনেক পিছিয়ে।

সুতরাং এটি একটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যেহেতু এটি কৈশোর থেকে যৌবনে পরিণত হওয়ার একটি খুব স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। আপনি ব্যক্তিগতভাবে আপনার জীবনে যেমন একটি বিবর্তনীয় অগ্রগতি করেছেন, তেমনি একটি জাতি হিসাবে মানবতারও একটি বিবর্তনীয় অগ্রগতি রয়েছে। এটি মানব সমাজ, মানব সংস্কৃতি, মানবিক ধারণা এবং মানব শিক্ষায় উদ্ভাসিত হয়।

এই মহাবিশ্বের সর্বত্র চলছে। তার খুব প্রকৃতির দ্বারা, বুদ্ধিমান জীবন অবশ্যই বৃদ্ধি এবং প্রসারিত হবে। এটাই এটিকে জীবনের অন্যান্য রূপ থেকে আলাদা করে, যা মহাবিশ্বের মহান ফ্যাব্রিকে একটি ভিন্ন ভূমিকা পালন করে।

আপনার মধ্যে এবং বিশ্বের মধ্যে উভয় মহান শক্তিগুলো মানবজাতির বিবর্তনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এটির সাথে তাল মিলিয়ে চলার জন্য, আপনাকে অবশ্যই আপনার প্রাক্তন শিক্ষার বাইরে যেতে এবং ধারণাগুলিকে দূরে সরিয়ে রাখতে সক্ষম হতে হবে, এমনকি যদি তারা আপনাকে এই পর্যন্ত পরিবেশন করে থাকে। শিক্ষা হল নতুন কিছু শেখা, আপনি যা আগে জানতেন তার বাইরে যাওয়া, নতুন উদ্ঘাটন অনুভব করা ইত্যাদি?

অতএব, যেহেতু আমরা আপনার কাছে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা উপস্থাপন করছি এবং আপনার কাছে এবং মানবতার কাছে এর অভূতপূর্ব গুরুত্ব, আমরা একটি বৃহত্তর শেখার সুযোগও উপস্থাপন করছি, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ শেখার সুযোগ যা আপনি এই সময়ে পেতে পারেন।

আপনার শিক্ষার এই প্রক্রিয়াটি শুরু করার জন্য, জীবনের একটি বৃহত্তর অনুকূল অবস্থান অর্জনের প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য যেখান থেকে আপনি যা আগে দেখতে পারেননি তা দেখতে পাবেন এবং যা আপনি আগে জানতে পারেননি তা জানতে পারবেন, আমাদের অবশ্যই কিছু প্রয়োজনীয় সত্য উপস্থাপন করতে হবে। বৃহত্তর সম্প্রদায়, আপনার বিশ্ব সম্পর্কে এবং আপনার অপরিহার্য আধ্যাত্মিক প্রকৃতি সম্পর্কে, কারণ তারা সকলেই সরাসরি সংযুক্ত। আমরা যা উপস্থাপন করতে যাচ্ছি তা প্রথমে বোঝা কঠিন বলে মনে হতে পারে। এমনকি যদি আপনি মনে করেন যে আপনি এটি এখনই বুঝতে পারবেন, তবুও আপনার কাছে এখনও এমন অনুকূল অবস্থান নেই যেখান থেকে আপনি এটি দেখতে এবং এটি সম্পূর্ণরূপে জানতে পারবেন।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করার জন্য, আপনাকে কিছু বিষয় বুঝতে হবে। এই বিষয়গুলো যদি স্বীকৃত না হয় এবং বোঝা না যায়, গুরুত্বের সাথে বিবেচনা না করা হয়, তাহলে আপনি বৃহত্তর সম্প্রদায়কে বুঝতে পারবেন না, এবং আপনি এর জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন না।

প্রথমত, আমরা যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কথা বলছি তা প্রাথমিকভাবে ভৌত মহাবিশ্বের জীবনকে প্রতিনিধিত্ব করে, যদিও এর মধ্যে রয়েছে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক প্যানোরামা যা আমরা পরে বলব। এই মুহুর্তে আমরা প্রাথমিকভাবে ভৌতিক বাস্তবতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।

যখন আমরা জীবনের কথা বলি, তাই, বৃহত্তর সম্প্রদায়ে, আমরা ভৌতিক জীবন এবং ভৌতিক অস্তিত্বের কথা বলছি। আমরা ভৌতিক মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবনের কথা বলছি। এটা বোঝা দরকার যে বৃহত্তর সম্প্রদায় বিবর্তনের সমস্ত পর্যায়ে বুদ্ধিমান জীবনকে ধারণ করে – প্রারম্ভিক উত্থান, প্রাথমিক বিকাশ, বয়ঃসন্ধি এবং ক্ষয় অবস্থায় সংস্কৃতি।

আমরা আলোকিত প্রাণীর কথা বলছি না। আমরা দেবদূত শক্তি সম্পর্কে কথা বলছি না। আমরা আপনার মতো প্রকৃত শারীরিক প্রাণীদের কথা বলছি, যারা আপনার নিজের থেকে অনেক আলাদা পরিবেশে বেড়ে উঠেছে এবং আবির্ভূত হয়েছে এবং যাদের জীবনে একই অসুবিধার মুখোমুখি হতে হয়েছে: বেঁচে থাকা, প্রতিযোগিতা এবং সম্পর্কের সমস্যা।

তারা যে ভিন্ন ভিন্ন উপায়ে [এটি] মোকাবেলা করেছে তা তাদের অভিজ্ঞতার ভিন্ন ফলাফলের জন্য দায়ী। কিন্তু আপনার জন্য এটা জানা গুরুত্বপূর্ণ যে কিছু কিছু জিনিস আছে যা আপনি তাদের সাথে এবং ভৌতিক মহাবিশ্বের সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের সাথে মিল রাখেন।

ভৌতিক এবং আধ্যাত্মিক বাস্তবতাগুলিকে বিভ্রান্ত না করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি প্রায়শই করা হয়, এবং ফলস্বরূপ আপনি কী নিয়ে কাজ করছেন তা স্পষ্টভাবে আপনার বোঝার ক্ষমতা ব্যাপকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়। ভৌতিক বাস্তবতা আধ্যাত্মিক বাস্তবতা [থেকে] বেশ ভিন্ন। এটি বিভিন্ন আইন অনুযায়ী কাজ করে। এটির বিভিন্ন প্রকাশ এবং একটি ভিন্ন উদ্দেশ্য রয়েছে।

একটি অস্থায়ী। অন্যটি স্থায়ী। একটি প্রাথমিকভাবে শিক্ষা এবং সেবা উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হয়. অন্যটি প্রাথমিকভাবে অবদানের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। একটি হচ্ছে করার ক্ষেত্র। অন্যটি হচ্ছে সত্তার ক্ষেত্র। একটির জন্য দ্বন্দ্ব এবং প্রতিযোগিতার প্রচণ্ড শক্তির প্রয়োজন, এবং অন্যটিতে এই জিনিসগুলির অস্তিত্ব নেই।

এটি মানুষের জন্য বিভ্রান্তির এমন একটি প্রাথমিক ক্ষেত্র যা আমাদের অবশ্যই বারবার জোর দিতে হবে যে আপনি ভৌতিক শক্তি এবং শরীরী প্রাণীদের সাথে আচরণ করছেন। আপনাকে সাহায্য করার জন্য আপনাকে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক শক্তিগুলিকে ডাকতে হবে এই সত্যটি অপরিহার্য, তবে তাদেরকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিগুলির সাথে বিভ্রান্ত করবেন না যার সাথে আপনাকে লড়াই করতে শিখতে হবে।

এরপরে, এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আমরা যখন বৃহত্তর সম্প্রদায় টার্মটা ব্যবহার করি, তখন আমরা একটি ঐক্যবদ্ধ সম্প্রদায়ের কথা বলছি না, মহাবিশ্বে একটি মহান ভ্রাতৃত্বের কথা বলছি। আমরা স্বতন্ত্র সংস্কৃতি এবং স্বতন্ত্র বিশ্বের একটি বিশাল শ্রেণীবিন্যাসের কথা বলছি যেগুলি বিকশিত হয়েছে এবং নির্দিষ্ট মাত্রায় একে অপরের সাথে যোগাযোগ করতে হয়েছে। এই মিথস্ক্রিয়া কিছু শান্তিপূর্ণ এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ। এর মধ্যে কিছু বিতর্কিত এবং প্রতিকূলতায় পূর্ণ।

এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ বহু শতাব্দী ধরে মানুষ পরিত্রাণের জন্য আকাশের দিকে তাকিয়ে আছে, এই ভেবে যে সেখানে একটি উন্নত জীবন থাকতে হবে, তাদের সমস্ত সমস্যার সমাধান থাকতে হবে, জীবনযাপনের একটি উপায় থাকতে হবে যেখানে লোভ, হিংসা এবং ঘৃণার সমস্যাগুলির অস্তিত্ব নেই।

কিন্তু এটি শুধুমাত্র আপনার প্রাচীন বাড়িতে বিদ্যমান, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি ফিরে আসবেন। এবং এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে শুধুমাত্র জ্ঞানের খুব ছোট এবং বিচ্ছিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান।

বৃহৎ প্রযুক্তিগত সমাজগুলি প্রকৃত আধ্যাত্মিক জ্ঞান এবং অগ্রগতি খুব কমই ধারণ করে এবং প্রদর্শন করে। তাদের ফোকাস নিয়ন্ত্রণ এবং অভিন্নতার উপর। এই ধরনের সমাজে ব্যক্তি স্বাধীনতা খুব কমই মুল্যায়িত হয়। বরং, তারা মিথস্ক্রিয়া একটি এক-মাত্রিক ফর্ম তৈরি করতে চায়, অত্যন্ত শৃঙ্খলাবদ্ধ এবং নিয়ন্ত্রিত।

অনেকের জন্য যারা এই বইটি পড়েছেন, এটি গভীরভাবে হতাশাজনক হবে, কারণ তারা ভেবেছেন: “কোথাও একটি আদর্শ জগত থাকতে হবে, এবং আদর্শ জগতের লোকেরা আমাদের শেখাতে আসবে কিভাবে নিজেকে আদর্শবান হতে হয়।”
এটি একটি অত্যন্ত গভীর আশা এবং প্রত্যাশা, তবে এটি অবশ্যই শুরুতেই সংশোধন করা উচিত, নতুবা পৃথিবীতে যা ঘটছে তাতে আপনি অন্ধ হয়ে যাবেন এবং আপনি নিজের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি অন্যদের অভিজ্ঞতাগুলিকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করবেন।

এমন সমাজ আছে যারা উচ্চ স্তরের আধ্যাত্মিক সচেতনতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক ক্ষমতা অর্জন করেছে, কিন্তু তারা বিরল। তারা ব্যতিক্রম। প্রযুক্তিগত উন্নতির সাথে এটিকে বিভ্রান্ত করবেন না।

প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং আধ্যাত্মিক অগ্রগতি এবং কৃতিত্ব মোটেও এক নয়। এটি খুব সহজেই বিভ্রান্তিকর, কারণ যদি কারও কাছে এমন প্রযুক্তিগত ক্ষমতা থাকে যা আপনার কাছে জাদুকরী বলে মনে হয়, তাহলে আপনি ভাববেন যে তারা জাদুকরী প্রাণী, বা তারা খুব উচ্চ বিকশিত, বা তারা খুব পরার্থপর, বা তাদের মহান সমবেদনা এবং ভালবাসা। কিন্তু ব্যাপারটা এমন নয়।

সর্বোপরি, আজ মানুষের কাছে দুর্দান্ত প্রযুক্তিগত সুবিধা রয়েছে যা মাত্র কয়েক শতাব্দী আগে কল্পনাও করা যেত না, এবং তবুও মানবতা কি আধ্যাত্মিক উপায়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বিকশিত হয়েছে? মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে সহিংসতা কি মুছে ফেলা হয়েছে? লোভ কি সংশোধন করা হয়েছে? মানব সমাজ জুড়ে কি সহযোগিতা ও সহানুভূতি প্রকাশ পেয়েছে? এগুলোর উত্তর সুস্পষ্ট। এবং এখনও প্রযুক্তিগতভাবে, মানবতা এমনকি তার নিজের প্রত্যাশাকেও ছাড়িয়ে গেছে।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ে দুর্দান্ত প্রযুক্তিগত সমাজ রয়েছে এবং তাদের মধ্যে অনেকগুলি রয়েছে, কারণ প্রযুক্তি শেখা যায় এবং ব্যবসা এবং বিনিময় করা যায় এবং বাণিজ্যের রাজ্যে আনা যায়।

কিন্তু জ্ঞানের পথে বিকাশ, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে যার অর্থ আধ্যাত্মিক বিকাশ, তা বিরল, ঠিক যেমনটি আপনার বিশ্বের মধ্যে বিরল। উদাহরণস্বরূপ, প্রতিটি মানুষ একটি কম্পিউটারের মালিক হতে পারে, সম্ভবত, কিন্তু কতজন লোক মানুষের আত্মার অভ্যন্তরীণ কাজ বুঝতে পারে বা মানুষের সম্পর্ক বা মানসিক পরিবেশের দুর্দান্ত গতিশীলতা উপলব্ধি করার সুযোগ আছে যা তাদের চিন্তাকে প্রভাবিত করে? অতএব, একটি অপরিহার্য সত্য বুঝতে হবে যে প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং সক্ষমতা আধ্যাত্মিক অগ্রগতি এবং সক্ষমতার মতো এক নয়।

আপনি বাস্তব, দৈহিক, নশ্বর প্রাণীদের সঙ্গে আচরণ করছেন যে পাশাপাশি বুঝতে. তারা মৃত্যুকে আয়ত্ত করেনি। এবং যেহেতু ভৌতিক মহাবিশ্বে প্রযুক্তি কী করতে পারে তার সীমাবদ্ধতা রয়েছে, তারা সর্বশক্তিমান নয়। তারা যা অর্জন করতে সক্ষম তার কারণে তারা আপনার কাছে কিছু ক্ষেত্রে ঈশ্বরের মতো মনে হতে পারে, তবে তারা আপনার চেয়ে বেশি ঈশ্বরের মতো নয় এবং প্রকৃতপক্ষে একই ধরণের মনস্তাত্ত্বিক এবং সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি দ্বারা আচ্ছন্ন যা আপনার ক্ষমতাকে সীমাবদ্ধ এবং সীমিত করে।

এর পরে, এটি উপলব্ধি করা অপরিহার্য যে বিশ্বে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি এবং এই সময়ে তাদের আগমন এবং পৃথিবীতে তাদের কাজ এবং কার্যকলাপের সাথে মানুষের আধ্যাত্মিক বিবর্তনের কোন সম্পর্ক নেই। অন্য কথায়, তারা এখানে মানবিক ফরমান বা মানুষের ভাগ্য সরাসরি পূরণ করতে আসেনি। সত্য যে মানুষের ভাগ্য নির্ধারণ করে যে মানবতাকে শেষ পর্যন্ত বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আবির্ভূত হতে হবে এর অর্থ এই নয় যে এখানে থাকা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিগুলি এটিকে সমর্থন করে।

আমরা যেমন বলেছি, তারা এখানে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে এসেছে। এটি মানুষের পক্ষে বোঝার জন্য একটি খুব কঠিন ধারণা কারণ তারা মনে করে যে আকাশ থেকে আসা কিছু অবশ্যই দেবদূত বা শয়তানী হতে হবে এবং প্রাচীন মানব ভবিষ্যদ্বাণীগুলি পূরণ করার সাথে অবশ্যই কিছু করার থাকতে হবে এবং মানবতার সম্পর্কে হতে হবে। কারণ বিশুদ্ধ মানব দৃষ্টিকোণ থেকে, মানবতা মহাবিশ্বের কেন্দ্র এবং সবকিছু তার চারপাশে আবর্তিত হয়। আর যদি এখানে বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে থাকে, তা অবশ্যই মানবতার ব্যাপারে হতে হবে; এটি অবশ্যই মানবতাকে সমর্থন করতে বা মানবতার জন্য কিছু করতে এসেছে।

এটি একটি মারাত্মক ত্রুটি। এই ভুল করবেন না। আজ বিশ্বে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি তাদের নিজস্ব কার্যকলাপ, প্রেরণা এবং প্রকল্পের ফলাফল এবং একটি প্রযুক্তিগত সমাজ হিসাবে মানবতার উত্থান যার নিজস্ব সীমানা ছাড়িয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রয়েছে।

এখন বাইরে থেকে মানুষের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করার প্রচেষ্টা এই বিবর্তনীয় পর্যায়ের সাথে সম্পর্কযুক্ত, তবে এটি মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রগতি সম্পর্কে নয়। মানুষের আধ্যাত্মিক অগ্রগতি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুতির ফল হবে। এবং এটি একটি বৃহত্তর এবং আরো সহানুভূতিশীল এবং কার্যকর মানব সমাজে পরিণত হবে।

আপনার দর্শকরা আপনাকে এটি দেবে না। প্রকৃতপক্ষে, আপনার দর্শকদের অধিকাংশই আপনার মতো আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত নয়। তাদের বৃহত্তর প্রযুক্তি এবং সামাজিক সংহতি রয়েছে, কিন্তু তাদের কাছে সেই সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য নেই যা পৃথিবীতে মানবতার বেশিরভাগ অংশে রয়েছে। তারা এখানে এসেছে আরো অশ্লীল কারণে।

প্রায়শই লোকেরা বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে তাদের সচেতনতাকে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে, তা যতই ছোট হোক না কেন, তাদের বিশ্ব দৃষ্টিতে বা জীবনের আধ্যাত্মিক বোঝার মধ্যে। এখানে স্তরে স্তরে বিভ্রান্তি রয়েছে, আধ্যাত্মিক এবং ভৌতিক জীবনের মধ্যে প্রচুর বিভ্রান্তি রয়েছে। মানুষ সবকিছুকে এক এবং একই করার চেষ্টা করে। জীবন একটি, কিন্তু এটি অস্তিত্বের বিভিন্ন স্তরে ভিন্নভাবে কাজ করে, এবং আপনি স্তরগুলিকে বিভ্রান্ত করতে পারেন না যদি আপনি তাদের মধ্যে কী আছে তা বোঝার আশা রাখেন।

এর পরে, আপনি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বুদ্ধিমত্তা, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেরণা, বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা সম্পূর্ণরূপে মানব দৃষ্টিকোণ থেকে বুঝতে সক্ষম হবেন না। আপনাকে একটি বৃহত্তর সুবিধাজনক অবস্থান অর্জন করতে হবে।

সৃষ্টিকর্তা আপনাকে যা দিয়েছেন তার কারণেই এটা সম্ভব হয়েছে। আপনি যদি আপনার নিজের মানবিক ধারণা থেকে এটিকে বিশুদ্ধভাবে দেখেন তবে আপনি বুঝতে পারবেন না। সেজন্য একটি প্রস্তুতির প্রয়োজন – আপনাকে একটি উচ্চ সমতলে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি সিঁড়ি, জীবনের পাহাড়ের একটি উচ্চ সুবিধাজনক অবস্থানে যাতে আপনি জমির স্তর দেখতে পারেন, যাতে আপনি গাছের ছাদের ওপারে দেখতে পারেন, যাতে দেখতে পারেন আপনি আসলে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং আসলে কি ঘটছে।

আমি আশা করতে পারি না যে আপনি এই বইটিতে আমরা যা এখানে উপস্থাপন করছি তা আপনি কেবল বুঝতে পারবেন, তবে শুরু করার জন্য আপনার অবশ্যই একটি নির্দিষ্ট বোঝাপড়া থাকতে হবে – সেই যাত্রা শুরু করার জন্য, সেই উচ্চতর সুবিধাজনক অবস্থান খুঁজে পাওয়ার জন্য।

একইভাবে, আপনি এর উত্তর দেওয়ার জন্য মানব ধর্মের দিকে ফিরে যেতে পারবেন না, কারণ এই ধর্মগুলি বিচ্ছিন্ন অবস্থায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য দায়ী হতে পারে না।

মানব ইতিহাসের মহান আধ্যাত্মিক শিক্ষকরা, যদিও বিশ্বের মধ্যে প্রধান, যদিও তাদের কর্মক্ষমতা এবং প্রদর্শনে অসামান্য, একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে, খুব ছোট পরিসংখ্যান। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক বাস্তবতাও প্রতিনিধিত্ব করে। এবং আপনি একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং উপলব্ধি অর্জন করার সাথে সাথে ঈশ্বর কে এবং কীভাবে দ্শ্যমান জীবনে ঐশ্বরিক কাজগুলি সম্পর্কে আপনার সম্পূর্ণ ধারণা গভীর পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাবে।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অর্থ বা কেন এটি এখানে রয়েছে তা বোঝার চেষ্টা করার জন্য প্রাচীন গ্রন্থগুলির দিকে ফিরে যাবেন না, কারণ তারা আপনাকে বলতে পারে না। তখন সে শিক্ষা ছিল না। সে সময় এই বাণীর প্রয়োজন ছিল না।

প্রাচীন ঐতিহ্য, যদিও গুণে সমৃদ্ধ, তবে প্রাথমিকভাবে সভ্যতার ভিত্তি হিসাবে সহানুভূতি ও সহযোগিতা প্রতিষ্ঠার সাথে সম্পর্কিত ছিল। তারা মানবতাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ে উত্থানের জন্য প্রস্তুত করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল না। পরিবর্তে, তারা মানবতাকে এমনকি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত করতে সক্ষম করার দিকে মনোনিবেশ করেছিল। অন্য কথায়, তারা এখন আপনি যেখানে আছেন তার ভিত্তি স্থাপন করেছে। তবে এটি একটি নতুন শুরু। এটি একটি নতুন সূত্রপাত।

এর পরে, বুঝতে হবে যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ে সমস্ত জাতি বেঁচে থাকার সমস্যাগুলির সাথে মোকাবিলা করছে, যেমন মানবতা। মহাবিশ্বের উচ্চ প্রযুক্তিগত সমাজগুলি প্রায়ই তাদের নিজস্ব প্রাকৃতিক পরিবেশকে ধ্বংস করে, যেমন মানবতা এখন করছে। এর জন্য প্রয়োজন যে তারা সম্পদ অর্জনের জন্য অন্য জগতে ভ্রমণ করে এবং ব্যবসা ও বাণিজ্যের জন্য কিছু প্রেক্ষাপটে জড়িত হওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করে। এটি তাদের সংস্কৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। অনেক ক্ষেত্রে, তারা শক্তিশালী জাতি দ্বারা পরাজিত হয়। অন্যান্য ক্ষেত্রে, তারা টিকে থাকতে এবং তাদের নিজস্ব পরিচয় বজায় রাখতে সক্ষম হয়। তারা জীবনের শারীরিক প্রয়োজনীয়তা আয়ত্ত করতে পারেনি, যেমন এখানে পৃথিবীতে আশা করা হয়। তাদের নিজেদের শারীরিক চাহিদা মোকাবেলা করতে হবে। তাদের অবশ্যই অন্যান্য জাতি সম্পর্কিত নিরাপত্তা সমস্যা মোকাবেলা করতে হবে। এবং তাদের অবশ্যই মানসিক পরিবেশে কার্যকরী হতে হবে, যেটা এমন একটা বিষয় যা আমরা পরে বলবো।

প্রকৃতপক্ষে, দৈহিক চাহিদাগুলি আরও বেশি হয়েছে কারণ তাদের আরও সংস্থান দরকার। বৃহত্তর সম্প্রদায়ে তাদের আরও বেশি নিরোধক প্রয়োজন। প্রাথমিক উপকরণ সরবরাহ করার জন্য তাদের প্রায়শই অন্যান্য জাতিদের উপর নির্ভর করতে হয়। এটি অনেক উপায়ে একটি অধিক চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন অস্তিত্ব।

প্রযুক্তি অনেক ছোট সমস্যা সমাধান করতে পারে সত্য হওয়া সত্ত্বেও, এটি আরও অনেক বড় সমস্যা তৈরি করে। এই কারণেই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, জ্ঞানীরা অধিকাংশ ক্ষেত্রে লুকিয়ে থাকে এবং প্রচুর ভ্রমণ ও বাণিজ্যে জড়িত হয় না। এর কিছু মৌলিক কারণ রয়েছে, যা আমরা পরে বলব।

কিন্তু আপাতত, আপনার জন্য এটা বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি যে জাতিগুলির মুখোমুখি হবেন, আসলে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বেশিরভাগ জাতি সম্পূর্ণরূপে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় এবং অন্যদের সংস্কৃতির সাথে সম্পর্কের ক্ষেএে এবং তাদের নিজস্ব পরিবেশগত সমস্যার সাথে তাদের প্রচণ্ড সমস্যার মোকাবেলা করতে হয়।

এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বোঝার কারণ এখানে আপনি বুঝতে শুরু করেন কেন তারা এখানে পৃথিবীতে থাকতে পারে। তারা মহাবিশ্বের চারপাশে ভ্রমণ করছে না ভালো কাজ করে। তারা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিস খুঁজছে। তারা তাদের ক্ষমতা, তাদের নিরাপত্তা, তাদের সম্পদ ইত্যাদি প্রসারিত করতে চাইছে।

এবং যেহেতু এই পৃথিবীটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অনেক স্থানীয় সংস্কৃতির জন্য একটি খুব দীর্ঘ সময় ধরে একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ হয়ে উঠেছে, তাই এর রয়েছে দারুণ আকর্ষনীয়তা এবং গুরুত্ব। এবং যেহেতু এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের একটি অত্যন্ত জনবহুল এলাকায়, তুলনামূলকভাবে বলতে গেলে, এটির একটি কৌশলগত গুরুত্বও রয়েছে, যার সম্পর্কে মানবতার কোনো সচেতনতা নেই।

জঙ্গলে ছোট্ট উপজাতির উপমা বিবেচনা করুন। বাইরের সংস্কৃতির জন্য তাদের অবস্থান বা সম্পদ কতটা গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে তাদের কি কোনো ধারণা আছে? এবং এখনও এই সংস্কৃতিগুলি আবিষ্কৃত, দূষিত এবং চিরতরে পরিবর্তিত হওয়ার জন্য এটি প্রেরণাদায়ক কারণ। আমাদের এখন এমন একটা অবস্থা হয়েছে।

অতএব, যা আপনার দর্শকদের অনুপ্রাণিত করেছে তা হ’ল মানুষের সুখের যত্ন এবং উদ্বেগের জন্য নয়, বরং সম্পদের প্রয়োজনের জন্য, সুরক্ষার প্রয়োজনের জন্য এবং ক্ষমতার প্রয়োজনের জন্য। এর একমাত্র ব্যতিক্রম হল আপনার মিত্ররা, যারা মৌলিকভাবে আপনার সততা এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে টিকে থাকতে আপনার ক্ষমতা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু তারা ঐ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে না যারা আজ বিশ্বে অবস্থান করছে, কারণ তারা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সংখ্যাগরিষ্ঠ বাহিনীর প্রতিনিধিত্ব করে না।

এটি আপনার বৃহত্তর সম্প্রদায় শিক্ষার একটি অপরিহার্য অংশ, এবং এটি প্রথমে বিবেচনা করা খুব কঠিন হতে পারে। [[[কারণ জীবনের অন্যান্য রূপের বাস্তবতা এবং মানবতার জন্য তাদের প্রত্যাশিত সুবিধা বিবেচনা করে এত বেশি আশা এবং প্রত্যাশা, এত বিশ্বাস এবং কল্পনা রয়েছে যে এটি বিবেচনা করা খুব কঠিন বিষয় হতে পারে।

কিন্তু এর সাথে আত্মনির্ভরশীলতার প্রয়োজনীয়তা, উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তা, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং মানসিক ও শারীরিকভাবে আরও শক্তিশালী ও যোগ্য হওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। এটাই মানবতার দরকার। এবং এটাই অবশ্যক।

এখানে বৃহত্তর আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে যা মানবতাকে প্রস্তুত করতে সাহায্য করার জন্য রয়েছে, কিন্তু তারা বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে আপনার প্রকৃত [শরীরী] দর্শনার্থীদের অন্তর্ভুক্ত করে না।

বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্প্রদায়ের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক- যার মধ্যে কিছু ব্যবসা ও বাণিজ্যের সাথে জড়িত এবং কিছু নয়। কেউ কেউ ছায়াপথের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিচ্ছিন্নভাবে বাস করে; অন্যরা অধিক জনবসতিপূর্ণ এলাকায় বাস করে।

এটা প্রত্যাশিত নয় যে আপনি বুঝতে পারবেন যে এই নেটওয়ার্কটি কতটা বিশাল বা এটি কীভাবে কাজ করে, তবে এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি বুঝতে পারবেন যে কিছু বাস্তবতা বৃহত্তর সম্প্রদায়ে বিদ্যমান এবং মানবতার ভবিষ্যতের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে।

আমরা আবার বলি যে আমরা যখন এই ধারণাগুলি উপস্থাপন করি, তখন আমরা এমন কিছু প্রত্যাশা এবং বিশ্বাসের সাথে মোকাবিলা করছি যা মানব সংস্কৃতির মধ্যে বিদ্যমান নেই, যা এই জিনিসগুলিকে স্পষ্টভাবে বোঝা বা দেখতে খুব কঠিন করে তোলে।

কিছু মানুষ মনে করে যে সেখানে ভয়ানক শক্তি রয়েছে, যুদ্ধবাজ এবং ধ্বংসাত্মক। অন্যরা বিশ্বাস করে যে তারা সকলেই দেবদূত ভাই যারা মানবতাকে একটি নতুন মাত্রায় সাহায্য করতে এখানে এসেছেন। আর এই চরম দৃষ্টিকোণগুলির মাঝেই আছে বিভিন্ন ধরনের ব্যাখ্যা।

তবে আপনাকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে দেখতে এবং পরিষ্কারভাবে বুঝতে শিখতে হবে। একটি প্রেমময় উপলব্ধি এবং একটি ভয়ের মধ্যে এটি একটি পছন্দ নয়। আবার, আমরা বলি এটি আপনি দেখতে পাচ্ছেন কি পাচ্ছেন না সেটা নিয়ে।

মানব ইতিহাসের সমস্ত মহান ঘটনা যা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে এবং যেগুলি বিদ্যমান রয়েছে, কিছু লোক কী ঘটছে তা দেখতে পারে এবং অনেক লোক তা দেখতে পারেনি। কিছু লোক একটি মহান সংঘাতের উত্থান দেখতে পারে; অনেকেই পারে না। কেউ কেউ একটি বড় সংঘর্ষের ফলাফল দেখতে পারে; অনেকেই পারে না। কেউ কেউ সেই অনুযায়ী এবং দায়িত্বের সাথে কাজ করতে পারে এবং একটি ইতিবাচক এবং অবদানকারী ভূমিকা নিতে পেরেছে; অনেকেই পারেনি।

এখন এমনই হবে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা বিশ্বে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠলে, মানুষ তাদের অবস্থানে এবং তাদের মনোভাবের ক্ষেত্রে আরও মেরুকৃত হয়ে উঠবে। বৃহত্তর বিরোধিতা, বৃহত্তর অস্বীকার, বৃহত্তর ফ্যান্টাসি থাকবে কারণ এই বৃহত্তর বাস্তবতার সাথে মোকাবিলা করার জন্য অনেক লোক প্রস্তুত থাকবে না। তারা তাদের পুরানো ধারনা ও অভ্যাসের দিকে ফিরে যাবে এবং কেউ কেউ এর অস্তিত্বকে পুরোপুরি অস্বীকার করবে। কিন্তু মানুষের ব্যাপারে সবসময় এমন হয়ে আসছে।

যাইহোক, এটি অপরিহার্য যে একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক লোক বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে শিক্ষিত হয়ে ওঠে এবং কীভাবে বিজ্ঞতা এবং বিচক্ষণতার সাথে এটির কাছে যেতে হয় তা শিখে। এটি ফলাফলে সমস্ত পার্থক্য তৈরি করবে।

অনুধাবন করার পরবর্তী অপরিহার্য বিষয় হল যে মানবতা বর্তমানে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত নয়। এটি মনস্তাত্ত্বিকভাবে প্রস্তুত নয়। এটা রাজনৈতিকভাবে প্রস্তুত নয়। এটি তার ধর্মীয় ঐতিহ্যের পরিপ্রেক্ষিতে প্রস্তুত নয়, যা এই প্রেক্ষাপটে মানুষকে পিছিয়ে রাখার প্রবণতা রয়েছে।

এই প্রস্তুতির প্রয়োজনীয়তা এত বড় এবং এত গভীর, এবং অনেক মানুষ প্রস্তুত করার জন্য, ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য, শক্তিশালী এবং আরও দক্ষ হয়ে উঠতে, জ্ঞানী এবং আরও বিচক্ষণ হওয়ার জন্য কিছু করার প্রয়োজন অনুভব করে। কিন্তু এখন পর্যন্ত বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য কোন প্রস্তুতি নেই।

আমরা যেমন বলেছি, আপনি মানবধর্ম ব্যবহার করতে পারবেন না, আপনি একটি বৃহত্তর প্যানোরামায় জীবন সম্পর্কে শিখতে মানব মনোবিজ্ঞান ব্যবহার করতে পারবেন না। বৃহত্তর সম্প্রদায় সম্পর্কে আপনার বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে একটি শিক্ষার প্রয়োজন। আপনার এমন একটি শিক্ষার প্রয়োজন যার উৎস স্রষ্টার কাছ থেকে তার বিশুদ্ধতা, এর ক্ষমতা এবং জীবনের প্রয়োজনীয়তার গ্যারান্টি দেওয়ার জন্য।

প্রস্তুতি এখন এখানে। কিন্তু প্রশ্ন হল, “মানুষ কি প্রস্তুতি নেবে? আপনি কি প্রস্তুতি নিবেন?” অথবা আপনি দূরে পড়ে যাবেন লুকানোর জায়গা খুঁজতে যেতে, বিশ্বের এমন একটি সুখী জায়গায় বাস করতে যেখানে সবকিছুই আনন্দদায়ক এবং তৃপ্ত বলে মনে হয়, নিজেকে সুন্দর বস্তু, সুন্দর দর্শনীয় স্থান এবং শব্দ দিয়ে ঘিরে রাখতে এবং বিশ্ব সম্পর্কে সুন্দর চিন্তা করা যে পৃথিবীতে প্রবেশ করছে একটি ভয়ানক পরিস্থিতি?

এমনকি যদি বৃহত্তর সম্প্রদায় এখানে নাও থাকত, তবুও এই অবস্থাই হত। কারণ পৃথিবী অবনতির দিকে, এবং মানবতা এর দায় নেয়নি। কিন্তু যেহেতু বৃহত্তর সম্প্রদায় এখানে রয়েছে, এটি সমগ্র পরিস্থিতির পরিবর্তন করে এবং একটি অনুপ্রেরণা প্রদান করে যে সব জায়গার মানুষকে তাদের ব্যস্ততার ঊর্ধ্বে উঠতে, অস্বীকার এবং কল্পনার প্রবণতার ঊর্ধ্বে উঠতে, একটি বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি করতে হবে। এবং যেহেতু প্রস্তুতিটি এখানে ‘বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জ্ঞানের পথ’ – এর আকারে রয়েছে, তাই অবশেষে মানুষের কাছে প্রস্তুতি নেওয়ার এবং সরাসরি প্রস্তুতি নেওয়ার উপায় রয়েছে।

মানবতা প্রস্তুত নয়। আপনি যদি এই সম্পর্কে চিন্তা করেন, আপনি যদি খোঁজ করেন এবং দেখতে পান যে লোকেরা কোথায় নিজেদের বিনিয়োগ করছে; কি মানুষকে সর্বত্র ব্যস্ত করে রাখে; যেখানে তারা তাদের সময়, তাদের শক্তি এবং তাদের সম্পদ উৎসর্গ করে; তারা কী গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করে এবং কী তাদের মনোযোগকে প্রাধান্য দেয়, আপনি দেখতে পাবেন যে খুব কম লোকই এখনও সেই মহান ঘটনাগুলির সাক্ষ্য দিতে পারে যা এখন ঘটছে এবং যা আসবে।

আরেকটি অপরিহার্য সত্য যা হওয়া আবশ্যক যে বৃহত্তর সম্প্রদায় মানবতাকে প্রযুক্তি দেবে না যদি না তারা চায় মানবতা নির্ভরশীল হয়ে উঠুক। তারা চায় মানবতা নির্ভরশীল হয়ে উঠুক। এটি একটি অপরিহার্য ধারণা। আবার, অনেকে যারা এই বিষয়ে চিন্তা করেছেন তারা মনে করেন যে দর্শনার্থীরা মানবতার জীবন রক্ষাকারী প্রযুক্তি নিয়ে আসবে, যা মানবতার অনেক সমস্যার সমাধান করবে কারণ প্রযুক্তিকে এখন সংরক্ষণের অনুগ্রহ হিসাবে দেখা হচ্ছে। পূর্ববর্তী সময়ে, দূরদর্শিতাকে সংরক্ষণের অনুগ্রহ হিসাবে বিবেচনা করা হত। এখন এটা প্রযুক্তি।

যাইহোক, প্রযুক্তি এটি সমাধান করার চেয়ে আরও বেশি সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু আপনার জন্য শুরুতেই বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে কোনো প্রযুক্তি যদি মানব সরকারকে দেওয়া হয়, উদাহরণস্বরূপ, এটি মানবতার কল্যাণের জন্য ততটা হবে না যতটা এটি একটি প্রয়োগ বা মানব বিষয়ের উপর নিয়ন্ত্রণ লাভের উপায় হবে। সর্বোপরি, যদি মানবতাকে প্রযুক্তির একটি দুর্দান্ত অংশ দেওয়া হয় এবং মানবতার প্রয়োজন হয় এবং এটির উপর নির্ভরশীল হয়, কিন্তু এর উত্স বাইরের বিশ্ব থেকে হয়, তাহলে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি সত্যিই খুব অল্পের বিনিময়ে অনেক কিছু দিয়েছেন।

বৃহত্তর সম্প্রদায়কে যে প্রকৃত উপহার দিতে হবে তা হল এর উপস্থিতির বাস্তবতা এবং এর অভিপ্রায়ের বাস্তবতা। এটি জাগ্রত এবং প্রস্তুত করার একটি আহ্বান। এটি একটি লক্ষণ নয় যে মানবতাকে আরও বিনামূল্যের জিনিস দেওয়া হবে। মানবতাকে অবশ্যই তার ঘুম থেকে জাগ্রত হতে হবে এবং পরিণত হতে হবে, জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায় বাহিনী এসে বিশ্বের সমস্যার সমাধান করবে না, অন্তত মানবতার জন্য নয়। তারা প্রাকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণের উপর জোর দেবে, তবে এটি তাদের ব্যবহারের জন্য এবং প্রাথমিকভাবে আপনার জন্য নয়। মানুষ, উদ্ভিদ ও প্রাণীর রূপের প্রতিলিপি তৈরি করতে, ভবিষ্যতে ব্যবহারের জন্য সংরক্ষণ করার জন্য এখন প্রচেষ্টা করা হচ্ছে এবং কয়েক দশক ধরে চলছে।

অতএব, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তির কাছে উন্মুক্ত হাত দিয়ে, ভিক্ষা ও অনুনয়-বিনয় করে, তাদের ক্ষমতার জন্য লোভী, তাদের প্রযুক্তির জন্য লোভী হয়ে আসবেন না, কারণ এটি আপনাকে ফাঁদে ফেলবে এবং এটি আপনাকে অন্ধ করে দেবে। এখানে আপনি আপনার স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি হারাবেন।

এর পরে, এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রভাবগুলি প্রাথমিকভাবে বিশ্বের সরকারগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে। আমরা যখন মানসিক পরিবেশ সম্পর্কে আমাদের বক্তৃতা দেব তখন আমরা এই বিষয়ে গভীরভাবে কথা বলব। তবে আপনার জন্য এটি জানা গুরুত্বপূর্ণ যে প্রভাবটি সম্ভবত একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার উপর পরিচালিত হবে না কারণ সমগ্র বিশ্বে আপনার তেমন প্রভাব নেই, তবে এটি নির্দেশিত হবে বিশ্বনেতাদের উপর, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের উপর, যারা ক্ষমতার বাস্তব রূপের অধিকারী তাদের উপর। তারা প্রভাবের কেন্দ্রবিন্দু হবে। এর অর্থ এই নয় যে সমস্ত কর্তৃপক্ষ, সমস্ত সরকার সরাসরি প্রভাবের অধীনে, তবে এটিই ফোকাস। এখানেই প্রভাব ফোকাস করা হবে এবং এখন ফোকাস করা হচ্ছে।

এখন এর আরও কিছু প্রকাশ রয়েছে যা আমরা পরে বর্ণনা করব, তবে এটি বোঝা আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি উপলব্ধি করতে পারেন যে বিশ্বের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিগুলি আজ তাদের নিজস্ব প্রয়োজন দ্বারা চালিত হচ্ছে, যে প্রয়োজনের সাথে আপনিও সম্পর্কিত করতে পারেন এবং বুঝতে পারেন, তাহলে তারা এখানে কেন রয়েছে তা আপনাকে আরও পরিষ্কার ধারণা দেবে। তাহলে আপনি তাদের শুধু ভালো বা মন্দ দেখতে পাবেন না। আপনি বুঝতে সক্ষম হবেন কি তাদের চালিত করে আর কিসে তাদের উদ্বেগ। এখানে আমরা মহাবিশ্বের একটি রোমান্টিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে বের হয়ে একটি বাস্তব সম্পর্কে এসেছি।

এর পরে, আপনার জন্য এটি বোঝা গুরুত্বপূর্ণ যে সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের একটি আধ্যাত্মিক প্রকৃতি রয়েছে, কিন্তু এই আধ্যাত্মিক প্রকৃতি তাদের মধ্যে সুপ্ত এবং অনুন্নত হতে পারে যেমনটা মানুষের মধ্যে হতে পারে। অনেক উচ্চ প্রযুক্তিগত সমাজে, যে সমাজ প্রায়শই ভ্রমণ এবং বাণিজ্যের সাথে জড়িত, এই আধ্যাত্মিক বাস্তবতা খুব দমিত এবং খুব নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।

সর্বোপরি, একটি উচ্চ প্রযুক্তিগত সমাজ যাকে তাদের ক্রিয়াকলাপগুলিকে সুবিশাল দূরত্ব জুড়ে সমন্বয় করতে হবে তা অত্যন্ত ব্যক্তিবাদী প্রাণীদের দ্বারা পরিচালিত হতে পারে না যাদের তাদের গাইড করার জন্য তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত প্রেরণা রয়েছে। বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে এর প্রকাশ যথেষ্ট পরিবর্তিত হয়।

এখানে আবার এটা উপলব্ধি করা অপরিহার্য যে যারা আপনাকে শারীরিকভাবে দেখার জন্য এখানে ভ্রমণ করেছেন তারা উচ্চ বিকশিত আধ্যাত্মিক প্রাণীদের প্রতিনিধিত্ব করেন না – বুদ্ধিমান, সক্ষম, প্রযুক্তিগত, মানসিক পরিবেশে শক্তিশালী, মানসিক প্ররোচনা করতে সক্ষম, হ্যাঁ। কিন্তু আধ্যাত্মিকভাবে উন্নত, না।

এখানে আপনি বুঝতে শুরু করতে পারেন যে বৃহত্তর সম্প্রদায়টি একই রকম অনেক সমস্যা সহ বিশাল বৃহত্তর বিশ্বের মতো। একটি সুযোগ-সন্ধানী বাস্তবতা হওয়ার পরিবর্তে যে আপনি যা চান তা আপনাকে দেয় এবং বিশ্বের সমস্ত সমস্যার সমাধান করে; এটি একটি সম্পূর্ণ নতুন সমস্যা এবং একটি সম্পূর্ণ নতুন সুযোগ তৈরি করে। এর সুযোগগুলোই রক্ষাকারী। এটি তার মুক্তির বৈশিষ্ট্য। তবে আপনি যদি সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেন তবেই আপনি এগুলির সুবিধা নিতে পারেন।
এর পরে, এটি বোঝা অপরিহার্য যে বর্তমানে বিশ্বের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের কার্যকলাপের প্রাথমিক ফোকাস দুটি প্রাথমিক ক্ষেত্রে। আমরা ইতিমধ্যেই উল্লেখ করেছি যে বিশ্ব সরকারগুলির উপর ফোকাস থাকবে। দ্বিতীয়টি বিশ্ব ধর্মের উপর।

ধর্মের রাজ্যেই মানুষ সবচেয়ে দুর্বল, সবচেয়ে কম উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, সবচেয়ে সহজে প্ররোচিত। এখানেই মানুষ অবর্ণনীয় কারণে তাদের সর্বোত্তম স্বার্থের বিরুদ্ধে কাজ করবে। মনে করবেন না যে এই কারণগুলি এবং এই প্রেরণাগুলি সনাক্ত এবং ব্যবহার করা যাবে না।

বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে আজ পৃথিবীতে এমন কিছু শক্তি রয়েছে যা আপনার বিছানার পাদদেশে আবির্ভূত যিশুর চিত্র তৈরি করতে পারে। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এটা বাস্তব নাকি না? তারা মানসিক চিত্র তৈরি করতে পারে এবং এটি আপনার মনে অভিক্ষেপ তৈরি করতে পারে। আপনি কিভাবে বুঝবেন এটা বাস্তব কিনা? অনেকে সহজভাবে অনুসরণ করবে, ফল দেবে, হাঁটু গেড়ে পড়বে, আত্মসমর্পণ করবে, চিত্র তাদের যা করতে নির্দেশ দেবে তাতে নিজেদেরকে উৎসর্গ করবে।

কার বিচক্ষণতা আছে? এর মতো অভিক্ষেপ অনুমান থেকে বাস্তবতাকে চিনতে পারার ক্ষমতা কার আছে? যা বাস্তব তা চিনতে এবং যা নয় তা থেকে আলাদা করার ক্ষমতা কার আছে? বিশ্বের প্রত্যেকেরই এই সম্ভাবনা রয়েছে। আপনার এই সম্ভাবনা আছে। কিন্তু এটা কি যথেষ্ট বিকশিত হয়েছে? আপনি কি এমন একজন ব্যক্তি হয়ে উঠবেন যে উপস্থাপনাটি যতই প্ররোচিত হোক না কেন সহজে বোকা বানানো যায় না?

মানবধর্ম মানবতার জন্য মহান পুণ্য এবং মহান প্রতি শ্রুতির উৎস। কিন্তু এটি বৃহত্তর কুসংস্কার, বৃহত্তর অবিশ্বাস ও ভুল বোঝাবুঝির আখড়াও বটে।

সরকার যেমন তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করে, বৃহত্তর সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ধর্ম ব্যবহার করতে পারে। এটি ধর্মের খুব বড় সম্প্রদায়ের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করা হবে যা অনেক, অনেক লোকের উপর অসাধারণ প্রভাব ফেলে। এখানে অনেককে প্রভাবিত করার জন্য আপনার শুধুমাত্র কয়েকজনের প্রভাব প্রয়োজন। এটা করা কঠিন মনে করবেন না। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি কঠিন নয়।

এই কারণেই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, যে সমস্ত সংস্কৃতি এবং জাতি যে কোনও আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ বা চাষ করতে সক্ষম হয়েছে তাদের অন্যদের অনুপ্রবেশের বিরুদ্ধে সাবধানে রক্ষা করতে হয়েছে। এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের একটি বাস্তবতা। এটি একটি বাস্তবতা যা আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে।

এই বক্তৃতায় আমরা যা উপস্থাপন করছি তা হল আপনাকে একটি ভিত্তি দিতে, আপনাকে সত্য ও বোঝার ভিত্তি দিতে। এটা আপনাকে ভয় দেখানোর জন্য নয়। এটি আপনাকে একটি মজবুত ভিত্তি দেওয়া, যা আসলে পৃথিবীতে পাওয়া খুব কঠিন।

বেশিরভাগ মানুষই বাস্তবতা এবং কল্পনার মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। তারা তাদের নিজস্ব চিন্তার প্রকৃতি বুঝতে পারে না। এবং তারা জানে না মানসিক পরিবেশে তাদের কী প্রভাব ফেলছে।

অতএব, আমরা বুঝতে পারি যে এটি চ্যালেঞ্জিং, তবে এটি অবশ্যই সহজভাবে এবং স্পষ্টভাবে দেওয়া উচিত যেমনটা সত্যিই তেমন, নতুবা আপনি এমন প্ররোচনার কাছে নতিস্বীকার করবেন যা আপনি সম্ভবত বুঝতে পারবেন না, এবং আপনি আপনার মধ্যে, আপনার চিন্তা এবং আবেগের মধ্যে, কি ঘটছে তা পার্থক্য করতে সক্ষম হবেন না, বা আপনার চারপাশের বিশ্বের কি ঘটছে।

আপনি খুব পরিষ্কার চোখে খুব বড় উপায়ে চিন্তা করতে হবে। তথ্যটিকে আরও অনুকূল বা আনন্দদায়ক করতে আপনাকে রঙ না করে স্পষ্টভাবে শুনতে হবে। এটা স্পষ্ট যে এটি প্রয়োজন, কিন্তু এটি এত লোকের জন্য খুবই কঠিন। এবং প্রত্যেকেরই এটি নিয়ে কিছুটা অসুবিধা রয়েছে।

পৃথিবীটা একটি খুব বাস্তব পরিস্থিতিতে উদীয়মান হচ্ছে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ে যা চলছে তা এই পৃথিবীতে একটি জাতি হিসাবে মানবতার অস্তিত্বের আগে থেকেই চলছে।

এবং স্রষ্টা সমগ্র বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে যে আধ্যাত্মিক কাজটি পরিচালনা করছেন তা আগে থেকেই চলছে, অনেক আগে থেকেই, মানব ধর্মীয় ঐতিহ্য যখন শুরু হয়েছিল।

যেহেতু বৃহত্তর সম্প্রদায় পরিস্থিতির এমন একটি কঠিন সেটের প্রতিনিধিত্ব করে, সৃষ্টিকর্তা শক্তি এবং ক্ষমতার একটি শক্তিশালী সেটকে গতিশীল করেছেন এবং প্রকাশ্য ভৌতিক বাস্তবতার মধ্যে এবং এর বাইরেও পরিষেবার একটি দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন।

আপনি যদি এই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতাগুলির সাথে, এই অপরিহার্য সত্যগুলির সাথে মোকাবিলা করতে আসতে পারেন, তাহলে আপনি নিজেকে এমন একটি অবস্থানে রাখতে পারেন যে পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তার কাজের প্রকৃতি এবং আপনি কেন এমন আছেন সে সম্পর্কে শিখতে শুরু করবেন।

মানবজাতির জন্য দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট

ঈশ্বরের ম্যাসেন্জার মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৩১শে ডিসেম্বর, ২০১৯ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

এই দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে, আপনি বিশ্বের মহান পরিবর্তনের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন, যা আপনি এখনও বুঝতে পারছেন না, মানুষের ইতিহাসে যেকোনো সময়ে ঘটেছে তার চেয়ে বড় পরিবর্তন।

কারণ আপনি বুদ্ধিমান জীবনের পূর্ণ একটি মহাবিশ্বের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন। এই মহাবিশ্ব থেকে একটি হস্তক্ষেপ শুরু হয়েছে। এবং আপনি একটি নতুন বিশ্ব বাস্তবতার মুখোমুখি হচ্ছেন, কারণ মানবতা বিশ্বকে অনেক উপায়ে পরিবর্তন করেছে, এবং এখন এটি নিজেই পরিবর্তিত হচ্ছে, এমনভাবে যা আপনি এখনও নিয়ন্ত্রণ বা ভবিষ্যদ্বাণী করতে পারবেন না।

এই দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে, স্বর্গ পৃথিবীতে একটি নতুন বাণী পাঠিয়েছে, একটি বাণী যা মুহাম্মদের সময় থেকে বিশ্বকে দেওয়া হয়েছে তার যেকোন কিছুর অসদৃশ। কারন এই ধরনের বাণী শুধুমাত্র দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে দেওয়া হয়, একটি দুর্দান্ত প্রয়োজনের প্রতিক্রিয়া এবং মানবতাকে উন্নত করার একটি মহান সুযোগ, তার উন্নয়নের পরবর্তী মহান পর্যায়ের জন্য এটি প্রস্তুত করার জন্য প্রতিনিধিত্ব করে।

যারা সংবেদনশীল, যারা দেখছেন, যারা শুনছেন তারা এই শক্তির নির্মাণ, জীবনের এই গতিবিধি, এই মহান পরিবর্তন অনুভব করতে পারেন। এবং সম্ভবত তারা আলোড়িতও হয়েছেন, কারণ ঈশ্বর মানুষকে এই সময়ের জন্য প্রস্তুত করার জন্য উদ্দীপিত করেছেন, দৈববাণীর মহান সময়ের জন্য।

কেন ঈশ্বর বিশ্বের সাথে আবার কথা বলবেন যদি না একটি বড় প্রয়োজন ছিল – এত বড় যে পূর্ববর্তী প্রকাশগুলি সত্যিই এটি সম্পূর্ণ বা পর্যাপ্তভাবে সম্বোধন করতে পারে না, এত মহান যে ঈশ্বরকে আবার কথা বলতে হবে, সব অস্বীকার এবং বিশ্বাসের পরেও যে এটি ঘটতে পারে? কিন্তু ঈশ্বর কবে কথা বলবেন তা একমাত্র ঈশ্বরই জানেন এবং এটি ঘোষণা করার ক্ষমতা কারও নেই যে এটি হতে পারে না।

এই পরবর্তী দশকটি হবে মানবতার জন্য একটি বড় দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট, যেহেতু এই দুর্দান্ত পরিবেশগত পরিবর্তন বিশ্বের চেহারা বদলে দিতে শুরু করেছে, যেহেতু মানবতা পৃথিবীর বাইরে থেকে একটি ক্রমবর্ধমান উপস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে যারা এই পৃথিবীকে তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চায়। তারা এখানে আপনাকে ধ্বংস করার জন্য নয়, আপনাকে ব্যবহার করার জন্য, আপনাকে বিশ্বের সম্পদের অংশ হিসাবে দেখছে।

এই দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টটি অনুভব করে, কিছু লোক মনে করবে এটিই শেষ – এটি মানবতার শেষ, এটি সময়ের শেষ, অথবা এটি মানব সভ্যতার শেষ। এবং কিছু লোক মনে করে যে এটি একটি গৌরবময় সূচনা, জ্ঞান এবং ঐক্যের, আধ্যাত্মিকতার মানবতার জন্য একটি মহান নতুন যুগ।

কিন্তু ঈশ্বর প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে যে সাহস এবং জ্ঞানের শক্তি রেখেছেন তা দিয়ে কে বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারে? অথচ এই জ্ঞান পৃথিবীতে অজানা, অল্প কয়েকজন ছাড়া।

তাই তারা [মানুষ] সাড়া দিতে ব্যর্থ হয়। তারা প্রস্তুতি নিতে ব্যর্থ হয়। তারা বিশ্বের ক্রমবর্ধমান লক্ষণ চিনতে ব্যর্থ হয়। তারা হয় তাদের দেশগুলিতে দারিদ্র্য বা ধর্মীয় বা রাজনৈতিক নিপীড়নের শিকার হয়, অথবা তারা তাদের নিজস্ব ব্যক্তিগত ব্যস্ততা এবং আকাঙ্ক্ষা এবং অসুবিধায় নিপতিত থাকে, গাফেল, অজ্ঞাত যে তাদের জীবন তাদের হিসাবের বাইরে পরিবর্তন হতে চলেছে।

এমন কিছু আছে যারা এই দুর্দান্ত পরিবর্তনটি অনুভব করে, কিন্তু এর মুখোমুখি হতে খুব ভয় পায়। তাই তারা মুখ ফিরিয়ে নেয়, অথবা তারা এটিকে অর্থ দেওয়ার এবং বোঝার চেষ্টা করে, এটিকে তাদের আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের দুনিয়ার বোঝার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করার চেষ্টা করে, যখন প্রকৃতপক্ষে দুর্দান্ত পরিবর্তনটি এই বিষয়ে তাদের সামর্থ্যের বাইরে অনেক বড় পরিবর্তন।

অনেক মানুষ এই সময়ে শান্তি এবং সমতার জন্য প্রার্থনা করে। কেউ কেউ যাকে তারা আলোকিত বলে তার খোঁজও করে, কিন্তু যা আসছে তার জন্য এটি প্রস্তুতি নয়। যা আসছে তা একটি বড় চ্যালেঞ্জ, একটি অগ্নিপরীক্ষা, সামনে একটি কঠিন রাস্তা।

ঈশ্বর কেবল তখনই কথা বলবেন যদি এমনটি পুরো মানব পরিবারের জন্য হত। শত শতাব্দী ধরে মানুষের ধার্মিকতা ও নৈতিকতার উন্নতির জন্য যথেষ্ট যোগান দেওয়া হয়েছে, যদিও এই জিনিসগুলি আজ বিশ্বে মূলত অবহেলিত বা এড়ানো হয়েছে।

একটি মহা বিপদ, একটি মহা অসুবিধা, কিন্তু একটি মহান সুযোগ থাকতে হবে। কিসের জন্য একটি ভেঙে যাওয়া মানবতাকে একত্রিত করতে পারে – নিজের সাথে বিতর্কিত, প্রতিশোধ এবং ক্রোধ এবং অন্যদের জয় করার প্রয়োজন বা আকাঙ্ক্ষায় পূর্ণ? কিসে এটি কাটিয়ে উঠতে পারে – যা আজ বিশ্বে এত বিপর্যয়পূর্ণ মনে হচ্ছে, এবং দিন দিন এটি আরও খারাপ হয়ে উঠছে বলে মনে হচ্ছে – কিন্তু এখানে বসবাসকারী সকলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ, একটি চ্যালেঞ্জ যা সবাইকে প্রভাবিত করবে, একটি চ্যালেঞ্জ যার থেকে কোন পরিত্রাণ নেই? একটি দুর্দান্ত পরিস্থিতি মোকাবেলা জন্য শুধুমাত্র প্রস্তুতি এবং উত্থান রয়েছে।

এটা পিছিয়ে যাওয়ার এবং আপনার নিজের আধ্যাত্মিক বোঝাপড়ায় কাজ করার সময় নয়, অথবা পৃথিবী থেকে পালিয়ে কোথাও লুকিয়ে থাকার জন্য, অথবা সবকিছু শেষ হয়ে গেছে বা সবকিছু শুরু হচ্ছে এমন ভাবার সময় নয়। এটি একটি ধারাবাহিকতা, আপনি দেখতে পাচ্ছেন, মানবতার জন্য, বিশেষ করে গত কয়েক শতাব্দী ধরে, বিশ্বকে অনেক উপায়ে প্রভাবিত করেছে, বিশ্বকে অনেক উপায়ে অবনতি করেছে, বিশ্বকে অত্যধিক শোষণ করেছে।

এটাই বাইরে থেকে হস্তক্ষেপ এনেছে, কারণ এই পৃথিবী অন্যদের দ্বারা মূল্যবান যারা খুব দীর্ঘ সময় ধরে পর্যবেক্ষন করছে। তারা গোপনে নিজেদের এখানে রোপণ করতে চায়। তারা সামরিক নয়, তাই তাদের শক্তির কোন দুর্দান্ত প্রদর্শন নেই, তবে তারা খুব প্ররোচক। এবং এইরকম সময়ে যখন মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে, বা ভীত বা উদ্বিগ্ন হয়, অথবা ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ নিয়ে জীবনযাপন করে, তখন এই প্ররোচনা খুব শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে – মানুষের মনকে ঘুরিয়ে দেয়া, মানুষকে তাদের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান এবং নেতাদের বিরুদ্ধে পরিণত করা, মানুষকে হস্তক্ষেপের দিকে ঘুরিয়ে দেয়া।

কি ঘটছে এবং কি আসছে তার কোন ধারনা পেতে, আপনার এমন কিছু জিনিসের মুখোমুখি হওয়ার সাহস থাকতে হবে যা সম্ভবত আপনি যা ভেবেছিলেন তার চেয়ে অনেক বেশি। আপনি অবশ্যই সাড়া দিতে সক্ষম হবেন। আপনাকে অবশ্যই দায়িত্বশীল হতে হবে।

পৃথিবীর জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণী আপনার নিজের মধ্যে এবং অন্যদের সাথে আপনার সম্পর্কের ক্ষেত্রে আপনার যা কিছু জানতে হবে এবং যা কিছু করতে হবে তা সবই সরবরাহ করছে। এটি অবশ্যই ব্যক্তি পর্যায়ে ঘটতে হবে। পুরো জাতি এখনো প্রস্তুতি নিতে পারেনি। এটি ব্যক্তিদের সাথে শুরু হয়, পৃথকভাবে এবং একসাথে প্রস্তুত হওয়া।

কিন্তু কে জানবে কিভাবে এটা করতে হয়? মহাবিশ্বের জীবনের জন্য কীভাবে এটি প্রস্তুত করা যায় তা কেউ জানে না। কেউ জানে না সেখানে কি আছে। আপনার সিনেমা এবং আপনার কল্পকাহিনী আপনাকে এ সম্পর্কে কোন বাস্তব ধারণা দিতে পারে না।

কে আপনাকে নতুন বিশ্ব বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত করতে পারে? আপনার কয়েকটি সমাধান আছে, তবে আপনার আরও অনেক কিছুর প্রয়োজন হবে। ঝড় আসার অনেক আগেই আশ্রয় গড়ে তোলার সাহস কার আছে? জল বৃদ্ধি এবং জমি শুকিয়ে যাওয়ার আগে আজ যা করতে হবে তা করার দূরদর্শিতা কার আছে? আপনার মধ্যে এই ক্ষমতা আছে, কিন্তু এটি এখনও আপনার অজানা।

পৃথিবীতে যে বিরাট পরিবর্তন আসছে তার জন্য আমরা আপনাকে প্রস্তুত করতে এসেছি, যে দুর্দান্ত পরিবর্তন মানব সভ্যতাকে বদলে দেবে, ভাল বা খারাপের জন্য- স্থায়ীভাবে, এই সময় থেকে, যেন আপনি একটি অদৃশ্য রেখা অতিক্রম করেছেন যা সবকিছু বদলে দেয়।

আপনি এর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন না। এমনকি যদি লোকেরা তা তাৎপর্যপূর্ণভাবে দেখতে এবং অনুভব করতে পারতো, তাহলেও তারা এটি কী এবং এর অর্থ কী এবং কীভাবে এটি ঘটবে এবং কী করা উচিত তা নিয়ে তাদের মতবিরোধ থাকতো।
মহাবিশ্বে জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আপনার প্রবেশের বিষয়ে, পৃথিবীতে কেউ জানে না কিভাবে এর জন্য প্রস্তুতি নিতে হয়। একমাত্র ঈশ্বরই এটি প্রদান করতে পারেন। এবং আপনার মহাকাশের আশেপাশের সেই কয়েকটি জাতি যারা মুক্ত তারা আপনাকে সাহায্য করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, কিন্তু তারা হস্তক্ষেপ করবে না। তারা শুধু আপনার সাথে তাদের জ্ঞান শেয়ার করতে পারে, যা তারা করেছে।
এটি আত্ম-আবেশ থেকে একটি মহান আহ্বান; এমন একটি পৃথিবীতে নিজেকে পূর্ণ করার চেষ্টা করার একটি মহান আহ্বান যেখানে পরিপূর্ণতা সত্যিই পাওয়া যায় না; বিভ্রান্তি এবং আপনার আত্ম-অস্বীকার থেকে একটি আহ্বান; মানুষের দ্বন্দ্ব, মানুষের ইচ্ছা এবং মানুষের আধিপত্যের আহ্বান।

এমনকি শুরু করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই সেই বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে যা আমরা আজ এখানে বলছি এবং বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণী জুড়ে কথা বলেছি। আপনি যা ভাবছেন তা কিন্তু এমন নয়। এবং যদি আপনি এটির মুখোমুখি হন, আপনি হয়তো অভিভূত এবং আশাহীন বোধ করতে পারেন, কিন্তু ঈশ্বর ইতিমধ্যেই আপনার মধ্যে আশা, আপনার মধ্যে ক্ষমতা, আপনার মধ্যে শক্তি – আপনার ভিতরে গভীরভাবে স্থাপন করেছেন।

আপনার বুদ্ধিবৃত্তি খুব ক্ষুদ্র এবং খুব দুর্বল এবং খুব বেশি ব্যস্ত; দেখতে এবং কি করতে হবে তা জানতে সক্ষম হতে বিশ্বের দ্বারা খুব শর্তসাপেক্ষ। আপনার ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি প্রত্যাদেশের প্রয়োজন। আর সেটাই দেওয়া হয়েছে।

এটির মুখোমুখি হওয়া এবং গ্রহণ করার বিনয় এবং সততা কার আছে? এখানে আপনি দেখবেন কে সাহসী আর কে সাহসী নয়, কে নম্র আর কে নম্র নয়, কে সাড়া দিচ্ছে আর কে সাড়া দিচ্ছে না, কে ভবিষ্যতের জন্য উন্মুক্ত আর কে উন্মুক্ত নয়, কে তাদের জীবনে তাদের অবস্থানে তাদের নিজস্ব বিনিয়োগ এবং তাদের আদর্শ থেকে যথেষ্ট মুক্ত নতুন কিছু এবং মহান এবং শক্তিশালী কিছুর মুখোমুখি হওয়ার জন্য।

আপনি এটিকে একটি দুর্দান্ত পরীক্ষা হিসাবে দেখতে পারেন এবং এটি আপনাকে অবশ্যই পরীক্ষা করবে। কিন্তু আপনি যা মুখোমুখি হচ্ছেন তা হল বাস্তবতা এবং আপনার নিজের জগতের অপব্যবহারের পরিণতি, এবং বুদ্ধিমান জীবনের একটি মহাবিশ্বের মুখোমুখি না হওয়ার পরিণতি, প্রকৃতি এবং বাস্তবতার সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সম্পূর্ণ উদ্ভাস থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ার পরিণতি।

আপনি কি করতে চান তা জানার জন্য আপনার যথেষ্ট সৎ হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই বলতে হবে যে আপনি পরিকল্পনা করতে পারবেন না। আপনার ধারণাগুলি এর জন্য খুব ক্ষুদ্র বলে আপনাকে অবশ্যই যথেষ্ট সৎ হতে হবে।

কিন্তু এখানে থাকাটা আপনার নিয়তি। আপনাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে এই সময়ে এখানে থাকার জন্য, এই দুর্দান্ত জিনিসগুলির মুখোমুখি হতে যা আমরা আজ এখানে বলছি। আপনার সেই অংশ যা পাঠানো হয়েছে এবং এটি জানে যে এটি আপনার মনের পৃষ্ঠের নীচে রয়েছে। আপনি যদি নিজের মধ্যে আরও গভীরে যেতে পারেন তবে এটি দেখার এবং জানার ক্ষমতা আপনার আছে।

যা আপনাকে চালিত করবে তা হল জরুরি। আপনি শুরুতে ভীত হতে পারেন, কিন্তু এর বাইরে, এটি জ্ঞান যা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, কারণ এটি ভয় ছাড়াই হয়। এটা চিরন্তন। এটি আপনার অংশ যা চিরন্তন যা এখনও তার উত্সের সাথে সংযুক্ত। এটি আপনাকে বাঁচিয়ে রাখতে এবং আপনাকে রক্ষা করতে এবং আপনাকে পথ দেখাতে চায় যাতে আপনি বিশ্বকে যা দিতে পাঠানো হয়েছে তা দিতে পারেন, আপনার ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ অংশটি পালন করতে পারেন, যা আপনাকে এই জীবনে পূরণ করবে এবং আপনার সত্ত্বাকে এখানে যুক্তিযুক্ত করবে।

যে বাস্তবতা আসছে আপনি তার মুখোমুখি না হওয়া পর্যন্ত আপনি সাড়া দেবেন না। এই মুহুর্তে আপনি যা ভাবতে পারেন তার চেয়েও বড়। কিন্তু আমরা আপনার জন্য কিছু ছবি আঁকতে পারি যাতে আপনি এর ব্যাপ্তি এবং ক্ষমতা সম্পর্কে ধারণা পেতে পারেন।

বিশ্বের বড় একটা অংশ বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠবে, যেখানে অনেক বড় জনসংখ্যা ইতিমধ্যেই বসবাস করছে। তারা কি করবে? তারা কোথায় যাবে? কে তাদেরকে তাদের জাতির মধ্যে গ্রহণ করবে?

ভবিষ্যতে খাদ্য উৎপাদনে ব্যাপক ক্ষতি হবে কারণ পৃথিবী শুষ্ক, গরম, চলাচল করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

আপনার জীবনে যা কিছু গুরুত্বপূর্ণ তা আপনার কল্যাণের জন্য এবং এই নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় গঠনমূলক পরিবর্তন আনতে আপনার ক্ষমতার জন্য খুব মৌলিক বিষয়গুলিতে নেমে আসবে।

সমুদ্রের উত্থান হবে। জমি শুকিয়ে যাবে। পুরো শহর পরিত্যাগ করতে হবে। পুরো উপকূলরেখা পরিত্যাগ করতে হবে। ভবিষ্যতের কোনো শতাব্দীতে নয়, এই শতাব্দীতে। আগামীকাল নয়, কিন্তু আসছে।

যখন এটা ঘটবে তখন আপনি এর জন্য প্রস্তুতি নেবেন না, কারণ অনেক দেরী হয়ে গেছে। আপনি যখন ওভারটেক করতে চলেছেন তখন আপনি সাড়া দেবেন না, কারণ এটি অনেক দেরি হয়ে গেছে। আপনি বালুচরে, আগ্নেয়গিরির পাশে বা নদীর পাশে আপনার বাড়ি তৈরি করবেন না, কারণ তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।

আপনি যদি মনোযোগ দিবেন তাহলে পৃথিবীর নিদর্শন প্রতিদিন আপনার কাছে আসছে। আপনি অবশ্যই ভয় বা অস্বীকার বা দুর্বলতার কাছে হাল ছেড়ে দেবেন না বা মেনে নেওয়া উচিত হবে না। এটাই আপনাকে শক্তিশালী করবে।

এটিই মানবতাকে ঐক্যবদ্ধ করবে – যে জিনিসটি কেউ আশা করে না, যে জিনিসটি কেউ চায় না, যে জিনিসটিকে কেউ বিশ্বাস করে না তা সম্ভব, যে জিনিসটি বোধগম্য নয় এবং নতুন বলে মনে হয়, যা অধিকাংশ মানুষ কখনও অনুভব করেনি – একটি গ্রহীয় জরুরি অবস্থা যা থামেনি।

আপনি অভিযোগ করতে পারেন। আপনি ঈশ্বরের উপর রাগান্বিত হতে পারেন। আপনি অন্য কোন জাতি, অথবা আপনার সরকার, অথবা আপনার পিতামাতাকে দোষ দিতে পারেন। কিন্তু আপনাকে এই সময়ে এখানে থাকার জন্য পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। এটিতে আপনার নাম রয়েছে। আপনি আসলেই এখানে এসেছেন এবং সাড়া দিতে এসেছেন।

যদিও আপনার ভূমিকা খুব সুনির্দিষ্ট হতে পারে, যদিও আপনার ব্যস্ততা খুব সীমিত হতে পারে, এটি অবশ্যই এই বৃহত্তর বাস্তবতার মধ্যে থাকতে হবে যার কথা আমরা আজ এখানে বলছি।

আপনাকে সামনে চিন্তা করতে হবে। আপনি আপনার ভয় এবং পছন্দ এবং দ্বিধা এবং আপনার অস্পষ্ট মতামত এবং অন্যদের নিন্দা এবং আপনার সংশয় এবং জীবন এবং নিজের সম্পর্কে আপনার হাস্যকর ধারণাগুলি কাটিয়ে উঠতে হবে।

আপনাকে মানুষের সেবা করতে হবে। নিজেকে মেনে নিতে হবে। যে সমস্ত জিনিসগুলি সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ তা আপনাকে করতে হবে, কারণ এটি করা সহজ জিনিস বা যে জিনিসটি আপনাকে খুশি করে তা নয়, বরং কারণ এটি সেই জিনিস যা প্রয়োজন।

ঈশ্বর অ্যালার্ম বাজাচ্ছেন। এটা শুধু একটি দলের জন্য নয়। এটা শুধু একটি জাতির জন্য নয়। এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য।

কোথাও লুকানোর জায়গা নেই। কোথাও পালানোর নেই। এমন কোন জায়গা নেই যা পরিবর্তনের মহান ঢেউ দ্বারা আক্রান্ত হবে না বা বাইরে থেকে আসা বাহিনী দ্বারা বিশ্বে আজ যে হস্তক্ষেপের বিপদ ঘটছে তা অনুভব করবে না।

আপনাকে অবশ্যই আপনার স্বপ্ন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার দুর্বলতা এবং আপনার করুণ মনোভাব এবং অন্যদের প্রতি বৈরিতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

কোন মহান নেতা আসবেন না এবং মানবতাকে রক্ষা করবেন এবং আপনাকে এই মহান সংকট থেকে বের করে আনবেন। এটা হবে অনেক মানুষের একসঙ্গে কাজ করার প্রচেষ্টা।

ঈশ্বর আপনাকে প্রত্যাদেশ দিয়েছেন যা সামনে আসছে এবং প্রস্তুত করার জন্য কি করা আবশ্যক, আপনার জীবনে এবং অন্যদের সাথে আপনার সম্পর্কের জন্য। কিন্তু এর বাইরে, অবশ্যই মহান মানব আবিষ্কার থাকতে হবে। মানুষের মহান প্রচেষ্টা থাকতে হবে। মানুষের বিশাল খরচ হতে হবে। বিশ্বের সমস্ত সম্পদকে লাগবে এটি প্রস্তুত করতে।

এটি আপনার জন্য নিখুঁত, যে অন্যথায় একটি অদ্ভুত, অর্থহীন জীবন যাপন করবে, হতাশায় ভরা, ভুল বোঝাবুঝি, বাস্তব দিকনির্দেশনা ছাড়া, প্রকৃত অর্থ ছাড়া। আপনি এক জিনিস থেকে আরেক জিনিস, এক ব্যক্তি থেকে আরেক ব্যক্তি, খুঁজতেই থাকবেন আপনি যা খুঁজছেন, কিন্তু এখনও সত্যিই বিচ্ছিন্ন, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই, আপনার চারপাশের গুরুত্বপূর্ণ জিনিস থেকে।

এই মুহুর্তে যারা সাড়া দিচ্ছে, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। এই সময়ে যারা জাগ্রত আছেন, কিন্তু তাদের সংখ্যা খুবই কম। এটি সাড়া দিতে পারে এমন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য একটি আহ্বান। আর যারা সাড়া দিতে পারবে না তাদের জন্য নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় বসবাসের পরিণতির সম্মুখীন হতে হবে।
যদি মানবতা পর্যাপ্ত সাড়া দিতে না পারে, যদি পর্যাপ্ত মানুষ সাড়া দিতে না পারে, তাহলে মানব পরিবার অন্যান্য শক্তির আধিপত্যের শিকার হবে, যারা ইতিমধ্যেই আপনাদের মধ্যে এবং এমনকি আপনার মধ্যেও, নির্দিষ্ট কিছু মানুষের মধ্যেও মতবিরোধের বীজ রোপণ
করছে। মানবজাতির অসচেতনতার সময় হস্তক্ষেপ করার এটি তাদের দুর্দান্ত সুযোগ, যখন মানবতা দায়িত্বজ্ঞানহীন, যখন মানবতা তার নিজের দ্বন্দ্ব এবং হাস্যকর সাধনায় আচ্ছন্ন।

আপনি অনুধাবন করতে পারেন না যে এই পৃথিবী অনুর্বর গ্রহের মহাবিশ্বে কতটা মূল্যবান। আপনি বুঝতে পারছেন না আপনি কিসের সম্মুখীন হচ্ছেন। সুতরাং একমাত্র ঈশ্বরই আপনার কাছে এই বিষয়গুলো প্রকাশ করতে পারেন। যদি আপনি এটি গ্রহণ করতে না পারেন, তাহলে আপনি এই জগতে হারিয়ে যাবেন – বিভ্রান্তিতে হারিয়ে যাবেন, কষ্টে হারিয়ে যাবেন, শত্রুতা এবং বিদ্রোহে হারিয়ে যাবেন।

ইতিমধ্যেই আপনার রাজনৈতিক সরকারগুলো ব্যর্থতায় পর্যবসিত হয়েছে, ভেঙে যাচ্ছে, আপনার দেশ চরমপন্থীদের মধ্যে বিভক্ত যারা তাদের দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করছে, তারা বুঝতে পারছে না যে জাতিকে একত্রিত করতে হবে, কার্যত এবং মৌলিকভাবে, আমরা আজ এখানে যা উল্লেখ করছি তার পরিণতি মোকাবেলা করতে সক্ষম হতে হবে। । পৃথক হওয়ার পরিবর্তে, আপনাদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিত – এই জন্য নয় যে এটা করা ভাল কাজ, বরং এটাই একমাত্র কাজ।

যারা বলে, “ওহ, এটা খুব বেশি। এটা খুবই চরম। এটা হতে পারে না। পরিস্থিতি এমন হবে না! ”এরা এমন মানুষ যারা সাড়া দেওয়ার জন্য খুব দুর্বল। তারা খুব তাদের নিজস্ব অগ্রাধিকার এবং আবেগ দেওয়া হয়। এমন কিছুর মোকাবিলা করার জন্য তাদের অভ্যন্তরীণ শক্তি নেই, যদিও প্রতিটি অতিবাহিত দিনের সাথে তাদের কাছে দুনিয়ার নিদর্শনগুলি উপস্থাপন করা হচ্ছে।

এটাই মানবতার বিবর্তন। বিবর্তনের ভেতরে রয়েছে বেদনাদায়ক প্রান্তিকতা। পৃথিবী আজ কেবল স্বর্গীয় পরিবর্তনের মাধ্যমেই স্বর্গ হয়ে উঠেনি, বরং আক্রমনাত্মক পরিবর্তনের মাধ্যমে – মহা বিলুপ্তি, জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তন, দুর্বিপাক, রাসায়নিক সংযোগ। এটাই বিবর্তন। এটা এমন কিছু সহজ পথ নয় যা আপনি অনুসরণ করেন, যা আপনাকে প্রতিটি মোড়ে আনন্দিত করে। আপনি মহা বিবর্তনের সময়ে পৃথিবীতে এসেছেন। ব্যর্থ হবেন এবং আপনি বিদেশী শক্তির দ্বারা শাসিত এবং নিপীড়িত হয়ে উঠবেন, আপনি আজ যা কল্পনা করতে পারেন তার বাইরে।

আপনি যদি জেগে উঠেন এবং ঐক্যবদ্ধ হন, মানবতা একটি শক্তিশালী জাতি, একটি স্বাধীন জাতিতে পরিণত হবে, যাতে এই স্বাধীনতা রক্ষা এবং সংরক্ষণ করা যায়। শুধুমাত্র নতুন বাণীই বর্ণনা করে কেন এটি এমন এবং এর প্রকৃত অর্থ কী।

আপনি এই জিনিসগুলি কখনই জানতে পারবেন না। আপনি কখনই জানতে পারবেন না যে আপনার পৃথিবীতে কে আছে এবং কি তাদেরকে ক্ষমতা দেয় এবং তাদের দুর্বলতাগুলি কী বা তারা কোথা থেকে এসেছে বা কেন তারা এখানে এসেছে বা কীভাবে তারা কাজ করে। আপনি একটি কল্পিত দৃষ্টিভঙ্গি, একটি অগ্রাধিকারমূলক দৃষ্টিভঙ্গি নিতে হবে। “ওহ, এটা অবশ্যই আমাদের সুবিধার জন্য হবে। তারা আমাদের জন্য প্রযুক্তির উপহার আনতে যাচ্ছে। তারা আমাদের পৃথিবীতে আমাদের সমস্যা সমাধানে সাহায্য করতে যাচ্ছে। তারা আমাদের বন্ধু হতে যাচ্ছে। তারা আমাদের ত্রাণকর্তা হতে চলেছে। ” ওহ, এই ধরনের নির্বুদ্ধিতা। দুঃখজনক এটা। অনুমানযোগ্য, হ্যাঁ, কিন্তু তবুও দুঃখজনক।

আপনি কিসের মুখোমুখি হচ্ছেন বা এর প্রতি সাড়া দেওয়ার জন্য আপনার যে শক্তি রয়েছে সে সম্পর্কে আপনার কোন ধারণা নেই। আপনার দুর্বলতা বা অন্যের দুর্বলতায় বিশ্বাস করবেন না, কারণ আপনাকে অবশ্যই আপনার শক্তিতে বিশ্বাস রাখতে হবে। এ বিষয়ে আপনাকে অবশ্যই জেগে উঠতে হবে। সংযত হয়ে উঠুন। বাস্তববাদী হয়ে উঠুন। প্রতিক্রিয়াশীল হয়ে উঠুন। গঠনমূলক হয়ে উঠুন। পৃথিবী যেভাবে চলছে সে সম্পর্কে আপনি কেবল একদল ঘ্যানঘ্যানানি শিশু হতে পারেন না। এটা আপনার বা অন্য কারোর জন্য কিছুই করবে না।

আমাকে অবশ্যই আপনার সাথে এইভাবে কথা বলতে হবে কারণ সময় দেরি হয়ে গেছে এবং মানবতা পর্যাপ্ত সাড়া দিচ্ছে না। আমি অবশ্যই আপনার সাথে এইভাবে কথা বলব কারণ আমি আপনাকে সম্মান করি, যদিও আপনি জানেন না আপনি কে। আপনি মনে করেন যে আপনি পৃথিবীতে বিচরণকারী একজন ব্যক্তি, কিন্তু আপনি কে যে এই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ এবং মানবতার ভবিষ্যতের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছুতে অংশ নিতে এখানে পাঠানো হয়েছে।

এর মানে কি আপনি এখনও জানেন না। আপনি এখনও জানেন না এটি দেখতে কেমন হবে, অবশ্যই না। আপনি এই যাত্রা খুব কমই শুরু করেছেন। আপনি কিভাবে বুঝবেন যে এটি আপনাকে কোথায় নিয়ে যাবে, এটি দেখতে কেমন হবে?
আপনি আপনার আশেপাশের মানুষকে অস্বীকার করতে দেখবেন, অথবা এটা নিয়ে মজা করছে, অথবা এটাকে হাস্যকর মনে করছে, অথবা এটাকে অন্য কিছুর মত মনে করছে, অথবা জোরালোভাবে দ্বিমত পোষণ করছে, অথবা বলছে আপনাকে অবশ্যই একজন মহান সাধক বা ত্রাণকর্তায় বিশ্বাস করতে হবে এবং এটাই আপনাকে যা করতে হবে।

এটাই মানবতার দুর্বলতা। হস্তক্ষেপ এর উপরই ভরসা করছে। এটি মনে করে আপনি দুর্বল এবং বিভক্ত এবং করুণ। এটার আপনার প্রয়োজন কারণ এটা এই পৃথিবীতে বাস করতে পারে না। এটার আপনার প্রতি মোটেও শ্রদ্ধাবোধ নেই। পারলে এটি আপনাকে প্রলুব্ধ করবে। এটি আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে যদি এটি আপনাকে প্রলুব্ধ করতে না পারে। এটাই তার শক্তি। এটি এটাই নিয়োগ করে।

আপনি পরবর্তী দশকে দাঁড়িয়ে আছেন — এক দশকের উত্তাল পরিবর্তনের দশক, বিবর্তনের দশক, বিবর্তনের পরিবর্তন, শুধু ব্যক্তিগত পরিবর্তন নয়, শুধু রাজনৈতিক পরিবর্তন নয় — বিবর্তনীয় পরিবর্তন। এটি প্রত্যেকের জন্য ফলাফল পরিবর্তন করবে। সফল অথবা ব্যর্থ, এটি মানব ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়, সম্ভবত সবচেয়ে বেশি।

একটি জাতি সফল হবে না যদি অন্য জাতি ব্যর্থ হয়। আপনি এখন যে বড় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তা মোকাবেলা করতে আপনাকে এক ধরণের কার্যকরী রূপে একত্রিত হতে হবে। এটি করতে ব্যর্থ হলে, এবং সময় অনেক দেরী হয়ে যাবে এবং বিপর্যয় বাড়বে।

এটি আপনাকে কেমন লাগবে তা আমরা আপনাকে বলব না কারণ আপনার এখনও এটি শোনার শক্তি নেই। কিন্তু আমরা আপনাকে যা দিচ্ছি তা হল এই বৃহত্তর দ্বিধা থেকে বেরিয়ে আসার পথ, এই জন্য নয় যে কেউ এসে আপনাকে উদ্ধার করতে যাচ্ছে, এমন নয় যে কিছু বিদেশী শক্তি এসে আপনাকে উদ্ধার করতে যাচ্ছে – বিদেশী শক্তি আপনার সমস্যা, আপনার সমাধান নয় – এই কারণে নয় যে কিছু মহান সাধক বা ঋষি আসবেন এবং মানবতাকে তার দুর্দশা থেকে বের করে আনবেন। এটি বিশ্বজুড়ে মানুষের সাড়া দেওয়ার আহ্বান।

আপনি যে কোন ধর্মের, যেকোনো জাতির, যেকোন সংস্কৃতির, জীবনের যে কোন স্টেশনেই থাকুন না কেন, আপনি নারী বা পুরুষ, শিশু বা কিশোর, এটি দূরদূরান্তে যাওয়ার আহ্বান। কে বহুদূর নিয়ে যাবে? কে এই মেসেঞ্জারকে সম্মান করবে, যাকে এঞ্জেলিক অ্যাসেম্বলি থেকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছে, যাতে তিনি এই মহান গুরুত্বপূর্ণ টার্নিং পয়েন্টে এটিকে এখানে নিয়ে আসেন?

এটি বাস্তবতার সাথে একটি সংঘর্ষ আমরা আপনাকে আজ এখানে দিচ্ছি। এটা নিয়ে তর্ক করুন। অস্বীকার করুন. ভান করুন এটি এমন নয়, এবং আপনি ব্যর্থ হবেন।

তাহলে আপনার মধ্যে কে সফল হবে? আপনাদের মধ্যে কে সাড়া দেবে? আপনার মধ্যে কে নিজেদের তৈরি নয় এমন একটি প্রস্তুতির পথ নেবে যা আপনার নিজের বোঝার বাইরে এবং আপনি যা অভ্যস্ত তার বাইরে একটি বিশ্বের মুখোমুখি হতে পারেন?

এই পরবর্তী দশক হবে অত্যন্ত নির্ণায়ক। এটি সম্পূর্ণরূপে সিদ্ধান্তমূলক হবে না, তবে এটি খুব বড় সিদ্ধান্তমূলক হবে। যদি আপনি আপনার বর্তমান পথে চলতে থাকেন, সামান্য পরিবর্তনের সাথে, তাহলে এই পৃথিবীর মানুষদের পরিণতি আজকের তুলনায় অনেক বেশি হবে, এত বড় যে এমনকি জাতিসমুহ তাদের নিজস্ব জনসংখ্যার সমস্যাগুলি সামলাতে পারবে না, এমনকি ধনী দেশেও।

শুরুতে, আপনি ভয় পাবেন। আমরা বুঝতে পেরেছি. এটা সহজাত; এটা স্বাভাবিক। আমরা আশা করি না যে আপনি সর্বজ্ঞ এবং সর্বশক্তিমান হবেন, কিন্তু আমরা আপনাকে দায়িত্বশীল হতে বলছি। আপনাকে আপনার ভয় অতিক্রম করতে হবে, এবং আপনি করবেন, যদি আপনি এগিয়ে যান।

ঈশ্বর আপনার নিজের মধ্যে জ্ঞানের শক্তির সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য একটি প্রস্তুতি পাঠিয়েছেন, এমনভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে এটি বিশ্বব্যাপী সহজতম ভাষায় অনুবাদ করা যেতে পারে, তা সবচেয়ে গভীরতার সাথে আপনি কল্পনা করতে পারেন – ঈশ্বর থেকে পাঠানো একটি প্রস্তুতি। যা পৃথিবীতে এর আগে কখনো ঘটেনি।

প্রস্তুতি তৈরি এবং উদ্ভাবিত হয়েছে, তা ঈশ্বরের কাছ থেকে সরাসরি কিছু? পৃথিবী এবং মানবতা যদি বড় বিপদে না পড়ত ঈশ্বর সাড়া দিতেন না।

অন্য কোন কিছুই আপনাকে শক্তিশালী করবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে সম্পূর্ণ করে তুলবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে যোগ্য করে তুলবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে অর্থপূর্ণ সম্পর্কের সাথে জড়িত করবে না। অন্য কোন কিছুই আপনাকে অন্যদের সাথে একত্রিত করবে না এবং মানুষ ও জাতি এবং সংস্কৃতি এবং ধর্মের মধ্যে বিচ্ছিন্নতার ক্ষত নিরাময় করবে; কিন্তু এই বিষয়গুলির মুখোমুখি হওয়ার জন্য আমরা আজ এখানে কথা বলছি এবং একটি প্রত্যাদেশ পাওয়া যা এই বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের প্রস্তুতির পরবর্তী মহান পদক্ষেপ, সবচেয়ে গভীর প্রয়োজন এবং অসুবিধার সময়ে দেওয়া হয়েছে।

মেসেঞ্জার বেরিয়ে এইসব কথা বলবেন, যেমনটা সে আগে করেছেন। তিনি আপনার হৃদয়ের সাথে কথা বলবেন, উপরন্ত তিনি আপনার শক্তির সাথেও কথা বলবেন। তিনি আপনাকে আশ্বস্ত করবেন যে ঈশ্বরে কোন নিন্দা নেই, ঈশ্বরে কোন জাহান্নাম এবং অভিশাপ নেই, কারণ এটি একটি মানব সৃষ্টি।

কিন্তু আপনি একটি নরকীয় অবস্থায় বাস করছেন, এবং ঈশ্বরের পরিকল্পনা হল আপনাকে পৃথিবীতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ দিয়ে এই থেকে আপনাকে উদ্ধার করা — যা প্রয়োজন, কেবল এমন কিছু নয় যা আপনাকে মুহূর্তে ভাল লাগবে; প্রয়োজনীয় জিনিস; যে জিনিসগুলি একটি বাস্তব পার্থক্য তৈরি করবে।

আপনি ঈশ্বরে বিশ্বাস করুন বা না করুন, আপনি ধার্মিক হোন বা না হোন, সবই এক। এটি একটি অ্যাকশানে যাওয়ার আহ্বান। আজ আমরা এখানে যা বলছি তাতে সাড়া না দিতে পারলে কোন ধর্মই আপনাকে রক্ষা করবে না।

আশীর্বাদ আপনার সাথেই আছে, কিন্তু আপনি জানেন না যে আপনি আশীর্বাদপ্রাপ্ত। আপনি কষ্টে আছেন, কিন্তু আপনি জানেন না আসলে কি আপনাকে কষ্ট দেয়। আপনি বিভ্রান্ত হচ্ছেন কারণ আপনি জানেন না আপনি কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন এবং আপনি কোথায় আছেন এবং দিগন্তে কী আসছে।

আপনাকে অবশ্যই ধৈর্যশীল হতে হবে. আপনাকে অবশ্যই অধ্যবসায়ী হতে হবে। এটি এমন কিছু নয় যা আপনি কেবল সপ্তাহান্তে বা এক বছরে ঠিক করতে যাচ্ছেন। এটি করতে আপনার বাকি জীবন লাগবে। কিন্তু আপনি নতুন জীবন বাস্তবতায় আপনার জীবন নিয়ে আর কি করবেন?

এই নতুন বিশ্ব বাস্তবতায় বিলাসিতা থাকবে অল্প, কিন্তু থাকবে বিশাল প্রয়োজনীয়তা এবং মহান অর্থ এবং মহান উদ্দেশ্য এবং মহান অবদান। এটাই বিশ্বকে মহাবিশ্বের একটি শক্তিশালী ও মুক্ত জাতি হিসেবে পরিণত করবে, যেখানে স্বাধীনতা বিরল।

আমরা আপনাকে এটি দিচ্ছি এবং অন্বেষণ করার জন্য আমন্ত্রণ জানাই যে আমরা কি বলতে চাচ্ছি এবং আমরা কি বলছি। ভীরু হবেন না। মনে করবেন না যে আপনি ইতিমধ্যে সত্যটা জানেন, কারণ আপনি যা জানেন তা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশের সামনে কিছুই নয়। আপনার ধারণা, আপনার বিশ্বাস, আপনার প্রত্যয়, আপনার দৃঢ় মতামতের উপর নির্ভর করার কিছু নেই, কিন্তু আপনার মধ্যে একটি গভীর বুদ্ধিমত্তা রয়েছে যা আমরা যা বলি তার সাড়া দেবে, যদি আপনি নিজের মধ্যে যথেষ্ট স্বাধীন হন তবে এটি ঘটতে দেবে।

এটি একটি টার্নিং পয়েন্ট। এটা সহজ নয়. এটা আরামদায়ক নয়। এটি শুরুতে আশ্বস্ত করার মতো নয়, কিন্তু মানবতা এর আগে অনেক বড় প্রয়োজনের সময়, অসাধারণ কষ্ট, দুর্দান্ত সংঘর্ষের সময় অসংখ্যবার বেড়ে উঠেছে।

তাই আজ আমরা এখানে যা বলছি তা আপনার জানা। এটা আপনার সংস্কৃতিতে আছে। এটা আপনার ইতিহাসে আছে। এটা আপনার রক্তে আছে।

আপনি একটি দুর্বল এবং ভঙ্গুর মানুষ নন, তবে আপনি আপনার বিলাসিতা এবং স্ব-ভোগে দুর্বল হয়ে পড়েছেন; আপনি ব্যক্তিগত ইচ্ছা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা খুঁজতে বিচলিত এবং বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন।

দুর্দান্ত সময় আপনার উপর, এবং আপনাকে অবশ্যই সাড়া দিতে হবে। যদি আপনি সাড়া দিতে পারেন তবে এটি একটি অতুলনীয় মূল্যের উপহার। এটি আপনার জন্য সব কিছু করবে যা আপনি নিজের জন্য করতে পারেননি। এটি পৃথিবীর জন্য সবকিছু করবে যা অবশ্যই করা উচিত, যদি যথেষ্ট মানুষ সাড়া দিতে পারে।

স্বর্গ অপেক্ষা করে এবং দেখে কে সাড়া দিতে পারে। এখানে কোন নিন্দা নেই। আছে শুধু উৎসাহ। কিন্তু যা ঘটছে তার উপর রয়েছে দারুণ সংযম, বিশাল প্রয়োজন এবং অত্যন্ত জরুরি।

মহান পরিবর্তন আপনার উপর। এটা প্রস্তুতির নেওয়ার সময়। প্রস্তুতিটি এখানে, এটি দেওয়া হয়েছে, ঈশ্বরের অনুগ্রহের মাধ্যমে এবং ঈশ্বরের সমস্ত ফেরেশতা এবং সংস্কারক এবং প্রকৃত বান্দাদের মাধ্যমে।

জ্ঞান অনুসন্ধান

ঈশ্বরের ম্যাসেন্জার মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
৫ই ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বোঝাপড়া এবং দৃষ্টিভঙ্গি অর্জন করা অবশ্যই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুতির ক্ষেত্রে বেশ অপরিহার্য, তবে একা এটি যথেষ্ট হবে না। এখানে আপনি আপনার বুদ্ধিমত্তা বা আপনার ইচ্ছার শক্তির উপর নির্ভর করতে পারেন না যাতে আপনি আরও জটিল মানসিক পরিবেশের মধ্যে কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় বুদ্ধি অর্জন করতে পারেন। এই পরিবেশে সফলভাবে কাজ করার জন্য আপনার মানসিক শক্তি বা ইচ্ছাশক্তির চেয়ে বেশি প্রয়োজন হবে। একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনি যতই শক্তিশালী হয়ে উঠুন না কেন, আপনার শক্তিটি গ্রুপ মনের শক্তির তুলনায় তুচ্ছ হবে যা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানসিক পরিবেশে মিথস্ক্রিয়ার প্রকৃত গতিশীলতার প্রতিনিধিত্ব করে।

অতএব, এখানে আপনাকে অবশ্যই একটি বৃহত্তর শক্তি, বৃহত্তর বুদ্ধিমত্তা, নিজের মধ্যে একটি বৃহত্তর শক্তি আহ্বান করতে হবে। এটাকে আমরা জ্ঞান বলি। এটি আপনার জানার ক্ষমতা দ্বারা প্রতিনিধিত্ব করা হয়। যখন আমরা জ্ঞান শব্দটি ব্যবহার করি, তখন আমরা কোন তথ্য বা ধারনা বা এমন কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছি না যা আপনি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিখতে পারবেন। আমরা আপনার আধ্যাত্মিক মনের সম্ভাবনার কথা বলছি।

খুব কম লোকই বুঝতে পারে যে এটি আসলে কী। সম্ভবত তারা স্বীকার করে যে তাদের একটি আধ্যাত্মিক প্রকৃতি আছে; সম্ভবত তারা তাত্ত্বিকভাবে মেনে নিতে পারে যে তারা আধ্যাত্মিক প্রাণী, তাদের সম্পর্কে চিরন্তন কিছু আছে এবং এটি তাদের ঐশ্বরিকের সাথে সংযুক্ত করে।

কিন্তু এটি এখানে সত্যিই প্রাসঙ্গিক হওয়ার জন্য এবং আপনার আধ্যাত্মিকতাকে সত্যিকার অর্থে বোঝার জন্য, আপনাকে অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে আপনার আধ্যাত্মিকতা আপনার মধ্যে একটি মনের প্রতিনিধিত্ব করে – একটি মহান মন, এমন একটি মন যা ব্যক্তিগত মনের বাইরে যা আপনি চিন্তা করেন এবং হিসাব করেন। আমরা এই মনকে জ্ঞান বলি। এটি আপনার মধ্যে জানা মন। এবং মানসিক পরিবেশে আপনার কাজ করার ক্ষমতা বোঝার ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জ্ঞান আপনার জন্য আপনার প্রকৃত মিশন এবং জীবনের উদ্দেশ্য আছে। আপনি কেন দুনিয়াতে এসেছেন, কার সাথে আপনাকে এখানে দেখা করতে হবে এবং আপনাকে কি করতে হবে তা সম্পর্কে আপনার বৃহত্তর উপলব্ধি বজায় রেখেছে।

এর অর্থ এই নয় যে যা কিছু ঘটবে তা পূর্বনির্ধারিত, কিন্তু এই ব্যক্তিগত জীবনের প্রেক্ষাপটে আপনার কিছু অর্জন করতে হবে এবং কিছু সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে। এটি বিশ্বের মধ্যে আপনার ভাগ্যের প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এই ভাগ্যের জ্ঞান এবং এটি আবিষ্কার করার এবং এটি পূরণ করার ক্ষমতা আপনার ভেতরে জ্ঞানের মধ্যে থাকে।
এখন কিছু লোক জিজ্ঞাসা করবে, “আচ্ছা, এটা কি অবচেতন মন?” এবং আমি বলি, না, এটা অবচেতন মন নয়। অবচেতন মন এখনও আপনার ব্যক্তিগত মনের অংশ, যে মন সরাসরি আপনার শারীরিক অস্তিত্বের সাথে সংযুক্ত।

জ্ঞান আপনার শাশ্বত মন, আপনার আধ্যাত্মিক মনের প্রতিনিধিত্ব করে, কিন্তু এটি কেবল একটি সত্তা নয়। এটি একটি মন যা চিন্তা করে। এটি এমন একটি মন যা জীবনের একটি উদ্দেশ্য এবং একটি মিশন এবং একটি দিক নির্দেশ করে।

যখন আপনি জ্ঞানের কাছাকাছি আসতে শুরু করেন, যখন আপনি জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করেন, তখন আপনি অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করেন এবং আপনার জন্য জ্ঞানের যে মহান উদ্দেশ্য আছে তা গ্রহণ করতে শুরু করেন। এবং সময়ের সাথে সাথে আপনি পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারবেন যে এই উদ্দেশ্যটি আপনার নিজের এবং এটি আপনার সত্যিকারের ইচ্ছা এবং জীবনে আপনার সত্যিকারের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে।

জ্ঞানের পুনরুদ্ধার আধ্যাত্মিক আবিষ্কার এবং আধ্যাত্মিক বিকাশের সারাংশকে উপস্থাপন করে। জ্ঞান আবিষ্কৃত এবং পুনরুদ্ধার করার জন্য অপেক্ষা করছে। আপনি যদি জ্ঞানের ছাত্র হয়ে যান এবং জ্ঞানের পথে চলেন এবং জ্ঞানের পথে বসবাস করা শিখেন, তাহলে অবশেষে আপনার ব্যক্তিগত মন এবং আপনার মধ্যে বৃহত্তর মন একত্রিত হয়ে এক হয়ে যাবে। এখানে আপনি সম্পূর্ণরূপে সমন্বিত হয়ে যাবেন, এবং একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনার শক্তি এবং অর্থ এবং ক্ষমতা বিশ্বে সম্পূর্ণরূপে প্রদর্শিত হবে।

এই মুহুর্তেও জ্ঞান আপনার কাছে আহ্বান করছে, এটি গ্রহণ করুন – তার প্রজ্ঞা গ্রহণ করুন, তার পরামর্শ নিন এবং তার দিকনির্দেশনা আপনার নিজের মতো করে গ্রহণ করুন। এটি আপনার মধ্যে মহান আধ্যাত্মিক আহ্বান, এবং এটি এই মুহুর্তে ঘটছে।

কারণ বিশ্ব বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আবির্ভূত হচ্ছে, এবং বিশ্বে একটি মহান আধ্যাত্মিক আহ্বান রয়েছে যা মানুষকে এটি উপলব্ধি করতে এবং তদনুযায়ী প্রস্তুতি নিতে সক্ষম করবে। আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান জানে এর অর্থ কী। এটা জানে এটা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এটা জানে আপনি কি ভূমিকা পালন করবেন। এবং এটি ঠিক জানে যে আপনাকে কোথায় যেতে হবে এবং এটি অর্জন করার জন্য আপনাকে কার সাথে দেখা করতে হবে।

যুক্তি বা কর্তনের মাধ্যমে এই বিষয়গুলির মধ্যে কোনটি উপলব্ধি করা যায়? জীবনে বৃহত্তর মনের ইচ্ছা খুঁজে পেতে এবং সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করার জন্য আপনি কীভাবে আপনার চিন্তাভাবনা মনকে ব্যবহার করতে পারেন? আধ্যাত্মিকতা বলতে কী বোঝায় এবং বিশ্বে এটি কীভাবে কাজ করে তা আপনি বুঝতে বা আদর্শ করার চেষ্টা করতে পারেন। আপনি হয়তো মানুষের মধ্যে ঐশ্বরিক কার্যকলাপ বুঝতে বা আদর্শিক করার চেষ্টা করতে পারেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এই জিনিসগুলি শুধুমাত্র জানা যাবে।

আপনার স্রষ্টার অর্থ, অস্তিত্ব এবং ইচ্ছা শুধুমাত্র জানা যাবে। জীবনে আপনার আসল উদ্দেশ্য, অর্থ ও দিকনির্দেশ কেবলমাত্র জানা যাবে। আপনার সত্যিকারের সম্পর্কগুলি – যেগুলি আপনার বিকাশের জন্য নির্ধারিত, অংশগ্রহণের জন্য – সেগুলি কেবলমাত্র জানা যায়। আপনার প্রকৃত প্রকৃতি, অর্থ এবং মূল্য শুধুমাত্র জানা যাবে।

অতএব, আমরা আপনার জীবনের প্রকৃত অর্থ ও উদ্দেশ্য এবং প্রকৃত সম্পর্কের প্রকৃত ভিত্তি খুঁজে বের করার জন্য মহান যাত্রা এবং পথ হিসেবে জ্ঞানের দিকে ফিরে যাই, যা আপনি এখানে থাকাকালীনই আপনার ভাগ্য নির্ধারণ করবেন। আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান আপনার জন্য এই সমস্ত ধারণ কিছু করে। জ্ঞান ছাড়া, আপনি এটি খুঁজে পাবেন না। আপনার চিন্তাভাবনা যতই উন্নত হোক না কেন, আপনার চিন্তাভাবনা যতই অত্যাধুনিক হোক না কেন, আপনার বিশ্বাস যতই সার্বজনীন হোক না কেন, সেগুলি আপনার জন্য জ্ঞান যা ধারণ করে তারা তা ধারণ অথবা পোষন করতে পারে না।

এখানে আপনি একটি মৌলিক সত্য বুঝতে এসেছেন: আপনার চিন্তাশীল মনের একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ রয়েছে যা আপনাকে আপনার জীবনের বৃহত্তর বাস্তবতা প্রকাশ করতে এবং জীবনের অসুবিধা এবং বিপর্যয় নিয়ে আলোচনা করতে সক্ষম করে। কিন্তু আপনার চিন্তাশীল মন শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র জ্ঞানের সেবা করতে পারে। তবুও এই সেবা ছাড়া, এটা এমন ভাব করবে যেন এটা সেবা করার জিনিস ছিল এবং আপনার জীবনে একটি আধিপত্যশীল ও ধ্বংসাত্মক শক্তিতে পরিণত হবে। যদি আপনার চিন্তাশীল মন অপরিহার্য ফোকাস হয়ে ওঠে, তাহলে আপনি আপনার বৃহত্তর বাস্তবতা এবং আপনার জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে এবং তা পূরণে আপনাকে সক্ষম করার জন্য এর আবশ্যকীয় ভূমিকা বুঝতে পারবেন না।

পৃথিবীতে আজ এমন অনেক মানুষ আছেন যারা তাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বোঝাপড়া বা তাদের বিশ্বাস এবং সহযোগিতার উপর নির্ভর করার চেষ্টা করেন যাতে তাদের প্রকৃত প্রকৃতি এবং এর উদ্দেশ্য এখানে বোঝার ভিত্তি হিসেবে দেওয়া যায়। তবে এটি সর্বদা ব্যর্থতা এবং হতাশার দিকে পরিচালিত করে, কারণ আপনার চিন্তাশীল মন কেবল এটি করতে বৃহত্তর মনকে সেবা করতে পারে। এটি একা এই ভিত্তি প্রদান করতে পারবে না। এটি একা কেবল বৃহত্তর বোঝাপড়া, বৃহত্তর অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে না, যা আপনার প্রয়োজন হবে।

এটি আপনাকে স্বয়ং জ্ঞানের দিকে ফিরে যাওয়া এবং জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি গ্রহন করা শিখতে মুক্ত করে দেয়। প্রকৃতপক্ষে, এটিই প্রকৃত আধ্যাত্মিক পথ। বিশ্বের সব ধর্মীয় প্রথাই যথাসম্ভব খাঁটি কারণ তারা এই মৌলিক আবিষ্কার এবং প্রকাশকে সমর্থন করে।

তবুও যদি আপনি আধ্যাত্মিকতার দিকে তাকান এবং আপনি ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং প্রচলন কেড়ে নেন; যদি আপনি ধর্মের সমস্ত ভৌতিক ফাঁদগুলি সরিয়ে নেন, তবে আপনার কাছে যা আছে তা হল আধ্যাত্মিকতার সারমর্ম। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে এটিকে জ্ঞান বলে। এটি আপনার জানার ক্ষমতার মাধ্যমে প্রদর্শিত হয়। এটি নিজের মধ্যে এবং আপনার সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গভীর উপলব্ধির মাধ্যমে অভিজ্ঞতা লাভ করে। এটি সর্বদা আপনাকে বিশ্বের সত্যিকারের উত্পাদনশীল ক্রিয়াকলাপের দিকে মনোনিবেশ করে এবং আপনার অনন্য আহ্বান এবং জীবনের উদ্দেশ্যকে উপলব্ধি করতে, প্রকাশ করতে এবং পূরণ করতে আপনাকে ধাপে ধাপে, নির্দেশ করে।

আমরা আগেই বলেছি, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে, আপনাকে অবশ্যই আধ্যাত্মিকতার আসল নির্যাস আবিষ্কার করতে হবে। বিশ্বাস, প্রথা, আচার, সংস্কৃতি শুধুমাত্র মানবতার জন্য। আপনি নিজেকে মানবতার বাইরে, এমনকি পৃথিবীর উদ্ভিদ এবং প্রাণী রাজ্যেও সেতুবন্ধন করতে পারবেন না, যদি না আপনি আধ্যাত্মিকতার প্রকৃত সারমর্ম খুঁজে পান এবং নিজের জন্য এটি অনুভব করেন।

ধর্ম গুরুত্বপূর্ণ। এটি মানুষকে তাদের আসল আধ্যাত্মিক স্বভাব এবং জীবনের উদ্দেশ্য অভিজ্ঞতার সুযোগ দিতে একটি মৌলিক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু এটি শুধুমাত্র আপনার চিন্তার মনের মতই পরিবেশন করতে পারে, একটি বৃহত্তর বাস্তবতা। এটি একা বৃহত্তর বাস্তবতা নয়। আপনার মধ্যে, বৃহত্তর বাস্তবতা প্রদর্শিত হয় এবং জ্ঞানের মধ্যে মূর্ত হয়।

এখানে আবার আমরা ধারণা বা বিশ্বাসের কথা বলছি না। আমরা জানার গভীর অভিজ্ঞতার কথা বলছি। এটি ঐশ্বরিকের সাথে আপনার সম্পর্ক এবং সমস্ত জীবনের সাথে আপনার অভ্যন্তরীণ সম্পর্ককে প্রদর্শন করে এবং নিশ্চিত করে।

তবুও আপনার জন্য পৃথিবীতে জ্ঞানের একটি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য আছে। আপনি কেন পৃথিবীতে এসেছেন তা মনে পড়ে। আপনি এখানে আসার আগে আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারের সাথে আপনি যে চুক্তি করেছিলেন তা মনে রাখে । এটি একটি বাস্তব অবদান প্রদানের জন্য ভৌতিক জীবনে পুনরায় প্রবেশ করার আপনার আকাঙ্ক্ষাকে স্মরণ করে, যা আপনাকে অবশ্যই প্রদান করতে হবে।

জ্ঞান ভুলে যায়নি, কিন্তু আপনি ভুলে গেছেন। আপনি ভুলে গেছেন কারণ একজন মানুষ হিসেবে বিকাশের জন্য, মানব সমাজে প্রবেশ করতে এবং সেখানে কাজ করতে সক্ষম হওয়ার জন্য আপনাকে ভুলে যাওয়ার প্রয়োজন ছিল। যদি আপনার প্রাচীন বাড়ির স্মৃতি এবং আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য একটি শিশু হিসাবে আপনার মনের মধ্যে সম্পূর্ণরূপে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আপনি পৃথিবীতে বসবাসের সমস্যার মুখোমুখি হতে চাইবেন না। আপনি কেবল আপনার প্রাচীন বাড়িতে যেতে চান, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি অবশেষে ফিরে আসবেন।

অতএব, আপনি এখানে একটি কার্যকরী মানুষ হওয়ার জন্য বিশ্বে প্রবেশ করার সময় স্মৃতিভ্রংশের সময় প্রবেশ করেন। কিন্তু একবার এটি পর্যাপ্তভাবে অর্জিত হলে, আপনাকে অবশ্যই জ্ঞানের দিকে ফিরে যেতে হবে। আপনাকে অবশ্যই জ্ঞান খুঁজে বের করতে হবে এবং জ্ঞানের পদক্ষেপ নিতে হবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে এর কি সম্পর্ক আছে? বৃহত্তর কমিউনিটি আধ্যাত্মিকতা বোঝার এবং অনুভব করার ক্ষেত্রে এটি অপরিহার্য উপাদান কেন? কেন এই মৌলিকতা যাতে আপনি বুদ্ধিমান জীবনের অন্যান্য রূপের সাথে আপনার মুখোমুখি হওয়ার জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে সক্ষম?

আমরা যেমন বলেছি, জ্ঞান হল আপনার আধ্যাত্মিকতা এবং আপনার আধ্যাত্মিক স্বভাবের সারাংশ। এটি মহাবিশ্বের সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের আধ্যাত্মিকতা এবং আধ্যাত্মিক প্রকৃতিরও সারাংশও।

যদিও আপনি একই ইতিহাস, একই সংস্কৃতি, একই আচার, একই কনভেনশন বা এমনকি একই বিশ্বাস বা আদর্শকে ধারণ করেন না, জ্ঞানের স্তরে আপনি একজন। আপনি একে অপরকে বুঝতে পারেন। আপনি এক সওা থেকে আরেকটা সত্ত্বা, এক অস্তিত্ব থেকে আরেকটা অস্তিত্বে যোগাযোগ করতে পারেন। একসাথে আপনি জাতি, সংস্কৃতি, পরিচয়, বিশ্বাস এবং মেলামেশার সমস্ত সীমানা অতিক্রম করতে পারেন। এটি সমস্ত বুদ্ধিমান জীবনের সাথে আপনার মৌলিক সংযোগ। এটি তাদের সাথে ভাগ করে নেওয়া বৃহত্তর আধ্যাত্মিকতা। এই কারণেই এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের আধ্যাত্মিকতার সারমর্ম।

যাইহোক, জ্ঞান আপনাকে বিশ্বের বাইরে থেকে এবং মানবতার প্রেক্ষাপটে বুদ্ধিমান জাতিগুলির সাথে কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সক্ষম করার জন্য মৌলিক। এটি মৌলিকভাবে সত্য কারণ জ্ঞানই আপনার একমাত্র অংশ যা মানসিক পরিবেশে প্রভাবিত হতে পারে না।

আসুন আমরা এটি পরিষ্কার করি। আপনার চিন্তা, আপনার ইচ্ছা, আপনার অনুভূতি, আপনার আবেগ, আপনার প্রবণতা এবং আপনার বিশ্বাস সবই প্রভাবের অধীন এবং প্রকৃতপক্ষে, বছরের পর বছর প্রভাবের ফল। আপনি যদি আপনার মনকে সাবধানে পরীক্ষা করেন তবে আপনি খুঁজে পাবেন যে আপনি যে চিন্তাধারাগুলির উপর নির্ভর করেন তার বেশিরভাগই আপনি নির্মাতা নন যা আপনাকে নিশ্চিত এবং স্থিতিশীলতা দেয়। তারা কেবল আপনার পরিবেশ থেকে শোষিত হয়েছে। তারা পরিস্থিতির ফসল। যেমনটি আমরা আগেই বলেছি, পৃথিবীতে খুব কম মূল চিন্তাভাবনা আছে।

জ্ঞানের শিক্ষার্থীদের অন্যতম কাজ হল তাদের নিজস্ব পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে সম্পূর্ণরূপে সম্মতি দেওয়া এবং এই পরিস্থিতিকে শক্তিশালী করার জন্য অব্যাহত থাকা প্রাথমিক উপাদান এবং শক্তিগুলিকে স্বীকৃতি দেওয়া। যদিও এটি একটি সংস্কৃতির মধ্যে সামাজিক অভিন্নতা তৈরি করে, এটি ব্যক্তির জন্য দারুণ সংযম তৈরি করে, সংযম যা জ্ঞানের একজন শিক্ষার্থীকে চিনতে এবং কাটিয়ে উঠতে শেখা উচিত।

জ্ঞান খুঁজে পেতে হলে, আপনাকে অবশ্যই এমন সব কিছু চিনতে হবে যা আপনাকে এটি আবিষ্কার করতে বাধা দেয়। জ্ঞান অনুসরণ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই সেই বাধাগুলি চিনতে হবে এবং অতিক্রম করতে হবে যা আপনাকে এটি করতে বাধা দেয়। এখানে আপনি মানসিক পরিবেশে সেই শক্তির মুখোমুখি হন যা অতীতে আপনার চিন্তাধারাকে নির্দেশ করে এবং শর্তযুক্ত করে এবং সেই শক্তিগুলি যা অব্যাহত রয়েছে। এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনার বেশিরভাগ বিশ্বাস আপনার নিজের নয়, আপনার বেশিরভাগ চিন্তা আপনার নিজের নয়, আপনার অনেক আবেগ আপনার নিজের নয়। বছরের পর বছরের প্রভাবাধীনে তারা আপনার মধ্যে শর্তযুক্ত হয়েছে।

এই কারণেই আমরা সুপারিশ করি না যে জ্ঞানের শিক্ষার্থী প্রচুর পরিমাণে টেলিভিশন শোনেন বা সংবাদপত্রটি প্রচুর পরিমাণে পড়েন যদি না কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য বা ফোকাস বিশ্বব্যাপী ঘটনা বা মানুষের একটি নির্দিষ্ট দিক সম্পর্কে জানার জন্য থাকে। গণমাধ্যমের এই রূপগুলি কেবলমাত্র পুরানো ধারণাগুলিকে শক্তিশালী করে যাতে প্রত্যেককে একই রকম বা একইভাবে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি পর্যন্ত খুব কম বৈচিত্র্যের সাথে চিন্তা করে। এই ধরনের কন্ডিশনিং ইচ্ছাকৃত এবং অসাবধানী উভয়ই। এটি প্রত্যেককে একইভাবে একই তথ্য দিচ্ছে অনেকটা ভিন্নতা ছাড়াই।

তবুও আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞানকে প্ররোচিত করা যায় না। এটি কেবল অন্যের জ্ঞান এবং মহাবিশ্বের জ্ঞানের প্রতি সাড়া দেয়, যা স্রষ্টার মন। এটি প্ররোচিত নয়, এটি প্রতীত নয়, এমনকি এটি শারীরিক এবং মানসিক উভয় পরিবেশের মধ্যেই জীবনের সমস্ত উদ্ভাস দেখেও বিভ্রান্ত হয় না। এটা জানে কোনটা সত্য আর কোনটা সত্য নয়। এটি মিথ্যা দ্বারা প্রভাবিত হয় না। এটি মিথ্যা দ্বারা আন্দোলিত হয় না। এটি মিথ্যা দ্বারা পরাস্ত হয় না।

এই কারণেই এটি আপনার মধ্যে মহান শক্তি এবং ক্ষমতা। জীবন সম্পর্কে তার উপলব্ধি ব্যক্তিগত দৃষ্টিভঙ্গি বা সাংস্কৃতিক কন্ডিশনিং দ্বারা নির্ধারিত হয় না। এজন্য এটি বিশ্বে আপনার স্বাধীনতার প্রতিনিধিত্ব করে।

জ্ঞানের কাছাকাছি আসুন এবং আপনি জ্ঞানের স্বাধীনতা এবং জ্ঞানের শক্তি এবং জ্ঞানের সংকল্প পাবেন। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি এমন একটি জিনিস যা আপনি মুক্ত থাকবেন বা আপনি প্ররোচিত হবেন এবং শেষ পর্যন্ত আধিপত্য বিস্তার করবেন কিনা তার মধ্যে সমস্ত পার্থক্য তৈরি করে।

আপনি যখন ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ নিতে শিখবেন , আপনি দেখতে পাবেন সামাজিক অবস্থার ক্ষমতা এবং এটি আপনার চিন্তাভাবনা এবং আপনার আচরণকে কতটা অপরিমেয় প্রভাবিত করেছে। তবুও বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে, প্ররোচনার শক্তিগুলি অনেক বেশি শক্তিশালী এবং সচেতনভাবে নির্দেশিত।

আমরা যেমন বলেছি, মানুষের বিশ্বাস, মানবিক আদর্শ, এমনকি মানবধর্ম, মানসিক পরিবেশে সেই সমস্ত দর্শকদের দ্বারা সুবিধা গ্রহণ করা হবে যারা বিশ্বের মধ্যে প্রভাব এবং ক্ষমতা অর্জন করতে চায়। মানুষ যা চায়, যা কিছু মানুষ ভয় পায়, যা কিছু মানুষ বিশ্বাস করে, অবচেতনভাবে, এমন সব উপাদানকে প্রতিনিধিত্ব করে যা আপনার দর্শকরা মানুষের চিন্তাভাবনা এবং মানুষের আচরণকে নির্দেশ এবং নির্দেশ করতে ব্যবহার করতে পারে। এটি মানসিক পরিবেশে দক্ষতার প্রতিনিধিত্ব করে। এটি হেরফেরের একটি অদৃশ্য রূপ, এবং তবুও এর প্রকাশগুলি খুব দৃশ্যমান।

আপনি যা পড়েন, আপনাকে কী বলা হয়, আপনি কী শুনেন এবং কীভাবে আপনাকে জিনিসগুলি দেখতে শেখানো হয় তার সবই জীবনের দুর্দান্ত প্রকাশ। এখানে খুব কম মুক্ত চিন্তার মানুষ আছে কারণ এখনও বিশ্বের মধ্যে খুব কম ব্যক্তিই আছেন যারা জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী।

যদি আপনি এটিকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করেন, পছন্দ ছাড়াই এবং গুরুতর উদ্বেগ ছাড়াই, আপনি মানুষের অবস্থার আরও বৃহত্তর ধারণা অর্জন করতে শুরু করবেন এবং কেন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের প্রেক্ষাপটে মানবতা এতটাই ঝুঁকিপূর্ণ।

এখানে জীবনের গতিশীলতা এবং মিথস্ক্রিয়া বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই ভাল এবং মন্দ সম্পর্কে আপনার ধারণার বাইরে যেতে হবে। আমরা যেমন বলেছি, আপনার দর্শকরা মন্দ নয়; তাদের কেবল তাদের নিজস্ব চাহিদা রয়েছে যা তাদের বাধ্য করে। এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তারা জ্ঞানের সাথেও শক্তিশালী নয়, কারণ তাদের একটি নির্দিষ্ট উপায়ে চিন্তা করার জন্য এবং কোনও ব্যক্তিগত বিবেচনার বাইরে কিছু ক্রিয়াকলাপ সম্পাদনের জন্য শর্তযুক্ত এবং প্রোগ্রাম করা হয়েছে।

যদি আমি এতদূর যা বলছি তা আপনি অনুসরণ করেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে মানবতার জ্ঞানের প্রয়োজন। এটি এখন কেবল একটি আধ্যাত্মিক অনুসন্ধান নয়। বেঁচে থাকা এবং আত্মনিয়ন্ত্রণের জন্য এটি অপরিহার্য। এবং, এর বাইরে, সম্ভবত আপনি দেখতে পাবেন যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যেও মানবতার একটি সুবিধা আছে কারণ মানবজাতি, তার জটিল সামাজিক বিকাশ এবং তার সমৃদ্ধ আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের কারণে, জ্ঞানের ক্ষমতা রয়েছে, বলা যায় এই মুহূর্তে আপনার দর্শকদের থেকে জ্ঞানের জন্য অনেক বেশি ক্ষমতা এবং সুযোগ রয়েছে।

যে কেউ জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী হতে পারে সে মানসিক পরিবেশে মুক্ত থাকবে এবং সেখানে একটি ইতিবাচক এবং গঠনমূলক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হবে। তবুও জ্ঞান ছাড়া, আপনি এটি করতে পারবেন না। এটা সম্ভব হবে না। আপনার চিন্তা সহজভাবে আরো শক্তিশালী চিন্তাধারা দ্বারা প্রভাবিত হবে কারণ বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, আপনি গোষ্ঠী মনের সাথে মোকাবিলা করছেন, একগুচ্ছ স্বাধীন চিন্তাশীল ব্যক্তিদের সাথে নয়। এবং মানসিক পরিবেশের মধ্যে, গ্রুপ মন অসাধারণ শক্তিশালী।

আপনার পরিদর্শকরা সবাই গ্রুপ মনের অনুশীলন করে এবং এটি প্রদর্শন করে। এটাই তাদের মানুষের উপলব্ধি, মানব স্মৃতি এবং মানুষের আচরণকে প্রভাবিত করার দক্ষতা দেয়, যা তারা পৃথিবীর মধ্যে মানুষের সাথে সরাসরি ঘটেছে। এর প্রমাণ অবশ্যই আমি যা বলছি তার সাক্ষ্য দেবে।

যদি পরবর্তীতে লোকেরা মনে করে যে এটি একটি ইতিবাচক অভিজ্ঞতা বা নেতিবাচক অভিজ্ঞতা ছিল এই সত্যকে বিশ্বাস করে না যে তারা দর্শকদের উপস্থিতিতে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। আপনি নিজেকে আশ্বস্ত করার জন্য এটিকে ভাল বলতে পারেন অথবা আপনি এটিকে খারাপ বলতে পারেন। কিন্তু যদি আপনি নিজের ইচ্ছাকে নির্ধারণ করতে না পারেন, যদি আপনি নিজের মনকে ফোকাস করতে না পারেন, যদি আপনি একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতির সাথে সরাসরি মিথস্ক্রিয়ার মধ্যে আপনার অভ্যন্তরীণ সত্য বা প্রকৃতি প্রকাশ করতে না পারেন, তাহলে আপনি মানসিক পরিবেশে পরাস্ত হয়েছেন। যদি এটি চলতে থাকে, আপনি অবশেষে আপনার ইচ্ছা হারাবেন এবং স্বাধীনভাবে চিন্তা করতে পারবেন না।

এখানে আপনার জ্ঞানের ভিত্তি অর্জনের সম্ভাবনা ক্রমশ দূরবর্তী হয়ে উঠছে। আপনি মাটি হারাবেন। আপনি কেবল তাদের গ্রুপ মনের প্রভাব হয়ে উঠবেন। এবং যেহেতু তারা বিশ্বের মধ্যে জ্ঞান পুনরুদ্ধার সমর্থন করে না, তারা আপনার প্রকৃত প্রকৃতি এবং এর বার্তা এবং আপনার জন্য উদ্দেশ্য খুঁজে পেতে আপনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ করবে।

সম্ভবত আপনি ভাবছেন, “এটা কিভাবে সম্ভব? কীভাবে এটি বিশ্বের মধ্যে ঘটতে পারে? তবুও আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে এটি এই মুহুর্তে ঘটছে এবং কয়েক দশক ধরে ঘটছে এবং ক্রমবর্ধমানভাবে প্রচলিত হয়ে উঠবে। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের এখানে, এবং এটি ইতিমধ্যে তার প্রভাবের জাল প্রতিষ্ঠা করছে। এবং এই প্রভাবটি এই মুহুর্তে আপনি যতটা উপলব্ধি করতে পারেন তার চেয়ে অনেক বেশি বিস্তৃত। এই কারণেই জ্ঞানের প্রয়োজন, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বোঝাপড়া এবং দৃষ্টিভঙ্গি শেখার প্রয়োজনীয়তা, এই সময়ে এত গুরুত্বপূর্ণ।

মানবতা হারিয়ে যাচ্ছে। মানসিক পরিবেশের দিক দিয়ে শুরু থেকেই কখনোই শক্তিশালী ছিল না, কিন্তু এটি মারাত্মকভাবে হারিয়ে যাচ্ছে। এজন্যই বিশ্বের মধ্যে একটি তীব্র এবং জরুরি আধ্যাত্মিক আহ্বান রয়েছে। এটা মানুষ যতটা উপলব্ধি করে তার চেয়ে বেশি জরুরি। তারা সম্ভবত মনে করে, “আচ্ছা, এটি আলোকিত হওয়ার একটি সুযোগ মাত্র।” না। এটি অখণ্ডতা এবং স্বয়ং মানবতার আত্মনিয়ন্ত্রণ সংরক্ষণের প্রয়োজন।

এমনকি যদি মানবতার গুরুতর পরিবেশগত এবং সামাজিক সমস্যা না থাকত, বৃহত্তর সম্প্রদায়ের উপস্থিতি বিশ্বে একটি জরুরি আহ্বান সৃষ্টি করত। তবুও মানুষ বৃহত্তর শক্তি সম্পর্কে অজানা যা এখন তাদের অভিজ্ঞতাকে রুপ দিচ্ছে এবং যা তাদের ভবিষ্যত এবং ভাগ্য নির্ধারণ করছে।

তবুও যদি আপনি মানব ইতিহাস পড়েন, এখানেও আপনি দেখতে পাবেন যে অধিকাংশ মানুষ বৃহত্তর সামাজিক ও রাজনৈতিক শক্তি সম্পর্কে অবগত ছিল না যা তাদের ভবিষ্যত এবং তাদের ভাগ্যকে গঠন করেছিল। এটি মানব ইতিহাস জুড়ে প্রদর্শিত হয়েছে, এবং তবুও পরিস্থিতি এখন সম্পূর্ণ অন্য স্তরে পৌঁছেছে, সম্পূর্ণ অন্য মাত্রায়।

অতএব, জ্ঞানের আহ্বান, যা মৌলিকভাবে একটি আধ্যাত্মিক আহ্বান, বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত তীব্রতা এবং তাত্পর্য সহকারে ধ্বনিত হচ্ছে। এই কারণেই আপনি সম্ভবত সামান্য ব্যক্তিগত আরাম বা ব্যক্তিগত আনন্দ নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন না। এজন্যই কিছু একটা আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

সম্ভবত আপনি এটি বুঝতে পারবেন না। সম্ভবত আপনি এর অর্থ কি জানেন না। সম্ভবত এটি আপনাকে বিরক্ত করে এবং আপনাকে কেবলমাত্র কয়েকটি আরামের উপর নির্ভর করতে বাধা দেয় যা আপনি পথিমধ্যে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। তবুও এটি আপনার ভিতরে জ্ঞানের গতিবিধির প্রতিনিধিত্ব করে, এবং এটি সেই মহান এবং জরুরী আহ্বানের প্রতিনিধিত্ব করে যা আমরা এখানে বলছি।

মানবতা যাতে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে সফলভাবে আবির্ভূত হতে পারে এবং সেখানে একটি স্থান গ্রহণ করতে পারে, এমন একটি স্থান যেখানে এটি তার স্বাধীনতা সংরক্ষণ এবং বজায় রাখতে পারে এবং তার ক্ষমতা প্রতিষ্ঠা করতে পারে, জ্ঞানের বিকাশ, ব্যক্তিগতভাবে এবং সম্মিলিতভাবে, অনেক বড় হতে হবে এই মুহুর্তের তুলনায়।

এটা সরকারি কর্মসূচির ফল হবে না। এটি আপনার শিক্ষা ব্যবস্থার ফল হবে না। এটি হবে আপনার মতো ব্যক্তি, পুরুষ ও মহিলাদের, সাহসের এবং জ্ঞানের পথ অনুসরণ করার জন্য অভ্যন্তরীণ আহ্বানের, এবং জ্ঞানে শক্তিশালী হওয়ার, এবং তাদের দায়িত্ব দাবি করার এবং তারা এখানে থাকা অবস্থায় তাদের উত্তরাধিকার গ্রহণের ফলাফল।

জ্ঞানসম্পন্ন নর -নারী সবসময় মানব জাতিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন। এগুলি সর্বদা আবিষ্কার, উদ্ভাবন এবং সামাজিক পুনরুজ্জীবনের উত্স ছিল। তারা সর্বদা সেখানে আধ্যাত্মিকতার নির্যাস যোগ করে ধর্মকে বাঁচিয়ে রাখার উৎস। এবং তবুও এখন আমরা একটি দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্টে এসেছি যেখানে এর প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেশি।

আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান জানে যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানবতা উদ্ভূত হচ্ছে। এটা জানে এইজন্যই আপনি পৃথিবীতে এসেছেন। এটি জানে যে এটি একটি অত্যধিক প্রয়োজন এবং বাস্তবতা। এবং তবুও এটি ঠিক জানে আপনি এই মুহুর্তে কোথায় দাঁড়িয়ে আছেন, আপনি কী বিশ্বাস করেন, আপনি কী ভাবেন, আপনি কী মূল্য দেন, আপনার অনুভূতি কোথায় থাকে এবং কী তাদের প্রভাবিত করে।

এটি জানে যে আপনাকে অবশ্যই মুক্ত হতে হবে। এটি জানে যে আপনাকে অবশ্যই সম্পূর্ণ এবং শক্তিশালী হতে হবে। এটি জানে যে আপনাকে জ্ঞানের মহান সাম্য এবং জ্ঞানের মহান শক্তি খুঁজে বের করতে হবে। এবং এটি আপনাকে নিরন্তর এই দিকে নিয়ে যাবে। বিশ্রাম হবে না। যতক্ষণ না আপনি এটি খুঁজে পান ততক্ষণ পর্যন্ত কোন অবকাশ পাবেন না, কারণ এটি আপনার সত্তার অনুসন্ধান এবং আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে, ক্ষুদ্র গোষ্ঠীর ব্যক্তিরা জ্ঞান প্রতিষ্ঠা করতে, জ্ঞান অর্জন করতে এবং জ্ঞান প্রকাশ করতে সক্ষম হয়েছে। এবং এখনও এটি সাধারণত অনেক বেশি বিপজ্জনক এবং আরও কঠিন পরিস্থিতির অধীনে হয় যা আপনি এখন আপনার বিশ্বের মধ্যে সম্মুখীন হন। অত্যন্ত নিবন্ধিত এবং উন্নত সমাজে, ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞানের উত্থান একটি বড় হুমকি হিসাবে দেখা হয়, এবং এটি প্রায়ই নির্মমভাবে দমন করা হয়।

এখানে নাগরিকদের মন, মনোভাব এবং অগ্রাধিকারগুলি মানসিক পরিবেশ এবং সামাজিক অবস্থার মাধ্যমে অতিশয় নিয়ন্ত্রিত। অতএব, জ্ঞানের ব্যক্তি এই পরিস্থিতিতে অনেক বেশি সমস্যার সম্মুখীন হন। তাদের স্বাধীনতা অর্জন করা এবং তাদের সামাজিক পরিবেশ এবং তাদের মানসিক পরিবেশের মধ্যে এটি বজায় রাখা একটি ভয়ানক কঠিন কাজ। তবুও তারা একা নন।

এবং এখানে আমরা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য আপনার বোঝার এবং প্রস্তুতির একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশে এসেছি। প্রত্যেক ব্যক্তি যে জ্ঞানের সাথে শক্তিশালী হয়ে উঠতে এবং বিশ্বের অভ্যন্তরে যে মহান আহ্বানে সাড়া দিতে সচেতন সিদ্ধান্ত নেয় তার অসাধারণ সহায়তা হবে এবং তারা নিজেদেরকে বিশ্বের বৃহত্তর সমিতির জন্য উন্মুক্ত করবে, উভয় জগতের মধ্যে এবং এর বাইরেও।

মানুষের উন্নয়ন তত্ত্বাবধান মহান আধ্যাত্মিক শক্তি। আমরা এইগুলিকে অদৃশ্য সত্তা বলি, অথবা কমপক্ষে এইভাবে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের অনেক সংস্কৃতিতে তাদের বলা হয়। উদ্যানপালকদের মত, তারা মানুষের বুদ্ধি এবং মানব আত্মার বিকাশ তত্ত্বাবধান করে যেমন তারা বুদ্ধিমত্তা এবং আত্মার তত্ত্বাবধান করে যেখানে সমস্ত জগতে বুদ্ধিমান জীবন বসবাস করে।

এখানে মানব সমাজ একটি মহান উর্বরতা প্রতিনিধিত্ব করে, এবং তবুও তারা প্রচণ্ড বিশৃঙ্খলার মধ্যে রয়েছে। এখানে ব্যক্তির পক্ষে জ্ঞানের প্রতি সাড়া দেওয়া এবং ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ গ্রহণ করা সম্ভব, কিন্তু তাদের পক্ষে মানবতার দিককে প্রভাবিত করা খুব কঠিন কারণ তাদের সংখ্যা খুবই কম এবং তাদের অভিজ্ঞতা এবং তাদের বিকাশের বিপরীতে মানব সমাজে প্রচলন এবং প্রথা অনেক বেশি।

তারা অসাধারণ মানুষ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, এবং তবুও চরম প্রতিকূলতা, নিপীড়ন বা ভুল বোঝাবুঝির মুখোমুখি না হওয়ার জন্য তাদের অবশ্যই গোপন থাকতে হবে। তবুও তাদের অদৃশ্য সত্তাদের সাথে একটি বৃহত্তর সমিতি রয়েছে, একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক সমিতি, যা অগ্রগতি এবং উন্নতির সাথে সাথে আরও শক্তিশালী হয়ে ওঠে।

এটি, তাহলে, আপনাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মানবতার আসল মিত্ররা কেমন এবং কেন তারা মানব উন্নয়ন এবং মানুষের অখণ্ডতা রক্ষায় উদ্বিগ্ন সে সম্পর্কে একটি পরিষ্কার ধারণা দেয়। বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে আপনার সত্যিকারের মিত্ররা জ্ঞানের একটি সম্প্রদায়কে প্রতিনিধিত্ব করে। তারা মহান সামরিক বা রাজনৈতিক শক্তি নয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, তারা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে লুকিয়ে থাকে। তবুও তারা অদৃশ্য সত্তাদের মাধ্যমে আপনার সাথে যোগাযোগ করতে পারে এমনকি আপনি এখানে থাকাকালীন, কারণ এটি একটি বৃহত্তর আধ্যাত্মিক সমিতি এবং নেটওয়ার্ক যেখানে আপনি জ্ঞানের পথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আবির্ভূত হন।

এখানে আপনি দেখতে পাবেন যে ভৌত জগতের মধ্যে মিথস্ক্রিয়াগুলির একটি দুর্দান্ত এবং জটিল বিকাশ ঘটলেও, এক অর্থে, পর্দার আড়ালে, যোগাযোগের একটি দুর্দান্ত নেটওয়ার্ক যা ভৌতিক ক্ষেত্রের বাইরে প্রসারিত। কারণ এটি জ্ঞানের স্তরে, এটি জ্ঞান প্রদর্শন করে এবং জ্ঞানকে প্রতিফলিত করে। এটা কোন মানসিক পরিবেশ নয় এই অর্থে যে কোন ধরনের শক্তি সেখানে বাস করতে পারে। মানসিক পরিবেশ একটি মানসিক পরিবেশ, কিন্তু জ্ঞানের পরিবেশ একইভাবে মানসিক পরিবেশ নয়।

এখানে আপনি বুঝতে শুরু করেছেন যে বৃহত্তর কমিউনিটিতে আপনার মিত্র আছে। তারা পৃথিবীতে জ্ঞানের পুনরুদ্ধারকে সমর্থন করে এবং তারা অদৃশ্য সত্তার সাথে সংযুক্ত থাকে, যেমন আপনি অদৃশ্য সত্তার সাথে সংযুক্ত হতে শিখছেন। তারা সমগ্র মহাবিশ্বের মধ্যে জ্ঞানকে দৃঢ় করতে চায়। তারা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে বিদ্যমান জটিল মানসিক এবং সামাজিক পরিবেশের মধ্যে জ্ঞানকে বাঁচিয়ে রাখতে চায়। জীবনে তাদের মিশন হল জ্ঞান প্রকাশ করা, জ্ঞান প্রদর্শন করা এবং ব্যক্তিবর্গের মন ও হৃদয়ে জ্ঞানকে জীবিত রাখা, উভয় নিজ নিজ জগতের মধ্যে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে।

যদিও আপনি তাদের মুখোমুখি কখনও দেখা করবেন না, এগুলো আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ মিত্র এবং আপনার সবচেয়ে শক্তিশালী সম্পর্কের প্রতিনিধিত্ব করে। শুধুমাত্র যদি আপনি জ্ঞানের পথে অগ্রসর হন, কেবলমাত্র যদি আপনি উপলব্ধির মহান সীমানা অতিক্রম করেন তবে আপনি সরাসরি তাদের অভিজ্ঞতা অর্জন করতে সক্ষম হবেন, এবং তাদের অভিপ্রায়ের শক্তি এবং তাদের ইচ্ছার অনুগ্রহ।

তবুও এই মুহুর্তে, এটি গুরুত্বপূর্ণ যে আপনি জানেন যে তাদের অস্তিত্ব রয়েছে, অথবা আপনি অনুভব করবেন যে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে মানবতার একেবারে কোন সুযোগ নেই এবং আমি এখানে যা উপস্থাপন করছি তা একেবারে অপ্রতিরোধ্য বলে মনে হবে এবং এটি আপনাকে নিরুৎসাহিত করবে। কিন্তু নিরুৎসাহিত হবেন না, সৃষ্টিকর্তার শক্তি, অদৃশ্য সত্তার শক্তি এবং জ্ঞানের মহান সম্প্রদায়ের শক্তি যেমন তারা বৃহত্তর সম্প্রদায় জুড়ে রয়েছে আপনার সাথে থাকে এবং আপনার সামাজিক অবস্থা কাটিয়ে উঠতে আপনার কঠিন কাজে আপনাকে সমর্থন করে , আপনার মানসিক পরিবেশে স্বাধীনতা অর্জন এবং জ্ঞানের পথ খুঁজে বের করার জন্য।

সান্ত্বনাও নিন কারণ পৃথিবীতে আজ একটি মহান শিক্ষা রয়েছে যা সৃষ্টিকর্তা এখানে অস্তিত্বে আসতে ইচ্ছা পোষণ করেছেন। এটি আপনার সত্যিকারের মিত্রদের আকাঙ্ক্ষা এবং ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে যাতে আপনি আপনার স্বাধীনতা খুঁজে পেতে পারেন এবং বিশ্বের সেবায় গঠনমূলকভাবে তা প্রকাশ করতে পারেন।

‘বৃহত্তর সম্প্রদায় জ্ঞানের পথ’ নামে একটি মহান শিক্ষা মানবতাকে দেওয়া হচ্ছে। এর উদ্দেশ্য বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করা এবং শেখার, জীবনযাপন এবং জ্ঞানের পথ প্রকাশে মৌলিক এবং অপরিহার্য শিক্ষা প্রদান করা। এটি ‘জ্ঞানের প্রতি পদক্ষেপ’ নামক অধ্যয়নের একটি অনন্য পদ্ধতি প্রদান করে।

এটি বিশ্বের প্রত্যেকের জন্য এবং যে কেউ এই মুহুর্তে নিজের মধ্যে মহান আহ্বান অনুভব করতে পারে তার জন্য। এটি আধ্যাত্মিক পুনরুদ্ধারের ভিত্তি স্থাপন করে, যাকে আমরা জ্ঞান পুনরুদ্ধার বলি। এটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দৃষ্টিভঙ্গি এবং বোঝাপড়া অর্জনের ভিত্তি স্থাপন করে। এটি আপনাকে অন্যদের সাথে সত্য এবং উদ্দেশ্যমূলক সম্পর্কগুলির স্বীকৃতি এবং প্রতিষ্ঠার জন্য একটি ভিত্তি তৈরি করতে সক্ষম করে। এটি বাস্তবতা এবং জ্ঞানের অভিজ্ঞতা দৈনন্দিন জীবনে, বিশ্বের মধ্যে আপনার ক্রিয়াকলাপের সমস্ত দিক নিয়ে আসে। এবং পরিশেষে, এটি আপনাকে বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত করে আপনার প্রকৃত শক্তি ও সামর্থ্যের সাথে যুক্ত করে, স্বাধীনতার ভিত্তি প্রদান করে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর মানসিক পরিবেশের মধ্যে বুদ্ধিমান মিথস্ক্রিয়ার গতিশীলতা শেখানোর মাধ্যমে যেখানে আপনি এখন একটি জাতি হিসেবে আবির্ভূত হচ্ছেন।

এটি আপনার ভাগ্যের প্রতি সাড়া দেয়; এটি আপনার ভাগ্যের উপর জোর দেয়। এটি আপনার প্রকৃত আধ্যাত্মিক প্রকৃতির প্রতি সাড়া দেয়; এটি আপনার প্রকৃত আধ্যাত্মিক প্রকৃতির উপর জোর দেয়। এই শিক্ষণ এক ব্যক্তির মাধ্যমে উপস্থাপন করা হচ্ছে, কিন্তু এটি শুধুমাত্র এই এক ব্যক্তির শিক্ষার ফসল নয়, কারণ পৃথিবীতে এমন কোন ব্যক্তি নেই যে এই ধরনের শিক্ষণ তৈরি করতে পারে।

তাহলে আত্মবিশ্বাস রাখুন, কারণ আপনার দারুণ সহযোগিতা আছে। প্রস্তুতির পদ্ধতি আপনাকে দেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে এটি আপনার জন্য উপলব্ধ। এই বইটি তার বাস্তবতা এবং বিশ্বে অস্তিত্বের একটি প্রমান।

আত্মবিশ্বাস রাখুন কারণ অদৃশ্য সত্তা আপনার সাথে আছে এবং আপনাকে পথ দেখাবে এবং আপনাকে এগিয়ে যাবে এবং জ্ঞানের পথে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আপনাকে আশীর্বাদ করবে।

আত্মবিশ্বাস রাখুন কারণ আপনার বৃহত্তর সম্প্রদায়ের শক্তিশালী মিত্র আছে, যারা অনেক কষ্ট এবং ত্যাগের মাধ্যমে জ্ঞানের বাস্তবতা প্রতিষ্ঠা করেছে এবং তাদের নিজস্ব জগতের মধ্যে জ্ঞানের পথকে উন্নত করেছে। একটি ‘বৃহত্তর সম্প্রদায় জ্ঞানের পথ’ অধ্যয়নের মাধ্যমে তাদের কৃতিত্ব আপনার কাছে উপলব্ধ করা হয়েছে। এবং তাদের সচেতনতা এবং তাদের আত্মার মাহাত্ম্য সরাসরি অনুভব করা যায় যখন আপনি জ্ঞানের স্তরে অন্যদের সাথে যোগাযোগ করতে শিখবেন এবং জীবনের এই বৃহত্তর আধ্যাত্মিক প্যানোরামায় প্রবেশ করবেন।

এখানে আপনি চমত্কার বিশ্বাস ছাড়াই প্রবেশ করেন, জটিল আধ্যাত্মিক বিশ্বাস ব্যবস্থা ছাড়া, উচ্চ আদর্শ ছাড়া, অবাস্তব মেলামেশা ছাড়াই। পরিবর্তে, আপনি আত্মার বিশুদ্ধতা এবং মনের সম্পূর্ণতা দিয়ে প্রবেশ করবেন যা শুধুমাত্র একজন ব্যক্তি বা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের যে কোন ব্যক্তিকে জীবনের এই মহান সমিতিতে প্রবেশ করতে সক্ষম করবে যাকে আমরা জ্ঞান বলি।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য আপনার প্রস্তুতি, তাই, একটি আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি। এটি আপনার আধ্যাত্মিক শক্তি এবং বুদ্ধিমত্তা পুনরুদ্ধারের একটি মৌলিক প্রস্তুতি। এটি জ্ঞানের পথ অনুসরণ করে এবং জ্ঞানের পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয় । এখানে আপনি ধর্মের সীমা অতিক্রম করেন এবং আধ্যাত্মিকতার বৃহত্তর প্যানোরামায় প্রবেশ করেন কারণ এটি সত্যিই কাজ করে এবং আপনার দৈনন্দিন জীবনের ভৌতিক বাস্তবতার মধ্যে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতার মধ্যে বিদ্যমান।

দীক্ষা

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
28 জুন, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

 

বিশ্ব যখন তার দৈনন্দিন বিষয়গুলি নিয়ে চলেছে, কিন্তু ম্যাসেঞ্জারকে অবশ্যই একটি ঘোষণা করতে হবে। তাঁকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বাঁণীকে প্রচার করতে হবে, কারণ এটি অনেক মানুষের জীবন এবং ভবিষ্যতের মূল চাবিকাঠি।

এটি তাদের আহ্বান, তাদের মহান আহ্বানের সূচনা করবে যা অন্য কোনও শিক্ষার দ্বারা বা অন্য কোনও বাস্তবতার দ্বারা শুরু করা যায়নি।

এটি এখানে এসেছে দুর্দান্ত পরিবর্তনের জন্য বিশ্বেকে প্রস্তুত করতে, পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ — এক দুর্দান্ত পরিবেশ, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন — যা আজ মানুষ প্রত্যাশা করে তার চেয়েও অনেক বৃহওর।

অনেক লোক নতুন প্রত্যাদেশের অপেক্ষায় রয়েছে, কারণ তারা পূর্বের ধর্মগুলিতে, বিশ্বের বিভিন্ন ঐতিহ্যের মধ্যে এই দীক্ষা পায়নি। তারা প্রেমের মাধ্যমে, কাজের মাধ্যমে, অন্য কোনও ক্রিয়াকলাপের মাধ্যমে গভীর সংযোগ খুঁজে পেতে সক্ষম হয়নি। তারা এতদিন অপেক্ষা করেছিল। এত দিন তারা প্রত্যাদেশের অপেক্ষায় ছিল।

তাদের জন্য, এটি কেবল কোনও একটা শিক্ষা বা কোনও একটা ঘটনা নয়। তাদের কাছে কেবল অনুমান করা বা বিতর্ক করা অথবা অস্বীকার বা প্রত্যাখ্যান করার কিছু নয়। তাদের কাছে, ঘোষণাটা দারূণ বা অস্বাভাবিক কিছুও নয়। এটি একটা নিখুঁত জিনিস।

এটা তাদের দীক্ষা। এটি তাদের আহ্বানকে ধরে রেখেছে, তাদের মনের প্রাচীন করিডোরগুলিতে কথা বলেছে, তাদের একটি অংশের সাথে কথা বলছে যা তারা খুব কমই জানে, তবে এটি তাদের সত্তা এবং বিশ্বে তাদের উপস্থিতির কেন্দ্রবিন্দু।

তাদের জন্য, এটি একটি সর্বশ্রেষ্ঠ মুহূর্ত যদিও তারা এর সম্পূর্ণ অর্থ বা ভবিষ্যতে এটির কী প্রয়োজন হবে তা বুঝতে পারে না। তাদের কাছে, এটির জন্যই তারা অপেক্ষা করতেছিল।

তাদেরকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়েছিল দুর্দান্ত পরিবর্তনের সময়ে। তাদেরকে একটি নতুন ভবিষ্যত গঠনের অংশ হিসাবে বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছিল। তাদের সংযোগ অতীতের চেয়ে ভবিষ্যতের সাথে বেশি। তারা ভবিষ্যতের সন্তান।

এর আগে যা ঘটেছিল, যা আগে প্রকাশিত হয়েছিল তা অনুপ্রেরণাজনক বা উপকারী হতে পারে তবে এটি তাদের দীক্ষা রাখে নাই। এটি তাদের মহান আহ্বান করে নাই। এই জিনিসগুলিতে তারা এত দিন যা খুঁজছিল এবং অপেক্ষায় ছিল তা ধারণ করে নাই। এটা তাদের ভাগ্য, আপনি দেখুন।

আপনি পৃথিবীতে আসার আগে যা স্থাপন করা হয়েছিল তা পরিবর্তন করতে পারবেন না। যদিও দিনের এবং বছরের ঘটনাগুলি আপনার পরিস্থিতির পরিবর্তন করে এবং আপনার সুযোগের পরিবর্তন করে, তবে আপনার ভাগ্য এখনও একই।

আপনি এই সঙ্গে যুদ্ধ করতে পারেন। আপনি এই নিয়ে বিতর্ক করতে পারেন। আপনি এটিকে দুর্দান্ত প্রকল্প, দুর্দান্ত রোম্যান্স, দুর্দান্ত প্রচেষ্টা বা যে কোনও সংখ্যক বিভ্রান্তি এবং কল্পনা দিয়ে প্রতিস্থাপনের চেষ্টা করতে পারেন তবে আপনি আসার আগে আপনার ভিতরে যা ছিল তা পরিবর্তন করতে পারবেন না।

এটি কীভাবে ঘটবে, যদি এটি ঘটে, যেখানে এটি ঘটবে সবকিছু পরিবর্তিত হবে এবং বিশ্বের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবং মানুষের মধ্যে পরিবর্তনশীল আনুগত্যে এবং তাদের পরিস্থিতি এবং পরিবেশ এবং আরও অনেক কিছুর দ্বারা পরিবর্তন হচ্ছে।

যদি নতুন বাঁণী গ্রহন করা আপনার নিয়তি হয়, তবে আপনি অন্য কোথাও আপনার আহ্বান খুঁজে পাবেন না। আপনি যেভাবে পারেন চেষ্টা করুন। প্রতিরোধী হন। অস্বীকার করুন। আলাদা হয়ে দাঁড়ান। এটির সাথে দোষ খুঁজতে চেষ্টা করুন। এটি অবজ্ঞা করার চেষ্টা করুন। এটি  উপসাগর এ রাখার চেষ্টা করুন। তবে এটি আপনার ভাগ্যকে ধারণ করে যে আপনি এটি পরিবর্তন করতে পারবেন না।

আপনার মন জল্পনা করতে পারে। আপনার মন প্রশ্ন করবে। আপনার মন এটি হাস্যকর মনে করবে; এটি হতে পারে না। তবে আপনার হৃদয় জানবে। আপনার আত্মা সক্রিয় করা হবে।

এটি এমন ভয়েসের মতো যা পৃথিবীতে আসার আগে আপনাকে বলেছিল, আপনাকে এই কঠিন এবং চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে প্রবেশের জন্য প্রস্তুত করছে। এটি সেই ভয়েস – সেই ভয়েসের মতো আমাদের ভয়েসের মতো — যা সংযোগটি জীবন্ত করে তোলে, যা আপনার জীবনের প্রাথমিক ফোকাস এবং অর্থ পুনরুদ্ধার করে।

তবে দীক্ষার মুহুর্তে আপনি বুঝতে পারবেন না। এটা এত বিভ্রান্তকর হবে। এটি আপনার লক্ষ্য এবং আপনার ধারণা এবং আপনার নিজের সম্পর্কে এবং বিশ্বে আপনি যা করছেন তার থেকে সম্পুর্ন আলাদা।

এবং হঠাৎ করেই, এটি এমন হয় যেন আপনি বজ্রপাতের শিকার হন এবং অন্ধকারে এক মুহুর্তের জন্য সবকিছু আলোকিত হয়। এবং আপনি আপনার জীবন সম্পর্কে সত্যতা দেখেন এবং আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং আহ্বান থেকে আপনি সত্যই কতটা দূরে রয়েছেন, যেন আপনি সমুদ্রের কোন ভেলায় ভাসতে ছিলেন, বাতাস এবং বিশ্বের ঢেউয়ের দ্বারা বাহিত হয়ে চলেছেন।

কিন্তু ঈশ্বর আপনাকে সমুদ্রের বিশালতায় প্রবাহিত হওয়ার সময় আপনাকে পেয়ে গেছেন। সমুদ্রের তলদেশের একটি ক্ষুদ্র কণার মতো, আপনাকে সন্ধান করা হয়েছে। আপনি প্রত্যাদেশের দ্বারা সন্ধান হয়েছেন।

আপনার পরিস্থিতি বা মনের অবস্থা যাই হোক না কেন, আহ্বানটি আপনার সাথে কথা বলবে, কারণ এটি আপনার ভাগ্যের প্রতিনিধিত্ব করে। এটি অন্য কারও ভাগ্য নয়। তাদের সম্পর্কে আপনার চিন্তা করার দরকার নেই। এটা আপনার নিয়তি।

আপনি বলতে পারেন, “অন্যান্য লোকদের কী হবে? আমার স্ত্রীর কি হবে? আমার বাচ্চাদের কী হবে? আমার প্রিয় বন্ধুদের কি হবে?”

কিন্তু ঈশ্বর সমুদ্রের উপরের কনিকাটি খুঁজে পেয়েছেন এবং সেই কনিকাটি আপনি।

এটি দীক্ষা। এটি রহস্যময়। আপনি বুদ্ধি দিয়ে এটি বুঝতে পারবেন না। এর অর্থ কী বা এটি আপনাকে কী করতে পরিচালিত করবে আপনি তা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। এটি আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে কারণ ঈশ্বর আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে।

আপনার দুর্দান্ত ধারণা, আপনার দৃয় বিশ্বাস, এ সবকিছুই বর্তমানের মুখে অগভীর এবং দুর্বল বলে মনে হয়। আপনার যুক্তিগুলি ফাঁকা। আপনার প্রত্যাখ্যান প্রকৃতপক্ষে আবেগ ছাড়া। আপনার অস্বীকৃতি কৃত্রিম। আপনার অস্বীকৃতিতে দৃয় বিশ্বাসের অভাব রয়েছে। কারণ এটি আপনার দীক্ষা।

এবং একবার দীক্ষাটি স্বীকৃতি পেয়ে গেলে, কিছু সংগ্রামের পরে, প্রস্তুতির যাত্রাটি আপনার সামনে প্রসারিত হবে। জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি আপনার সামনে প্রসারিত। আপনার সত্যিকারের জীবন পুনরুদ্ধার এবং যা আপনার প্রয়োজন হবে এবং আপনার বর্তমান পরিস্থিতি এবং দায়বদ্ধতাগুলি ধাপে ধাপে আপনার সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

আপনি যেখান থেকে এসেছেন সেখান থেকে আপনি নিজের উদ্দেশ্যটিতে পৌঁছাতে পারবেন না কারণ আপনি অবিচ্ছিন্ন এবং আপনার নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধান পাননি। যেখানে আপনার জীবন বোঝানো হচ্ছে সেই জায়গার সন্ধান আপনি পাননি।

এটি এমন কি সময় যখন প্রত্যাদেশ দ্বারা উদ্ঘাটিত করা হবে। মুহুর্তের জন্য মনে হবে, তবে হঠাৎ করেই সব কিছু আলাদা লাগতে শুরু করবে। আপনার এমন অভিজ্ঞতা আছে যা আপনার সাধারণ অভিজ্ঞতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে থাকে এবং এটি একটি বৈসাদৃশ্য তৈরি করতে শুরু করবে যা আপনি আপনার সাথে চালিয়ে যাবেন। কারন আপনি নিজে থেকে কিছুই করতে পারবেন না যা এর সাথে প্রতিযোগিতা করতে পারে। আপনি যে কোনও অভিজ্ঞতা অর্জনের চেষ্টা করেছেন তার চেয়ে এটি বড়। এটি আপনি নিজের জন্য নির্ধারিত যে কোনও লক্ষ্যের চেয়ে বড়।

আপনি আতঙ্কিত ও অভিভূত, বিভ্রান্ত বোধ করছেন তবে ঠিক আছে। এটা স্বাভাবিক। আপনার জীবনটি হঠাৎ করে পাল্টে ফেলার জন্য অবশ্যই বিভ্রান্তি এবং বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এটি অবশ্যই আপনার বর্তমান আবেগ এবং বিভ্রান্তির জন্য বিমোহিতকর হবে।

একবার ঈশ্বর আপনার উপরে ঈশ্বরের চিহ্ন তৈরি করে ফেলেছেন, তারপরে এমন নয় যে আপনি নিজের জীবন থেকে এটি মুছে ফেলতে পারেন বা এটিকে ঢাকতে পারেন বা এটিকে দূরে সরিয়ে দিতে বা ব্যাখ্যা করতে বা নিজেকে যুক্তিযুক্ত করতে পারেন যাতে এর শক্তি হ্রাস পায়। আপনি কি আপনার জন্য প্রত্যাদেশের সাথে লড়াই করতে যাচ্ছেন?

এটি দুর্ঘটনাক্রমে নয় যে আপনি নতুন প্রত্যাদেশটি শুনে এসেছেন বা এমনকি শুনেছেন। স্বর্গের সমস্ত শক্তি যা আপনাকে সমর্থন করে তা আপনাকে এই স্বীকৃতি দানের দিকে নিয়ে যাওয়া এবং প্রক্রিয়াতে আপনার জীবনকে ধ্বংস থেকে দূরে রাখা, আপনি ইতিমধ্যে যে ক্ষতি করেছেন তা এবং ইতিমধ্যে আপনি যে অবক্ষয় তৈরি করেছেন তা সীমাবদ্ধ করা, যাতে আপনি উপলব্ধ হন এবং সাড়া জানাতে সক্ষম হন।

দীক্ষা আপনাকে অসহায় এবং বিভ্রান্ত, অত্যন্ত অনিশ্চিত বোধ করতে পারে। আপনি এমনকি এটি একটি বড় দুর্ভাগ্য বলে মনে করতে পারেন। তবে স্বর্গের অবস্থান ও দৃষ্টিকোণ থেকে আপনি অল্প সংখ্যক লোকের মধ্যে ধন্য, একজন ব্যক্তি যাকে সবচেয়ে বড় সুযোগ দেওয়া হয়েছে। তাহলে যদি এর অর্থ আপনার জীবন ও পরিস্থিতির পরিবর্তন হয় তাতে কি? আপনি কে এবং কেন আপনাকে প্রেরণ করা হয়েছে তার তুলনায় এটি কী?

হ্যাঁ, এই মুহুর্তে আপনার জন্য তাৎপর্যপূর্ণ এবং সম্ভবত আপনার সাথে জড়িত অন্যদের কাছে অর্থপূর্ণ। তবে আপনাকে একটি মহান সুযোগ এবং একটি সুযোগের চেয়েও বেশি দেওয়া হয়েছে — একটা আহ্বান।

এই দীক্ষাটি একবার হয়ে গেলে, আপনার যাত্রা বদলে যাবে, সম্ভবত শুরুতেই অজ্ঞাতসারে, তবে কিছু আপনার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করেছে। আপনি সত্যিই একই রকম থাকতে পারবেন না। এমনকি আপনি যদি জীবনও ব্যয় করেন যা ঘটেছে তা অস্বীকার করেন এবং প্রত্যাখ্যান করেন আপনি কখনই একই রকম থাকতে পারবেন না।

আপনি সরল আনন্দ নিয়ে একা কখনও খুশি হতে পারবেন না। আপনি আপনার পূর্বের লক্ষ্যগুলি বা বিযুক্তি, শখ এবং আগ্রহের সাথে কখনই সন্তুষ্ট হতে পারবেন না। কিছু একটা পরিবর্তন হয়েছে।

স্বর্গের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি মহান আশীর্বাদ। অবশেষে, আপনার জীবন মুক্তি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে আপনার কাছে এটি এই মুহুর্তে খুব আলাদা বলে মনে হবে।

তারপরে আপনাকে অবশ্যই প্রত্যাদেশে আটকে থাকতে হবে যদি তা আপনার দীক্ষা হয় এবং আপনি জানতে পারবেন যে এটি আপনার সত্তার কেন্দ্রে রয়েছে কিনা। এটি নিজের সাথে কোনও বৌদ্ধিক আলোচনা নয়। এটি একটি যৌক্তিক প্রক্রিয়া নয়। মানুষের যৌক্তিকতা কেবল একটি অনিশ্চিত এবং অবিশ্বাস্য পৃথিবীর সাথে সমঝোতা করার জন্য একটি মোকাবিলার ব্যবস্থা। এটি নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে উপযুক্ত তবে অন্যদের মধ্যে আশাহীন।

আপনি ম্যাসেঞ্জার সম্পর্কে জেনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ যদি তিনি দুনিয়াতে থাকাকালীন সময়ে দীক্ষা হয় তবে আপনার সুযোগটি আরও বেশি এবং তাত্পর্যপূর্ণ হয়ে ওঠে। তিনি এখানে থাকাকালীন আপনার তাকে মিস করা আপনার পক্ষে বড় দুর্ভাগ্যের বিষয় হবে।

প্রত্যাদেশ প্রতি কয়েক শতাব্দীতে, অথবা সম্ভবত সহস্রাব্দে একবার আসে এবং আপনি সেই সময়ে এখানে উপস্থিত আছেন। স্বর্গের দৃষ্টিকোণ থেকে, এটি একটি দুর্দান্ত আশীর্বাদ, একটি মহান সুযোগ।

কিন্তু মেসেঞ্জারকে কে চিনতে পারে? তিনি দেখতে খুবই সাধারন। তিনি দেখতে চিত্তাকর্ষক নন। তিনি বিশ্বে কোনও বড় পদ দখল করেন না। তিনি জনসাধারণের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যাবেন। তিনি তাদের মধ্যে চলাফেরা করবেন। কেউ তাকে চিনতে পারবে না, কেবল সম্ভবত তাদের জন্য যারা প্রত্যাদেশের দ্বারা আকৃষ্ট হয়েছিলেন।

যারা তাঁর সাথে সাক্ষাত করেন তাদের কাছে তিনি তাঁর আসল উদ্দেশ্যটি প্রকাশ এবং তারা কে তার উপর নির্ভর করে তাদের সাথে বিশ্বে কাজও করতে পারবেন না। এটি কীভাবে হতে পারে যে কেউ এটিকে দেখবে না? এটি কীভাবে হতে পারে যে পৃথিবীতে এই মহান গুরুত্বের কেউ তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লোকদের দ্বারা অচেনা হয়ে যায়?

এটি বিশ্বের দুর্দশা। প্রত্যেকেরই দেখার চোখ রয়েছে এবং শুনার কান রয়েছে তবে তারা অন্যরকমভাবে তাকিয়ে আছে এবং তারা তাদের মনের মধ্যে কী আছে এবং কী তাদের মনের মধ্যে যা আছে তা নিশ্চিত করে সেটা দেখার চেষ্টা করছে এবং বাস্তবে যা আছে তা নয়।

সুতরাং তারা তাকায় কিন্তু তারা দেখতে পায় না। তারা কান দেয়, কিন্তু তারা শুনতে পায় না। তারা ম্যাসেঞ্জারের পাশে দাঁড়ায়, কিন্তু তারা স্বীকৃতি দেয় না যে তারা এই মুহুর্তে পুরো বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়ে আছে।

সে নিজের সম্পর্কে এই কথা কখনও বলবেন না। তিনি এ জন্য অনেক বেশি নম্র, সুতরাং এটি অবশ্যই তাঁর জন্য বলা উচিত।

এটি শতাব্দীর আগের মত। আপনি মুহাম্মদের সাথে একটি টেবিলে চা খাচ্ছিলেন, তবে তিনি কে ছিলেন তা আপনি জানেন না। ঠিক আছে, তিনি অন্য কারও মতো লাগে। তিনি উপস্থিতি বিচ্ছুরিত করছেন না। তিনি এত দুর্দান্ত বা এত সর্বশক্তিমান নন যে তার চারপাশের প্রত্যেকেই তার উপস্থিতিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। তিনি কেবল একজন মানুষ, ঐতিহ্যবাহী সাজে, কেবল একজন মানুষ। এই যে সে। আমি এখন তাকে দেখতে পাচ্ছি। তিনি এখানে এসেছেন। বিশেষ কিছু না। এমনকি লোকেরা তাঁর কথা শোনার জন্য তাকে প্রচণ্ড প্রচার করতে হয়েছিল। এত অন্ধ ছিল তার চারপাশের প্রত্যেকে, খুব কম লোকই দেখতে পেত। যে কোনও প্রত্যাদেশের সময় ম্যাসেন্জারের উপর এরকমই দ্বিধা এবং বোঝা।

দীক্ষা প্রভাব দিয়ে শুরু হয়। এটি অসন্তুষ্টি এবং আপনি যা সন্ধান করছেন তা স্বীকৃতি দিয়ে শুরু হয় যে আপনার যা আছে এবং আপনি যেখানে আছেন এবং আপনি যা করছেন তাতে সন্তুষ্ট নন কারণ এটি আপনি কে এবং আপনি এখানে কেন এসেছেন তা উপস্থাপন করে না।

যারা সন্তুষ্ট বলে মনে করেন তারা এখনও নিজের মধ্যে এত গভীরভাবে পৌঁছতে পারেননি যে তাদের কোথায় থাকা উচিত এবং তাদের কী করা দরকার তারা যে অনেক অপ্রতুল হচ্ছেন তা বুঝতে পারে।

লক্ষ্যটি সুখের জন্য নয় বরং প্রস্তুতি, তৎপরতা, যোগাযোগ, পুনর্মিলন এবং চূড়ান্তভাবে বিশ্বের অবদান, যেখানেই এটি একটি ব্যক্তির জন্য উপযুক্ত হতে পারে। সে কারণেই সুখের সাধনা এতটাই প্রতারণামূলক কারণ প্রত্যাদেশটি আপনাকে অস্বস্তি করে তুলবে। এটি আপনাকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

আপনি কি মনে করেন যে ঈশ্বর আসবেন এবং আপনাকে সান্ত্বনা দেবেন যখন আপনাকে কিছু করার জন্য পাঠানো হয়েছে যা আপনি এখন করছেন না এবং করার কোন আশাও নেই যদি না আপনাকে আরও মহান কিছু দেওয়া হয়, যদি না আপনাকে জনতার ভেতর থেকে বাইরে ডেকে নেওয়া হয়, যদি না আপনার যাত্রা স্বর্গের শক্তি দ্বারা পরিবর্তন করা হয়?

আপনি কেবল সমুদ্রের এক ছএাক হয়ে উঠবেন, নিজের কাছেও অজানা, অন্যের কাছেও অজানা। এমনকি যদি সমাজে আপনার একটি বিশাল অবস্থান থাকে এবং আপনি ধন- সম্পদ এবং মর্যাদা অর্জন করে থাকেন তাহলে আপনার জীবনের খালি প্রকৃতি বিস্তৃত হবে যদি না আপনি আপনার মহান কাজটি পেয়ে থাকেন এবং আপনার যোগ্যতার সর্বোওম উপায়ে করে থাকেন।

যারা এই কাজটি করেন তারা তৃপ্তি এবং একটা মূল্য বোধ এবং শক্তি অনুভব করেন যা অন্য সবার কাছে হারিয়ে যায়, তারা নিজেদের জন্য যাই ঘোষণা করুক না কেন।

ঈশ্বরের নতুন বাঁণী মানবজাতির আধ্যাত্মিকতার প্রকৃতি স্পষ্ট করে দেবে, যা সংস্কৃতি, প্রচলিত রীতি এবং রাজনৈতিক কারসাজি দ্বারা আচ্ছন্ন।

এটি স্পষ্ট করে দেবে যে আপনি দুটি মনে নিয়ে জন্মেছেন — একটি পার্থিব মন যা বিশ্ব দ্বারা শর্তাধীন এবং আপনার মধ্যে গভীর মন যা এখনও ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত। এটি পরিষ্কার করে দেবে যে বুদ্ধিবৃত্তির সীমাবদ্ধতা রয়েছে এবং এই সীমানার বাইরে আপনাকে অবশ্যই মনের পৃষ্ঠতলে যেতে হবে।

এটি পরিষ্কার করে দেবে যে, আপনি আপনার মহান কাজ এবং ভাগ্য ছাড়া নিজেকে পরিপূরণ করতে পারবেন না এবং আপনি যে সমস্ত আনন্দ অনুসন্ধান করেন তা অস্থায়ী এবং আপনার আত্মার গভীর প্রয়োজনকে সন্তুষ্ট করবে না।

এটি পরিস্কার করে দেবে যে, আপনি দুর্দান্ত পরিবর্তনের এমন এক সময়ে বাস করছেন, যেখানে মহাবিশ্বে মানবতার বিচ্ছিন্নতার অবসান হবে এবং যেখানে পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ বিশ্বকে আঘাত করবে – এমন এক সময়, যা মহা উত্থান ও অনিশ্চিয়তার সময়, একটা প্রত্যাদেশ উদ্ভূত হওয়ার সময়।

মানুষ ম্যাসেঞ্জারের অনেকগুলি জিনিস চাইবে – নিয়তির বিধানের জন্য, অলৌকিক কাজের জন্য, অতিপ্রাকৃত কাউকে বিশ্বাস করার প্রত্যাশা, তাঁর উপস্থিতি এবং তাঁর কাজের দ্বারা তাদের জীবন আরও সমৃদ্ধ হওয়ার আশা করবে।

তারা হতাশ হবে, যেমন পূর্ববর্তী ম্যাসেঞ্জারগন অনেক মানুষকে হতাশ করেছিল। এ কারণেই ম্যাসেঞ্জারকে অস্বীকার করা হয়, প্রত্যাখ্যান করা হয়, এড়ানো হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে ধ্বংস করা হয় কারণ জনগণ যা চায় তা পায় না। তারা কেবল তাদের সত্যিকারের যা প্রয়োজন তা গ্রহণ করে।

মানুষ যা চায় এবং স্বর্গের ইচ্ছা খুব আলাদা। তবে সত্যিকার অর্থে যদি আপনি বেঁচে থাকা এবং বিশ্বের স্থিতিশীলতা এবং সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় সাধারণ জিনিসগুলি অর্জনের বাইরে আপনার গভীর প্রয়োজনীয়তাগুলি বুঝতে পারতেন তবে আপনি দেখতে পাবেন যে আপনি যা চান এবং স্বর্গের ইচ্ছা প্রকৃতপক্ষে একই। তবে এই স্বীকৃতিটি কেবল ব্যক্তির জন্য আত্ম-সততার খুব গভীর অবস্থায় ঘটবে।

এটি সম্ভবত এখনও পুরোপুরি খুঁজে পাননি। তবে আপনারা যারা আমাদের কথা শুনছেন তারা এমন পর্যায়ে এসেছেন যেখানে দীক্ষা আসতে পারে। আপনাকে অবশ্যই আপনার হৃদয় দিয়ে শুনতে হবে, আপনার রায় এবং আপনার ধারণাগুলির সাথে নয় এবং আপনার মনে হয় যে সমস্ত প্রয়োজনীয়তা প্রত্যাদেশটি সত্য এবং আপনার অর্থবহ হওয়ার জন্য প্রয়োজন, যেন আপনি এই বিষয়গুলি নির্ধারণ করতে পারেন।

এমনকি মানুষের দুর্দশার মধ্যেও, এখনও তাদের স্বীকৃতি দেওয়ার মতো নম্রতা নেই যে তারা স্রষ্টার সাথে এবং স্বর্গের ইচ্ছার সাথে তাদের প্রাথমিক সম্পর্কের বিষয়ে জড়িত হওয়ার শর্তাদি প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।

আপনার ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি প্রকৃতপক্ষে এটি করতে পারবে না কারণ এটি বিশ্বাসের ক্ষেত্রের বাইরে ঘটে। বিশ্বাস আপনাকে আপনার প্রাচীন বাড়িতে, আপনার স্বর্গীয় অবস্থাতে প্রবেশ করাবে না, কারণ বিশ্বাস খুব দুর্বল, খুব অস্থায়ী। আপনি যখন এই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন, তখন আপনার কোনও বিশ্বাস থাকবে না। তারা সবাই শরীরের সাথে চলে যাবে। আপনি ঠিক সেখানে সেইভাবেই যাবেন আপনি প্রকৃতপক্ষে যেমন।

আপনার আধ্যাত্মিক পরিবার আপনাকে গ্রহণ করবে এবং আপনাকে জিজ্ঞাসা করবে যে আপনি নির্দিষ্ট কিছু অর্জন করেছেন কিনা এবং সেই মুহুর্তে, আপনার বিশ্বাসের বোঝা এবং অন্ধ প্রভাব ছাড়াই, দিনের মত স্পষ্ট হবে যে আপনি এই প্রাথমিক কাজগুলি করেছেন বা করেন নি। এবং যদি অস্বীকার করা হয় তবে তাতে কোন নিন্দা নেই। এর অর্থ হ’ল আপনার কাজটি এখনও শেষ হয়নি।

আপনাকে স্বর্গে ফিরে যেতে হবে, আপনি বুঝতে পাচ্ছেন। আপনাকে বিচ্ছিন্ন বিশ্ব, বিচ্ছিন্ন মহাবিশ্বের সেবা করতে হবে। আপনাকে অবদানের মাধ্যমে এবং স্ব-বিকাশের মাধ্যমে আপনাকে ফিরে যেতে হবে। আপনি দুর্দশাগ্রস্ত, বিরোধযুক্ত, বিতর্কিত, গুরুতর ব্যক্তি হিসাবে আপনার প্রাচীন বাড়িতে ফিরে যেতে পারবেন না। যদি এমনটি হত তবে স্বর্গ আপনার কাছে জাহান্নামের মতো মনে হত।

ঈশ্বর কেবলমাত্র এই সমস্ত সমস্যাগুলির সাথে বিতরণ করেন না কারণ ঈশ্বর তাদের তৈরি করেন নি। তাদের অবহেলা করতে হবে। ঈশ্বর আপনার পূর্বের জীবন ও অস্তিত্বের ট্র্যাজেডিকে মুছে ফেলা এবং আপনার কাছে মর্যাদা এবং আপনার নিজের উদ্দেশ্য দাবি করা এবং আপনার উদ্দেশ্য যা পরিবেশন করা হবে তার ফিরিয়ে আনতে আপনাকে জ্ঞানের শক্তি, গভীর বুদ্ধি এবং একটি মহান আহ্বান জানিয়েছেন।

এটি সমস্ত কিছু দীক্ষা দিয়ে শুরু হয়। যদি এটি সত্য এবং কার্যকর হতে হয় তবে এটি দীক্ষা দিয়ে শুরু হয়। ঈশ্বর এখানেই নিযুক্ত হওয়ার শর্তাদি নির্ধারণ করেন এবং আপনার প্রাচীন বাড়ীর আসল যাত্রা শুরুর সূচনা করেন।

আপনি নিজেকে আপনার প্রকৃত অবস্থায় ফিরিয়ে নিতে পারবেন না কারণ আপনি উপায়টি জানেন না। আপনি কেবল অন্য কারও কাছ থেকে প্রেসক্রিপশনটি অনুসরণ করতে পারবেন না কারণ জ্ঞান এবং বর্তমানের সাথে জড়িত হওয়া অবশ্যই লাইন বরাবর কোথাও হতে হবে, নতুবা এটি একটি বৌদ্ধিক উদ্যোগ এবং আত্মার কোন যাত্রা নয়।

বিশ্বের জন্য সময়টা কম। নিজেকে নিখুঁত করতে বা আপনার দ্বিধা প্রকাশের চেষ্টা করার জন্য কয়েক দশক এবং শতাব্দী ব্যয় করার সময় নেই। এই আহ্বানটা এখুনকার জন্য। সময় দেরি হয়ে গেছে।

আপনি সাড়া জানাতে পারলে এটি আপনার জন্য চাপ হবে তবে চাপটি আপনাকে সাড়া জানাতে এবং প্রস্তুত হতে সময় কমিয়ে দেবে। এবং এটি একটি মহান আশীর্বাদ, কারণ সময়টি তাদের ভোগান্তির সমান হবে যারা সাড়া দিতে পারবে না।

উপহারটি আপনার মধ্যে রয়েছে তবে আপনি দরজাটি খুলতে পারবেন না। আপনার কাছে চাবি নেই। আপনি আপনার গভীর প্রকৃতিটি আবিষ্কার করতে পারবেন না কারণ আপনার কাছে এখনও পুরো ধারনা নেই। আপনি এখনও আপনার উত্সের সাথে সম্পর্ক স্থাপন হয়নি কারণ আপনার গভীর প্রকৃতিটি আপনার উত্সের সাথে সম্পর্ক। এটা কেমন হবে আপনি যদি কখনও এটা বের করতে পারেন যে আপনি বিচ্ছিন্নতা-এ জীনব-যাপন করছেন, পৃথিবীর মহাসাগরে হারিয়ে গেছেন।

এটিই স্বর্গের উপহার — যা আপনার জীবন মুক্ত করতে পারে। তবে আপনাকে অবশ্যই পথটি আপনার কাছে উপস্থাপনের অনুমতি দিতে হবে।

আপনাকে অবশ্যই প্রত্যাশের সাড়া দিতে হবে। যদি আপনি ঈশ্বরের পূর্ববর্তী প্রত্যাদেশসমূহের সাড়া না দিয়ে থাকেন তবে আপনি নতুন প্রত্যাশের অপেক্ষায় রয়েছেন।

হতাশা বা বিভ্রান্তির এক মুহুর্তে আপনি নিজের মধ্যে আরও গভীর আলোড়ন অনুভব করবেন। এবং আপনি বুঝতে পাবেন যে আপনি এমন একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে এসেছেন যা আপনি এখনও আবিষ্কার করেন নি, তবে যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে, সেই মুহুর্তের জন্য যেখানে আপনার জীবন ডাকা হচ্ছে।

ম্যাসেঞ্জারের মিশন

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
10 এপ্রিল, 2012 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

 

ঈশ্বর এক হাজার বছরেরও বেশি সময় ধরে যা যা প্রেরণ করা হয়েছে তার অসদৃশ তিনি পৃথিবীতে একটি নতুন প্রত্যাদেশ প্রেরণ করেছেন।

পৃথিবীতে একজন মেসেঞ্জার প্রেরণ করা হয়েছে — এমন একজন মেসেঞ্জার যিনি একরকম সাধারণ জীবনযাপন করেছিলেন, এমন একজন মেসেঞ্জার যিনি একজন নম্র মানুষ এবং যিনি এই ভূমিকার জন্য খুব দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।

যদিও অন্যরা এই জাতীয় ঈশ্বরের ম্যাসেন্জার উপাধি হিসাবে দাবি করতে পারে তবে সত্যই, পৃথিবীতে কেবল একজনই প্রেরিত। স্বর্গ এটি অবশ্যই জানে, যদিও লোকেরা অন্যান্য দাবি ও বিবৃতি রাখবে।

মানুষ মেসেঞ্জারকে ভয় পায়। এটি তাদের জন্য কী অর্থ হতে পারে, কীভাবে এটি তাদের ধারণাগুলি পরিবর্তন করতে পারে বা কীভাবে এটি তাদেরকে একরকম বৃহত্তর পরিষেবা বা সংস্থায় ডেকে আনতে পারে সে সম্পর্কে তারা ভয় পান।

অনেক লোকই কেবলমাত্র এই ভিত্তিতেই ঈশ্বরের নতুন বাঁণীকে প্রত্যাখ্যান করবে কারণ তারা ভয় করে যে পৃথিবীতে এমন একটি নতুন প্র্রত্যাদেশ রয়েছে যা মানব ইতিহাস এবং নিয়তির গতিপথকে পরিবর্তন করতে পারে এবং এটি প্রাতিষ্ঠানিক এবং অনেক সুপ্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছে এমন জনপ্রিয় ধারণা এবং বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানাবে।

তবে সমস্ত জীবনের স্রষ্টা এই বিষয়গুলির দ্বারা আবদ্ধ নন এবং কেবল মানবতার কল্যাণ এবং মানবতার ভবিষ্যত এবং নিয়তির জন্য প্রয়োজনীয় বাঁণী এবং প্র্রত্যাদেশ প্রদান করেন, এই বিশ্বজুড়ে এবং মহাবিশ্বের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যেও।

ঈশ্বরের নতুন বাঁণী পৃথিবীতে এর আগে কখনও আনা হয়েছিল এমন যে কোনও কিছু থেকে আরও বিস্তৃত এবং সর্বব্যাপী এবং বিস্তারিত। এটি এমন এক সময় দেওয়া হচ্ছে যখন মানব পরিবার শিক্ষিত হয়ে উঠেছে এবং আন্তর্জাতিক যোগাযোগের সাথে একটি বিশ্ব সভ্যতা ও অর্থনীতিতে অংশ নিচ্ছে। এটি পূর্ববর্তী যেকোন প্র্রত্যাদেশের তুলনায় একেবারেই আলাদা পরিবেশ, যা একান্তই আঞ্চলিক ধরনের ছিল এবং যা কেবলমাত্র একটি দীর্ঘ সময় জুড়ে এবং প্রচুর বিবাদ, সংঘাত এবং সহিংসতার মধ্য দিয়ে ছড়িয়ে পড়ে।

মানবতা বুদ্ধিমান জীবনে পরিপূর্ণ মহাবিশ্বের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে — এটি একটি অ-মানব মহাবিশ্ব যা এখন এটির সাথে লড়াই করতে শিখতে হবে।

এবং মানবতা ক্রমহ্রাসমান সংস্থান এবং পরিবেশ অস্থিতিশীলতার বিশ্বে বাস করছে, যা হাজার হাজার বছর ধরে দেখা যায় নাই। পৃথিবীর নিজের ইতিহাস ছাড়া, এমনকি আপনার ইতিহাসও এর অর্থ কী হতে পারে তার বিবরণ দিতে পারে না।

প্রত্যাদেশটি নিজস্ব ভাষ্য নিয়ে আসে। এটি কেবল একটি রহস্যময় শিক্ষা নয় যা মানুষের ব্যাখ্যার কাছে রেখে যায়, যেমনটি আগে হয়েছিল।

এই প্রত্যাদেশটি সম্পূর্ণ এবং ব্যাপক, একটি ব্যক্তির জীবন এবং মানবতার জীবনের প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রের বর্তমান এবং ভবিষ্যত উভয়ের জন্যই আলোচনা করে।

এবং তবুও ইতিহাসের সমস্ত প্রত্যাদেশগুলির মতো এটি মানবতার উদ্বেগের চেয়ে বৃহত্তর বিষয়গুলির কথা বলে। এটি এমন বিষয়গুলির কথা বলে যা মানবতা হ্রাসকারী বিশ্বে ঔক্যবদ্ধ হওয়া বেছে নেবে নাকি বাকী সংস্থানগুলিতে কার অধিগত করার ক্ষমতা রয়েছে তা নিয়ে লড়াই এবং সংগ্রাম করবে তাতেই সমস্ত পার্থক্য তৈরি করবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে নিযুক্ত হতে পারবে কিনা তাতে এই সমস্ত পার্থক্য তৈরি হবে যা ইতিমধ্যে দুনিয়াতে মানব দুর্বলতা, দ্বন্দ্ব এবং প্রত্যাশার সুযোগ নিয়ে এখানে উপস্থিত জাতিদের দ্বারা বিশ্বে একটি হস্তক্ষেপের কারণ ঘটাচ্ছে।

এত বড় একটি বাঁণীর জন্য মেসেঞ্জার সহ কয়েকজন ব্যক্তির যাদেরকে তাঁর এই প্রস্তুতি এবং ঘোষণায় সহায়তা করার জন্য আহ্বান করা হয়েছে তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত প্রস্তুতির প্রয়োজন।

তিনি এখানে প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিতে বা প্রতিটি প্রয়োজনের সমাধানের জন্য আসেননি। তাঁর বাঁণীটি ব্যক্তির মধ্যে আত্মার প্রয়োজনের কথা বলে – জীবনের উত্সের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন এবং ঈশ্বর জ্ঞান নামক প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে গভীর বুদ্ধির উপস্থিতির মাধ্যমে যে শক্তি দিয়েছেন তা অর্জন করার প্রয়োজনের কথা বলে।

ম্যাসেঞ্জার এখানে তর্ক বা বিতর্ক বা বিশ্ব বিষয় বা বিভিন্ন গোষ্ঠী, জাতি বা উপজাতির উচ্চাকাঙ্ক্ষা নিয়ে ইস্যু করার পক্ষে নেই। তিনি এখানে একচেটিয়া সাংস্কৃতিক অবস্থান বা ধর্মীয় অনুষঙ্গ যদি তাদের আদৌ একটি থাকে, নির্বিশেষে সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে প্রত্যাদেশবাঁণী ও মুক্তির বার্তা আনতে এখানে এসেছেন।

এটি জাতি এবং সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় আদর্শকে অতিক্রম করে। এটি এই বিষয়গুলি নিয়ে বিতর্ককে সরিয়ে দেয় কারণ এটি বাস্তবতা এবং ভবিষ্যতের জন্য সমগ্র বিশ্বকে মুক্তি এবং প্রস্তুত করার জন্য ঈশ্বরের পক্ষ থেকে একটি নতুন বাঁণী যা অতীতের থেকে খুব আলাদা হবে।

কেবল ঈশ্বরই এ জাতীয় জিনিস সরবরাহ করতে পারেন। এমনকি এই মুহুর্তে, ধর্মগুলি নিজের মধ্যেও বিভক্ত। তারা বিতর্কিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে উদীয়মান বিশ্বব্যাপী সমস্যাগুলির সমাধান করতে অক্ষম যা ভবিষ্যতে মানবতাকে ছাড়িয়ে যাবে যদি তারা অপ্রস্তুত থাকে।

কাদের ধর্ম সেরা বা সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রতিষ্ঠাতা তা নিয়ে তর্ক করা এখন কেবল মানবতার ক্ষতি করতে পারে। এটি বিভাজক এবং একচেটিয়া। এটি মানব পরিবারের দ্বিধা এবং ভাঙ্গনকে সংযুক্ত করে।

ঈশ্বর ভাল জানেন। এবং প্রত্যাদেশের বাঁণী আনার জন্য যাকে বেছে নেওয়া হয়েছে সে হল যথাযথ একজন। সে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। তিনি দীর্ঘ প্রস্তুতিতে ব্যর্থ হননি এবং এই সমস্ত কিছু তাঁর এবং তাঁর পরিবারের জন্য প্রয়োজন ছিল।

জনগন এটি প্রতিহত করবে এবং এতে বিরক্তি প্রকাশ করবে এবং মেসেঞ্জারকে সমস্ত ধরণের বিষয়ে অভিযুক্ত করবে। তবে সেই হল একজন। তাঁর মূল্য এবং তাঁর ভূমিকা দেখার ব্যর্থতা অনুধাবনকারী পক্ষের ব্যর্থতা, ঈশ্বর এখন দুনিয়াতে প্রেরণ করছেন যে মহান আশীর্বাদ তা চিনতে এবং গ্রহণ করার ব্যর্থতা।

মেসেঞ্জারের কোন গর্ব নেই। তিনি একজন নম্র মানুষ, তবে এই মহা আহ্বান এবং তাঁর উপরে যে বৃহত্তর দায়িত্ব রয়েছে এবং বিশ্বকে একটি নতুন প্রত্যাদেশ আনার ক্ষেত্রে তাঁর যে দুর্দান্ত কষ্টের মুখোমুখি হতে হবে তা তাঁকে অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন। এবং ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ কোন অভিজাত গোষ্ঠী বা সাংস্কৃতিকভাবে সুযোগ্য, ধনী এবং মজাদারদের জন্য নয়। এটি সমাজের প্রতিটি পদে এবং স্থানে থাকা ব্যক্তির জন্য – এমনকি সবচেয়ে আদিম, সবচেয়ে উন্নত, সর্বাধিক বিচ্ছিন্ন বা সর্বাধিক সার্বজনীন প্রতিটি সমাজের।

কেবলমাত্র সৃষ্টিকর্তার প্রজ্ঞাই এঞ্জেলিক উপস্থিতির মাধ্যমে, প্রত্যাদেশের ভয়েসের মাধ্যমে এইভাবে কথা বলতে পারেন যা আপনি এই মুহুর্তে শুনছেন।

মেসেঞ্জারের উদ্দেশ্য হল প্রত্যাদেশকে বিশ্বে নিয়ে আসা, এর প্রথম সাড়াদানকারীদের সন্ধান করা, তাদেরকে প্রত্যাদেশের বাঁণীর সাথে জড়িত করা এবং তাদের আরও গভীর প্রকৃতির সাথে মিলিত হওয়া এবং জীবনের আহ্বানের সাথে সম্মতি জানানোর সুযোগ দেওয়া।

এই কারণেই শিক্ষার একটি বিশাল বিষয় দেওয়া হয়েছে, যারা এটি গ্রহণ করতে পারে, খাপ খাইয়ে নিতে পারে এবং সফলভাবে তাদের জীবনে এটি প্রয়োগ করতে পারে তাদের জন্য ব্যক্তিগত প্রত্যাদেশর পথ প্রশস্ত করার জন্য।

এর দাবিগুলি দুর্দান্ত নয়, তবে এই মুহুর্তে বেশিরভাগ লোকেরা যে পরিমান সততা প্রদর্শন করে তার চেয়েও বেশি সততার দাবি করে, নিজের ধারণা ও বিশ্বাসকে বিশ্বজুড়ে উত্সাহিত করার জন্য কেবল একটি সততা নয়, বরং তার জীবনের গভীরতর প্রবাহকে স্বীকৃতি দেওয়া এবং একটি নম্রতা এবং সংকল্পবদ্ধ অবস্থায়, অনুসরণ করতে মনস্থ করা। কারন এটিই  হল ব্যক্তির জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি, যা ঈশ্বরের প্রত্যাদেশ প্রথমবারের জন্য পুরোপুরি প্রকাশ করল।

এখানে উপাসনা করার কোনও বীর নেই। এখানে বিচারের দিবস নেই। এখানে কোনও চূড়ান্ত পরীক্ষা নেই, যা প্রায় প্রত্যেকেই যাইহোক ব্যর্থ হবে।

নিশ্চয় আল্লাহ এর চেয়ে ভাল জানেন। ঈশ্বর জানেন যে জ্ঞান ব্যতীত লোকেরা বিভ্রান্ত ও ব্যর্থ হবে, মূর্খ ভুল করবে এবং তাদের জীবনকে বিসর্জন দেবে এবং বিপজ্জনক ও অত্যাচারী শক্তির কাছে ডুবে যাবে। যদি ব্যক্তি ঈশ্বরের শক্তি দ্বারা পরিচালিত না হয়, তবে তারা তাদের দুর্বলতা এবং তাদের বিভ্রান্তি এবং তাদের জীবন অন্যের দ্বারা প্রাধান্য পেয়েছে এ ছাড়া আর কী প্রদর্শন করবে?

আপনি দেখুন, আপনার বিশ্বের ঈশ্বর পুরো বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ঈশ্বর, পুরো মহাবিশ্ব – এক গ্যালাক্সিতে এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন জাতি এবং আরও অনেক কিছু এবং বহু ছায়াপথ এবং অন্যান্য মাত্রার মধ্যে এবং এর বাইরে অপরিবর্তনীয় সৃষ্টি। আপনি এখন এমন এক ঈশ্বরের সাথে এমন মহত্ত্ব এবং প্রসার নিয়ে কাজ করছেন যে আপনার ধারণা এবং আপনার বিশ্বাস এই বিশালতার সামনে বিবর্ণ ও হোঁচট খেয়ে পড়বে।

এই ঈশ্বরই আপনাদের মধ্যে জ্ঞান স্থাপন করেছেন যাতে তিনি আপনাকে পথ দেখাতে, আশীর্বাদ করতে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর জীবনের জন্য প্রস্তুত করতে পারেন, আপনাকে আপনার লজ্জাকর এবং আবেগপূর্ণ ব্যস্ততা এবং আত্ম-মমতা থেকে বের করে আনতে পারেন, আপনাকে সম্মান ও মর্যাদা, আত্মসম্মানবোধ, উদারতা, সমবেদনা এবং নম্রতা ফিরিয়ে দিতে পারেন।

এই বিষয়গুলি শেখানো, এই জিনিসগুলি সরবরাহ করা, যারা দেখতে পায় না এবং জানে না তাদের প্রত্যাখ্যান ও প্রতিরোধ সহ্য করা ম্যাসেন্জারের কাজ।

এটিই বৃহত্তর আহ্বান, আপনি দেখুন। এটিই ব্যক্তিকে পুনরুদ্ধার করে এবং বৃহত্তর জীবনের প্রতিশ্রুতি দেয়। এটিই হল সমস্ত লোকের এমনকি গরিবদের মধ্যে দরিদ্রতম যারা অবক্ষয়ের মধ্যে বাস করে তাদের কাছে সম্মান ও মর্যাদা এনে দেয়।

এটি হ্রাসকারী সংস্থার জগতের সামনে ঐক্য ও সহযোগিতার বৃহত্তর নৈতিকতা প্রতিষ্ঠা করা। আপনি কি এমন একটি পৃথিবী কল্পনা করতে পারেন, আপনাদের যারা প্রাচুর্যের ভেতর বাস করেছেন, সম্ভবত? আপনি কি ভাবতে পারেন যে এটি মানব পরিবারকে কী করতে পারে? এটি মানব সভ্যতা ধ্বংস করতে পারে।

অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে অভিনয় করা আক্রমণাত্মক বাহিনীর সাথে মানবতার লড়াইয়ের ফলে মানব সভ্যতার অবনতি ও ধ্বংস হতে পারে।

মানুষ এটি জানে না। তারা এ নিয়ে ভাবেন না। সম্ভবত এটি তাদের পক্ষে খুব বেশি, যারা তাদের সুযোগ-সুবিধাগুলি হারাবার ভয়ে ছোট্ট জিনিসগুলিতে তাদের সমস্ত চিন্তাভাবনা দিয়েছেন। তারা পুরো জিনিসটি দেখতে পায় না, যা সকলের জন্য ফলাফল নির্ধারণ করবে।

তবে যাঁরা দেখতে ও শুনতে পায়, তাদের জন্য প্রত্যাদেশের বাঁণী তাদের সাথে কথা বলবে এবং তারা প্রথমে সাড়া দেবে। এবং তাদের মাধ্যমেই, প্রত্যাদেশের বাঁণীটি তাদের সাথে কথা বলবে যারা আরও আচ্ছন্ন হয়ে আছেন এবং দিগন্তের উপর দিয়ে আসা দুর্দান্ত ঘটনাগুলি দেখতে কম সমর্থ হন। একজন মানুষ এত সবকিছু করতে পারে না। এটি ম্যাসেঞ্জারের সাথে একমত হয়ে কাজ করার জন্য অনেকের নিযুক্ত থাকতে হবে।

এবং তারপরে আপনার স্ব-সন্ধানী এবং আগ্রাসী লোকের সমস্যা রয়েছে, যারা বিশ্বাস করেন যে তারা মহাবিশ্বে খুব গুরুত্বপূর্ণ, তাদের নিজস্ব সংস্করণ আছে বলে দাবি করে, মেসেঞ্জারের সাথে একমতের অভিনয় করে, অন্যান্য শিক্ষার সাথে বা তাদের নিজস্ব ধারণা দিয়ে নতুন বাঁণীকে মিলিত করার চেষ্টা করে।

এই যে দুর্নীতি তখনই ঘটে যখনই বিশুদ্ধ কিছু পৃথিবীতে আনা হয়। এবং এজন্যই ঘোষণার আগেই প্রত্যাদেশের বাঁণী দেওয়া হচ্ছে। সে কারণেই এটি লিখিতভাবে রয়েছে। এজন্য আপনি মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মত প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে পাচ্ছেন। এটি এমন একটি ভয়েস যা যীশু, বুদ্ধ এবং মুহাম্মদের সাথে কথা বলেছে, আপনি তা শুনতে পাচ্ছেন।

আপনারা কি শুনতে পাচ্ছেন? আপনারা যারা খুব কম মূল্যহীন অন্যান্য অনেক বিষয় শোনেন, আপনারা কি এই কথাগুলি শুনতে পাচ্ছেন? এমনকি যদি আপনারা অনিশ্চিত ও সন্দেহজনক হন তবুও আপনারা কি ম্যাসেঞ্জার এবং প্রত্যাদেশটি শুনতে পাচ্ছেন? এটি দিনের মতোই স্পষ্ট, প্রবঞ্চনা ছাড়াই, জটিলতা ছাড়াই, স্রোতের মেঘলা এবং প্রত্যাদেশের পরিবেশকে কলুষিত করার জন্য মানুষের ভাষ্য ছাড়াই।

মেসেঞ্জারের উদ্দেশ্য হ’ল ঈশ্বরের বাঁণীকে এখানে তাঁর অবশিষ্ট বছরের মধ্যে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রতিষ্ঠিত করা যাতে মানবতা পরিবর্তিত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হতে শুরু করে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথেই এর নিযুক্ততার জন্য প্রস্তুত হতে পারে।

এটি আপনার ধর্মতত্ত্ব পরিবর্তন করবে। এটি ঈশ্বরের এবং ঈশ্বর কীভাবে বিশ্বে কাজ করে সে সম্পর্কে আপনার উপলব্ধির পরিবর্তন করবে। মুক্তির অর্থ কী সে সম্পর্কে এটি আপনার মৌলিক ধর্মীয় বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ জানাবে কারণ আপনি যখন বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ঈশ্বরের কথা চিন্তা করেন, তখন এটি সবকিছু পরিবর্তন করে দেয়।

এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন রেস এবং আরও কিছুর জন্য স্বর্গ কী? জাহান্নাম কী, যখন আপনি জানেন যে আল্লাহ্ আপনাদের মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন এবং আপনি কখনই তা থেকে এড়াতে পারবেন না – এর আশীর্বাদ এবং এর মুক্তি থেকে?

ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং শক্তির বাস্তবতার সাথে কমবেশি যুক্ত, মহাবিশ্বে বিলিয়ন বিলিয়ন ধর্ম রয়েছে এই বোঝার সাথে কারও ধর্মীয় সম্পর্ক কী?

ঈশ্বর আবার কখন কথা বলবেন কে বলতে পারে? অহংকার এবং অজ্ঞতা ছাড়া কে বলতে পারে যে ঈশ্বর আবার কথা বলতে পারেন না? এমনকি ঈশ্বরের মেসেঞ্জাররাও এটি বলতে পারে না। এমনকি অ্যাঞ্জেলিক হোস্টও এটি বলতে পারে না। তাহলে ঈশ্বর পরবর্তী সময়ে কী করবেন তা নির্ধারণ করার জন্য কোন ব্যক্তি এমন কর্তৃত্বের দাবি করতে পারে? এটি অহংকার এবং বোকামির প্রতিমূর্তি।

মেসেঞ্জারের মিশনকে এই সমস্ত কিছুর মুখোমুখি হতে হবে। এতে বৌদ্ধিক ঔদ্ধত্যের মুখোমুখি হতে হবে। একেবারে অন্ধ প্রত্যাখানের মুখোমুখি হতে হবে। এটি প্রত্যেক ধরণের অভিযোগের মুখোমুখি হতে হবে।

এটি সেই ব্যক্তির দিকে যিনি 1400 বছরে প্রাপ্ত ঈশ্বরের ভালবাসার সর্বাধিক প্রকাশ নিয়ে আসছেন। এটি এমন একজনের দিকে পরিচালিত যার জীবন, যদিও অসুবিধা এবং অপূর্ণতার মুখোমুখি, তবুও প্রত্যাদেশটি নিজেই তাঁর একটি প্রদর্শনী।

মানব ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, দূরবর্তী কাহিনী ও চমকপ্রদ গল্পের মাধ্যমে কেবল এটির বিষয়ে শুনার পরিবর্তে পুরো পৃথিবী এখন প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করতে পারে।

প্রথমবারের মতো, মানব পরিবার প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে পারে, প্রত্যাদেশের কথাগুলি পড়তে পারে, এমন নয় যে ম্যাসেঞ্জারকে চেনে না এমন লোকদের দ্বারা তারা বহু শতাব্দী পরে চিত্রিত হয়েছিল, নিরক্ষর জনগোষ্ঠীর সুবিধার্থে মৌখিক ঔতিহ্যের মাধ্যমে চালিত হয় নাই, যা এই মুহূর্তে ঠিক আছে।

কারন মানবতার এটির সাথে শর্ত করতে তাঁর শতাব্দী হাতে নেই। যে পরিবর্তন চলছে তা খুব দ্রুত। বৃহত্তর বাহিনীর রূপান্তর খুবই শক্তিশালী এবং অপ্রতিরোধ্য।

বিশ্বজুড়ে, মানুষ বিশ্বের গতিবিধি সম্পর্কে প্রত্যাশা এবং উদ্বেগ অনুভব করছে। তারা এই ভয়কে যাই হোক না কেন এটিকে সংজ্ঞায়িত করার চেষ্টা করতে পারে, কারণ পৃথিবীতে যে পরিবর্তনের দুর্দান্ত তরঙ্গ আসছে তা তারা অনুভব করছে। তারা অনুভব করছে যে মানবতা এখন সচেতনতার বাইরে থাকা শক্তির অধীনে আরও দুর্বল, অসহায় হয়ে উঠছে।

এই কারণেই ঈশ্বর প্রত্যাদেশ বাঁনী বিশ্বে প্রেরণ করেছেন। এর কারণেই এখানে ম্যাসেঞ্জার উপস্থিত আছেন।

তাঁকে সম্মান করুন। তাঁর তারিফ করুন। তিনি উপাস্য নন, তবে কোন ম্যাসেঞ্জারই দেবতা ছিলেন না। তিনি নিখুঁত নন, তবে কোন ম্যাসেঞ্জারই নিখুঁত ছিলেন না। তিনি বাঁণীর সাথে লড়াই করেছেন কারণ সমস্ত ম্যাসেঞ্জারই তাদের প্রত্যাদেশ নিয়ে লড়াই করেছেন।

তাঁর উপর আক্রমণ করা হবে এবং নিন্দা করা হবে কারণ সকল ম্যাসেঞ্জারকে একই রকম চিন্তাভাবনা, অহংকার ও অজ্ঞতাবোধের মুখোমুখি হতে হয়েছিল যে আজ ম্যাসেঞ্জারকেও মুখোমুখি হতে হবে, এবং এমনকি এই মুহুর্তে সম্মুখীন হচ্ছেন।

তার উদ্দেশ্য ব্রিজ তৈরি বা সরকার পরিবর্তন বা বিশ্বের প্রতিটি সমস্যা এবং ত্রুটি ও অবিচারকে সংশোধন করা নয়।

তাঁর মিশন হল ব্যক্তিকে গোপনে পুনরুদ্ধার করা এবং মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনার জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করা, যা এখন আপনার উপরে রয়েছে এবং যা এই মুহুর্তে এমনকি দিগন্তের উপরে চলে আসছে।

ক্রমহ্রাসমান বিশ্বে টিকে থাকতে না পারলে মানবতার কিছুই থাকবে না। আপনার উন্নত কাজ, সম্পদ এবং শিল্প সব শেষ হয়ে যাবে।

বৃহত্তর সম্প্রদায়ে মানবতার কিছুই থাকবে না, যেখানে স্বাধীনতা অত্যন্ত বিরল, যদি এটি প্রজ্ঞা প্রতিষ্ঠা করতে না পারে এবং তার সীমানাগুলি সুরক্ষা করতে না পারে এবং তার লোকদের কমপক্ষে যথেষ্ট পরিমাণে ঐক্যবদ্ধ করতে পারে যে তারা তাদের পারস্পরিক কল্যাণ, সুরক্ষা এবং অগ্রগতির জন্য সাড়া দিতে পারে।

প্রত্যাদেশের আলোকে, মানুষের বোকামি, অজ্ঞতা এবং অহংকার সম্পূর্ণরুপে প্রকাশিত হয়েছে। এটি যেন পৃথিবীর উপর এক দুর্দান্ত আলো [জ্বলজ্বল করে] এবং যা কিছু অন্ধকার এবং গোপনীয়, যা কিছু প্রতারণামূলক এবং দূষিত সমস্ত কিছু প্রত্যাদেশের আলোয় প্রকাশিত হয়; মানুষের অবস্থানের দুর্বলতা; তাদের জীবনের করুণ অবস্তা; তাদের পুনরুদ্ধার, মর্যাদাবোধ এবং মুক্তির জন্য দুর্দান্ত প্রয়োজনীয়তা, মানব দুর্নীতি; মানুষের প্রতারণা; যারা ধার্মীক বলে দাবি করে, যারা ধার্মীক নয়, তবে যারা ধর্মকে শক্তি ও আধিপত্যের জন্য ব্যবহার করে।

এই সবকিছু প্রত্যাদেশের আলোকে প্রকাশিত হবে এবং এ কারণেই যারা প্রত্যাদেশকে অস্বীকার করবে তাদের পক্ষে এর বিরুদ্ধে কথা বলতে হবে, কারণ এটি তাদের অবস্থানকে হুমকির সম্মুখীন করবে; এটি তাদের দুর্বলতা, তাদের ত্রুটি এবং বিপজ্জনক প্রবণতা প্রকাশ করবে।

প্রত্যাদেশ মহান প্রেমের ফসল, কারণ ঈশ্বর মানবতার প্রতি ক্রুদ্ধ নন। ঈশ্বর জানেন যে জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি ব্যতীত মানুষ তাদের নিজস্ব সচেতনতায় পর্যাপ্ত দিকনির্দেশনা দেয় যে তারা বোকা, স্বার্থপর এবং ধ্বংসাত্মক আচরণ করবে।

ঈশ্বর এটি জানেন। মানবতা জানে না। এটি বুঝতে পারা নিছক বিশ্বাসের বিষয় নয়। এটি একটি গভীর স্বীকৃতির বিষয়, নিজের মধ্যে গভীর অনুরণন, একটি গভীর সত্যতা যে আপনি নিজেই নিজেকে পরিপূরণ করতে পারবেন না এবং সেটা হল বিশ্বে একটি মহান প্রত্যাদেশের বড় প্রয়োজন।

মানুষ কি এই সৎ হতে পারে? লোকেরা নিন্দা ছাড়াই নিজের সম্পর্কে এতো শান্ত হতে পারে? লোকেরা কোথায় আছে এবং সত্যই তারা ধনী বা দরিদ্র, সুবিধাবাদি বা সুবিধাবঞ্চিত – যে ডিগ্রিতে তাদের জীবন শূন্য হয়ে পড়েছে তা কি সত্যই জেনে রাখতে পারে? তারা কি এর মুখোমুখি হতে পারে এবং বুঝতে পারে যে এই শূন্যতা ঈশ্বরের কাছে একটি আহ্বান এবং ঈশ্বর তাঁর সাড়া দিয়েছেন?

মেসেঞ্জারের মিশন হল পৃথিবীতে তাঁর অবশিষ্ট সময়ের মধ্যে যত লোকের কাছে সম্ভব বাঁণী নিয়ে আসা এবং অন্যরা যারা তাঁর আশীর্বাদ নিয়ে তাঁর মহান কাজ পরিচালনা করবে, যারা ভবিষ্যতে নতুন বাঁণী বহন করবে, এটিকে আরও বেশি লোকের কাছে নিয়ে আসবে — সুবিধাবঞ্চিত, সমৃদ্ধশালী, ধনী দেশ, দরিদ্র দেশ, প্রকৃতিতে বাসকারী অধিবাসী, বড় বড় শহরের লোকদের কাছে।

প্রত্যাদেশটি এখানেই রয়েছে। এটি একা অধ্যয়ন করা যায়। এটি কার্যকরভাবে অন্যদের সাথে একসাথেও অধ্যয়ন করা যেতে পারে। এটি শোনা যায়। এটি পড়া যেতে পারে। এটি পরিষ্কারভাবে অনুবাদ করা যায়। এটা অবশ্যই শেয়ার করা উচিত। এটি প্রাপ্ত প্রত্যেক ব্যক্তির দায়িত্ব এবং এটি করা আপনার স্বাভাবিক আকাঙ্ক্ষা হবে।

তবে তাদের সময়ে সমস্ত বড় বড় প্রত্যাদেশের মতোই, এটিকে প্রতিরোধ করা হবে এবং প্রথমে কঠিন হয়ে উঠবে, কারণ বিশ্ব জানে না ঈশ্বরের কাছ থেকে তার একটা প্রত্যাদেশের প্রয়োজন। বিশ্ব এর জন্য প্রস্তুত নয় এবং বহু লোক নানাপ্রকার এবং বিভিন্ন কারণে এর বিরোধিতা করবে।

সময়ক্রমে, আপনি যদি এটি পরিষ্কারভাবে দেখতে পান, তবে আপনি দেখতে পাবেন যে ম্যাসেঞ্জার আপনার জীবনের সত্যিকারের বাস্তবতাটি একটি বৃহত আকারে প্রদর্শন করছেন — যে আপনাকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু করার জন্য বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছিল। সম্ভবত এটি বিশাল আকারে অথবা বিশ্বব্যাপি হতে যাচ্ছে না। এটা কোন ব্যাপার নয়।

প্রত্যেককে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে বিশ্বের পাঠানো হয়েছিল। এবং রাজনৈতিক বা ধর্মীয় নিপীড়নের কারণে লোকেরা এ সম্পর্কে অবগত নয় বা এটির সন্ধান করতে পারে না, [বা] যে লোকেরা এটির প্রতি অন্ধ, এটিকে শুনতে পায় না, অনুভব করতে পারে না, একে অপরকে সমর্থন করতে পারে না — এটাই মানব পরিবারের ট্রাজেডি। এটি হল দুর্নীতি, বিভেদ, দ্বন্দ্ব, বিদ্বেষ এবং এমন সব কিছুর কারণ যা মানব পরিবারকে জর্জরিত করে এবং এটিকে মহাবিশ্বের মহান মানুষ্যজাতি হতে বাধা দেয়।

এই সমস্ত বিষয় যা মানবতাকে জর্জরিত করে সেগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে তার স্বাধীনতার বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্ত জিনিস এখন পর্যাপ্ত লোকের দ্বারা উপলব্ধি হতে হবে – সম্ভবত সবাই নয়, তবে যথেষ্ট লোক – যাতে বিশ্বে একটি বৃহত্তর আন্দোলন ঘটতে পারে, একটি বৃহত্তর বিবেক প্রকাশিত হতে পারে যা এই মুহূর্তে প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যেই বাস করছে।

প্রত্যাদেশ শিখার অর্থ জ্ঞানের সাথে পুনরায় সম্পর্কের মধ্যে ফিরে আসা, যা আপনার অংশ যা ঈশ্বরকে কখনও ছেড়ে যায় নি, এটি এখনও যোগাযোগের মধ্যে রয়েছে, এটি জ্ঞানী এবং বিশ্বের দ্বারা নিরবচ্ছিন্ন, এটি বিশ্বকে ভয় পায় না, এটি এমন একটি প্রজ্ঞা এবং একটি শক্তি যা আপনি আপনার জীবনে এতদূর পর্যন্ত প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এমন সাহস এবং নিষ্ঠার উত্স।

এটি মেসেঞ্জারের উপহার। এটি ছিল পূর্ববর্তী রসূলগণেরও উপহার। তবে তাদের গল্প বদলে গেছে। এবং প্রায়শই তাদের কথাগুলি ভুলভাবে পড়ে থাকে।

ঈশ্বরের সমস্ত প্রত্যাদেশগুলি প্রত্যেক ব্যক্তির জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি পুনরুদ্ধার করার জন্য, কারণ এটাই তাদের আসল বিবেক এবং এটাই তাদেরকে খাঁটি ও কার্যকরী উপায়ে ঈশ্বরের কাছে নিয়ে আসে।

বিশ্ব ধন্য হয়েছে কারণ ঈশ্বর আবার কথা বলছেন। বিশ্ব ধন্য হয়েছে কারণ ম্যাসেঞ্জার বিশ্বে রয়েছেন।

এই আশির্বাদটি গ্রহণ করুন। অন্যদের সাথে শেয়ার করুন। প্রত্যাদেশটি খুবই মহান। আপনি এক মুহুর্তে এটি বুঝতে পারবেন না। আপনি এটি একটি কথায় পড়তে পারবেন না। আপনার জীবন এবং আপনি যে পৃথিবী দেখেন তার জন্য অবশ্যই এর প্রজ্ঞা এবং প্রাসঙ্গিকতার সন্ধানে আপনাকে এটির কাছে আসতে হবে।

এটা একটি পরীক্ষা, আপনি দেখুন। এটি প্রত্যাদেশের সময়ে বেঁচে থাকার অসুবিধা এবং মহান সুযোগও। এটি একটি পরীক্ষা-প্রাপকের জন্য পরীক্ষা।

যারা ব্যর্থ হয়েছে ঈশ্বর তাদেরকে শাস্তি দেবেন না, তবে তারা তাদের জীবন ও ক্রিয়াকলাপে প্রত্যাদেশ এবং মহান ক্ষমতায়ন, স্পষ্টতা ও আশীর্বাদ গ্রহণ করার মতো অবস্থানে থাকবে না।

ঈশ্বর দুষ্টদের শাস্তি দেন না, কারণ আল্লাহ জানেন যে জ্ঞান ব্যতীত দুষ্টামি বৃদ্ধি পাবে।

এই কারণেই প্রত্যাদেশটি তাদেরকে মহান বুদ্ধিমত্তার দিকে আহ্বান করে যা তাদের মধ্যেই বাস করে যা তাদের জন্য এবং বিশ্বের জন্য ঘটতে পারে এমন সমস্ত ভাল জিনিসের জন্য মৌলিক।

এটি ঐশ্বরিক উপস্থিতি এবং শক্তি সম্পর্কে আপনার বোঝার মহান ব্যাখ্যা নিয়ে আসে, ঈশ্বর কীভাবে এই বিশ্বে কাজ করেন – সমগ্র বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের ঈশ্বর।

এটি আপনার মহান সুযোগ, মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ মুহূর্ত, মানব পরিবারের জন্য এক দুর্দান্ত মোড় যা এটি নির্ধারণ করবে যে এটি ভবিষ্যতে একটি অবাধ ও সুসংহত সভ্যতা হবে নাকি এটি ক্ষয় হয়ে বিদেশী প্ররোচনায় পড়বে।

এটি দুর্দান্ত টার্নিং পয়েন্ট, দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জ, দুর্দান্ত সুযোগ, দুর্দান্ত আহ্বান এবং একটি মহান মুক্তিলাভ।

এটি আপনার বোধগম্যতায় আসুক।

প্রত্যাদেশকালীন সময়ে বেঁচে থাকা

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
27 সেপ্টেম্বর, 2011 এ
লিডভিল, কলোরাডোতে

এই বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো আপনি প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়াটি প্রত্যক্ষ করতে সক্ষম হলেন। আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায়, পুরো প্রক্রিয়াটি রেকর্ড করা হচ্ছে যাতে ভবিষ্যতের ব্যাখ্যাগুলিতে কোনও ভুল হতে না পারে, যেমনটি অতীতে প্রায়শই ঘটেছিল।

এটি কেবল প্রত্যাদেশ বাণী হিসাবেই তাৎপর্যপূর্ণ নয়। এটি স্বয়ং প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া – ভয়েস শুনতে সক্ষম হওয়া, এবং যীশু, বুদ্ধ এবং মুহাম্মদ এবং এই পৃথিবীর ইতিহাসে জ্ঞাত এবং অজ্ঞাত অন্যান্য অনেক মহান শিক্ষকদের সাথে যেভাবে কথা বলেছিল তার অনুরূপ।

এটি একটি অনন্য সুযোগ এবং গভীর শিক্ষা যা ধর্মীয় চিন্তায় অনেক ত্রুটি পরিষ্কার করতে পারে এবং ঈশ্বরের সমস্ত পূর্ববর্তী প্রত্যাদেশগুলিকে একটি নতুন এবং আরও পরিষ্কার আলোতে ফেলতে পারে।

কারণ এই পৃথিবী এবং সমস্ত পৃথিবীর ইতিহাসে প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া একই। একজন ব্যক্তি নির্বাচিত হয় এবং বিশ্বে প্রেরণ করা হয়। যখন তারা তাদের বিকাশ এবং পরিপক্কতার একটি নির্দিষ্ট পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন তাদেরকে সাধারণ পরিস্থিতি থেকে ডেকে আনা হয়, তাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপস্থানে ডাকা হয়, অ্যাঞ্জেলিক উপস্থিতির সাথে একটি দুর্দান্ত মুখোমুখি হয় যা সেই নির্দিষ্ট বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করে। তারপরে তাদেরকে বৃহত্তর সেবার জন্য আহ্বান করা হয় এবং একটি বৃহত্তর সেবার জন্য প্রস্তুত করা হয়, যা বিশ্বের নতুন এবং বিপ্লবী কিছু আনার জন্য প্রস্তুত।

এটি কেবল অতীত বোঝার বা অতীত বিশ্বাসের সংশোধন নয়। এটি আসলেই নতুন এবং বিপ্লবী কিছু। এটি নিছক উন্নতি বা বর্ধন বা কোনও কিছুর উপর নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নয় যা ইতিমধ্যে সরবরাহ করা হয়েছে এবং ভালভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এটি একটি নতুন প্রান্তিকতা।

আপনি আপনার জীবনের জন্য এবং সমগ্র বিশ্বের জন্য প্রত্যাদেশ এবং প্রত্যাদেশ প্রক্রিয়া এবং প্রত্যাদেশের স্পষ্টতা এবং প্রত্যাদেশটির অর্থ প্রত্যক্ষ করার সুযোগ পাবেন।

কারণ এটি সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি বাঁণী, কেবল একটি উপজাতি বা এক সম্প্রদায় বা একটি জাতি বা একটি অঞ্চলের জন্য নয়। এটি আগে যা দেওয়া হয়েছিল তার কোনও পুনর্বিবেচনা নয়। এটি আগে যা দেওয়া হয়েছিল তার প্রতিক্রিয়াও নয়। এটি পৃথিবীতে বিদ্যমান কোন শিক্ষা বা ধর্মতত্ত্বের সাথে সংযুক্ত নয়। এটি নতুন এবং বিপ্লবী কিছু। এটি মানব পরিবারের জন্য একটি দুর্দান্ত দ্বারপ্রান্ত এবং একটি দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জের প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনি যেখানেই থাকছেন, আপনি যে জাতির মধ্যে থাকুন না কেন, আপনার পরিস্থিতি যাই হোক না কেন আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন, অতীতে প্রকাশিত সময়ের যে কোনও সময়ের মতো মহান।

প্রত্যাদেশে সাড়া দেওয়ার ক্ষমতা আপনার প্রস্তুতি, আপনার উন্মুক্ততা, আপনার সততা এবং আপনার আন্তরিকতা নির্ধারণ করবে। যা কিছু মিথ্যা, যা কিছু ছদ্মবেশী, যা দূষিত বা ভুল তা প্রত্যাদেশের আলোতে প্রকাশিত হয়।

ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন মেসেঞ্জার কে পেতে পারেন? কে তাঁকে প্রত্যাখ্যান করবে? মানুষ কীভাবে সাড়া জানাবে? তারা কি আদৌ সাড়া দেবে?

প্রত্যাদেশের সময়ে সমস্ত কিছু উন্মোচন হয় — একজনের ধর্মীয় বোঝাপড়ার মূল্য, একজনের ধর্মীয় বিশ্বাসের বিশুদ্ধতা, কারও দৃষ্টিভঙ্গির স্পষ্টতা এবং সততা, একজনের হৃদয় ও মনের উন্মুক্ততা। এই সমস্ত কিছু প্রত্যাদেশের বাঁণীতে প্রকাশিত হয়। এবং আপনি এখন এই প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন।

একজনকে প্রস্তুত করে বিশ্বে প্রেরণ করা হয়েছে। এমন দাবি করার মতো অন্য কেউ থাকতে পারে না, কারণ স্বর্গ জানেন কে নির্বাচিত এবং কে নয়। যারা নিজেদেরকে বেছে নেন এবং নিজেরাই নির্বাচিত হন, তারা বিশ্বে একটি নতুন প্রত্যাদেশ নিয়ে আসতে পারেন না। তাদের শক্তি বা স্পষ্টতা নেই এবং সবচেয়ে বড় কথা, তাদের কাছে প্রত্যাদেশের বাঁণীই নেই।

প্রত্যাদেশের সময়ে সমস্ত কিছুই উন্মোচিত হয়।

প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়া গল্প এবং কল্পনা এবং অলৌকিক ঘটনাগুলির থেকে এতটাই আলাদা যে মানুষ এই জাতীয় ঘটনার জন্য দায়ী, মানবঘটনার ইতিহাসে এ জাতীয় চূড়ান্ত ঘটনাগুলিকে আরও বেশি সুনাম ও বিস্তৃতি দেওয়ার জন্য এই জাতীয় ঘটনা থেকে উদ্ভূত শিক্ষা সাধারণের চেয়ে অনেক বেশি মহিমান্বিত এবং তাত্পর্য করার চেষ্টা করা হয়েছে।

তবে এই দুর্দান্ত ঘটনাগুলির সমস্তেরই বিনীত সূচনা হয়। তারা গ্র্যান্ড এবং চাঞ্চল্যকর নয়। তারা অলৌকিক ঘটনা এবং অসাধারণ ঘটনায় ভরা থাকে না যেখানে প্রত্যেকে বিস্ময়ে দাঁড়িয়ে থাকে। এটাই বাস্তবতা এবং মানব আবিষ্কারের মধ্যে পার্থক্য।

কিন্তু প্রত্যাদেশ হল অসাধারণ। এটা বিরল। কারণ ঈশ্বর কেবল সহস্রাব্দে একবার পৃথিবীতে একটি নতুন বাঁণী প্রেরণ করেন, এক বিশাল দোরগোড়ায়, মানব পরিবারের পক্ষে চ্যালেঞ্জ এবং অসুবিধার সময়; বহত্তর সুযোগ এবং সাংঘাতিক প্রয়োজনের সময়, যেখানে একটি নতুন প্রত্যাদেশ দেওয়া উচিত, কেবল পুর্বে কী সরবরাহ করা হয়েছিল সে সম্পর্কে উপরন্তু মন্তব্য নয়।

এরপরেই এটির অবশ্যই শ্রোতার ধারণাগুলি এবং বিশ্বাসের বাইরে তাদের আরও গভীর অংশে পৌঁছাতে হবে, তাদের মধ্যে একটি গভীর বুদ্ধিমত্তা রয়েছে, তাদের এমন একটি অংশ যা এখনও ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে, সেই অংশকে আমরা জ্ঞান বলে থাকি।

আপনি জ্ঞানকে বোকা করতে পারবেন না। এই স্তরের উপলব্ধিতে কোনও ত্রুটি নেই। তবে হায়, খুব অল্প লোকই মনের এই অবস্থা অর্জন করেছেন, এই গভীর সংযোগ, যথেষ্ট যে তারা স্পষ্ট দেখতে এবং জ্ঞান অনুসরণ করতে পারেন, যা বিশ্বে ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং উদ্দেশ্যকে প্রতিনিধিত্ব করে।

আপনার সামনে প্রকাশিত প্রত্যাদেশ হল মানবতার পক্ষে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও বৃহত্তম প্রত্যাদেশ। কারণ এটি একটি শিক্ষিত বিশ্ব, বৈশ্বিক যোগাযোগের জগতে, বৃহত্তর পরিশীলনের একটি পৃথিবী এবং ক্রমবর্ধমান এবং গভীর প্রয়োজন, বিভ্রান্তি ও দুর্বিপাকের বিশ্বের সাথে কথা বলে।

একটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে, একটি শিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে এটি দেওয়া প্রথম মহান প্রত্যাদেশ। এবং সে কারণেই এটি আরও বৃহত্তর স্পষ্টতা, বৃহত্তর জোর, বৃহত্তর পরিশীলিততা এবং জটিলতার সাথে এখনই কথা বলতে হবে।

কারণ আপনি শিশু হতে পারবেন না এবং আপনি বিশ্বের ভিতরে এবং তার বাইরেও যে মুখোমুখি হবেন তার মোকাবেলা করতে পারবেন না। আপনি কেবল অন্ধ অনুসারী হতে পারবেন না এবং বিশ্বে যে পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ আসছে তার বা মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবনের সাথে মানবতার মুখোমুখি – ইতিহাসের বৃহত্তম এবং পরিণতিপূর্ণ ঘটনা, তার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন না।

আপনি ঈশ্বরের উপাসনা করতে পারবেন না এবং ভাবতে পারবেন না যে আপনি এখানে আপনার ভাগ্য পূর্ণ করছেন, কারণ আপনাদের প্রত্যেকেই এক বৃহত্তর উদ্দেশ্যে পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে যা বিশ্বের বিবর্তন এবং আপনার চারপাশের মানুষের প্রয়োজনের বাস্তবতার সাথে যুক্ত।

আপনার মধ্যে কেবল জ্ঞানই জানে যে এটির সঠিক অর্থ কী এবং এটির জন্য আপনাকে প্রস্তুত করার জন্য অবশ্যই কী করা উচিত এবং আপনার এবং অন্যের মাধ্যমে কী অর্জন করা উচিত যাদের সাথে আপনি কোনও বৃহত্তর উদ্দেশ্যের আলোকে প্রাকৃতিকভাবে সহযোগিতা করবেন।

সন্দেহজনক এবং বিশ্বাস করা কঠিন মনে হয় এমন দেবতাদের এক বিগ্রহ বা চমকপ্রদ কাহিনী তৈরি করার জন্য প্রত্যাদেশ এখানে আসেনি। এটা আপনাকে ঈশ্বরের ইচ্ছা ও উদ্দেশ্যকে উপস্থাপন করতে উত্সাহিত করার জন্য ঈশ্বরের দাস বানানো জন্য এখানে নয়, যা কেবলমাত্র আপনার মধ্যে জ্ঞানই আপনাকে সক্ষম করতে পারে।

এটি ভবিষ্যতের জন্য এক মহান বাঁণী যা অতীতের মতো হবে না। পতনশীল একটি বিশ্ব; ক্রমহ্রাসমান সংস্থানগুলির একটি বিশ্ব; পরিবেশ ধ্বংসের একটি বিশ্ব; এমন একটি বিশ্ব যেখানে মানুষের যত্ন নেওয়া, সারা বিশ্বে খাদ্য, জল, ওষুধ এবং শক্তি সরবরাহ করা আরও কঠিন হবে; বৃহত্তর বিপদ এবং বিতর্কের একটি বিশ্ব; এবং তদতিরিক্ত এমন এক বিশ্ব যা বিশ্বজগতের জাতিগুলির দ্বারা হস্তক্ষেপের মুখোমুখি যারা মানুষের দুর্বলতা এবং প্রত্যাশাগুলির সুযোগ নেওয়ার জন্য এখানে রয়েছে।

সুতরাং, বাঁণীটি খুব শক্তিশালী, তবে এটি অবশ্যই খুব স্পষ্ট হওয়া উচিত। এবং ম্যাসেঞ্জারকে অবশ্যই এটি ঘোষণা করতে হবে এবং এর অর্থ কী তা শেখাতে সক্ষম হতে হবে। এটি এমন একটি বিষয় যা প্রস্তুতির জন্য কয়েক দশক প্রয়োজন। ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন বাঁণী পেতে ম্যাসেঞ্জারকে এমনকি কয়েক দশক সময় লেগেছে, এটি এত বিশাল এবং অন্তর্ভুক্তিকর।

ম্যাসেঞ্জারকে অবশ্যই পৃথিবীতে পদবিহীন এক ব্যক্তি হতে হবে, তবে তাকে অবশ্যই সুশিক্ষিত এবং অত্যন্ত সহানুভূতিশীল হতে হবে। তিনি অবশ্যই সহজ এবং নম্র হতে হবে। তাকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে কথা বলতে হবে যাতে সবাই বুঝতে পারে। তাকে অবশ্যই তাঁর জীবনের মাধ্যমে তাঁর বাঁণীর মূল্য এবং একটি নতুন প্রত্যাদেশের জীবন যাপন এবং শেখার তাৎপর্য প্রদর্শন করতে হবে।

তিনি নিখুঁত নন, তবে কোন ম্যাসেঞ্জারই নিখুঁত ছিলেন না। তিনি জনসাধারণের জন্য কোন অলৌকিক ঘটনা ঘটাবেন না কারণ মেসেঞ্জারদের কেউই প্রকৃতপক্ষে এটি করেননি। তিনি এখানে সর্বত্র — ধনী-দরিদ্র, উত্তর ও দক্ষিণ, পূর্ব এবং পশ্চিম, সমস্ত জাতির মধ্যে, সমস্ত ধর্মের মানুষের জীবনে ঐশ্বরিক উপস্থিতি এবং শক্তির গভীর অভিজ্ঞতার দ্বার উন্মুক্ত করতে এসেছেন। তিনি এখানে বিশ্বের ধর্মগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য আসেননি, তবে তাদের আরও বৃহত্তর স্পষ্টতা এবং প্রাসঙ্গিকতা প্রদান করছেন।

কারন মানব সভ্যতার বেঁচে থাকতে এবং স্থিতিশীল রাখতে এবং ভবিষ্যতে মানবতার সবচেয়ে বড় সাফল্যের ভিত্তি হয়ে উঠতে হলে পৃথিবীতে যে পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ আসছে তার জন্য মানবতাকে অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।

মানবতাকে মহাবিশ্বের জীবন সম্পর্কেও প্রস্তুত এবং শিক্ষিত হতে হবে, আপনার নিজের পৃথিবীতে হস্তক্ষেপের উপস্থিতি সম্পর্কে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবেন তা নির্ধারণ করার জন্য আপনাদেরকে যে পরিমাণ বুঝার প্রয়োজন হবে।

বিশ্বের কোন ধর্মই আপনাকে এই বিষয়গুলির জন্য প্রস্তুত করতে পারে না, কারণ সেগুলো পূর্ববর্তী যুগের জন্ম হয়েছিল এবং যদিও এগুলি মানবতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তবে মানব সভ্যতাকে বাঁচাতে এবং বিশ্বের ধর্মগুলোর মধ্যে আরও বৃহত্তর ঐক্য আনতে, যুদ্ধ ও সংঘাতের অবসান ঘটাতে ঈশ্বরের কাছ থেকে এক নতুন বাঁণী লাগবে যাতে মানবতা আগত বড় বড় চ্যালেঞ্জগুলির জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে পারে।

আপনি অতীতে সংযুক্ত থেকে ভবিষ্যতের প্রত্যাদেশ বুঝতে পারবেন না। আপনি আপনার ধর্মীয় দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি অবিচল থেকে বুঝতে পারবেন না যে ঈশ্বর আবার কীভাবে কথা বলবেন এবং কেন ঈশ্বর আবারও কথা বললেন এবং এটি আপনার এবং অন্যদের জন্য কী অর্থ বহন করবে। আপনার হৃদয় বন্ধ করা যাবে না, নতুবা আপনি শুনতে পাবেন না এবং আপনি দেখতে পাবেন না।

আপনার এইরকম প্রত্যাদেশের মূল্য দিতে অবশ্যই মানবতাকে যথেষ্ট ভালবাসতে হবে এবং এটি যা শিক্ষা দেয় সেই অনুসারে জীবনযাপন করতে, যে শক্তি সরবরাহ করে, যে অনুগ্রহ ও সমবেদনার উপর জোর দেয় তা গ্রহণ করতে হবে।

মেসেঞ্জার সামনে একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক যাত্রার মুখোমুখি হচ্ছেন, কারণ নতুন বাঁণীর বিরুদ্ধে অনেক প্রতিরোধের উপস্থিতি ঘটবে, যেমনটি পৃথিবীতে ঈশ্বরের বাঁণীর প্রতি অতীতে সর্বদা দুর্দান্ত প্রতিরোধ ছিল, যখনই ও যেখানেই দেওয়া হয়েছিল।

তিনি প্রতিটি শহরে কথা বলছেন না। তিনি প্রতিটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। তিনি কেবল এখানে এবং সেখানেই কথা বলবেন। তবে তাঁর বাঁণী বিশ্বে সম্প্রচারিত হবে এবং প্রত্যাদেশের বাঁণী নিজের ভাষ্য, নিজস্ব নির্দেশনা এবং নিজস্ব স্পষ্টতা দিয়ে বিশ্বকে উপস্থাপন করা হবে। এটি এমন কিছু নয় যা ভবিষ্যতের পণ্ডিত এবং ব্যক্তিদের ব্যাখ্যা করতে, মন্তব্য করার জন্য ছেড়ে দেওয়া হবে, কারণ এটি অতীতে বিপজ্জনক এবং দুর্ভাগ্যজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে।

এজন্যই প্রত্যাদেশটি এত স্পষ্ট এবং এত পুনরাবৃত্তিযোগ্য। এজন্যই মানুষের ত্রুটি, ভুল ধারণা এবং ভুল বোঝাবুঝির সম্ভাবনা হ্রাস করার পক্ষে এটি এতটা স্পষ্ট।

এটি ব্যক্তির জ্ঞানের শক্তিকে প্রত্যর্পণ করে, যা আগে কেবল অভিজাত এবং নির্বাচিতদের বিশেষাধিকার ছিল। এটি মানবতার গভীর বিবেক, যে বিবেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে আপনাদের গাইড এবং পরামর্শ হতে আপনাদের এখানে আসার আগেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল সে বিষয়ে কথা বলে।

ম্যাসেন্জারের অবশ্যই ইবাদাত করা উচিত নয়। তিনি দেবতা নন। ম্যাসেন্জারগণের কেউই দেবতা ছিলেন না। তাঁরা ম্যাসেঞ্জার ছিলেন — অর্ধেক মানব, অর্ধেক পবিত্র – উভয় বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করে, বিশ্বের বাস্তবতা এবং প্রাচীন বাড়ির বাস্তবতা যা থেকে আপনারা প্রত্যেকে এসেছেন এবং যেখানে আপনারা প্রত্যেকে অবশেষে ফিরে আসবেন।

তাঁর উপস্থিতি যা স্পষ্ট করা উচিত তা স্পষ্ট করে দেবে। তাঁর আওয়াজ যারা শুনতে পারে তাদের মন এবং অন্তরে কথা বলবে। তিনি বিশ্বের প্রয়োজন এবং হৃদয় এবং আত্মার প্রয়োজনের সাথে কথা বলবেন। তিনি কেবল উত্তরগুলিই নয়, উত্তর নিজেই নিয়ে আসেন। কারণ ঈশ্বর প্রত্যেক ব্যক্তির মধ্যে বৃহত্তর বুদ্ধি এবং মন স্থাপন করেছেন, তবে এটি পৃথিবীতে কোন পরিমাণেই জানা যায় না, কেবল কয়েকজন ছাড়া।

কেবলমাত্র বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্যই নয়, আপনাকেও ভবিষ্যতের জন্য কেবল মানব প্রযুক্তি এবং মানবীয় দক্ষতা পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রস্তুত করতে সক্ষম হবে। এটি আপনার প্রকৃতি এবং আপনার সত্তার জন্য আরও গভীর এবং প্রয়োজনীয় কিছু হতে হবে। মেসেঞ্জার এই বিষয়গুলির কথা বলবেন।

এটি প্রত্যাদেশের সমস্ত অংশ, আপনি দেখুন। ঈশ্বর আপনাকে দিনের জন্য কোনও উত্তর দেন না বা আগামীকালের জন্যও একটি উত্তর দেন না, তবে সব দিন এবং সব পরিস্থিতিতে একটি উত্তর দেন।

ঈশ্বরকে আপনার জীবন পরিচালনা করতে হবে না, কারণ সমস্ত মহাবিশ্বের পালনকর্তা এইভাবে আপনার সাথে নিযুক্ত নন। ঈশ্বর আরও বুদ্ধিমান। ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, যা আপনার মনে অন্যান্য সমস্ত আওয়াজ এবং আবেগ, বাসনা এবং ভয় থেকে বোঝার জন্য একটি নিখুঁত পথপ্রদর্শক বুদ্ধি।

প্রত্যাদেশ জ্ঞানের পদক্ষেপ সরবরাহ করেছে, এটিই সর্বাধিক অনুদানের অনুপ্রবেশ পাওয়ার পথ যা ঈশ্বর মানবতা বা মহাবিশ্বের যে কোনও উদীয়মান বা উন্নত জাতিকে কখনও দিতে পারেন।

ঐশ্বরিক সম্পর্কে এখন আপনার উপলব্ধি অবশ্যই জীবনের বৃহত্তর প্যানোরামাতে নেওয়া উচিত। আপনার বোধগম্যতাগুলি অতীতে নোঙ্গর করা যাবে না, তবে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে এবং ভবিষ্যতের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে সক্ষম হতে হবে, কারণ আপনার ভেতর ও আপনার চারপাশে আরও বেশি এবং বৃহত্তর পরিবর্তন ঘটে। আপনার প্রভু এখন অবশ্যই বিশ্বজগতের প্রভু, এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন রেস এবং আরও অনেক কিছুর মালিক।

এটি মানবতার জন্য প্রত্যাদেশের একটি অংশ, যে কোনও প্রত্যাদেশের চেয়ে খুব আলাদা এবং আরও বিস্তৃত। এটির সাহায্যে, আপনি সমস্ত প্রত্যাদেশকে মূল্যায়ন করবেন এবং সেগুলি থেকে জ্ঞান অর্জন করবেন।

আপনি যদি একজন ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টান হন তবে আপনার খ্রিস্ট ধর্ম এখন আরও বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বিস্তৃত হবে। আপনি যদি একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হন তবে আপনার বিশ্বাস ও অনুশীলন এখন বৃদ্ধি পাবে এবং আরও বিস্তৃত হবে। আপনি যদি অনুশীলনকারী বৌদ্ধ বা ইহুদি ধর্মের বিশ্বাস বা কোনও ধর্মীয় পথের হন তবে এই সমস্তই নতুন প্রত্যাদেশ বাঁণীর দ্বারা সম্প্রসারিত হবে। মেসেঞ্জার এই বিষয়গুলির কথাই বলবেন। প্রত্যাদেশ বাঁণী এই বিষয়গুলির কথাই বলে।

এবং প্রথমবারের মতো, আপনি প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে পাবেন। পূর্বে সুস্পষ্ট কারণে এটি রেকর্ড করা কখনই সম্ভব ছিল না, তবে এখন আপনি প্রত্যাদেশের ভয়েস শুনতে সক্ষম হবেন। এটি একটি আশ্চর্যজনক জিনিস, তবে এটি আপনার জন্যও একটি চ্যালেঞ্জ, কারণ আপনি যদি এটি শুনতে না পারেন, যদি আপনি এটি সনাক্ত করতে না পারেন, তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার নিজের প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হতে হবে। আপনি এটি সমালোচনা, অস্বীকার এবং এড়াতে পারেন, তবে এটি কেবল আপনার দুর্বলতা এবং আপনার সীমাবদ্ধতা দেখাবে।

ঈশ্বর আপনার জন্য আরও কি করতে হবে? আপনি যদি প্রত্যাদেশটি গ্রহণ করতে না পারেন তবে ঈশ্বর আপনার জন্য কী করতে পারেন? ঈশ্বর সমগ্র বিশ্বকে এবং পৃথকভাবে আপনাকে একটি উত্তর দিয়েছেন – আপনার বিশ্বাস, আপনার ঐতিহ্য, আপনার ধর্ম, সংস্কৃতি এবং জাতিকে। আপনি কি অনুগ্রহ চান? আপনি কি সরবরাহকারী চান? আপনি কি জীবনের অসুবিধা থেকে মুক্তি পেতে চান? আপনি কি আনুকূল্য পেতে চান? আপনি কি প্রতিটি টার্নে অলৌকিক কাজ চান? আপনি কি স্বর্গের কোনও ধরণের কল্যাণে থাকতে চান, যেন আপনি পৃথিবীতে অসহায় এবং দুর্বল হয়ে পড়েছেন?

ঈশ্বর আপনাকে জ্ঞানের মাধ্যমে শক্তি দান করছেন এবং নতুন প্রত্যাদেশের মাধ্যমে জ্ঞানের দিকে আহ্বান করছেন।

তিনি ঈশ্বর নন যিনি জগতকে রক্ষা করবেন, তবে বিশ্বকে বাঁচাতে এখানেই প্রেরিত লোকেরা তা করবে। এবং তারা তাদের ছোট কিন্তু উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে এবং এটি তাদের বোধগম্যতার চেয়ে আরও বৃহত্তর হবে। এবং এটি তাদের ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে আলাদা হবে। এবং এগুলি তাদের উদ্ধার করবে এবং তাদের পুনরুজ্জীবিত করবে, তাদের কাছে স্বর্গের শক্তি এবং ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে, যা মনের পৃষ্ঠের নীচে গভীরভাবে তাদের মধ্যে জ্ঞানের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

আপনার কাছে প্রত্যাদেশের প্রক্রিয়াটি বোঝার সুযোগ রয়েছে। এবং যদি আপনি এটি বুঝতে পারেন তবে দেখতে পাবেন এটি আসলে কী একটি অলৌকিক কাজ। এবং আপনি ম্যাসেন্জারকে দেবদেবীতে পরিণত করবেন না, তবে তাকে মর্যাদা ও শ্রদ্ধার সাথে সম্মান জানান যা তিনি প্রাপ্য। এবং আপনি আপনার পদ্ধতির প্রতি সত্যবাদী হবেন – প্রত্যাদেশটি খারিজ বা উপেক্ষা করা নয়, বরং তবে এটি শুনতে, এটির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এবং এটি আপনার জীবনে যথেষ্ট প্রয়োগ করার জন্য যাতে আপনি এর বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং অর্থটি বুঝতে পারেন।

মানুষ চায় ঈশ্বর তাদের জন্য অনেক কিছু করেন — দুর্যোগ থেকে তাদের বাঁচান, তাদের সুযোগ সুবিধা দিন, অসুস্থকে নিরাময় করুন, দুর্নীতিবাজ ও দমনকারী সরকারকে পরাস্ত করুন, তাদের ধনী করে তুলুন, তাদেরকে সুখী করুন, তাদের সন্তুষ্ট করুন বা শান্তিতে রাখুন।

কিন্তু মানুষ যা চায় এবং ঈশ্বর যা চান তা এক নয়, প্রাথমিক ভাবে নয়। কারন আপনার হৃদয়ের আসল চাহিদা হল স্রষ্টার ইচ্ছার সাথে অনুরণিত হওয়া, তবে আপনার হৃদয় এবং আত্মার আসল চাহিদা এমন কিছু হতে পারে যা আপনার সচেতনতার মধ্যে নেই। আরও গভীর সততা আপনাকে সেখানে নিয়ে যাবে।

ঈশ্বর জ্ঞানের শক্তি প্রদান করেছেন এবং এর সাথে পথের যাত্রা এবং জীবনের সাথে সম্পর্কের আবদ্ধতা যা ব্যক্তিকে মুক্তি দেয়। এটি সকলকে, এমনকি দুষ্ট, এমনকি দরিদ্রতমদেরও সেবা করে।

এখানে কোনও নায়ক এবং মাস্টার নেই। তবে জ্ঞানের সাথে যারা শক্তিশালী তারাই কেবল বিশ্বে এর অনুগ্রহ ও শক্তি প্রদর্শন করতে পারেন।

মানুষ চিন্তাভাবনা করা এবং বিশ্বাস করা শেখানো থেকে এটি কতটা আলাদা। তবে চিন্তা ও বিশ্বাস মনের উপরিতলে রয়েছে। এই উপরিতলের নীচেই আপনার প্রকৃত প্রকৃতি এবং জ্ঞানের শক্তির মহান সূত্রপাত।

এটি আপনার জীবনের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ এবং কেন্দ্রীয় তা আপনি এখনও বুঝতে পারেন নি। এজন্যই ধর্ম প্রকৃতপক্ষে কী এবং এর অর্থ, আধ্যাত্মিকতা আসলে কী এবং এর অর্থ এবং সমস্ত সত্য আধ্যাত্মিক অনুশীলন কীভাবে জ্ঞানের মূল পদক্ষেপ তা প্রত্যাদেশের বাঁণীতে অবশ্যই স্পষ্ট করে দিতে হবে।

তবে এটি বিশ্বের ধর্মগুলিতে খুঁজে পাওয়া মুশকিল, সুতরাং তারা আচার, ঐতিহ্য, ভাষ্য এবং ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। অনেকের কাছে সেগুলি দৃয় বিশ্বাসে পরিণত হয়েছে; অন্যদের জন্য, কেবল একটি সান্ত্বনা মাত্র। তাদের সত্যিকারের শক্তি কেবলমাত্র তাদের মধ্যেই পাওয়া যেতে পারে একজন মহান শিক্ষক এবং একজন জ্ঞানী গাইডের সাথে।

মানবকুলের কাছে এর জন্য এখন আর সময় নেই, কারণ সময়টি দেরী হয়ে গেছে। এটি কেবল কিছু নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের জীবনেই বৃহত্তর যাত্রা করা নয়। সমগ্র মানব জাতিকে বিশ্বে যে দুর্দান্ত পরিবর্তন আসছে তার জন্য সর্বাধিক কার্যকর এবং অপরিহার্য উপায়ে প্রস্তুত করা এবং এটি ইতিমধ্যেই উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে এবং শহরগুলিকে অভিভূত করতে শুরু করেছে, জাতিদের একে অপরের সাথে সংঘাতের মধ্যে ফেলছে, আপনার আকাশকে অন্ধকার করছে, আপনার নদীগুলিকে দূষিত করছে, আপনি প্রতিদিন নির্ভর করেন এমন সংস্থানসমুহকে হুমকি মধ্যে ফেলছে।

প্রত্যাদেশের বাঁণী এখানে আপনাকে ভয় দেখাতে নয়, বরং আপনাকে ক্ষমতায়িত করার জন্য; আপনাকে শক্তি, সাহস এবং সংকল্প দেওয়ার জন্য; আপনাকে সহানুভূতি এবং সহনশীলতা দেওয়ার জন্য; আপনাকে জ্ঞানের শক্তি দেওয়ার জন্য যা আপনার আসল শক্তি এবং অখণ্ডতার উত্স।

পৃথিবী বদলে গেছে, কিন্তু মানুষ এর সাথে পরিবর্তন হয়নি। মহা তরঙ্গ আসছে, কিন্তু মানুষ তা জানে না। বিশ্বজুড়ে হস্তক্ষেপ ঘটছে, কিন্তু মানুষের তা অজানা বা সম্ভবত এটি একটি বিস্ময়কর জিনিস বলে মনে করছে।

মানবতাকে প্রস্তুত করতে, মানবতাকে জাগ্রত করতে এবং মানবিকতাকে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ করতে সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে একটি বাঁণী লাগবে যাতে এর একটা বৃহত্তর ভবিষ্যত হতে পারে এবং এর স্বাধীনতা এবং তার নিয়তির দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জে বেঁচে থাকতে পারে।

অনেক কিছু শিখতে হবে। অনেক বিষয় আলাদা করে রাখতে হবে, অনেক বিষয় প্রশ্নবিদ্ধ হতে হবে, অনেক বিষয়কে পুনর্বিবেচনা করতে হবে। ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি প্রত্যাদেশ এই সবকিছু নিয়ে আসে। এটির প্রাপকের এবং এটি গ্রহণের জন্য যে লোকেরা এত ধন্য হয়েছেন তাদের কাছে এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ।

এবং ম্যাসেঞ্জার বিশ্বে থাকাকালীন সময়ে আপনার তাঁকে শোনার, তাঁর কথার এবং এই মুহুর্তে তাঁর উপস্থিতির অর্থ বিবেচনা করার এই দুর্দান্ত সুযোগ রয়েছে।

এটি অনেকের কাছে একটা দুর্দান্ত ধাক্কা হবে। এটি অনেকের দ্বারা প্রতিহত হবে। এটি অনেকের দ্বারা গৃহীত হবে।

তবে মানবতাকে তার পরিস্থিতির বাস্তবতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য এবং যে পরিস্থিতিতে এটি প্রস্তুত হতে হবে তা জাগাতে একটা বিরাট ধাক্কা লাগবে। এটি প্রত্যাদেশের ধাক্কা নেবে। এটি ভবিষ্যতের ধাক্কা নেবে। এটি এই বর্তমান মুহুর্তের বাস্তবতা এবং উপলব্ধি গ্রহণ করবে যে তারা এখানে যে ধরনের জীবন যাপনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছিল সে ধরনের জীবন যাপন করছে না এবং এটি স্বীকৃতি গ্রহণ করবে যে একমাত্র আপনার ধারণাগুলি আপনাকে বৃহত্তর জিনিসের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে না, আপনার অবশ্যই জ্ঞানের শক্তি থাকতে হবে, এটি স্বর্গের শক্তি যা আপনাকে দেওয়া হয়েছিল।

এটিই প্রত্যাদেশের অর্থ। এটি কেবল ধারণার প্রত্যাদেশ নয়। এটি অভিজ্ঞতার একটি প্রত্যাদেশ। এটি কারোর প্রকৃত প্রকৃতি, উত্স এবং নিয়তির প্রত্যাদেশ।

এর জন্য আপনার চোখ খোলা থাকুক। আপনার হৃদয় গ্রহণযোগ্য হোক। আপনার ধারণাগুলি পুনর্বিবেচনার জন্য যথেষ্ট নমনীয় হোক। এবং আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি এখান একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য পরিবেশন করতে এসেছেন, যা আপনি নিজেই আবিষ্কার বা পরিচালনা করতে পারবেন না। প্রত্যাদেশটি আপনার হোক এবং আপনার মাধ্যমে অন্যকে দেওয়া হোক। মেসেঞ্জারকে পৃথিবীতে তাঁর অবশিষ্ট সময়টিতে স্বীকৃতি দেওয়া এবং সম্মানিত করা হোক। এবং এটি আপনার জীবনের যারা বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং দিকনির্দেশ খুঁজতে চাইছেন তাদের জন্য এটি একটি মহান আশীর্বাদ, শোধন এবং অনুপ্রেরণার সময় হতে পারে।

বন্ধন

ঈশ্বরের মেসেঞ্জার
মার্শাল ভিয়ান সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
16 এপ্রিল, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

আজ আমরা ঈশ্বরের উচ্চ কর্তৃপক্ষের কথা বলব।

উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এখন আপনার সাথে কথা বলছে, অ্যাঞ্জেলিক উপস্থিতির মাধ্যমে কথা বলছে, এমন একটি অংশের সাথে কথা বলছে যা আপনার সত্তার একমাত্র কেন্দ্র এবং উত্স, আপনার সামাজিক অবস্থার বাইরে, আপনার ধারণা এবং বিশ্বাসের বাইরে, এবং সংস্কৃতি এবং এমনকি আপনার ধর্মের ধারণা এবং বিশ্বাসের বাইরে কথা বলছে।

উচ্চতর কর্তৃপক্ষের বিশ্ব এবং বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি বাণী রয়েছে। বাণীর্টি একটি ধারণার চেয়ে বড়। এটি এক সেট ধারণার চেয়েও অধিক। এটি একটি আহ্বান এবং একটি নিশ্চিতকরণ, আপনাকে সাড়া জানাতে আহ্বান করছে এবং এটি নিশ্চিত করে যে আপনার মধ্যে এবং বিশ্বের সমস্ত মানুষের মধ্যে আরও একটি গভীর প্রকৃতি রয়েছে। নিশ্চিতকরণটি আপনার সাড়া জানানোর সক্ষমতার একটি টার্নিং পয়েন্ট।

শক্তি এবং উপস্থিতি  মহাবিশ্বের উপরে অধিষ্ঠিত, যা আপনি সম্ভবত কল্পনা করতে পারেন তার চেয়েও অনেক বড় এবং বিস্তৃত মহাবিশ্ব এবং এমনকি নৈসর্গিক মহাবিশ্বকে ছাড়িয়ে সৃষ্টির বৃহত্তর রাজ্যেও, যা এমন কিছু যে পৃথিবীতে খুব কম লোকই রয়েছে যে এটা সম্ভব বলে বিবেচনা করে।

এবং তবুও উচ্চতর কর্তৃপক্ষ আপনার মনের পৃষ্ঠতলের গভীর তলদেশে, আপনার সর্বাধিক ব্যক্তিগত স্থানে, আপনার সত্তার কেন্দ্রস্থলে আপনার সাথে কথা বলে।

এটি আপনার সবচেয়ে বড় সম্পর্ক এবং লোকের সাথে, জায়গার সাথে এমনকি জিনিসের সাথে আপনার সমস্ত সম্পর্কের অর্থ ও উদ্দেশ্যটির উত্স।

আপনার গভীরতর অংশের সাথে কথা বলার জন্য, আপনার গভীর অংশের সাথে আপনাকে পরিচিত করতে এবং একটি নতুন বিশ্বে বাস করার জন্য এবং বুদ্ধিমান জীবনের একটি মহাবিশ্বের সাথে জড়িত থাকার জন্য আপনাকে প্রস্তুত করতে আপনার এখন এই উচ্চতর কর্তৃপক্ষের দরকার, এটি গ্রেটার কমিউনিটি জীবন। আপনি এই বিষয়গুলি জানেন না, তবে তারা আপনার অংশ।

আপনি যখন আপনার ইচ্ছা এবং আপনার ভয় এবং অন্যের আকাঙ্ক্ষা ও ভয় ছাড়িয়েও শুনতে পেলেন তখন আপনি স্বচ্ছতার সময়, প্রজ্ঞাজ্ঞানের সময় এবং হতাশার সময়েও আপনার গভীর প্রকৃতির অভিজ্ঞতা পেয়েছিলেন।

উচ্চতর কর্তৃপক্ষ আপনাকে আহ্বান জানিয়েছে, আপনাকে আপনার মনের প্রাচীন করিডোরগুলির মাধ্যমে ডেকে পাঠাচ্ছে, আপনাকে আপনার বিশ্বাস এবং আপনার ব্যস্ততার বাইরে ডেকেছে।

কারণ ঈশ্বর আবার কথা বলেছেন এবং কথা এবং শব্দ পৃথিবীতে র‍য়েছে। এটি একটি গভীর যোগাযোগ, বুদ্ধির বুঝতে পারার চেয়েও গভীর এবং আরও প্রগাঢ়।

এটি একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং গভীরতর দায়িত্ব এবং বৃহত্তর সংঘবদ্ধতার কথা বলে, যা এই পৃথিবীর ভেতর এবং তার বাইরেও। এবং এই সংঘের মাধ্যমে আপনি একটি সেতু হয়ে উঠবেন – এই বিশ্বের একটি সেতু, আপনার প্রাচীন বাড়ির একটি সেতু যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি ফিরে যাবেন।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তাদের রয়েছে দুর্দান্ত ভয় – হারানোর ভয়, না থাকার ভয়, বঞ্চনার ভয়, নিপীড়নের ভয়, বেদনা ও কষ্টের ভয় এবং মৃত্যুর বেদনা।

তবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এই সমস্ত কিছুর বাইরে কথা বলে। এটি সৃষ্টিকর্তা সৃষ্টির সাথে কথা বলছেন।

আপনার মধ্যে সৃষ্টি গভীর মনকে আমরা জ্ঞান বলে থাকি। এটি আপনার স্থায়ী অংশ। এটি আপনার অংশ যা এই জীবনের পূর্বে ছিল এবং এটি এই জীবনের পরে থাকবে, বিচ্ছিন্নতার ক্ষেত্রগুলি দিয়ে ভ্রমণ করবে, কেবলমাত্র ভয়েসের শক্তি দ্বারা পরিচালিত।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তাদের বড় ভয় রয়েছে। অনেকের দৃঢ় বিশ্বাস রয়েছে। তবে উচ্চতর কর্তৃপক্ষ এই বিষয়গুলির বাইরে যাঁরা দেখতে এবং শুনতে পারে এবং যারা গভীর স্তরে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে তাদের সাথে কথা বলে।

আপনি এটি মূল্যায়ন করতে পারবেন না। এটি আপনার মনের চেয়েও বড়। আপনি এটি নিয়ে বিতর্ক করতে পারবেন না, কারণ এটি আপনার সক্ষমতার বাইরে।

এটি রহস্যজনক কারণ এটি বিস্তৃত। এর উত্স এই পৃথিবী এবং সমস্ত পৃথিবীর বাইরে, সুতরাং আপনি এটি কল্পনা করতে পারবেন না।

তবে অভিজ্ঞতাটি এত গভীর যে এটি আপনার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করতে পারে এবং আপনাকে বিচ্ছিন্নতার স্বপ্ন থেকে আপনাকে জাগিয়ে তুলতে পারে, আপনাকে আপনার ব্যস্ততা এবং সংযুক্তি এবং সমস্ত কিছুর বাইরে নিয়ে আসে যাতে আপনি প্রাচীন কন্ঠস্বর শুনতে পান, এত প্রাচীন যে এটি আপনার হিসাবনিকাশ বহির্ভূত জীবনের কথা বলে। তবে এমন একটি জীবন যা আপনার জীবন।

দিগন্তের উপরে কী আসছে ঈশ্বর তা জানেন। ঈশ্বর জানেন আপনি এখানে কেন এসেছেন। ঈশ্বর আপনাকে এখানে একটি উদ্দেশ্যে পাঠিয়েছেন। আপনার পরিকল্পনা এবং লক্ষ্য এর জন্য খুব কমই দায়ী।

এটি আরও বড় কিছু। এটি আরও সাধারণ এবং কম সুবিশাল। এটি আপনার সত্তা এবং আপনার প্রকৃতি এবং আপনার ডিজাইনের জন্য প্রয়োজনীয় কিছু।

এটি আপনার সর্বাধিক প্রাথমিক সম্পর্ক, গভীর ভালবাসা, সর্বাধিক সখ্যতা। এটি আপনাকে নিজের সাথে এক করে দেয় এবং আপনার জীবনকে লক্ষে নিয়ে আসে।

এটি আপনাকে এমন পরিস্থিতিতে ডেকে আনে যা ক্ষতিকারক বা আপনার কোন প্রতিশ্রুতি নেই। এটি আপনাকে পৃথিবীতে বৃহত্তর অংশ গ্রহণের আহ্বান জানায়, রহস্যময় প্রাচীন কণ্ঠস্বর দ্বারা পরিচালিত, এমন একটি ভয়েস যা আপনি কখনও শুনেছেন তার অসদৃশ, যা আপনি কখনও অনুভব করেছেন তার চেয়ে গভীর, আপনি দেখতে বা স্পর্শ করতে পারেন এমন কিছুর চেয়েও মহান।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তারা দুর্দান্ত ভয় দ্বারা চালিত হয়। এমনকি তাদের আনন্দ ভীতি এবং আশঙ্কায় পূর্ণ।

তবে প্রাচীন কণ্ঠস্বর ভয়ের বাইরে এবং যখন আপনি প্রতিক্রিয়া জানান, আপনি তখন ভয়ের বাইরে।

কে বলতে পারে এটি কি? কে এর মূল্যায়ন করতে পারে?

নির্বোধ না হয়ে কার্যকারিতার দিক থেকে ভাবুন। বিশ্লেষণাত্মক হতে হবে না। কারন এটি একটি গভীর এবং আরও অন্তর্নিহিত স্তরে ঘটছে।

এটি= থেকে সঙ্কোচ করবেন না। কারন এটিই  আপনার জীবন, আপনার উদ্দেশ্য এবং আপনার আহ্বান।

উপস্থিতি এবং কৃপা আপনার সাথে আছে। তবে আপনি অন্য জিনিসের দিকে তাকিয়ে আছেন। আপনার মন অন্য কোথাও। যা আপনাকে মুক্তি দেয় এবং পুনরুদ্ধার করে তা এখন আপনার সাথে রয়েছে। তবে আপনি অন্য দিকে তাকিয়ে আছেন।

দৈববাণী এখন পৃথিবীতে। ঈশ্বর মানবতার জন্য একটি মহান বাণী এবং মানব পরিবারের জন্য একটি কঠিন এবং বিপজ্জনক ভবিষ্যতের জন্য একটি প্রস্তুতি নিয়ে আবারও এসেছেন।

এটা কি? এর মানে কী? কেন এমন হচ্ছে? আপনি কিভাবে প্রস্তুতি নেবেন?

কেবলমাত্র দৈববাণীই এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। নিজেকে আলাদা করে আপনি এই প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবেন না।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তারা খুব বিভ্রান্ত হয়। এরা খুব ব্যস্ত থাকে। কিন্তু তারা কোথায় বা তারা কী করছে তা তারা জানে না। তাদের লক্ষ্যগুলির বেশিরভাগই সমাজের লক্ষ্য। তারা জানেন না যে তারা জীবনে কোথায় যাচ্ছে বা কেন তারা এখানে আছে বা কে তাদেরকে পাঠিয়েছে এবং কী তাদের পুনরুদ্ধার করবে এবং তাদের পূর্ণতা দেবে এবং তাদের জীবনের উদ্দেশ্য এবং দিকনির্দেশ দেবে।

প্রাচীন ভয়েস এখন আপনার সাথে কথা বলছে। এবং আপনি প্রাচীন ভয়েসটি নিজের মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানায় শুনতে পাবেন কারণ আপনার সংযোগটি খুবই গভীর। এটি মরুভূমির নিচ দিয়ে প্রবাহিত ভূগর্ভস্থ নদীগুলির মতো, শুদ্ধতম জলের ভূগর্ভস্থ নদী যা পৃষ্ঠ থেকে দেখা যায় না এবং যা অন্য উপায় ছাড়া পাওয়া যায় না।

আপনি যখন আপনার জীবনকে পৃষ্ঠের উপরে কাটান তখন আপনার মধ্যে গভীরে আপনি ঈশ্বরের সাথে যুক্ত হন। এবং এই সংযোগটি গভীরতর ভয়েস এবং আরও বৃহত্তর দিক অনুসরণ করে আহ্বান এবং সাড়ার মাধ্যমে অভিজ্ঞ হয়।

লোকেরা জিজ্ঞেস করে কেন? এটি কেন ঘটছে? তাদের এই মুহুর্তে পুরোপুরি মনোযোগ আনতে তাদের অবশ্যই থামতে এবং শুনতে এবং শুনতে শিখতে হবে যাতে তারা শুনতে পারে এবং অনুভব করতে পারে এবং বুঝতে পারে যে তাদের মধ্যে প্রত্যাদেশটি আলোড়িত হচ্ছে।

সুতরাং প্রত্যাদেশটি উদ্দীপনা জাগায়, প্রত্যাদেশটি প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে। প্রত্যাদেশের সময়ে ঈশ্বর বিশ্বের সাথে এইভাবে কথা বলেন। এটি গভীরতম এবং সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ পর্যায়ে সম্পর্ক।

আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছেদ হতে পারবেন না। কারণ ঈশ্বর আপনার সাথে সর্বত্র যায়। ঈশ্বর প্রতি মুহুর্তে, প্রতিটি ক্রিয়াকলাপে আপনার সাথে আছেন।

কেবল আপনার চিন্তায় আপনি আলাদা থাকতে পারেন, নিজেকে অন্য জিনিসের সাথে সংযুক্ত করতে পারেন, অন্যান্য জিনিসের সাথে সনাক্ত করতে পারেন। তবে প্রাচীন ভয়েস আপনার মধ্যে রয়েছে, আপনাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ডাকে, আপনাকে গাইড করে, আপনাকে পিছনে ধরে রাখে।

আপনার গভীর উপদেশ এবং আপনার হৃদয়ের তাগিদ বুঝতে আপনাকে অবশ্যই শুনতে শুরু করতে হবে। নিজের মধ্যে শুনুন। বিচার ও নিন্দা ছাড়াই বিশ্বকে শুনুন। কি আসছে তার লক্ষণ শুনুন। আপনাকে কীভাবে সাড়া জানাতে হবে তা শুনুন। কার সাথে থাকবেন এবং কার সাথে থাকবেন না শুনুন।

এখানে আপনি ভয় অনুসরণ করবেন না। এখানে নিন্দা নেই। এখানে একটি বৃহত্তর বিচক্ষণতা এবং একটি বৃহত্তর স্বীকৃতি আছে।

আপনাকে গাইড করতে এবং আপনাকে রক্ষা করতে এবং আপনাকে একটি বৃহত্তর জীবন এবং বিশ্বজুড়ে অংশগ্রহণের জন্য ঈশ্বর আপনার মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন। এটি কর্তৃত্ব এবং বুদ্ধিবৃত্তির নাগালের বাইরে থাকে। এটি গভীর স্তরে ঘটছে।

আপনি এটি একবার অনুভব করা শুরু করলে, আপনি একটি বৃহত্তর বিচক্ষণতা অর্জন করতে শুরু করবেন। আপনি কী করেন এবং কাদের সাথে মিশামিশি করছেন সে সম্পর্কে আপনি যত্নবান হবেন। আপনি অন্যদের সাথে অংশগ্রহণ করা উচিত কিনা এবং তারা আপনার সাথে কী যোগাযোগ করছে তা দেখার জন্য আপনি গভীরভাবে শুনবেন ।

লোকেরা অনেক কিছুই বিশ্বাস করে তবে তারা খুব কমই জানে। তারা মনের পৃষ্ঠে বাস করছে, যা অশান্ত এবং বিশৃঙ্খল এবং বিশ্বের বাতাস এবং আবেগ দ্বারা পরিচালিত।

তাদের বিশ্বাসগুলি গভীর সম্পর্কের একটি বিকল্প। তাদের ব্যস্ততাগুলি যে বৃহত্তর ব্যস্ততার সাথে ভাগ্য নির্ধারিত হয় তা এড়ানো।

দূরে দাঁড়িয়ে তারা দেখতে পায় না। তারা জানতে পারে না। তারা সাড়া দিতে পারে না। তারা তাদের চিন্তাধারা কর্তৃক, তাদের মনের দ্বারা, তাদের প্রতিক্রিয়ার দ্বারা প্রভাবিত হয়। তারা দাস, তুচ্ছভাবে জীবনযাপন করছে।

তবে রহস্যটা তাদের মধ্যেই রয়েছে। এটি জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। লক্ষ্য অর্জন, সম্পদ এবং সাহচর্য সুরক্ষা এবং সমাজে স্বীকৃতি ছাড়াইয়াও এটি সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ এটি একটি বৃহত্তর ব্যস্ততার ক্ষেত্র।

রহস্য গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কিছুর উত্স। সমস্ত বিখ্যাত আবিষ্কার এবং অবদান, দুর্দান্ত সম্পর্ক, গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা – এগুলি সবকিছু রহস্য থেকে এসেছে — আপনি কে, আপনি এখানে কেন এসেছেন, আপনাকে কী ডাকে, আপনার বৃহত্তর সংশ্লিষ্টতা, পৃথিবীতে নির্দিষ্ট লোকের সাথে আপনার ভাগ্য, আপনার চারপাশের প্রত্যেকে যখন ঘুমাচ্ছেন, স্বপ্ন দেখছেন এবং প্রতিক্রিয়াবিহীন অবস্থায় আছেন তখন আপনার পথ সন্ধান করার ক্ষমতা। এটি এমন একটি যাত্রা যা আপনি অবশ্যই গ্রহণ করবেন নতুবা আপনার জীবন ঝামেলাপুর্ণ স্বপ্নের মত হবে এবং এর চেয়ে বেশি কিছু নয়।

আপনি এই দুনিয়া থেকে চলে যাওয়ার পরে যখন আপনি আপনার আধ্যাত্মিক পরিবারে ফিরে আসেন, তারা আপনাকে আপনি কাজটি সম্পাদন করেছেন কিনা, গভীরভাবে সংযোগ স্থাপন করেছেন কিনা তা দেখতে আপনার দিকে তাকাবে। এবং আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনি করেছেন না করেননি।

এখানে কোন রায় এবং নিন্দা নেই, কেবল স্বীকৃতি এখানে। এখানে যা রহস্যজনক ছিল তা বাস্তবে বাস্তব হয়ে ওঠে এবং আপনার অগ্রাধিকারগুলি স্পষ্ট। এখানে কোনও বিভ্রান্তি নেই। কোন প্রতিরোধ নেই।

এবং আপনি ফিরে আসতে চাইবেন, নিজেকে বলবেন, “এবার আমি মনে রাখব। আমি এখন জানি। আমি এখন দেখতে পাচ্ছি। আমি স্মরণ রাখবো।”

আপনি এখানে থাকাকালীন সময়ে আপনাকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে। এটিই সমস্ত পার্থক্য নির্ণয় করে। এটিই গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত কিছুর শুরু। এটাই আপনার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।

এটি কেবল রহস্যময় কারণ আপনি এ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন, রূপের জগতে ধরা পড়েছেন, বিশ্বে হারিয়ে গেছেন, ব্যক্তি হিসাবে বেড়ে উঠছেন, একটি কঠিন এবং পরিবর্তিত বিশ্বের সাথে খাপ খাইয়ে নিয়েছেন। তারপরে আপনাকে মনে করিয়ে দেওয়ার জন্য কিছু আসে এবং আপনি অনুভব করতে শুরু করেন যে রহস্যটি আপনার সাথে এবং আপনার মধ্যে রয়েছে এবং আপনাকে প্রভাবিত করছে।

এর উত্স নৈসর্গিক বাস্তবতার বাইরে, কারণ আপনি কে তা নৈসর্গিক বাস্তবতার বাইরে। আপনি শেষ পর্যন্ত যেখানে যাচ্ছেন তা নৈসর্গিক বাস্তবতার বাইরে। তবে আপনি এখানে এসেছেন কারণ আপনাকে এখানে কোনও উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে। এটিই রহস্য।

আমরা আপনাকে গভীর স্তরে জড়িত করার জন্য, যা খাঁটি তা প্রমাণ করার জন্য, আমরা আপনার এমন একটি অংশের সাথে কথা বলি যা আপনি খুব কমই জানেন যা আপনার বৃহত্তর অংশ এবং আপনার এই অংশটি সাড়া দেবে আমাদের একসাথে প্রাচীন প্রতিশ্রুতির কারণে।

আপনি এটিকে ভয় পান, তবে আপনি একই সময়ে এটি কামনা করেন। এটি একটি প্রাকৃতিক ইচ্ছা, আপনি বিশ্বের যা কিছু করছেন বা করতে পারেন তার চেয়েও প্রাকৃতিক।

এটাই বন্ধন।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
24 ফেব্রুয়ারি, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

 

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন কারণ বিশ্ব তার সবচেয়ে বড় যন্ত্রণার মুখোমুখি হচ্ছে, এটি তার সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ।

মানব পরিবার একটি পরিবেশগত বিপর্যয় তৈরি করেছে যা এর সভ্যতাকে ক্ষুন্ন করার ক্ষমতা রাখে, অনেক কারণের একটি বিপর্যয়; এমন একটি বিপর্যয় যা আপনাদের পরিবেশকে বদলে দেবে, তা আপনাদের মাটিকে নিঃশেষিত করবে, যা আপনাদের নদীগুলোকে শুকিয়ে দেবে; এমন একটি বিপর্যয় যা আপনাদের বৃদ্ধি এবং প্রসারণের অবসান ঘটাবে; এমন একটি বিপর্যয় যা যুগের দশক এবং শতাব্দীর শতাব্দী ধরে বিশ্বের অপব্যবহারের ফলস্বরূপ, ভবিষতের কোনও চিন্তা-ভাবনা নেই, পৃথিবী যেন একটি অন্তহীন অনুগ্রহ যা সীমা ছাড়াই শোষিত হতে পারে।

এবং বিশ্বের ধর্মগুলি যা ঈশ্বরের দ্বারা শুরু করা হয়েছিল তারা একে অপরের সাথে বিতর্ক করে – কখনও কখনও হিংসাত্মকভাবে, প্রায়শই তীব্রভাবে – একে অপরের সাথে বিবাদ করে, অগ্রাধিকার এবং স্বীকৃতির জন্য অন্বেষণ করে, অনেক ক্ষেত্রে দাবি করে যে তাদেরটা সবচেয়ে মহান বা এমনকি ঈশ্বরের প্রতিভাসের কেবলমাত্র সত্য প্রকাশ, একমাত্র সত্য পথ যা অনুসরণ করা উচিত।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন কারণ মানবতা বিশ্বকে লুণ্ঠন করেছে এবং এখন এমন এক দুরবস্থার মুখোমুখি হয়েছে যা গুরুতর বঞ্চনা ও সংঘাতের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন কারণ খুব অল্প সংখ্যক ব্যক্তি ও সংগঠন বাদে ধর্ম তার ঐক্য খুঁজে পেতে ব্যর্থ হয়েছে।

এটি একটি বিশ্ব সম্প্রদায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে কাটিয়ে উঠতে পারে এমন মানুষের উপজাতি পরিচয়গুলির সেতুবন্ধন তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছে – কোনও ব্যক্তির তাত্ক্ষণিক গোষ্ঠী, একজনের আঞ্চলিক পরিচয়, একজনের অনন্য রীতিনীতি এবং সংস্কৃতিকে ছাড়িয়ে বিশ্ব সম্প্রদায়ের অংশ হয়ে উঠতে।

এটি মানবতার জন্য একটি বিবর্তন, এমন একটি বিবর্তন যা সাংস্কৃতিক ভাবের বিভিন্ন বৈচিত্র্যের দিকে পরিচালিত করে, তবে মানুষকে বাঁচতে এবং যোগাযোগ করতে এবং তাদের উদ্ভাবনগুলো একে অপরের সাথে ভাগ করে নিতে সক্ষম করে।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন যদিও এমন অনেক লোক রয়েছে যারা বলে যে এটি সম্ভব নয়, শেষ নবী বিশ্বকে মহান ও চূড়ান্ত বার্তা দিয়েছেন। তবে কোন ব্যক্তি এটি বলতে পারে? এমনকি ঈশ্বরের ম্যাসেঞ্জাররাও এ জাতীয় দাবি করতে পারেন না।

কারণ ঈশ্বর যোগাযোগ করেন যখন ঈশ্বর ইচ্ছা পোষন করেন এবং মানুষের ধারণা বা বিশ্বাসের দ্বারা আবদ্ধ নন। কী ধরনের অহংকারি ভাবতে পারে যে সমস্ত মহাবিশ্বের স্রষ্টা মানুষের অনুমান এবং মানুষের উপদেশে বাধাগ্রস্ত হতে চলেছেন।

এই কারণেই ঈশ্বর আবারও কথা বললেন, কারণ এখানে মহা সংশোধন রয়েছে যা আপনার জীবনে এবং পৃথিবীতে এবং এই বিশ্বের বাইরের মহাবিশ্বে এক বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐশ্বরিক উপস্থিতি এবং শক্তি সম্পর্কে আপনার অবশ্যই বুঝে আসা উচিত।

মানবতা মহাকাশের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে রয়েছে, জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হওয়ার প্রান্তে – একটি বৃহত্তর সম্প্রদায় যা মানব পরিবার আগে কখনও সম্মুখীন হয়েছে এমন কিছুর চেয়ে অনেক জটিল, ঝামেলাপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং।

এ যেন মনে হয় মানবতা এক কৈশোর বয়সী থেকে একটি প্রাপ্তবয়স্ক বিশ্বে প্রবেশ করছে, অবশ্যই অনুমান এবং জাঁকজমকে পরিপুর্ণ, তবে সেই প্রাপ্তবয়স্ক বিশ্বের বাস্তবতা এবং অসুবিধাগুলি সম্পর্কে অজানা এবং বিপজ্জনকভাবে নির্বোধ।

মানব সভ্যতা গঠনে যে ধর্মগুলি দেওয়া হয়েছিল, সেগুলি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করার জন্য তৈরি করা হয়নি। এটি তাদের উদ্দেশ্য বা কাজ ছিল না, আপনি দেখুন।

কিন্তু এখন বিবর্তনীয় অগ্রগতি এবং প্রক্রিয়া মানবতাকে এই মহান দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ক্রমহ্রাসমান সংস্থান এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার বিশ্বে বাস করা, এখন এটি বাস্তবতা, অসুবিধা এবং জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মুখোমুখি হওয়ার দুর্দান্ত সুযোগের মোকাবিলা করতে হবে।

আপনাদের ভীতির বাইরে, আপনাদের উদ্বেগের বাইরে, আপনাদের পরিহার ও অস্বীকারের বাইরে আপনারা দেখতে পাবেন যে পৃথিবীতে যে পরিবর্তন আসছে তার দুর্দান্ত তরঙ্গ এবং বুদ্ধিমান জীবনের একটি মহাবিশ্বের সাথে মানবতার মুখোমুখি দুটি দুর্দান্ত জিনিস, দুটি সর্বাধিক অনুপ্রেরণা যা মানবতাকে অবশেষে সহযোগিতা করতে এবং একটি কার্যকরী ও ন্যায়সঙ্গত বিশ্ব ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় নেতৃত্ব দেবে, এমন একটি বিশ্ব স্থিতিশীলতা যা এর আগে কখনও পাওয়া যায়নি।

এই স্থিতিশীলতা নিপীড়ক শাসনের অধীনে থাকতে পারে না, বা এটি সফল হবে না। এটি এখন প্রয়োজনের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। যে দেশগুলি একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে এবং লড়াই করে তা কেবল আরও দ্রুত বিশ্বকে হ্রাস করবে। এবং একটি পরিবর্তিত জলবায়ু এবং পরিবর্তিত পরিবেশের সাথে, জাতিসমুহের বেঁচে থাকতে এবং তাদের জনগণের জন্য খাদ্য সরবরাহ করতে চাইলে সহযোগিতা করতে হবে।

এটি এমন একটি সাধারণ, প্রাথমিক স্তরের জীবন যা আধুনিক মনের কাছে হার মানিয়ে গেছে যা তার আকাঙ্ক্ষা এবং তার ভয়, তার কল্পনা এবং তার সৃষ্টি এমন আবেশমূলক প্রবৃত্তির সাথে চিন্তা করে যে এটি নিজের জীবনের বাস্তবতা দেখতে পায় না।

আপনার পরিবেশকে লুণ্ঠন করুন এবং এটি আপনাকে ক্ষতিগ্রস্থ করবে। এটি আপনার বিরুদ্ধে কাজ করবে। একে অপরের সাথে কন্দল করুন, এবং যুদ্ধ চিরস্থায়ী হয়ে উঠবে। [পুরানো] অভিযোগগুলি নতুনভাবে তৈরি হবে এবং নতুন অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হবে।

বিশ্বের একটি নতুন প্রত্যাদেশের প্রয়োজন। খ্রীষ্টধর্ম বিশ্বকে বাঁচাতে পারে না। ইসলাম বিশ্বকে বাঁচাতে পারে না। বৌদ্ধধর্ম এবং হিন্দু ধর্ম বিশ্বকে বাঁচাতে পারে না। এবং ইহুদি ধর্ম কখনই বিশ্বকে বাঁচানোর জন্য তৈরি করা হয়নি।

অভ্যন্তরীণ পতন এবং বাহ্যিক প্রতিযোগিতা এবং হস্তক্ষেপ উভয়ই দিক থেকে এখন এক বিশাল আন্তঃনির্ভরশীলতা এবং দুর্দান্ত ভঙ্গুরতা এবং দুর্দান্ত দুর্বলতার বিশ্ব সম্প্রদায়, এখন সময় এসেছে মানবতার বড় হওয়ার। এখন সময় এসেছে সমস্ত জাতির মানুষের হৃদয়ের পরিবর্তন হওয়ার — পরিস্থিতির বাস্তবতার হিসেব, পরিবর্তনের মহা তরঙ্গগুলির একটি বোধগম্যতা এবং তাদের একটি স্থিতিশীল বিশ্বকে প্রভাবিত ও ক্ষীণ করার ক্ষমতা।

ঈশ্বরের আবারও কথা বলার সময় এসেছে। ঈশ্বর অবশ্যই এটি জানেন, যদিও খুব কম লোকই এটি চিনতে পারে।

অনেক লোক তাদের প্রাথমিক ভবিষ্যদ্বাণীগুলি পূর্ণ হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে — ইমাম, মৈত্রেয়ী [বা] যিশুর প্রত্যাবর্তন। কিন্তু তারা ফিরে আসবে না, আপনি দেখুন। এবং যারা এই শিরোনাম এবং এই পরিচয় দাবি করতে আসে তারা আধ্যাত্মিকভাবে আলোকিত বা আধ্যাত্মিকভাবে সমৃদ্ধ হবে না, তবে যারা বৃহত্তর সম্প্রদায় থেকে এখানে এসেছে, তারা মানব বোকামি এবং প্রত্যাশার সুযোগ গ্রহণ করবে।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন। আপনি যদি সত্যতার সাথে এটির প্রয়োজনটি বুঝতে পারতেন – এটি আপনার জীবনে, আপনার সম্প্রদায়ের মধ্যে, আপনার পরিবারে, আপনার জাতির মধ্যে, আপনাদের জাতিদের মধ্যে — তবে আপনি দেখতে পেতেন যে একটি নতুন প্রত্যাদেশের প্রয়োজন এবং আপনি আসলে এক প্রত্যাদেশ কালীন সময়ে বাস করছেন।

তবে এখানে আপনার অবশ্যই খুব স্পষ্ট হওয়া উচিত, কারণ ঈশ্বর আপনাকে বিশ্বাস করার জন্য কোনও নতুন সুপারহিরো দিচ্ছেন না। যদি আপনি ব্যর্থ হন তবে ঈশ্বর আপনাকে শাস্তির মারাত্মক হুমকিতে মেনে চলতে একটি বিশাল মতবাদ দিচ্ছেন না। ঈশ্বর আপনাকে একজন শিক্ষককে বিশ্বাস করতে বলছেন না। ঈশ্বর আপনাকে একটি ধর্মতত্ত্ব বা একটি দর্শনের জন্য বলছেন না।

পরিবর্তে, ঈশ্বর ব্যক্তির কাছে জ্ঞানের শক্তি এবং বিশ্বসেবায় সেই শক্তির দায়িত্ব নিয়ে আসছেন। ঈশ্বর মানবতাকে একটি নতুন ধারণা দেবেন না যা এটি মতবিরোধের সাথে লড়াই করবে। এটি আপনাকে আরও বেশি মৌলিক কিছু দিতে চলেছে, এমন কিছু যা আপনি সত্যই কেবল একটি বিশ্ব সম্প্রদায়কে দিতে পারেন যা মহা বিপদ ও বিপর্যয়ের মোকাবেলা করছে।

এটি একটি আরও উন্নত প্রতিভাস যা এখন সাধারণ গল্প বা উপাখ্যানগুলিতে দেওয়া হয় না, উপদেশে দেওয়া হয় না, সরল যাজকীয় চিত্রগুলিতে চিত্রিত হয় না, দীপ্তি প্রাপ্তি হওয়ার প্রতিশ্রুতি সহ মর্যাদাপূর্ণ পরিচয় হিসাবে দেওয়া হয় না, তবে কেবল একজনের জন্য নয়, মানব সভ্যতা নিজের উদ্ধার পাওয়ার জন্য ব্যক্তির সচেতনতা এবং দায়িত্ব বোধ আনার জন্য দেওয়া হয়েছে।

মানুষ প্রথমে এটি বুঝতে পারবে না কারণ তারা মানবতার মুখোমুখি হওয়া দুর্দান্ত বিপত্তিটি দেখে না। তারা মনে করে যে জীবন আগের মতো হবে, সম্ভবত আরও সমস্যাযুক্ত, আরও কঠিন, আরও অনিশ্চিত। তারা বুঝতে পারে না যে তারা একটি নতুন জগতে বাস করছে – এমন এক জগত যা অবধারিতভাবে পরিবর্তিত হয়েছে, এমন একটি পৃথিবীর মতো হবে না যে রকম পৃথিবীতে তারা বেড়ে উঠেছে, তাদের বাবা-মা বা পূর্বপুরুষদের পৃথিবী। এবং তারা দেখতে পাবে যে নিজেদের মধ্যে জ্ঞানের দিকনির্দেশনা ব্যতীত তারা এই পৃথিবীতে হারিয়ে গেছে — এই পৃথিবী যা আরও বেশি ঝামেলাপূর্ণ হয়ে উঠবে, আরও অনিশ্চিত হয়ে উঠবে।

একটি নির্দিষ্ট সময়ে, আপনি এর থেকে আর চালাতে পারবেন না। আপনি আপনার বাবা-মা বা আপনার সংস্কৃতি বা সংস্থা বা সরকারের প্রতি আপনার দোষ ও শত্রুতা প্রকাশ করে কল্পনা বা অস্বীকারের রাজ্যে বাস করতে পারবেন না।

আপনার একটি হিসাব থাকতে হবে, আপনি দেখুন এবং এই গণনাটি যত তাড়াতাড়ি ব্যক্তির জন্য ঘটে, তত তাড়াতাড়ি তারা তাদের জীবনের মূল্য নির্ধারণ করতে শুরু করবে।

তবে মানবতাকে যা পরিচালিত করবে তা হল যা আপনার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত এবং নির্ধারণ করে। আপনি কোনও জাতির নেতা হোন বা শহরের বাইরের বাসিন্দা কোনও দরিদ্র মানুষ, এটিই আপনার সিদ্ধান্তগুলিকে অবহিত করে যা আপনি নিজের এবং অন্যদের মধ্যে শুনতে ও দেখতে পান যা পরিবর্তনের মহান তরঙ্গগুলির মোকাবেলায় আপনি যা করতে চান তাতে সমস্ত পার্থক্য আনবে এবং আপনার নিজের পরিস্থিতিতে আপনি এনে দিতে পারেন এমন বুদ্ধিমানের ডিগ্রি, তা সে যতই কঠিন হোক না কেন।

ঈশ্বর মানবতাকে এমন কিছু দিচ্ছেন যা মানবতা এমনকি এটির প্রয়োজনও জানে না। একটি মূল উপাদান, অনুপস্থিত অংশ যা একমাত্র ঈশ্বরই সরবরাহ করতে পারেন, সেই শক্তি, ক্ষমতা এবং দৃষ্টি যা কেবল ঈশ্বরই প্রদান করতে পারেন।

এটি ছাড়া আপনার প্রযুক্তি আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। আপনার উদ্ভাবনী দক্ষতা আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। ভাগ্য আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। অস্বীকৃতি বা পরিহার আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। নিজেকে শখ এবং বিভ্রান্তিতে নিমজ্জিত করে  আপনাকে বাঁচাতে পারবে না। এই কারণেই ঈশ্বর আবারও কথা বললেন।

বাণীটি সত্য। এটি এতটা সত্য যে লোকেরা এ থেকে পালাবে। এটি এতটা সত্য যে এটি সম্ভবত গ্রহণকারী ব্যক্তিকে প্রথমে বিভ্রান্ত করবে। এটি খুবই সৎ কারণ এটি আপনাকে খুবই সৎ হতে বলে।

এটি আপনাকে ঈশ্বর আপনার মধ্যে যা সৃষ্টি করেছেন তা হতে বলে এবং নিজের সেই অংশটিকে পরিচালনা করতে বলে যা বিশ্বের জীবনযাপনের একটি পণ্য — একটি বড় চাহিদা, কিন্‌তু একটি ন্যায্য দাবি যদি আপনি একটি পতনশীল বিশ্বের মুখোমুখি হতে সক্ষম হন এবং  বৃহত্তর সম্প্রদায়ের বাস্তবতা মোকাবেলা করতে সক্ষম হন, যেখানে বাল্যত্ব এবং মূর্খতা আপনাকে আঘাত করবে এবং আপনাকে দুর্বল করে দেবে।

পৃথিবী বদলেছে। ঈশ্বরের মহান প্রত্যাদেশগুলি অবশ্যই তাদের প্রকাশের পরবর্তী পর্যায়ে দেওয়া উচিত – এগুলি প্রতিস্থাপনের জন্য নয় বরং তাদের উত্থাপন এবং তাদেরকে নির্মল করা এবং একে অপরের সাথে সামঞ্জস্য আনার জন্য। তারা সবগুলোই জ্ঞানের পথ, আপনি দেখুন। তারা আসলে এই।

সরকারের দ্বারা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান দ্বারা, শক্তি এবং আধিপত্যের সন্ধানকারী জাতির দ্বারা এগুলি অন্যান্য জিনিসে রূপান্তরিত হয়েছে। এগুলি সংস্কৃতি এবং রীতিনীতি এবং স্থানীয় ধারণার সাথে এমন এক বিন্দুতে মিশ্রিত হয়েছে যেখানে তাদের অপরিহার্য গুরুত্ব এবং উদ্দেশ্যটি সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে।

এটি মানুষকে আধ্যাত্মিকতার মূল সারে ফিরিয়ে আনে, যা প্রত্যেক ব্যক্তির জ্ঞানের উপস্থিতি এবং শক্তি। জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি – এই বৃহত্তর বুদ্ধিমওা যা ঈশ্বর প্রতিটি ব্যক্তিকে দিয়েছেন, মানুষের বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং জাতির স্বাধীনতা এবং ক্ষমার সমর্থন, স্বীকৃতি, যোগাযোগ, কাজ, প্রচেষ্টা, দায়বদ্ধতার মধ্যে দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

এটি এখন কেবল একটি বিকল্প নয়, আপনি যে পৃথিবীর মুখোমুখি হচ্ছেন সেটি অনেক বেশি কঠিন এবং আরও অনেক বেশি দাবিদার হয়ে উঠবে। এবং আপনাকে যে সিদ্ধান্ত নিতে হবে তা আপনার এবং অন্যদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে।

পরিবর্তনের দুর্দান্ত তরঙ্গের মোকাবেলায় আপনি আর বোকা বানাতে পারবেন না। আপনি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছেন। কেবলমাত্র ঈশ্বরই আপনাকে এই দুটি দুর্দান্ত বাস্তবতার জন্য প্রস্তুত করতে পারেন। এবং ঈশ্বর আপনাকে সেই প্রস্তুতির প্রয়োজনীয় উপাদানগুলি দিচ্ছেন।

ঈশ্বর বিশ্বের জন্য যা প্রয়োজন তা দান করেন, কিন্তু মানুষ তা দেখতে পারে না। তারা যোদ্ধা নেতা চায়। তারা একটি সামরিক শক্তি চায়। তারা একটি বরব্বাস চায়, যীশুকে নয়। তারা পৃথিবীর প্রভু চায়, স্বর্গের পালনকর্তা নয়। তারা বৈষয়িক শক্তি চায়। তারা বস্তুগত সমাধান চায়। তারা চায় তাদের জন্য সমস্যাগুলোর সমাধান করে দেওয়া হোক। তারা দায়িত্বের উপহারটি গ্রহন করার পরিবর্তে লাগামটি চাপিয়ে দিতে চায়।

নতুন বাণীর অলৌকিক ঘটনা হল সমস্ত প্রত্যাদেশের অলৌকিক কাজ। এটি ব্যক্তিগত প্রতিভাসের অলৌকিক ঘটনা। এটি ব্যক্তিগত মুক্তির অলৌকিক ঘটনা। এটি ব্যক্তিগত এবং স্বতন্ত্র দায়িত্ব এবং সমাজ এবং অন্যের জন্য অবদানের অলৌকিক ঘটনা। এটি সম্প্রদানের অলৌকিক কাজ। এটি ক্ষমার অলৌকিক ঘটনা। এটি এক গভীর স্তরে অন্যের সাথে অনুরণনের অলৌকিক ঘটনা, কর্তৃত্ব এবং বুদ্ধির নাগালের বাইরে। এটি আপনার প্রকৃত বাস্তবতার অলৌকিক ঘটনা যা একটি কঠিন এবং অস্থায়ী বিশ্বে নিজেকে প্রকাশ করে।

আপনার সিদ্ধান্তগুলি কী জানাবে তা ফলাফল নির্ধারণে সমস্ত পার্থক্য নির্ণয় করবে। ঈশ্বর আপনাকে গাইড করার জন্য কণ্ঠস্বর এবং বিবেক দিয়েছেন, তবে এটি আপনার কণ্ঠস্বর বা আপনার বিবেক নয়। এটি একটি বৃহত্তর কণ্ঠস্বর এবং বৃহত্তর বিবেকের একটি অংশ।

ঈশ্বর বিশ্বকে শাসন করছেন না, আবহাওয়া পরিচালনা করছেন না। ঈশ্বর দুর্দশা এবং বিপর্যয়, হারিকেন এবং ভূমিকম্প এবং বন্যার উত্স নন। এটি কেবল প্রকৃতির কাজ।

ঈশ্বর আপনাকে এই কঠিন এবং অপ্রত্যাশিত জগতে পাঠিয়েছেন, কতই না সুন্দর হবে এই জ্ঞানের শক্তি পুনরুদ্ধার করতে এবং এই শক্তির সাহায্যে আপনাকে যা দেওয়ার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে তা দেওয়ার জন্য গাইড হবেন যেখানে আপনার অবদান সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলতে পারে।

এটি অবশ্যই মানবিক সমস্ত বুদ্ধিকে অতিক্রম করে, কারণ আপনি কখনই সৃষ্টি ও স্বর্গের কাজ বুঝতে পারবেন না, যা নৈসর্গিক মহাবিশ্বের চেয়ে অনেক বেশি প্রসারিত, যা নিজেই এত বিশাল যে কোনও জাতি কখনও তার সম্পূর্ণতা বা এর সম্পূর্ণ অর্থ বুঝতে সক্ষম হয়নি।

এখানে বাস্তব এবং রহস্যময় সংযুক্ত। এখানে অভ্যন্তরীণ এবং বহির্ভাগ তাদের প্রয়োজনীয় সংযোগ তৈরি করে। এখানে মন একটি বৃহত্তর বুদ্ধিমত্তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় যাতে বুদ্ধির অভাবনীয় ক্ষমতা বুদ্ধিমানের সাথে ব্যবহার এবং প্রয়োগ করা যায়। এখানে লোকেরা কেবল তাদের বিষয়গুলিকে শৃঙ্খলা ও ভারসাম্য রক্ষার জন্যই নয়, বরং মানব পরিবারকে তাদের উপহার যেখানেই দেওয়া যেতে পারে, সেখানে সহায়তা করার জন্য তাদের কী করা উচিত তাও দেখে।

আপনাকে ভবিষ্যতে খুব করুণার সাথে বিশ্বের দিকে নজর দিতে হবে। আপনি অনেক ব্যর্থতা এবং ক্ষতি দেখতে পাবেন। আপনি দুর্দান্ত মূর্খতা দেখতে পাবেন এবং এমনকি মানবতার বার বার প্রবৃত্তির বাসনাগুলো আরও চরম হয়ে উঠবে।

আপনাকে ক্ষমা করতে হবে এবং সমবেদনা সহকারে বিশ্বের দিকে তাকাতে হবে। আপনি এটি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হতে পারবেন না, কারণ আপনি এটির সাথে সংযুক্ত আছেন, আপনাকে এটি পরিবেশন করার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে এবং আপনার উদ্দেশ্য এবং ভাগ্য এটির সাথে সম্পর্কিত।

লক্ষ্যটি [অভ্যন্তরীণ] শান্তি নয়। লক্ষ্যটি হল অবদান। এমনকি সর্বশ্রেষ্ঠ সাধুগণকে এটিকে স্বীকৃতি জানাতে হয়েছিল এবং তাদেরকে শিক্ষা এবং প্রচার করার জন্য এবং যেখানেই পারেন সেখানেই অবদানের জন্য এই পৃথিবীতে প্রেরণ করতে হয়েছিল।

বিশ্বে আপনার সফলতাগুলি, এমনকি আপনার আধ্যাত্মিক কৃতিত্বগুলি সমস্ত কিছুই পরিবেশন করতে ব্যবহার করা হয়, আপনার চারপাশের লোকেদের বোঝা হালকা করার জন্য, তাদের উত্স এবং ঈশ্বরের সাথে তাদের সংযোগের শক্তি এবং উপস্থিতিতে ফিরে আসতে উত্সাহিত করার জন্য – বিশ্বাস বা প্রতীক বা চিত্র বা ব্যক্তিত্বগুলি যা তারা সবচেয়ে অনুপ্রেরণামূলক বলে মনে করে।

যা অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ তা হল সাধনা এবং আপনি যে দুটি মন নিয়ে বাস করেন তার স্বীকৃতি – পার্থিব মন এবং জ্ঞানের গভীর মন।

এটি কেবলমাত্র এক গোত্র, এক গোষ্ঠী বা ইতিহাসের এক সময় বা এই পৃথিবীতে মানবতার উপস্থিতির দীর্ঘ ইতিহাসের একটি দুর্দান্ত পর্বের সাথে সাক্ষাৎ করার জন্য নয়, সবার জন্য।

ঈশ্বর এখন আরও বৃহত্তর বিষয়গুলির বিষয়ে কথা বলছেন – সাধারণের বাইরেও এবং অত্যন্ত সাধারণ এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি। ঈশ্বর বৃহত্তর সম্প্রদায়, পরিবর্তনের বিশাল ঢেউ, আপনার অন্তর্নিহিত বাস্তবতার অর্থ [এবং] জ্ঞানের সাথে আপনার সংযোগটি পুনরায় দাবি করার জন্য প্রয়োজনীয় অনুসরণ সম্পর্কে বলছেন, যা আপনাকে গাইড করতে, সুরক্ষা দিতে এবং আপনার জীবনের বৃহত্তর সাফল্যের দিকে পরিচালিত করার জন্য এখানে রয়েছে।

এটি ব্যক্তির জন্য একটি অসাধারণ সাফল্য। এবং এটি এমন ব্যক্তিরা হবে যা মানবতার ভাগ্য এবং ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তে সমস্ত পার্থক্য নিরুপণ করবে।

এবং যা তাদের সিদ্ধান্তকে অবহিত করে – তা উচ্চাকাঙ্ক্ষা, বিশ্বাস, ভয়, অহংকার এবং তাদের পূর্বের বোঝাপড়া বা বৃহত্তর অনুপ্রেরণা হোক যা কেবল জ্ঞান সরবরাহ করতে পারে – তা প্রতিটি পরিস্থিতিতে ফলাফল নির্ধারণ করবে।

ঈশ্বর আবারও কথা বললেন। আপনাকে অবশ্যই প্রকাশিত বাণীতে আসতে হবে। বোকা হয়ে আলাদা হয়ে দাঁড়াবেন না এবং এটি বিচার করার বা বুঝতে চেষ্টা করবেন না কারণ আপনি এটি বুঝতে পারবেন না। এবং এটি বিচার করা শুধু আপনার বোকামি এবং আপনার সততার অভাব প্রদর্শন করা হয়।

এটি দৈববাণীর এক মহান সময়। এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির একটি দুর্দান্ত সময়। আপনার জীবনকে ভারসাম্য এবং সম্প্রীতিতে আনার এবং নিজেকে একটি নতুন বিশ্বে, একটি চাহিদার পৃথিবীতে বাঁচানোর জন্য প্রস্তুত করতে একটি দুর্দান্ত সময়; অবশ্য এটি একটি মুক্তিকামী বিশ্বও যদি মানবতা ঈশ্বর যা সরবরাহ করেছেন তা অনুসরণ করতে মনস্থ করে।

ঈশ্বর মানবতাকে একটি নতুন দিকনির্দেশনায় নিয়ে যাচ্ছেন

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
22 এপ্রিল, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

ঈশ্বর মানবতাকে এক নতুন দিকনির্দেশনায় নিয়ে যাচ্ছেন, এমন দিক যা তাকেআগে চলতে হয়নি। কারণ বিশ্ব বদলে গেছে, এবং মানবতা মহাবিশ্বের জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের সাথে মুখোমুখি হচ্ছে — এক দুর্দান্ত পরিবর্তন, মানবতার দীর্ঘ বিবর্তনের এক বিশাল দোরগোড়া, অপরিসীম দুর্বিপাক ও অনিশ্চিয়তার সময়, মানব পরিবারের জন্য একটি বিপজ্জনক সময়, এমন একটি সময় যা ঘটনাসমূহের সাথে দ্রুত উদ্ঘাটিত হয়ে উঠবে।

ঈশ্বর মানবতাকে এক নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন, এমন একটি বিশ্ব সম্প্রদায়ের দিকে যা বিশ্বকে টিকিয়ে রাখতে সক্ষম, যা মহাবিশ্বের জীবনের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে সক্ষম, যা আপনাকে চাপিয়ে দেবে এবং এমনকি ইতিমধ্যেই আপনাকে চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি একটি দুর্দান্ত পরিবর্তন যা বহু লোক অনুভব করছে, তবে বুঝতে পারছে না।

বিশ্বের আন্দোলন ত্বরান্বিত হচ্ছে, যেখানে ঘটে যাওয়া মহা পরিবেশগত পরিবর্তন এবং রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক দুর্বিপাকের মধ্য দিয়ে মানুষের জীবন অভিভূত হবে এবং পাকড়াও হবে। এই সমস্তগুলি এখন চলছে এবং থামানো যাবে না, কেবলমাত্র প্রশমিত হতে পারে। এটির জন্য দুর্দান্ত অভিযোজন প্রয়োজন।

মানবতার ইতিহাসের এই দুর্দান্ত দ্বারপ্রান্তে একটি নতুন বাণী পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এটি গ্রহণ করার জন্য, এটি প্রস্তুত করার জন্য এবং এটি উপস্থাপনের জন্য এখানে একটি ম্যাসেন্জার প্রেরণ করা হয়েছে। তাঁর জন্য, এটি একটি দীর্ঘ পথ, একটি ক্লান্তিকর এবং কঠিন যাত্রা।

মানবতার জন্য বাণীটি এখন বড়ই মহান, বিশ্বে যে কোনও পাঠানো বাণীর চেয়ে আরও ব্যাপক এবং সম্পূর্ণ, শিক্ষা এবং ভাষ্য দিয়ে সম্পূর্ণ যাতে এর বিজ্ঞতা এবং জ্ঞান সনাক্ত করা যায় এবং সঠিকভাবে প্রয়োগ করা যায় এবং কেবলমাত্র মানুষের ব্যাখ্যার উপর ছেড়ে দেওয়া না হয়।

লোকরা দেখে না, শুনে না। তারা নিজেদের কাছেই অপরিচিত। এবং তাদের পরিবেশ নির্ধারণের প্রকৃতিগত দক্ষতা, অনেকের কাছে হারিয়ে গেছে এবং অনুন্নত রয়েছে।

এটি মেসেঞ্জারের কাজকে আরও কঠিন করে তুলেছে। তাকে অবশ্যই রহস্যটি বহন করতে হবে কারণ দৈববাণীটি বুদ্ধির জগতের বাইরে এবং অবশ্যই মানুষের প্রত্যাশা, বিশ্বাস বা উপলব্ধির দ্বারা শর্তযুক্ত নয়।

ঈশ্বর বিশ্বকে এক নতুন দিকনির্দেশনায় নিয়ে যাচ্ছেন। এটি এমন একটি দিক যা সর্বদা উদ্দিষ্ট ছিল, তবে এটি বিশ্বের মানুষের জন্য নতুন হবে। এটি আপনার বোঝার ক্ষেত্রেও নতুন হবে।

স্রষ্টার কাছ থেকে দুর্দান্ত বাণীগুলি সর্বদাই এরূপ। তারা সর্বদা একটি নতুন বাস্তবতা, একটি নতুন সচেতনতা, একটি নতুন মাত্রা এবং আরও বড় প্রতিশ্রুতি উপস্থাপন করে।

বিশ্বে অন্ধকার বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এখনই এই বৃহত্তর প্রতিশ্রুতি দরকার। কেবলমাত্র জ্ঞানের আলো, সৃষ্টিকর্তা মানব পরিবার এবং মহাবিশ্বের সমস্ত জাতিকে যে মহান বুদ্ধিমত্তা দিয়েছেন, কেবল এখন এটিই আপনাদেরকে উপলব্ধি করতে এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে সক্ষম করতে পারে।

কারন আপনি ঈশ্বরের শর্তাবলীতে ঈশ্বরের কাছে ফিরে আসবেন। এবং ঈশ্বরের বাণীগুলিকে অবশ্যই হৃদয়ঙ্গম করতে হবে, প্রকৃতপক্ষে তারা যেমন এবং যেভাবে প্রকাশ করতে ইচ্ছুক।

এটি নিয়ে অনেক লড়াই এবং বিতর্ক থাকবে এবং মেসেঞ্জার এবং মেসেঞ্জারের অনুসারীদের অবশ্যই এই অসুবিধা, এই হতাশার মুখোমুখি হতে হবে এবং প্রচুর ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

এই ধরনের বাণী প্রথমদিকে গৃহীত হবে না এবং কেবলমাত্র কয়েকজনই সম্পূর্ণরূপে সাড়া জানাতে সক্ষম হবে। কিন্তু সময় যেমন এগিয়ে চলেছে এবং বিশ্ব আরও অশান্ত হয়ে উঠছে, নতুন বাণীটি আরও বেশি আকর্ষণ, বৃহত্তর স্বীকৃতি এবং বৃহত্তর প্রাসঙ্গিকতা অর্জন করবে।

এটি আপনি এমনকি জিজ্ঞাসাও করেননি এমন প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছে। এটি ভবিষ্যতের প্রস্তুতির পাশাপাশি বর্তমানের প্রতিকারও।

আপনাদের দার্শনিক এবং ধর্মতত্ত্ববিদরা জানবে না কী করে এটি তৈরি করা যায়।। এটি নিয়ে তাদের সমস্যা হবে। এটি তাদের বোঝাপড়ার সাথে সামঞ্জস্য হবে না, যে বিষয়ে তাদের নিজেদেরকে এত বেশি বিনিয়োগ করেছে। ধর্মীয় নেতারা এর বিরুদ্ধে লড়াই করবে কারণ এটি এমন একটি বাস্তবতার কথা বলে যা তারা এখনও চিনতে পারে নাই।

ঈশ্বর মানবতাকে এক নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। ম্যাসেঞ্জার এখানে দৈববাণী সরবরাহ করতে এসেছেন। এটি পেতে তাঁর কয়েক দশক সময় লেগেছে। এটি বিশ্বে স্বীকৃতি পেতে কয়েক দশক সময় লাগবে।

তবে সমস্যা হল সময় নিয়ে। নতুন বিশ্বের জন্য এবং মহাবিশ্বের জীবনের সাথে যোগাযোগের জন্য প্রস্তুত হওয়ার জন্য মানবতার খুব বেশি সময় নেই — যোগাযোগ যা ইতিমধ্যে ঘটছে, একটি বিপজ্জনক উদ্দেশ্য এবং পরিকল্পনা নিয়ে যোগাযোগ।

লোকেরা তাদের প্রয়োজনীয়তা, তাদের সমস্যা, তাদের তীব্র আকাঙ্ক্ষা এবং তাদের বাসনায় নিমগ্ন। তারা পৃথিবীর গতিবিধি দেখতে পায় না। কারণ পৃথিবী বদলে গেছে, কিন্তু মানুষ এর সাথে পরিবর্তন হয়নি। এবং তাই এখন আপনি বাস্তবতার একটি নতুন সেটের সম্মুখীন হয়েছেন।

লোকেরা অভিভূত হওয়ায় ঈশ্বর এটিকে কী বলবেন, ভবিষ্যতের জন্য তাদের ভবিষ্যদ্বাণীগুলি যেমন সত্য হয় না, তেমনি তাদের ত্রাণকর্তার প্রত্যাবর্তন ঘটে না, কারণ তারা বিশ্বাস করে যে ঈশ্বর তাদের জন্য এই সমস্ত সমস্যা তৈরি করছেন?

দৈববাণী এই সমস্ত বিষয়ে কথা বলে। তবে আপনাকে অবশ্যই দৈববাণীর জন্য উন্মুক্ত হতে হবে এবং আপনাকে অবশ্যই দুর্দান্ত পরিবর্তনের প্রত্যাশার মুখোমুখি হতে হবে, কারণ এটি আপনার এবং বিশ্বের জন্য এবং এটি সামনে এগিয়ে যেতে চলেছে।

আপনি হাজার হাজার বছর পিছনে যেতে পারবেন না এবং আজ কী ঘটছে তা বোঝার চেষ্টাও করতে পারবেন না। মানবতার বিবর্তন এক নতুন অবস্থানে চলে গেছে, এমন একটি অবস্থান যা বিশ্বে আধিপত্যের অবস্থান এবং মহাবিশ্বে আরও দুর্বলতার অবস্থান।

এই শিক্ষাগুলি আপনাকে নতুন বিশ্বের জন্য এবং জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুত করতে কোথায় থেকে শুরু করবে – দুটি ঘটনা যা মানব ইতিহাসের গতিপথকে পরিবর্তিত করবে এবং প্রতিটি ব্যক্তির জীবনকে প্রভাবিত করবে?

সরকার জানে না। ধর্মীয় নেতারা জানেন না। বিশেষজ্ঞরাও জানেন না। বিশ্ববিদ্যালয় মানুষকে প্রস্তুত করতে পারে না।

দৈববাণী অবশ্যই সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে আসা উচিত, এবং এটিই এখন ঘটছে। কারণ আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন, এবং মেসেঞ্জার এখন বিশ্বে অবস্থান করছেন। যতক্ষণ তিনি দুনিয়াতে আছেন ততক্ষণ আপনার গ্রহণ করার এবং প্রস্তুত করার সুযোগ রয়েছে। তিনি চলে গেলে, এটি নানারকম হবে। এটি আরও কঠিন হয়ে পড়বে। এক্ষেত্রে, তিনি পৃথিবীতে আলোস্বরুপ।

তিনি একজন নম্র মানুষ এবং ম্যাসেন্জার হওয়া ব্যতীত আর কোন দাবি করেন না, কারণ তাঁকেই এ দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে। তাঁকে দৈববাণীর মাধ্যমে অবশ্যই মানবতাকে একটি নতুন বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে হবে। তাঁকে দৈববাণীর মাধ্যমে অবশ্যই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করতে হবে। তাঁকে অবশ্যই দৈববাণীর মাধ্যমে আগত এমন দুর্দান্ত পরিবর্তন সম্পর্কে কথা বলতে হবে যা ইতিমধ্যেই সর্বত্র সমস্ত লোকের মধ্যে রয়েছে।

ঈশ্বর মানবতাকে এক নতুন দিকনির্দেশনার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। মানবতা কি চলতে পারবে? মানুষ কি সাড়া জানাতে পারবে? আপনি কি সাড়া দিতে পারবেন? আপনি কি মেনে নিতে পারবেন যে আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন এবং আপনার জীবনের জন্য এটি কী বোঝায় এবং আপনার সামনে এটি যে চ্যালেঞ্জ উপস্থাপন করে তা কী আপনি বিবেচনা করতে পারেন?

মানুষ বুঝতে পারে না যে তাদের জীবন ও পরিস্থিতি বিশ্বের অবস্থা এবং বিশ্বের গতিবিধির উপর নির্ভরশীল। কেবল দরিদ্র দেশগুলিতেই এই বৃহত্তর বাস্তবতা বর্তমান। ধনাঢ্য দেশগুলিতে, সমৃদ্ধি আপনাকে জীবনের বৃহত্তর বাস্তবতা থেকে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কিছুটা অন্তরক করে রাখে। তবে এই সমৃদ্ধি হ্রাস পাবে এবং কঠিন বাস্তবতা আপনাদের উপর নিপতিত হবে।

মানবতা কীভাবে সাড়া জানায় এবং প্রস্তুতি গ্রহন করে তা সমস্ত পার্থক্য সৃষ্টি করবে। ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত কী জানায় তা সমস্ত পার্থক্য নির্ণয় করবে। তারা কোন কন্ঠ শুনবে, সেই শক্তি ও জ্ঞানের উপস্থিতি যা ঈশ্বর তাদের পরিচালনা ও সুরক্ষার জন্য দিয়েছেন, নাকি তাদের সংস্কৃতির ভাষা বা ভীতির স্বর বা ক্রোধের বা উচ্চাকাঙ্ক্ষার আওয়াজ।

এই পছন্দগুলি একটা ব্যক্তির জন্য মৌলিক এবং ব্যক্তি সাধারন কি সিদ্ধান্ত নেয় তা মানবতার ভাগ্য এবং ভবিষ্যত নির্ধারণ করবে। সুতরাং, দায় কেবল নেতাদের এবং সংস্থার উপরই পড়ে না, প্রত্যেকের উপর পড়ে।

এই কারণেই ঈশ্বর সাধারন মানুষের কাছে নতুন বার্তা আনছেন, জাতির নেতাদের কাছে নয়। কারন নেতারা মুক্ত নয়। তারা তাদের অফিসের সাথে, যারা তাদের নির্বাচিত করেছে এবং অন্যের প্রত্যাশার কাছে আবদ্ধ। এজন্যই আপনার কাছে ও জনগণের কাছে প্রত্যাদেশ আসছে। এটি তাদের সিদ্ধান্ত এবং সংকল্প যা সমস্ত পার্থক্য সৃষ্টি করবে।

মানুষ অনেক কিছুই চায়। তাদের যা আছে তা হারাতে চায় না। তারা মুহুর্তেই ধরা পড়ে। তাদের জীবন কোথায় যাচ্ছে তা দেখার দৃষ্টিভঙ্গি তাদের নেই।

প্রত্যাদেশটি প্রতিটি ব্যক্তির জন্য একটি দুর্দান্ত ধাক্কা এবং একটি দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জ হবে। তবে এই ধাক্কা এবং চ্যালেঞ্জ প্রত্যাদেশের ধাক্কা। চ্যালেঞ্জটি স্রষ্টার ইচ্ছার মুখোমুখি হচ্ছে। চ্যালেঞ্জটি হ’ল আপনি প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন কিনা এবং আপনার প্রতিক্রিয়ার প্রকৃতি।

আপনি যেখানে আছেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না, কারণ পৃথিবী বদলে গেছে এবং আরও পরিবর্তন হবে। এটি চলমান। আপনাকেও এটির সঙ্গে চলতে হবে। এটি জীবনের সাথে তাল মিলিয়ে চলছে। এটি বিচ্ছিন্নতা থেকে বেরিয়ে আসছে। এটি আপনাকে বিভ্রান্তি ও আবেশ থেকে মুক্ত করছে। এটি শুনতে, তাকাইতে, আপনার মনে স্থির রাখতে শিখছে যাতে আপনি দেখতে পান। এটি ক্ষোভ ত্যাগ করছে যাতে আপনি বুঝতে পারেন যে আপনি কোথায় আছেন। এটি জ্ঞানের পদক্ষেপ অনুশীলন করছে যাতে ঈশ্বরের উপস্থিতি এবং ঈশ্বরের শক্তি আপনার মাধ্যমে এবং আপনার প্রতি কথা বলতে পারে।

এটি হল প্রত্যাদেশ মানবতাকে একটি নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছে। লোকেরা কি চলতে ইচ্ছুক, অথবা তারা কি পিছনে থাকবে – পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউয়ের মোকাবেলায়, পরিবর্তনের মহা তরঙ্গ তৈরির সময়ে সৈকতে ঘুমোচ্ছে, উপকূলে বাস করে এই ভেবে যে সব কিছু ঠিক আছে, মুহুর্তের জন্য বেঁচে আছে, বিশ্বের লক্ষণগুলিতে সাড়া দিতে পারছে না, বাস্তবতার সাথে মিল রেখে নয় এমন অনুমানের অধীনে বাস করছে?

কে সাড়া দিতে পারে? কে তাকাবে? কে শুনবে? কে তাদের ধারণাগুলি, তাদের বিশ্বাস এবং তাদের পছন্দগুলি যথেষ্ট সময় সরিয়ে রাখবে কিছু দেখার জন্য, কিছু শুনার জন্য, কিছু জানার জন্য?

মেসেঞ্জার আপনাকে এটিই করতে বলবে। এটিই প্রত্যাদেশের প্রয়োজন। নতুন বিশ্বে বাস করার জন্য এটিই প্রয়োজন। জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে এটিই প্রয়োজন যা এখন উদিত হচ্ছে।

মানবতা কি বোকা এবং আনাড়ি, অজ্ঞ এবং প্রতিক্রিয়াহীন হবে, এর মহান বুদ্ধির স্বীকৃত তথা ব্যবহার হচ্ছে না? এইগুলিই প্রশ্ন। উত্তরগুলি আপাত নয়, কারণ তারা এখনও কার্যকর হয়নি। তারা মানব পরিবারের উপর যে আসল পরীক্ষা রয়েছে তা পূরণ করতে পারেনি।

তবে সমস্ত জীবনের স্রষ্টা বিশ্বকে ভালবাসেন এবং মানবতাকে ভালোবাসেন এবং বিশ্বে মুক্তির ক্ষমতা প্রেরণ করেছেন – ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে এবং তাদের শক্তি ও অখণ্ডতা ফিরিয়ে আনতে, জীবনের বিরাট চ্যালেঞ্জগুলি মোকাবিলা করতে, যা এখন দিগন্তে উদিত হচ্ছে।

ঈশ্বর মানবতাকে এক নতুন দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। এটা প্রস্তুত করার, গ্রহণ এবং প্রত্যাদেশকে সমর্থন করার সময়।

লোকজন অভিযোগ করবে। তারা প্রতিবাদ করবে। তারা প্রতিহত করবে। তারা মেসেঞ্জারকে দোষ দেবে। তারা প্রত্যাদেশকে সমালোচনা করবে। সাড়া জানাতে অক্ষম, তাদের জীবন এবং তাদের ধারণাগুলি নিয়ে পুনর্বিবেচনা করতে রাজি নয়, তারা প্রতিরোধ করবে।

এটি প্রত্যাদেশের সময় সর্বদাই ঘটে। অতীতে যাদের সর্বাধিক বিনিয়োগ রয়েছে তারা নতুন বিশ্ব এবং এর মধ্যে থাকা সমস্ত কিছুকে প্রতিহত করবে। তারা দেখতে পারে না। তারা জানতে পারবে না। তাদের অবস্থান পুনর্বিবেচনা করার সাহস নেই। তাদের কাছে প্রত্যাদেশের সামনে দাঁড়ানোর নম্রতা নেই।

ঈশ্বর তাদের জন্য কি করতে পারেন? তারা সৃষ্টিকর্তার কাছ থেকে অনেক কিছু চেয়েছিল, তবে তারা স্রষ্টার সাড়া জানাতে পারেনি। ঈশ্বর তাদের জন্য কি করতে পারেন?

সাড়া দেওয়ার মধ্যে প্রথমে থাকুন যাতে আপনার জীবনের আরও বৃহওর উপহার প্রতিষ্ঠিত হতে পারে এবং আপনার জীবনের দিন এবং বছরগুলি সামনে আসার সুযোগ পায়।

এটি দৈববাণীর শক্তি – অতীতের অসদৃশ এমন একটি ভবিষ্যতের জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করতে জ্ঞান এবং বিচক্ষণতার এখনই মারাত্মক প্রয়োজন।

আশির্বাদ আপনার সাথে আছে। মুক্তির শক্তি আপনার মধ্যে, আপনার অভ্যন্তরে জ্ঞানের মধ্যে। তবে এই জ্ঞানটিকে কী প্রজ্বলিত করতে পারে এবং এটিকে ডাকতে পারে এবং আপনাকে এর কাছে যেতে, এটি বুঝতে এবং সফলভাবে অনুসরণ করতে সক্ষম করে?

এটা ঈশ্বরের দ্বারা প্রজ্বলিত হওয়া উচিৎ। দৈববাণী এখানে নতুন বিশ্বের জন্য এবং মহাবিশ্বে মানবতার ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য ব্যক্তির বৃহত্তর মুক্তিদানের গতি স্থাপন করার জন্য সেট করা হয়েছে, যা এখনও স্বীকৃত ও পূরণযোগ্য নয়।

এখন সাড়া দেওয়ার সময় এসেছে। আপনার নিজের জীবনকে আপনার পছন্দ বা ভয়ের উপর ভিওি করে নয়, বরং নিজের মধ্যের সত্য স্বীকৃতির উপর ভিওি করে নিজের সাথে প্রকৃত সৎ হওয়ার সময় এসেছে।

প্রত্যাদেশের মুখোমুখি হওয়া আপনাকে এই গভীর সততার সঙ্গে সাড়া জানাতে চ্যালেঞ্জ করবে। প্রত্যাদেশের মুখোমুখি হওয়া আপনাকে এই গভীর সততার সঙ্গে চ্যালেঞ্জ করবে। এটি আপনার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এটি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জ। এটি আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।

ঈশ্বর মানবতাকে একটি নতুন দিকনির্দেশনায় নিয়ে যাচ্ছেন

বিশ্বকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বার্তা গ্রহণ করতে হবে

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
1 জানুয়ারী, 2015 এ
মিশরের আলেকজান্দ্রিয়ায়

ঈশ্বর জানেন পৃথিবীর জন্য কি আগমন করছে। ঈশ্বর বিশ্ব এবং তার জনগনের অবস্থা জানেন। এবং এই পৃথিবীকে তদারকিকারী অ্যাঞ্জেলিক উপস্থিতি প্রতি মুহূর্তে পর্যবেক্ষণ করছে।

যারা এই মুহুর্তে এবং ভবিষ্যতে উভয় ক্ষেত্রেই আপনার বৃহত্তর প্রয়োজনীয়তাগুলি কী – সে সম্পর্কে আপনার উপরে নজর রাখেন, তাদের পক্ষে এটি কোনও গোপন বিষয় নয়।

আপনি এই জিনিসগুলি দেখতে পাচ্ছেন না, কারণ আপনি নিজেকে পুরোপুরি জানেন না। আপনাকে কেন বিশ্বে পাঠানো হয়েছিল, এই মুহুর্তে আপনার কোথায় থাকা উচিত এবং কেন আপনি এই মুহুর্তে সেখানে নেই, তা আপনি জানেন না। দূরবর্তী দিগন্তের উপর দিয়ে কী আসছে এবং যা আপনার পথে আসছে তা আপনি দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু যারা আপনাদের উপর নজর রাখেন তাঁরা এবং বিশ্বজগতের পালনকর্তা এই সবকিছুই জানেন।

মানুষ তাদের বিশ্বাস এবং তাদের অনুমান দ্বারা আবদ্ধ হয়। তারা ধর্মগুলির অতীতের ব্যাখ্যা দ্বারা আবদ্ধ হয়, যা তাদের পক্ষে বুঝতে আরও জটিল করে তোলে যে ঈশ্বর মানবতার রক্ষা এবং উন্নতির জন্য আবার কথা বলেছেন।

মহান প্রয়োজন এবং সুযোগের সময়ে দেওয়া মহান বাণীগুলিতে ঈশ্বর পৃথিবীতে যা কিছু দিয়েছেন, তা মানবতার অগ্রগতি ও সুরক্ষার জন্য দেওয়া হয়েছে।

আপনি উপলব্ধি করতে পারবেন না যে আপনি জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে এমন একটি পৃথিবীতে বাস করছেন, যেখানে মানুষের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের জন্য অনেক হুমকি রয়েছে। আপনি নিজের জীবনের বা এই সময়ে আপনাকে কেন পৃথিবীতে প্রেরণ করা হয়েছিল, এই পরিস্থিতিতে পৃথিবীর সেবা করার বড় চিত্রটি দেখতে পাচ্ছেন না। কিন্তু স্বর্গ এই জিনিসগুলি দেখতে পারে, যা আপনি নিজের বিচ্ছিন্নতার রাজ্যে বাস করছেন, দেখতে পাচ্ছেন না।

আপনার অনুমান এবং বিশ্বাস, আপনার মনোভাব এবং অন্যের নিন্দার দ্বারা আপনি আরও অন্ধ হয়ে গেছেন।

মানুষ মুহুর্তের জন্য বেঁচে থাকে। তারা ভুলে গেছে তাদের অবশ্যই ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত হতে হবে। পৃথিবীর সমস্ত বুদ্ধিমান প্রাণীর মতো তাদের অবশ্যই এই দুটি জিনিস করতে হবে।

কিন্তু ঈশ্বর জানেন কি আসছে।। ঈশ্বর জানেন এই সময়ে মানবতার কী প্রয়োজন। ঈশ্বর জানেন যে একজন ব্যক্তি হিসাবে আপনাকে অবশ্যই আসার জন্য আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্যটি স্বীকার করতে হবে এবং কেন আপনাকে প্রেরণ করা হয়েছিল এবং এখানে আপনাকে কী সম্পাদন করতে হবে, যা আপনার বোধগম্যের বাইরে।

আপনার বুদ্ধিবৃত্তি এই প্রকৃতির বৃহত্তর জিনিস ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট বড় নয়। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিশ্বে নেভিগেট করার জন্য এটি একটি নিখুঁত প্রক্রিয়া, কিন্তু এটি আপনার জীবনকে সময় এবং স্থানের বাইরে এবং যে বৃহত্তর শক্তিগুলি আপনাকে নির্দেশ করতে পারে এবং আপনাকে এখানে পাঠিয়েছে এবং যারা এখানে থাকার ক্ষেত্রে আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্যকে ধরে রাখতে পারে তা বুঝতে পারে না।

এখন ঈশ্বর আবার কথা বলেছেন, মানব পরিবারকে এর আগে যা কিছু দেওয়া হয়েছিল তার চেয়েও বৃহত্তর ও বিস্তৃত একটি প্রত্যাদেশ প্রদান করেছেন, এখন বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ এবং ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক সচেতনতার একটি শিক্ষিত বিশ্বকে দেওয়া হয়েছে, এখন এমন সময়ে দেওয়া হয়েছে যখন বিশ্ব পতনের রাজ্য প্রবেশ করছে, ক্রমহ্রাসমান সম্পদ, একটি ক্রমহ্রাসমান পরিবেশ, একটি পরিবর্তনশীল পরিবেশ, যা মানুষের অজ্ঞতা, লোভ এবং দুর্নীতির দ্বারা পরিপূর্ণ।

সুতরাং মানবতা অন্ধভাবে অবর্ণনীয় পরিবর্তনের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে যা বিশ্বের চেহারা বদলে দিতে পারে, এটি মানব পরিবারের জন্য সর্বকালের সবচেয়ে বড় পরিবর্তন।

কিন্তু মানুষ মুহুর্তে বাস করছে এবং বিশ্বের লক্ষণগুলি দেখতে পাচ্ছে না। তারা নিজের মধ্যে লক্ষণগুলি শুনতে পায় না – তাদের সাবধান করে, সতর্ক করে, পিছনে থাকতে বলে, পুনর্বিবেচনা করতে বলে, যাতে তাদের দেখার একটি মুহূর্ত, স্পষ্টতার একটি মুহূর্ত থাকতে পারে, যাতে মহান ধ্বনি শুনতে তাদের একটি মুহুর্ত থাকতে পারে যা ঈশ্বর তাদের মধ্যে রেখেছেন, জ্ঞানের ধ্বনি।

মনের পৃষ্ঠের গভীর নীচে এটি হয়। এটি আপনাকে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার, বিশ্বের বৃহত্তর সেবার জন্য আপনাকে প্রস্তুত করার এবং আপনাকে স্মরণীয় পরিবর্তন এবং বিপর্যস্ত বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করার চেষ্টা করছে।

ঈশ্বর এখন সমগ্র বিশ্বের সাথে কথা বলেছেন, একটি ছোট্ট গোষ্ঠীর সাথে নয়, একমাত্র একটি অঞ্চলে নয়, একটি ধর্মীয় ঐতিহ্যের সাথে নয়, একটি শিক্ষিত শ্রেণির লোকদের সাথে নয়, সমাজের সকল স্তরে, সকল সমাজে প্রত্যেকের সাথেই।

কারন বিশ্বকে ঈশ্বরের নতুন বাণীর কথা শুনা উচিৎ, নতুবা এটি দুর্দান্ত ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করবে না, কারন নতুন বিশ্বটি কেবল এটির অভিজ্ঞতা অর্জন করতে শুরু করেছে। এটি তার অবিরাম সংঘাতের অবসান ঘটাবে না বরং বিশ্বকে আরও অবনমিত করে মানবতাকে আরও বৃহত্তর অন্ধকার এবং বিভ্রান্তিতে ফেলে দিয়েছে।

বিশ্বকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বাণীর কথা শুনা উচিৎ। কারন অতীতের মহান ঐতিহ্যগুলি আপনার বিবর্তনে এই মহান দোরগোরার জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে ছিল না। তারা আপনাকে বুদ্ধিমান জীবনের পূর্ণ মহাবিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে না। তারা আপনাকে পতনশীল বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করতে পারবে না, এমন একটি বিশ্ব যা আপনি দেখছেন এবং জানেন এমন সমস্ত কিছু বদলে দেবে।

ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে মানব সভ্যতা গড়ে তোলার জন্য, সত্য মানবতাবাদ, সত্যিকারের মানবিক নৈতিক আদর্শ ও উচ্চ নীতিমালা তৈরি ও শক্তিশালী করার জন্য তাদেরকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও অনেকে এই বিষয়গুলি অনুসরণ করতে সক্ষম হয়নি, তাদের প্রতিষ্ঠিত হতে হয়েছিল নতুবা মানবতা চিরকালের জন্য একটি আদিম, হিংসাত্মক, আত্ম-ধ্বংসাত্মক জাতি হয়ে উঠবে, একটি সুন্দর বিশ্বকে অবজ্ঞাপূর্ণ করবে, যা বন্ধ্যা গ্রহ এবং অবাঞ্ছিত স্থানের মহাবিশ্বে খুবই বিরল।

বিশ্বকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বাণীর কথা শুনতে হবে কারণ এটিই কেবল আপনার ভবিষ্যতের, আপনার সুরক্ষার, মানবিক ঐক্য, উদ্দেশ্য এবং সহযোগিতার মূল চাবিকাঠি ধরে রাখে। বিশ্বে খুব কম লোকই আছেন যারা এমনকি এই মুহুর্তে আপনি নিজের জন্য যে পরিকল্পনাটি তৈরি করছেন তা উন্নতি করতে এবং পরিবর্তন করতে সক্ষম হওয়ার জন্য এগুলিকে যথেষ্ট মূল্য দেয়। এটি অবশ্যই ঈশ্বরের কাছ থেকে আসে – যে আপনার উত্স, সমস্ত জীবনের স্রষ্টা, সমস্ত কিছুর স্রষ্টা।

কিন্তু এর জন্য, আপনাকে অবশ্যই নতুন কান দিয়ে শুনতে হবে। আপনাকে অবশ্যই মুক্ত মন দিয়ে শুনতে হবে। আপনি যদি এটিকে প্রত্যাখ্যান করেন, তবে আপনি ঈশ্বরকে প্রত্যাখ্যান করছেন যাকে আপনি প্রশংসিত এবং বিশ্বাস করেন বলে দাবি করেন। আপনি ঈশ্বরের পরিকল্পনা ইতিহাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে কেবলমাত্র একটি দৈববাণীর চেয়েও বড় এই সচেতনতাকে প্রত্যাখ্যান করছেন।

কারন সমস্ত মেসেঞ্জারগন অ্যাঞ্জেলিক পরিষদ থেকে এসেছেন, এবং তারা সকলেই মানবতার বৃহত্তর পরিকল্পনায় কাজ করে যাচ্ছেন – মানব সভ্যতা গড়ে তোলা, মানবিক ঐক্য ও সহযোগিতা, মানবতাকে জ্ঞান এবং তার প্রযুক্তির মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া, কীভাবে একটি সুন্দর পৃথিবী বজায় রাখা যায় এবং এটিকে সম্পূর্ণ ক্ষয়িষ্ণু অবস্থার মধ্যে ডুবিয়ে না দেওয়া।

এটি একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা। এমনকি শুরু থেকেই, এটি ছিল মহাবিশ্বে জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ে আপনার ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে প্রস্তুত করা। তবে প্রথমে এটিকে [মানবতা] অবশ্যই একটি কার্যকর সভ্যতায় পরিণত হতে হবে। একটি মুক্ত বিশ্ব হতে এবং এমন মহাবিশ্বে যেখানে স্বাধীনতা খুবই বিরল, সেখানে তার কোনও স্বাধীনতা থাকতে হলে এর অবশ্যই উচ্চতর নৈতিক আদর্শ ও নীতি থাকতে হবে।

পরিকল্পনাটি সবসময় ছিল। এটি পরিবর্তিত হয়নি, তবে কেবল নিজেকে পরিবর্তনের পরিস্থিতিতে এবং দুর্দান্ত সুযোগের মুহুর্তগুলিকে বদলে দেওয়ার জন্য খাপ খাইয়ে নিয়েছে।

আপনি এটিকে দেখতে পাচ্ছেন না, আপনারা যারা এই মুহুর্তে বেঁচে আছেন, আপনারা এমন একটি পৃথিবী দ্বারা পরিবেষ্টিত যা আপনারা বুঝতে পারছেন না, আপনারা যারা আপনাদের চিন্তাভাবনা, বিশ্বাস এবং উপদেশে বাস করেন তবে এখনও আপনাদের সাথে থাকা বৃহত্তর উপস্থিতি অনুভব করতে পারছেন না অথচ এটিই আপনাদের উত্স, আপনাদের উদ্দেশ্য এবং আপনাদের নিয়তি।

এটি আবশ্যক যে বিশ্বকে ঈশ্বরের নতুন বাণীর কথা শুনতে হবে। ঈশ্বর নিশ্চয়ই জানেন যে কি ঘটছে। আপনি কিভাবে প্রস্তুত হতে পারেন তা কেবল ঈশ্বরই জানেন। আপনি নিজেকে যতখানি বুঝতে পারেন একমাত্র ঈশ্বরই আপনাকে তার চেয়ে আরও ভাল বোঝেন। মানবতার সত্যিকারের অবস্থা এবং অভ্যন্তরীণ পতন এবং বাইরে থেকে অন্যদের দ্বারা পরাধীনতার ঝুঁকি থেকে নিজেদেরকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে মানবতাকে কী করতে হবে তা কেবল ঈশ্বরই জানেন।

আপনার ধর্মগ্রন্থের পিছনে দাঁড়াবেন না এবং এটিকে অস্বীকার করবেন না, কারণ এটিই ঈশ্বরের পরবর্তী কাজ। এটি এই পৃথিবীর ইতিহাসে মুহাম্মদ এবং যীশু এবং বুদ্ধ এবং অন্যান্য মহান শিক্ষক – পরিচিত এবং অপরিচিত, স্বীকৃত এবং অজানা – এর কাজ পূর্ণ করে, যাদের আপনি এমনকি পুরোপুরি হিসাবও করতে পারবেন না।

অহঙ্কারী ও বোকামি করবেন না, নতুবা যে পরিবর্তন আসছে তার পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউয়ের মুখে আপনি ব্যর্থ হবেন। এবং আপনি বুদ্ধিমান জীবনের একটি মহাবিশ্বের সাথে আপনার মোকাবেলা করার জন্য প্রস্তুত হবেন না, এমন একটি মুকাবিলা যা ইতিমধ্যে এমন বাহিনী দ্বারা সংঘটিত হচ্ছে যারা এখানে রয়েছে দুর্বল এবং সরল-বিশ্বাসী মানবতার সুযোগ নিতে।

ঝুঁকি প্রতিদিন বাড়ছে। পৃথিবীতে এখন ঘন অন্ধকার।

মানবতা নজিরহীন তাড়াহুড়ো ও বোকামি দিয়ে এই পৃথিবীতে তার ভিত্তি ধ্বংস করে দিচ্ছে – নিজেকে সংযত করতে অক্ষম, পথ পরিবর্তন করতে অক্ষম, সর্বত্র মানুষের বৃহত্তর প্রয়োজনীয়তা সরবরাহ করতে অক্ষম, ভিন্ন সেটের পরিস্থিতিতে মানবতার ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে যা করতে হবে তা করতে অক্ষম বা অনিচ্ছুক।

আপনি নিজেকে প্রস্তুত করতে পারবেন না। আপনার এখনও সাহস হয় নাই। আপনি এখনও প্রয়োজন দেখতে পান না। আপনি এখনও লক্ষণগুলি চিনতে পারেন না। পরস্পরের মধ্যে, আপনাদের জাতির মধ্যে, আপনাদের ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে, যারা এখন ক্রমবর্ধমান বিশৃঙ্খলা এবং একে অপরের এবং এমনকি নিজেদের মধ্যে বিভেদে অবতীর্ণ হয়, আপনাদের মধ্যে এখনও সহযোগিতা নেই।

এটি এমন নয় যে আপনি অসহায়। এটি কেবল আপনি দায়িত্বজ্ঞানহীন। এটি এমন নয় যে আপনার নির্দিষ্ট শক্তি এবং ক্ষমতা নেই। এটি এমন যে আপনি ভয় এবং আকাঙ্ক্ষা, সংঘাত, দারিদ্র্য ও বঞ্চনার জগতে হারিয়ে গেছেন- এমন একটি বিশ্ব যা আপনি তৈরি করেছেন।

আপনি এর জন্য ঈশ্বরকে দোষ দিতে পারেন না। এমনকি আপনি প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্যও ঈশ্বরকে দোষ দিতে পারেন না — খরা, হারিকেন, মহামারী — কারণ এটি প্রকৃতির কার্যকারিতারই একটি অংশ, যা সময়ের শুরুতে গতিবেগ ছিল।

সুতরাং অ্যাঞ্জেলিক পরিষদ আপনার এবং এখানে অন্য সকলের উপরে নজর রাখেন আপনারা কীভাবে মানিয়ে নেবেন এবং আপনারা কী বেছে নেবেন তা দেখার জন্য। তাঁরা আপনাদেরকে বিচ্ছেদে থাকার স্বাধীনতা দিয়েছেন। তারা এমনকি আপনাদের ব্যর্থ হওয়ারও স্বাধীনতা দিয়েছেন। অবশ্য তাঁরা আপনাদেরকে সফল হওয়ার শক্তি ও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন – যদি আপনারা সাড়া দিতে পারেন, যদি আপনারা এই মহান দিকনির্দেশের প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন, যদি আপনারা নিজের অভ্যন্তরের জ্ঞানের সাড়া দিতে পারেন, যা এখনও ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত রয়েছে।

এই মহাবিশ্ব এবং অন্যান্য মহাবিশ্ব এবং সৃষ্টির প্রভু, সমস্ত নৈসর্গিক উদ্ভাসের বাইরেও কালজয়ী সৃষ্টি, আপনার কাছে শারীরিক বা ব্যক্তিগতভাবে অংশ নিচ্ছেন না। এটি পরিষদের কাজ। কারণ মহাবিশ্বে অজস্র জাতি রয়েছে এবং তাদের তদারকি করার জন্য প্রত্যেকের অবশ্যই একটি পরিষদ থাকতে হবে।

এটি এমন একটি স্কেলের পরিকল্পনা যা আপনি সম্ভবত বিবেচনা করতেও পারবেন না। এত মহান, এত বিস্তৃত, এত পরিবেষ্টনকারী, এত নিখুঁত, কেবল ঈশ্বর এটি করতে পারেন। সমস্ত সংবেদী জীবনের মধ্যে রাখা জ্ঞানের শক্তির মাধ্যমে কেবল ঈশ্বরই বিচ্ছিন্নতা পুনরায় দাবি করতে পারেন।

আপনার কাছে এখন আরও অনেক উন্নত এবং সম্পূর্ণ একটি দৈববাণীতে এই বিষয়গুলি বোঝার সুযোগ রয়েছে। কারণ আপনি এখনও বুঝতে পারেন না যে ঈশ্বর কীভাবে বিশ্বে কাজ করেন, ভিতর থেকে লোকদের মধ্যে কাজ করেন – সেবা দিয়ে, অবদানের মাধ্যমে, ক্ষমার মাধ্যমে এবং গঠনমূলক এবং সহানুভূতিপূর্ণ আচরণের মাধ্যমে।

আপনার ঈশ্বরের ধারণা প্রাচীন শিক্ষা থেকে জন্মগ্রহণ করে। এগুলি অসম্পূর্ণ, কারণ সেই সময়ের লোকেরা এই পৃথিবীতে বা তার বাইরেও ঈশ্বরের পরিকল্পনার বৃহত্তর প্রকৃতি বোঝার মতো পরিশীলতা বা স্বাধীনতা বা সামাজিক বিকাশ ছিল না।

মহান ধর্মগুলি মানবতা বজায় রেখেছে, মানব সভ্যতা তৈরি করেছে, অসংখ্য মানুষের অনুপ্রেরণা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এগুলি লঙ্ঘন করে যা কিছু করা হয়েছে, এবং কীভাবে তাদেরকে অপব্যবহার করা হয়েছে এবং এখনও অপব্যবহার করা হচ্ছে, তা সত্ত্বেও এগুলি মূল্যহীন বলে মনে করবেন না।

ঈশ্বর আপনাদের মধ্যে জ্ঞান রেখেছেন, এক নিখুঁত পথ নির্দেশকারী বুদ্ধিমত্তা। এটি ঈশ্বরের সাথে সংযুক্ত। এটি বিশ্বকে ভয় পায় না। এটি বিশ্ব দ্বারা শর্তযুক্ত নয়। এটি সৌন্দর্য, সম্পদ এবং কবজ দ্বারা আঁকা হয় না। এটি সৌন্দর্য, সম্পদ এবং কমনীয়তার দ্বারা আকৃষ্ট হয় না। আপনাকে এখানে আপনার জীবনের মহান লক্ষ্যের সাথে মিলন এবং আপনাকে যারা প্রেরণ করেছেন তাদের সাথে পুনর্মিলনী – যা কেবল এখানে উদ্দেশ্য, অর্থ, সম্পর্ক এবং অনুপ্রেরণার জীবন নিয়ে আসে।

তবে আপনি অনেক বেশি দিশাহারা হয়ে পড়েছেন। আপনি যদি প্রথমে সাড়া দেওয়ার মধ্যে থাকতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই দৃঢ়ভাবে সাড়া জানাতে হবে। সন্দেহ অবলম্বন করবেন না, কারণ এটি অসৎ। আপনার হৃদয়ে আপনি জানতে পারবেন, আপনি আজ এখানে কি বলছেন তা বুঝতে পারবেন। এটি একটি চ্যালেঞ্জ। সত্যনিষ্ঠ হওয়ার, অকপট হওয়ার এবং আন্তরিকভাবে কাজ করার একটি চ্যালেঞ্জ।

বিশ্বকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বাণী শুনতে হবে। এটি একা আপনার জন্য নয়। এটি একমাত্র আপনার উত্সাহের জন্য নয়। তবে আপনি এটির অংশ হওয়ার কথা, এটি গ্রহণ, এটি প্রকাশ, ভাগ করে নেওয়া এবং এটিকে বিশ্বের প্রতিটি ভাষায় অনুবাদ করতে সহায়তা করা যাতে বিশ্বের পর্যাপ্ত লোকেরা সাড়া দিতে পারে এবং মানবতার গতিপথ পরিবর্তন করতে শুরু করতে পারে, মানব পরিবারকে গুরুতর অস্থিতিশীলতা, দ্বন্দ্ব এবং যুদ্ধের মধ্যে না পড়ার জন্য অবশ্যই যে ধরনের দায়িত্ব ও পরিবর্তন ঘটতে হবে তা উত্সাহিত করতে পারে।

আপনি এখন যে ঝুঁকি নিয়েছেন তা আপনি এখনও দেখতে পান নাই। সুতরাং যে মহান প্রয়োজনটি এটিকে বিশ্বের কাছে এনেছে তা বোঝা আপনার পক্ষে কঠিন।

এর জন্য, আপনাকে অবশ্যই বিশ্বের কাছে চোখ খুলে দিতে হবে, আপনি যা চান তার দিকে নয়, আপনি যা পছন্দ করেন তার দিকে নয়, তবে যা এখানে সত্যই ঘটছে তার দিকে। আপনাকে অবশ্যই একজন দায়িত্বশীল ব্যক্তি হতে হবে – যে ব্যক্তি সাড়া দিতে সক্ষম।

কারণ আপনাকে অবশ্যই ঈশ্বরের নতুন বাণী শুনতে হবে এবং আপনাকে যতটা সম্ভব এর প্রতি সততা, আন্তরিকতা এবং নম্রতা আনতে হবে। এটি আপনাকে সব উপায়ে শক্তিশালী করবে। এটি আপনার জীবনে সমাধান আনবে। এটি আপনাকে লজ্জা এবং অযৌক্তিকতা থেকে ফিরিয়ে আনবে। এটি আপনাকে নিজের দিকে এবং সত্যিকারের দিকে ফিরে আনবে যা আপনাকে অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে, যা ঈশ্বর আপনাকে গ্রহণ করার জন্য ইতিমধ্যেই আপনার মধ্যে রেখেছেন।

ম্যাসেঞ্জার বিশ্বে অবস্থান করছেন। তিনিই যাকে এটিকে এখানে আনতে প্রেরণ করা হয়েছিল। তিনি একজন নম্র মানুষ। তার কোন পার্থিব অবস্থান নেই। তিনি জাতি বা সেনাবাহিনী বা একদলকে অন্য দলের বিরুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেন না, কারণ তাঁর কাছে সমগ্র বিশ্বের জন্য একটি বার্তা রয়েছে – হয় গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করার জন্য।

সময়টাই এখন মুলবিষয়। পরিবর্তনের দুর্দান্ত ঢেউ এখানে এবং সেখানে সর্বত্র আঘাত করা শুরু করেছে, প্রতি বছর আপনার অবকাঠামো, আপনার সমাজ, আপনার সম্পদ এবং আপনার আত্মবিশ্বাসকে হ্রাস করে চলেছে। এটি প্রস্তুত হওয়ার সময়, তবে সময়টি বেশি দিন নেই। এটি সংক্ষিপ্ত। এটি এখনই।

তবে সবাই সাড়া দিতে পারবে না। কারন প্রত্যেকে এটি জানবে না। সবাই এর জন্য প্রস্তুতও নয়। এবং অনেকেই এর বিরুদ্ধে দাড়াবে, তাদের পূর্বের ধারণা এবং বিশ্বাস, তাদের সম্পদ বা সমাজে তাদের অবস্থান রক্ষা করবে। এটি দুর্ভাগ্যজনক, তবে এটি সর্বদাই প্রত্যাদেশের সময় ঘটে।

আপনি বিশ্বের জন্য ঈশ্বরের নতুন বাণী প্রাপ্তদের প্রথমদের মধ্যে উপস্থিত হন। এটি সর্বাধিক মূল্যবান । এটি আপনার জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সমস্ত কিছু আপনাকে ব্যর্থ করার পরে এটি সমস্ত পার্থক্য নির্ণয় করবে। এটি আপনার পক্ষে সমস্ত পার্থক্য নির্ণয় করবে যদি আপনি এটি গ্রহণ করতে পারেন এবং এটি অনুসরণ করতে পারেন এবং জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি অনুশীলন করতে পারেন যা ঈশ্বর আপনাকে এখানে থাকার জন্য আপনার গভীর উদ্দেশ্য এবং প্রকৃতির সাথে পুনরায় যুক্ত করার জন্য সরবরাহ করেছেন।

মানবতা যদি মহান বাণী গ্রহন করতে ব্যর্থ হয়, তবে তা স্থায়ী অবক্ষয়ের রাজ্যে প্রবেশ করবে — মহা সংঘাত, দুর্দান্ত মানবিক দুর্দশা ও ক্ষতি। আপনি এই নতুন বিশ্বের জন্য প্রস্তুত হবেন না। যদিও লক্ষণগুলি প্রতিদিন দেখা যাচ্ছে তবুও যা আসছে তার জন্য আপনি প্রস্তুত হবেন না।

আপনি আপনার আগ্রহ, আপনার পছন্দ, আপনার আশা রক্ষা করার চেষ্টা করবেন। আপনার পথে আসছে সেই জিনিসগুলি আপনি সত্যিই মোকাবেলা করতে চান না। আপনাকে সত্যিই মোকাবেলা করতে চান না। তবে এগুলি মোকাবেলা করা আপনাকে শক্তি এবং সাহস এবং সংকল্প দেবে। এই প্রস্তুতি ব্যতীত, আপনার এই ক্ষমতা এবং সামর্থ্য থাকবে না।

এটি আপনার জন্য একটি মহান বাণী। এটি মানবতার জন্যও একটি মহান বাণী। কারণ এটি বিশ্বের সমস্ত ধর্মকে সম্মান জানাবে এবং তাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে এক করে দেবে যে তারা তাদের অন্তহীন দ্বন্দ্ব বন্ধ করবে। আপনি দেখতে পাবেন যে সময়ের সাথে সাথে তাদের থেকে কী তৈরি হয়েছিল তা নির্বিশেষে তারা সকলেই তাদের ভিত্তিতে সংযুক্ত।

আপনি দেখতে পাবেন যে সমস্ত ম্যাসেঞ্জার পরিষদ থেকে এসেছেন। এবং আপনি দেখতে পাবেন যে তাদের কাছে যদি এই উত্স না থাকে তবে অন্য কেউ দুনিয়াতে মহান বাণী আনার দাবি করতে পারবে না। কারণ প্রত্যেক যুগে নবী থাকলেও মহান ম্যাসেঞ্জারগণ কেবলমাত্র সংকটময় সন্ধিক্ষণে আসেন। এবং তাঁরা তাঁদের সাথে পুরো এক নতুন বাস্তবতা নিয়ে আসেন যা বিশ্বের গতিপথ এবং সময়ের সাথে সাথে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারে এমন অসংখ্য মানুষের ভাগ্য বদলে দিতে পারে।

ঈশ্বরের নতুন বাণী গ্রহণ করা বিশ্বের জন্য একটি অত্যন্ত প্রয়োজন। এটি আপনার চ্যালেঞ্জ। এটি আপনার মুক্তি। আপনার এখন বিবেচনা করার জন্য এর চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আর কিছুই নেই।

মেসেঞ্জার একজন বয়স্ক ব্যক্তি। তিনি সম্ভবত আরও কয়েক বছর বিশ্বে থাকবেন। আপনি যদি তাঁর সাথে দেখা করতে পারেন এবং তাঁর সম্পর্কে জানতে পারেন তবে এটি আপনার জন্য একটি বড় আশীর্বাদ হবে।

তিনি একজন উপাস্য নন, তবে কোন ম্যাসেন্জারই দেবতা ছিলেন না। তিনি আপনাকে তাঁর প্রশংসা করতে অনুমতি দেবেন না, কারণ সমস্ত প্রশংসা অবশ্যই ঈশ্বরের কাছে এবং পরিষদে যেতে হবে। তিনি নিজেকে দুর্ভোগ ও বিচ্ছিন্নতার মধ্য দিয়ে প্রমাণ করেছেন, দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জ এবং দুর্দান্ত প্রস্তুতির মধ্য দিয়ে, তার চারপাশের লোকদের বোঝার বাইরে, কেবলমাত্র কয়েকজন ব্যতিরেকে।

আমরা এটি আপনার কাছে এনেছি কারণ এটি স্বর্গের ইচ্ছা। আমরাই যীশু, বুদ্ধ এবং মুহাম্মদের সাথে কথা বলেছি। আমরাই বিশ্বজুড়ে নজর রাখি। আপনি আমাদের নাম জানতে পারবেন না। আমাদের নামগুলি গুরুত্বপূর্ণ নয়, কারণ আমরা এক এবং অনেক, এবং অনেক কিন্তু এক হিসাবে কথা বলি — এমন একটি বাস্তবতা যা আপনি আলিঙ্গন করতে পারবেন না, বিচ্ছেদ-এ বসবাস করছেন, এখনও নয়।

স্বর্গের ইচ্ছা হল মানবতা বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য প্রস্তুতি নেবে, এটি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হবে এবং এটি এই বিশ্বকে রক্ষা করবে যাতে এটি অন্যান্য জাতির প্ররোচনা এবং আধিপত্যের অধীনে না পড়ে যারা তাদের নিজস্ব উদ্দেশ্যে এই পৃথিবীকে ব্যবহার করতে চায়।

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো, আপনার চারপাশের মহাবিশ্বে জীবন কেমন এবং ঈশ্বর এই মহাবিশ্বে কী করছেন তা দেখতে আপনার জন্য মহাবিশ্বের দরজা উন্মুক্ত করা হচ্ছে। ঈশ্বর এই পৃথিবীতে কী করছেন তা বুঝতে আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে ঈশ্বর মহাবিশ্বে কী করছেন — মূলতঃ, প্রাথমিকভাবে — এবং এটি প্রথমবারের জন্য উপলব্ধ করতে দেওয়া হচ্ছে।

আপনার চোখ খোলা থাকুক। আপনার বিশ্বেকে বোঝা সত্য এবং সৎ হোক। আপনার নিজের এবং আপনার প্রয়োজনগুলির মূল্যায়ন আন্তরিক হোক এবং নম্রতা এবং আন্তরিকতায় ভরে উঠুক। এবং স্বর্গের উপহার যেটি আপনি এখন পাচ্ছেন — এমন ভাগ্যবান যে আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে জীবনযাপন করছেন – এটি আপনাকে চিনতে, গ্রহণ করতে এবং গুরুতর প্রয়োজনে একটি বিশ্বকে উপহার দেওয়ার জন্য আপনার হতে পারে।

আশীর্বাদ

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
20 এপ্রিল, 2007 এ
ইস্তাম্বুল, তুরস্কে

আশীর্বাদ মানবতার উপর, কারণ এটি একটি প্রত্যাদেশের সময়। এই সময়টি যখন মানবতাকে একটি মহান উপহার দেওয়া হয়, যা সামনের কঠিন এবং অনিশ্চিত সময়ের মোকাবিলা করতে এটিকে উদ্দেশ্য এবং দিকনির্দেশ দেওয়ার জন্য একটি মহান উপহার।

এটি সেই সময় যেখানে মানবিকতা তার আধ্যাত্মিকতার আরও বৃহত্তর উপলব্ধি লাভ করে, তার ঐক্য ও সহযোগিতা এবং তার ভবিষ্যতের জন্য একটি আহ্বান — মহাবিশ্বে বুদ্ধিমান জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উভয়ই এই পৃথিবীর মধ্যে এবং এই পৃথিবী বাইরে।

মানবতা এই মহান দ্বারপ্রান্তে পৌঁছেছে, এমন এক প্রান্ত যেখান থেকে আর ফিরে আসা যাবে না। সামগ্রিকভাবে মানবতা এর আগে কখনও পৌঁছেছে এমন কোনও একটি প্রান্তিকের মতো নয় এই প্রান্তিকতা।

এখন আপনাকে অবশ্যই বিশ্বের একজন মানুষ হয়ে উঠতে হবে – কেবলমাত্র একটি জাতি বা গোত্র বা গোষ্ঠীর মানুষ নয়। কারণ আপনি বুদ্ধিমান জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ে আত্মপ্রকাশ করছেন, যেখানে আপনি যাদের মুখোমুখি হতে পারেন এবং যারা আপনাকে এখন দেখেন তারা আপনাকে বিশ্বের মানুষ হিসাবে বিবেচনা করবে।

এখানে আপনি জীবনের বৃহত্তর বিস্তৃত দৃশ্যে প্রবেশ করছেন এবং আপনি মহাবিশ্বে এমন কোনও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে প্রবেশ করছেন যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনি এখানে নিজেকে কীভাবে পরিচালনা করেন, একে অপরের সাথে আপনার সম্পর্ক কীভাবে পরিচালনা করেন, মহাবিশ্বে আপনি কীভাবে আপনার অবস্থানকে বিবেচনা করেন — আপনার ভবিষ্যত নির্ধারণে এবং এই বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে কীভাবে আপনার ভাগ্য পূর্ণ হবে এবং এমনকি যদি তা পূরণ করা যায় তবে তা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও সবার অসাধারণ গুরুত্ব রয়েছে।

আপনি সেই মহান দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছেন যেখানে এই বিশ্বের জীবন-রক্ষাকারী সংস্থানগুলিকে ধ্বংস করার এবং মানবতাকে স্থায়ী পতনের স্থিতিতে স্থাপন করার ক্ষমতা আপনার রয়েছে।

আপনাদের একে অপরের সাথে প্রতিযোগিতা করার ক্ষমতা রাখেন, যেমন আপনারা সর্বদাই প্রতিযোগিতা করেছেন, মানবতাকে এই বিরাট পতনের দিকে চালিত করার জন্য। এবং [তবুও] আপনার অন্য একটি উপায় বাছাই করার ক্ষমতা রয়েছে, এই দ্বিধাদ্বন্দ থেকে মুক্তির একটি উপায় যা সময় বাড়ার সাথে সাথে কেবল আরও কঠিন এবং অচল হয়ে উঠবে।

ব্যক্তি হিসাবে আপনি কী করবেন, বৃহত্তর গোষ্ঠী এবং বৃহত্তর জাতির অংশ হিসাবে আপনি কী করবেন, এটি নির্ধারণ করবে এই দুটি দুর্দান্ত পছন্দের কোনটি আপনি করবেন। আপনার অভ্যাস বসত যদি আপনি অতীতের মতো নিজেকে চালিয়ে যান, তবে আপনার ভবিষ্যত অনুমানযোগ্য এবং অত্যন্ত চরম।

তবুও যদি আপনি অন্য কোন উপায় বেছে নেন, তাহলে আপনি একটি নতুন সূচনা প্রতিষ্ঠা করতে পারেন এবং আপনি এখানে থাকা সকলের অন্তরে বাস করে এমন একটি বৃহত্তর প্রতিশ্রুতি প্রকাশ করতে পারেন ।

এখানে আশীর্বাদটি এই বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির আহ্বান করে। এটি স্বতন্ত্র ব্যক্তির মধ্যেই শুরু হয় তবে এটি মানব পরিবারের বাইরেও প্রসারিত হয়।

এটি ঈশ্বরের কাছ থেকে বিশ্বের কাছে একটি নতুন বার্তার আহ্বান করেছে, কারণ ঈশ্বরের কাছ থেকে কেবলমাত্র একটি নতুন বাণীতেই এ জাতীয় আশীর্বাদ থাকতে পারে। কেবলমাত্র এটিরই ক্ষমতা রয়েছে মহান জ্ঞান এবং বিশাল মমত্ববোধের আহ্বান করা যা সমস্ত জীবনের স্রষ্টা প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে স্থাপন করেছেন।

কোনও ব্যক্তি নেই, কোন দর্শন নেই, এমন কোনও মতবাদ নেই যা এই জাতীয় আহ্বানের জন্ম দিতে পারে। এটি অবশ্যই সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে আসতে হবে। এটি অবশ্যই সমগ্র বৃহত্তর সম্প্রদায়ের ঈশ্বরের – একমাত্র ঈশ্বর, এক উত্স, যার স্বর্গদূতগন বিশ্বজুড়ে নজর রাখেন, তবে যাদের শক্তি মানবতা কল্পনাও করতে পারে না তার চেয়েও প্রসারিত –  কাছ থেকে আসা উচিৎ।

ঈশ্বর প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে জ্ঞানের বীজ স্থাপন করেছেন যাতে এই আহ্বানের সাড়া পাওয়া যায়। এই জ্ঞানটি হল একটি বৃহত্তর বুদ্ধিমত্তা যা প্রতিটি ব্যক্তির মধ্যে আবিষ্কারের জন্য অপেক্ষা করছে, তবে এর পুরো অস্তিত্ব সমস্ত জীবনের স্রষ্টার সাথে সম্পর্কযুক্ত।

এটি এমন কোন সম্পদ নয় যা আপনি নিজেকে সমৃদ্ধ করতে নিজের জন্য বা অন্যের উপর সুবিধা অর্জনের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। কারন জ্ঞান এই জিনিসগুলি করবে না। এর উদ্দেশ্য এবং এর বাস্তবতা হল সমস্ত জীবনের স্রষ্টার প্রতি সাড়া দেওয়া এবং মানবজাতি তার অস্তিত্বের এই গুরুতর দ্বারপ্রান্তে দিকে অব্যাহতভাবে চলতে থাকায় যে মহান আহ্বান প্রকাশিত হচ্ছে তার প্রতি সাড়া দেওয়া।

কারণ এটি এই সংকটময় সন্ধিক্ষণ যে বিশ্বব্যাপী বিপুল অসুবিধার সম্মুখীন হতে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের থেকেই বিরোধী এবং প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি যারা সংগ্রামী এবং বিভক্ত মানবতার সুযোগ নিতে চেষ্টা করে তাদের মোকাবেলায় মানবতা সফলতা বা ব্যর্থতা বেছে নেবে।

বিশ্বজুড়ে অনেক লোক দারুণ এক অস্বস্তি বোধ করছে, বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে এক বিরাট অস্বচ্ছন্দতার ভেতর আছে এবং ইহার ভবিষ্যত এবং মানবতার ভবিষ্যতের জন্য গভীর উদ্বেগে রয়েছে। তারা উপলব্ধি করে এবং অনুভব করে এবং জানে যে তারা এক দুর্দান্ত পরাক্রম সময়ে বাস করছে, এমন একটি সময় যা মানবতার ভাগ্য এবং পরিণতি নির্ধারণ করবে। এটি কোনও বৌদ্ধিক উপলব্ধি নয় যতটা এটি একটি স্বজ্ঞাত অভিজ্ঞতা, একটি শক্তিশালী স্বীকৃতি, একটি সচেতনতার সহজাত ধারণা – যার সবই তাদের ভিতরের জ্ঞান থেকে আসে।

এই দুর্দান্ত সময়ে, এই সংকটময় সন্ধিক্ষণে কেউ পালাতে পারবে না। আপনার কল্পনায় এবং আপনার ব্যক্তিগত অনুসরণে নিজেকে হারানোর আর কোনও দরকার নেই। কারণ আপনি যদি এই দুর্দান্ত সময়ে, এই দুর্দান্ত দ্বারপ্রান্তে এবং প্রত্যাদেশের এই সময়টিকে অন্ধ এবং আত্মমগ্ন হয়ে থাকেন,, তবে আপনি দেখতে, জানতে ও প্রস্তুত হতে পারবেন না।

আপনি উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন। আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য আপনি ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে পারেন। কিন্তু আশীর্বাদ এবং উদ্ধার ইতিমধ্যে আপনার মধ্যে – আপনার ভিতরে জ্ঞানের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে – সেই সময়ের অপেক্ষায় যখন আপনার পরিপক্কতা হবে, যখন আপনার প্রয়োজন হবে, যখন আপনার উপলব্ধি হবে যে আপনার মধ্যে এমন শক্তিকে অবশ্যই ডাকা উচিত, অনুসরণ করা আবশ্যক, অবশ্যই সর্বোপরি সম্মানিত হওয়া উচিত।

এই হল ঈশ্বরের সাথে আপনার সম্পর্ক এবং আপনার নিজের মধ্যে যে জরুরিতা বোধ হয় তা হল ঈশ্বরের আহ্বান – জাগ্রত হওয়ার, সচেতন হওয়ার এবং সাড়া দেওয়ার জন্য আহ্বান।

ভাববেন না যে আপনার অংশগ্রহণ ছাড়া আপনার জীবনের আরও বেশি সম্ভাবনা থাকবে। এমন ভাববেন না যে আপনি মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনার মধ্য দিয়ে ঘুমোতে পারবেন এবং আপনার চারপাশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে উপকারের প্রত্যাশা করতে পারবেন। এবং এমনটি ভাববেন না যে আপনি যে দুর্দান্ত সময়ে বাস করছেন সেটিকে উপেক্ষা করার চেষ্টা করে আপনি শান্তি এবং সাম্যতা খুঁজে পেতে পারবেন। কারণ সেখানে শান্তি ও সাম্য থাকবে না। সেখানে কোনও আরাম এবং সান্ত্বনা থাকবে না।

আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করছেন। আপনি এমন এক সময়ে বেঁচে আছেন যখন মানবতা তার সবচেয়ে ভয়ানক দ্বারপ্রান্ত, তার বৃহত্তম চ্যালেঞ্জ, তার বৃহত্তম বিপদ এবং তথাপিও গুরুতর ও ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যে মানবিক সহযোগিতা ও ঐক্য প্রতিষ্ঠার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ।

নিজের জন্য এটি দেখতে এবং এটি জানতে, আপনাকে অবশ্যই নিজের অস্বীকারকে জয় করতে সক্ষম হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই আপনার সংস্কৃতির শর্তটি কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হতে হবে। আপনাকে অবশ্যই নিজের পছন্দগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং অব্যাহতির জন্য নিজের অনুসন্ধানকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হতে হবে । সম্ভবত আপনি মনে করেন এটি সম্ভব নয়, তবে আপনার মধ্যে জ্ঞানের শক্তি আপনাকে এটি করতে সক্ষম করবে এবং অন্যকেও এটি করতে সক্ষম করবে।

আহ্বানটি এখন এগিয়ে যাচ্ছে। ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি নতুন বাণী এই পৃথিবীতে। ম্যাসেঞ্জার পৃথিবীতে আছেন। তিনি এখন নতুন বাণীটি উপস্থাপনের জন্য প্রস্তুত। এতে আশির্বাদ রয়েছে। এতে সতর্কতা রয়েছে। এতে প্রস্তুতি রয়েছে।

এটি এখানে বিশ্বের ধর্মগুলিকে প্রতিস্থাপন করার জন্য নয় বরং তাদের সাধারণ ক্ষেত্রটি প্রতিষ্ঠা ও শক্তিশালী করার জন্য, তাদের আলোকিত করার জন্য এবং তাদের শক্তি এবং উদ্দেশ্য প্রদান করে যাতে তাদের ভবিষ্যত থাকতে পারে – উভয় বিশ্বজুড়ে এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে যেখানে মানবতার এখন উদয় হচ্ছে।

এই দুর্দান্ত দ্বারপ্রান্তের মোকাবেলায়, আপনার সরকারের কাছে কোনও উত্তর থাকবে না এবং আপনার দার্শনিকদের কাছেও কোন উত্তর থাকবে না। সম্ভবত লোকেরা সমাধানের কিছু অংশ দেখতে পাবে এবং এটি প্রকাশ করার চেষ্টা করবে এবং এটি প্রয়োজন, তবে উত্তরটি অবশ্যই আপনার মধ্যে একটি বৃহত্তর শক্তি থেকে এবং আপনার ছাড়িয়ে একটি বৃহত্তর শক্তি থেকে আসতে হবে।

যা প্রয়োজন হবে তা হল মানুষের বোঝাপড়ার এবং মানুষের আচরণের একটি বিরাট পরিবর্তন। এই জিনিসগুলি একটি বৃহত্তর শক্তি দ্বারা এবং আপনার মধ্যে এবং সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে একটি বৃহত্তর প্রতিক্রিয়া দ্বারা আবশ্যক হতে হবে। প্রত্যেককেই প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে না, তবে অনেক জায়গায় পর্যাপ্ত লোকের এই আহ্বান এবং এই প্রতিক্রিয়াটি অনুভব করতে হবে।

সময় কম। উদাসীন বা সিদ্ধান্তহীন হওয়ার এখন সময় নেই। পরিবর্তনের বিশাল তরঙ্গের মুখে অজ্ঞ এবং বোকামি থাকার মধ্যে কোনও বিলাসিতা নেই।

কারণ বিশ্বে একটি ভয়ানক অন্ধকার রয়েছে। মানবতা এর আগে যে সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল এমন যে কোনও কিছুর চেয়ে এটি একটি অন্ধকার যা আরও গভীর এবং আরও পরিণতিজনক।

এটি মানব পরিবারের জন্য এক বিরাট দুর্বলতার সময়ে বিশ্বে প্রবেশ করেছে, যেহেতু আপনি এমন একটি বিশ্বের পতনের মুখোমুখি হয়েছেন এবং আপনি এমন মহান সিদ্ধান্তের মুখোমুখি হয়েছেন যে হয় মানবতা আত্ম-ধ্বংসের পথ — প্রতিযোগিতার জন্ম পথ, দ্বন্দ্ব ও যুদ্ধ বেছে নিবে — অথবা হয় অন্য পথ বেছে নিবে, মহা বিপদের মুখে সহযোগিতা ও ঐক্যের দিকে একটি পথ যা অন্য উপায়ে স্বীকৃত হবে এবং দাবি করা হবে এবং প্রয়োজনীয় এবং প্রকাশিত হবে।

বিশ্বজুড়ে অনেক মানুষ এই মহা বিপদের প্রমাণ দেখতে শুরু করেছে, তবে অনেক লোক এখনও ঘুমিয়ে আছে, নিজের ব্যক্তিগত পরিপূরণের স্বপ্ন দেখছে, অজানা এবং পরিবর্তনের দুর্দান্ত তরঙ্গ সম্পর্কে অমনোযোগী রয়েছে যা ইতিমধ্যে বিশ্বজুড়ে ধুয়ে যাচ্ছে।

সুতরাং যারা সম্পূর্ণরূপে প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন – বড় হুমকির স্বীকৃতি জানাতে পারেন, দুর্দান্ত সতর্কতা শুনতে পারেন এবং সমস্ত জীবনের স্রষ্টার কাছ থেকে মহান আশীর্বাদ গ্রহণ করতে পারেন তাদের জন্য এটি প্রয়োজনীয় হবে।

মানবতার জন্য একটি উত্তর আছে, তবে এটি এমন কোনও উত্তর নয় যা মানবতা পুরোপুরি নিজের জন্য আবিষ্কার করতে পারে। কারন উওরটি্কে অবশ্যই লোকদের একে অপরকে আরও বৃহত্তর সেবার দিকে ডাকার জন্য শক্তি থাকতে হবে। এটিকে অবশ্যই মানসিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক মতাদর্শ এবং মানবতার পক্ষে নিজের বিরোধিতা করে চলেছে এমন প্রবণতাগুলি থেকে কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্ষমতা থাকতে হবে। এটিকে মানব পরিবারে সহানুভূতি, সহনশীলতা এবং ক্ষমা প্ররোচিত করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী হতে হবে।

এটি কেবল ধারণার একটি সেট নয়। এটি মুক্তির শক্তি। এটি ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি আহ্বান এবং ঈশ্বরের সৃষ্টির থেকে একটি প্রতিক্রিয়া – মানুষের মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়া, আপনার মধ্যে একটি প্রতিক্রিয়া।

অতএব, আশীর্বাদ গ্রহণ করুন। আপনি এটি বৌদ্ধিকভাবে বুঝতে সক্ষম হবেন না তবে আপনি এটি অনুভব করতে পারবেন এবং জানতে পারবেন যে এটি খাঁটি। আপনি নিজের মধ্যে প্রতিক্রিয়াটির আলোড়ন অনুভব করতে পারেন।

এই প্রতিক্রিয়াটিকে সম্মান করুন এবং এটিকে আপনার সচেতনতার মধ্যে উত্থিত হতে দিন। এটিকে আপনাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিন। এটি হল পথনির্দেশ যা স্রষ্টা আপনার জন্য সরবরাহ করছেন। এটি আপনার মধ্যে ঘুমিয়ে আছে যেমন আপনি তার চারপাশে ঘুমাচ্ছেন।

এখন এটিকে জেগে উঠতে হবে, কারণ এর উত্থানের সময় এসেছে। এখন আপনাকে অবশ্যই পরিষ্কার এবং উদ্দেশ্যমূলক চোখ দিয়ে বিশ্বের দিকে নজর দিতে হবে। এখন আপনাকে অবশ্যই শিশুসুলভ এবং বোকামির ব্যস্ততাগুলি আলাদা করে রাখতে হবে যা আপনাকে কেবল দুর্বল ও অন্ধ এবং অরক্ষিত রাখতে পারে।

এটি প্রত্যাদেশের সময়। এই জাতীয় সময়গুলি খুব কমই আসে — মানব পরিবারের জন্য সংকটময় সন্ধিক্ষণ, এমন এক দুর্দান্ত মুহুর্তে যেখানে সমস্ত জীবনের স্রষ্টা মানবতাকে একটি মহান প্রজ্ঞা ও জ্ঞান এবং অনুপ্রেরণা এবং আধ্যাত্মিক শক্তির এক নতুন অনুপ্রবেশ দান করতে পারেন।

এটি আপনার সময়। এই সময়ের জন্য আপনি এসেছেন। কারন আপনি এঞ্জেলিক হোস্টের সহায়তায় কেবল এখানকার ভোগকারী হতে — কেবল নিজের জন্য একটি বাসা তৈরি করতে, কেবল নিজেকে সমৃদ্ধ করতে এবং এই সমৃদ্ধির জন্য অন্যের সাথে সংগ্রাম করতে — এই বিশ্বে প্রবেশ করেন নি।

যদিও এই মুহুর্তে এটি এখানে আপনার জীবনের বাস্তবতা হতে পারে তবে এটি আপনার বৃহত্তর বাস্তবতা নয় যা পৃথিবীতে আরও মূল্যবান কিছু আনার জন্য, এমনকিছু যা বিশ্ব নিজেকে দিতে পারে না এবং এই উপহারটি আপনার জীবনকে নতুন রূপ দিতে এবং আপনার জীবনকে মানবতার সেবায় এবং এই বিশ্বের মধ্যে জীবনের সেবায় পুনর্নির্দেশের অনুমতি দেয়।

তবুও একটি উদ্দেশ্য একটি বৃহত্তর আহ্বান দ্বারা এবং একটি বৃহত্তর পরিস্থিতির সেট দ্বারা সক্রিয় করা আবশ্যক। সুতরাং, যে পরিবর্তন আসছে তার দুর্দান্ত তরঙ্গ থেকে সঙ্কুচিত হবেন না, তবে তাদের মোকাবিলা করুন। আপনি তাদের ছায়ায় আতঙ্কিত এবং অনিশ্চিত হয়ে পড়বেন, তবে তাদের বাস্তবতাও আপনার মধ্যে একটি আধ্যাত্মিক শক্তি প্রজ্বলিত করবে এবং এই আধ্যাত্মিক শক্তি আহ্বানের কারণে, আশীর্বাদের কারণে প্রকাশিত হবে।

কারণ যেহেতু ঈশ্বর এখন যারা ঘুমোচ্ছেন তাদের সকলকে আহ্বান করছেন তাদের দুঃখ ও পূর্ণতার স্বপ্ন থেকে জাগ্রত করার জন্য, এই দুর্দান্ত সময়টির প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং একটি সংগ্রামী মানবতাকে উপহার দেওয়ার জন্য বিশ্বকে যে উপহারগুলি প্রেরণ করা হয়েছিল সেগুলি প্রদান করার জন্য প্রস্তুত করতে — এমন একটি মানবতা যার ভবিষ্যত এখন আগামী কয়েক বছরের মধ্যে মূলত নির্ধারিত হবে। এটাই আশীর্বাদ।

আপনি ঈশ্বরের কাছে অনেক কিছুর জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। আপনি সংরক্ষিত হতে চাইতে পারেন। আপনি সুযোগ এবং সুবিধার জন্য প্রার্থনা করতে পারেন। আপনি আপনার পরিবারের সদস্য এবং প্রিয়জনদের মঙ্গল কামনা করতে পারেন। তবে আপনি যে দিতে পারেন তার চেয়ে বড় কোনও প্রতিক্রিয়া নেই এবং আশীর্বাদ ছাড়া আর কোনও বড় উপহার দেওয়া যায় না। আশীর্বাদ আপনার আত্মার প্রয়োজন অনুসারে আপনার মধ্যে থেকে আসা আরও একটি বৃহত্তর প্রশ্নের জবাব দেয়। এটি বুদ্ধির নাগালের বাইরে বা মুহুর্তের প্রয়োজনের বাইরে একটি যোগাযোগ। এটি আপনি যতখানি চাইতে শিখেছেন তার চেয়ে অনেক বেশি সরবরাহ করে।

এটি একটি উপায়। এটি একটি পথ। এটি একটি সচেতনতা। এটি একটি যাত্রা। এটি আরোহণ করার মত একটি পাহাড়। এটাই আশীর্বাদ।

এটাই আপনার জীবনকে পুনরায় সাজিয়ে তুলবে এবং এর তাৎপর্য দেবে। এটিই আপনার চিন্তাধারাকে সংগঠিত করবে এবং দ্বিধাদ্বন্দ্ব এবং বিশৃঙ্খলা থেকে রেহাই দেবে। এটি আপনার পরিস্থিতি নির্বিশেষে আপনার আশীর্বাদকে আপনার জীবনে নিয়ে আসবে যাতে অন্যরা এটি দেখতে ও অনুভব করতে এবং তাতে সাড়া দিতে পারে। এটি অননুভবনীয়। এটা অবর্ণনীয়। তবুও এটি মানব পরিবারে সমস্ত অসাধারণ পুরষ্কার আনার ক্ষমতা রাখে।

এটি কেবল আশীর্বাদই যা মানবতাকে প্রস্তুত এবং রক্ষা করতে পারে। এটি কেবল আশীর্বাদই যা আপনাকে সামনের অনিশ্চিত ও কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে পথ দেখাবে। এবং কেবলমাত্র এই আশীর্বাদই যা আপনাকে এই পৃথিবীতে ভয়াবহ অন্ধকারের জন্য প্রস্তুত করতে পারে – ভয়াবহ অন্ধকার যা এই বিশ্বের প্রতিটি ব্যক্তি এবং প্রতিটি ভবিষ্যতের ব্যক্তির ভবিষ্যত নির্ধারণ করার ক্ষমতা রাখে।

এটি এমন একটি সময় যা মানব ঐক্য ও মানব শক্তি এবং মানবিক প্রজ্ঞার সামনে আসার আহ্বান। আপনি এখন বিশ্বের বাইরে থেকে প্রতিযোগিতার পাশাপাশি বিশ্বের অভ্যন্তরে বিপর্যয়কর পরিস্থিতির মুখোমুখি। এটি এমন পরিস্থিতির একটি সেট যা মানবতার সমস্ত অস্তিত্বের নজিরবিহীন।

ভাববেন না যে এ জাতীয় বাস্তবতা দূরবর্তী ভবিষ্যতে বা এটি এখন আপনার নিকটে নেই। আপনি যদি দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জটি দেখতে না পান তবে আপনি অপরিসীম প্রয়োজনটি অনুভব করবেন না। আপনি যদি অপরিসীম প্রয়োজনটি অনুভব করতে না পারেন তবে আপনি আশীর্বাদকে চিনতে পারবেন না। আপনি আশীর্বাদের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করবেন না। আশীর্বাদ ব্যতীত আপনি দেখতে পাবেন না যে মানবতা দীর্ঘমেয়াদী অবক্ষয়, গুরুতর এবং অত্যন্ত জটিল পরিস্থিতির সময়কালে প্রবেশ করবে ।

ঈশ্বর মানবতার দুর্দশার বিষয়টি বুঝতে পারেন এমনকি যদি মানবতা নিজেই এটি চিনতে না পারে। ঈশ্বর আপনার আত্মার প্রয়োজনীয়তা জানেন এমনকি যদি আপনি এখনও নিজের মধ্যে এটি পুরোপুরি অনুভব করতে না পারেন। ঈশ্বর জানেন যে মানবতার জন্য কী আসছে এবং মানবতাকে প্রস্তুত করার জন্য – জাগ্রত ও সচেতন হওয়ার জন্য – প্রস্তুত হওয়ার আহ্বান করছেন।

ঈশ্বরের ইচ্ছা এবং মানুষের সিদ্ধান্ত এক নয়। সুতরাং, ফলাফল মানুষের উপর নির্ভর করে। স্রষ্টা ইতোমধ্যে জ্ঞানের মহান প্রতিভা দান করেছেন। এঞ্জেলস বিশ্বজুড়ে নজর রাখেন। কিন্তু ফলাফলটি মানুষের হাতে।

লোকেরা বেছে নিতে পারে – বৃহওর সম্প্রদায়ের অন্যান্য জাতি যেমন অনাদিকাল ধরে বেছে নিয়েছে – ব্যর্থ হতে, অস্বীকার করতে, অন্যান্য শক্তির প্ররোচনা এবং আধিপত্যের অধীনে পড়ে থাকতে। এটি আপনার বিশ্বে এবং মহাবিশ্বের অপার বিশালতার মধ্যেও অসংখ্যবার ঘটেছে।

ঈশ্বর যা চান এবং লোকেরা যা বেছে নেয় এবং নিজেদের জন্য যা চায় তা এক নয়। এবং এটাই সমস্যা। এটাই গূঢ়তম বিষয়। এটিই দুর্দান্ত বিচ্ছেদ তৈরি করে। এটিই আপনাকে নিজের মধ্যে জ্ঞান অনুসরণ করতে অক্ষম করে। এটিই মানুষকে অন্ধ করে রাখে, মূর্খতা এবং ধ্বংসাত্মক আচরণকে উত্সাহিত করে। অতএব, আপনি যদি সমস্যাটি চিনতে পারেন, তাহলে আপনি সমাধানকে চিনে নেওয়ার মতো অবস্থানে নিজেকে রাখতে পারবেন।

ঈশ্বরের কাছ থেকে আহ্বানটি আসতে হবে। উত্তরটি আপনার ভিতরে জ্ঞানের মধ্যে এবং প্রত্যেকের ভিতরে জ্ঞানের মধ্যে রয়েছে। এই জ্ঞানের মধ্যে কোনও প্রতিযোগিতা বা বিরোধ নেই, কারণ এটি প্রত্যেকের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে। এটি আপনার তত্ত্ব এবং ধারণাগুলি, আপনার প্রেসক্রিপশন এবং আপনার সমাজের প্রেসক্রিপশন থেকে কতটা আলাদা।

অবশেষে, মানবতাকে সাহসী পদক্ষেপ নিতে হবে এবং কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে আহ্বানটি আছে।

আপনার সিদ্ধান্ত এবং আপনার ক্রিয়াকলাপ অবশ্যই আশীর্বাদকে অনুসরণ করবে এবং এর পূর্বে নয়। নিজেকে আশীর্বাদটির উপহার গ্রহণের অনুমতি দিন এবং তারপরে, ধাপে ধাপে, আপনি জানবেন কী করতে হবে — আপনার অবশ্যই কোন ক্রিয়া সম্পাদন করতে হবে, যে দ্বারপ্রান্ত গুলি আপনাকে অবশ্যই অতিক্রম করতে হবে এবং আপনার নিজের চিন্তায় এবং নিজের পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তন আপনার অবশ্যই আনতে হবে। কর্ম এবং বোঝাপড়া আশীর্বাদকে অনুসরণ করে।

দিতে চাইলে, আপনাকে প্রথমে গ্রহন করতে হবে। জানতে চাইলে, আপনার চোখ অবশ্যই প্রথমে খোলা থাকবে। প্রতিক্রিয়া করার শক্তি এবং সাহস পেতে আপনি অবশ্যই যে সময়টিতে বাস করছেন সেটির প্রয়োজনীয়তা অবশ্যই দেখতে হবে এবং তার মাহাত্ম্য অনুভব করতে হবে।

আপনাকে অবশ্যই আপনার মন এবং আবেগকে প্রস্তুত করতে হবে। আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য এবং আপনার মধ্যে বৃহত্তর প্রতিক্রিয়া অনুভব করার জন্য আপনাকে অবশ্যই নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে, আপনার মধ্যে জ্ঞানের জন্য দুর্দান্ত আহ্বান রয়েছে। আপনাকে অবশ্যই এ জ্ঞানটিকে নিয়ন্ত্রণ করার বা আধিপত্য করার বা কোনও উপায়ে চালিত করার চেষ্টা না করেই এটিকে আস্তে আস্তে উঠতে দেওয়া উচিত।

এইভাবে, আশীর্বাদ আপনাকে ধরে রাখে এবং আপনার মধ্যে বেড়ে ওঠে। কারন আশীর্বাদ কোনও একটি ক্ষণিকের জিনিস নয়। এটি এমন কোনও বিষয় নয় যা আপনি বিদ্যুতের ঝলকের মতো অভিজ্ঞতা পান। এটি কেবলমাত্র এক সেকেন্ডের জন্য রাতে ভূদৃশ্য আলোকিত করে না।

এটি উত্থানের প্রক্রিয়া শুরু করে। এটি পুনর্জীবনের প্রক্রিয়া শুরু করে। এটি মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু করে যা এখানে আপনার জীবনের অবশিষ্টাংশের পরিচালনা এবং পূর্ণ করতে পারে। এটি হল মানবতার চরম প্রয়োজন এবং এটি আপনার আত্মার এবং এখানে যারা বাস করেন তাদের সকলেরই চরম প্রয়োজন।

আশীর্বাদের শক্তি এখন, এবং আপনার পরিস্থিতির গুরুতরতা, তারা নিজেদেরকে আপনার কাছে সবচেয়ে শক্তিশালীভাবে প্রকাশ করতে পারে। এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে এবং প্রতিক্রিয়াটি আপনার জীবনের মধ্যে ঘটতে দেওয়ার জন্য আপনি ভয়, নিরাপত্তাহীনতা এবং অপ্রতুলতার প্রাথমিক অনুভূতিগুলি পেরিয়ে যেতে পারেন, যেমনটি আজ, আগামীকাল এবং প্রতিটি দিন তা করবে। কারন এটা প্রত্যাদেশের সময়। এবং আপনি প্রত্যাদেশের সময় এখানে আছেন।

আহবান

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
1 এপ্রিল, 2011 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

বাণী নাজিলের সময়ে বেঁচে থাকা এবং এই বাণীর সাথে উপস্থিত হওয়া একটি স্মরণীয় ঘটনা। এটি এত দুর্দান্ত হবে যে এটি আপনার জীবন এবং আপনার চিন্তাভাবনা, আপনার উপলব্ধি এবং আপনার নিজের, বিশ্ব এবং ভাগ্য সম্পর্কে আপনার বোধশক্তিকে পরিবর্তন করবে। এমনকি যদি আপনি নতুন বাণীটি অস্বীকার করেন এবং এটিকে বিতর্ক করেন তবুও এটি আপনার জীবনকে পরিবর্তন করে দেবে।

আপনি এই ধরনের মহান কিছু নিয়ে আসতে পারবেন না এবং উহা আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে না। আপনি কোন বাণী নিয়ে আসতে পারবেন না, যার পছন্দগুলি কেবলমাত্র কয়েক শতাব্দী ব্যবধানে দেওয়া হয়, এটি ব্যতীত আপনার উপর একটি দুর্দান্ত প্রভাব ফেলবে।

এই মুহুর্তে আপনি যেভাবেই প্রতিক্রিয়া জানান না কেন, এটি আপনার আরও গভীরে পৌঁছে যাবে, এমন একটি জায়গায় যা আপনি খুব কমই জানেন, আপনার নিজের অংশে আপনি কেবল স্বচ্ছতা এবং দুর্দান্ত প্রশান্তির মুহূর্তগুলিতেই অভিজ্ঞতা লাভ করেছেন। এটি আপনার মনের প্রাচীন করিডোরগুলির মাধ্যমে কথা বলবে।

আপনি যদি এটি অধ্যয়ন করেন এবং এটি পড়েন এবং এর নির্দেশ অনুসরণ করেন তবে আপনি এমন জিনিস শুনতে শুরু করবেন যা আপনি আগে শোনেন নি এবং দেখতে পাননি। আপনার আরও সুস্পষ্ট দূরদর্শিতা থাকবে এবং আরও পরিবেষ্টিত উপলব্ধি হবে, এমন একটি বোঝাপড়া যা নিছক স্ব-সেবা এবং আত্মতৃপ্তি নয়, এমন একটি বিষয় যা বাস্তবতার মুখোমুখি হতে পারে এবং যা এই সময়ে আপনার পৃথিবীতে থাকার প্রশংসা করতে পারে।

যদি ঈশ্বরের পক্ষ থেকে এটি কোনও নতুন বাণী না হয়, তবে আপনি এটিকে কেবল ধারণার স্তরেই আচরণ করতে পারেন। আপনি এটি একটি তত্ত্ব হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। আপনি এটি একটি দর্শন হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। আপনি এটি অন্য একটি শিক্ষণ হিসাবে বিবেচনা করতে পারেন। তবে এটি এর চেয়ে অনেক বড়।

এ কারণেই যদি আপনি কিছুটা সাড়া জানান, তবে এটি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে। এটি আপনার জীবনে প্রভাব ফেলবে বলে প্রত্যাশিত।

আপনাকে এটি গ্রহণ করার জন্য, এটি অধ্যয়ন করার জন্য এবং এটি শিখতে বলা হয়েছে। কেবলমাত্র আপনি এখানেই তার বৈধতা এবং এর অসাধারণ প্রাসঙ্গিকতাটি উপলব্ধি করতে পারবেন আজ আপনি বিশ্বকে যেভাবে দেখেন এবং ভবিষ্যতের সময়ে বিশ্বের সাথে আপনাকে যেভাবে মোকাবেলা করতে হবে — দিগন্তের ওপরে যে দুর্দান্ত পরিবর্তন আসছে এবং সমস্ত কিছু মানবতার মোকাবেলা করতে হবে, বিশাল পরীক্ষা এবং অসাধারণ প্রত্যাশা যা আপনার জন্য অপেক্ষা করছে।

ঈশ্বরের প্রত্যাদেশের উপর আসা একটি দুর্দান্ত জিনিস – আপনার ধারণার চেয়ে বড়, আপনার বিশ্বাসের চেয়েও মহান, আপনার প্রতিষ্ঠানের চেয়েও বিশাল, এমনকি আপনার জাতি বা সংস্কৃতি বা ধর্মের ধারণা এবং বিশ্বাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ। কারন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এগুলি মানুষের আবিষ্কার।

তবে এখন আপনি এমন কিছু মুখোমুখি হচ্ছেন যা মানব কল্পনা বা সৃজনশীলতার উৎপাদন নয়। আপনি এটি সত্য হিসেবে জানবেন কারণ এটি যে পরিমানে প্রভাব ফেলবে।

এটি আপনার উত্স থেকে আসে – আপনার জীবনের সর্বাধিক ভালবাসা, আপনার জীবনের উত্স, আপনার গভীর প্রকৃতির উত্স, পৃথিবীতে থাকার জন্য আপনার উদ্দেশ্যটির উত্স, যা এখনও আপনার অজানা এবং অসম্পূর্ণ।

এটি সাম্প্রতিক সময়ে এবং ইতিহাস জুড়ে শান্তির জন্য, মুক্তির জন্য, প্রজ্ঞা ও শক্তির জন্য মহান প্রার্থনার উত্তর।

আপনি নিজেকে এই মহান শক্তি দিতে পারবেন না, যদিও অনেকেই চেষ্টা করেছেন। এটি অবশ্যই আপনার উপর বৃহত্তর উত্স থেকে অর্পিত হতে হবে – এমন একটি উত্স যা সংজ্ঞাকে অস্বীকার করে, এমন উত্স যা বুদ্ধি দিয়ে ধারণা বা হৃদয়ঙ্গম করা যায় না।

কারণ সৃষ্টিকর্তা বুদ্ধির পরিধির বাইরে এবং এর সাথে সৃষ্টির বাইরে থাকেন। আপনি কেবল আপনার তাত্ক্ষণিক পরিস্থিতি এবং ঘটনাবলীর ক্রম বুঝতে পারেন তবে এর বাইরে আরও একটি বৃহত্তর বাস্তবতা, সত্যই এর চেয়েও অনেক বিশাল।

নতুন বাণীর আপনার কিছু জিনিসের প্রয়োজন। আপনার সাড়া দেওয়ার প্রয়োজন। এর জন্য দরকার আপনার অধ্যয়ন করা এবং ধৈর্য ধারণ করা এবং অপরিণত সিদ্ধান্তে না আসা, আপনার কুসংস্কার, আপনার রাগ বা আপনার বিরক্তি অনুসরণ না করা । এটি আপনাকে শুধু বিশ্বাস করতে নয়, অন্বেষণও করতে বলে, কারণ বিশ্বাস দুর্বল। এটি প্রকৃতপক্ষে যথেষ্ট নয়।

পরিবর্তিত বিশ্বের মুখোমুখি হওয়ার জন্য এবং এই প্রত্যাদেশের সময়ে মানবতার যেসকল সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে তার যাবতীয় মোকাবেলা করতে আপনার নিজের মধ্যে আরও বৃহত্তর ভিত্তির প্রয়োজন।

এটি নিছক ব্যক্তিগতভাবে আপনার জন্য উপহার নয়। এটি আপনার মাধ্যমে অন্যের কাছে প্রবাহিত হওয়ার অর্থ। আপনি যদি গ্রহণ করতে চান, তবে আপনাকে অবশ্যই দিতে হবে। আপনি অবশ্যই প্রত্যাদেশটির সাক্ষী থাকবেন।

আপনার অবশ্যই মেসেঞ্জারকে সম্মান করা উচিত। তিনি দেবতা নন এবং জনসাধারণকে তাঁর উপাসনা করতে দেবেন না। কিন্তু তিনিই ম্যাসেঞ্জার এবং পৃথিবীতে আর কেউ নেই যিনি এখানে ঈশ্বরের কাছ থেকে নতুন বার্তা নিয়ে এসেছেন।

অনেক দিন হয়ে গেছে যখন এই মাত্রার একটি প্রত্যাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর এর আগে কখনও কোন প্রত্যাদেশ এতটা সম্পূর্ণভাবে দেওয়া হয়নি, যা এখন একটি শিক্ষিত বিশ্বকে দেওয়া হয়েছে – গ্রহসংক্রান্ত যোগাযোগের জগত, বৃহত্তর পরিশীলনের জগত, বৃহত্তর প্রয়োজনের একটি পৃথিবী।

আপনি এখনও এটি বুঝতে পারবেন না, তবে এটি ভাগ্য যে আপনাকে খুঁজে পাওয়া উচিত। এটি নিছক দুর্ঘটনা বা ঘটনা নয়। এটি ভাগ্য যে আপনার নতুন বাণীর সাক্ষাৎ হওয়া উচিত। এটি ভাগ্য যে আপনার এটি শুনে নেওয়া উচিত।

এটি একটি অসাধারণ আহ্বান। কিন্তু ঈশ্বর যা চান এবং লোকে যা করবে তা এক নয়।

যদিও এটি আপনার জন্য উপহার আপনি যে কোনও উপায়ে এটির প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেন, যদিও এটি আপনার বিশ্বের বৃহত্তর উদ্দেশ্য এবং নিয়তি, আপনার জীবনের বৃহত্তর উপলব্ধি এবং আপনার চারপাশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতেও আপনার কাছে প্রকাশ করার প্রতিশ্রুতি রাখে।

ঈশ্বর আপনার প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। ঈশ্বর আপনার চিন্তাধারা, আপনার দুর্দশা, আপনার বিভ্রান্তি, আপনার তিরস্কার, আপনার উত্সাহী বিশ্বাস, আপনার অভিযোগ, আপনার স্ব-ধ্বংসাত্মক আচরণ, আপনার দুর্বল ভুল এবং সিদ্ধান্তগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না।

কারণ আপনি বিচ্ছেদে-এ বাস করছেন। তবে আপনার মধ্যে এমন একটি অংশ রয়েছে যা কখনও ঈশ্বরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়নি, এবং নতুন বাণীর্টি এটিই আপনার অন্তরের সাথে কথা বলবে, আপনার এক অংশ যা কেবল সাড়া জানাতে পারে। এটি বিশ্বের সর্বাধিক প্রাকৃতিক জিনিস। এটি আপনার অভীষ্ট লক্ষ্য এবং আপনার নিয়তি।

আপনি যদি এটি [নতুন বাণীটি] গ্রহণ করেন তবে আপনাকে অবশ্যই এটি অন্যদের সাথে ভাগ করে নিতে হবে। এবং আপনি এটিকে আপনার জীবনে আনতে হবে এবং সেখানে এটিকে আপনার যথাসাধ্য দক্ষতার সাথে প্রয়োগ করতে হবে এবং অন্যরা যারা একই কাজ করছে তাদের সন্ধান করতে হবে যাতে তারা আপনাকে শক্তিশালী হতে এবং আপনার ক্রিয়াকলাপে ভারসাম্য এবং উদ্দেশ্য আনতে আপনাকে সহায়তা করতে পারে।

আপনি ঈশ্বরের কাছ থেকে কোনও নতুন বাণীর বিতর্ক করতে পারবেন না। আপনি যদি এটি করেন তবে বৃহত্তর শক্তিগুলির কাছে আপনি কেবল বোকা হিসাবে প্রদর্শিত হবেন।

আপনার অনেকগুলি প্রশ্ন থাকবে যা আপনি উত্তর দিতে পারবেন না এবং এমন অনেকগুলি প্রশ্ন রয়েছে যা বাস্তবিকপক্ষে কিছু সময়ের জন্য উত্তর দেওয়া যায় না।

আপনার অবশ্যই বুঝতে হবে যে এটি একটি বৃহত্তর প্রতিশ্রুতি। এটি কোনও বৌদ্ধিক সাধনা নয়। এটি কোনও চিত্তবিনোদন বা শখ নয়। এটি এখানে আপনাকে আনন্দ, সান্ত্বনা এবং নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য নয়। এটি এখানে এমন এক পৃথিবীতে আপনাকে আরও একটি বৃহত্তর সেবার আহ্বান করছে যার প্রয়োজন প্রতিটি অতিক্রান্ত দিনের সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আপনার বাধ্যবাধকতা হল এখানে থাকার জন্য আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য — এমন একটি উদ্দেশ্য যা আপনি আবিষ্কার করেন নি এবং আবিষ্কার করতে পারেন না, এমন একটি উদ্দেশ্য যা এখনও আপনার কাছে পুরোপুরি প্রকাশিত হয়নি, এমন একটি উদ্দেশ্য যা আপনার জীবন সম্পর্কে আপনার ইচ্ছা এবং আপনার পছন্দ এবং আপনার ধারণাগুলি থেকে আলাদা।

আপনাকে বাধ্য কারণ আপনাকে পৃথিবীতে পাঠানো হয়েছিল। বাধ্যবাধকতা আপনার অভ্যন্তরে থাকে। এটি আপনার গভীর প্রকৃতির অংশ, একটি গভীর প্রকৃতি যাকে আমরা জ্ঞান বলি।

এটি [জ্ঞান] সমস্ত ধর্মের মধ্যে সমস্ত আধ্যাত্মিক অধ্যয়নের শীর্ষস্থল। এটিই আপনাকে মুক্তি দেবে। এটিই আপনার জীবন, আপনার উপলব্ধি এবং আপনার বোঝার রুপান্তর ঘটায়। তবে এটি অবশ্যই ঈশ্বর দ্বারা সক্রিয় করতে হবে।

পৃথিবীতে থাকার আপনার একটা দায়িত্ব আছে। আপনাকে এখানে যারা পাঠিয়েছেন তাদের কাছে আপনি দায়বদ্ধ। আপনার আরও বড় একটা ভূমিকা আছে। আপনার সরবরাহ করার জন্য আরও বৃহত্তর পরিষেবা রয়েছে।

নতুন বাণী আপনাকে আপনার বৃহত্তর উদ্দেশ্য, আপনার দায়িত্ব এবং আপনার জবাবদিহিতার স্মরণ করিয়ে দেয়। এটি শাস্তি বা অপরাধের হুমকি ছাড়াই এটি করে। এটি আপনাকে পুনরুদ্ধার করতে, আপনার নিজের অনুশোচনা ও দুর্দশা থেকে বাঁচাতে, আপনাকে আপনার জীবন মুক্ত করার এবং সেখানে ভারসাম্য বজায় রাখার ক্ষমতায়ন করার জন্য এটি করে, কারণ বিশ্বে আপনার আরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার আছে।

কেবলমাত্র একটি নতুন বাণীরই এই জাতীয় আহ্বান থাকতে পারে। এটি বিশ্বজুড়ে একটি আহ্বান। এটি কেবল একটি গোষ্ঠী বা একটি জাতি, একটি ধর্ম বা সমাজের একটি অংশের পক্ষে নয়। এটি এখন বিশ্বজুড়ে শোনাতে শুরু করেছে।

এটি একটি বিনয়ী সূচনা। নতুন বাণীটি এখানে আসে একটি চারাগাছের মতো, একটি শিশুর মতো  — বিশুদ্ধ, বিশ্বের দ্বারা অকলুষিত, ভঙ্গুর, কোমল, কিন্তু তার পিছনে সৃষ্টির শক্তি নিয়ে। যতক্ষণ না এটি খাঁটি থাকতে পারে এবং ম্যাসেঞ্জারকে কলুষিত না করা যায়, ততক্ষণ তার পবিত্রতা ফুটে উঠবে।

আপনার কাছে একটি খাঁটি বাণী পাওয়ার এই মহান সুযোগ রয়েছে, একটি প্রত্যাদেশ এই সময়ের এবং আগামী সময়ের জন্য।

আপনি কি মনে করেন এটি একটি দুর্ঘটনা? আপনি কি মনে করেন যে এটি ঘটনাক্রমে ঘটে? যদি তাই হয় তবে আপনি এখানে যা পাচ্ছেন তা অবমূল্যায়ন করছেন। এবং আপনি নিজের ধারণা এবং বোধশক্তিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

ঈশ্বর ব্যক্তিগত ক্ষমতা পুনরুদ্ধার করতে চান যাতে পৃথিবীতে যাদের প্রেরণ করা হয়েছিল তারা অভাবী একটি বিশ্বের অবদান রাখতে পারে। বিশ্বের ভবিষ্যত এর উপর নির্ভর করে।

আপনার ভূমিকা নম্র হবে। এটি মহান স্বীকৃতি এবং প্রশংসা অর্জন করবে না। আপনি প্রদর্শনী এবং স্বীকৃতি ছাড়াই, পর্দার পিছনে কাজ করবেন। এবং এইভাবে, আপনি আপনার নিজের মনের কারাগার থেকে বাঁচবেন এবং যা আপনাকে চালিত করে এবং অভিশাপ দেয় এবং আপনাকে ধরে রাখে।

নতুন বাণী অস্বীকার এবং বিতর্কিত করা হবে। এটিকে উপহাস করা হবে। এটি সর্বদা প্রত্যাদেশের সময়ে ঘটে।

মেসেঞ্জার মানুষের প্রত্যাশা পূরণ করবেন না, কারণ তিনি একজন সাধারণ এবং নম্র মানুষ। তিনি ঈশ্বরের মত নন এবং সর্বশক্তিমান এবং মনোমুগ্ধকর এবং সৌন্দর্য পূর্ণ। ঈশ্বরের কাছ থেকে বিশ্বের কাছে নতুন বার্তা আনার জন্য এইরকম গুণাবলী সম্পন্ন কাউকেই বাছাই করা হবে না।

তিনি উচ্চাকাঙ্ক্ষাবিহীন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এই বাণীটি পেতে তাঁকে অনেক দীর্ঘ সময় নিয়েছে, কারণ এটি অত্যন্ত অসাধারণ এবং ব্যাপক।

নতুন বাণীটি গ্রহণ করতে আপনার সময় লাগবে, কারণ এই মুহুর্তে আপনি যা ভাবেন এবং বিশ্বাস করেন এবং বোঝেন তার চেয়ে এটি অনেক বড়। এটি বিশ্বের একটি বৃহত্তর জীবনের এবং বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে জীবনের বিশাল সম্প্রদায়ের মধ্যে মানবতার ভবিষ্যত এবং নিয়তির একটি প্রবেশপথ স্বরুপ।

অতীতে মানবতাকে এর মতো কিছুই দেওয়া হয়নি, কিন্তু এখন এটি দেওয়া উচিত।। ভবিষ্যত এবং পরিণাম যা মানবতার মোকাবেলা করতে হবে তা নির্ধারণে এটি এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

অতএব, নম্রতার সাথে এটির প্রতি অগ্রসর হন। আপনারও একটি বৃহত্তর জীবন রয়েছে এবং আপনি এখনও এই জীবনযাপন করছেন না তা বিবেচনা করতে শুরু করুন, সেই বৃহত্তর জীবনের যাত্রাটি বোঝা এবং গ্রহণ করার জন্য, জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি গ্রহণ করার জন্য, একটি বৃহত্তর শক্তি, একটি বৃহত্তর সাহস এবং একটি বৃহত্তর সংকল্প দ্বারা পরিচালিত হতে আপনার বড় ধরনের সহায়তা এবং একটি মহান প্রত্যাদেশের প্রয়োজন।

এমনকি আপনি পৃথিবীতে আসার আগেই আপনাকে বাধ্য করা হয়েছিল। এই বাধ্যবাধকতা এখন আপনার মধ্যে বাস করছে।

ঈশ্বরের বাণীসমূহের স্পার্ক করার, প্রজ্বলিত করার এবং এই গভীরতর দায়িত্বের সূচনা করার ক্ষমতা রাখে। এ থেকে সঙ্কুচিত হবেন না, কারণ যা মহান এবং অর্থবহ তা এ থেকে আসবে। যা কিছু শক্তিশালী, যা কিছু করুণাময়, যা কিছু পরিত্রাণ করে, যা কিছু মুক্তিদান করে তার সবকিছু এখান থেকেই আসবে।

ঈশ্বর আপনার মধ্যে মুক্তির বীজ রোপণ করেছেন, তবে তাদের অবশ্যই চাষ করতে হবে এবং আপনার অবশ্যই সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং মনোভাব থাকতে হবে। এবং আহ্বানও সেখানে অবশ্যই থাকতে হবে।

এটা বাধ্যতামূলক। এটি কেবল আপনাকে সৎ, সত্যই সৎ, এত সৎ হতে বলেছে যে আপনি নিজের ইচ্ছার, আপনার ভয় এবং পছন্দগুলির বাইরেও যা জানেন তা অনুভব করতে পারেন [যাতে] আপনি যা চান এবং যা অস্বীকার করেন তার বাইরেও সত্য দেখতে পান।

নতুন বাণী আপনাকে সৎ হতে বলে। আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া করবেন তা নির্ধারণ করবে আপনি সৎ ও আন্তরিক হন কিনা।

আপনি কী বিশ্বাস করেন ঐটি কোনও বিষয় নয়, এটি ঐটার সাথে খাপ খায় কিনা। আপনি যা ভাবেন বা বিশ্বাস করেন তার সাথে কেন ঈশ্বরের বাণী সংগতিপূর্ণ হবে? এটি মানুষের প্রত্যাশা, মানুষের প্রচলন, দীর্ঘ-প্রতিষ্ঠিত বিশ্বাস বা মানব অনুমানের সাথে মেনে চলে না কারণ এটি ঈশ্বরের কাছ থেকে আসা একটি নতুন বাণী এবং মানবিক ধারণার একটি পণ্য নয়।

এটি আপনাকে অ-মানব মহাবিশ্বের জন্য প্রস্তুত করছে। তার জন্য কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন তা আপনার কোনও ধারণা নেই। এটি আপনাকে হ্রাসকৃত সম্পদ এবং বৃহত্তর উত্থান এবং উত্তেজনার একটি বিশ্বের জন্য প্রস্তুত করছে। আপনি কীভাবে এর জন্য প্রস্তুতি নেবেন সে সম্পর্কে কোনও ধারণা নেই। এটি আপনাকে আরও বৃহত্তর জীবন যাপনের জন্য প্রস্তুত করছে। কীভাবে এটি অর্জন করবেন আপনার কোনও ধারণা নেই।

ঈশ্বর অবশ্যই এটি জানেন এবং সেই কারণেই এখন মহান বাণীটি দিতে হবে, এই সময় এবং আগত সময়ের জন্য, মানুষের মধ্যে বাস করে এমন বাধ্যবাধকতার প্রতি আহ্বান জানানো – তাদের জন্য যারা সাড়া দিতে প্রস্তুত, তাদের জন্য যাদের অধিষ্ঠিত সততা এবং প্রতিক্রিয়া জানানোর স্বাধীনতা আছে, তাদের জন্য যাদের ধর্মীয় আদর্শ, তাদের সাংস্কৃতিক চিন্তাভাবনা বা অন্যের ইচ্ছা ও পছন্দকে আবদ্ধ করেন না।

এটি প্রত্যাদেশ কালীন সময়ে বেঁচে থাকার চ্যালেঞ্জ। এটি আপনাকে নিজের সাথে মোকাবিলা করবে – আপনার শক্তি এবং আপনার দুর্বলতা এবং আপনার চারপাশের লোকদের শক্তি এবং দুর্বলতা। এটি একটি বৃহত্তর সত্য এবং বৃহত্তর উদ্দেশ্যের সাথে একটি দ্বন্দ্ব।

কৃতজ্ঞ হন যে এটি আপনাকে দেওয়া হতে পারে। কারন এটি ছাড়া, আপনি পৃথিবীতে অন্ধভাবে আঁকড়ে ধরবেন, স্বপ্ন এবং আনন্দে অনুগামী হবেন, সর্বদা ভয়ের হুমকির মধ্যে বেঁচে থাকবেন, বঞ্চনার হুমকি, নিজের মনের প্রভাব, একটা মন যা জ্ঞান দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে না।

কৃতজ্ঞ হন, কারণ সমস্ত মহাবিশ্বের পালনকর্তা মানবতার জন্য যা প্রয়োজন ঠিক তা-ই দিচ্ছেন – এর সমস্ত প্রশ্নের উত্তর বা তার লক্ষ্য এবং আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ না করে বরং তার শক্তি খুঁজে পেতে এবং বিশ্বের বৃহত্তর সহযোগিতা এবং সম্প্রীতির সাথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যা প্রয়োজন ঠিক তা-ই দিচ্ছেন।

আপনি এই পরিস্থিতিতে এই সময়ে পরিবেশন করতে পৃথিবীতে এসেছেন। এটি আপনার সময়, প্রত্যাদেশের সময়। এটি আপনার ক্ষণ, আরও গভীর সততা এবং আরও গভীর আন্তরিকতা অনুশীলন করার একটি মুহূর্ত।

এটি একটি আহ্বান — আপনার চিন্তাভাবনা এবং ধারণা, আপনার অনুভূতি এবং আবেগকে ছাড়িয়ে আপনার ভিতরে গভীর বাস্তবতার দিকে আহ্বান।

এটি বুঝতে চেষ্টা করবেন না। এটা আপনার বোঝার বাইরে। এটি অন্য জিনিসের সাথে তুলনা করবেন না, কারণ আপনি জানেন না আপনি কি নিরীক্ষা করছেন। আপনি নতুন বাণীটি অন্বেষণ, বসবাস এবং প্রয়োগ করেননি, সুতরাং আপনি কোনও প্রজ্ঞা বা সততা বা আন্তরিকতার সাথে এটি বিচার করতে পারবেন না।

এটি বিশ্বের কাছে উপহার, তবে এটি অবশ্যই ব্যক্তি থেকে অন্য ব্যক্তিকে দেওয়া উচিত। যারা প্রস্তুত এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে ইচ্ছুক তাদের সন্ধানের জন্য আপনাকে অবশ্যই অন্যের কাছে এর সাক্ষ্য দিতে হবে। এটা আপনার উদ্দেশ্যের অংশ, আপনি দেখুন। এটি আপনার উপহারের অংশ। এটি আপনার গভীর স্বীকৃতির অপেক্ষার অংশ।

আপনি প্রত্যাদেশের সময়ে বাস করতে চেয়েছিলেন। প্রত্যাদেশটি এখানে রয়েছে। আপনার ভাগ্য আপনাকে ডাকছে। আপনি প্রস্তুত কিনা তাই কেবল একটি প্রশ্ন। এই ক্ষেত্রে আপনি কেবল নিজের জন্য অ্যাকাউন্ট করতে পারেন।

অন্যান্য ব্যক্তি কী বলবে বা করবে তা আপনি নির্ধারণ করতে পারেন না। এটি আপনার জন্য এবং প্রত্যেক ব্যক্তি যারা ঈশ্বরের কাছ থেকে একটি নতুন বাণী পাওয়ার যে একটি আশীর্বাদ এবং সুযোগ পেয়েছে তাদের জন্য চ্যালেঞ্জ স্বরুপ। অন্যেরা কী করবে, বিশ্ব কী করবে তা চিন্তা করবেন না। এটি আপনার জন্য একটি আহ্বান।

ঈশ্বরই কেবল জানেন আপনার গভীর অংশে কীভাবে পৌঁছানো যায়। আপনি নিজে থেকে এটি খুঁজে পাবেন না। কেবলমাত্র ঈশ্বরই জানেন কিভাবে উদাত্তচিএে আহ্বান করা যায় যা আপনার সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার এবং পরিষেবা। আপনি নিজের থেকে এটি আবেদন করতে পারবেন না।

একমাত্র একটি নতুন বাণীই মানবতাকে প্রস্তুত করবে অতীত অসদৃশ ভবিষ্যতের জন্য এবং মহাবিশ্বে জীবনের বৃহত্তর বাস্তবতার মুখোমুখি হওয়ার জন্য।

কৃতজ্ঞ হন। নম্র হন। গ্রহণযোগ্য হন। আপনার বিশ্বাস করার দরকার নেই, কেবল সাক্ষ্যদান এবং গ্রহণ, শিখা এবং প্রয়োগ করার জন্য। উপহারসমুহ আপনার কাছে স্পষ্ট হয়ে উঠবে এবং তারা সময়ের সাথে সাথে আপনার কাছে তাদের প্রাসঙ্গিকতা এবং তাদের পরিপূর্ণতা প্রদর্শন করবে।

মানবতা নিজেকে পূর্ণ করতে পারে না। এটির অবশ্যই অনেক সহায়তা লাগবে। এটি নিজেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত করতে পারে না। এই মুহুর্তে এটি খুব অন্ধ এবং অহঙ্কারী। এটি দিগন্তের উপর দিয়ে কী আসছে তা দেখছে না, কারণ এটি মনে করে যে এটি এখনও অতীতে বাস করছে।

এটি দেখে না যে এটি মহাবিশ্বের জীবনের বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রাদুর্ভূত হচ্ছে, একটি বৃহত্তর সম্প্রদায় যা চ্যালেঞ্জিং এবং কঠিন, যেখানে স্বাধীনতা বিরল এবং যেখানে প্রতিযোগিতা বিস্তৃত এবং দুর্দান্ত দক্ষতা এবং প্ররোচনা দিয়ে চালিত।

একমাত্র ঈশ্বর আপনাকে এর জন্য প্রস্তুত করতে পারেন। কেবলমাত্র ঈশ্বরই জানেন মানুষের হৃদয় এবং মানুষের মন, মানুষের আত্মা এবং মানুষের ইতিহাস।

আরও বেশি বোধগম্যতা পেতে আপনাকে অবশ্যই আপনার সীমাবদ্ধতাগুলি মেনে নিতে হবে। এটি আপনার আহ্বানের অংশ।

মানবজাতি, আমার কথা শুনুন। আমরা একটি বৃহত্তর বাস্তবতার কথা বলি – একটি বৃহত্তর সত্য যা প্রতিটি মানুষের মধ্যে থাকে, একটি বৃহত্তর সত্য যা বৌদ্ধিক বিতর্ক বা অনুমান দ্বারা উপলব্ধি করা যায় না, একটি গভীর সত্য যা অবশ্যই বেঁচে থাকতে হবে এবং অনুধাবন করার জন্য অভিজ্ঞ হতে হবে এবং স্পষ্টভাবে প্রকাশ করতে হবে।

আমার কথা শুনুন, এই পৃথিবীর মানুষ। মহাবিশ্বে আপনাদের একটি মহান নিয়তি রয়েছে, তবে আপনাদেরকে অবশ্যই একটি পতনশীল বিশ্বের মোকাবেলা করতে হবে। আপনাদেরকে অবশ্যই আসন্ন দুর্দান্ত উত্থানের মোকাবেলা করতে হবে। আপনাদেরকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং আরও বৃহত্তর স্বচ্ছতা এবং সংকল্পের সাথে সহযোগিতা করতে হবে।

এটি ঈশ্বরের বাণী। এটি মানুষের বোধগম্যতার বাইরে একটি বাণী। আপনি কেবল এটির কাছে যেতে পারেন এবং এটি শিখতে শুরু করতে পারেন তবে আপনি এর জ্ঞান, স্বচ্ছতা বা ক্ষমতাকে কখনও নিঃশেষ করতে পারবেন না।

পরিষদ

মার্শাল ভিয়েন সামার্স
এর উপর যেভাবে নাযিল হয়
16 ফেব্রুয়ারি, 2013 এ
বোল্ডার, কলোরাডোতে

একটি মহান পরিষদ, এন্জেলিক উপস্থিতি যা এই বিশ্বকে পর্যবেক্ষণ করে এবং খুব দীর্ঘ সময় ধরে এই বিশ্বের উপর পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

যাহোক, যেভাবে এই ধরনের মহান ব্যক্তিদের অতীতে আপনার ধর্মের বইগুলিতে এবং নির্দিষ্ট কিছু লোকের সাক্ষ্যে চিত্রিত করা হয়েছিল তা থেকে মানুষের ধারণা এবং বিশ্বাসের ভিওিতে এই বিষয়টা কতটা ভিন্ন।

ঈশ্বর পৃথিবী পরিচালনা করছেন না। ঈশ্বর জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করছেন না। ঈশ্বর আপনার শিরাগুলির মধ্য দিয়ে রক্ত ​​চালনা করছেন না বা খাড়া পাহাড়ের উপর পানি ঢেলে দিচ্ছেন না বা মাটিতে বীজ অঙ্কুরিত করছেন না – কারণ এই সবকিছু সময়ের শুরুতে গতিতে সেট করে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ঈশ্বর একটি উপস্থিতিকে নিযুক্ত করেছেন বিশ্বকে পর্যবেক্ষন করার জন্য তার সমস্ত বিশৃঙ্খলা এবং দুঃখজনক ঘটনা এবং ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বের মাধ্যমে – যারা অসাধারণ প্রতিশ্রুতি প্রদর্শন করে তাদেরকে পর্যবেক্ষন করার জন্য; মানবতার বিবর্তনের সংকটময় সন্ধিক্ষণগুলিতে বিশ্বে কর্মকান্ডগুলির আনয়ন; এবং তাদের নিজেদের মধ্যে থেকেই একজনকে পাঠিয়ে একটি নতুন শিক্ষণ এবং একটি নতুন উপলব্ধির মাধ্যমে মানবতার সচেতনতা পরিবর্তন করে এবং যদি সম্ভব হয়, একটি ইতিবাচক উপায়ে মানবজাতির পথ পরিবর্তন করার জন্য।

আপনি যাদেরকে মহান মেসেঞ্জার, বিশিষ্ট সাধু, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হিসেবে সম্মান করেন – যেমন যিশু, বুদ্ধ ও মুহাম্মাদ – এই পরিষদ থেকে আসেন, আপনি দেখেন। কিন্তু যখন তাঁরা পৃথিবীর মধ্যে, তাঁরা মানুষ। তাঁদের মধ্যে পার্থক্য হল যে তাঁরা এখানে একটা বৃহত্তর মিশনে একটা বৃহত্তর দায়িত্বের সেট এ এবং একটা বৃহত্তর দায়বদ্ধতার সাথে তাঁদের প্রেরিতদের কাছে রয়েছেন। তাঁদের জীবন পরীক্ষামূলক। তাঁদের জীবনের চাহিদা আছে। এটা হৃদয়ের অশান্তির জন্য অথবা যারা এখানে পৃথিবীতে আনন্দানুভব এবং বিশ্রাম অন্বেষণ করে তাদের জন্য একটি যাত্রা নয়।

এই পরিষদটি বিশ্বব্যাপী পর্যবেক্ষন করছেন – শুনছেন, ঔসব অনুরোধের জন্য অপেক্ষা করছেন যেগুলো সত্যিকারের খাঁটি এবং আন্তরিকভাবে কাকুতি-মিনতি সহকারে ব্যক্ত করে বিশেষ করে যদি তারা একজন ব্যক্তির জীবনে একটি সংকটময় সন্ধিক্ষণ চিহ্নিত করে, বিশেষ করে যদি তারা যোগাযোগের জন্য একটি অসাধারণ বাসনা প্রদর্শন করে – যেগুলো উচ্চাকাঙ্ক্ষা থেকে, নির্বোধতা বা অনুসন্ধান থেকে উদগত নয়।

এটি এমন সংকেত যে যেকেউ জাগ্রত হতে শুরু করতে প্রস্তুত। শুধু স্বর্গ জানে এই সংকেতটি কি, এটি কি শোনাচ্ছে, এর অর্থ কী এবং কীভাবে এটি বিবেচনা করা উচিত।

পৃথিবীতে এখানে আপনার জন্য, পরিষদটি স্বর্গের মতো- এই পৃথিবী এবং আপনার প্রাচীন নিবাসের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন, যেখান থেকে আপনি এসেছেন এবং যেখানে আপনি অবশেষে প্রত্যাবর্তন করবেন।

বিশ্বের সবাই, প্রকৃত বাস্তবতায় বিচ্ছেদে বসবাসরত মহাবিশ্বের প্রত্যেকে অবশেষে তাদের প্রাচীন নিবাসে ফিরে যাবে।

কিন্তু তারা যখন এখানে থাকে, তখন তারা তাদের নিজস্ব অভিপ্রায়ে বন্দী হয়। তারা তাদের সংস্কৃতি এবং তাদের জাতীয়তায় বন্দী, এমন একটি মহাবিশ্ব যেখানে স্বাধীনতা খুবই বিরল। তবুও প্রত্যেকেই এখানে একটি বৃহত্তর উদ্দেশ্যে – একটি সুপ্ত-সম্ভাব্য, একটি বিচক্ষণ বীজ, একটি সঠিক পরিস্থিতির মধ্যে এবং তাদের নিজস্ব সততা এবং সচেতনতা দিয়ে একটি সম্ভাবনার জন্য এখানে পাঠানো হয়েছে, অত:পর একটি মহান জীবন শুরু করা যেতে পারে।

মহাবিশ্বের প্রত্যেক বিশ্বে যেখানেই সংবেদনশীল সওা বিবর্তিত হয়েছে বা স্থানান্তরিত হয়েছে এবং উপনিবেশ স্থাপন করেছে, সেখানেই একটি পরিষদ থাকবে – একটা ছোট পরিষদ অথবা একটা বড় পরিষদ, জনসংখ্যা এবং প্রত্যেক সংস্কৃতি ও জাতির প্রকৃতি এবং অবস্থার উপর নির্ভর করে।

এটি এমন একটি বিশাল পরিকল্পনা যা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না। আপনার ধর্ম এটার জন্য দায়িত্বভার গ্রহন করতে পারবে না। আপনার ধর্মতত্ত্ব এই মাত্রার বিশালতার কিছু পরিবেষ্টন করার সুযোগ খুবই সীমিত। আপনি পৃথিবীতে জীবনের লক্ষণ এবং প্রতীক ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করুন, আপনি এর ব্যাখ্যা করতে পারবেন না। আপনার বুদ্ধিবৃত্তি এই স্কেলে কিছু ব্যাখ্যা করার জন্য তৈরি করা হয়নি।

কিন্তু আপনার মধ্যে জ্ঞানের ক্ষমতা আছে যা ঈশ্বর সেখানে স্থাপিত করেছেন – একটি গভীর বুদ্ধি, একটি গভীর মন। এটাই সেই মন পরিষদটি যার জন্য অপেক্ষা করছে। যদি আপনার মধ্যে এই গভীর মন আপনার জীবনের এবং অবস্থার পরিস্থিতিতে আবির্ভূত হতে পারে এবং গৃহীত এবং অনুসরণ এবং স্বীকৃত হয়, তাহলে আপনি এখন জীবনের একটি নতুন যাত্রা শুরু করবেন। শুধু এই বিষয়েই বলা যেতে পারে যে আপনি আবার পৃথিবীতে জন্মগ্রহণ করবেন। শুধুমাত্র এই ক্ষেত্রে সত্য এবং অর্থপূর্ণ এবং কার্যকরী হবে।

পরিষদের সদস্যগণ এমন কিছু ব্যক্তির কাছে উপস্থিত হবেন যারা বিশ্বের জন্য মহান অবদান রাখছেন, কিন্তু সেই ব্যক্তিদের অভ্যন্তরের গভীর জ্ঞানটি যদি বার্তাটি প্রেরণ করে –  যারা বিচ্ছিন্নাবস্থায় জীবনযাপন করছে তাদের ভিতর থেকে যে বার্তাটির জন্য পরিষদবর্গ অপেক্ষা করছেন এবং প্রত্যাশা করছেন।

ঈশ্বর আপনাকে বিচ্ছেদ হতে অনুমতি দেয়। ঈশ্বর আপনাকে দুর্ভোগের অনুমতি দেয়। ঈশ্বর আপনাকে ভুল করতে অনুমতি দিয়েছেন কারণ এই স্বাধীনতা পেতে আপনি বিচ্ছেদকে বেছে নিয়েছেন।

তবে যেহেতু সৃষ্টির আসল কোনও বিকল্প নেই, এখানে আপনার অস্তিত্ব কেবল আংশিক বাস্তব। এটি এখনও সৃষ্টির সাথে সংযুক্ত, তবে এটি একটি পরিবর্তিত, বিকশিত পরিবেশ — এমন একটি পরিবেশ যেখানে আপনার জীবন অস্থায়ী এবং চ্যালেঞ্জযুক্ত এবং অনেক কিছুর দ্বারা বিপদগ্রস্থ, যেখানে ভুল এবং ব্যর্থতা আপনার চলার পরিণতি হবে এই জ্ঞানের দ্বারা গাইড না হওয়ার জন্যে।

ঈশ্বর এটি হতে দেয় কারণ আপনাকে স্বাধীন করে সৃষ্ট করা হয়েছিল। আপনি প্রকৃতপক্ষে কে সেটা না হওয়ার চেষ্টা করার জন্যও আপনি এমনকি স্বাধীন। আপনি এমনটাই মুক্ত।

কিন্তু আপনি বিচ্ছেদে কখনও সফল করতে পারবেন না কারণ জ্ঞান আপনার মধ্যেই থাকে। এটি আপনারই অংশ যা ঈশ্বরকে কখনও ছেড়ে যায়নি এবং এখনও সৃষ্টির নিজের এবং সৃষ্টির সৃষ্টিকর্তার শক্তি ও উপস্থিতির প্রতি সাড়া দেয়।

পৃথিবীতে আপনার ধর্মীয় শিক্ষাগুলি – কাহিনী, উপদেশ, এর সাথে সম্পর্কিত বিস্তৃত ধারণাগুলি সম্পর্কে চিন্তা করুন এবং আজ আমরা এখানে আপনাকে কী বলছি তার আলোকে সেগুলি বিবেচনা করুন। আমরা আপনাকে আপনার জীবনের বহওর চিত্র দান করছি। বিপরীতে দেখুন এবং আপনি দেখতে শুরু করবেন যে আপনাকে অবশ্যই একটি নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে।

আপনার ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার পুরানো ধারণাগুলি কেবল আপনাকে নির্দিষ্ট মাত্রায় পরিবেশন করতে পারে। এর বাইরেও তাদের অবশ্যই আলাদা রাখতে হবে, কারণ ফিরে যাওয়ার উপায় একমাত্র আল্লাহই জানেন। এই পরিস্থিতিতে আপনার প্রকৃত অস্তিত্বের অর্থ এবং নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য যা আপনাকে এই সময়ে পৃথিবীতে নিয়ে এসেছিল, তা কেবল ঈশ্বরই জানেন।

বুদ্ধিবৃত্তির শেষ পর্যন্ত মাথা নত করতে হবে। বৃহত্তর বাস্তবতায় অংশ নেওয়ার সময় এটি কেবলমাএ অনুসরণ করতে পারে। এর জন্য নম্রতা প্রয়োজন। এর জন্য সময়ের সাথে সাথে আপনার মধ্যে থাকা শক্তি এবং উপস্থিতির কাছে আত্মসমর্পণ করতে হবে, যা কেবল আপনার উৎসের সাড়া দিতে পারে।

পরিষদটি পৃথিবীতে সবকিছু ঘটতে দেয়। যদি না তাদের উপস্থিতির প্রয়োজন হয় এবং সর্বশ্রেষ্ঠ আন্তরিকতার সাথে অনুরোধ করা হয় তবে তারা হস্তক্ষেপ করবে না। কেবলমাত্র একটি সংকটময় সন্ধিক্ষণে, যখন একটি নতুন বাণী বিশ্বকে অর্পিত করা হবে, তখন তারা মানবতাকে একটি নতুন উপলব্ধি, আরও বৃহত্তর সচেতনতা সরবরাহ করবে। এবং এটি বিশ্বের দুর্দান্ত এবং সম্ভাব্য ধ্বংসাত্মক পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া হিসাবে ঘটবে। এ কারণেই মানব সভ্যতার বিবর্তনে মহান বাণীগুলি নির্দিষ্ট কিছু সংকটময় সন্ধিক্ষণে দেওয়া হয়। এগুলি বানোয়াট হতে পারে না। এগুলি আবিষ্কার করা যায় না। এগুলি এমনকি কল্পনাও করা যায় না, অবশ্য যদিও অনেকেই চেষ্টা করেছেন।

এগুলির উপরই মহান ঐতিহ্য নির্মিত হয়েছে। তবে এগুলির উপরেও যা রয়েছে মহান ঐতিহ্য প্রত্যাদেশের উদ্দীপনাটির চেতনাকে অনুসরণ করতে সক্ষম হয় নি যা শুরুতে তাদের অস্তিত্বের সূচনা করেছিল। ঐশ্বর জানেন যে জ্ঞান ব্যতীত লোকেরা এগুলি সম্পর্কে ভুলভ্রান্তিতে পড়বে এবং পথে অনেক ভুল করবে। এটি বিচ্ছেদ-এ জীবনযাপন করার শর্ত।

কিন্তু একবার আপনি নিজের মধ্যে জ্ঞানের শক্তি এবং উপস্থিতি আবিষ্কার করতে শুরু করার পরে, আপনি নিজের মধ্যে বিচ্ছেদটি শেষ করতে শুরু করেন – আপনার পার্থিব মন এবং নিজের ধারণা এবং আপনার মধ্যে যে পরম বুদ্ধিমত্তা থাকে তার মধ্যে, একটি বুদ্ধিমত্তা যা আপনি পৃথিবীতে প্রবেশের আগে পেয়েছিলেন এবং যা আপনি একবার ছেড়ে গেলে তা পুনরাবিষ্কার করবেন।

এর জন্য জীবনের একটি মহান অনুরণন প্রয়োজন কেবল একটি জটিল ধর্মতত্ত্ব বা দর্শন নয়। অ্যাঞ্জেলিক পরিষদ ঔসব জিনিসের সাড়া দেয় না।

এর জন্য জীবনের একটি মহান অনুরণন প্রয়োজন কেবল একটি জটিল ধর্মতত্ত্ব বা দর্শন নয়। অ্যাঞ্জেলিক অ্যাসেমব্লি ঐসব জিনিসগুলিতে সাড়া দেয় না।

তবে একটি সংকটময় সন্ধিক্ষণ, যেমন আজকের বিশ্বে ঘটে চলেছে, তাদের নিজস্ব একজন পৃথিবীতে আসবে। মেসেঞ্জার হওয়ার দুর্দশার মুখোমুখি করতে তাদের নিজের একজনকে প্রেরণ করা হবে — গুরুতর অসুবিধা, বিরাট রহস্য, দুর্দান্ত অনিশ্চয়তা, মহান উপস্থিতি যা তাদের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের হয়ে ওঠার প্রক্রিয়াটি অনুসরণ করার সাথে সাথে থাকবে, তাদের আহ্বানের সূচনা না হওয়া পর্যন্ত তাদের মহিমান্বিত ভাগ্য এবং উদ্দেশ্য সম্পর্কে তখন পর্যন্তও সামান্য সচেতনতা থাকবে।

কেউ ম্যাসেঞ্জারের জীবন বুঝতে পারে না, তবে সবাই ম্যাসেঞ্জারের উপহার গ্রহণ করতে পারে, এটি এমন একটি উপহার যা পৃথিবীকে যে কোনও ব্যক্তি এর চেয়ে বেশি দিতে পারে — উপহারগুলি যে কোনও ব্যক্তি তৈরি বা আবিষ্কার করতে পারে তার চেয়েও অনেক বেশি দীর্ঘস্থায়ী, ব্যাপক, শক্তিশালী এবং অনুপ্রেরণামূলক। মানুষের কাছে আকর্ষণীয় ধারণা থাকতে পারে, তবে এমন কোনও কিছুই যা কোনও ব্যক্তির জীবনকে সবচেয়ে প্রাকৃতিক এবং সুন্দর উপায়ে রূপান্তর করতে পারে।

এটা স্বর্গ থেকে আসতে হবে। এটি অবশ্যই পরিষদের মাধ্যমে আসতে হবে যা ঈশ্বরের ইচ্ছাকে ব্যাখ্যা করে। মহাবিশ্বের ঈশ্বর এই পৃথিবীর সাথে জড়িয়ে পড়া থেকে অনেক বেশি বড়, নৈসর্গিক প্রদর্শনের বাইরেও অগণিত ছায়াপথ, মাত্রা এবং সৃজনের ঈশ্বর, যা আরও বড়, এত বড় যে আপনি এর ব্যাপ্তি এবং জীবনে এটির মহান অন্তর্ভুক্তি অনুধাবন করার কোন সম্ভাবনা নেই।

এক বিলিয়ন, বিলিয়ন, বিলিয়ন জাতি এবং আরও অনেকের প্রভু নিশ্চয়ই যে কোনও ধর্মতত্ত্বের নীতির বাইরে যা এই পৃথিবীতে কখনোও সৃষ্টি হয়েছে। তবে এটি ঈশ্বরের নতুন বাণীর অংশ, আপনি দেখুন, কারণ মানবতা মহাবিশ্বে জীবনের একটি বৃহত্তর সম্প্রদায়ের মধ্যে উত্থিত হচ্ছে এবং অবশ্যই এখন আরও বৃহত্তর প্যানোরামাতে ঈশ্বরকে ভাবতে হবে।

এই পৃথিবীতে ঈশ্বর কী করছেন তা বোঝার জন্য আপনাকে অবশ্যই বুঝতে হবে ঈশ্বর মহাবিশ্বে কী করছেন। এবং প্রথমবারের মতো, এই সম্পর্কিত প্রতিভাস এমন একটি মানবতাকে দেওয়া হচ্ছে যারা মহাকাশের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে, এমন একটি মানবতাকে দেওয়া হয়েছে যারা বিশ্বের পরিবেশকে ধ্বংস করার এবং নিজেদেরকে সর্বনাশ এবং বিপর্যয়ের দিকে চালিত করার দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে। এটি সর্বকালের সর্ববৃহৎ প্রান্তিক অবস্থান মানবকুল কখনও মুখোমুখি হয়েছে এবং এর পরিণতিও সবচেয়ে বেশি।

সবকিছু বদলে যাবে এবং এমনকি এই মুহুর্তে পরিবর্তিত হচ্ছে। এই সংকটময় সন্ধিক্ষণের কারণে, ঈশ্বরের প্রেরিত অ্যাঞ্জেলিক উপস্থিতি এবং পরিষদের মাধ্যমে, বিশ্বের জন্য একটি নতুন বাণী – মহাবিশ্বের জীবন এবং সর্বত্র ঈশ্বরের কাজ সম্পর্কে একটি প্রতিভাস, কোনও গোত্র বা অঞ্চলের অথবা কোনও প্রাকৃতিক ঘটনা অথবা কোনও একটি গোষ্ঠী বা একটি জাতির সীমিত ইতিহাসের উপর ভিত্তি করে নয়, তবে সর্বত্র জীবনের বাস্তবতার উপর।

এই বৃহত্তর পরিদৃশ্য আপনাকে আপনার মধ্যে থাকা শক্তি এবং উপস্থিতি সনাক্ত করার সর্বাধিক সুযোগ দেয় এবং আপনাকে এই উপলব্ধি সমর্থন করার জন্য আপনার বুদ্ধিবৃত্তি ব্যবহার করতে উত্সাহিত করে, কারণ এটিই করার জন্য ইহা তৈরি হয়েছিল এবং এটিই আপনাকে ইহার সর্বোচ্চ সেবা।

আপনি পরিযদে যারা আছেন তাদের নাম জানবেন না অবশ্য তারা কোনও ব্যক্তির সাড়া দেওয়ার সহায়তা করার জন্য কিছু ক্ষেত্রে একটি নাম সরবরাহ করতে পারে। তাদের নাম অর্থহীন, কারণ তারা উভয়ই ব্যক্তি এবং তারা একটি — এমন একটি ঘটনা যা আপনি বুদ্ধিবৃত্তি দিয়ে উপলব্ধি করতে পারবেন না, যা কেবলমাত্র এই বিশ্বের বিষয়গুলিই ভাবতে পারে।

মহান প্রত্যাদেশের সময়, পরিষদটি একটি স্বরে কথা বলে। এটি এর সদস্যদের মধ্যে একটির মাধ্যমে কথা বলে তবে তারা সবাই একবারে কথা বলছে, এমন একটি ঘটনা যা আপনি সত্যই চিন্তা করতে পারবেন না। এটা খুবই দুর্দান্ত। এটা খুবই অসাধারণ। এটি সম্পূর্ণরূপে আপনার বাস্তবতার ধারণার বাইরে কথা বলে, আপনি কেবল মহাবিশ্বে ব্যক্তিদেরই কল্পনা করতে পারেন, তবে পরিষদটি এক এবং বহু এবং এক, কারণ তারা স্বর্গের খুব নিকটবর্তী, আপনি দেখুন, যেখানে অনেকগুলি এক, এবং একটি অনেক।

আপনার জীবনের লক্ষ্যটি অ্যাসেমব্লির প্রতি মোহিত হওয়া বা অ্যাসেমব্লিতে মনোনিবেশ করা নয়, কারণ তাদের উদ্দেশ্য আপনাকে আপনার মধ্যে থাকা জ্ঞান পুনরুদ্ধারে জড়িত করা।

কারন আপনার অবশ্যই বেছে নেওয়া উচিত। আপনার অবশ্যই পরিণাম এবং অসুবিধা এবং আপনার সিদ্ধান্তের আশীর্বাদগুলির মুখোমুখি হতে হবে। আপনিই সেই ব্যক্তি যিনি অবশ্যই অসাধারণ প্রস্তাবটি গ্রহণ করতে বা প্রত্যাখ্যান করতে বেছে নেবেন। আপনিই সেই যিনি অবশ্যই দায়বদ্ধ হবেন আপনি যা কিছু করেন তার জন্য।

সুতরাং আশেপাশের মানুষকে বলতে যাবেন না যে ঈশ্বর আপনাকে এটা বা ওটা করতে পরিচালিত করছেন, কারণ এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন। আপনাকে অবশ্যই বলতে হবে, “আমি এটি করছি কারণ আমি অনুভব করি যে এটিই করা উচিত।” অন্য কোনও কর্তৃত্বের দাবি করবেন না, কারণ আপনি নিশ্চিত জানেন না।

যদি না আপনার মধ্যে জ্ঞান সক্রিয় করা থাকে এবং আপনার জীবনে শক্তিশালীভাবে আবির্ভূত না হয় তবে আপনি পরিষদ বা আপনার উপস্থিতির শক্তিকে জানতে পারবেন না। আপনার এন্জেলিক অভিজ্ঞতা সম্পর্কে রোমান্স তৈরি করবেন না, তা আসল হোক বা মনগড়া হোক না কেন, কারণ এটি আপনার মধ্যে জ্ঞানের উত্থানের বিষয়, আপনি দেখেন।

পরিষদটি কেবল এটির সাথেই সম্পর্কিত, কারণ এটি না হওয়া পর্যন্ত আপনি নির্ভরযোগ্য নন। আপনি দায়িত্ববান নন। আপনি সাহসী নন। আপনি নির্ভরযোগ্য নন। আপনি এখনও বিশ্বের অনুশাসন এবং নিজের ভয় এবং পছন্দগুলির অধীন। আপনি খুব দুর্বল।

এজন্য আপনাকে অবশ্যই দুর্দান্ত রূপান্তর প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে নিজের মধ্যে উন্নীত করতে হবে যা শুধুমাত্র পরিষদ দ্বারা শুরু করা যেতে পারে। আপনি নিজেকে অভিষিক্ত করতে পারবেন না। আপনি বিশ বছর ধ্যান করতে পারেন এবং ক্ষমতা এবং জ্ঞানের উপস্থিতি সম্পর্কে জানেন না।

এটি এখন আপনার প্রার্থনা সর্বাধিক শক্তি, তাত্পর্য এবং সত্যতার সাথে দেওয়া যা পরিষদকে আপনার দিকে ডেকে আনে। আপনি সুবিধার জন্য বা ক্ষতি থেকে নিছক রক্ষার জন্য প্রার্থনা করবেন না। আপনি মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রার্থনা করেন, এর অর্থ কী তা না জেনে, মুক্তির বিষয়টি বুঝতে চেষ্টা করবেন না, ভাবছেন না আপনি কীভাবে নিজেকে শুদ্ধ করবেন জানেন। কারণ কেবল পরিষদটিই এটি জানে।

এটি একটি দুর্দান্ত জিনিস, আপনি দেখুন। এটি সবচেয়ে বড় অলৌকিক ঘটনা। এটিই অলৌকিক ঘটনাটা যা অন্য সমস্ত অলৌকিক ঘটনা তৈরি করে।

ঈশ্বর এখন বিশ্বকে একটি নতুন বাণী প্রেরণ করেছেন মানবতার জন্য একটি নতুন বিশ্বের অভিজ্ঞতা এবং পরিবেশের মোকাবেলা করতে, এবং মানব সভ্যতা সংরক্ষণ এবং ঐক্যবদ্ধ করার দুর্দান্ত চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করার জন্য।

ঈশ্বর এই বিশ্বকে একটি মহান বাণী প্রেরণ করেছেন মহাবিশ্বের জীবনের সাথে মুকাবিলা করতে  মানবতাকে প্রস্তুত করা জন্য – মানব ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ ঘটনা এবং এমন একটি যা মানবকুলের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ, অসুবিধা এবং সুযোগ দাবি করে।

একজন ম্যাসেঞ্জার বিশ্বে আছেন। তিনি বাণীটি গ্রহণ করার জন্য দীর্ঘদিন ধরে প্রস্তুতি নিচ্ছেন, কারণ এটি মানবতাকে দেওয়া সর্বকালের বৃহত্তম প্রত্যাদেশ – একটি উন্নত বিশ্ব, একটি শিক্ষিত বিশ্ব, বিশ্বব্যাপী যোগাযোগের একটি বিশ্ব, একটি নির্দিষ্ট মাত্রার বিশ্ব সচেতনতার একটি বিশ্বকে এখন দেওয়া।

ইতিহাসে এটিই প্রথম যে একবারে পুরো বিশ্বকে একটি বাণী দেওয়া হয়েছে। কারণ পৃথিবীতে যে গুরুতর পরিবর্তন আসছে এবং বিশ্বজুড়ে বুদ্ধিমান জীবনের সাথে এর মুখোমুখি হওয়ার অর্থ, যা ইতিমধ্যেই বিশ্বজুড়ে ঘটে চলেছে তার জন্য মানবতাকে প্রস্তুত করার জন্য এটি অল্প সময়ের মধ্যেই বিশ্বকে পৌঁছাতে হবে।

ঈশ্বরের পূর্বের কোন বাণী আপনাকে এই জিনিসগুলির জন্য প্রস্তুত করতে পারে না কারণ এটি তাদের উদ্দেশ্য বা তাদের পরিকল্পনা ছিল না। এগুলি মানব সচেতনতা, মানব সভ্যতা এবং মানবিক বিচক্ষণতা এবং নৈতিকতা গড়ে তুলতে দেওয়া হয়েছিল যা সম্ভবত মানবতার বৃহত্তর ঐক্য এবং বৃহত্তর ক্ষমতার দিকে পরিচালিত করতে পারে।

মানব সভ্যতা তৈরি করা হয়েছে, এবং যদিও এটি খুবই অসম্পূর্ণ – দুর্নীতি ও বিভেদ এবং ত্রুটি দ্বারা পরিপূর্ণ – তবুও এর মহান প্রতিশ্রুতি রয়েছে। যদি আপনি আপনার চারপাশের মহাবিশ্বে জীবনের পরিস্থিতিগুলি জানতেন তবে আপনি এই মহান প্রতিশ্রুতিটি দেখতে পেতেন। তবে আপনি এটি এখনও দেখতে পাচ্ছেন না। আপনার এই সুবিধাজনক অবস্থান নেই। তবে পরিষদ অবশ্যই এটি দেখছে এবং সে কারণেই এই গুরুতর প্রান্তিকের জন্য প্রস্তুতি নিতে এই বিশ্বকে অত্যন্ত জোর দেওয়া হচ্ছে। এখন অনেক কিছু দেওয়া হচ্ছে, প্রত্যাদেশ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।

তবে ম্যাসেঞ্জার বিরাট সমস্যার মুখোমুখি, পূর্ববর্তী সমস্ত মেসেঞ্জাররাও একই সমস্যার মুখোমুখি হয়েছিল, অবিশ্বাস, বৈরিতা, প্রত্যাখ্যান, উপহাস।

মানুষ দেখতে পারে না যে তাদের মধ্যে বিশ্বের বৃহত্তম ঘটনাটি ঘটছে। তারা মনে করে যে এটি তাদের ধারণার লঙ্ঘন, তাদের বিশ্বাসের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। তারা মনে করে যে এটি তাদের সম্পদ, তাদের ক্ষমতা এবং বিশ্বে তাদের মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করবে যখন বাস্তবে এটি তারা কখনও পেতে পারে এমন মুক্তির সর্বাধিক প্রতিশ্রুতি দেয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ প্রস্তুতি যা বহু উপায়ে অতীতের মতো হবে না।

পরিষদ ম্যাসেঞ্জারকে পর্যবেক্ষণ করে এবং গাইড করে, কারণ বিশ্বে তাঁর গুরুত্বকে অবমূল্যায়ন করা যায় না। বিশ্বে তার গুরুত্বকে অতিরঞ্জিত করা যায় না। পরিষদটি বিশ্বজুড়ে প্রকাশ করার জন্য তাঁর মাধ্যমে কথা বলবে। এবং তারা একক হিসাবে কথা বলবে কারণ বাণীটিই সবকিছু।

এটিকে যদি পর্যাপ্ত লোকেরা স্বীকৃতি দেয় এবং যথেষ্ট লোকেরা তা অনুসরণ করতে পারে তবে মানবতার বিভাজন এবং অবিরাম সংঘাত এবং যুদ্ধ থেকে ভবিষ্যতের নতুন ভিত্তি গড়ে তোলার শক্তি থাকবে।

প্রত্যাদেশটি মানবতার জন্য এই বৃহত্তর বিশ্বের জন্য দৃষ্টিভঙ্গি দিয়েছে, তবে এটি একটি খুব ভিন্ন বিশ্ব হবে। এটি তৈরি করতে এবং এমন মহাবিশ্বে যেখানে শক্তিশালী বাহিনী রয়েছে এবং যেখানে স্বাধীনতা বিরল, সেখানে এটি বজায় রাখার জন্য প্রচুর শক্তি, সাহস এবং সততার প্রয়োজন হবে। কেবলমাএ ঈশ্বরই জানেন এটি কীভাবে করা যায়। কেবলমাএ পরিষদই বিষয়গুলি বুঝতে পারে।

আপনার কাজ হচ্ছে এখন গ্রহণ করা শিখতে হবে এবং জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি অনুশীলন করতে হবে যাতে আপনি জীবনে আপনার আসল ভিত্তি খুঁজে পেতে পারেন, আপনার বিশ্বাসকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন, অতীত থেকে দ্বিধাদ্বন্দ্বের সমাধান করতে পারেন, নিজেকে এবং অন্যকে ক্ষমা করতে পারেন এবং প্রত্যাখ্যান এবং নিন্দা ছাড়াই বিশ্বের দিকে নজর দিতে পারেন। কারণ এটিই এই পৃথিবী যা সময়মতো আপনার বৃহত্তর উপহার এবং আপনার বৃহত্তর ভূমিকা থেকে আপনাকে ডাকবে।

এখানে অনেক কিছুই ভুলে যাওয়ার মতো, অনেক কিছুই পুনর্বিবেচনা করার মতো। এটি করার জন্য আপনাকে যথেষ্ট নম্র হতে হবে। যদি আপনি ভাবেন যে আপনি সত্য জানেন, আপনি যদি মনে করেন আপনি ঈশ্বরের ইচ্ছা জানেন, যদি আপনি ভাবেন যে আপনি মহাবিশ্ব কী তা জানেন, তবে আপনার সত্য আবিষ্কারের সম্ভাবনা খুব কম হবে।

পরিষদটি বিশ্বজুড়ে নজর রাখে। পরিষদটিতে প্রার্থনা জানান – আকস্মিকভাবে নয়, কারণ তারা আপনার কথা শুনবে না। আপনার উচ্চাকাঙ্ক্ষা, আপনার স্বপ্ন বা কল্পনাগুলি পূরণ করার জন্য নয় কারণ তারা আপনাকে শুনবে না। আপনার অবশ্যই আপনার মনে প্রাণে প্রার্থনা করতে হবে। তবেই আপনার কথা তাদের কাছে পৌঁছতে পারে, কারণ তারা কেবল সত্য, সৎ এবং খাঁটি কী তা জানে।

তাঁরা কুশলী হতে পারে না। তাঁরা দুর্নীতিগ্রস্থ হতে পারে না। তারা প্রভাবিত হতে পারে না। আপনি তাঁদের সাথে কোনও চুক্তি করতে পারবেন না। কারণ আপনার অবশ্যই সময়মতো তাদের পরামর্শ গ্রহণ করার এবং আপোষহীন, দুর্নীতি ছাড়াই এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার শক্তি থাকতে হবে। এটাই আপনাকে কতটা শক্তিশালী হতে হবে, বিশ্বের ভালোর জন্য একটি মহান শক্তির অংশ হতে হবে।

মানুষ ভাববে, “ওহ, এটি আমার বিবেচনার জন্য ঢের বেশি। চ্যালেঞ্জটি খুব দুর্দান্ত! “তবে আমরা বলি না। আপনি কে এবং আপনি কেন এই পৃথিবীতে আছেন এবং কে আপনাকে এখানে পাঠিয়েছে তার পক্ষে এটি উপযুক্ত। আপনি নিজেকে এইরকম এক অবজ্ঞাপূর্ণ উপায়ে ভাবেন। আপনি যখন এই জাতীয় চিন্তা করেন তখন আপনি একটি করুণ অবস্থাতে অবনতি হন। আপনি জানেন না আপনার শক্তি, আপনার ক্ষমতা বা আপনার উদ্দেশ্য যা কেবলমাত্র জ্ঞানই আপনার মধ্যে সরবরাহ করতে পারে।

ঈশ্বর এই মুহুর্তে যে বার্তাটি বিশ্বকে পাঠাচ্ছেন যারা তার সাড়া দিতে পারে পরিষদটি তাদেরকে পর্যবেক্ষণ করে এবং অপেক্ষা করে। কারণ মেসেঞ্জার এখন কথা বলতে, ঘোষণা করতে এবং প্রত্যাদেশটি শিক্ষা দিতে এসেছেন। বাণীটি সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত তাকে দীর্ঘ সময় ধরে আটকে দেওয়া হয়েছিল। এখন এটি সম্পূর্ণ, এবং বিশ্বের এটির খুবই প্রয়োজন, এই মুহুর্তে আপনি যা উপলব্ধি করতে পারেন তার চেয়েও বেশি দরকার।

ম্যাসেঞ্জার পরিষদটির প্রতিনিধিত্ব করেন যদিও তিনি একজন মানুষ এবং যদিও তিনি অসিদ্ধ, কারণ সমস্ত মানুষই অসিদ্ধ। সে ভুল করেছেন অবশ্য সমস্ত মহান মেসেঞ্জারগনও ভুল করেছেন।

এটিই তাঁর মধ্যে স্বর্গের শক্তি যা তাঁর শক্তি, এটাই তাঁর ব্যানার, এটাই তাঁর রক্ষক। আপনি তাঁর দেহ ধ্বংস করতে পারেন, তবে আপনি তাঁর বার্তা নষ্ট করতে পারবেন না। এবং তিনি পৃথিবীতে যা নিয়ে আসছেন এবং যে শক্তি ও উপস্থিতি তাকে এখানে পাঠিয়েছে তা আপনি ধ্বংস করতে পারবেন না — এমন শক্তি এবং উপস্থিতি যা আপনার প্রতিক্রিয়াটির জন্য অপেক্ষা করে।

উপহারটি এখন আপনার সামনে, এবং স্বর্গ নজর রাখছে এবং অপেক্ষা করছে কারা এটি গ্রহণ করতে পারে, কে চিনতে পারে, কে জ্ঞানের পদক্ষেপগুলি গ্রহন করতে পারে এবং এমন একটি পৃথিবীতে আরও একটি বৃহওর জীবনের উপহার পেতে পারে যা প্রতিটি চলমান দিনের সাথে আরও অন্ধকার ও অনিশ্চিত করে তুলছে।